এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিরিয়ানির বাবুয়ানি

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ | ১৭০১ বার পঠিত
  • বিরিয়ানি মৃত্যুর মতো'ই, গ্রেট লেভেলার। রাজাগজা থেকে হেলেচাষা, বিরিয়ানিতে সবার রুচি রয়েছে। প্রথমযুগে একটি ধর্মবিশেষের সঙ্গে একে যুক্ত করা হতো, এখন সে বালাই'টি বেশ কমেছে। কিন্তু বিদায় হয়নি। খোদ লখনউ বা হায়দরাবাদে বহু জনতা আছেন যাঁরা এই পদার্থটিকে যথেষ্ট 'গ্রহণযোগ্য' মনে করেন না। মানে ঐ ম্লেচ্ছ সংযোগগত মাত্রাটির জন্য। যাকগে চিত্রগুপ্ত মহাশয় তাঁদের পুনর্জন্ম বরাত করবেন। আমিন।
    -----------------------------------
    বিরিয়ানি নিয়ে লিখতে গেলে একটা মহাভারত না হলেও, শ্রীশ্রীচন্ডী নামিয়ে ফেলা যায়। সারাদেশে অসংখ্য ঘরানার বিরিয়ানি চলে। তবু লখনউ আর হায়দরাবাদের নাম সবার উপরে। উত্তরের কথা ছেড়ে দিচ্ছি, দক্ষিণেই এতো বিবিধ প্রকৃতির বিরিয়ানি রান্না দেখতে পাওয়া যায়, যেটা আমাদের কাছে অনেকটাই অজানিত। কেরালা যদি বাদও দিই, শুধু তামিলনাড়ুর উত্তরদক্ষিণে নানা ধরণের বিরিয়ানির রেসিপি চলে। আমাদের দক্ষিণপশ্চিম তটরেখায়, অর্থাৎ আরবসাগরের কিনারা ধরে যেখানে যেখানে যবনরা বাণিজ্য করতে এসেছে যুগযুগান্তর ধরে, কারোয়ার, মঙ্গলুর, কোঝিকোড়, সব জায়গারই নিজস্ব বিরিয়ানি কালচার রয়েছে। ডিন্ডিগুল, মালাবারি, বেয়রি, ভটকলি ইত্যাদি ইত্যাদি এমন কি শ্রীলংকাও নিজস্ব প্রকারের বিরিয়ানি পরিবেশন করে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে এই সব তৃতীয় রিপুর শিকার হয়ে এসেছি বিভিন্ন সময়। ভিন্ন রুচির্হি লোকাঃ। তাহিরি থেকে কচ্চি, পক্কি, দম ইত্যাদি প্রকরণ মোটামুটিভাবে 'বিরিয়ানি' রাজত্বের অংশীদার হলেও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের মতো'ই তাদের মধ্যেও অপার বৈচিত্র্য।
    --------------------------
    মাংসপক্ক তন্ডুল বর্তমানরূপে ম্লেচ্ছ ব্যসন হলেও তা এদেশে ছিলো আগে থেকেই। সব শ্রেয় যবনদের দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। তবে রাজশক্তি তাঁদের হাতে যাবার পর খাদ্যটির গৌরব বৃদ্ধি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি উত্তরভারতে দিল্লি ও লখনউ ছাড়া তেমন দবঙ্গ টাইপের বিরিয়ানি দেখিনি। কিন্তু দক্ষিণভারতে নানা ধরণের দ্রব্য পাওয়া যায়। তার একটা কারণ ও দেশেই আমাদের নানা ধরণের মশলা, ভেষজের ঢালাও জোগান রয়েছে। বিরিয়ানি রান্নায় মশলার ব্যাসকম করে নানা স্বাদ ও সুগন্ধের বৈচিত্র্য আনা হয়। পশ্চিমে আমদাবাদ বা সুরতে যে বিরিয়ানি খেয়েছি তা অন্যরকম। সিন্ধি বিরিয়ানি যে'টা বম্বেতে পাওয়া যায় নানা জায়গায়, তার সঙ্গেও তার মিল নেই। তবে এই মূহুর্তে দেশে তিনটে ঘরানার বিরিয়ানিই রাজত্ব সামলাচ্ছে, লখনউ, হায়দরাবাদি এবং কলকাতা। কলকাতা, লখনউয়ের 'দরিদ্র' আত্মীয় হলেও তার এখন নিজস্ব পহচান তৈরি হয়ে গেছে এবং সেটা বেশ প্রখর। রয়াল, সবীর বা অর্সলান মোটামুটিভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। অওধ ১৫৯০ বিরিয়ানিতে পিছিয়ে। ওঁদের কবাবটিই উমদা। অন্যত্র বিরিয়ানিতে যথেচ্ছ স্নেহপদার্থ বর্ষণ করা হয়, যেটা লখনউ তহজিবের সঙ্গে মেলেনা। লখনউ, হায়দরাবাদ আর কলকাতা ঘরানায় বিরিয়ানিতে বাসমতী চাল ব্যবহার করা হয়, যা অন্যত্র দেখিনি।
    ---------------------------------

    বেশ কিছুদিন হায়দরাবাদে থাকার সূত্রে বিরিয়ানি নিয়ে প্রায় একটা রিসার্চ পেপার তৈরি করেছিলুম। মানে বিরিয়ানিচর্চার শিকড়, মাটি, ডালপালা, আগাছা সব কিছু নিয়ে। নানা সময় বন্ধুরা হায়দরাবাদে 'কী খাবো, কেন খাবো' গোছের খোঁজখবর করতে থাকতেন। তাঁদের অবগতির জন্য নিজস্ব পরকালের পুণ্যের সঙ্গে আপোস করে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলুম। সেটা নিয়ে দু'চার কথা এখানেও থাক।
    -----------------------------------
    বাল্যকাল থেকে দেখছি, আমাদের দেশ সিংভূমে ক্যালকেসিয়ান প্রতিভাবানরা যখনই আসতেন, একটা সন্ধান সর্বদা বরকরার থাকতো।" ওখানে মহুয়া পাওয়া যায়?" হায়দরাবাদে সেমতি বহিরাগতরা একটা নাম অবশ্যই জেনে আসেন। প্যারাডাইসের বিরিয়ানি। নিজস্ব অভিজ্ঞতা মতো একটা কথা জানাই । প্যারাডাইসের বিরিয়ানির মতো ওভাররেটেড একটি পণ্যকে শুধু মার্কেটিংয়ের জোরে কী করে মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তা যেকোনো বিপণনবিশেজ্ঞের বিষয় হতে পারে। সিকন্দ্রাবাদ ও মাসব ট্যাংকের দুটো বিশাল দোকান এবং হাইটেক সিটির একটি দোকান থেকে তারা জনতাকে বিপুল পরিমাণে নিত্য সাপ্লাই করে যায়। প্যারাডাইসের বিরিয়ানির সাফল্যের একটি প্রধান কারণ স্থানীয় তেলুগু জনগণ ( যাঁরা মাংসভোজনের সঙ্গে ধর্মীয় পবিত্রতার সম্পর্ক সম্বন্ধে খুব সচেতন) এই পদার্থটিকে নির্দ্বিধায় গ্রহণ করেন। আমি বহুকাল আগে যখন প্যারাডাইস থেকে কোনো খাদ্যদ্রব্য ( বিরিয়ানি নয়) নিতে যেতুম প্রথমেই জিগিয়ে নিতুম, '' কিস কিস মেঁ ইমলি অওর কারিপত্তা নহি ডালা আজ?'' তারা কনফার্ম করলে তবেই নিতুম। তবে আসল ঠেকগুলোর খোঁজ পাবার পর কখনও ওমুখো হইনি।
    একটা ব্যাপার স্পষ্ট হওয়া দরকার। চিকেন বা ভেজ বিরিয়ানি অক্সিমোরোন, ও'রকম কোনো 'বিরিয়ানি' হয়না। ওসব গতজন্মের কর্মফলে যাঁরা পতিত, তাঁদের জন্য সান্ত্বনার তামাদি টিকিট।
    ----------------------------------------------------------------
    বন্ধুরা আমার ঠেকে বিভিন্ন সময়ে যে সব বিরিয়ানি খেয়ে বিগলিত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একটি টোলিচৌকির শাহ ঘাউসের দোকান থেকে আসতো। ওটা আমার বাড়ির কাছে ছিলো তাই নিয়মিত (সপ্তাহে অন্তত দিন তিনেক) সান্ধ্য পদচারণা সেরে ফেরার পথে ইস্পেশাল মাটন ফ্যামিলি প্যাক একটা নিয়ে চলে আসতুম। শাহ ঘাউসের আগে ওখানে ছিলো নায়াগ্রার দোকান। তাদের বিরিয়ানিও বেশ ভালো ছিলো। পরে তারা অন্য জায়গায় চলে যায়। টোলিচৌকির শাহ ঘাউসের দোকানের রাস্তার উল্টোদিকে ইউসুফ টেকরির চত্বরে তিন চারটি ম্লেচ্ছ খাবারের ঠেক রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ফোর সিজনস। এই ফোর সিজনস দোকানটির বিরিয়ানি টাইমস ফুড ফেস্টিভ্যালে টানা চারপাঁচ বছর ধরে অব্বল নম্বর হয়ে আছে। ওটা ছিলো আমাদের রোববারের প্রাণের আরাম। এছাড়া বিখ্যাত 'খোলানি' ছিলো আমাদের প্রায় পারিবারিক ঠেক। তারা কিন্তু দম'কি বিরিয়ানি বানায় না, তাদের বিশেষত্ব কচ্চি বিরিয়ানি। যাঁরা হায়দরাবাদি বিরিয়ানিকে 'স্পাইসি' বলেন , তাঁরা এই পদার্থটা খেয়ে দেখতে পারেন। ওদের তিনটে দোকান রয়েছে। তবে আমরা প্রথমে বনজারা হিল্স দশ নম্বর রোডের দোকানে যেতুম, পরে আমাদের পাড়ায় ইউসুফ টেকরি থেকে টোলিচৌকি যেতে ওরা যে আরামদার রেস্তঁরাটি বানিয়েছে, সেটাই ছিলো মনের আনন্দ।
    -------------------------------------------------
    অনতিঅতীতে বঞ্জারা হিল্সে একনম্বর রোডে সর্ভি যে ঠেকটি বানিয়েছে, তার বিরিয়ানিও জজে মানবে। আমার পাড়ায়, অর্থাৎ মেহদিপতনমে ছিলো সর্ভি'র আদি দোকান। কিন্তু সেখানে তারা শুধু কবাব বেচতো। তাদের দোকানে নিত্যযাত্রী হবার সুবাদে ( বিশেষতঃ , রমজানে, হালিম ঋতুতে) তার মালিকের সঙ্গে আমার হৃদ্যতা হয়ে গিয়েছিলো। সে আবার আমাকে দেখলেই ইংরিজি বলে। নো উর্দু। যদিও তার পূর্বপুরুষ ইরানপ্রত্যাগত, কিন্তু সে বাল্যকালে ইংরিজি মিডিয়ম পড়েছে। আমায় দেখে কেন যে তার ইশকুলের স্মৃতি ফিরে আসতো, তা খোদার মালুম। যাকগে, বঞ্জারা হিলসের দোকানটিতে তাদের বিরিয়ানি খেয়ে যখন অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলুম তখন সে শুদ্ধ উর্দু'তে ( হায়দরাবাদি জঘন্য উর্দু নয়) কথা বলেছিলো। মনে হয় সেটা অসলি খানদানি বিরিয়ানির জোর।
    ---------------------------
    শাহ ঘাউসের মূল দোকানটা ওল্ড সিটিতে। জোয়ানবয়সে যখন হায়দরাবাদ যেতুম তখন পায়ে পায়ে এতো বিরিয়ানি ঠেক ছিলোনা । রসিকের আশ্রয় লিজেন্ডারি 'মদিনা'। সেই সরাইটি ছিলো তৎকালে ওল্ড সিটির বিরিয়ানির ল্যান্ডমার্ক। কারণ হায়দরাবাদ শহরে 'মদিনা'তেই প্রথম বাড়ির বাইরে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি পরিবেশন করার ব্যবসা শুরু হয়। তার আগে বাজারে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি পাওয়া যেতোনা। তখন ছিলো নিজামের রাজ, পুরো মাত্রায়। তবে আজ তার সে গরিমা নেই। মদিনার ঠিক উল্টোদিকে 'শদাবে'র ঠেকটি এখন ওল্ড সিটির মুখ্য আকর্ষণ। আমাদের যদি চৌমহল্লা প্যালেসে কোনও অনুষ্ঠান যাবার থাকতো, তবে ফেরার সময় শদাব থেকে মাটন ফ্যামিলি ইস্পেশ্যাল রাতের খাবার হিসেবে সঙ্গে ফিরতো। ওল্ডসিটিতে পত্থরগট্টি চারকমানের ভিতরদিকে কয়েকটি দৃশ্যত অকুলীন ঠেক রয়েছে। সঙ্গে মহিলা না থাকলে ওগুলোতে যাওয়া যেতে পারে। ওল্ড এম এল এ' হস্টেল থেকে কিং কোঠির পথে 'বহার কাফে' অন্য ঘরানা, অ্যান্ড আ মাস্ট। আর টি সি ক্রস রোড পেরিয়ে অরিজিন্যাল 'বাওর্চি' যাওয়া যায়, ভ্যালু ফর মানি উইথ কোয়ালিটি। বন্জারা হিল্স সিটি সেন্টারে 'সাহব সিন্ধ সুলতান' উত্তম, তবে পকেট কাটে একটু বেশি। তবে মাঝে মধ্যে, চলেগা। বাকি ঠেকগুলি আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকা বিকল্প। তবে মুশকিল হলো তাদের গুণমান প্রত্যেকদিন এক রকম থাকেনা। কখনও ভালো, কখনো খুব ভালো। একেবারে ঝুল হয়না সচরাচর। পরস্মৈপদী পাওয়া গেলে তাজ কৃষ্ণা বা আই টি সি কাকতীয়, জয় হো ।
    ------------------------------------------
    হায়দরাবাদ শহরে বহু বাড়িতে, বিশেষতঃ মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মুসলিম পরিবারে বিরিয়ানি ভোজন ব্যাপারটা আমাদের ডালভাতের মতো নিত্য দুবেলার ব্যসন। সেখানে ছাগমাংসের বিপণীতে বাঙালি স্টাইলে এক-আধ কিলো মাংস কেনার লোক বিশেষ পাওয়া যায়না। অন্ততঃ তিনচার কিলো বিরিয়ানি কাট প্রায় প্রতিদিনই খরিদ করা হয়। এই প্রসঙ্গে একটা শ্রেণীবৈষম্য সেখানে খুবই প্রত্যক্ষ। যাঁরা খুব একটা অশরাফ রইস ন'ন, তেমন মধ্য বা উচ্চমধ্যবিত্ত মুসলিমরাও কখনও গোমাংস ভোজন করেন না। ওটা নিম্নবিত্তদের এলাকা। তবে প্রতিদিনের পদে বিভিন্ন বাদশাহি রান্না থাকতে হবে। বাড়িতে মেহমান এলে তো কথাই নেই। সারা দেশের মধ্যে শুধু হায়দরাবাদেই আমি মুসলিমদের অবারিতভাবে মূলস্রোতের অংশ হয়ে থাকতে দেখেছি। তাঁদের জন্য কোনও পৃথক উপনিবেশ রচনা করে সর্বদা মনে করিয়ে দেওয়া, ওহে তুমি আসলে আমাদের থেকে আলাদা, এ জাতীয় বদমায়েশি দেখতে পাওয়া যায়না। ওখানে মুসলিমরা যেহেতু অকারণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না, তাই বহু প্ররোচনা সত্ত্বেও ওখানে জাতিদাঙ্গার ব্যাপারটা দেখা যায়না বললেই চলে। হয়তো এই জন্যই গঙ্গাজমনা তহজিবের একটা উল্লেখযোগ্য ফসল, বিভিন্ন সংস্কৃতির ভোজনরন্ধনের সমন্বয় প্রক্রিয়াটি সেখানে এতোটা সফল হয়েছে। বিরিয়ানি তার একটি অংশমাত্র।
    ----------------------
    উপরের লিস্টির থেকে উমদা হায়দরাবাদি বিরিয়ানি খেতে গেলে কোনো রইস হায়দরাবাদির বাড়ির দাওয়াতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কয়েকবার এ গরিবের সে নসিব হয়েছে। নান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায়। আর এ এক নেহাত অসম্পূর্ণ আলোচনা। কাবাব বিনা বিরিয়ানি, বংশী বিনা কানু, কোনো মানে হয়না। ফির কভি...
    ----------------------------------

    জো ভজে হরি'কো সদা, সো পরমপদ পায়েগা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ | ১৭০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • b | 135.20.82.164 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৪৪70316
  • আকা এর আগে কোথায় কলকেতা বিরিয়ানির রেসিপি দিয়েছিলেন যেন?
  • DKG | 135.16.17.145 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫১70318
  • @shibir

    আপনার স্ত্রী ঠিক-ই বলেছেন - আমাদের পরিবারে আমরা বাঙালি হয়ে-ও ঝাল tolerance বেশ ভালো, এদের বিরিয়ানি আমাদের ভালো লাগে, কিন্তু যা বলেছিলাম, non-spiced আর spiced portion গুলো মিশিয়ে খেলে বেশ ভালো লাগে

    এদের যেটা আমাদের ভালো লাগে সেটা হলো "clean" spiciness - অযথা পুদিনা বা similar pungent কোনো spice ব্যবহারটা কম - unlike many other "বিখ্যাত" রেস্টুরেন্ট

    কিন্তু please , কলকাতার বিরিয়ানি'র স্বাদ মাথায় নিয়ে যাবেন না - বা তার তুলনা করার চেষ্টা করবেন না - এটা পুরোপুরি অন্য রান্না - নামটা যা শুধু এক - এটাকে "standalone" খাবার ও evaluate করার চেষ্টা করবেন

    :)
  • souvik | 116.220.179.239 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৪৪70319
  • কোন্দাপুর এ খাকে দেখ বোলে একটা রেস্টুরান্ট আছে যেখানে কলকাতার বিরিয়ানি পাওয়া যায়
  • DKG | 135.16.17.145 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫৬70320
  • @souvik

    ঠিক

    আর DLF এর Gate 3 'র উল্টোদিকে "Call of Bengal" এ-ও "কলকাতা" বিরিয়ানি পাওয়া যায় - mostly বেশ ভালো বানায় কিন্তু মাঝে মাঝে কেওড়ার জল একটু বেশি দিয়ে ফেলে চিত্তির করে (একটু সাদা ভাত মিশিয়ে গন্ধ dilute করে খেতে লাগে তখন :) )
  • shibir | 113.16.71.75 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৩৩70321
  • DKG - হায়েদ্রাবাদে গিয়ে কলকাতা বিরিয়ানি খাবার ইচ্ছে নেই। সেত কলকাতায় গিয়ে খাব ।আমি এখন অব্দি প্যারাডাইসের , বাবুর্চির(RCT cross Rd ) আর বাহার কাফের বিরিয়ানি(অবশ্যই কম মশলার দিকটা বেছে নিয়ে ) খেয়েছি কিন্তু কোনটাই ভালো লাগেনি কারণ ওই ঝাল যেটা বিরিয়ানির অন্য স্বাদ গুলোকে ডমিনেট করে । উদ্দেশ্য হলো ভালো হায়েদ্রাবাদী বিরিয়ানি খাওয়া । তাই আপনাদের থেকে টিপস চাইছিলাম ।
  • DKG | 135.16.17.145 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৪৪70322
  • @shibir

    একদম একমত :)

    আমি Hyderabadi বিরিয়ানি'র কথা-ই লিখছি কারণ আমরাও Hyderabad এ কলকাতা'র বিরিয়ানি খুঁজি না :)

    আমার reco রইলো আঠিধি, esp when hot off the oven - let us compare notes later :)

    btw ওখানে waiter কে বলে দেখতে পারেন, রেস্টুরেন্ট ফাঁকা থাকলে, মানে একটু সাড়ে বারোটা'র কাছাকাছি গেলে, একটু বেশি কম-spiced, আর কম বেশি-spiced proportion -এ এনে দেয় - esp যদি সাথে বাচ্ছা থাকে
  • souvik | 116.220.179.239 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ১০:১১70323
  • ভালো হায়্দ্রাবাদি বিরিয়ানি খেতে গেলে টোলি চৌকি বা ওল্ড সিটি যেতে হবে।শিবান্গ্শু নাম গুলো দিয়ে দিয়েছেন অলরেডি তাই আর লিখলাম না
  • DKG | 135.16.17.145 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ১০:৩৭70324
  • @souvik

    একমত - কিন্তু shibir মিয়াপুর অঞ্চলে reco চেয়েছিলেন, তাই Athidhi :)
  • aka | 80.193.140.11 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ১২:১৬70314
  • সবথেকে বাজে বিরিয়ানি পাওয়া যায় আম্রিগার রেস্টোরেন্ট গুলোতে। কি বাজে কি বাজে। এই স্যাক্রামেন্টোতে একটা রেস্টোরেন্টে মাটন বিরিয়ানি পদের বানিয়েছিল। আদারোয়াইস মুখে তোলা যায় না।
  • potke | 126.202.182.41 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ১২:২৫70315
  • একমত, যদ্দিন ডালাসে ছিলাম বিরিয়ানি খেতে ভয় লাগত। বোল্ডারে তো টিবেটান বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় মারা যাচ্ছিলাম, শকে!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন