এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • চেতনার রঙ: শুনব না গান, গান শুনব না, দ্বিতীয় পর্ব

    Arindam Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭০০ বার পঠিত
  • 1 | 2
    "আমার চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ
    চুনি উঠলো রাঙা হয়ে,
    জ্বলে উঠলো আলো 
    পূবে পশ্চিমে
    গোলাপের দিকে চেয়ে বললাম, 'সুন্দর' 
    সুন্দর হল সে,
    তুমি বলবে এ যে তত্ব কথা,
    এ কবির বাণী নয় |
    আমি বলব, এ সত্য,
    তাই এ কাব্য"

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ("আমি", শ্যামলী কাব্যগ্রন্থ, ১৯৩৬)
     
    এই লেখাটা শুরু করেছিলাম নজরুলের ভাঙার গান, "কারার ঐ লৌহকপাট" কে আল্লারাখা রহমানের অন্য সুরে সুরারোপিত করা নিয়ে, যে গানটি শুনে এপার ওপার বাংলার বহু মানুষ কিছুটা বিহ্বল, কিছুটা বিরক্ত হয়ে মন্তব্য করেছিলেন, এ কি, নজরুলের বিদ্রোহের গানের এ কি রূপ? আবার তার বিপ্রতীপে অনেককেই বলতে বা লিখতে দেখলাম, এ বাপু বড্ড বাড়াবাড়ি, বাঙালী আর সব কিছু মেনে নিয়েছে, এইটা নিয়েই যত কলরোল। আবার আরো অনেকে একে সামাজিক আগ্রাসন বলে দাগিয়েছেন, গুরুচণ্ডালীর পাতায় এ নিয়ে লেখাও বেরিয়েছে  । প্রিয় গানের কথা অপরিবর্তিত রেখে সুরের অদলবদল ঘটতে দেখলে আমরা যতটা শ্রোতা হিসেবে বিচলিত হই, আমরা গানের সুর অপরিবর্তিত রেখে কথা বদলে দিলে ততটা হই না হয়ত, এই রকম একটি মন্তব্য করে লেখাটা শুরু করেছিলাম এই বলে যে, এর একটা গাণিতিক স্নায়ুবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা করা যায়। তখন লেখার সূত্রে "ইয়ানি বনাম লরেল" নামে ইন্টারনেট মিম আর সাইন ওয়েভ স্পিচের উল্লেখ করে দেখাবার চেষ্টা করেছিলাম আমরা যখন কোন কিছু শুনি, বা ধরুণ আমাদের যাবতীয় স্নায়বিক সংবেদনা (sense perception), তখন, মস্তিষ্কে এবং ইন্দ্রিয়ে তিনটি ব্যাপার কাজ করে - এক, আমাদের মস্তিষ্কে প্রারব্ধ অজস্র মডেল আর অগুন্তি অনুমান বিভিন্ন স্নায়ুতে স্নায়ুতে বিচিত্র পূর্বাভাস গড়ে ওঠে, তারপর সেই পূর্বাভাসের নিরিখে নতুন ইন্দ্রিয়গত সমস্ত সংবেদনাকে মস্তিষ্ক মিলিয়ে নেয়, তারপর অজস্র মডেলের আর অনুমানের মধ্যে কেবলমাত্র একটিকে সে বেছে নেয় । তখনই সংবেদনা আর চেতনা জাগে, আমরা যা শোনার শুনি, যা দেখার দেখি, যা আস্বাদ গ্রহণে আস্বাদন পাই, স্পর্শকে অনুভব করি | যেহেতু আমরা প্রত্যেকে স্বতন্ত্র, প্রত্যেকে আমরা নিজেদের মতন করে জগৎকে দেখি, ভাবি, নিজের নিজের প্রারব্ধ ধারণা নিয়ে জীবন কাটাই, এ খুবই স্বাভাবিক যে আমার যে ব্যাপারটা ভাল লাগবে আপনার নাও লাগতে পারে । একই দৃশ্য, একই শ্রাব্যকে আমরা নিজেদের প্রেক্ষিত, ধারণা, নিজেদের জীবনের গল্প থেকে উঠে আসা প্রেক্ষিত থেকে দেখি, শুনি ।
     
    আমার চেতনা।
    আমার নিজের চেতনা |
    সেই চেতনার রঙ |
    আমি নিজের মতন করে সেই চেতনার রঙে রাঙাই, রাঙি |
    আবার গান শোনার প্রসঙ্গে ফিরে আসব, 
    তবে তার আগে, চেতনার আর সংবেদনার কথায় একটা ছবি দেখাই |
     
     

    সূত্র: https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/b/bb/MooneyFace.png
     
    ছবিটা দেখে কি মনে হয়? 
    বেশ খানিকক্ষণ যদি ছবিটার দিকে দেখেন, হয়ত প্রথমেই চোখে ধরা পড়বে না, কিন্তু যদি বলে দিই যে এ ছবিটিতে জনৈকার মুখ দেখা যাচ্ছে, তখন কি ছবিটা দেখতে পাওয়া গেল? এবং একবার সেই মুখ যদি আপনার “মনের আয়নায়" ধরা পড়ে, তখন সে মুখ আর “না দেখা" সম্ভব নয়, তাই না? 
    এই ধরণের ছবি প্রথম ব্যবহার করেন ১৯৫৭য় ক্রেগ মুনি; তিনি  পরীক্ষা করেছিলেন, এইরকম ৪০টি ছবি দেখিয়ে বোঝবার চেষ্টা করছিলেন যে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে যদি এমন ধরণের ছবি দেখানো হয় যার কিছুটা বোঝা যাচ্ছে, কিছুটা নয়, তাহলে তারা পুরো ছবিটা ধরতে পারে কি না? এর প্রথাগত নাম, ক্লোজার, বাংলায় আমরা হয়ত “নিবন্ধন” বলতে পারি, তো মুনি এই বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন,
    “CLOSURE IS the perception of an object or event which is not completely or immediately represented"
    সে পরীক্ষার শেষে তিনি দেখলেন যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এই জাতীয় ছবি দেখে ক্লোজ করার কিছুটা ক্ষমতা বাড়ে বটে, তবে সে ক্ষমতা ছবি কতটা জটিল তার ওপরে কিছুটা নির্ভর করে, আর প্রতিটি মানুষের “নিজস্ব ক্ষমতা”র ব্যাপার তো থাকেই (“inherent ability”)  । এ থেকে অন্তত একটা ব্যাপার স্পষ্ট অন্তত ষাটের দশক থেকে জানা আছে যে, একই দৃশ্য দুজন মানুষ দুরকম ভাবে দেখবেন, বয়স, নিজের নিজের মতন করে।
    এক শ্রেণীর ছবি আমাদর অবাক করে দেয় যে এ কি করে সম্ভব। এই লেখাটি প্রকাশ করার সময় ডিসি ডাচ শিল্পী  মরিস এসচারের আঁকা একটি অনবদ্য ছবি দেখালেন
     
    এমন ধরণের ছবি দেখলে মনে হবে চোখের ভুল, এবং এ ব্যাপারটি যে কেবল চোখের বা দৃষ্টির ব্যাপার তাই নয়, কানে শোনার ক্ষেত্রে, এমনকি খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি হয়।

    “প্রাণ চায় চক্ষু না চায়”

    আমরা দেখি কিভাবে? (ব্যাপারটা শুধু দেখার বলে নয়, শোনার, খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা, স্পর্শ, সমস্ত সংবেদনার এক ব্যাপার) | বাইরের প্রতিফলিত আলোয় যে ছবি আমাদের রেটিনার পর্দায় ফুটে ওঠে, আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক সেই ছবি দেখতে পায় না। রেটিনা থেকে নির্গত স্নায়ু বাহিত বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পৌঁছয় মস্তিষ্কের “নীচের” অংশে, যেখানে রেটিনা থেকে নির্গত স্নায়ু মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। একে ধরে নেওয়া যাক “নীচ থেকে ওপরের" সংবেদনা। কিন্তু মস্তিষ্ক "জানে কি করে" যে বাইরের কোথা থেকে উদ্গত আলোয় কোন বস্তু থেকে এই সংবেদনা এসেছে? সে কি মানুষ, না গাছ, না অন্য কিছু? "দেখতে পাওয়া" মস্তিষ্কের ব্যাপার, তার সঙ্গে চোখের একটি আনুষঙ্গিক সম্পর্ক রয়েছে বটে, তবে সেটাই সবটা নয়। দেখা যদি শুধুই চোখের ব্যাপার হত, অন্ধকারে ঘুমের মাঝে চোখ বন্ধ অবস্থায় আমরা স্বপ্ন দেখতাম না | যে মানুষ জন্মান্ধ, সেও কিন্তু স্বপ্ন দেখে |
    দেখা নিয়ে চোখ বনাম প্রাণের ব্যাপারটি বৌদ্ধ সুরঙ্গমা সূত্রে বুদ্ধদেবের সঙ্গে আনন্দের কথোপকথনে ভারি সুন্দর করে বিধৃত রয়েছে | এর সূত্রপাত বুদ্ধদেবের অন্যতম শিষ্য শুধু ও সম্পর্কে ভাই, আনন্দের সঙ্গে মাতঙ্গী নামে (রবীন্দ্রনাথের ভাষ্যে চণ্ডালিকা) দেহোপজীবিনীর সঙ্গে আলাপ এবং তার পর আনন্দ সাংঘাতিক বিমর্ষ হয়ে পড়েন, এবং জেতবনে বুদ্ধদেবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে চান। তার পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধদেব সুরঙ্গমা সূত্রের উথ্থাপন করেছিলেন। চৈনিক বৌদ্ধ লেখাপত্রতে সে একরকম, আমি এখানে জ্যাক কেরুয়াকের “Wake Up" বইটি থেকে তার অংশবিশেষ উদ়ধৃত করছি:
    বুদ্ধদেবের ভাষ্য অনুযায়ী দৃষ্টি যদি শুধুই চোখের বা শারীরিক ব্যাপার হত, তাহলে যেভাবে আমরা বহির্জগৎ কে দেখি, সেভাবেই আমরা অন্তর্জগৎকেও "অবলোকন" করতে পারতাম। কিনতু আমরা শরীরের অভ্যন্তর আর শরীরের বহির্জগৎকে একভাবে তো দেখি না।
    সে না হয় বুদ্ধের বাণী ছিল, যদিও আধুনিক স্নায়ুবিজ্ঞান তাকে আরেকভাবে ধরার চেষ্টা করেছে, Interoception নামে | জীবজগতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা সজ্ঞানে নিজের চোখ নিজে থেকে বন্ধ করতে পারে। এবং এই চোখ বন্ধ করার একমাত্র উদ্দেশ্য অন্তর্জগৎকে অনুধাবন করা। যাদের এই অন্তর্জগতের চেতনার বোধ এবং আমাদের দেখার স্নায়ুতত্ত্ব নিয়ে এর পরে আসছি। তার আগে Binocular rivalry নিয়ে দু চার কথা বলা যাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2
  • প্রবন্ধ | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2b:c5d2:bd14:c769:3fc7:821 | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪২526174
  • অপটিকাল ইলিউশান, বা অন্য সেন্সরি ইলিউশানগুলো বহুরকমের হয়। বলা যেতে পারে, এগুলো হলো ম্যাট্রিক্সের গ্লিচিং পয়েন্ট - এগুলো নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষ করে নিউরোসায়েন্টিস্ট আর সাইকোলজিস্টরা জানার চেষ্টা করছেন ঠিক কিভাবে আমাদের ব্রেন কাজ করে। 
     
    তবে সবসময়ে যে ব্রেনে ডেটা প্রসেসিং আর মডেল ম্যাচিং এর সময়েই ইলিউশানের উৎপত্তি হয় তা নয়, কখনো কখনো ডেটা গ্যাদারিং এর সময়েও হয়। অর্থাত কিনা ইন্দ্রিয়টাতেই (চোখ, কান, নাক ইত্যাদি) এমন কোন গ্লিচ আছে যে ব্রেনে "ভুল" ডেটা পৌঁছয় আর তার ভিত্তিতে ব্রেন "ভুল" কনক্লুশানে পৌঁছায়। কারন কে না জানে, গার্বেজ ইন = গর্বেজ আউট :-) নীচের ছবিটায় দেখুন, দুটো গ্রে স্পট দেখা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে দুটোর ধূসরতায় তারতম্য আছে। কিন্তু আসলে তা নয়। এমাইটির একদল রিসার্চার এ নিয়ে একটা পেপার লিখেছেন, সেখানে বলছেন যে আসলে দোষী হলো আমাদের চোখ, বা দুটো চোখের ইমেজ গ্যাদারিং এর সামান্য তারতম্য। 
     
    In the phenomenon of simultaneous brightness contrast, two patches, one on a dark background and the other on a light one, appear to have different brightness despite being physically equi-luminant. Elucidating the phenomenon’s underlying mechanisms is relevant for the larger question of how the visual system makes photometric judgments in images. Accounts over the past century have spanned low-, mid- and high-level visual processes, but a definitive resolution has not emerged. We present three studies that collectively demonstrate that the computations underlying this phenomenon are low-level, instantiated prior to binocular fusion, and available innately, without need for inferential learning via an individual’s visual experience.

    Notably, observers’ brightness reports are best accounted for by the individual monocular components that may not themselves be perceptually evident, rather than by the fused cyclopean percept. We are led to conclude that the mechanisms underlying simultaneous brightness contrast are located at a stage of visual processing that precedes binocular information fusion. 

    এই হলো পেপারটাঃ 
    https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0042698920300730?via%3Dihub
     
    আর এই হলো ছবিটা। দুটো স্পট আলাদা মনে হলেও, দুটোই সেম শেড অফ গ্রে 
     
  • dc | 2401:4900:1f2b:c5d2:bd14:c769:3fc7:821 | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৪526175
  • আর হ্যাঁ, অরিনবাবুর দেওয়া ছবিটা হলো ফোরগ্রাউন্ড / ব্যাকগ্রাউন্ড ইলিউশান ক্যাটেগোরির। আমরা যদি বাঁদিকে ফোরগ্রাউন্ড রাখতে চাই তাহলে ট্রাম্পেট প্লেয়ারকে দেখতে পাবো, আর যদি ফোরগ্রাউন্ড ডানদিকে সরিয়ে নিয়ে যাই তাহলে এক নারীর মুখ দেখতে পাবো। এই ধরনের ইলিউশানের কথা যখন এলোই, তখন আমার প্রিয় আর্টিস্ট এশার এর ছবি দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। আশা করি অরিন বাবু কিছু মনে করবেন না :-)
     
     
    ডে অ্যান্ড মাইট, ১৯৩৮   
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:fc71:213d:589b:7eca | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০০526176
  • এই আলোচনা অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং হচ্ছে। অরিনবাবুর সাথে সাথে ডিসির ইনপুট গুলোও আমার খুব ভালো লাগছে। ডিটেলে লেখা চলুক। আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
    এশার আমারও খুব প্রিয় শিল্পী। আগে বোধহয় নানা জায়গায় বলেছি।
  • Arindam Basu | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০৫526177
  • @dc, খুব ইন্টারেস্টিং মন্তব্য।
    অজস্র ধন্যবাদ!
     
    > "তবে সবসময়ে যে ব্রেনে ডেটা প্রসেসিং আর মডেল ম্যাচিং এর সময়েই ইলিউশানের উৎপত্তি হয় তা নয়, কখনো কখনো ডেটা গ্যাদারিং এর সময়েও হয়। অর্থাত কিনা ইন্দ্রিয়টাতেই (চোখ, কান, নাক ইত্যাদি) এমন কোন গ্লিচ আছে যে ব্রেনে "ভুল" ডেটা পৌঁছয় আর তার ভিত্তিতে ব্রেন "ভুল" কনক্লুশানে পৌঁছায়। "
     
    হ্যাঁ, এবং এটা নিয়ে লিখতে লিখতে আর লেখা হয়ে ওঠেনি, তবে এ লেখাটাকে বাড়াবার সময় লিখব। 
    আপনার "ডাটা গ্লিচ" এর আরেকটি উদাহরণ, যেখানে ব্রেন ঘেঁটে যায়, binocular rivalry, লিখছি মশাই, এ সব নিয়ে প্রচুর লেখার আছে, ;-)
  • Arindam Basu | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৫২528101
  • সম্প্রতি জগদীশচন্দ্র বসু এবং জড়ের চেতনা ইত্যাদি নিয়ে অন্য একটি টইতে (https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=29101) আলোচনা চলছে। সেই প্রসঙ্গে মনে হল, এই প্রবন্ধটি একসময় শুরু করেছিলাম, এই টইটার সঙ্গে  সম্পর্কিত। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন