এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • রসনামঙ্গল

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ | ২১০৬ বার পঠিত
  • বড়ি দেওয়ার কথা বলছি।

    এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা মেদিনীপুর। অধুনা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাতে ঘরে ঘরে বড়ি দেওয়ার চল।

    বড়ির ডালের অনেক রকমফের। সে সব আপনারা আমার চেয়ে বহুগুণ বেশি জানেন। আপনাদের সঙ্গে সে ব্যাপারে পাঙ্গা নিতে গেলে আমি ভির্মি খাব। আমি অন্য কথা বলি বরং।

    শীত এল তো ঘরে ঘরে উসখুস মা কাকিমা জ্যেঠিমাদের মধ্যে। কেউ শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন।

    --মা, বড়ি কবে দেওয়া হবে?
    -- আঃ রোসো দিনি বৌমা। শীতের জাড় লাগুক আরো।
    -- আরো কত জাড় লাগবে? দাঁত টাঁত তো ভেইঙে যাওয়ার জোগাড়।
    -- ভরা শীত চাই বাপু। সংক্রান্তি আসতে দাও। তারপর। কুয়াশা কমুক।

    বড়ো বয়স ছোটো বয়সকে নিদান দিলেন। বাজার থেকে ভালো বিউলির ডাল এল। পাঁচফোড়ন জিরে পোস্ত শুকনো লংকা এসব এল।

    তখন প্রতি গ্রামে, হয়ত এখনও আছে, দুচারজন টুনির মা শংকরের মা গুরুপদর মা ছিল। এরা সবাই মা কাকিমাদের হারানিধি। পরিবারের বড়ো কাজে এরা অনিবার্য সুগ্রীব দোসর। অল্প পারিশ্রমিক, দিনভর গালে পানের জোগান চাই, যত গরীবই হোক বাড়ির ছোটো মালকিন তার জা। মালিক মজুর সম্পর্ক বলে কেউ কিছু জানত না। এমন অন্তরঙ্গ হৃদ্যতা আমি অনেক দেখেছি।

    শুভদিনের আগের দিন থেকে গোকুলের মা শিলনোড়ায় লেগে গেল। সে শিলনোড়া আজকের মতো অমন ফঙ্গবেনে না। রীতিমতো বিশ তিরিশ কেজির পাথর। মাথায় শিলফুটিয়া ময়ূর এঁকে গেছে।

    ঘসর ঘসর ডাল বাটা চলল তো চলল। সঙ্গে গল্পের ঝাঁপি উপুড়।

    -- আর বলো কেন। তুমার ঠাকুরপোর মতো এমন হাবা লোক দেখিনি।
    --কেন কেন?
    কৌতুহলের বান ডেকেছে অন্য ঝিউড়ির।
    -- আরে যত বলি ডালের চিকন দেখে আনবে। বলে কিনা ডালের আবার চিকন কী। কী বলি কও দিনি।

    বলে সবাই তারস্বরে হেসে কুটিপাটি। কী এমন হাসির খোরাকই বা রয়েছে এইটুকুনি কথায়, বাড়ির ঝিউড়িকুল হেসে গড়িয়ে একসা।

    বড়ো বয়সের ঘর থেকে গলা খাঁকারি।
    আঃ বৌমা রাত অত হইছে। অত হৈ হৈ কিসের গা?

    সবার ঠোঁটে আঙুল পড়ে গেল মুহূর্তে। চুপ চুপ। আস্তে কথা কইতে পারোনি? অত গলায় জোর? গলায় জোর আমার না তুমার? অ্যাঁ? বলে আবার সবাই হেসে গড়িয়ে পড়ল।

    ঘরের ভিতরে বড়ো বয়স তখন বোধ করি আধো তন্দ্রায় নিজ জীবনের হেসে গড়িয়ে পড়ার স্বপন দেখেন। তিনিও একই রকম জা ভাজদের নিয়ে রাতদুপুরে বড়ি দেওয়ার পালা গড়েছিলেন। এক দল যায়, আরেক দল সেই জায়গায় হাসির কলরোল জাগিয়ে রাখে।

    পরের দিন কাকভোরে হৈ হৈ রৈ রৈ। একটি মনোরম পারিবারিক উৎসব। এটি ব্যক্তিগত, তবু যৌথ। কেমন, সে কথা বলি।

    বড় বৌমা কই? এত বেলা হয়ে গেল (অথচ নিবিড় কুয়াশা ভেঙে সূয্যিঠাকুরের তখনও আলস্যি ভাঙেনি।) অ বিনির মা কই ডালবাটা এনে ঠেকাও দিনি। আঃ মশলার সাজি কই? তোমরা কোনো কাজের না।

    আরে মা তুমি একটু থামবে? সব আসছে তো।
    আসছে? আসছে মানে? আর কখন আসবে গা? বেলা চৌপর হলে গতর নাড়বে? একে শীতের বেলা। চোখ ফেলেছ কি রোদ পালাবে। তোমাদের বাপু ছেলেপনা গেলনি।

    হৈ হৈ করে সব এসে পড়ল জা ভাজের দল। অবস্থাপন্নের বাড়ির প্রশস্ত ছাদ। অপেক্ষাকৃত কমবিত্তের বাড়ির উঠোন আলোয় আলো। কোন আলো বেশি মনোরম? এমন জ্ঞাতি গোষ্ঠীর অন্তরের টানের আলো? নাকি উপকূলের এই আলাভোলা কবোষ্ণ সোনা সোনা রোদ? পড়ন্ত বয়স নবীন বয়স এক সাথে বচ্ছরকার খাদ্যদ্রব্যের নিমিত্তে এই শ্যাম বাংলার শীতের সকালে মায়া বুনে দিয়েছে।

    পানের বাটা এসে গেল। গালে গালে দোক্তাভরা পান চলে গেল। সমবেত আঃ শব্দ। কাজ শুরু হয়ে গেল।

    এখানে বলা দরকার, মেদিনীপুরের বড়িতে চালকুমড়োর অধিক প্রচলন। এটা না দেখলে বোঝান মুশকিল। তবু চেষ্টা করছি।

    প্রমাণ সাইজের চালকুমড়ো, অন্তত দশ কেজির, লম্বালম্বি হাফ করে নেওয়া হয়। সেটি করেন বাড়ির কত্তা। বলি দেওয়ার মতো। একবারে আধাআধি ফালি করে দেন দশাসই বঁটিতে। তারপর কুরোনো। লোহার, ধার খাঁজ-কাটা বড়ো ঝিনুকের মতো একধরণের জিনিসে কুরোনো হয়। বিচি আলাদা করা হয় শাঁস থেকে। ওটার বিচি বড়ি। শাঁসের আলাদা বড়ি। গয়না বড়ির জন্য কেবল ডাল।

    নারকোল পাতার শির, যাকে পিঁচ বলে, তার মাদুর বিছানো হল। এতে বাতাসা বড়ি, চালকুমড়োর বড়ি, বিচি বড়ি দেওয়া হবে।

    গয়না বড়ির জন্য বড়ো সব কাঁসার থালা। থালায় ঝিরি ঝিরি করে পোস্ত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ওপরে গয়না বড়ি দেওয়া হবে।

    তার আগে নবীনাদের দিব্য গল্প চালু হয়ে গেছে বৃদ্ধদের কান বাঁচিয়ে। জা ভাজেরা চালকুমড়োর খোলায় এক বাটি এক বাটি ডাল নিয়ে ফেটাতে শুরু করে দিয়েছে। সঙ্গে বিবিধ মশলা। মশলা আগে বলেছি। সব শিলে বাটা। পাঁচফোড়ন, লংকা। গোটা জিরে।

    ডালকে অনেকক্ষণ ধরে ঘুঁটতে হয়। ঘোঁটা মানে বেদম ঘোঁটা। ফেনা তুলে দিতে হবে। শীতের হিমে ফেনায় ফেনায় বড়ির স্বাদ জমবে। এ যে সে কম্মো নয়। এ স্বাদের উৎসব। এ রসনার কাহিনি।

    -- না না না হয়নি শিবানীর মা। এত ধৈর্য্য কম? আরো ফেটাও। দু ছেলের মা হইছ, ধৈর্য্য হয়নি।
    বড়ো বয়স হাতে বাটা পরখ করলেন। মুহূর্তে বুঝে গেলেন আরো শ্রম চাই।
    --চিটানি ভাব কমুক।

    ওদিকে যার ধৈর্য্য নিয়ে খোঁটা গেল, তিনি গালে আরেকটি দোক্তাভরা পান ঠুসে দমাদ্দম ডাল ফেটাতে লেগেছেন। জনান্তিকে চুপি চুপি বলে বসলেন, আরেকটা হবে হবে কচ্চে। তার আর কি! ঢুকিয়ে খালাস! আমার যে পেটে বেঁধে যাচ্ছে তার কুন খেয়াল নাই।
    অমনি ফিঁচির ফিঁচির আরেক দফা হাস্যরোল উঠল। বড়ো বয়স চোখ ড্যাবা ড্যাবা করে ব্যাপারখানা অনুমান করতে চেষ্টা করলেন কেবল।

    মাদুর ভরে যাচ্ছে বড়িতে বড়িতে। গয়না বড়ির কেউ কেউ বিশেষজ্ঞ শিল্পী বৌমা থাকেন। তার হাতের নিপূণ শিল্পকলা। একটি রুমালের কেন্দ্রে ফুটো করে টুথপেস্টের টিউবের মুখটা কেটে ঢোকানো। রুমালে ডালবাটা ভরে মুঠো করে চাপ দিলে পেস্ট নির্গত হয়।

    হাতের টানে টানে কত শত মোটিফ পোস্ত মেলা থালায়। ময়ূর, মাছ, পাখি, মাছরাঙা, ফুল, দেবীমুখ। বিশেষজ্ঞকে ক্রমাগত যে জা পান জোগায়, সে একমনে অপলকে দেখে শিল্পকলা। সে তখন শিখে নিচ্ছে বাঙালি ঘরনীর নিপূণ গৃহশিল্প। এভাবেই ধারা এভাবেই পরম্পরা এভাবেই স্বাদের উৎসব বহমান। এই যে বিপুল পারিবারিক উদযাপন, হৃদয় থেকে হৃদয়ে জিহ্বাকেন্দ্রিক মায়ার বিস্তার, এ পোড়া বাংলা সে কথা জানে। জানত। আশা করব আরো কিছুকাল এই ধারা মরে যাওয়ার আগে বইবে।

    বড়ি দেওয়ার পালা শেষ। সকাল দশটা হয়ত। এবার একসঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়া, গালগল্প। হয়ত ফেনাভাত, আলুসেদ্ধ, লংকা পোড়া। সঙ্গে পুকুরের পুঁটি মৌরলার ভাজা। সমবেত আঃ আঃ তৃপ্তির ঢেঁকুর। গলা জড়াজড়ি।

    হ্যাঁ, এ এক সিম্ফনি। আশ্চর্য ঐকতান। এর কোনো নাম নেই। এ বিঠোফেন নয়, নয় এ মোজার্ট। তবু বাংলার এই ফিলহারমোনিক পারিবারিক তান তারানা আলাপ যে দেখেছে, সে নির্ঘাৎ কইবে, পরজন্মে মা গো, এই দেশেতে জনম দিও গর্ভ হতে। দোহাই মা তোর পায়ে পড়ি, এমন রসিক যে জাতি, তাকে বিস্মৃত হতে বলিসনিকো। বারবার এই মাটিতে বীজ পুঁতিস।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ | ২১০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Titir | 138.210.107.26 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০১64623
  • এই দেখেই তো বড় হওয়া। শরীরে মননে লেগে আছে তার সুখস্মৃতি। আজ পরবাসে বসে আবার দেখতে পেলাম।
  • শঙ্খ | 52.110.149.21 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৬64624
  • সুস্বাদু লেখা।
    দুটো জায়গায় খটকা, এক, বড়ি শুনেছি খুব শুদ্ধ ভাবে দিতে হয়, আমার যেটুকু জানাশোনা আছে, আমি পান চিবোতে চিবোতে বড়ি দিতে কাউকে শুনিনি।
    দুই, ডায়ালেক্ট। সুতাহাটা থেকে তমলুক সাইড হলে করতিছে আনতিছে, নন্দীগ্রাম সাইড হলে করেঠে আনেঠে। ইত্যাদি। সেই টোনটা যেন একটু মিসিং লাগলো।
    তৃপ্তিদি প্লিজ কনফার্ম।
  • ফরিদা | 116.212.169.166 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৬64625
  • শাবাস লেখা।
  • | 144.159.168.72 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৩৯64622
  • বাহ!
  • AS | 113.56.239.18 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৫৪64626
  • বাঃ
  • de | 69.185.236.53 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:০৪64627
  • খুব সুন্দর!

    আমার মামাবাড়িতে বড়ি দেবার সময় কথা বলা বারণ ছিলো, বাটনা বাটার সময়ও - পানও খাওয়া চলতো না।

    আরেকটা এরকম বড়োসড়ো ব্যাপার ছিলো কাসুন্দি বানানো -
  • Titir | 138.210.107.26 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৪৩64628
  • শঙ্খ,
    আমাদের বাড়িতে এত শুদ্ধতার কড়াকাড়ি দেখিনি। বৌরা বাসি কাপড় ছেড়ে বড়ি দিতে বসত কিন্তু বালক বালিকারা বাসি কাপড়ে দিলে দোষ হত না । তাই আমরাও দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পান কেউ খেত কিনা মনে পড়ছে না।
    মসলা হিসাবে গোটা জীরে, শুকনো লঙ্কা, আদা, চালকুমড়োর আঁতি (ভেতরের যে অংশ কুরে বের করে বীজ বাদ দিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হত) ব্যবহার হত। শিলে পিষে শুকনো মশলা ডাল বাটায় মিশত । নুন পড়তনা লম্বা নাকের বড়িতে এইগুলো টক, ঝোল বা ঘন্টে যেত। এদের বলত গুটি বড়ি। ভাজা খাওয়ার বড়িতে কুমড়ো বীজ, সময় বিশেষে বাদাম ও যোগ করত । আর নুন থাকবেই। এদের নাম ছিল বাতাসা বড়ি। ভালো ভালো বড়ির জন্য ডালগুলো নেওয়ার পর পড়তি ঝড়তি যে সব ডাল থাকত তার সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা বাটা, চালকুমড়োর বীজ ও নুন মিশিয়ে এক বড়ি তৈরী হত, নাম তার কালাবড়ি বা কালো বড়ি। এর বর্ণ বা কৌলিন্য কোনটাই ছিল না। আর নক্শা বা গয়্না বড়ি বড্ড লাজুকলতা । শুধু নুন থাকত এতে। তবে ডালকে হতে হবে ধপধপে সাদা। একটাও খোসা থাকবে না। ভালো করে ধুয়ে হাত দিয়ে আবার বেছে নিতে হত। কতবার আমাদের হাত লাগাতে হয়েছে । পোস্তর উপর সুক্ষ্ম কারুকাজ সত্যি এক অপূর্ব সৃষ্টি। রোদের তারতম্য বুঝে শুকোতে হবে।
    শুকনো বড়ি রাখার সময় একটু কড়াকড়ি ছিল। বিভিন্ন মাটির হাঁড়ি বা সরায় করে শিকেয় ঝুলিয়ে রাখত। বাসি গায়ে তারে ছোঁয়া যাবে না। তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে । বাঁশের চাঙ্গারিতে করে বড়ির পসরা যেত নতুন কুটুমের বাড়ি।

    আর ডায়ালেক্ট পূর্ব ও পশ্চিমের একটু ভিন্ন। পশ্চিমে করতিছি, উঠতিছি, কাই, কুন্ঠি(কোথায়), যাবিনি, খাবিনি এইসব।
  • ঝর্না | 24.97.184.138 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৭64630
  • সত্যিই তো...এই দেশেতে জন্ম যেন, এই দেশেতে মরি...

    বড়ি পড়তে গিয়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ল...মা-কে ঠাকুমাকে দেখতাম টিনের বড় ডাব্বাগুলোকে উলটো করে তাতে বড়ি দিতেন...ছাতের রোদ্দুরে সেই পিঙ্ক বড়ি, সাদা বড়িগুলো যখন তরকারিতে ভাসত - অদ্ভুত লাগত খেতে। এখনও কলকাতা থেকে কেউ এলে সবের মধ্যে একটা আবদার রাখি, বড়ি এনো...তাতে মা ঠাকুমার টাচ্‌ হয়তো নেই, তবু স্বাদটা মনে করে খেতে ভালোই লাগে...
  • শঙ্খ | 55.112.70.154 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪২64629
  • বাঃ অনেকদিন পরে অল্প হলেও একটু লিখলে।
  • মানবেশ | 212.142.80.225 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৩৭64631
  • বেশ লেখা। খুব ভালো লাগলো। লেখককে অভিনন্দন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন