এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • উত্তরবঙ্গ - ১২

    শমীক মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | ১০৪৩ বার পঠিত
  • এবারে আমার ভয় হচ্ছে এই লেখাটা বোধ হয় কোনওদিন শেষ করে উঠতে পারব না। মাঝে মাঝে কাজের চাপ এসে যায়, অনেক দিন বাদে আবার যখন লিখতে বসি, আগের তৈরি করে রাখা চেনা ছক হারিয়ে গিয়ে নতুন ছকেরা ভিড় করে আসে, প্রত্যেককে নিয়ে আলাদা আলাদা করে অন্তত একটা করে প্যারাগ্রাফ লিখে রাখতে ইচ্ছে করে।

    তা, ছশো সাতশো ছানাপোনার ক্যাম্পাসে হরেক কিসিমের মুখ তো দেখা যায়ই। সবাইকে কি আর মনে থাকে? বেশি দূরে যাবো না। আমাদের উইংয়ের জনতাকে নিয়ে অল্পস্বল্প ক্যাওড়ামো করেই ক্ষান্তি দিই।

    উইং হল এক একটি পরিবার বিশেষ। বারো থেকে চব্বিশ জন একত্রে চারটে থেকে আটটা ঘরে থাকে হস্টেলের এক এক দিকে। এক একটা উইংয়ের জন্য এক সেট বাথরুম, আর একটা টানা লম্বা করিডর। সেই করিডর জুড়ে দিনে রাতে চলত বাওয়ালবাজি আর ঘরের ভেতর চলত হয় ঘষাঘষি নয় তো গ্যাঁজ। বঙ্কুভূষণ, ওরফে বঙ্কা ওরফে বিক্রমভূষণ সিনহা ছিল মেকের টপার। (সকলের অবগতির উদ্দেশ্যে: মেক হল মেকানিকাল, ইলেক হল ইকেলট্রিকাল)। তার কথা আলাদা করে বলা উচিৎ, কারণ সে ছিল বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী। আমরা সকলেই নাকের দু'আঙুল নিচ দিয়ে খাই, বঙ্কুও তাই খায়, কিন্তু দেখে মনে হত সে নাক দিয়েও খায়। তাকে যে কোনও খাবার দেওয়া হোক, একথালা ভাত, হলুদগোলা জল, দ্যাট ইজ মেসের ডাল, সে নিত থালা ভরে, এবং ঠিক চার মিনিটের মধ্যে খাওয়া শেষ করত। ম্যাক্সিমাম পাঁচ মিনিট। এবং এমনভাবে খেত, থালাটা আর মাজবার দরকার হত না। আমরা হয় তো ততক্ষণে দু গ্রাস খেয়েছি কি খাই নি। তরিবৎ করে খাওয়া ওর দ্বারা হত না। মাসে একদিন আইডি হত, মানে ইমপ্রুভ্‌ড ডিনার, মানে জিএফ, মানে গ্র্যান্ড ফিস্ট, সেদিনও একথালা ভরা বিরিয়ানি মাংস আরও বহুবিধ উপকরণ ঠিক চার থেকে পাঁচ মিনিটে সে খেয়ে উঠে পড়ত। কী করে যে খেত, আমরা কড়া নজর দিয়েও বুঝে উঠতে পারি নি।

    বঙ্কুর বিখ্যাত ছিল "আলতো টাচ'। হয়েছিল কী, একবার কার ঘরের দরজা ঠেলে খুলতে গিয়ে হ্যাজবোল্টটা খুলে ওর হাতে চলে এসেছিল। হস্টেলের দরজা এমনিতেই পলকা হয়, হ্যাজবোল্ট খুলে আসাতে বিশেষ অবাক হবার কিছু নেই, যে কারুর হাতেই হতে পারত, কিন্তু বঙ্কুর সাফাই ছিল, সে নাকি সেটাকে হাতে করে "আলতো করে টাচ' করেছিল। সেটাই মার্কেটে জনপ্রিয় হয়ে যায়। এরপর বঙ্কুর হাতে যখনই যা ভাঙত, সবই মহিমান্বিত হয়ে যেত তার আলতো টাচের নামে।

    বঙ্কু ছিল কুত্তাপ্রেমিক। লোকে হস্টেলে নিজের লকারে দেশি বিদেশী নায়িকাদের ন্যাংটো আধন্যাংটো লাস্যময়ী ছবি লাগায় টাগায়, কালচার্ড আঁতেলরা পাতি খবরের কাগজ সেঁটে রাখে, বঙ্কুর লকার ভর্তি ছিল কুকুরের ছবিতে। সোদপুরে তার বাড়িতেও এক পোষা কুকুর ছিল, বঙ্কু প্রায়ই তার জন্য বিরহব্যথা অনুভব করত। বাড়ি যাবার সময়ে সে মা-বাবা-দিদির সাথে দেখা করতে যাবার থেকেও জিমির সাথে দেখা হবার আনন্দে লাফাত।

    একবার আমরা মাস ডামা করে বাড়ি যাচ্ছি। কাটোয়া স্টেশন, ভোরবেলা। বঙ্কু ট্রেন থেকে নামল, একটু পরেই ট্রেনে উঠে এক পাব্লিককে বলল, জগা, তোর কাছে বিস্কুট হবে? জগা নিষ্পাপ মনে ভেবেছিল বঙ্কুর বোধ হয় ক্ষিদে পেয়েছে। সে একটা পুরো বিস্কুটের প্যাকেট বঙ্কুর হাতে তুলে দিয়েছিল। বঙ্কু আবার ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্মে হাঁফাতে থাকা এক ঘেয়ো নেড়িকুকুরকে পুউরো এক প্যাকেট সেই বিস্কুট খাইয়েছিল। এদিকে তার নিজের পেটে তখন কিছু নেই, সারারাত অনাহারে সবাই এসেছে, আর একটু বাদেই ট্রেন শিয়ালদা ঢুকবে।

    বেশিক্ষণ তার পেট খালি থাকে নি অবশ্য, জনতা কেসটা দেখে ফেলার পর তাকে এমন খিস্তি মেরেছিল, তবে বঙ্কুর কুত্তাপ্রেম কিছুতেই কমানো যায় নি।

    বঙ্কু যখন থার্ড ইয়ারে, বঙ্কুর এক ছানি এল লেডিজ হস্টেলে, মনোবীণা, টাইটেলটা মনে নেই এখন। বঙ্কুর তো লোকসমাজে মুখ দেখানো ভার হয়ে পড়ল। আগেই বলেছি ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব সুস্থ স্বাভাবিক ছিল না, লেডিজ হস্টেলকে বলা হত পাকিস্তান বর্ডার, সেইখানে বঙ্কুর এক ছানি এসে পড়ায় লোকের কাব্যপ্রতিভা বিকশিত হল। উইংসে গান বাঁধা হল, কিন্তু শালীনতার সীমা লঙ্ঘিত হয়ে যাবে বলে আমি গানটার কেবল প্রথম লাইনটা ছাড়া আর কিছুই এখানে লিখে দিতে পারব না। প্রথম লাইনটা ছিল এই রকম: কঙ্কাবতীর তীরে আছে বঙ্কারই লঙ্কা।

    একদিন বঙ্কা পড়াশোনা শেষ করে খুব ক্লান্ত হয়ে ছাদে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল, অ্যাকসিডেন্টালি বা ইনসিডেন্টালি তার মুখটা ছিল পাকিস্তান বর্ডারের দিকে ফেরানো। উইংয়ের ছেলেরা এর থেকে দল বেঁধে সহজ পাটিগণিত সমাধান করে ফেলে এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে মাথায় রেখে সেদিন সারারাত ছাদ থেকে তারস্বরে, পাকিস্তান বর্ডারের দিকে মুখ করে আমরা গেয়েছিলাম, একটাই লাইন : আন তবে বীণা, আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ, আন তবে বীণা, আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ ... সে যে কী অপূর্ব শুনতে হয়েছিল, কী বলব।

    উইংয়ের প্রত্যেকের কোনও না কোনও প্রতিভা ছিল; গৌতম লাহা আরামবাগের ছেলে, কথায় কথায় বলত, "আমাকে বিরক্ত করবি না'। ডাকনাম ছিল বীরু। সেই থেকে আমাদের বিরক্তির ইউনিট হয়ে গেল বীরু। কেউ এক বীরু বিরক্ত হয়েছে মানে অল্প বিরক্ত, পাঁচ বীরু মানে ভয়ানক বিরক্ত।

    সঙ্কেতশুভ দেবদাস। নিউ আলিপুরের ছেলে, অত্যন্ত কেতবাজ। ছেলে সুবিধের ছিল না, রুমমেট জোটেনি তার দীর্ঘ দুবছর, কিন্তু অভিনয় ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়ত, সেখানকার কিছু কিছু প্রফেসরকে এমন অদ্ভূত নকল করত যে আমরা সেগুলো বার বার দেখতে চাইতাম তার কাছ থেকে।

    কৌশিক কুন্ডু, আমার রুমমেটের গল্প তো আগেই বলেছি। কে-কে নামে পরিচিত ছিল সে। মুশকো চেহারা, ইয়া মোটা গোঁফ, কাকু-কাকু দেখতে। ওর নামে একটা মিথ চালু হয়ে গেছিল। কে-কে একবার কোনও গান গাইলে পরে সেই গানের আসল সুর শ্রোতারা দীর্ঘক্ষণের জন্য ভুলে যেত। কেকে-র প্রিয় একটা গান ছিল, রোজ সকালে হীটারে পাঁউরুটি সেঁকতে সেঁকতে গাইত, ম্যায় তেরে পেয়ার মে কেয়া না বনা মীনা, কভি বনা কুত্তা, কভি বনা কামিনা। আসানসোলের ছেলে ছিল, কথাবার্তায় অবাঙালি টোন ছিল স্পষ্ট, তার "তু এ বলছিস? তবে শুন্‌, আমুও করেছিলুম ...' টাইপের বাংলা ডায়ালেক্ট নিয়ে আমরা গুচ্ছ খোরাক করতাম।

    দেবদাস দে অ্যালিয়াস হারানভাই অ্যালিয়াস জীবনভাই ক্ষুদিরাম ছিল জিনিসপত্র হারানোয় এক্সপার্ট। নিজের জিনিস হোক বা অন্যের জিনিস, অম্লানবদনে কলেজে বা টাউনে নিয়ে গিয়ে হারিয়ে আসত। অবশ্য গল্প-কবিতাও লিখত খুব খুব ভালো।

    এ ছাড়াও ছিল ডিসি বা দেঁতো, ল্যাদ, বিবেক (একমাত্র এরই কোনও নিকনেম হয় নি), মাফিয়া ডন গ্যাঞ্জোরাস (জতক্ষষম গতফকে উল্টো করে লিখলে যা হয়), রংবাজ সুমন দুয়ারী, ক্রিমিনাল সুখেন দাস এমন সব অসম্ভব সব রত্নে ভরা ছিল আমাদের উইংস। আমরা বাংলায় সিঙ্গুলার নাম্বারেও উইংস বলতাম। দেঁতোর থার্ড ইয়ার পর্যন্ত কনফিউশন ছিল দুধ গরু দেয়, না ষাঁড় দেয় সেই নিয়ে। এই নিয়ে জনতা ওকে আওয়াজ দেবার দায়িত্ব নিলে ও অম্লানবদনে নিজের সাফাই দিয়েছিল: আমি কী করে জানব? এইচএসে আমার ফোর্থ সাবজেক্ট ছিল স্ট্যাট, বায়োলজি ছিল না। ... বলাই বাহুল্য, এমনতরো সাফাই তার আওয়াজ খাবার ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে পারে নি, বরং বাড়িয়েছিল।

    বেশি জনে জনে পরিচিতিতে না গিয়ে একটা গান শোনাই। এটা লিখেছিল আমাদের উইংয়ের খাদ্যমন্ত্রী, মোটুজ্জে, ওরফে চ্যাট, ওরফে পার্থ চ্যাটার্জি। চার বছরে এই একটি মর্মস্পর্শী গান লিখে সে আমাদের দোতলা ব্যাক উইংসকে অমর করে দিয়ে গেছে। আজ আমরা সব কে কোথায়, সবার খোঁজ খবরও নেই, কিন্তু এত বছরেও, কোথাও ডকুমেন্টেড না থাকা সত্ত্বেও মনে হয় এই গান আমাদের সেই চব্বিশ জনের মনে আজও অক্ষয় হয়ে আছে। আমি প্রথমবার এই গানটা মায়াপাতায় ডকুমেন্ট করার দায়িত্ব নিলাম।

    গানটা, মান্না দে-র গাওয়া কফি হাউসের সেই আড্ডাটার সুরে।

    দোতলা ব্যাকের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই,

    কোথায় হারিয়ে গেল রাতজাগা গ্যাঁজগুলো সেই, আজ আর নেই।

    অভিনয়ে সঙ্কেত, হাজানোতে বিগ বি, তর্কেতে পিএইচডি সুমনের

    আমাদের কম্যুনিস্ট দাদুকে দেখা যেত পানুর টাইমে ঠিক কমন্‌-এ

    কারো পেন, কারো খাতা, কিংবা নিজের ছাতা, দেবদাস সবকিছু হারাত

    অভিজিৎ ভুগত দুরন্ত ল্যাদে, আর সুখেন্দু জলবোমা ছুঁড়ত।

    গোবরা লাফাত, যদি কাতুকুতু দিত কেউ, গৌতম হত যে বিরক্ত

    সুন্দর রান্নায় সীতাংশু সেরা ছিল, আবীর মুখার্জি প্রেম করত

    দিনরাত মাল দিত কৌশিক কুন্ডু, বিটকেল সুরে গান গাইত

    আর পার্থজিৎ পাল, দর্শন কেশরী, দিনরাত ঘষাঘষি করত।

    একটা ঘরেতে সেই সাত আট ঘন্টা ব্লুজ্‌ ফিল্টার ঠোঁটে জ্বলত

    গোরুতে না ষাঁড়েতে কীসে দুধ দেয়, সেই নিয়ে ডিসি তর্কটা করত

    ক্লাস ল্যাব সেশন্যাল যেখানেই যে থাকুক, খাওয়া সেরে ঠিক এসে জুটতাম

    দশটায় শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে ভোর সাড়ে চারটেয় উঠতাম।

    সিবিআই রিপোর্টার সুকুমার পতি ছিল, রমাপ্রসাদ ছিল স্পোর্টসম্যান

    মাফিয়া ডন ছিল সরোজ নাগ, আর ইন্দ্রর গানে ভরে যেত প্রাণ

    তরুণ সাহিত্যিক, ল্যামিনেটেড জিনু, কুত্তাপ্রেমিক ছিল বঙ্কা

    কুইরির রাখী ছিল, বিবেকের গাঁজা ছিল, আমার ছিল লবডঙ্কা

    সেই চব্বিশ নেই, আজও জে সি বোস হল আছে, দোতলা ব্যাক আজও খালি নেই

    একই সে L.H.-এ এসেছে নতুন মাগী, ঝনু-সুগু-রাখী-বর্ণালী নেই

    কত স্বপ্নের ঝড় ওঠে এই জলু ক্যাম্পাসে, কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়

    কতজন এল গেল, কতজনই আসবে, JGEC সেই শুধু থেকে যায়।

    আমাদের উইংসের বাইরেও প্রচুর জনতা ছিল, যাদের মধ্যে কারুর কারুর কথা উল্লেখ না করলে লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যেমন কাকা, ল্যাংটা, পাঙ্গা (এর কথা বলেছি, ডোঙা বাওয়াল এপিসোডে) ইত্যাদি। এদের গল্প হবে পরের বারে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | ১০৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন