আগের পর্বে যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই আবার শুরু করা যাক। এ এমন একটি অসুখ যার না আছে কোন প্রতিষেধক, না আছে ওষুধ, শুধু জনস্বাস্থ্য ও তার কিছু প্রিন্সিপলই ভরসা, সেগুলোে আরেকবার দেখে নেওয়া যাক:
১) যদি সন্দেহ হয় যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, টেস্ট করানোর বন্দোবস্ত করুন
২) টেস্ট নেগেটিভ হলে মনে রাখবেন আপনি কিন্তু অন্ততপক্ষে susceptible , অতএব সাধারণ ভাবে যা যা সতর্কতা, সেগুলো সব অবলম্বন করুন। তার মানে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব, (যতটা পারবেন), হাত ধোয়া (২০ সেকেন্ড জল সাবান দিয়ে, শুধু জল দিয়ে ধুলে হবে না), নাকে মুখে চোখে হাত না দেওয়া, রাস্তায় বেরোলে সঙ্গে চশমা রাখুন, খুব ভিড় দেখলে নাকে মাস্ক, নাহলে ঘরে মাস্ক না পরলেও চলবে, টেবিল চেয়ার বাসনপত্র পরিষ্কার রাখুন। মল, সিনেমা হল, খেলার স্টেডিয়াম, বাজার, সুপারমারকেট, পারলে এড়িয়ে চলুন। এই সময় স্থানীয় ছোটখাট পাড়ার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিনিস কেনার ভালো সময়।
৩) টেস্ট পজিটিভ এলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ, কারণ মনে রাখবেন যদিও ৮০ % কেসে কোন ক্ষতি হবে না, ১৫% কেসে বাড়াবাড়ি হতে পারে , যদি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার কথা বলা হয়, তাই করতে হবে। নাহলে স্ট্রিক্ট quarantine, । তার সঙ্গে কার কার সঙ্গে কোথায় যোগাযোগ হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ ইত্যাদি জট ডাউন করুন।
৪) Contact Tracing করে প্রতিটি contact এর পরীক্ষা করাটাই বিধেয়। সেটা সম্ভব না হলে, অন্তত তারা কারা সেটা নজরে রাখা চাই, তাছাড়া, লক্ষণ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার বন্দোবস্ত।
এই পর্বে আরো কতগুলো বিষয় আলোচনা করতে চাই।
১) এই অসুখ জনসমাজে ছড়ায় কি উপায়ে? কাকে বলে exponential growth, তাকে মাপবেন কি করে?
২) কাকে বলে basic reproduction number? করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে সেটি কত?
৩) কাকে বলে herd immunity? কেনই বা তা জানার দরকার? কতজন মানুষের immunity হলে পরে বাকীরা বেঁচে যাবে? তার পর কি হবে যখন মহামারী থেকে মানুষ উদ্ধার পাবে? সে কি আবার ফিরে আসতে পারে?
৪) আসলে কতজন অসুস্থ? কি করে তা জানা যাবে? কি সেই অঙ্ক?
৫) মহামারীর মডেল কি করে তৈরি করতে হয়? আমি আপনি যদি করতে চাই, কি করে করব?
(চলবে)