এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বইপ্যাঁচা৯

  • তীব্র কর্কশ আর মরূদ্যান একই ক্যানভাসে নির্মিত হয় মেধা ও আবেগের মিশ্রণে

    চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
    পড়াবই | বইপ্যাঁচা৯ | ২৩ আগস্ট ২০২০ | ৩৭৫৯ বার পঠিত
  • তি‌ন নবীন কবির তিনটি বই। ‘এই প্রজন্মের নারীকবিদের কালো কবিতা এসব। মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয় মেয়েদের এই যাপনের মধ্যে।’ পাঠ করে লিখছেন কবি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়


    “Women have sat indoors all these millions of years,so that by this time the very walls are permeated by their creative force, which has, indeed, so overcharged the capacity of bricks and mortar that it must needs harness itself to pens and brushes and business and politics”


    Virginia Woolf



    ওপরের উদ্ধৃতিটি সহজেই এল। কারণ এই মুহূর্তে আমার সামনে তিনখানা বই। তিন নারীকবির। মেয়েদের লেখাপত্র একই সঙ্গে কৌতুক ও কৌতূহলোদ্দীপক বলি যদি, মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি আগেভাগেই।

    আমার যৎসামান্য লেখালিখির আবর্তে শুনতে পাই, কেউ প্রশস্তি গেয়ে বলছে, মেয়েদের মধ্যে আপনার লেখা বেশ নজর কাড়ে। কেউ-বা একটু অ্যাপোলোজেটিক গলায় বলছেন, আমার ওয়াইফ আপনার লেখা বেশ পছন্দ করে। কী ভীষণ কী ভীষণ সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা এসব। শুনতে শুনতে গলা শুকিয়ে যায়। চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। মনে পড়ে, লাইব্রেরিগুলিতে, বড়ো বড়ো সভাকক্ষে, আলোকোজ্জ্বল মনীষার আরাধনা চলে যেখানে, নিজ নিজ ক্ষেত্রে ক-জন নারীর মহিমান্বিত ছবি, অয়েল পেইন্টিং শোভা পায় সেখানে? শিল্পনির্মাণে লিঙ্গবিভাজন হয় কি? পুরোটাই, চর্চিত ফসল। আচ্ছন্নতা, বা মেধাবি ঘোর-লাগা নশ্বর কিছু শব্দমালা। তবু, ছেলেতে মেয়েতে লেখালেখির তফাত হয় বই কী! হেমন্তের পাতা জড়ো করার মতো, মেয়েদের গোছানো একরকম। ছেলেদের, আর-একরকম। অন্ধকার, বিষাদের জন্ম দেয়। ধ্যান আর স্বপ্ন আনে। মৃত্যুচেতনা আনে। আবার, একটি মেয়ে অন্ধকার আঁকে যখন, ম্যাজিকবাস্তবতার পাশাপাশি হার্ড রিয়েলিটি যে তাকে গিলে খেয়ে নেবে টুপ করে, সে-আতঙ্ক, সে-লজ্জাও আছে তো!




    মেমরিজ। শিল্পী ধারা মেহরোত্রা (সৌজন্য http://www.dharamehrotra.com)



    প্রথমে তুলে নিচ্ছি জারিফা জাহান-এর ‘মন্দ সাইদাতি’। দেখুন, পেছনের মলাটে কী লিখছেন তিনি: সাইদাতি শব্দে ঘাবড়াবেন না প্রিয় পাঠক অথবা ভেবে ফেলবেন না নামের মতোই বোধগম্যহীন দুষ্পাচ্য একটি ভাষার নৈমিত্তিক কথক এ অধম। সামান্য ‘মহোদয়া’ সম্ভাষণ যথার্থ হতে পারতো এ বইয়ের শিরোনামে। তবুও এ চয়ন ইচ্ছাকৃত কারণ এই বিভেদী হাওয়ায় পরিত্যক্ত কুয়োঘরে মুখ লুকালো অবাঞ্ছিত পাপ।

    নান্দনিকতা নয়, এটা পড়তে পড়তে বটের আঠার মতো বিভাজনমুখী ঘন আঁধার নেমে আসে যেন!

    অসম্ভব সাহসী কবিতা। সাহসী বলতে বাধ্য হচ্ছি, কারণ দিনকাল আমাদের এই স্বাধীনতাটুকুরও প্রশ্রয় দেয় না। যাবতীয় মসৃণতাকে ভাঙতে ভাঙতে (শুরুতে মর্টারের উল্লেখ করেছিলাম, মনে আছে?) চাঁচাছোলা ভাষায় এগোয় এসব কবিতা। ‘এইসব মনে এলে সদ্যজাতাকে বুকে তুলে নিই উৎসাহী/ ডাইন; নামাই বৃন্ত, স্তনবৃন্ত, তার মুখে। ব্যর্থ/সিজদায় মস্তক ঝুলে থাকবার চেয়ে এই শ্রেয়/টিপে ধরা নবাগতা শ্বাস/দুই স্তনের ভেতর, পিষে ফেল শ্বাপদ জনম।’ এই চটি বইতে বারোটি কবিতা আছে। স্বগতোক্তির মতো ন্যারেটিভ। জ্বলতে জ্বলতে নামে। ভয় পাওয়াবে। অস্বস্তি দেবে। একটু অচেনা, আমাদের রোজকার কথাবার্তা ছাপিয়ে সামান্য ভারী, ভাষা। ‘হামিদুল্লা এসো, এই ধূসররঙা সন্ধের দিকে মুখ করে বসো, অবিন্যস্ত।/সিগারেটের গন্ধ ভেঙে ভেঙে একটি ত্রিমাত্রিক ধর্মযুদ্ধের সূচনা করতে পারো/ বরং এই নিদাঘ সংকটে।’ জারিফা একথা লিখতেও ইতস্তত করেন না, ‘পর্দা ও বস্তা উভয়েই সূর্য দৃশ্য হইতে বঞ্চিত।’ শিল্প, সংকেত দাবি করে। কবিতাগুলিতে তাই কথা বুনে বুনে তৈরি করা দৃশ্যকল্পের ভার একটু হালকা হলে হয়তো-বা ব্রিদিং স্পেস পেতাম আমরা। অবশ্য না পেলেও ক্ষতি নেই, সম্ভবত।

    এবার, চিরশ্রী দেবনাথ-এর বই ‘বিশ্বাসের কাছে নতজানু’। এতক্ষণ দম চেপে রেখে যে লেখাগুলো পড়লাম, এখন এই ষোলো পাতার কবিতাদের হালকা চলন দেখে ভাবছিলাম হয়তো রিলিফ পাব একটু। কিন্তু, তা নয়। পড়ছি, ‘তবু মনে হয়, আমাদের ছেলেরাও একদিন তুলে নিয়ে যাবে/সব ফাটা গোড়ালির মেয়েদের,/আচ্ছন্ন শীতে সেই মেয়েরা বিবাহ তুলে দেবে ছেলেদের হাতে।’ পড়ছি, আর কেবলই ভাবনার জন্ম হচ্ছে। যেমন, ‘বেহালাবাদক’ নামের কবিতাটিতেই দেখুন না, ‘কবিতায় প্রতিবাদ হারিয়ে গেলে, জেগে ওঠো শ্লোগান/শ্লোগান হারিয়ে গেলে, আগুনের কাছে জখম নাও’, বর্ণনা পার হয়ে বিকল্প বর্ণনা তৈরি হচ্ছে। যেমন, ‘বড়দিন’ কবিতায় জীবনানন্দের ধানসিড়ি নদীকে অন্যতর মাত্রা দিচ্ছেন এই কবি। আঁতিপাঁতি করে এই ফুরফুরে চেহারার বইটিতে প্রেম খুঁজতে গিয়ে পড়ে ফেললাম, ‘ভালোবাসায় ছিলাম বলে কিছু লেখা হয়নি, লেখা যায়নি/সময় লাগবে, অনেক সময়, এই বিজন স্রোত বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে একা,/কেন যে জানি না... ’

    বেবী সাউ-এর কবিতাবই পিতৃপরিচয়, শীর্ণকায়। একটিই কবিতা। চোদ্দোটি অংশ। পিতৃতর্পণ নাকি শিকড়ের সন্ধান! অদ্ভুত এক আচ্ছন্ন ভাব। মগ্নতা। বাবার কথা পড়তে গিয়ে পরিবার ও সংসারের খুঁটিনাটি খুলে যায় মনের সামনে। ‘বাবা আর আমি, আমি আর বাবা/দু’জনকে দু’জনে এড়িয়ে চলি... /যেন দুটো শত্রুজাত দেশ/সীমারেখা নিয়ে পরমাণু বোমা বানাতে শিখেছে/আমাদের সেই অমিমাংসিত, অপ্রয়োজনীয় ল্যান্ডলাইন মা/অসহায়/চুপচাপ দৃশ্য দেখেন’, কবিরই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই যেন এই শিরোনামহীন একের পর এক কবিতায়। কখন যেন বেবী, অজান্তে, ঢুকে পড়ছেন বাবার খোলশে। লিখছেন, ‘পুতুলখেলাকে খুব ঘৃণা করতেন... /বাবা বাড়ি ফেরার আগেই, পুতুলের রান্নাপাতি, সংসার লুকিয়ে ফেলতাম/সব জেনেও কিছু না জানার ভান করতে করতে/বাবা নিজেই একটা বিরাট খেলার সংসারে ঢুকে পড়েছেন/নিজেই জানেন না’। শিকড় খুঁজতে খুঁজতে বেবী এই অসামান্য কবিতাটিও লিখে ফেলেন একসময়, ‘আমার বেচারা বাবা, আমাদের অঙ্ক শেখাতে বসতেন... /দেখতাম এক দিকভ্রান্ত মানুষ দুই প্লাস দুই মেলাতে গিয়ে/একটা আকাশ, একটা নদী এবং মাছের ছবি এঁকে ফেলেছে, অজান্তে... ’

    তিনটি বইতেই যা নেই তা হল, প্রচলিত ছন্দ। ছন্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যা আছে, তা হল, নিখাদ কবিতা। আত্মমগ্ন, নিজের সঙ্গেই কথন যেন। কবিতাগুলিতে শব্দকুশলতা আছে। মেধা ও আবেগের মিশ্রণে নেমে-আসা, তীব্র কর্কশ আর মরূদ্যান একই ক্যানভাসে নির্মিত হয়। আর হ্যাঁ, একটু ডার্ক। এই প্রজন্মের নারীকবিদের কালো কবিতা এসব। মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয় মেয়েদের এই যাপনের মধ্যে।





    মন্দ সাইদাতি
    জারিফা জাহান
    গুরুচণ্ডা৯
    ২০ টাকা




    বিশ্বাসের কাছে নতজানু
    চিরশ্রী দেবনাথ
    গুরুচণ্ডা৯
    ২০ টাকা




    পিতৃ পরিচয়
    বেবী সাউ
    গুরুচণ্ডা৯
    ২০ টাকা


    বইগুলির প্রাপ্তিস্থান—
    কলেজস্ট্রীটে গুরুচণ্ডা৯ বইঘর (৫১/২এ শ্রী গোপাল মল্লিক লেন, কর্পোরেশন বিল্ডিং এর পাশের গলি), দে'জ, দে বুক স্টোর, সুপ্রকাশ বইঘর, সোদপুর পাপাঙ্গুল, চুঁচুড়া বিদ্যার্থী।

    বাড়িতে বসে বইগুলি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    থাম্বনেল গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৩ আগস্ট ২০২০ | ৩৭৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মৌলিক মজুমদার | 2409:4066:16:c9c8::190b:d8a5 | ২৪ আগস্ট ২০২০ ০১:২০96591
  • অসাধারণ আলোচনা। কবিতাংশগুলো পাঠের ইচ্ছেকে জাগিয়ে তুলল। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন