এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • পাগলের প্রলাপ - ছোট গল্প

    Ritwik Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৩ মার্চ ২০২০ | ২৩৫৩ বার পঠিত
  • কুঁদঘাটের 4A বাস টার্মিনাসের সামনে, আদি-গঙ্গা। এটাকে খাল বলা যায়। একটি কাঠের পূল আছে, পায়ে-হেঁটে পার হবার জন্য। অপর পাড়ে, যেখানে পূলটা গিয়ে ডাঙায় নেমেছে, বাঁদিকে, আদিগঙ্গার পাড়ে জোড়া বটগাছ, ও তার তলায় সাইকেল-রিক্সা স্ট্যান্ড। রিক্সা ইউনিয়ন, তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী, গাছের নীচে একটা সিমেন্টের বেদী তৈরী করে দিয়েছে, রিক্সাওয়ালাদের বিশ্রামের সুবিধার্থে। ১৯৮০ সাল, বাম-দলের নতুন সরকার, প্রান্তীয়-কর্মী বা মারজিনাল ওয়ার্কারদের জন্য এই ধরনের "ইন্ফ্রা- ডেভলপমেন্ট" প্রোগ্রাম, শহরের অনেক এলাকাতেই করেছিল। যাই হোক, সেই বেদীতে, সকাল আটটা থেকে রাত ন'টা, বিশ্রাম করত রিক্সাওয়ালারা। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল চারটে একজন ছাতুওয়ালা ও একজন খৈনি-তামাকের ফেরিওয়ালা, বসতো। আর, বসে থাকতো, উদাস চোখে, আদিগঙ্গার খালের দিকে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে, একটি যুবক, ব্যাকব্রাশ করা চুল, কখনো-কখনো মুখে দাড়ি থাকতো - রিক্সাওয়ালারা তাকে হাবু-পাগলা বলতো। এই রাস্তার ঠিক উল্টোপারে, একটা বড় অশ্বথগাছ। তার তলায়, বাসিন্দা বলতে এক, হনুমানজির কমলা রঙের মূর্তী, ও দুই, একটা মেটে রঙের কুকুর।

    প্রতি বছরের মতন, এই বছরেও, এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ থেকে, সামার-ভ্যাকেশন-এর শুরু পর্যন্ত, আমাদের স্কুলের সামার-টাইমিং। সকাল সাতটা থেকে দুপুর বারোটা। স্কুল বাস আমাদের নামিয়ে দিত, 4A বাস টার্মিনাসের সামনে, পৌনে-একটা নাগাদ। আমাদের বলতে, আমি , আমার ভাই ও আমার চেয়ে দুই ক্লাস উপরের দেবেশদা। দেবেশদা তখন ক্লাস এইট অথবা নাইনের ছাত্র, ফুল-প্যান্ট পড়ে - তাই আমার উপলব্ধিতে, অনেক-জানে, অনেক বোঝে। আমরা দুই ভাই পূল পার হয়ে ডানদিকের রাস্তা ধরে চলতাম পশ্চিম-পুঁটিয়ারি, আর দেবেশদা, বাঁদিক ধরে উকিলপাড়ার দিকে। আমার একটা অকারণ ঔৎসুক্য ছিল, রোজ পূল পাড় হয়ে কিছু মুহুর্ত, একটানা তাকিয়ে দেখতাম ওই হাবু-পাগলার দিকে। জানতে ইচ্ছা করতো, হাবু-পাগলা কী ভাবছে, আর কখন খায়? আমি বারকয়েক ওখানে রিক্সাওয়ালাদের জিগেস করেছিলাম, "কাকু, উনি এখানে রাতে থাকেন?", কোন উত্তর পেয়েছি বলে মনে পড়ছে না। স্কুল বন্ধ হবার, ঠিক আগের সপ্তাহে, একজন কমবয়স্ক রিক্সাওয়ালা, আমাকে বলল, "ওকি ভাবে জানিনা, তবে মাঝে মধ্যে ওই ছাতুওয়ালার সাথে কথা বলতে দেখেছি"। আমি বললাম, "শুধু ছাতুওয়ালার সাথে?", বললো "হতে পারে ও ওকে দিনে একবার খেতে দেয় বলে"। মনে আছে সেদিন বাড়ি ফিরে মাকে জিগেস করেছিলাম, যে "মা, ছাতুওয়ালা তো গরীব মানুষ, হাবু-পাগলাকে বিনা পয়সায় খেতে দেয় কেমন করে?",মা বলেছিলেন "অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে বড় মন চাই, পয়সার জন্য আটকায় না"। যাই হোক, হাবু-পাগলাকে ঘিরে আমার ঔৎসুক্য, কমছে না।

    কলকাতায়, কালবৈশাখীর মরশুম এইটা। সেদিন শুক্রবার, সকালে স্কুল যাবার পথে দেখলাম বেশ কয়েকটা বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে, একটা মাঠের কোনে একটা বকুল গাছ উপরে পড়েছে, রাস্তার পাশে এক যায়গায় ল্যাম্পপোস্ট উলটে পড়েছে। আগের দিন সন্ধ্যাবেলার কালবৈশাখীর দাপটে। একটা আম গাছের নীচে বেশ কিছু আম পড়ে আছে। হঠাৎ মনে হল হাবু-পাগলার কী হল? ঝড়ের সময় কি ওকে কেউ আশ্রয় দিয়েছিল? স্কুল যাবার পথে ওই জোড়া-বটতলায়, কাউকে দেখতে পেলাম না। ওই সময় কেউ এমনিতেও থাকেনা, ওখানে। মনে মনে প্রশ্নটা থেকে গেলো - হাবু-পাগলা ঝড়-বৃষ্টির সময় কোথায় ছিল?

    স্কুল ফিরতি পূল পার হতে-হতে হাবু-পাগলাকে দেখতে পেয়ে, কেমন নিশ্চিন্ত লাগল। এপারে এসে দেখি, অশ্বথগাছের নীচে, একজন অপরিচ্ছন্ন বেশের মহিলা, একটা বড়মাপের পোঁটলা নিয়ে বসে আছে, আর হাত-পাখা দিয়ে হাওয়া খাচ্ছে। রিক্সাস্ট্যান্ডে গিয়ে জানলাম, ওই মহিলা ভিখারিনি, বাজারের কাছে যেই গাছের নীচে বাস করতো, সেটা ঝড়ে উপড়ে গেছে - তাই এখানে। আমি, আমাদের চেনা রিক্সাচালক, রমেনদাকে জিগেস করলাম, ঝড়ের সময় হাবু-পাগলা কোথায় ছিল। সে হেসে বলল, "আরে ভাই, ওর ঘর-বাড়ি আছে, কিন্তু শুনেছি ও নাকি নিজের ঘরে থাকতে চায়না, চেঁচা-মেচি করে, এখানে রেখে গেলে চুপ থাকে, আবার সন্ধ্যাবেলা, এই ন'টার দিকে, ওর কাকা এসে ওকে ঘরে নিয়ে যায়"।
    আমি বললাম, "এখানে কারো সাথে কথা বলে না?", রমেনদা বলল, "শুনেছি, ওই ছাতুওয়ালা যখন খেতে দেয়, তখন কিছু বলে, তখন নাকি ভালো করে কথা বলে।
    কিছুদিন পর, আমাদের স্কুল ছুটি হবার দিন, মায়ের সাথে, স্কুলের কাছে একটি রেস্টুরেন্টে খেয়ে, বেলা তিনটে নাগাদ ফিরছি। সামনে ছুটি, মন হালকা। সেই কাঠের পূল পার করার সময় খেয়াল করলাম, হাবু-পাগলা ইঁট-কাঠ-মাটির ঢেলা দিয়ে একটা দেওয়ালের মতন কিছু বানাচ্ছে, আর মুচকি মুচকি হাসছে, গাছের দিকে তাকিয়ে। খুব ইচ্ছা হলো, ওই ছাতুওয়ালাকে গিয়ে জিগেস করি - মা বারণ করলো। আমার ঔৎসুক্য চেপে রাখতে পারছিনা। ভাবলাম, বিকেলে যখন খেলতে যাবো, এক দৌড়ে একবার এখানে এসে দেখে যাবো। বাড়ি ফিরে ছুটির প্রথম দিনে আয়েশে, ঘুমিয়ে পড়লাম।

    পরদিন, পরিকল্পনা মতন, খেলার মাঠ থেকে সেই পূল পাড়ে - কখনো দৌড়ে, কখনো হেঁটে। সেই বটতলায় পৌঁছে দেখি ছাতুওয়ালা পসারের পাট গোছাচ্ছে, একজন রিক্সাচালক বেদীর উপর বসে হাবু-পাগলাকে দেখছে আর ছাতুওয়ালার সাথে হাসি-মসকরা করছে - একটু দূর থেকে তেমন মনে হল। হাবু-পাগলা সেই ইঁট-কাঠের বেড়ার উপর একটা ছেঁড়া গামছা একটা গাছের ডালের গায়ে বেঁধে বিড়বিড় করছে। আরো একটু কাছে গিয়ে শুনলাম গান গাইছে। ছোটবেলায়, কে যেন বলেছিল পাগলরা যখন গান করে, তখন কাছে না যাওয়া ভালো। তাই ভয়ে আর এগোলাম না। খানিক হতোদ্যম হয়ে ফিরছি, মাঠের এক কোনে দেখি রমেন-দা রিক্সায় সওয়ারি নিয়ে দাঁড়িয়ে - আমি কাছে যেতেই ভললো "তোমাদের পাড়ায় কেউ ঘোষাল আছেন, ইনি যাবেন...."। আমি কাছে গিয়ে বললাম "হ্যাঁ, চিনি, বলতে পারি, তুমি আমাকে হাবুর গল্প বলবে তো?", বলেও দিলাম কোন বাড়িটা।

    এরপর দিন তিনেক কেটে গেছে - সন্ধ্যাবেলা মা মুড়ি আর বিস্কুট কিনতে দোকানে পাঠালেন আমাকে - হঠাৎ মনে হল এই তো সুযোগ!
    এক দৌড়ে পৌঁছে গেলাম পূল-পাড়ে - গিয়ে দেখি রমেনদা রয়েছে। আমি খানিক হাসি মুখে এগিয়ে গিয়ে বললাম, "রমেনদা, হাবু-পাগলার গল্প বলবে?", বলে একটা চাপা উত্তেজনা বোধ করছি।
    রমেনদা বললে, "এখন তো গল্প বটে, ওই দেখো সে চলে গেছে"।
    আমি খানিক বিভ্রান্ত হয়ে বললাম "বাড়ি গেছে?", তাকিয়ে দেখি সেই আধা-খ্যাঁচড়া বেড়াকৃতির উপর কাত হওয়া পতাকার মতন একটা-ডালের-গায়ে গামছা বাঁধা।

    এরপর রমেনদা বলতে শুরু করলো -
    "ওই যে ওধারে গাছের নীচে পাগলিটা এসে বসেছিল, তাকে এই হাবু বন্ধু ভাবতো, তুমি পুরো বুঝবেনা ভাই", আমি অধৈর্য, বলি "বলতে থাকো", রমেনদা, কিছুটা যেন নারাজ, বললো, "এই কয়েকদিন আগে আমাদের পাগলাটা ওই পাগলির সাথে ছাতু ভাগ করে খেয়েছে, তারপর ওই যে দেখছো, ইঁট আর কাঠের টুকরো দিয়ে নৌকা বানাচ্ছিল, আর ওই যে গামছা লাগিয়েছে গাছের ডালে...", আমি বললাম"পতাকা?", বললে "আরে না গো, ওটা নাকি নৌকার পাল, এই নদীতে বান এলে ওর ওই পাগলিকে নিয়ে চলে যাবে!"
    আমি বললাম, "চলে গেছে?"
    রমেনদা বললে, "এই তিনদিন আগে সকালবেলায় হাবু-এসে দেখে ওই পাগলিটাও নেই, তার জিনিসপত্র ও নেই.....কী ভাবলো কে জানে...সেদিন ছাতু খেলো না....বিকেলে একটু নাকি চিৎকার করছিল....তারপর ওই পাগলিটা যেখানে বসতো ওখানে গিয়ে বসে রইল, তারপর রাতে ওর কাকা এসে নিয়ে চলে গেলো"।
    আমি বললাম "আরো বলো"।
    রমেনদা বললো, "গতকাল সকালে ওর ওই কাকা এখানে খুঁজতে এসেছিল, পরশু নাকি মাঝরাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছে!"
    আমি বললাম, "কোথায় গেলো?",রমেনদা বললো, "আমি কেমন করে বলবো? পাগলে কথা, ভগবান জানে"।

    আজ ভাবছি, পাগলের চিন্তার নৌকা! পালও লাগলো!? বান এসেছিল কিনা কে জানে - হাবু কি সাথির অপেক্ষায় বসে থাকতো?! রমেনদা ঠিকই বলেছিল, ভগবান জানে!
    আজ অনেক বছর পরে, কেন জানি মনে হল, হাবু-পাগলা হয়তো প্রত্যাখ্যাত বোধ করেছিল, তাই গন্তব্য নিরুদ্দিষ্ট!

    ঋত্বিক সেনগুপ্ত।।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৩ মার্চ ২০২০ | ২৩৫৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন