এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • লা জওয়াব দিল্লী - ৫

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ | ১১০৪ বার পঠিত
  • পুলিশ ঘুষ খায়

    ধ্যার মশাই, এ আবার একটা লেখার মত জিনিস হল? পুলিশ ঘুষ খায়? এ তো চিরন্তন সত্য! অলমোস্ট প্রত্যেককেই কোনও না কোনও সময়ে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে, যাঁরা এখনও দ্যান নি, নিকট ভবিষ্যতেই দেবেন টেবেন হয় তো। সেই বৃদ্ধ সর্দারজির অভিশাপ যেমন গ্যাঁড়ার জীবনে অচিরেই সফল হয়েছিল, ও অমন খুচরো অভিশাপের বোঝা অনেককেই বয়ে বেড়াতে হয়।

    তবে কিনা ইউ পি মে দম্‌ হ্যায়, এখানে ঘুষ অনেকেই খায়। বেশ কয়েক মাস আগে একটা খবরও বেরিয়েছিল কূটকচালির খবর্নয় সেকশনেই, ইউপি তে ঘুষ লিগালাইজ করানোর জন্য একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। সাহায্যপ্রার্থীরা যাতে চেকেও ঘুষ দিতে পারেন, তার একটা সৎ প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তার কী খবর এখন, গ্যাঁড়া জানে না।

    গ্যাঁড়াকে প্রথম একবার থামিয়েছিল দিল্লির পুলিশ, ময়ূর বিহারের সিগন্যালে। বড় মধুর হেসে বলেছিল, আপকা তো চালান কাট জায়েগা। কীসের চালান, কেন চালান, কোথায় চালান? গ্যাঁড়া তখন দিল্লিতে নতুন। ভুবনেশ্বরে লোকে হেলমেটই পরত না, সেই জায়গা থেকে এসেছে দিল্লিতে। সেদিন গ্যাঁড়ার মাথায় হেলমেটও ছিল, যেটা ছিল না, সেটা হল ওড়িয়া বাইকের সামনে নাম্বারপ্লেট ডিসপ্লে করা ছিল না। গ্যাঁড়ার বাইকে কেবল পেছনেই নাম্বারপ্লেট ছিল। সামনেও যে নাম্বারপ্লেট লাগাতে হয়, সেটা গ্যাঁড়ার জানাই ছিল না। ফ্যাকাশে হেসে কনস্টেবলকে সে-কথা জানাতেই কনস্টেবল আরো মধুর হেসে বলল, দিল্লি মে লাগানা জরুরি হ্যায়। ইয়ে লাইসিন অব মেরে পাস রহেগা, আপকে পাস চিট্‌ঠি আয়েগি, কোর্ট মে জাকে চালান ভরকে আপকো লাইসিন ওয়াপস লেনা পড়েগা।

    পুরো কেলো কেস! চিঠি তো গ্যাঁড়ার কাছে জীবনেও পৌঁছবে না, কারণ লাইসিনে আছে ভুবনেশ্বরের ঠিকানা, যে জায়গা গ্যাঁড়া চিরদিনের জন্য ছেড়ে এসেছে। এইবার কোন কোর্ট, কোথায় চালান, সে সব খোঁজার সামর্থ্য গ্যাঁড়ার তখন একেবারে নেই, একে সে দিল্লিতে নতুন, তায় নতুন চাকরি। অতএব কনস্টেবলের হাত থেকে ছাড়া পেতে এবং কনস্টেবলের হাত থেকে লাইসেন্স ছাড়াতে গ্যাঁড়াকে তখনকার মত খরচা করতেই হল একশো টাকা।

    জীবনের প্রথম ঘুষ দেওয়া। গ্যাঁড়ার মন অবদমিত। শালা টুপি পরিয়ে জগন্নাথ করে ছেড়ে দিল রাস্তার মাঝে? ছোড়ুঙ্গা নহী। সামনে গাড়ির নাম্বার লাগিয়ে নিল বটে, কিন্তু দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের ওয়েবসাইটও পুরো ছানবিন করে ফেলল গ্যাঁড়া। অদ্ভূত ব্যাপার, কোথাও কিন্তু লেখা নেই যে গাড়ির (বাইকের) সামনেও নাম্বারপ্লেট থাকাটা জরুরি। মোটরচালিত গাড়ির একটা নাম্বারপ্লেট ডিসপ্লেতে রাখতে হয়, সেটা কমন সেন্স, কিন্তু সামনে পেছনে দুদিকেই রাখতে হয়, এমনটা কোত্থাও লেখা নেই।

    গ্যাঁড়ার গ্যাঁড়ামো প্রকাশ পেল, দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ কমিশনারের ইমেল ঠিকানা বের করে সমস্ত জানিয়ে গ্যাঁড়া একটা নাতিদীর্ঘ মেইল করে দিল। ফল ফলল হাতেনাতে। তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে।

    মেলটা বাউন্স করে ফিরে এল, আইডি ডাজ নট এক্সিস্ট।

    এর পরেও বিভিন্ন অকেশনে গ্যাঁড়াকে একশো দুশো খসাতে হয়েছে বারতিনেক, সবসময়ে তো আর পুলিশের ব্যারিকেড এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এর মধ্যে একটা ছিল হাইট, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল গ্যাঁড়া; পাশ থেকে পুলিশ এসে কাগজপত্র দেখতে চাইল। সব কাগজ দেখাল গ্যাঁড়া, পলিউশন সাট্টিফিকেট পর্যন্ত, কিছুই করতে না পেরে পুলিশ শেষে লইসেন্সটা হাতে রেখে দিয়ে বলল, তেরেকো উস মোড় পে ম্যাঁয় রুকনে কে লিয়ে বোলা থা, তুনে রোকা কিঁউ নহী?

    সুধী পাঠক, বিশ্বাস করুন, উস মোড় পে কোনও পুলিশের টিকিও অবস্থান করছিল না, কেউ থামতে বলে নি গ্যাঁড়াকে, মোস্ট প্রব্যাবলি লোকটার সন্ধ্যেবেলার বাজার করার জন্য টাকা শর্ট পড়ে গেছিল, আরবিড ধরেছিল হয় তো গ্যাঁড়াকে, আরামসে দুশো টাকা গ্যাঁড়ার কাছ থেকে গেঁড়িয়ে তবে লাইসেন্স ফেরৎ দিল।

    সেই থেকে গ্যাঁড়ার শিক্ষা, কখনও কোথাও কোনও পুলিশ থামতে বললে গ্যাঁড়া থামে না। দিল্লিতে চললে এটা থাম্ব রুল, যদি দ্যাখো পুলিশ একা তোমাকে দাঁড় করাতে চাইছে, খবরদার দাঁড়াবে না। যদি রাস্তায় ব্যারিকেড করে মাস চেকিংয়ের ব্যাপার থাকে, তা হলে অবশ্য আলাদা কথা। কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনও অসুবিধা নেই। দু একজন ছাড়া সবাই বেরিয়ে যায়। কিন্তু একা দাঁড়ালে, কাগজপত্র যতই ঠিক থাকুক, পুলিশের ছলের অভাব হয় না।

    যাক, এ সব তো চেনা কিস্যা, বড়ে বড়ে শহর মে অ্যায়সি ছোটি ছোটি চিজেঁ হোতি রহ্‌তি হ্যায়। এবার শুনুন তা হলে অন্যলোকের ঘুষ চাওয়ার গল্প।

    গ্যাঁড়ার বাড়ির মিটারটি ডিজিটাল। ইলেকট্রনিক। সেই লালদাগওলা চাকা ঘরঘর করে ঘোরে না। নতুন বসতির জন্য নতুন টেকনোলজি। এখন ডিমলাইট জ্বালালেও তার রিডিং উঠে যায়। তো, সেই মিটার একবার গেল খারাপ হয়ে। পাগলের মত রিডিং দেয়, কোনওদিন ছশো ইউনিট চড়ে গেল তো পরদিন দেড় হাজার ইউনিট, তারপর দিন আবার চারশো পঞ্চাশ।

    গ্যাঁড়া ঘেবড়ে গিয়ে দৌড়ল ইলিকটিরির আপিসে। কাগজে লিখে কমপ্লেন জমা করে এল। প্রবীণ ইঞ্জিনীয়ার সাহেব খুব ক্ষুণ্ন হলেন হিন্দিতে আবেদনপত্র না লেখার জন্য, তবে আপত্তি করলেন না। সাথে বললেন, ঐ ফল্টি মিটারেই যা ডিউ জমা হয়েছে সেটা ক্লিয়ার করে আসতে, মিটারে গোলযোগ ধরা পড়লে পুরো পয়সা ফেরৎ দেবে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।

    গ্যাঁড়া থাকে দিল্লির প্রায় গা ঘেঁষে, উত্তরপ্রদেশে। সেখানে ইলেকট্রিকের বিল হয় না। ইউপিপিসিএল নামে কোনও একটা কর্পোরেশনই চালায়, কিন্তু গাজিয়াবাদের বাসিন্দাদের অবশ্যকর্তব্য হল দুমাসে একবার মনে করে নিজের বাড়ির মিটার রিডিং চেক করে ইলেকট্রিক আপিসে গিয়ে সেইমত টাকার চেক জমা করে আসা। বিল আসবে না। চেক জমা হলে একটা রসিদ অবশ্য দেবে। কেউ যদি ভুলে যায় বা দীর্ঘকাল শহরের বাইরে থাকে, সময়মতো ডিউ জমা করতে না পারে, তা হলে তার নামে লেট পেমেন্ট ফি লেগে যায়।

    তো, সে যাই হোক, সেই মিটার রিডিং অনুযায়ী প্রায় সাড়ে তিন হাজার ইউনিটের সমমূল্যের টাকা জমা করে তার রসিদও জমা করতে হল গ্যাঁড়াকে।

    এক শুভদিনে এক প্রবীণ ব্যক্তি এলেন গ্যাঁড়ার বাড়িতে। বাড়িতে তখন গ্যাঁড়া ছিল না, ছিল গেঁড়ি। লোকটি বয়েসে গ্যাঁড়ার বাপের বয়েসী কি একটু ছোট হবেন হয় তো, রিটায়ারমেন্টের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছেন। তিনি এসে ইনিয়ে বিনিয়ে গেঁড়িকে যা বললেন তা হল, এইভাবে মিটার চেঞ্জ হওয়ার তো হাজারটা হ্যাপা, অনেক জায়গায় দৌড়োদৌড়ি করতে হবে, নতুন মিটার প্যারালালি বসিয়ে দেখতে হবে আগের মিটারটা খারাপ কিনা। লোকে তো এইসব কাজ করবার জন্য দশ-বারো হাজার টাকা অবধি খরচা করে, আপ আপনি "পতিজি'সে ডিসকাস করকে দেখিয়ে, আপলোগ কিতনা মদত কর সকতে হ্যায় ইস মামলে মে ... ইত্যাদি ইত্যাদি।

    গেঁড়ি পুরোটা শুনল মন দিয়ে, তারপর ঘরে গিয়ে নিজের আই কার্ডটা বের করে এনে দেখাল সেই প্রবীণ ব্যক্তিকে। এমপ্লয়ি, মিনিস্ট্রি অফ পাওয়ার।

    এর পর মুখে আর কিছু বলবার দরকার পড়ল না, প্রবীণ ব্যক্তির চোয়ালটা নিজে থেকেই বেশ দৃশ্যমানভাবে ঝুলে গেল, আরে আরে, আগে বলবেন তো আপনি উর্জামন্ত্রকে কাজ করেন, তা হলে তো আমরা একই পরিবারের ইয়ে টাইপের, আপনার বাড়িতেই মিটার খারাপ? ভাবা যায় না, আমি কালই আসব নতুন মিটার নিয়ে, তবে নিয়ম তো মানতেই হবে, এক সপ্তাহ প্যারালালি দুটো মিটারই চালিয়ে দেখব আগের মিটার ফল্টি না আপনার ঘরের কানেকশন ফল্টি, বলে সে উত্তাল খেজুর।

    গ্যাঁড়া পরে এসে সব শুনল। পরদিন সেই প্রবীণ ব্যক্তি আবার এলেন, তখন গ্যাঁড়া উপস্থিত। গ্যাঁড়া যে তাঁর ছেলের মত আর গেঁড়ি যে তাঁর মেয়ের মত, এ কথা বারবার মেনশন করতে তিনি ভুললেন না, তিনি এককালে উর্জামন্ত্রকে খুবই যেতেন (টোটাল ঢপ, ইউপির পাওয়ার কর্পোরেশনের ক্লার্ককে খামোকা মিনিস্ট্রি যেতে হবে কেন?), গেঁড়িকে তিনি কতবার করে ভেরিফাই করলেন, আপ ওমুক সাক্সেনাকো জানতি হো, তমুক চৌহানকো জানতি হো? গেঁড়ি প্রায় সবাইকেই চেনে। কেবল লাস্টে গেঁড়ি মন্ত্রীর পিএ-র নাম নিয়ে বলল, আপ ইনকো জানতে হ্যায়? ম্যাঁয় ইনকে সাথ কাম করতি হুঁ (এটাও ঢপ, মন্ত্রীর পিএ-র নাম জানা কোনও বড় ব্যাপার নয়)। প্রবীণ ব্যক্তি অতএব ভেরিফিকেশন সেখানেই মুলতুবি রাখলেন। সত্যিই প্রবীণ, সামান্য ইশারা ইঙ্গিত সবই বুঝে যান চটপট।

    সাতদিনের রিডিং ট্যালি করে দেখা গেল মিটারেই গন্ডগোল, পাল্টে গেল মিটার এক পয়সা খরচা না করেই, উপরন্তু আগে বেশি পয়সা দিয়ে দেওয়ায় পরের তিনমাস গ্যাঁড়াকে আর ইলেকট্রিকের বিল জমা করতে হয় নি, অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছিল।

    শেষ ঘটনা ঘটেছিল গতবছর, গ্যাঁড়ার ছানা ভূতোর পাশপোর্ট করানোর সময়ে। আগে তৎকালে পুলিশ ভেরিফিকেশন হত না, এখন হয়। পুলিশ এল, প্লেন ড্রেসে, খুব কেতা মেরে জানাল ভূতোর বার্থ সার্টিফিকেট, ফটো আর কী কী সব যেন জেরক্স চাই। গ্যাঁড়া বিনীতভাবে বলল এখন তো জেরক্স নেই, আপনার অফিসের ঠিকানা দিয়ে দিন, আমি পরে গিয়ে দিয়ে আসছি। অফিসার তো খুব সন্দিগ্ধ চোখে গ্যাঁড়াকে মেপে বলল, আপকি বেটিকে লিয়ে ভেরিফিকেশন লেটার আয়া থা এক মিনিস্ট্রি সে, আপ উস মিনিস্ট্রি মে কাম করতে হো?

    তৎকালে একজন উঁচু পোস্টের গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে একটা ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লেখাতে হয় পাশপোর্ট অফিসে জমা করার জন্য, গেঁড়ি সেটা নিজের অফিসের আন্ডার সেক্রেটারিকে দিয়ে বানিয়ে জমা করিয়েছিল। গ্যাঁড়া বিনীতভাবে বলল, সে নয়, তার পত্নী মিনিস্ট্রিতে কাম করে টরে।

    অফিসার এবার আরাম করে বসলেন, একটা মেয়ে কী আর এমন কলকাঠি নাড়বে! লিখ্‌ লো, বলে নিজের অফিসের ঠিকানা দিয়ে দিলেন। গ্যাঁড়া সযত্নে টুকল, তারপর বলল, আমার না, এইমাত্র মনে পড়ল আমার বাড়িতেই ফোটোকপিয়ার আছে, আপনি একটু বসুন, আমি জেরক্স করে দিচ্ছি।

    অফিসার তো রেগে কাঁই। এর মানে কী? আমার অফিসের ঠিকানা নেবার পরে তোমার মনে পড়ল তোমার বাড়িতে ফোটোকপির মেশিন আছে? কেন ঠিকানা নিলে বলো, তা হলে? গ্যাঁড়া, নিরীহ মুখ করে বলল, এমনিই। মনে ছিল না।

    লোকটা মনে করল, ডাল মে কালা হ্যায়। নরম হয়ে সমস্ত ডকুমেন্ট বুঝে নিয়ে বলল, আচ্ছা, তো হম চলতে হ্যায়? বলে একটা ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি দিল। গ্যাঁড়াও খুব বোকা বোকা মুখ করে বলল, ঠীক হ্যায়, চলিয়ে। জরুরত পড়ে তো বুলা লেনা, আপকা অফিসকা পতা তো হ্যায় হি মেরে পাস, ম্যায় হাজির হো জাউঙ্গা। লোকটা কী বলবে বুঝতে না পেরে গেট অবধি এগিয়ে আবার মুখ ফিরিয়ে বলল, তো ফির হম্‌ চলতে হ্যায়? গ্যাঁড়া ততোধিক মধুর হেসে বলল, ঠীক হ্যয় জী। থ্যাঙ্কিউ।

    এত বড় অপমান বোধ হয় কোনওদিন হয় নি অফিসার। ইউপিতে বসে কেউ পাশপোর্টের জন্য তাকে পয়সা দিল না, এটা হজম করতে তার কষ্ট হয়েছিল। শেষমেশ গাজিয়াবাদ থানা থেকে সেই আন্ডার সেক্রেটারির কাছে একটা চিঠি গেছিল, আপনি অমুক বাচ্চার পাশপোর্টের জন্য ভেরিফিকেশন লেটার লিখে দিয়েছিলেন, দয়া করে কনফার্ম করুন যে আপনিই সেটা লিখেছিলেন। আন্ডার সেক্রেটারি বেশ দয়ালু ছিলেন, তিনি দয়া করে সেটা কনফার্ম করে ফিরতি চিঠিও দিয়েছিলেন। এইভাবে ভূতোর পাশপোর্ট বেত্তান্ত শেষ হয়েছিল।

    এইভবেই বেঁচে থাকা, এইভাবেই স্রোতে ভাসা ... এই তো জীবন!

    কফি ব্রেক, এট্টু ঘুরে আসুন, গ্যাঁড়া দিল্লি ইউপির আরো কিস্‌সা শোনবে বলে তৈরি হয়ে আছে।

    চলেগা নেহী, দৌড়েগা

    ডিসেম্বর ১৪, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ | ১১০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ আগস্ট ২০২০ ০৯:৪০95893
  • "পুলিশের ছলের অভাব হয় না"

    রীতিমতো আকাশবাণী।  একেই ঢাকাইয়া ভাষায় অন্যরকম ভাবে বলে, "আকাশে যত তাঁরা,  পুলিশের ততো ধারা"!     

    পুরনো চটি পড়তে আরাম। দৌড়েগা নেহী,  উড়েগা      

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন