এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • লা জবাব দিল্লী - ৬

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৭৩১ বার পঠিত
  • দিল্লিতে বাঙালি দুই প্রকার। প্রথম প্রজন্ম, এবং দিতীয় বা ততোধিক প্রজন্ম। এই দুই রকম বাঙালির আচারে বিচারে, কথা-বার্তায় এবং চাল্‌চলনে তফাৎ এতটাই প্রকট যে ব্যাপারটা বেশ একটা কালটিভেট করার মত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

    দিল্লির হিন্দি মোটামুটি কথ্য হিন্দি, ঈষৎ হরিয়ানভি এবং পাঞ্জাবি অ্যাকসেন্টসমৃদ্ধ। প্রথম প্রজন্মকে এই অ্যাক্‌সেন্ট রপ্ত করতে করতে প্রায় এক জন্ম লেগে যায়। অবশ্যই কমবেশি আছে, কিন্তু মোটামুটি হিন্দি শুনে বলে দেওয়া যায় এই লোকটা বাঙালি, মানে ফার্স্ট জেনারেশন বাঙালি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখানে এসেছে। হিন্দি ভাষার প্রতি বঙ্গীয় স্কুল কারিকুলামে নিদারুণ অবজ্ঞা আম-বাঙালিকে হিন্দি সম্পর্কে বিশেষ-অজ্ঞ করে রেখেছে, তাই বাঙালির হিন্দি হিন্দি-বলয়ে সদাসর্বদাই হাসিঠাট্টার একটা বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। নেহি নেহি, হাম তো আভি জানে নেহি সাক্‌তা হ্যায়, আউর একঠো সিগারেট খায়েগা, ফির বাড়ি চলা জায়েগা টাইপের হিন্দি বলেই অর্ধেক জীবন দিল্লিতে কাটিয়ে দিয়েছেন এমন বাঙালিও প্রচুর আছেন। অনেকে আবার ব্যকরণগতভাবে সঠিক হিন্দি বলতে পারলেও খাঁটি বাঙালি উচ্চারণে এমন করে বলেন, শুনলে হাসি পেতে বাধ্য।

    এ সব নিয়ে প্রচুর জোক্‌সও চালু আছে, সে সবের মধ্যে আর গ্যাঁড়া ঢুকবে না, কারণ সত্যি বলতে কি, গ্যাঁড়া গেঁড়ি দুজনেই ফার্স্ট জেনারেশন দিল্লিবাসী। তারা নিজেরা কী প্রকার হিন্দি বলে সে ব্যাপারে তারা নিজেরা কিছুতেই মুখ খুলতে চাইল না, তবে রোজকার জীবন চলে যায়, ভাষা বা তার ডায়ালেক্ট নিয়ে কোথাও কোনওপ্রকার অসুবিধায় পড়তে হয় নি।

    সেকেন্ড জেনারেশন, শুধু বাঙালি নয়, তামিল-তেলুগু-কন্নড় সকলকার ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের কথা শুনে কোনওভাবেই বোঝা যায় না যে তারা বাঙালি বা তামিল বা কন্নড় অরিজিনের। এখানকারই জলহাওয়াতে বড় হওয়া গাছপালার মতই তারা এখানকার লোকজন হয়ে ওঠে। বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে অল্পবিস্তর বাংলার আবহাওয়া পায়, বাবা-মা নিয়ে গেলে পরে বাংলা নাটক গানের আসরে বাংলা কালচারের সঙ্গে সামান্য-বিস্তর পরিচিতি জমে, সোনামুখ করে রাজমা চাওল খেয়ে নেয় যা কিনা তার বাবা-মায়ের দেখলেই বিবমিষা জাগে, আবার তেমন বাপ-মা হলে পরে তারা সারা শৈশব কৈশোরে বাংলা অক্ষরের সাথেও পরিচিত হয় না। একবার ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টারে স্বাগতালক্ষ্মীর গানের অনুষ্ঠানে গিয়ে গ্যাঁড়ার পেছনেই বসেছিল এই রকমের এক বাবা-মা আর তাদের সেকেন্ড জেন ছেলে, কলেজে পড়ে। হাতে অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র নিয়ে সে সমানে মা-কে জিজ্ঞেস করে চলেছিল, মা কী লেখা আছে এতে? এই গানগুলো তোমার ভালো লাগছে? কী বোরিং না? মা, অপ্রস্তুত, মৃদুস্বরে সামাল দিচ্ছেন কলেজপড়ুয়া দামাল ছেলেকে, পুরোটাই কিন্তু চলছে বাংলা ভাষায়, কেবল পাশের এক দর্শকের প্রশ্নের উত্তরে সে জানাল, সে বাংলা অক্ষরটুকুও চেনে না। একেবারেই পড়তে পারে না বাংলা। গ্যাঁড়ার মনে অনুকম্পা হল, এমন ছেলেকে স্বাগতালক্ষ্মীর গান শোনাতে নিয়ে আসা তো তার ওপর ইমোশনাল অত্যাচারের সামিল।

    বন্ধুবান্ধব পারিপার্শ্বিক সকলেই হিন্দিভাষী। বাংলা ভাষার সোর্স বলতে শুধু ঘরের ভেতর বাবা-মা, নিতান্ত অন্য কোথাও কিছু দেখার না-থাকলে একটা দুটো বাংলা চ্যানেল, আর সিডিতে কম্পিউটারে লোড করা কিছু বাংলা গান। বাবারও সময় নেই, মায়েরও সময় নেই ছেলেকে বা মেয়েকে নিয়ে একটু বসার, বাংলা সম্বন্ধে তার মনে একটু ইন্টারেস্ট জাগিয়ে তোলার। আর ইন্টারেস্ট জাগবেই বা কেন? রাজধানী শহরের জীবনযাত্রায় বাংলা তো কেবলমাত্র একটি আঞ্চলিক ভাষামাত্র। জীবনে দাঁড়াতে গেলে, সকলকে টেক্কা দিতে গেলে ভালো করে শেখা দরকার হিন্দি আর ইংরেজি, বাংলার মত একটা বাড়তি ভাষা শিখে তাদের কি এমন চতুর্বর্গ লাভ হবে? বাপ-মা তাও কিছু বই কিনে দেন, ছেলে-মেয়ে হয় তো তা ছুঁয়ে দ্যাখে বা দ্যাখে না, কিছু পড়তে পারে, কিন্তু বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে ইংরেজি বইতেই, আস্তে আস্তে। ইংরেজি বই পড়ে আলোচনা করা যায় ভিউজ এক্সচেঞ্জ করা যয় বন্ধুদের সাথে, ফেলুদা বা কাকাবাবু পড়ে তো আর ইস্কুলে আলোচনা করা যায় না।

    এইভাবে অল্পবিস্তর চেষ্টাচরিত্তিরের মাধ্যমে তারা অল্পবিস্তর বাংলা শিখে ফেলে, কিন্তু শেখার তাগিদটা আর তাদের থেকে থার্ড জেনারেশনে সঞ্ছারিত হয় না। বাংলা ভাষা সেখানেই পূর্ণচ্ছেদ টানে। ততদিনে রাজধানীর উপকণ্ঠে ফ্ল্যাটের পর ফ্ল্যাট ভরে ওঠে আরও অনেক অনেক ফার্স্ট জেনারেশন বাঙালিতে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি তার রাস্তা খুঁজে নেয় নতুন করে, সেই সব ফ্ল্যাটের ড্রয়িংরুমে, শনিবারের সন্ধ্যেয়।

    কিছুই থেমে থাকে না।

    তো, এই হিন্দি আর বাংলার মিশ্রণে, সেকেন্ড জেনারেশনের মুখে মুখে তৈরি হয়ে যায় এক নতুন ধরণের প্রবাসী বাংলা ভাষা। "পেনসিলটা গুমে গেছে' বা "বগলে বাবা' টাইপের ক্লিশে জোকগুলো তো সবারই শোনা, মোটামুটি এই রকমের বাংলা শুনেই ধরে ফেলা যায় ছেলেটি বা মেয়েটি হিন্দি বলয়েই জন্ম নিয়েছে। গ্যাঁড়া একবার এই রকম এক মেয়ের মুখে শুনেছিল "আমরা সবরা যাব', মানে আমরা সবাই যাব। সবলোগ থেকে সরাসরি বঙ্গানুবাদ করতে গিয়ে "সবরা' হয়ে গেছিল আর কি! তবে শুধু সেকেন্ড জেনারেশনই নয়, এখানে থাকতে থাকতে অনেক ফার্স্ট জেনারেশনের দৈনন্দিন কথাবার্তাতেও কিছু শব্দ অনায়াসে জায়গা করে নেয়, মকান-মালিক, কাবাড়িওয়ালা, চৌরাহা, হাদসা ইত্যাদি।

    গ্যাঁড়ার মেয়ে ভূতো, হিসেব মতো এই বলয়ে সেকেন্ড জেনারেশন। অবশ্য জেনারেশন বলে গণ্য হবার মত বয়েস এখনও জেনারেট হয় নি তার, চার পূর্ণ হব-হব করছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিকের প্রভাবে এখনই সে হিন্দি কথোপকথনে অনায়াস সাবলীল। কোনটা হিন্দি কোনটা বাংলা আলাদা করে বোঝার বয়েস তার হয় নি এখনও, কিন্তু ভাষা সুইচ করার দক্ষতা অসাধারণভাবে জন্মে গেছে তার ইতিমধ্যেই। মানে, মা যদি তাকে পাশের বাড়িতে নিয়ে যায়, তা হলে পাশের বাড়ির আন্টির সাথে হিন্দি এবং মায়ের সাথে বাংলা, যুগপৎ চলে। হিন্দির পরিবেশটা যেহেতু বিশালতর, তাই তাতে বাংলার অনুপ্রবেশ প্রায় ঘটেই না, কিন্তু বাংলাতে হিন্দি ভোক্যাবুলারি ঢুকে যাচ্ছে তার রোজ, একটু একটু করে। একদিন স্কুল থেকে ফিরল হাতে আঁচড়ের দাগ। কী রে, কী হয়েছে? না, আমার ফ্রেন্ড কওশল (কৌশল) আমাকে নোচে (আঁচড়ে) দিয়েছে। মা হয় তো এবিসিডির বই খুলে পড়াচ্ছে এস ফর স্পাইডার, মেয়ে সাথে সাথে চোখ বড় বড় করে বলল, হ্যাঁ, স্পাইডার, ডরাবনী (ভয়ঙ্কর) হয়। রাতে শোবার আগে মায়ের গলা জড়িয়ে আবদারও চলে, পরীবালি কহানি শোনাও আমাকে, মানে স্লিপিং বিউটির গল্প।

    শুনে মজা লাগে বেশ!

    তবে বাঙালি থাকলে সংস্কৃতি থাকবে না, তাও কি হয়? দিল্লিতে যত বাঙালি থাকেন, প্রায় প্রত্যেকেই কর্মসূত্রে এখানে এসে বাসা বাঁধা। মানে, কর্মহীন কেউই নন। এমনিতেই দিল্লিতে রকে বসে আড্ডা মারার কালচার একেবারেই নেই, সবাই ছুটছে পয়সার সন্ধানে, বাঙালিরাও সেই দৌড়ে নিজেদের মানিয়ে নেন। দিল্লির বুলি রপ্ত করার পাশাপাশি দিল্লির কালচারকেও নিজেদের রক্তে মিশিয়ে নেবার চেষ্টা করেন। তবু দিনান্তে, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টাইটা খোলার অছিলায় যখন নিজের মুখটা আড়চোখে দেখে নেয় প্রবাসী সফল বাঙালী, তখন তার মাথার পেছনদিকে কিছু একটা খেলা করে, কোনও এক বোধ জন্ম লয়। সেই বোধ তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়, কখনও প্রকাশ্যে, কখনও গোপনে, খুঁজে বেড়ায় তারই মতন আরও পাঁচটা বাঙালিকে, যারাও তারই মত একইভাবে তাড়িত হচ্ছে সেই বিশেষ বোধের দ্বারা। জন্ম নেয় বাঙালি অ্যাসোশিয়েশন। প্রবাসে, এই বাঙালি অ্যাসোশিয়েশন যে কী মধু নিয়ে আসে, সে যে প্রবাসী না হয়েছে, সে বুঝবে না। দিল্লির একেকটা জায়গার কালিমন্দির বা "কালীবাড়ি' ঘিরে প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠেছিল বাঙালিদের আড্ডার চক্র, এখন তো দিল্লি এনসিআরের গলিতে ঘুঁজিতে সর্বত্র বাঙালি। বড় বড় জমায়েত হয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে। চিত্তরঞ্জন পার্কের সমস্ত ব্যানার লেখা হয় বাংলা ভাষায়, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বম্বে কলকাতা থেকে উড়িয়ে আনা শিল্পীদের অনুষ্ঠানের জোয়ারে ভেসে বানভাসি হয় সন্ধ্যেবেলা, যেখানে খুশি যাও আর বসে দ্যাখো, কোনও টিকিট কাটা নেই, পয়সা ডোনেশন নেই। মিন্টো পার্ক কালিবাড়িতে নচিকেতা তো সফদরজঙ্গ কালিবাড়িতে চন্দ্রবিন্দু, ওদিকে চিত্তরঞ্জন পার্কের K ব্লকের পুজোয় উদিত নারায়ণ, আর কালীবাড়ির অনুষ্ঠানে শ্রীকান্ত আচার্য। এবার তুমি বোঝো কাকে ছেড়ে কাকে দেখবে।

    দিল্লির দূর্গাপুজো নিয়ে না হয় আরেকদিন আরেক ঠোঙা বুলবুলভাজা লেখা যাবে, একবার দেখলে মশাই, আর বছর বছর কলকেতা যাবার ইচ্ছে করবে না।

    এর বাইরেও আছে সারা বছর জুড়ে চলা প্রোগ্রাম। বিভিন্ন বাঙালি কালচারাল অ্যাসোশিয়েশনের। দিল্লি শুধু বাংলারই নয়, সারা ভারতের সংস্কৃতি প্রদর্শনের জায়গা। তাই রঙ্গমহোৎসবে বাংলার পাশাপাশি মারাঠি হিন্দি তামিল সবরকমেরই নাটক দেখার সুযোগ মিলবে আপনার। পয়সা লাগে খুব খুব কম, ভিড়ও হয় না তেমন, আর আপনি যদি ভারত সরকারের কোনও মন্ত্রকের তেমন কোনও ডিপার্টমেন্টের অফ্‌সর হন, আর সংস্কৃতিমনস্ক হন, তা হলে তো আপনার জন্য আছে ফ্রি পাস্‌! নাটক দেখুন, সুচিত্রা মিত্র থেকে ফসিল্‌স পর্যন্ত সক্কলের গান শুনুন, মমতাশংকরের ব্যালে ট্রুপ দেখুন, এন্তার, লাগাতার অনুষ্ঠানের জায়গা হচ্ছে দিল্লি। শুধু আপনার হাতে সময় থাকতে হবে, সন্ধ্যের পর সংসারের পিছুটান থাকলে চলবে না। থাকলেও যেভাবে হোক মানিয়ে গুছিয়ে ব্যাকাপের ব্যবস্থা করে দলে দলে শ্রীরাম সেন্টার, সাহিত্য কলা আকাদেমি, ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার, ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টার, চিন্ময় মিশনের অডিটোরিয়ামগুলোতে দলে দলে ছুটে আসেন কলারসিক বাঙালির দল, বিভিন্ন বয়েসের। রথও দেখা হয়, আলাপের পরিধি বাড়ে, মোবাইল বের করে টুকটাক আদানপ্রদান ঘটে যায় আরকে পুরমের বোসবাবুর সাথে নয়ডার মিতুন সামন্তর। বেশি পরিধিতে পরিচয় মানে আরও বেশি বেশি অনুষ্ঠানের পাস হাতে পাবার চান্স। তাদের নিজেদেরও গ্রুপ থাকে। নাচের গ্রুপ, গানের, শ্রুতিনাটকের, আবৃত্তির, কীসের নয়? বাংলা ভাষার ছোঁয়া যাতে যাতে আছে, সমস্ত রকমের কলাক্ষেত্রে প্রবাসী বাঙালির অবাধ বিচরণ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা কলকাতার নামে গ্রুপের থেকেও মোহময়।

    এই নেচে গেয়ে আবৃত্তি করে বেড়ানো বাঙালি ছেলেবুড়ো কাকুমাসিমার দলের কেউই কিন্তু বেকার বা রিটায়ার্ড নন। প্রত্যেকেই মোটামুটি ভালো ভালো চাকরি করেন কিংবা পড়েন। কাজের শেষে ঠিক সময় বের করে নেন, মাথার পেছনদিকে জন্ম নেওয়া সেই "বোধ'কে লালিত পালিত করতে। জীবনের হাজার ব্যস্ততাতেও এর জন্য কখনও সময়ের কমতি হয় না।

    নাচ গান আবৃত্তির বাইরেও আছে সংস্কৃতির অন্য জগৎ। সবাই তো পারফর্মিং আর্টের সমান গুণগ্রাহী হতে পারেন না। বইয়ের জগতেও আনন্দ খুঁজে নেন অনেকেই। এর জন্য দিল্লি শহরে আছে অনেক ভালো ভালো লাইব্রেরি। এর মধ্যে দু একটা যার মধু গ্যাঁড়া পান করে সময়সুযোগমত:

    নিউ দিল্লি কালীবাড়ির লাইব্রেরি, বাংলা বইয়ের এক বিশাল ভান্ডার।

    আর আছে কেন্দ্রীয় সচিবালয় লাইব্রেরি, দুটো পার্টে, হিন্দি আর ইংরেজি বইয়ের কালেকশন কৃষি ভবনের লাইব্রেরিতে, আর বাংলা সমেত অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার লাইব্রেরিটা আছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির চত্বরে। এ ছাড়াও আছে পুরনো দিল্লি স্টেশনের সামনে দিল্লি পাবলিক লাইব্রেরি, এবং সি আর পার্ক, সফদরজঙ্গ, আরকে পুরম ইত্যাদি সমস্ত কালিবাড়ির সাথেই একটা করে বাংলা বইয়ের লাইব্রেরি। পুরনো থেকে লেটেস্ট, সমস্ত রকমের বইই পাবেন এখানে।

    আর কী? আরও আছে পৌষপার্বণ উৎসব, পয়লা বৈশাখ, পঁচিশে বৈশাখ, বিজয়া সম্মিলনী এবং ইত্যাদি প্রভৃতি। তো এই নিয়ে, নিজেদের মতন করে রসেবশে সংস্কৃতিতে ধর্মে এবং জিরাফে, বেশ সুখে দূ:খে বেঁচে থাকে দিল্লির প্রবাসী বাঙালি।

    (চলেগা নেহি, দৌড়েগা)

    ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৭৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন