এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিয়াল্লিশ ডিগ্রি

    অবন্তিকা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ মে ২০১৪ | ৫৯৫ বার পঠিত
  • সেইরকমই তিনটে চরিত্র- দামিনী গান গায়, সরকারী চাকরি করে- সর্বজিত সুপুরুষ, অভিনেতা- শান্তনু দামিনীর সঙ্গী, অন্যরকম, অন্য মনের l সর্বজিত উভয়ের বন্ধু l আরবান ডিক্শনারিতে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড এখন খুব পরিচিত শব্দ l সর্বজিত অনেকটা তাই l তবে সে যে প্রাথমিকভাবে দামিনীর বন্ধু সেকথা শান্তনু জানে না এমনটা নয় l আমরা সবাই সব জানি l ব্রেনের হেমিস্ফিয়ারগুলো, লোবগুলো, থ্যালামাস, হাইপোথ্যালামাস l জানি এসব l জেনে গেছি প্রথম ক্রেনিয়াল নার্ভ অলফ্যাক্টরি আমাদের গন্ধ চেনায় l ঘ্রাণের বোধ ব্রেনের সেনসরি ক্রিয়া l পরিচিত আঘ্রাণ- অচেনা গন্ধেরা- ব্রেনের নিয়ন্ত্রাধীন l উষ্ণায়ন ক্রমে ক্রমে অসহনীয় হয়ে উঠছে নাগরিক জীবনে l স্কুলে সামার ভেকেশন দীর্ঘতর l নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘরেও ঠান্ডা করার যন্ত্রটি অপরিহার্য এখন l সবুজের অপ্রতুলতা, দূষণ, যান্ত্রিক বাহুল্য- বচ্ছর বচ্ছর বেড়েই চলেছে দিনের সর্বাধিক তাপমাত্রা l ছুটির দুপুরগুলো এখন অন্দরমহলে কাটানোই সেরা, অথবা বাতানুকুল কোনো ঝকঝকে মলে l খাটো পোশাক, গা ঘেঁষাঘেষি, হাতে শীতল পানীয় ও হৃদয়ে উষ্ণতা l সেও সাময়িক l বিবর্তনে ব্রেনের কোনো পার্থক্য ঘটে গেছে কয়েক দশকে? কেউ বলতে পারেন? কী দ্রুত ভুলে যাচ্ছি ভালোবাসা! যা পড়ে থাকছে তা কমিটমেন্টের মতো কিছু অনাড়ম্বর শব্দের ক্লিশে অনুরণন l ভারতীয় শাস্ত্র দুটি মনের অস্তিত্ব স্বীকার করেছিল l মস্তিষ্ক নামক শির:হৃদয় আর হৃদপিন্ড, যার উর:হৃদয়ের মতো গালভরা নাম l এদুটোকে আলাদা করা যায় কীভাবে তা নিয়েই বলিউডে যাবতীয় অপচেষ্টা l অ্যায় দিল কি সুনো দুনিয়াওয়ালো... পর দিল সে নহি দিমাগ সে সোচো...

    তাই তো ভাবছি l ভাবছে দামিনী l ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলেই ভাবতে হচ্ছে ইদানিং l ডাক্তারকাকু বলেছেন কার্বোহাইড্রেট বাদ দাও l বিশেষত ভাত যত কম খাওয়া যায় মঙ্গল l আশৈশবের সচ্ছলতা ভাতের প্রতি তেমন মোহাসক্ত করেনি l সেডেনটারি দুপুরে এখন রুটি, কর্নফ্লেক্স, নিদেনপক্ষে মুড়ি l সর্বজিতের তো খেয়ে আসবারই কথা ছিল l বিকেলে আসবে l হাতে তিনটে বিয়ারের বোতল l কাজের দিনগুলো কর্পোরেট অফিসের ঘরে l সন্ধ্যের রুটিনে একাডেমি, গিরিশ, উত্তম মঞ্চ l ঠা ঠা রোদ্দুর সম্পর্কে থিওরিটিকালি ওয়াকিবহাল l একটা পাটভাঙা সবুজ বুটিকের পাঞ্জাবি কালো জিন্সের সঙ্গে চড়িয়ে এই গরমে বেরোনোটাকে দামিনী ওর অদূরদর্শিতা ছাড়া আর কিছু ভেবে উঠতে পারছে না আপাতত l দুমদাম সিঁড়ি দিয়ে উঠেই বসার ঘরে কয়েকবার পায়চারি l ঠান্ডা গরম মেশানো জলের বোতল দ্রুত শেষ l “খাবার আছে? খাবার?” “বানাচ্ছি তো! দাঁড়া!” এক্ষুণি খাবার মতো কিছু দে l” “কুকিজ, চানাচুর, টোস্ট এইসব?” “একটা ছাগল তুই l ভদ্দরলোকটাকে দুপুরে ভাত দিস না?” শান্তনু গোলগোল করে কাটা শসায় বীটনুন আর গন্ধরাজ লেবু মাখাতে মাখাতে পেছন ফিরে তাকায় l অল্প হাসে l “ভদ্রলোকেরা বিকেলবেলায় যা খায় তা তোর বগলে l ব্যাগটা নামা l ওয়াশরুম হয়ে আয় l ফ্রিজে আতপ চাল দিয়ে বানানো ভাতে ভাত আছে l চলবে?” “দামু তুই কী কিউট!” “শালা l শোন মাছ নেই l গোনা গুণতির সংসার আমাদের l অমলেট করে দিচ্ছি l” “কেনো ওই তো ভাতের মধ্যে পটল ফটল কিসব দেখছি l হোটেলের থালায় এটুকুও জোটে না রে!” “সেজন্য আমি বিন্দুমাত্র সহানুভূতিশীল নই সর্ব l বোহেমিয়ানিজমটা তোর চয়েজ ছিল l যা চানে যা l” “মালটা দিনকে দিন সিপিএম হয়ে যাচ্ছে”- গজরগজর করতে করতে সবুজ পাঞ্জাবি খুলে শান্তনুর হাতে দিয়ে হাঁটা লাগায় l শান্তনু ওটা আলনায় ঝুলিয়ে রাখে l কিছু রোজকার পোশাকের পাশে একটা অপরিচিত বস্ত্রখন্ড l অদ্ভুত দেখতে লাগে কিন্তু l “ও খাবে জানলে তো আরো কিছু বন্দোবস্ত করে রাখ যেত”- শান্তনু রান্নাঘরে এসে বলে l “আমারও জানা ছিল না l তবে সর্বকে এটুকু চিনি যে খাবারের খুঁটিনাটি নিয়ে ও তোমার মতো ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠবে না l” শান্তনু শসার বাটিটা নিয়ে ফ্রিজে চালান করে l গায়ে জল ঢেলে সর্ব একটু ধাতস্থ l ফর্সা গালের লালচে ভাবটাও অনেক কম লাগছে এখন l কার্পেটের ওপর পা ছড়ায় l দামিনী কাচের প্লেটে গরম করা ভাতে ভাত আর ডিমভাজা একটা চামচ সমেত এগিয়ে দেয় l নিজেরা চা বিস্কুট নিয়ে পাশে বসে l “নয়ন বলে যে মেয়েটাকে রেখেছিলাম, পালিয়ে গেছে বুঝলি l” “খুব স্বাভাবিক, বাঙাল বাড়িতে রোজ রোজ শাক পাতা কচু ঘেঁচু কাটতে হলে কেউই টিঁকবে না l” “ঘটিরা খুবই অমায়িক l শুধু ভাতের পরিমাণটা বড্ড কম দিয়ে থাকে l” “ইশ, সর্ব, বাবু আমি তো জানতাম না রে ! একবার যদি বলতি”- দামিনীর একটুতেই চোখ ছলছল l খুব জোরে হাসতে হাসতে শেষ পাতে অমলেটের লঙ্কাগুলোও খুঁটে খুঁটে খায় l দামিনী কোনো সম্পন্ন পরিবারের মানুষকে এতখানি তৃপ্তি করে ভাত খেতে দেখেনি l সহজলভ্যতা আমাদের অনেকটা নিস্পৃহ করে তোলে, কাঙ্খিত বস্তুর প্রতি l বিদিশা, ময়ুখ, আলতামাস, নীলা কেউ না কেউ মাসে একবার আসেই l দেদার আড্ডা চলে l দামিনী কন্টিনেন্টাল বানাতে স্বচ্ছন্দ্য l সময় কম লাগে l স্বাস্থ্যকর l বন্ধুরাও পানীয়ের পর একটু শুকনো খাবারই পছন্দ করে l বিকেল গড়িয়ে দুপুর, রাত, চলতেই থাকে সর্বজিতের বকবক l শান্তনু আর সর্ব দুজনে চরিত্রগত দিক থেকে ভারী পৃথক মানুষ l তবু দেশভাগের বেদনা, ছিন্নমূল হওয়ার শোক, অসচ্ছল বাল্যকাল তাদের ভাব বিনিময়ের পথকে বরাবর সহজতর করেছে l

    পরদিন সোমবার, সক্কলের কর্মব্যস্ততা l সাড়ে নটায় রওনা না দিলে সর্ব শেষ মেট্রোটা পাবে না- শান্তনু স্মরণ করিয়ে দেয় l দামিনী পাঞ্জাবিটা ছুঁয়ে দেখবার ছুতোয় হাতে নিয়ে সর্বকে দেয়, বলে ‘এগিয়ে পড়’ l শান্তনু ওকে রাস্তার মোড় পর্যন্ত ছেড়ে আসতে যায় l হাতে যে অতিরিক্ত তিন মিনিট সময় রয়েছে, দামিনী জানে, ওরা দুজনেই ধোঁয়ায় তার অপব্যয় করবে l সেই সুযোগে ধুয়ে ফেলা যায় কাচের বাসনপত্রগুলো, যা সচরাচর দামিনী পুষ্পর জিম্মায় দিতে নারাজ l দামিনী সদর দরজা বন্ধ করে টিভি চালিয়ে রান্নাঘরে ঢোকে l সর্বর থালাটা একবার দু’হাতে নেয় l ভাতের একটা টুকরো শুকনো খটখটে হয়ে কোনায় লেগে আছে l নাক ডোবায় l একটা গন্ধ l ভাতের? গরম ভাতের? নাকি আতপ চালের ভাতের? সিঙ্কের ওপরে বসানো আয়নায় টেলিভিশনের প্রতিচ্ছবি আসছে- সংবাদ সারাদিন- একটি কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া সুদৃশ্য তরুণী- পরনে দামী গোলাপি কোট- ঠোঁট দুটো ততোধিক গোলাপি- সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়া বিজয়ী প্রার্থীকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন বিদেশ সচিব- পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে দুই দলীয় কর্মী নিহত- বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাংলা ছবিটি রোমের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে যেতে চলেছে- আজ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আঠাশ- সর্বোচ্চ বিয়াল্লিশ- বৃষ্টি হয়নি l

    সর্ব হয়ত আবার কোলকাতা ছেড়ে চলে যাবে l তারাপদরা যেমন কেবলই পালায় l জীবনে আজ প্রথম কোনো অভুক্ত মানুষ দামিনীর কাছে হাত পেতে ভাত চাইল- এ অনুভাবটুকু ওর মস্তিস্ক ছেড়ে কিচ্ছুতেই বেরোচ্ছে না l নাকি হৃদয় ছেড়ে? তবে এই ভাতের গন্ধটা দামিনীর চেনা l কোথায়, কীভাবে, কবে- মনে পড়ছে না l শুধু গন্ধটা হানা দিচ্ছে উর: কিংবা শির:হৃদয়ের কোষে কোষে l
    কগনিশন... কগনিশন...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ মে ২০১৪ | ৫৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.242.248.203 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৩:৪৫72978
  • সেলাইট ন্যাকা................. অভুক্ত মানুষ দেখেনি সে।
  • abantika | 126.203.191.230 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৪:১৮72979
  • 'কোনো সম্পন্ন পরিবারের মানুষকে', 'আজ প্রথম হাত পেতে ভাত চাইল' প্রভৃতি শব্দগুচ্ছ আপনার চোখ এড়ায় নি এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই বলছি, 'ন্যাকা' শব্দটা যতপরোনাস্তি আপত্তিজনক l আপামর জনসাধারণ যখন দেশ ও দশ নিয়ে ভাবিত, তখন আমার বোধ হয় ব্লগে এ ধরণের গপ্পোবাজি করাটা উচিত কাজ হয়নি l ভবিষ্যতে ব্লগে ফিকশন লেখার ব্যাপারে আরেকটু সতর্কতা অবলম্বন করব l তবে আপনি পড়লেন, কমেন্ট লিখলেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ কল্লোল দা । আর আপনি নিশ্চিতভাবেই অবগত, তবু বলি, এ তিনটি চরিত্র দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের 'ব্রেন' নাটক আশ্রিত ।
  • কল্লোল | 125.242.248.203 (*) | ২১ মে ২০১৪ ০৫:০০72980
  • দুঃখিত। তবে এটাও ঠিক, খুব বিরক্ত লেগেছিলো। কিন্তু আবারও দুঃখিত। কাউকে আঘাত করা খুবই খারাপ। তবে এটাও ঠিক, খুব বিরক্ত লেগেছিলো।
    একটা গল্প বলি শোনো, একটা গল্প বলি।
    সেটা ২০০০ সাল। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী মহকুমায় পদ্মার ভাঙ্গনে সব হারানো মানুষদের নিয়ে একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনে যাই মাসুমের হয়ে। সাথে অনেকের সঙ্গে ছিলেন চেন্নাই হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (এখন আর নাম নমে নেই, চাইলে জোগাড় করে দেবো)। উনি ঐ অভুক্ত মানুষদের সাথে কথা বলে চলেছেন, আমি দোভাষী। সন্ধ্যা বেলায় আমাদের থাকার জায়গায় (একটি স্কুলবাড়ির অপিসঘর) দাওয়ায় বসে আমায় বলেছিলেন, Do you know Kallol, now suddenly I felt I have never been hungry, all through my life.
    সম্পন্ন মানুষ ক্ষুধার্ত হয় না। তা বলে কি খায় না? খিদে পাওয়া আর ক্ষুধার্ত হওয়ার ফারাক আছে।
    তবু নিঃশর্তে দুঃখিত।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৪:০৮72981
  • বেশ কিছু দাঁড়ি - পূর্ণচ্ছেদ "1" দিয়ে রিপ্লেসিত হয়েছে। ইহা কি টাইপো?
  • | 24.97.182.164 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:২৬72982
  • আমার ভাল লেগেছে অবন্তিকা।
  • বিপ্লব রহমান | 92.145.220.235 (*) | ২৯ মে ২০১৪ ০৬:৩২72983
  • এটা ফিকশান? আমি ভেবেছি, জীবনের গল্প, দেখা থেকে লেখা; চলুক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন