এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সমপ্রেম ও যুক্তিবাদ (কিস্তি ৩)

    Abhijit Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ জুলাই ২০১৫ | ২২০১ বার পঠিত
  • সমপ্রেম ও যুক্তিবাদ (কিস্তি ৩)
    প্রাককথন
    সমপ্রেম নিয়ে বিরূদ্ধমত কারোর সাথে তর্ক-বিতর্ক করার সময় প্রায়ই একটা অসুবিধের সম্মুখীন হই। যাকে পরিভাষায় বলা হয়, গোলপোস্ট শিফটিং। জানি না সেটা আমার যুক্তির ত্রুটি না অন্য পক্ষের। যেমন, সে বলল সমপ্রেম বিদেশ থেকে আমদানি, ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। আমি বোঝাতে বসলাম কিভাবে প্রাচীন ভারতেও সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়া ছিল। অপরপক্ষ বলল, প্রাচীন ভারতে থাকলেই কি আজকেও করতে হবে? সে তো বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ অনেক কিছুই ছিল। অপ্রাকৃতিক কিছু মেনে নেওয়া যায় না। আমি বোঝাতে বসলাম, কিভাবে বিভিন্ন প্রানীদের মধ্যে সমলিঙ্গে যৌনতা দেখা গেছে। সামনের জন বললেন, পশুপাখী করে বলে কি আমাদেরও করতে হবে? মানুষদের একটা বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকবে না, যেমন সন্তান পালন? আমি বোঝাতে বসলাম, কি ভাবে সমলৈঙ্গিক দম্পতি সন্তানলাভ করতে পারে, বায়োলজিকালি অথবা দত্তক নিয়ে। অন্যপক্ষ প্রতিপ্রশ্ন করলেন, এই সব সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকার। আমি রিসার্চ আর্টিক্ল খুলে দেখালাম যে সমপ্রেমী দম্পতিদের সন্তান আর বিসমকামী দম্পতিদের সন্তানদের বিকাশে তেমন কোনও পার্থক্য পাওয়া যায় নি, বরং সমপ্রেমীদের সন্তানেরা একটু বেশী মুক্তমনের ও ইমোশানালি স্টেবল পাওয়া গেছে। এইবার প্রশ্ন এল যে আমি একটা মানসিক ব্যাধিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি। আবার খাতা খুলে দেখালেম কি ভাবে আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশান সেই ১৯৮০তেই একে মানসিক ব্যাধির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। শুনে আমার বিরোধীপক্ষ বলে উঠলেন, এই যে, আগেই বলেছিলাম, পুরো ব্যাপারটাই আমেরিকা থেকে আমদানি, কি প্রমান হল তো?
    এর মধ্যে ঢুকে পরে ডারুইন, জিন, এপিজেনেটিক্স, পেডোফিলিয়া আরো কত কি। তাই ঠিক করেছি, আজকের লেখায় কোনও এদিক ওদিকে যাবো না। পাখির চোখের মত একটাই প্রশ্ন করব, সমপ্রেম কি অপরাধ? যদি মেনেও নেই যে এটি আমেরিকা থেকে আমদানি, অপ্রাকৃতিক, কোনো জেনেটিক লিঙ্ক নেই ইত্যাদি ইত্যাদি, তারপরেও উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব, আমদানি করা অপ্রাকৃতিক চশমা যদি ব্যান না হয়, কন্ডোম যদি ব্যান না হয়, জাপানি তেল যদি ব্যান না হয়, তবে সমপ্রেম কি দোষ করল? এই লেখায় সেই দোষ খোঁজার চেষ্টা চলবে।

    অপরাধ কি ও কেন?
    অপরাধ কাকে বলে? কোন কাজটা অন্যায় আর কোন কাজটা অপরাধ? সমস্ত অন্যায়ই কি অপরাধ? ন্যায়শাস্ত্রে এই নিয়ে আদিকাল থেকে তর্ক চলে আসছে। এই তর্কের মীমাংসা হওয়ার কোনও আশু সম্ভাবনা নেই। তবে সূক্ষ্যবিচারে না গিয়ে বলা যেতে পারে ঐচ্ছিকভাবে করা যা কিছু কাজ সমাজের ক্ষতিসাধন করে, তাই অপরাধ (তথ্যসুত্রঃ ব্ল্যাকবার্ন, ১৯৯৩)। এইখানে আমি 'সমাজের ক্ষতিসাধন' অংশটাতে মনোযোগ দিতে অনুরোধ করছি। 'পাব্লিক সেফটি অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার' এই টার্মটা অপরাধের সংজ্ঞায় বারবার ফিরে আসে। এই টার্মটির দ্বিবিধ তাৎপর্য রয়েছে। প্রথমত, আইনের চোখে সমাজের সুরক্ষা এবং উন্নতির স্থান ব্যক্তিমানুষের সুরক্ষা, অধিকার ইত্যাদির ঊর্ধে। সেই কারনেই সমাজের প্রয়োজনে ব্যক্তিমানুষের অধিকার খর্ব করাটা বিভিন্ন দেশে আইনস্বীকৃত। দ্বিতীয়ত, অপরাধ অনেক সময় ভিক্টিমলেস হতে পারে। অর্থাৎ যেমন কাজ যাতে সরাসরি হয়ত কারোর ক্ষতি হল না, কিন্তু সমাজের ক্ষতি হল বা হতে পারত। আইনের চোখে সেটাও অপরাধ। যেমন, জুয়াখেলা অথবা জোরে গাড়ী চালানো। এক্ষেত্রে কোনও ভিক্টিম না থাকলেও তা অপরাধ। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল "ঐচ্ছিকভাবে করা"। "ক্রিমিনাল ইন্টেন্ট" থাকাটা কিন্তু অপরাধ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে খুব জরুরী। সেই কারনেই শিশুদের করা কোনও অপরাধ আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য হয় না। অথবা ক্লেপ্টোমেনিয়ার রোগীর চুরি করাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়।
    এর পাশাপাশি আরেকটা শব্দের প্রতি আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। সেটা হল বে-আইনি। বে-আইনির সংজ্ঞা দেওয়া খুব একটা মুশকিল নয়। যা কিছু আইনবিরূদ্ধ তা বে-আইনি। কিন্তু বে-আইনি হলেই কি তাকে অপরাধ বলা যাবে? যেমন, ইংল্যান্ডের আইন অনুযায়ী দেখতে পাচ্ছি "It is illegal for a lady to eat chocolates on a public conveyance" (তথ্যসূত্রঃ নিউস বিবিসি)। যে কেউ বুঝবেন যে আইনটি হাস্যকর এবং আজকের দিনে অচল। তাই ট্রেনে বসে কোনও ভদ্রমহিলা চকোলেট খেলে সেটা বে-আইনি হতে পারে, কিন্তু অপরাধ কখনওই নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনকে প্রশ্ন করাটাই যুক্তিযুক্ত।
    ৩৭৭ ও সমকামিতা
    এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব যে সমপ্রেমকে অপরাধ বলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত। এগোনোর আগে একটা ব্যাপার পরিস্কার করে নেওয়া দরকার। ভারতীয় আইন অনুযায়ী সমপ্রেম বা সমকামিতা অপরাধ বা বে-আইনি নয়। আজকে যদি বলি যে আমি সমকামি বা উভকামি সেটা ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ নয়। তাহলে অপরাধ কোনটা? বলা যেতে পারে সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়া অপরাধ। কিন্তু একটু খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে, সেটাকেও কোথাও অপরাধ বলা নেই। যেটা বলা আছে সেটা হল "প্রকৃতিবিরূদ্ধ যৌনক্রিয়া" অপরাধ। যেহেতু প্রকৃতিবিরূদ্ধ যৌনক্রিয়ার কোনও সংজ্ঞা বা তালিকা নেই, তাই এই আইনটি ব্যাখ্যানির্ভর অর্থাৎ 'ওপেন টু ইন্টারপ্রিটেশান'। সাধারনভাবে ধরা হয় শিশ্ন-যোনি সংযোগ এবং আত্মরতি ব্যতীত অন্য যেকোনো যৌনক্রিয়া প্রকৃতিবিরূদ্ধ। এতে সমকাম বা বিসমকামের কোনো সরাসরি যোগাযোগ নেই। তাহলেও ভারতবর্ষে দন্ডবিধি ৩৭৭ সাধারনভাবে সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়ার বিরূদ্ধেই ব্যবহৃত হয়। সেই কারনে এবং আলোচনার সুবিধের জন্য এই লেখার পরবর্তী অংশে সমকামিতা, সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়া ইত্যাদিকে সমার্থে ব্যবহার করব।
    আমাদের শুরুর প্রশ্নে ফিরে যাই। সমকামিতা কেন অপরাধ বা অপরাধ নয়।
    যেহেতু অপরাধের সংজ্ঞা সমাজনির্ভর ও সমাজকেন্দ্রিক তাই 'দুজন প্রাপ্তবয়স্কর মধ্যে সম্মতিপূর্বক আদানপ্রদান, সেখানে আইন কেন নাক গলাবে" এই প্রশ্ন ধোপে টিঁকবে না। যদি দেখা যায় কোনো কাজ বৃহত্তর সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক (যেম্ন জুয়াখেলা), আইন বা রাষ্ট্র তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এখানে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে, কিন্তু বর্তমান আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী আপাতত আমি এটা মেনে নিচ্ছি। তাহলে প্রথমে আমাদের দেখতে হবে সমকাম সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক কি না।
    পরের সপ্তাহে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব। যারা এই লেখাটা ধারাবাহিকভাবে পড়ছেন তারা যদি তাদের চিন্তাভাবনাগুলো একটু পয়েন্ট করে কমেন্টে দিয়ে দেন তাহলে আমার পড়াশুনো করতে সুবিধে হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ জুলাই ২০১৫ | ২২০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 0 | 123.21.71.141 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৫ ০৫:২৪69081
  • ভুল ক'রে আগের কমেন্ট্‌টা প্রথম কিস্তিতে পোস্টিয়েছি :-(

    নাজ ফাউন্ডেশন কেসের পুরো রায়ের লিং - http://tinyurl.com/NAZfoundation-case-11-12-2013

    ক্রাইমের সাধারণ সংজ্ঞায় 'injurious to the public welfare or morals or to the interests of the state'-এর মধ্যে moralityর একটা ট্র্যাডিশনাল ভিউপয়েন্ট্‌ থেকে নাজ ফাউন্ডেশন্‌ কেসের রায় এসেছে। আর যেহেতু সংবিধানে কোথাও সেক্সুয়ালিটির গ্রাউন্ডে ডিসক্রিমিনেশনকে প্রহিবিট করেনি [কিন্তু সেক্সের গ্রাউন্ডে করেছে, তাই এখানেও ক্যাঁড়া, মানে, 'সেক্সুয়ালিটি'কে আর্টিকল ১৫(১)এর মধ্যে ঢোকাতে হবে], সেহেতুও unconstitutionalityর পয়েন্ট্‌কে আটকানো হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন