এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্যানেস্তারা

    Debarati Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ মার্চ ২০১৮ | ২১২০ বার পঠিত
  • -দিদিভাই।দিদিভাই। ও দিদিভাই। দিদিভাই। দিদিভাইইইইইইই!
    - আঃ! ধাক্কাচ্ছিস কেন?
    - ধাক্কা কোথায় দিলাম? চ্যাঁচালাম তো।
    - ঐ হলো। আমার কানে ধাক্কা লাগলো।
    - তা,আর কি করব?সেই কখন একটা প্রশ্ন করেছি,তুমি জবাব দেওয়ার বদলে তেপান্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছ। রয়েছ তো রয়েইছ।তাই চ্যাঁচাতেই হল। এবার বলতো..
    - কি বলব?
    - আবার? কী জানতে চাইলাম?
    - কী জানতে চাইলি?
    - তুমি কি নারীবাদী? মানে ফেমিনিস্ট? নারীবাদটা কি ব্যাপার বলতো?
    -......
    - আবার চুপ! ঠিকাছে, বলতে হবে না। তুমি আমাকে ওসব আলোচনার যোগ্য মনে করো না।এখনো ছোটই ভাবো।এই তো? চললাম আমি।
    - উফ্! তা নয়। মাধ্যমিক দিয়েছিস। যথেষ্ট বড় হয়েছিস।আর নারীবাদ কোন নিষিদ্ধ আলোচনা নয়, যে তোর সাথে করা যাবে না।
    - তাহলে?
    - আসলে আমি ভাবছি অন্য কথা। এই যে তুই প্রশ্নটা করলি,কেন? নারীবাদ সম্পর্কে নিশ্চই কিছু শুনেছিস? ভালো- মন্দ যা হোক কিছু একটা। এবার তুই যেহেতু আমার চামচা,তাই আমার অবস্থান, আর মতামত জেনে তারপর নিজেরটা ঠিক করবি,কেমন?
    - হে হে!
    - সেটা খুব খারাপ।তোর পক্ষেও আর নারীবাদের পক্ষেও।
    - কেন? কারো থেকে না জানলে, কিভাবে জানব? এখন তুমি ঐ ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে পাঠাবে নাকি, সেই ছোট্ট লিফট দেখাতে?
    - হা হা হা হা! সেই হোম এলোনের মত লিফট। পুঁচকে।
    - হাসবে না। বল।
    - খোঁজ নেওয়াটা খারাপ নয় কিন্তু সেটাকেই জেনে গেলাম ভাবাটা খারাপ। আমি তো আমার মত বলব। তুই ফাঁকিবাজ, সেটাকে ক্রশ চেক না করেই মেনে নিবি। এবার আমি যদি ভুল বলি, তাহলে চামচাও ভুল বলবে। আর নারীবাদ দেবে সেই ভুলের মাসুল।
    - বুঝলাম। তবে ওরকম হাঁ করে তাকিয়ে, শুধু এটুকুই ভাবছিলে?
    - নাআ।শুধু এটুকু নয়। ভাবছিলাম যে কিভাবে শুরু করব। গল্পের মত করে, না জ্ঞান দেওয়ার মত করে। এই বসন্তের দুপুরে, জ্ঞান শুনতে তোর ভাল লাগবে? কাউকে সময় দেওয়া নেই তো আবার? তারপর দেরী হলে তো বলবি, কেবল যদি গল্প বলে তাও থাকা যায় সয়ে/ গায়ের উপর সুড়সুড়ি দেয় নারীবাদ লয়ে।
    - হে হে হে, ভেরী ফানি!
    - মুখ বেঁকাস না। রিঙ্কল পরে যাবে। এটা অবশ্য নারীবাদী সিলেবাস নয়।
    - বলবে?
    - এই শুরু করলাম। প্রথমে একটা উদাহরণ - আমি আর মা,বাসে করে বাড়ি যাচ্ছি। ঐ দশ- বারো মত বয়স তখন আমার। প্রচন্ড ভিড়। আমি বসার জায়গা পেলাম। সামনে সকলে দাঁড়িয়ে,প্রায় একপায়ে। তখন বাসের সিটগুলো অন্যরকম ছিল।
    - দেখেছি। আমার ছোটবেলাতেও ছিল।বলো।
    - ড্রাইভারের সিটের পিছনে যে লেডিস সিটটা, আমি সেখানে বসেছিলাম। তার সামনে থেকেই জেনারেল সিট শুরু। সেটাকে জেন্টস সিট বলেই তখন জানতাম,সেখানে ছেলেরা বসে।ছেলে বলতে, অফিস ফেরতা কাকুরা। এবার একজন ছোটখাটো চেহারার মহিলা,হাতে ভারী ব্যাগ, দাঁড়িয়েছে ঐ দুই সিটের কোণায়। দাঁড়িয়েছে মানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে আরকি।
    -ছোটখাটো চেহারা? মানে তোমার মত? রডে হাত পায় না?
    - একদম। যা,গল্প শেষ।
    - না না। আর বলব না। এটা ঠিক না। একটু কমেডি না থাকলে জমে নাকি? প্লীজ,প্লীজ। এএএএ বলোনা। বলো বলো।
    - তো সে কোণায় দাঁড়ানোর ফলে কোন দিকে ধরার মত হাতল পেল না। আর প্রতিবার বাস ঝাঁকুনি দিয়ে থামলেই সে হুমড়ি খেয়ে আসছে আর কোন মতে সামলাচ্ছে। এরকম বার পাঁচেক হবার পর সে একটু উঁকি ঝুঁকি মেরে কি একটা হিসেব কষল।তারপর কোণে বসে থাকা লোকটাকে বলল,- দাদা, আপনার পা'টা যদি একটু জড়ো করে নেন, তাহলে আমি একটু পা ফেলার জায়গা পাই আর রডটাও ধরতে পারি। একটু দেখবেন? এই শুনে লোকটা বাকি ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বলল- দেখছেন? ছেলেদের মত ভিড় বাসে চাপা চাই, আবার সুবিধাও চাই।মেয়েছেলে যে কি জিনিস। মাইরি! এবার মহিলা গেল ক্ষেপে। বলল- এত ভিড়ে আপনি এতটা পা ছড়িয়ে বসে আছেন, একটু ঠিক করে বসলেই তো একটু জায়গা বেরোয়। আর আপনাকে তো সরতে বা উঠতে বলিনি, শুধু লেডিসের দিক থেকে পা সরাতে বলেছি। আমরা দাঁড়াতে পারছি না,আর আপনি বাজে কথা বলছেন? ব্যস! আর যায় কোথায়।মহিলারা যে কি প্রকারের ক্ষতিকর ও বদমাশ প্রাণী, তা নিয়ে ছেলেদের মধ্যে এমুড়ো ওমুড়ো আলোচনার ঢল নামল। মহিলারা কিন্তু চুপ। তাদের প্রত্যেককে বাড়ি গিয়ে বাঁদীগিরি করতে হবে।এসব গা সওয়া হয়ে গেছে তাদের। যেদিন আর পারে না প্রতিবাদ করে ফেলে।যেমন, সেদিন ঐ মহিলা চুপ থাকতে পারেনি। অনেকক্ষণ লক্ষ্য করার পর আমি ভাবলাম,মহিলা কি বলতে চাইছে কেউ বোধহয় বুঝতে পারছে না। বললাম- ও কাকু, উনি খারাপ কিছু বলেননি। আপনি তো এতটা পা ছড়িয়ে বসেছেন যে আমার পায়ে ঠেকে যাচ্ছে। একটু চেপে বসলে উনি এদিকে এসে দাঁড়াতে পারেন। এবার যে আগুনে ঘি পড়ল, নিশ্চই আন্দাজ করতে পারছিস? বাচ্চা মেয়ে হয়ে নাকি অশ্লীল কথা বলেছি। আমার মা ভিড় থেকে বকতে লাগল। আর আমিও চেঁচাতে লাগলাম- ভুল কি বলেছি, এসে দেখে যাও। এবার বাকি মহিলারাও ধীরে ধীরে সরব হল। লোকটা পা সরাতে বাধ্য হল। মহিলা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে চুমু খেল। চুল ঘেঁটে দিল।মায়েরও দেখলাম চোখ চিকচিক করছে। লোকটা বাকি লোকেদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে থাকল, আমার অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে।
    কি বুঝলি?
    - মানে, সামান্য একটু দাঁড়াতে দেওয়া নিয়ে এত কথা? তোমাকে এখন এসব বললে তো তুমি পিটিয়েই দেবে।
    তখন ছেলেরা এরকম ছিল নাকি? বাবা!
    - তখন সমাজ ব্যবস্থাটাই এরকম ছিল। এখনও খুব বেশি কিছু পাল্টেছে এমন নয়, তবে অনেকটাই পাল্টেছে।
    - আচ্ছা। হুমম,ঠিকাছে কিম্তু...না কিছু না। ঠিক আছে।
    - কিন্তু এর মাঝে নারীবাদের কি হল? তাই তো?
    - হ্যাঁ। তুমি আবার গাঁট্টা মারো যদি? তাই জিজ্ঞেস করছিলাম না। সব কেমন গুলিয়ে গেল।গল্পটা বুঝলাম কিন্তু..
    - বলব।তার আগে তুই কি জানিস সেটা বল।
    - এই যে নারীবাদীরা কিরকম যেন হয়,মানে, বোকা বোকা কথা বলে,সবসময় ছেলেদের উপর ক্ষেপে থাকে আর চিল্লায়। সবাইকে ছেলেদের বিরুদ্ধে উসকায়। ওরা চায় পৃথিবীতে ছেলেরা মাথা নীচু করে থাকবে।ওদের কিছু বলতে পারবে না। ওরা যা খুশি তাই করবে।
    - কোত্থেকে শুনলি এসব? কোন নারীবাদী বলেছে?
    - সবাই তো তাই বলে। নারীবাদীরা সংসার ভাঙে। কারুর সাথে থাকতে পারে না। স্বার্থপর হয়।
    - দ্যাখ্।এই যে জায়গা নিয়ে সমস্যা হল,সেটা তো ছেলেদের মধ্যেও হয়? ঝগড়া হয়,গালাগালি হয়,হাতাহাতি হয়?
    - কেন হবে না?
    - তাহলে,মহিলা বলে খারাপ,মহিলা বলে হাস্যকর,মহিলা বলে বুদ্ধি কম, মহিলা বলে সুবিধাবাদী, মহিলা বলে অযোগ্য, মহিলা বলে ভুল, মহিলা বলে হিংসুটে,মহিলা বলে লোভী,মহিলা বলে ন্যাকা,মহিলা বলে কুচুটে,মহিলা বলে মিথ্যেবাদী,মহিলা বলে স্বার্থপর এই কথাগুলোর কি মানে? এসব কথা বলে মহিলাদের যদি কোনঠাসা করে দেওয়া যায় তাহলে তার ভাগের অধিকারটাও ভোগ করা যায়?
    - মহিলারা কি এরকম হয় না?
    - কেন হবে না?কিন্তু তার সাথে মহিলা হবার কি সম্পর্ক? যার লোভ আছে সে লোভী। যার বদরাগ আছে সে বদরাগী। এর সাথে লিঙ্গ পরিচয়ের কি সম্পর্ক? তোদের টেক্সটে শাস্তি গল্পটা ছিল না?
    - ছিল।
    - মহিলাদের জীবনের ওরকমই মূল্যায়ন করা হয়। নারীবাদের লড়াইটা তারই বিরুদ্ধে। যে কোন লড়াইয়ের মতই এটাও দলবেঁধে করতে হয়। যেমন বাসে সবাই মিলে এককাট্টা হলাম বলে তো লোকটা পা সরাতে বাধ্য হল। আর লড়াই করতে গেলে রুদ্রমূর্তি ধরতেই হয়। যারা অন্যের অধিকার,স্বাধীনতা এসব দখল করে বসে আছে, তারা সে সবের দখল ছাড়বে কেন? আর যার ন্যায্য অধিকার সেই বা ছাড়বে কেন? আর লড়াকু মহিলাদের ওরকম দুর্গা প্রতিমার মতো পরিপাটি দেখতে হয় না। কাদাখোঁচার মতও দেখতে হতে পারে। তাতে লড়াইটা বদলায় না।
    - কিন্তু লোকে হাসলে?
    - হাসবে। হাসবে, বিদ্রূপ করবে,টিটকিরি দেবে। নারীবাদ শব্দটাই তো শ্লেষ মাখানো তির্যক হিসেবে ব্যবহার হয়।তাতে কোন ফারাক পড়ে না। লড়াই না করলে এসবের শিকার হতে হয় না?
    - আর, অনেক মেয়েরাও তো নারীবাদের বিরুদ্ধে। তারাও তো নারীবাদীদের বিদ্রূপ করে। সাপোর্ট করে না। কেন? ওরা বলে যে উগ্র নারীবাদ খারাপ।আর সেটাই চলছে। আসল নারীবাদ খারাপ না।
    - ওরা তো সব কুমোরটুলিতে গড়া, একদম নিখুঁত। খাপে খাপ পুরো। তাই পঞ্চার বাপেদের দুঃখ ওদের মত করে আর কেউ বোঝে না রে। তবে ওটা কোন চাপের কিছু নয়। এদের সাইড করেই সভ্যতা এগিয়েছে।
    - তাহলে কি আমিও নারীবাদী হতে পারি?
    - প্রয়োজনে লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার পাশে দাঁড়াবি। তবে নারীবাদের হেনস্থা দেখলে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়বি। ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্ত'তে বুনো শুয়োর তাড়ানোর জন্য কেমন ক্যানেস্তারা পেটানো হয়েছিল? ওরকম।তাগিদটা কিন্তু অনুভব থেকে আসা চাই। না হলে কিছুদিনের মধ্যেই হাঁপিয়ে উঠবি।
    - এই রে!
    - কি হল?
    -.......
    - কি হল?
    -.......
    - কি হলোওওওওও!
    - ইয়ে,মানে, ই.ই...ইন্দ্রনাথের দশটা মিসকল।
    - অ।
    - আসি?
    - এসো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ মার্চ ২০১৮ | ২১২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debarati Chatterjee | 127.227.89.67 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৫63945
  • না,না। দশমাসের মাফ চাই না। ওটাতো অভিমানের কথা।

    সর্বস্ববাদী হতে চাওয়ার মধ্যে চাওয়ার মধ্যেই একটা ঐশ্বরিক প্রবনতা আছে। কারো আলাদা করে কোন গুরুত্ব নেই। সর্বশক্তিমান মঙ্গলময় রাষ্ট্র।তাহলে আলাদা করে সংগঠনের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়? নিশ্চই মানবতাবাদী একটা উৎকৃষ্ট মতবাদ তবে যারা একে ভালো বলতে নারীবাদের প্রতি নাক সিঁটকায় তাদের মানবিক হতে এখনো অনেকটা বাকি।

    নারীবাদের প্রশংসাযোগ্যতা নিয়ে বিশেষভাবে ভীত। এটা কি কোন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, যে সবার প্রশংসার রেট মাথায় রেখে পারফর্ম করবে?

    নারীদের মধ্যেও শ্রেণীবিভাগ আছে।নিশ্চই আছে। তৃতীয় বিশ্বের নারীদের কাছে প্রথম বিশ্বের নারীদের গ্রহনযোগ্যতা কমেছে। দুই বিশ্বের নারীদের নিয়ে কি নুন চিনির জল গোলা হচ্ছিল?

    ক্যানেস্তারা না পিটিয়ে চাষীদের উচিত অপেক্ষা করা? যদি বুনো শুয়োরের সাথে বরাহ অবতারও চলে আসে,তাহলে অনেক সু পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। এমনিতেও দোষটা চাষীদের। তারা জঙ্গল কেটে ফসল বুনেছে। ওটা
    তো আদপে বুনো শুয়োরেরই এলাকা ছিল।
  • | 116.210.163.210 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৮63938
  • গল্পের ছলে বলার এই অ্যাপ্রোচ পছন্দ হল। আরেকটা ঢপের কথা আছে "আমি নারীবাদী না, মানবতাবাদী" :-))
    যাই হোক চলুক, সঙ্গে আছি।
  • কালকেতু | 55.249.82.93 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ০৯:০২63939
  • কেন? "নারীবাদী না, মানবতাবাদী" ঢপের কথা কেন? মানবতাবাদের মূল লক্ষ্য হল জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, যৌন অভিপ্রায় ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা। নারীবাদী তো মানবতাবাদী হওয়ার রাস্তাতেই কিছুটা এগোনো, তাই নয় কি? আসলে মানবতাবাদী হয়ে ওঠা সত্যিই ভীষণ কঠিন। সত্যি বলতে কি, কমিউনিস্ট, ক্যাপিটালিস্ট, পুরুষবাদী, নারীবাদী হয়ে ওঠার থেকে মানবতাবাদী হয়ে ওঠা অনেক অনেক বেশী কঠিন। মানুষের পরিচয় শুধু সে মানুষ - এইটা ভাবা যে মোটেই সহজ নয়। তাই চিরকালই 'মানবতাবাদ'-কে বড় বড় কথা বলে সরিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আজকে এমন একটা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের যুগে এসে পড়েছি আমরা যে প্রকৃত মানবতাবাদী হয়ে ওঠাই একমাত্র রাস্তা। আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি হয়তো এমন কাউকে দেখেছেন যে নিজেকে "নারীবাদী না, মানবতাবাদী" বলে দাবি করে, অথচ কাজের বেলায় অমানবিক কাজকর্ম করে থাকে। কিন্তু তাহলেও অবজেক্টিভলি মানবতাবাদের ওপর বিশ্বাস হারানো উচিত হবেনা। :)
    আর লেখাটার একটা লাইনের সাথে একমত হতে পারলাম না, বাকি লেখাটা চমৎকার - "তবে নারীবাদের হেনস্থা দেখলে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়বি। ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্ত'তে বুনো শুয়োর তাড়ানোর জন্য কেমন ক্যানেস্তারা পেটানো হয়েছিল? ওরকম।" কোনটা হেনস্থা আর কোনটা সমালোচনা বোঝা যাবে কি করে? ক্যানেস্তারা পিটিয়ে শুয়োর তাড়ানোর সময় শুয়োরটার অবস্থান না দেখেই জোর শব্দ করা হয়, যাতে ভয় পেয়ে শুয়োরটা পালিয়ে যায়। তেমনি যদি সমালোচনা-নির্বিশেষে সবই হেনস্থা বলে ধরে নিয়ে ক্যানেস্তারা পেটানো হয়, তাহলে মুশকিলটা হবে, প্রথম প্রথম যদি হাজারটা হেনস্থার মধ্যে একটা ঠিক সমালোচনা থাকে, সেটাও ক্যানেস্তারার শব্দে হারিয়ে যাবে। পরের দিকে দেখা যাবে একটা হেনস্থাকে তাড়াতে গিয়ে হাজারটা ঠিক সমালোচনার টুঁটি টিপে মারতে হচ্ছে। সে তো ধর্মীয় গোঁড়ামির সমান। আর ক্যানেস্তারা যতবার পেটাবেন, শুয়োর ততবার ফিরে আসবে। তারচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শুয়োর আসার পিছনের কারণটা খুঁজে দেখা।
    ধরুন কেউ একজন ভয়ানক নারীবিদ্বেষী, কিন্তু সে নারীবাদকে গালাগাল করলে নারীবাদের কিছু যাবে-আসবে না। আবার নারীবাদীরা তাকে গালাগাল করলেও তার কিছু যাবে-আসবে না। বরং খুঁজে দেখা দরকার কোন সামাজিক পরিমন্ডল থেকে একজন নারীবিদ্বেষী হয়ে ওঠে। সেইটাই শক্ত কাজ। ক্যানেস্তারা পেটাটা সহজ। কিন্তু শক্ত কাজ বলে সেটাকে এড়িয়ে গেলে লম্বা দৌড়ে নারীবাদের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী। মার্কসবাদীরা সমালোচনা না শোনার ভুলটা পদে পদে করেছেন, যার মাসুল তাঁদের দিতে হয়েছে।
    আরেকটা ব্যাপার বলে শেষ করি। নারীবাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্যভাবে সমানাধিকারের দাবিকে তুলে ধরেছিল। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ সেই উত্তরাধিকার বহন করতে কতটা সমর্থ হয়েছে সেটা ভাববার বিষয়। তার থেকেও বড় কথা নারীদের মধ্যেও শ্রেণীবিভাগ আছে। প্রথম বিশ্বে নারীদের অবস্থা অনেক ভালো তৃতীয় বিশ্বের তুলনায়। এমতাবস্থায়, প্রথম বিশ্বের নারীরা তৃতীয় ঢেউকে এগিয়ে নিয়ে যাবার তাগিদে হয়তো অনেক ভুলভাল কথা বলে ফেলছেন, যা তাঁদের ততটা ক্ষতি করছে না। ক্ষতিটা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের নারীদের। কারণ তৃতীয় বিশ্বে নারীবাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ এখনো যথেষ্ট সাফল্য লাভ করতে পারেনি। নারীবাদের নামে প্রথম বিশ্বের নারীবাদীদের ভুলভাল কথাবার্তা আদতে তৃতীয় বিশ্বে নারীবাদের গ্রহণযোগ্যতার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই ভারতবর্ষের মতো দেশে নারীবাদীদের দায়িত্ব এখন অনেক বেশী এবং তাঁদের কাজ করতে হবে তৃতীয় বিশ্বের নিরিখেই।
  • Debarati Chatterjee | 127.227.89.67 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ১১:৫৪63940
  • শুনেছি নারীবাদীদের আলাদা করে গুরুত্ব না দিয়ে মানবতাবাদী হতে পারলে নাকি ঈশ্বর পিরিয়ড মাফ করে।
  • de | 69.185.236.57 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ১২:১০63941
  • সব বাদীরা একসাথে মানবতাবাদী হয়ে উঠলে এতো রকম বাদের দরকারই হোতো না - সমানাধিকার, সবার জন্য, এই তো দাবী! এতো বাদীদের চাপে পড়ে সেই দাবীরই না দফারফা হয়!

    কালকেতুর যুক্তিজাল আমার ঠিকঠাক মনে হোলো -
  • ঠিক দেবারতি | 52.110.134.167 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ১২:২১63942
  • শুধু তাই নয়, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে তার পরের দশমাসও মাপ করে। যীশুজন্ম সম্ভব হয়।
  • de | 69.185.236.57 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ১২:২৬63943
  • মানে সেই মহাভারতের মতো - হাত থেকে রে বেরোচ্চে আর তারপরেই কোলে বাচ্চা - ঃ)

    তা ঈশ্বরটি কে এক্ষেত্রে?
  • কালকেতু | 55.249.82.93 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ১২:৪৮63944
  • "শুনেছি নারীবাদীদের আলাদা করে গুরুত্ব না দিয়ে মানবতাবাদী হতে পারলে নাকি ঈশ্বর পিরিয়ড মাফ করে।"
    সেটা করতেই পারে। কারণ ধর্ম আর রাজনীতি নিজেদের স্বার্থে কখন কাকে কিভাবে ব্যবহার করবে সেটার কোনো নিয়ম নেই। তবে কিনা ঐভাবে প্রকৃত মানবতাবাদী হওয়া সম্ভব নয়, মানবতাবাদের মুখোশের আড়ালে লুকোনো যায় মাত্র। সেরকম মুখোশ পরা 'নারীবাদী'ও আছে। তা বলে মানবতাবাদ বা নারীবাদ কোনোটাই ভুল হয়ে যায় না। শুধু যাঁরা সত্যিই সমানাধিকারের দাবীতে সরব হন, তাঁদের কঠিন কাজটা আরেকটু কঠিন হয়ে যায়। ধর্ম বা রাজনীতি যদি একজন মানবতাবাদীকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, একজন প্রকৃত মানবতাবাদীর কাজ হবে সেটার প্রতিবাদ করা। প্রকৃত নারীবাদীরাও নিঃসন্দেহে মানবতাবাদী। কারণ নারীবাদ আসলে মানবতাবাদের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ।
  • h | 212.142.93.59 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪২63948
  • ধরে নিচ্ছি এটা একটা সিরিজ হবে। হলেই মঙ্গল। মানুষের কাছে বিতর্ক নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর বিশেষ বড় কোন কাজ নেই। প্রকরণের দিক থেকে, আমার মেড ইজি স্টোরি টেলিং টা আমার কাছে খুব গ্রহণযোগ্য পন্থা না। মানে নারীবাদ সম্পর্কে শিখতে গেলে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে শিশুদের নারীবাদ , বা নারীবাদের অ আ ক খ গোছের লেখা লেখা পড়তে আগ্রহ পাবো না। মানে ছোটোদের লেনিন পড়ে পৃথিবীতে কারো কোন উপকার হয়েছে বলে মনে হয় না। এই অমর চিত্র কথা টেকনিকে আমার আগ্রহ নাই। অ্যানেকডোটাল লেখা শেষ পর্যন্ত একটা সিরিয়াল দেখে ভ্যালু জাজমেন্ট ছাড়া কি শেখায় সেটা তর্কাতীত কিনা আদৌ আমার সন্দেহ আছে। আর বিশেষ করে যখন লড়াই টা যখন মেয়েদের সম্মানের নয়, যুক্তিসঙ্গত চিন্তার বিরুদ্ধে ধেয়ে আসা মোহন ভাগবতীয় আক্রমণের বিরুদ্ধেও। তবু এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, দেবারতি কে অভিনন্দন, এই যে ছোটো থেকে বড় হলাম পুরুষ হিসেবে, মেয়েদের ভিউ পয়েন্ট , রাজনৈতিক ভিউ পয়েন্ট কিসুই শিখলাম না, এটা কোন কাজের কথা , আমাদের অনবরত ধাক্কা দেওয়ার কাজ করাটাই নারীবাদী দের কাজ, সেই কাজে যত লোক এগোয় তত ভালো।
  • h | 212.142.93.59 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৩63950
  • ** কোন কাজের কথা না
  • h | 212.142.93.59 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৩63949
  • *শুধু সম্মানের নয়
  • h | 212.142.93.59 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৭63951
  • মানবতাবাদ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা আমার হালকা কম, বাই দ্য ওয়ে ঃ-)))
  • এলেবেলে | 212.142.119.63 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ১০:৩৯63946
  • পড়লাম পুরোটা। গল্পের ছলে একটা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তবে ব্যক্তিগতভাবে নারীবাদীর থেকে মানবতাবাদী ব্যাপারাটাই ভালো লাগে। সমতা থাকে, সহমর্মিতা থাকে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকে। সব মানবতাবাদীই নারীবাদী কিন্তু সব নারীবাদী মানবতাবাদী নন। এটা দুঃখজনক হলেও কিন্তু সত্যি।

    বানান, যতিচিহ্ন এবং প্রয়োজনীয় স্পেস নিয়ে আরেকটু ভাবার অনুরোধ রইল।
  • Debarati Chatterjee | 127.227.25.30 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৩63947
  • ধন্যবাদ। মাথায় রাখব।
  • | 116.193.210.21 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৪63952
  • এঁজ্ঞে নারীবাদ লিঙ্গ নির্বিশেষে সব মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাস করে।
    নারীবাদের মূলমন্ত্র হলো সব লিঙ্গের সমান মর্যাদা আর অধিকার। এটা নারীবাদের একদম বেসিক।

    কিন্তু।।। কিন্তু।।। কিন্তু।।।
    আজকের দুনিয়ায় নারী ও পুরুষ এই দুই লিঙ্গের মধ্যে শক্তিগত তফাত আকাশপাতাল পুরুষ এখানে প্রথাগতভাবে শুধুমাত্র পুরুষ হওয়ার কারণে অবদমিত হয় না। নারী হয়। শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে জন্মলগ্ন থেকে অগণিত দেয়াল সমাজ দাঁড় করিয়ে দেয় তার চারপাশে।
    নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন নিজেকে।
    ■ আপনি কি প্রজনন অধিকারে বিশ্বাস করেন? (নারপুরুষ সকলেরই লিঙ্গ নির্বিশেষে জন্মানোর এবং জন্ম দান করার অধিকার রয়েছে এটা মানেন?)
    ■ আপনি কি একই কাজের জন্য নারী ও পুরুষের সমান পারিশ্রমিকের অধিকারে বিশ্বাসী?
    ■ পর্দায়, পত্রিকায় সব লিঙ্গ, বর্ণ আর গড়নের মানবশরীর দেখার অভ্যস্ততা থাকাটা প্রয়োজনীয় মনে করেন?
    ■ শিক্ষায় নারীর সম অধিকারে বিশ্বাস করেন? (পৃথিবীতে ৬ কোটিরও বেশি মেয়ে রয়েছে যাদের শিক্ষার ন্যূনতম সুযোগটুকু নেই।)
    ■ যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ করাটা জরুরি মনে করেন?
    ■ নারী নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানান?
    ■ কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদটিতে নারীকে ভাবতে পারেন?
    এগুলো মৌলিক লিঙ্গ সমতার (অসি এন্দের qউইত্য) প্রশ্ন। প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি আপনার জন্য "হ্যাঁ" হয়, তার মানে জানেন? তার মানে আপনি একজন নারীবাদী! পুরুষবিদ্বেষের সাথে এর কোনোই সম্পর্ক নেই। নারী, পুরুষ, কিংবা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ নারীবাদী হতে পারেন। যারা নিজেদের নারীবাদী না বলে 'মানবতাবাদী' ভাবতে ভালোবাসেন, তারাও জানুন নারীবাদ ছাড়া আসলে মানবতাবাদ সম্ভব নয়।

    এখন আপনি নারীবাদের বিরোধীতা করতেই পারেন, আপনার সেই বিরোধীতার অধিকারেও নারীবাদ বিশ্বাস করে। তবে কীসের বিরধীতা করছেন সেটা জেনে করুন।

    আর ... আর ... 'মানবতাবাদ' আসলে কীসের বিরুদ্ধে? নারীবাদ পুরুষতন্ত্রের বিরোধীতা করে, সেই তন্ত্রের বাহক পুরুষ, নারী কিম্বা তৃতীয় লিঙ্গ যিনিই হোন না কেন। একজন নারী কিম্বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও পুরুষতন্ত্রের বাহক/রক্ষকর্তা হয়ে দাঁরাতে পারেন। এই মানবতাবাদ কীসের বিরোধীতা করে? বাঘ সিংহ? নাকি এলিয়েন আক্রমণ? আর মানবতাবাদ এখনো পর্যন্ত কীসের কিসের বিরুদ্ধে লড়ে কী কী অধিকার দুনিয়ার সকল মানবের জন্য আদায় করেছে জানতে আগ্রহী থাকলাম।
  • | 116.193.210.21 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৯63953
  • এহ একগাদা বানান উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে।
  • Debarati Chatterjee | 127.227.59.173 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৭:৪৩63954
  • মানসিকতা উল্টোপাল্টা না হলেই হল। বানান চর্চার মাধ্যমে উন্নত করাই যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন