এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • এক লহমার টুকিটাকি || পর্ব - ১ || তুচ্ছ

    একলহমা লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ১৯ মার্চ ২০২০ | ২৫৭৮ বার পঠিত
  • জীবনটা জুড়ে বিশেষ কিছু পড়া হয়নি। বিস্তারে এবং গভীরতায়। যা পড়েছিলাম তার কিছুটা ভাবতাম, বুঝেছি। অতিক্রান্ত জীবনের অভিজ্ঞতায় আর অবরে সবরে ছেঁড়া ছেঁড়া নূতন পাঠের ঢেউয়ে বুঝেছি আগের সেই বোঝাগুলোর বেশীটাই বোঝা – ফেলে দেয়ার। তাই হাতে থাকা সম্বল পেন্সিল – ঐ, পার হয়ে আসা জীবনের, প্রতি মুহুর্তে বিবর্ণ হতে থাকা স্মৃতির হেথা হোথা টুকরো ছবি – এক লহমার টুকিটাকি।

    বাবার বদলির চাকরী আমার শৈশবটাকে খানিকটা অগোছালো করে দিয়েছিল। খুব ঘোরাঘুরি নয়, মাত্রই তিন জায়গা আর পাঁচটি বিদ্যালয়। কিন্তু এর ফলে কোন জায়গাটাকেই আমি আমার নিজের জায়গা বলে মনে করে উঠতে পারিনি। সব সময় মনে হয়েছে, এখানে আমার থাকার কথা ছিল না। আমি এখানে থাকবও না। শুধু এই বর্তমানটাকে যতটা পারা যায় জড় করে নিয়ে উঠে যেতে হবে পরবর্ত্তী বসতটায়, যেতে হবে পরের বিদ্যালয়টায়। কে জানে এর ফলেই কি না, একটু একটু করে আমি জীবনটাকে তার বাইরে থেকে দেখতে শুরু করেছিলাম। যে সব তুচ্ছাতিতুচ্ছরা জমা হচ্ছিল মগজের কোণে কোণে তাদেরকে তুলে রাখছিলাম এ তাকে ও তাকে।

    আমার দূরতম স্মৃতি একটা গন্ধরাজ গাছ। বনগাঁ লাইনে দমদমের কাছাকাছি এক রেলস্টেশন এলাকার এক পাড়ায় দু কামরার ভাড়াবাড়িতে আমার প্রথম দিনগুলোকে আমি দেখতে পাই। সেখানে আমি জন্মাইনি। কিন্তু তার আগের কোন স্মৃতি আমার নেই। ঘরের সামনে চওড়া বারান্দা। তার পরে উঠান। তার একধারে কলতলা – হাত-চাপা টিউবকল আর চৌবাচ্চা। অন্যধারে - আঃ! কি সুন্দর গন্ধ! বড় বড় সাদা ফুলে পুষ্পিত গন্ধরাজ গাছ। নিচু গাছ। তাই গাছে ওঠা যেত, তবে উঠে খেলা করার কথা মনে পড়ে না। যা মনে পড়ে - কুড়িয়ে নেয়া ফুল বারান্দার এক কোনায়, আমার কোনায়। হাতের কাছের ডাল থেকে কয়েকটা ফুল ঠাকুমার পূজার থালায়। একটা ফুল মায়ের খোঁপাতে। আমার নাকে আজও হঠাৎ করে কোথাও কিছু নেই সেই গন্ধ ভেসে আসে। আর তার পরেই ভেসে আসে প্রথম ধাক্কাটাও। বড়রা সবাই জানত। কিন্তু আমার জন্য হঠাৎ ছিল। গাছটা কেটে ফেলা হল। বাড়ির মালিক প্রতিষ্ঠিত, বয়স হয়েছে, গাড়ি কিনবেন। গ্যারাজ উঠল সেখানে। আমার মতই বাবা-মায়েরও প্রিয় ছিল গাছটা। আমি জানতাম চারপাশে সবাই বাবার কথা শোনে। এই বারে প্রথম বুঝলাম বাবার এটায় কিছুই করতে পারার নেই। ভাড়াটে। অনেক বয়স হওয়ার পর আগাথা ক্রিস্টির গল্পে সেই যে কুকুরটা এক চমৎকার আনন্দের সকালে সহসাই গাড়ী চাপা পড়েছিল! শৈশবের সেই দিনটায় আমি প্রথম জেনেছিলাম - ধ্বংস কেমন হঠাৎ করে আসে, শূন্য করে দিয়ে চলে যায়। আর সে প্রথম আমি বুঝলাম আমার তুচ্ছতা। বাকি জীবন ধরে যা ক্রমাগত বুঝব।

    শৈশবের আরেক স্মৃতি দুই কুকুর। নেড়ি। তাদের প্রাচীনটির নাম ছিল কামান। সম্ভবতঃ যৌবনে তার বিশেষ দাপট ছিল। বাবা তাকে নিয়মিত খেতে দিত। নিজের খাবার থালা থেকে বেশ পরিমাণমত কিছু অবশেষ। আমাদের বাসার দুটো দরজা ছিল। খাওয়া হয়ে গেল বাবা ডাক দিত – কামান, কামান। সাধারণতঃ সে যেখানেই থাকুক ডাক শুনে হাজির হয়ে যেত। কোন কোন দিন তার দেখা মিলত কিছুক্ষণ বাদে। বাবা এ দরজা ও দরজা করত। এক দরজায় তার দেখা পাওয়া গেল বাবা যদি বলত অন্য দরজায় যেতে – ঐ দিকে আয় - সে অন্য দরজায় চলে আসত। কি করে বুঝত কে জানে! কিছুদিন বাদে কামানের থেকে বয়সে অনেক ছোট এক কুকুর কোথা থেকে এসে হাজির হল। রোগা। বাবা তার নাম দিল – মেঘডন। কোন বৈশিষ্ট্যে এমন নাম, জানা নেই। বাবার পাতের ভুক্তাবশেষের পরিমাণ বাড়ল। দরজার পাশে দেওয়া খাবার কামান খানিকটা খেয়ে মেঘডনের জন্য বাকিটা ছেড়ে দিত। আস্তে আস্তে কামান বুড়ো হয়ে গেল। শেষের কয়েক মাস কামান খাওয়ার ধারা বদলে দিল। আগে মেঘডন খানিকটা খেয়ে নেওয়ার পর কামান খাবারে মুখ দিত। হয়ত মেঘডন কামান-এর সন্তান ছিল। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে কামান খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। খাবার দেওয়ার সময় চুপ করে শুয়ে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত। কামান দুর্বল হয়ে পড়ার সময় থেকেই মেঘডন ঐ বাড়িতে আমাদের বাসার ঘরের দিকটার পাহারাদার। বাবা উত্তরবঙ্গে বদলি হয়ে যাওয়ার পর কয়েক মাস আমাদের তিন ভাই আর ঠাকুমাকে নিয়ে মা ঐ বাসায় থেকে গিয়েছিল, আমার বার্ষিক পরীক্ষা বাকি। মেঘডন কি বুঝেছিল কে জানে, আমাদের সাথে সাথে রাস্তায় পাহারা দিয়ে চলত। ছেড়ে আসার দিন বাসা থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত পথটার অনেকটা, মালপত্র নিয়ে ধীর গতিতে চলা আমাদের রিক্সাদুটোর পিছন পিছন এসেছিল। অনেক বছর পরেও কামান-এর গল্প করত বাবা। গলা ধরে যেত তার। মা বলত মেঘডনের কথা।

    কত সামান্য জিনিষে কত অসামান্য পূর্ণতা! আমাদের পাড়া ছাড়িয়ে রেল-স্টেশনের কাছে ছিল মণিহারী দোকান। সেবক স্টোর্স। দোকানের মালিক – তার নাম কি সেবক ছিল? না হয়ত। তবে আমি ডাকতাম সেবক-কাকু বলে। সে এক নানান মজার দোকান ছিল। তবে, সমস্ত আশ্চর্য জিনিষের মধ্যে সেরা ছিল একটা ছোট্ট কাঁচের নল। তার দুই মাথা বন্ধ করা আছে রঙ্গিন পাতলা কাগজে। আর ভিতরে? ছোট ছোট গোল গোল ডিম লজেন্স। কতরকম রঙের। আর সেই লজেন্স মুখে নিয়ে চুষতে থাকলে তার রং ধুয়ে গিয়ে পাল্টে পাল্টে যেতে থাকে। আমি একটু পরে পরে মুখ থেকে বার করে হাতে নিয়ে দেখতাম যতক্ষণ না সেটা সাদা রঙের হয়ে যেত। তারপর জিভে থাকত একটা মৌরীর দানা। লজেন্স সব খেয়ে ফেলার পর রঙ্গিন কাগজ দু’-মাথায় সেই কাঁচ-নল হয়ে যেত চূড়ান্ত দামী সম্পদ। রোজ রোজ ত আর বড়রা ঐ লজেন্স কিনে দিতেন না। হাবিজাবি। তাই একটা নলের পর আরেকটা নল জমতে সময় লাগত। বেশ কয়েকটা জমেছিল আমার। উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ার দিন যে সব অসামান্য জিনিষ ফেলে চলে যেতে হয়েছিল তাদের মধ্যে ঐ রঙ্গিন কাগজের ছিপি আটকানো কাঁচনলগুলোও ছিল। তুচ্ছ খেলনাপাতি। আর কিছুদিন বাদে আরো একবার ফেলে চলে যাব - অজস্র তুচ্ছ রঙ্গিন খেলনা।

    (চলবে কি?)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বাকিসব | ১৯ মার্চ ২০২০ | ২৫৭৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
    আরও পড়ুন
    উংলি - Malay Roychoudhury
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 108.162.250.74 | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৭:০৭91574
  • গন্ধরাজ ফুটতে শুরু করল সবে-
    আপনি মন ঢেলে লিখুন।
    পাঠক সঙ্গে আছেন।
  • এলেবেলে | 162.158.158.170 | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৭:২৭91575
  • চলবে না দৌড়বে তাতে আপনার কী এসে যায়? আমার প্রথম লেখাটি এখানে সাকুল্যে কতজন পড়েছিলেন সন্দেহ আছে। আপনি লিখে যান মনের আনন্দে। আমরা ঠিক খুঁজেপেতে পড়ে নেব।
  • সুকি | 172.68.167.45 | ১৯ মার্চ ২০২০ ১৮:৪৯91579
  • ভালো লাগল - লিখতে থাকুন প্লীজ।
  • অপু | 162.158.23.108 | ১৯ মার্চ ২০২০ ২০:৫৮91586
  • খুব ভালো লাগলো। জীবনের ছোট ছোট পাওয়া কে মনের কোন গোপন কোনে বাক্সবন্দী করে রেখেছিলেন। তার এক ঝলক আমরা পেলাম। একদম টাটকা হাওয়ার মতো।
  • প্রতিভা | 162.158.158.200 | ১৯ মার্চ ২০২০ ২২:৪১91587
  • চলুক চলুক।
  • আলফা | 162.158.167.193 | ১৯ মার্চ ২০২০ ২৩:১৩91588
  • দারুন! চলতে থাক।
  • অঞ্জনা ঘোষাল | 188.114.110.105 | ২০ মার্চ ২০২০ ০৮:৫৫91598
  • পরবতী অংশের কবে পড়তে পারবো?
  • একলহমা | ২০ মার্চ ২০২০ ১০:৫০91601
  • মন ভরে গেল, ছোটাইদি। :)

    হাঃ হাঃ, ঠিক, এলেবেলে, কিচ্ছু এসে যাওয়া ঠিক নয়।

    সুকি, খুব আনন্দ হচ্ছে আপনার মন্তব্য পেয়ে।

    ব্রতীন, অনেক বাক্সই খুলে দেখছি ঝুরঝুরে কিছু ধুলোতে মিলিয়ে গেছে ছবিগুলো। যে কটা এখনও পড়া যায়, ইচ্ছে আছে তাদের ফিরে দেখার, দেখানোর। খুব ভালো লাগল আপনার উৎসাহ পেয়ে।

    প্রতিভাদি! কি বলব আর, ইচ্ছে আছে চালানোর।

    আলফা, আপনার উৎসাহ দেওয়া খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ।

    অঞ্জনা, খুব ভালো লাগল তোমার জিজ্ঞাসায়। :)
  • Rajkumar Raychaudhuri | ৩০ মার্চ ২০২০ ১৮:২৫91888
  • choto choto kothay apni chobi toiri kore kolaj kore bosen. darun lekha. chaliye jan

  • স্বাতী রায় | 162.158.50.254 | ৩০ মার্চ ২০২০ ১৮:৪১91890
  • আপনি কে তা তো জানি না, আমি এই নামের ধাঁধায় কিছুই বুঝি না, তাই অসহায় লাগে। তবে লেখাটা পড়ে বড় আপনজন মনে হল। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
  • একলহমা | ০১ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪৯91935
  • ধন্যবাদ রাজকুমার রায়চৌধুরী!

    নিকের সম্পর্কিত পরিচয়ের বাইরে আমার কারো পরিচিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই আমি একলহমা, এইভাবেই আমায় চিনে মাঝে মাঝে আমার লেখা পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে, আর জানিয়ে যান, সেই তো অনেক!
  • | 162.158.158.200 | ০১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৪৩91941
  • এটা তো মনে হচ্ছে আমি আগে পড়েছি। আবারও পড়লাম। লিখুন লিখুন।
  • Nahar Trina | ২১ মে ২০২০ ২২:০৫93541
  •  বড় মন আঁকড়ে থাকার মতো লেখা। :)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন