এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • উত্তরবঙ্গ - ১০

    শমীক মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১০ জানুয়ারি ২০১১ | ১০২৬ বার পঠিত
  • কলেজে কোটা ছিল। নর্থ ইস্ট কোটা। উত্তর পূর্বের ছোট ছোট রাজ্যগুলোর থেকে কিছু ছেলেপুলেকে পাঠানো হত ইঞ্জিনীয়ারিংপড়তে জলপাইগুড়ি কলেজে। লজিকালি ভারতীয়, কিন্তু আম ভারতীয়দের সাথে তাদের কোনও মিল নেই, বরং তারা অনেক অনেক বেশি ওয়েস্টার্নাইজ্‌ড, তারাও নিজেদের খুব একটা ভারতীয় বলে মনে করে টরে না, কেবল সরকার থেকে ফ্রি-তে ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার সুযোগটা করে দেয় বলে প্রতি বছরই বেশ কিছু ছেলেমেয়ে পড়তে আসে জলপাইগুড়ির কলেজে, হয় তো আরও অনেক কলেজেই। শিবপুর যাদবপুরে এই জনগোষ্ঠী পরিচিত চ্যাং নামে, আমাদের কলেজে এদের নাম ছিল "ডোঙা'।

    মূলত মেঘালয় মিজোরাম মণিপুর বা সিকিমের অধিবাসী, উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত, মূলত খ্রীস্টান এই ডোঙারা বাকি ভারতীয়দের সাথে একেবারে মিশত না, ভারতীয়রাও তাদের থেকে উচিৎ দূরত্ব রেখে চলত। এর প্রধান কারণ, এরা মানুষ হিসেবে খুব একটা সুবিধের হত না। কলেজে আসত সরকারের পয়সায়, পড়াশোনা প্রায় একেবারে করত না, বছরের পর বছর ফেল করত, তারপর সাত বছরের শেষে হয় বিতাড়িত হত কলেজ থেকে নয় তো কোনওরকমে ঘষেঘেস্টে পাশ করে বেরোত। উত্তর পূর্বে সত্যিই ইঞ্জিনীয়ারের খুব আকাল, তাই দেশে ফিরলে তাদের চাকরির অভাব হত না। আর, এক বছর ফেল করলেই সরকারের তরফ থেকে ভাবা হত যে তাদের নিশ্চয়ই ওখানে কোনও অসুবিধে হচ্ছে, তাই পাশ করতে পারছে না, তাই ফেল করলে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে যেত। অন্য অধিকাংশ ছেলে যেখানে বিদায়ী সিনিয়রদের থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কিনে নিত, সেখানে ডোঙারা এসেই প্রথমে হিরো রেঞ্জার বা স্ট্রীট ক্যাট জাতীয় সাইকেল কিনে জাঁকিয়ে বসত। জলপাইগুড়ি টাউনে এদের দেশোয়ালিদের ঠেক আছে, অনুদানের পয়সায় সেখানে এরা গিয়ে গাঁজা, হাশিস, চরস, এন-টেন ইত্যাদি খেত আর ব্যোম হয়ে রাত দুপুরে ঘরে ফিরত।

    এদের কেউ কেউ ক্যারাটেও জানত। আমাদের সময়ে ফোর্থ ইয়ারে একজন ছিল, সিকিমের কোন এক্স মন্ত্রীর ছেলে, রমেশ সুব্বা, ফোর্থ ডান ব্ল্যাক বেল্ট। সে নাকি নিজের পায়ের ফিমার বোনের ওপর বেসবল ব্যাট মটকে ভেঙে দেখিয়েছিল। তো, এই রকম কিছু ক্যারাটে বিশারদের দাক্ষিণ্যে ডোঙাদের ক্যাম্পাসে রেলার শেষ ছিল না। কেউ ওদের দিকে তাকালেই তারা সরাসরি এগিয়ে এসে চ্যালেঞ্জ করত, হোয়াই আর য়ু স্টেয়ারিং অ্যাট মী? আমার নিজের চোখে দেখা এ রকম ফরনাথিং পাঙ্গা নিতে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে হাতের তেলোর চাপে চায়ের গ্লাস স্ম্যাশ করে তারা কখনও কখনও রাগও প্রকাশ করত।

    তো, এই সব কারণে ডোঙাদের আলাদা এনটিটি হিসেবেই আমরা ট্রীট করতাম। ওদের সাথে আমাদের মেলে না একেবারেই, তাই কেউ কারোর সাতে পাঁচে লাগে না। র‌্যাগিংও করত না কেউ ওদের, ওরা হস্টেলে এসেই ওদের সিনিয়রদের ঘরে চলে যেত, সেখানে কী হত কেউ জানে না, কিন্তু মারধোর হত না।

    তবে সব ডোঙাই এমন ছিল না, কেউ কেউ ভালোমানুষও হত, তবে সে কোটিকে গুটিক। আমাদের ব্যাচে দুজন ছিল, একজন তো সেকেন্ড ইয়ারেই নেশার এমন তূরীয় লেভেলে চলে গেছিল, তার সারা গায়ে হাতে আমরা দেখতে পেতাম সিগারেটের পোড়া দাগ, সম্ভবত কোনও সময়ে নেশার দ্রব্য না পেয়ে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা। সবসময়ে চলত ঝিমিয়ে, একদিন ক্যান্টিনে থালা নিয়ে দাঁড়িয়েই আউট অফ ব্লু চোখ উল্টে দড়াম করে পড়ে গিয়ে ফিট। এর নাম ছিল স্যামুয়েল ডেনজোংপা।

    অন্যজন ছিল লালথনআলা ভাটে। খুব ভালো ছেলে, মোটামুটি মিশুকে, ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে অনেক গল্প করার চেষ্টা করত। কখনও পাঙ্গা নেয় নি তার ক্যাম্পাসজীবনে, কারুর সাথে। তো, এই রকম বিবিধ ডোঙা এবং ডুঙি নিয়ে চলত ক্যাম্পাসজীবন। আমরা এবং ওরা হয়ে। আমরা বাওয়ালি করতাম আমাদের মত করে, ওরা ওদের মত করে, কখনও একে অপরের পেছনে লাগার চেষ্টা করত না, কিন্তু ওদের ঐ রেলা আমাদের প্রায় কেউই খুব একটা ভালো চোখে দেখতাম না। জুনিয়র ডোঙাও সিনিয়র ছাষনকে দেখলে একটুও সম্মান দেখাবার চেষ্টা করত না, ছেলেপুলে মনে মনে রাগ করত, কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পেত না।

    কেসটা ঘটল সেকেন্ড ইয়ারের গোড়ার দিকে। ডোঙারা আলাদা রুমে থাকত, তাদের কোনও রুমমেটও জুটত না, আর প্রাইভেসি রাখার জন্য তারা সমস্ত জানলার কাচে সাদা পেন্ট করে রাখত বা খবরের কাগজ সাঁটিয়ে রাখত। তো, স্যামুয়েলের ঘরের জানলার কাচের পেন্ট একটা জায়গায় একটু চটে গেছিল, উঁকি মারলে ঘরের ভেতরটা বেশ পরিষ্কারই দেখা যেত। স্যামুয়েলের পাশের রুমে থাকত বিশু ও তার অন্যান্য রুমমেটরা। তো, বিশু সেদিন সন্ধ্যেবেলায় খেয়াল করেছে স্যামুয়েল হাত ধরে একটা ডুঙিকে, মানে ঐ নর্থ ইস্টের মেয়ে, নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকেছে। এমনিতে ছেলেদের হস্টেলে মেয়েদের ঢোকা বারণ, তবে কখনও কখনও কারুর মা দিদি তো আসেনই, তাই এমনিতে অত কিছু ফলো করা হয় টয় না।

    কিন্তু মা-দিদি দেখলে চেনা যায়, ডোঙাদের সাথে ডুঙি দেখলে তো কিছু চেনা যায় না, সবই তো এক রকমের মুখ! বিশু একটা আন্দাজ করেছিল, কিন্তু একে স্যামুয়েল নেশাখোর ডোঙা, তায় শিওর নয় মেয়েটি স্যামুয়েলের রিলেটিভ না গার্লফ্রেন্ড, তাই সে কোনও আওয়াজ তোলার সাহস পায় নি। কেবল সেই সন্ধ্যেয় তার বাথরুম যাবার ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে গেল।

    তিনবার যাতায়াতেই ফল মিলল, জানলার চটে যাওয়া পেন্টের ফাঁক দিয়ে বিশু কিছু উত্তেজক দৃশ্য দেখে ফেলল এবং উইংয়ে উইংয়ে দৌড়তে দৌড়তে খবর প্রচার করে দিল, জনতা, আসো, দেখে যাও, স্যামুয়েল মাগী এনে লাগাচ্ছে।

    এমন পূর্ণ আমিষ কেচ্ছায় হস্টেলবাসী নিরুপদ্রবে ঘরে বসে থাকতে পারে না, অতএব এক মিনিটের মধ্যে স্যামুয়েলের ঘরের সামনে পুরো ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে গেল ও সকলে একসঙ্গে সেই ফুটো দিয়ে উত্তেজক দৃশ্য দেখার চেষ্টা করতে লাগল।

    এতদৃশ ঠেলাঠেলিতে স্বভাবতই উইংয়ের নীরবতা ভঙ্গ হল এবং বাকিদের হতাশ করে জামাপ্যান্ট পরা অবস্থায় স্যামুয়েল গোলমাল শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে, নিজেরই জানলার সামনে লম্বা ভিড় দেখেই, সাথে সাথে তিনপা পিছিয়ে দরজা বন্ধ এবং লক্‌।

    সেই প্রথম বুঝলাম, এবং বাকি সমস্ত পাব্লিকও বুঝল, মাসের কাছে ইন্ডিভিজুয়াল কাৎ। জনতার মধ্যে অতএব মরাল গার্জেনি চাগিয়ে উঠল, স্যামুয়েলের দরজায় লাথির পর লাথি পড়তে লাগল, শালা, হস্টেলের মধ্যে মেয়ে নিয়ে এসে ফুর্তি? বেরো শালা। এক অতি উৎসাহী স্যামুয়েলের জানলার কাচগুলো ভেঙে দিল। আর স্যামুয়েল ঘরে বসে থাকতে পারল না, দরজা তাকে খুলতেই হল, কিন্তু দরজা খুলে বেরোল মেয়েটি, জামার বোতাম আটকাতে আটকাতে। তাকে বলা হল, তুমি চুপচাপ এক্ষুনি হস্টেল থেকে চলে যাও, কেউ কিছু বলবে না।

    মেয়েটাও আর কিছু বলার সাহস না পেয়ে পেছন ফিরে একবার প্রেমিকের দিকে তাকিয়ে, মাথা নিচু করে চলে গেল। জনতা ঢুকল, সিড়িঙ্গে, নেশায় আধমরা স্যামুয়েলকে কলার ধরে টেনে তুলল, তারপর শুরু হল চড়থাপ্পড়ের বৃষ্টি। তখনও কেউ ভালো ইংরেজি বলতে পারতাম না, তাই ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে আর চোখা চোখা গালাগালিতে (সিনেমা দেখে ইংরেজি গালাগালি অনেক শেখা যায়) তাকে অনেক নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হল।

    তার মধ্যেই একজন বলল, ওকে মারিস না, মরে যাবে, ওকে কোনও রুমে লক করে রাখ আজ রাতের মত, কাল হস্টেল সুপারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। সবাই সেটা মেনে নিল, একটা খালি রুমে ওকে লক করে রাখা হল। স্যামুয়েলের এক ছানা থাকত আমাদেরই হস্টেলের নিচের তলায়, সে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সে হঠাৎ সিনিয়রের রক্ষাপ্রচেষ্টায় এসে আমাদের সাথে অত্যন্ত থ্রেটনিংমূলক ভাষায় আঙুল তুলে তুলে ঝগড়া করতে শুরু করল। ফার্স্ট ইয়ারের ছানার এমন ঔদ্ধত্ব সেকেন্ড ইয়ার কেন মেনে নেবে, অতএব অচিরেই সে-ও প্রচুর চড় খেল, এবং স্যামুয়েলের সাথে তাকেও লক করে রাখা হল একই রুমে।

    ঝামেলার তখনকার মত শেষ ধরে নিয়ে সবাই যে যার রুমে ফিরে যাচ্ছি, এমন সময়ে কে যেন খবর দিল, ফোর্থ ইয়ার হস্টেল থেকে রমেশ সুব্বা আসছে।

    তার পরের ঘটনাগুলো ম্যাজিকের মত ঘটল। দেড়শো ছেলে একসাথে নেমে এল নিচে, প্রথমে হস্টেলের কোলাপসিবল গেট বন্ধ করে তালা মারা হল। তারপর ম্যাজিকের মত সকলের হাতে চলে এল অØষন। জিনিসগুলো এক্স্যাক্টলি আমাদের ঘরেই ছিল, কেউ জানতাম না, কী করে যে সেই মুহুর্তেই জেনে ফেললাম তাও মনে পড়ছে না, কেবল মনে আছে আমার ঘরেই লকারের মাথা থেকে বেরোল একটা হকিস্টিক, একটা চেন। আমি হকিস্টিকটা নিলাম, রুমমেট কে-কে নিল চেন। প্রায় পুরো হস্টেল এই রকম চেন রড হকিস্টিক ইত্যাদি জিনিস নিয়ে নিচে মেন গেটের সামনে লবিতে পজিশন নিল, কেবল মাষন একজন ফোর্থ ডান ব্ল্যাক বেল্টের মোকাবিলা করার প্রচেষ্টায়।

    তিন মিনিটের মধ্যেই রমেশ সুব্বা এসে দাঁড়াল আমাদের হস্টেলের গেটের সামনে। বন্ধ কোলাপসিবলের ওপ্রান্ত থেকে অস্ত্রধারী সেকেন্ড ইয়ারকে দেখে সুব্বা একবার মুচকি হাসল শুধু। তারপরে সঙ্গী বাকি ডাকাবুকো ডোঙাদের সরিয়ে দিয়ে নিজে সামনে এসে বলল, কোনও ঝামেলায় যেতে চাই না, আমরা স্যামুয়েলকে নিয়ে যেতে এসেছি। ওকে আমাদের হাতে দিয়ে দাও। পুরো সেকেন্ড ইয়ার গর্জে উঠল, নেভার। নৈতিক অভিভাবক হবার এমন সুযোগ পাওয়া গেছে, তাকে ওভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় নাকি? কাল সে পেশ হবে হস্টেল সুপারের সামনে, তারপরে জো হোগা সো হোগা।

    রমেশ সুব্বা দু একবার নেগোশিয়েশনের চেষ্টা চালালো, কিন্তু ভবি ভোলবার নয়। তাদের কালচারে সন্ধ্যেবেলা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এসে একটু ফুর্তি টুর্তি করাটা কোনও পানিশেব্ল অফেন্সই নয়, ফলে তারা বুঝতেও পারছে না স্যামুয়েল গার্লফ্রেন্ড নিয়ে হস্টেল রুমে এসেছিল বলে এত চেঁচামেচি করার কী আছে!

    খানিকক্ষণ উত্তপ্ত এবং ঠান্ডা বাদানুবাদের পর রমেশ সুব্বা এবং তার দলবল ফেরৎ গেল খালি হাতে "এর ফল ভালো হবে না' এই হুমকি দিয়ে। ছেলেপুলের মনে তখন গুচ্ছ উৎসাহ। রমেশ সুব্বা ফিরে গেছে কারুর গায়ে আঁচড়টি পর্‌যন্ত লাগে নি, এর চেয়ে বড় অ্যাচিভমেন্ট আর কী হতে পারে! উত্তাল আওয়াজ টাওয়াজ দিয়ে তাকে বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হল। ছেলেপুলের তখন জোশ চেপে গেছে, শুভেন্দু মন্ডল ওরফে পাঙ্গা, বলল, আজই শালা ক্যাম্পাসে ডোঙাদের রেলার শেষ দিন। এর পর থেকে ওরা আর কোনওদিন আমাদের সাথে রোয়াব নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে না। এই জনতা, স্যামুয়েলের সাইকেলটা নিয়ে আয় তো! ওটা আজ জ্বালাব।

    ঝাঁ চকচকে স্ট্রীট ক্যাট সাইকেল নিয়ে বীরদর্পে জনতা উঠে এল ছাদে। বিশাল হস্টেলের বিশাল ছাদ। ছাদময় ঢাউস ঢাউস জলের ট্যাঙ্ক, আর পাইপে পাইপে কানেক্ট করা। সেই একটা পাইপের মাথায় উল্টো করে সাইকেলটাকে ঝুলিয়ে পেট্রল ঢালা হল। পাঙ্গা তাতে অগ্নিসংযোগ করল। তারপর, সাইকেল যখন দাউ দাউ করে জ্বলছে, পাঙ্গা বীরদর্পে এগিয়ে গিয়ে সেই আগুন থেকে একটা বিড়ি ধরিয়ে আনল।

    এর পর স্যামুয়েলের ছানারও নতুন সাইকেল জ্বালানো হল। ডোঙাদের ওপর সক্কলে এত্তো খচে ছিল বছরের পর বছর ধরে, সেই অগ্নিকান্ড দেখতে থার্ড ইয়ার হস্টেল থেকে দলে দলে ছেলেপুলে চলে এল। সোল্লাসে চীয়ার্স ধ্বনিতে মুখরিত হল ক্যাম্পাস।

    এর পর স্যামুয়েলকে হস্টেল সুপারের কাছে পেশ করা হয় পরদিন, কেস বেশিদূর এগোয় নি, জনতারও এন্থু ছিল না, মোটামুটি ওয়ার্নিং দিয়েই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, পাঙ্গাকেও আলাদা করে ডেকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছিল সাইকেল জ্বালানোর জন্য, কিন্তু...

    কাজের কাজ যেটা হল, তারপর থেকে ডোঙাদের ঐ অস্বাভাবিক রোয়াব একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। তাদের দিকে তাকালেও আর কেউ হোয়াই স্টেয়ারিং অ্যাট মী করে কেউ আর তেড়ে আসত না।

    স্যামুয়েল সেকেন্ড ইয়ার থেকেই ফেল করতে শুরু করে। তারপর কী করে, খবর রাখি নি।

    (চলবে... )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১০ জানুয়ারি ২০১১ | ১০২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন