এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নষ্ট হয়ে যাই

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ এপ্রিল ২০২০ | ৪৪৯৬ বার পঠিত
  • ‘প্রভু নষ্ট হয়ে যাই – বার বার নষ্ট হয়ে যাই’ এই লাইনটা এরপর কোনদিন বললে বদলে নিতে হবে। ‘নষ্ট হয়ে যাই’ আর বলতে পারব না এরপর মনে হয়, আর তো স্বীকার করতে দ্বিধা নেই ‘প্রভু নষ্ট হয়ে গেছি’।


    বারে বারে নষ্ট হচ্ছিলাম – এই আমি এবং আমরা। বুঝতে পেরেছি অনেক সময়, অনেক সময় বুঝতে পেরেও তেমন কিছু করতে পারি নি। আর এখন তো চাইলেও কিছু করতেই পারছি না।


    লকডাউনে আমাকে ঘর থেকে কাজ করতে হয় বাকি আর সবার মতই – খাবারে কোন টান নেই এখনো, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর সুইজি, জমাটো-র হোম ডেলিভারী আবার চালু হয়ে গেছে। বিগ বাস্কেট বাড়িতে আবার দিয়ে যেতে শুরু করেছে দুধ, মনোহারী জিনিস পত্র। লিসিয়াস আবার দিতে শুরু করেছে ডিম, মাংস। আমাদের গেটেড-কমিউনিটির গ্রুপে আমরা আলোচনা করি কেন কাজের লোক আসবে না! কিভাবে ওরা নিজেরা ঠিক করে নিতে পারে যে কাজ করতে আসবে না? নিজের ফ্ল্যাটের দরজার সামনের করিডোর টুকু পরিষ্কার করার জন্য বারে বারে ভলেন্টিয়ার ডাকা হতে থাকে। কেউ কেউ ক্ষোভ উগরে দিই এই জন্য যে আমাদের গেট পর্যন্ত গিয়ে পিৎজা ডেলিভারী নিতে হচ্ছে বলে! পিৎজাবালক দোরগোরায় আসছে না।


    আমি বোর হই – খুব বোর হলে নেটফ্লিক্স, আমাজন, হটস্টার আর যা কিছু আছে মাঝে মাঝে দেখতে থাকি। আমার খাওয়ার সময় এখনো মেনটেন করতে পারছি – সকালে দুধ দিয়ে কফি খাচ্ছি – বাড়ি থেকে কাজ বলে খুব সকালের বাস ধরার তাড়া নেই। নিজের বিছানা ছেড়ে উঠছি একটু দেরী করে – আলস্যে ভরা শরীর নিয়ে।


    আর তারপর? কখনও কখনও বাড়ির লোকের সাথে কথা বলি, কথা হয় নিমোর ভাই বন্ধুদের সাথে। লকডাউনের অন্যদিকের গল্প কেমন গড়াচ্ছে, সেটা জানতে আমাকে ফেসবুক দেখতে হয় না, না শুনে বিচার করতে হয় ওই মিডিয়ার খবর।


    তর্কে যাব না – কিন্তু ফ্যাক্ট এটা যে সরকারের কাছে, বর্তমান প্রশাসনের কাছে ওই তথাকথিত ঘর ছেড়ে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক – দিন মজুর, যাদের গালভরা নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাইগ্রেটেড লেবার’ – তাদের জীবনের কোন দাম নেই। এবং সেই নিয়ে সরকার মাথা ঘামাতেও রাজী নয় বেশী।


    হাজারে হাজারে লোক যাচ্ছে নিমোর উপর দিয়ে দল বেঁধে হেঁটে – ঘরে ফিরছে চাইছে তারা, জি টি রোড বরাবর, রেললাইন বরাবর হেঁটে যাচ্ছে তারা কলকাতার দিক থেকে ঝাড়খন্ড, বিহারের দিকে। পিঠে, কোলে বাচ্ছা – বড় বড় বাক্স-ব্যাগ নিয়ে ফিরছে। নিমোর রাস্তার ধারে প্রতিদিন প্রায় ১৫০-২০০ জন লোক খাচ্ছে – চাল, আলু ইত্যাদি জোগাড় হয়েছে। কিন্তু শেল্টার? ইচ্ছা করলেই আপনি ২৫-৫০ জনকে নিয়ে ভাবলেন গ্রামের কোথাও রেখে দেবেন, খাওয়াবেন – সেসব অত সোজা নয়। প্রশাসনের অনুমতিই মোষ্ট লাইকলি আপনি পাবেন না। যে হেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, তাকে যেতে দাও – শ্রমিক-মজুর এদের কষ্ট-মৃত্যু নিয়ে মাথা ঘামাবার মতন সময় নেই বড়কর্তাদের।


    আমাদের নিমো গ্রামের শিল্পপতি রাজুর সাথে অনেক কথা হল আজ। এই নীচের ঘটনাটা রাজুর বলা এবং ছবি গুলোও সে পাঠালো। কাল পড়ন্ত বেলায়, প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে তখন – রাজু গিয়েছিল নিমো স্টেশনের দিকে। স্টেশনে এককোণে সে দেখে এক ফ্যামিলিকে গুটি সুটি মেরে বসে থাকতে – বাবা, মা এবং একটা বছর ছয়েকের মেয়ে। মেয়েটা খুব কাঁদছে। রাজু কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে যে মেয়েটি সারাদিন কিছু খেতে পায় নি বলে কাঁদছে। ওরা নিমোর কিছু দূরের গ্রামের মাঠ থেকে রওনা দিয়েছে – বাড়ি গিরিডি। হেঁটে হেঁটে সন্ধ্যাবেলা নিমো স্টেশনে এসেছে – ভাবছে যে একটা ট্রেন পেলে তাতে উঠে বর্ধমান যাবে এবং সেখান থেকে গিরিডি। কিন্তু ট্রেন তো বন্ধ – মাঝে মাঝে চার কামরার ট্রেন চলে, তবে সেটা স্পেশাল, রেলের নিজের লোক এবং পুলিশের জন্য। তাই তাতে উঠতে দেবে না সেটা রাজু ওদের জানালো।


    এই তিনজন এসেছিল আমাদের পাশের গ্রামের দিকে জমিতে আলু কুড়াতে। কয়দিন আগে সব জমিতে আলু তোলা হয়েছে – চাষী আলু তুলে নিলেও কিছু কিছু আলু পড়েই থাকে মাটি চাপা। আর সেই মাটি চাপা আলু তুলে কিছু পয়সা ইনকামের জন্য সেই সুদূর গিরিডি থেকে এরা বাবা-মা-বেটি এসেছে এখানে। চার বস্তা আলু কুড়িয়ে পেয়েছিল – দু বস্তা বিক্রি করে গত সাতদিন চালাচ্ছে কোনমতে তারা। আর মাথায় করে বাকি দু বস্তা নিয়ে ফিরছে গিরিডি – প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে।


    রাজু ওদের বলে রাতে গ্রামের ভিতর আসতে তার বাড়ি – রাতে থাকবে সেখানে এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দেবে সে। কিন্তু এই ফ্যামিলিটা ওর কথা বিশ্বাস করতে চায় না – ভাবে কোথায় কেন নিয়ে যাবে। আসলে এই ফ্যামিলিটা কোন কারণে অন্য দলের সাথে ছিল না। রাজু অনেক বলে টলেও তাদের রাজী করাতে পারে না তার সাথে আসতে। তখন বলে, যদি তোমাদের মত বদলায় তাহলে গ্রামের ভিতরে গিয়ে বলবে রাজুর বাড়ি যাব – কেউ না কেউ দেখিয়ে দেবে।


    বাড়ি এসে চা-টা খায় রাজু, একটু রাত হয়। কি মনে হয় তার যে, লোকটা তার ফ্যামিলি নিয়ে নিশ্চয়ই আসবে খুঁজতে। রাস্তায় বের হয় রাজু – সামনে একজনকে দেখে জিজ্ঞেস করে কেউ তাকে খুঁজছিল কিনা। সে জানায় হ্যাঁ, একটা লোক মাথায় বস্তা ইত্যাদি নিয়ে গ্রামে ঘুরছিল, রাজুর বাড়ি যাবেও বলেছিল – কিন্তু কে যেন তার কথা বিশ্বাস না করে চোর ইত্যাদি হতে পারে বলে তাকে চলে যেতে বলেছে। রাজু তখন হন্ত দন্ত হয়ে খুঁজতে বেরোয় তাকে। নিমো স্টেশনে গিয়ে আবার পায় দেখা – কিন্তু এবার আর সে আসতে চায় না, বলে আমাকে মারবে গেলে! আর তা ছাড়া ওই আলুর বস্তা বয়ে নিয়ে গিয়ে সে খুব ক্লান্ত।


    যাই হোক, অনেক বলে কয়ে রাজু তাদের নিয়ে আসে গ্রামের ভিতরে। নিয়ে গিয়ে তার পুরানো কারখানায় ঘর খুলে দেয় থাকার জন্য – কিন্তু তারা কিছুতেই ঘরে শোবে না – বলে আমরা দরজার সামনেই শোব। আর একটু রাতে রাজু ভাত নিয়ে গিয়ে দেখে তারা সব অঘোরে ঘুমাচ্ছে – সারা দিনের পরিশ্রম। ডেকেডুকে তুলে ভাত খাইয়ে, মশারি ইত্যাদি খাটিয়ে, ফ্যানের ব্যবস্থাও হয়।


    আজ সকালে রাজু চা নিয়ে গিয়ে খাওয়ায় তাদের। তারপর প্রস্তাব দেয় যে – এই তোমার এত ছোট বাচ্ছা নিয়ে গিরিডি এতটা কি করে হেঁটে যাবে? এখানেই থেকে যাও লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত। লকডাউন উঠে গেলে বর্ধমান থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি যাবে না হয়। খাবার ব্যবস্থা হয়ে যাবে – কিছু সমস্যা নেই।


    লোকটা কাঁদতে শুরু করে – বাড়িতে সে রেখে এসেছে বুড়ি মায়ের কাছে দেড় বছরের ছেলেকে। দিন পাঁচেকের মধ্যেই ফেরার কথা ছিল, সেই মত চাল-ডাল দিয়ে এসেছে বুড়ি মা-কে। তা এখন যদি সে না যায়, তাহলে তার বুড়ি মা কি করবে? না খাতে পেয়ে মা আর তার দেড় বছরের ছেলে দুই জনাই মারা যাবে।


    ওরা আর অপেক্ষা করে না – রাজু বলল, সুকান্তদা চোখে জল চলে এল আমার। বাড়িতে বুড়ি মা আর দেড় বছরের ছেলে এদের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে – কিভাবে আটকাই এদের!



    সাথের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওরা নিমো গ্রাম ছাড়ছে গিরিডির উদ্দেশ্যে।


    প্রার্থনা করুন যেন ওরা ফিরতে পারে জীবিত অবস্থায় – এবং ফিরে জীবিত বুড়ি মা আর দেড় বছরের বাচ্ছাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারে আবার।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ এপ্রিল ২০২০ | ৪৪৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 162.158.50.241 | ০১ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৪৩91953
  • ছবিটা আসে নি।
    এগুলো পড়া যায় না । ভাবা তো দূরস্থান। ওরা পৌঁছে যাক।

    "বারে বারে নষ্ট হচ্ছিলাম – এই আমি এবং আমরা। বুঝতে পেরেছি অনেক সময়, অনেক সময় বুঝতে পেরেও তেমন কিছু করতে পারি নি।"

    এই লাইনগুলোর জন্যে ধন্যবাদ, সুকান্ত।
  • হখগ | 162.158.50.219 | ০১ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৫৪91954
  • একদম ঘা দিয়েছো ভাই।
  • একলহমা | ০২ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪২91956
  • পারছিনা, এত ভিজে চোখে
  • Amit | 162.158.2.115 | ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৯:২৬91959
  • কিছু বলার নেই। বারবার এটাই হচ্ছে ভারতে, আর এটাই হবে, কিচ্ছু পাল্টাবে না। ক্রাইসিস এ পড়লে আমাদের বেশির ভাগ শাইনিং দের বেসিক হিউমান ফিলিংস গুলো জাস্ট উড়ে যায়, নিজেরা বাচঁলেই হলো। অল্প যারা এর মধ্যেও কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তারা ব্যতিক্রম ই।

    জানি না, বাইরের দেশে আসার পর থেকে এই জিনিস টা আরো বেশি করে চোখে পরে কি না । ইন জেনারেল দেখি এই দেশ গুলোতে কিছু এক্সট্রিম স্টেপস নেওয়ার আগে একটু হলেও চিন্তা করে বয়স্ক লোকজন হোক, প্রতিবন্ধী হোক, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স র ভিক্টিম হোক বা যারা কোনো কারণে সোশ্যাল সাপোর্ট এ আছে, তাদেরকে কিভাবে একটু হলেও প্রটেক্ট করা যায়।

    আমাদের দেশে পুরো উল্টো। কোনো সময় না দিয়ে, কোনো প্লানিং না নিয়ে, কোনো মিনিমাম ব্যাক উপ প্ল্যান না করে ই তিন ঘন্টার নসিতে এ একটা এতো বড়ো দেশকে লক ডাউন করে ফেলা যায়, কারণ তাতে সুপ্রিম লিডার-এর TRP বাড়ে, একদিন থালা বাজালেই সব সমস্যা মিটে গেলো।

    এবার সেই অ্যাকশন এ কিছু গরিব লোক মরলে, উপোষ করে থাকলে বা পুলিশের লাঠি খেলে ওগুলো জাস্ট কোল্যাটারাল ড্যামেজ। কার কি এসে গেলো।

    একটা ছোট ঘটনা মনে পড়ছে, ২০০৯ এ যখন UK তে ছিলাম, সেখানে গভট থেকে পাবলিক ওপিওন চাইলো সব কাগজে যে ব্যাঙ্ক এ চেক সিস্টেম রাখা উচিত কি না, যেহেতু তখন নাকি ওখানে > ৯০% কাজ অনলাইন ট্রান্সফার করে হচ্ছিলো, চেক র সংখ্যা অনেক কমে গেছিলো। কাগজে প্রচুর চিঠিপত্তর এলো নেক্সট কয়েক হপ্তায় যে অনেক বুড়ো লোকজন আছেন যারা নেটব্যাংকিং এ সড়গড় নন, তাদের জন্যে চেক সিস্টেম রাখা উচিত অল্প হলেও। এই সব ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপারেও যে একটা পাবলিক ওপিনিয়ন র মতো নেওয়া যায়, সেটাই তখন খুব অবাক লেগেছিলো।

    এর পাশাপাশি ইন্ডিয়া র ২০১৬ র নোটবন্দি কে রাখলে জাস্ট হাসি পায়। লোকে র চরম ভোগান্তি খেয়েছে কয়েক মাস ধরে, তবুও সরকারের ব্যান্ড বাজানো চলেছে নির্লজ্জ ভাবে।
  • সে | 162.158.150.131 | ০২ এপ্রিল ২০২০ ১১:৩২91960
  • "কিন্তু এই ফ্যামিলিটা ওর কথা বিশ্বাস করতে চায় না"
    একদম সত্যি। "ওরা" কিন্তু "আমাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে যুগ যুগ ধরেই।
  • রঞ্জন | 162.158.50.219 | ০২ এপ্রিল ২০২০ ২০:৩২91969
  • এই লেখা নিয়ে কোন কথা হবে না ।

    গুরুগাঁওয়ে নিরাপদে বসে চারপাশে যা টের পাচ্ছি তা নিমোর থেকে খুব আলাদা কিছু নয়। একটি বড় এনজিও আছে এন সি আরে। সারাবছর ফুটপাথবাসী এবং তাদের বাচ্চাদের জন্যে খাবার এবং জামাকাপড়ের ব্যবস্থা করে। তারা মাইগ্রেন্ট লেবারের জন্যে করবে জেনে সামান্য কিছু টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে নিজের বিবেককে চোখ মেরে রয়েছি।

    ছোট বেলায় বার্ষিক শিশুসাথীতে পড়া কালিদাস রায়ের একটি কবিতার লাস্ট লাইন মনে পড়ছে ঃ

      " এ কি দয়া? না না, তাতো নয় কদাচন,

    এ শুধু অন্তরের অস্বস্তিমোচন",

    অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছি।

  • সুকি | 162.158.166.20 | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৯:১০92004
  • এই প্রসঙ্গে আর কি বলব বুঝতে পারছি না - ভালো থাকবেন সবাই।
  • Du | 172.69.68.180 | ০৪ এপ্রিল ২০২০ ২১:৩০92021
  • হে ভগবান!
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:5f2:d97e:efc7:f537 | ৩০ জুলাই ২০২০ ১৩:০৬95686
  • এদের কী খবর কে জানে।
  • Amit | 203.0.3.2 | ৩০ জুলাই ২০২০ ১৩:৪০95687
  • কিছুই বলার নেই. দেশের স্বাস্থ- শিক্ষা, সোশ্যাল সাপোর্ট সবকিছুই জাহান্নমে গেছিলো অলরেডি. এই অতিমারী জাস্ট ভেতরের কঙ্কাল গুলোকে সামনে এনে ফেলেছে.

    সব দেশ আজকে স্ট্রাগগল করছে কিন্তু বাকিরা অনেক বেশি এম্প্যাথি দেখাচ্ছে, এখানে উল্টে রাম মন্দিরের ভিত্তি বসানো হচ্ছে এরকম সময়ে.
  • b | 14.139.196.11 | ৩০ জুলাই ২০২০ ১৩:৪১95688
  • আমি যেটুকু জানি, চেন্নাইতে একদল এন জি ও কাজ করছে। আমার পরিচিতা বাংলাভাষী বলে বাঙালী শ্রমিকদের সাথে কো অর্ডিনেট করার কাজটা ওর। এখনো লোকে বাড়ি ফিরতে চাইছে, আবার অনেকে বাড়ি গিয়েও কাজ পাচ্ছে না।
  • শিবাংশু | ৩১ জুলাই ২০২০ ১০:৩০95736
  • আগে পড়েছি। আবার পড়লুম। ক্যাথার্সিস ছাড়া অন্তঃকরণের কোনও স্যানিটাইজার নেই। তাই হয়তো আবার পড়তে হবে ....
  • dc | 103.195.203.190 | ৩১ জুলাই ২০২০ ১০:৫০95740
  • হ্যাঁ চেন্নাইতে বেশ কিছু এনজিও কাজ করছে, পলিটিকাল পার্টিগুলোও কিছু কাজ করছে। তবে এখনও অনেক অনেক মানুষ এখানে ওখানে আটকে পড়ে আছেন, ঘরে ফিরতে পারছেন না, বা হয়তো রওনা দিয়েছেন কিন্তু আর কোন খবর নেই। কিছুদিন আগে একটি পরিবার, বাবা-মা-ছেলে বাসে চেপে রওনা দিয়েছিলেন, মেদিনীপুরে বাড়ি, ওনাদেরও বাড়িতে বৃদ্ধ পিতা মাতা আর দুই ছেলেমেয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারপর আর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
  • রঞ্জন | 182.69.171.194 | ০১ আগস্ট ২০২০ ০৭:২৫95786
  • হ্যাঁ, এই লেখাটা ফিরে ফিরে পড়ি। ছবিটা দেখি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন