এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সব চরিত্র জ্যান্ত

    Debarati Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ মার্চ ২০১৮ | ১৯৯১ বার পঠিত
  • সব চরিত্র জ্যান্ত
    ............................

    দুটি অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ল। দুজনেই আমার থেকে বয়সে ছোট এবং আমার বন্ধু স্থানীয় ছিল। কলকাতার একটা শপিং মলে দুজনে সেলসে চাকরী পায়। সেই সূত্রেই আলাপ ও প্রেম। ছেলেটা জেলা থেকে আসা, গড়পরতা বাঙালীছাপ চেহারার ছেলে। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে। মা একা যতটা পেরেছে টেনেছে, এবার ছেলে দায়িত্ব নিয়েছে। মেয়েটা ভয়ানক ফর্সা, রূপসী। লেকটাউনে পুরনো বাড়ি। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে।বাড়ি প্রমোটর নিচ্ছে। প্রচুরটাকা আর একটা ফ্ল্যাট দিচ্ছে। মা একার দায়িত্বে যতটা পেরেছে টেনেছে।এবার মেয়ে দায়িত্ব নিয়েছে।

    ওদের প্রেম করতে দেখলে অনেকেই ক্ষেপে যেত। সুযোগ পেলেই গায়ে গা লাগিয়ে থাকা, কাঁধে মাথা,গলায় জড়ানো হাত। চুমু খাওয়ার আগের মূহুর্তের মত ঘন হয়ে বসা। টিফিন টাইমে এসব দেখলে সকলেরই মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে। ওরা আমার স্নেহভাজন না হলে হয়ত আমিও মুখ ব্যাঁকাতাম। তবে, মুখ না ব্যাঁকালেও, একটা আশঙ্কা আমার মন খারাপ করে দিচ্ছিল।

    ছেলেটার সাংঘাতিক আকর্ষণ ছিল বিদেশী মহার্ঘ বাইকের প্রতি। ছোটদের বিভাগে বিক্রির জন্য যে খেলনা বাইকগুলো রাখা থাকত,সারাদিন সেগুলোকে পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিত। এমনভাবে যত্ন করত যেন ওর ঘরের জিনিস। বাচ্চাদের হাতে যখন দিত মনে হত প্রাণ তুলে দিচ্ছে। কিন্তু আসল তো দুরের কথা, খেলনারই এত দাম, যে কিনবে ভাবলে ছ্যাঁকা লাগত। তবু,বৃথা আশা...। মু'মে রজনীগন্ধা, কদমোমে দুনিয়া। বাইকের বদলে তার পোস্টারে ঘরে ছেয়ে ফেলেছে,এমনই বলেছিল।এমন সময় সে প্রেমে পড়ল। মোহে প্রায়ান্ধকার দেখল। টার্গেট করে ফেলল, যে করে হোক মেয়েটাকে রাজী করাবেই। সব বন্ধুরা বাপের পয়সায় এগিয়ে থাকতে পারে কিন্তু এখানে ও হার মানবে না।বন্দনা, উপহার,স্তুতি সবই প্রয়োগ করল এবং একদিন শেষে, সে মেয়ে রাজী হল।

    মেয়েটার জীবনে বিশেষ কোন শখ ছিল না। টুয়েলভ পাশ করে চাকরী সে সংসারের তাগিদে করত।ও জানত,ওর বাবা থাকলে এটা ওকে করতে হত না। কলেজ পাশ,তারপর বিয়ে। এত রূপ অথচ বিয়ে না হয়ে চাকরী করতে হচ্ছে, এ যে কত বড় পরাজয় জীবনের কাছে,তা মানুষ নিজে বুঝতে না পারলেও, বোঝানোর জন্য আত্মীয়,প্রতিবেশী,আত্মীয়র প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর আত্মীয় এবং যতপ্রকারের সহকর্মী হয় পৃথিবীতে, সকলের সমবেত বুক চাপড়ে কান্নায় সহজেই জলের মত সহজ হয়ে যায় ব্যাপারটা।একটা হীনমন্যতা কাজ করে,মানুষ আড়ালে পালাতে চায়। এও তাই চেয়েছিল। আর নিজের শখ,সাধ নিজেই পূরণ করবে ভেবেছিল। এমন সময় প্রেম এল সবেগে।নাছোড়বান্দা। ছেলেটির প্রতি বিশেষ আগ্রহ না থাকলেও,উপহার ফিরিয়ে দিলেও, নিজের রূপ সম্পর্কে স্তাবকতা আর প্রশংসা সে এড়াতে পারল না। লাজুক মুখে একদিন জানাল, নিজেকে এত দামী ওর কখনো মনে হয়নি। এভাবে কেউ ওর জন্য উতলা হতে পারে সেটা ও ভাবতেই পারে না। একে ফেরানো যায় না।

    বহু মনীষী, আমাদের অনেকানেক নীতির কথা শোনালেও, একমাত্র ডারউইন জানেন গোপন কম্মটি। দুজনার মুখে গল্প শুনতে শুনতে, খুব সাবধানে, দুটি কথা বলেছিলাম, আলাদা, আলাদা করে দুজনকে। মেয়েটিকে বলেছিলাম - সামান্য প্রশংসার লোভে মিথ্যেকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।পরে অন্য কারোর প্রশংসায় সাড়া দিতে মন করলে বদনাম কুড়োতে হবে। ছেলেটিকে বলেছিলাম - কারো স্তাবকতা করে অনুদান পাওয়া যায়,কিন্তু ভালোবাসা পাওয়া যায় না।ব্যাথা পরে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়।বলা বাহুল্য এর পর তারা আর মনের কথা বলতে আসেনি কখনো।তবে রাস্তায় মাঝে মধ্যে দেখতে পেতাম।

    বহুদিন পরে আবার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল দুজনের সাথে। আলাদা আলাদা জায়গায়। নিজেরাই এগিয়ে এসে কথা বলেছিল। প্রথমে ছেলেটার সাথে দেখা,ওর জেলা শহরে। শপিং মলেই,ম্যানেজার হয়ে গেছে। বলল,মেয়েটা ছেড়ে চলে গেছে। যে বন্ধুর বাইকে চাপিয়ে ঘোরাত, সেই ছুড়ি মেরেছে। মেয়েটা বলে গেছে, ওর সাথে থাকতে পারবে না।স্ট্যাটাস নেই। প্রথমে খুব ভেঙে পড়েছিল, এখন ভালো আছে। বাগজোলা খালে তো জল কিছু কম বয় না।একবছর পরে মেয়েটার সাথে দেখা হয় সল্টলেকে। সে'ই কথা বলল। জিজ্ঞেস করলাম বাড়ির কথা,ছেলেটার কথা। জানাল যে ফ্ল্যাট পেয়ে গেছে। ওই ছেলেটার সাথে ব্রেকআপ করেছে। ওদের বাড়িতে ছেলেটা মাকে নিয়ে এসেছিল। সবাই বলেছে কাজের লোকের মত দেখতে। কোন জৌলুস নেই চেহারায়।ওরই এক বন্ধু যার বাইক নিয়ে ব্যবহার করত, এখন তার সাথে এনগেজ। এ সল্টলেকের ছেলে।স্মার্ট। অন্যের জিনিস নিয়ে ফুটানি দেখায় না। তাছাড়া কাছে থাকলে মাকে দেখতে পারবে।এইসব বকবক করল কিছুক্ষন।

    বাড়ি ফিরে মাকে বললাম। মা ওদের কথা শুনেছিল আমার মুখেই। তাই চিনত। সব শুনে ক্ষেপে গেল। বলল," মেয়েেটাকে ঠাস ঠাস করে চড় মারা উচিত।"
    -কেন?
    - কেন কি রে! এত বড় অসভ্যতা করল।
    - অসভ্যতা কি করল?
    - কি করল? স্বাধীনতার নামে একি আচরণ! স্বাধীনতা ভোগ করব কিন্তু কোন দায়িত্ব পালন করব না।
    - কি মুশকিল! স্বাধীনতার প্রসঙ্গ আসছে কেন? ও যদি স্বাধীনচেতাও হয়,সেটা কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে কি? আর কার প্রতি দায়িত্বের কথা বলছ? ও তো মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করতেই চায়।
    - ছেলেটাকে ঠকালো। ওর মাকে অপমান করল।
    - এই হচ্ছে স্বপন সাহার সিনেমা দেখার ফল। তুমি একসাথে শুনছো বলে এত হাইপার হচ্ছো। ঘটনাটা অনেকদিন ধরে ঘটেছে। আর ছেলেটার মা কোথাও সিনে নেই।
    - হুম।আর এই হচ্ছে নারীবাদী হবার ফল। শুধু মুখে মুখে তর্ক। আসল কথা এড়িয়ে যাওয়া।
    - এড়িয়ে কোথায় যাচ্ছি? ছেলেটা যে আগাগোড়া লাইফস্টাইল ফলো করতে গিয়ে দামী বাইক, রূপসী মেয়ে এসবের পেছনে ছুটল, সেটা দেখলে না? মেয়েটা তো ওকে আমলই দেয়নি কখনো।
    - হ্যাঁ। মেয়েটা মহান। ওর কোন দোষ নেই।
    - দোষ কারো নয় গো মা। দুজনেই অপরিণত আচরণ করেছে। জীবনে সমস্যা ছিল টাল সামলাতে পারেনি। রিলিফ খুঁজেছে। ভালোবাসা বলে কিছু ছিল না। যে আগে বেটার অপশন পেয়েছে বেরিয়ে গেছে। অন্যজন পাবলিক সিমপ্যাথি কুড়াবে। উল্টোটাও হতে পারত। সব বিষয়ে নারী স্বাধীনতা, নারীবাদ এদের কাঠগড়ায় তুলবে না। এরা অন্যের জন্য লড়ে। এখানে দুজনেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।
    -হুম।।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ মার্চ ২০১৮ | ১৯৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 116.210.196.75 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৭:০৩63987
  • হুমম
  • Debasis Bhattacharya | 160.129.65.181 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৭:৩৫63992
  • ভাল লেখা, দেবারতি । ক্যাচ লাইনটি হবে --- "দোষ কারো নয় গো মা" ("স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা" উহ্য থাকবে) ।
  • অর্জুন অভিষেক রায় | 55.124.5.5 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৭:৫০63988
  • এই নাকি তুমি লিখতে পারো না? খুব বাস্তবায়িত গল্প।

    ঋজু গদ্য। পড়া শুরু করলে শেষ করতেই হয়, এইটাই একটা ভাল লেখার গুণ। তোমার লেখায় সেটা পেলাম।

    আরো লেখ। পড়তে চাই। দেবারতি
  • pi | 57.29.181.134 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৭:৫২63989
  • মাধবীলতার ভাল কাউণ্টার ঃ)
  • Titli Pramanik | 109.253.58.62 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৭63993
  • মেয়েটি কি জানত না যে ছেলে টির মোটরবাইকটি ধারের ? মানে ছেলেটি কি সে কথা লুকিয়ে গেছিল? তবে মেয়ে টির খারাপ লাগা খুব ন্যায্য ়
  • দেবারতি | 127.227.33.85 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৯:২৬63990
  • ধন্যবাদ।অর্জুন।
  • দেবারতি | 127.227.33.85 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৯:২৭63991
  • বড়ই একতরফা ছিল। পাই।
  • Ishan | 202.189.129.16 (*) | ১৯ মার্চ ২০১৮ ১১:৫৬63994
  • মোটরবাইক নিয়ে মিথ্যে বললে অনর্থ ঘটবেই। এরকম না হলেও অন্যরকম। শোভন জানে।
  • সিকি | 233.189.170.40 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০১:১৬63996
  • স্রেপ, স্রেপ একটা মোটরসাইকেল জীবনের কত সিদ্ধান্ত চিরতরে গুবলেট করে দেয়।
  • pi | 57.29.149.40 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৬64003
  • 'এত রূপ অথচ বিয়ে না হয়ে চাকরী করতে হচ্ছে, এ যে কত বড় পরাজয় জীবনের কাছে,তা মানুষ নিজে বুঝতে না পারলেও, বোঝানোর জন্য আত্মীয়,প্রতিবেশী,আত্মীয়র প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর আত্মীয় এবং যতপ্রকারের সহকর্মী হয় পৃথিবীতে, সকলের সমবেত বুক চাপড়ে কান্নায় সহজেই জলের মত সহজ হয়ে যায় ব্যাপারটা।একটা হীনমন্যতা কাজ করে,মানুষ আড়ালে পালাতে চায়। এও তাই চেয়েছিল। '

    এটি একটি মোক্ষম অব্জার্ভেশন। আচ্ছা, মেয়েটি চাকরিবাকরি করার পরেও তাই ভাবত? বিয়ে হলে চাকরি ছাড়বে? চাকরিবিহীন জীবন বাই চয়েস নেবে?
  • Debarati Chatterjee | 127.227.124.135 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৩:১০64004
  • @পাই, সেলসের চাকরীতে খাটনি প্রচুর। বিশেষ করে শপিং মলে। ঠায় দাঁড়ানো।মেয়েরা চাকরী পেলে চট করে ছাড়তে চায় না। কিন্তু চোখ ফোটার থেকেই যে সংস্কারের পুরিয়া খাওয়ানো হয়। তার সাইড এফেক্ট কাটানো সহজ নয়।
  • dc | 132.164.80.233 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩২63997
  • বাঃ বেশ প্র্যাক্টিকাল আর সংক্ষিপ্ত একটা প্রেমকাহিনী।

    তবে বন্ধুর বাইক ভাড়া করে মেয়ে পটাতে গেলে এরকম হবার সম্ভাবনাই বেশী। প্রায় এরকমই একটা গল্প আমি বেশ কাছ থেকে দেখেছি।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪৮63998
  • বেশ ফ্লো লেখার - তরতরিয়ে পড়ে ফেলা যায় - বাকিটা নিয়ে কি আর বলবো - এ তো আকচার দেখচি - দু তরফেই -
  • Titli Pramanik | 109.253.58.62 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩৮64005
  • দেবারতি , আমি ঠকানোর কথা বলিনি খারাপ লাগার কথা বলেছি, দুটো সম্পূর্ণ আলাদা | যেমন ধরুন কাঠি আইসক্রিম আধখানা খাওয়ার পর গলে রাস্তায় পরে গেলে খারাপ লাগে কিন্তু সেটা ঠকানো নয় | যাই হোক মেয়েটি কি জানতো যে মোটরবাইক টি ধারের ?
  • h | 52.110.143.4 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৯63999
  • এই গল্প টা ফ্রিজ বা এসি বা মারুতি গাড়ি বা ওয়ান বি এইচ কে নিয়ে লিখলে খামোখা মোটরবাইকের দুন্নাম হত না। এ কথা আমার নিজের কথা না।শোভন বলেছিল।
  • r2h | 132.167.182.60 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৯:০৪64006
  • বিয়ে না করে চাকরী করতে হচ্ছে, এটা খারাপ - এই জিনিসটা ত্রিপুরাতে দেখিনি, যতদিন ছিলাম। পড়াশোনা শিখেছো মানে আর কিছু না হোক এম্প্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নামটা তো লেখাতেই হবে, এইরকম একটা ব্যাপার ছিল, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ। যদিও চাকরী তুলনায় কম, সরকারী চাকরী ছাড়া কিছু নেই, এরকম ছিল।
    স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে, যারা এখনো ত্রিপুরায় আছে - মেয়েরা, কারো কথাই মনে করতে পারছিনা যে চাকরী করেনা, যারা করেনা তারা সব প্রবাসী।

    হয়তো সংখ্যাগুরু পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষের আর্থিক চাপ, অনিশ্চয়তা বেশী এইসব বলে। এখন কেমন কে জানে।
    অবশ্য কতটুকুই বা দেখেছি।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৯:১০64007
  • ওরে বাবা, আমি তো এরকমও শুনেছি, খোদ বৃহত্তর কলিকাতায়, মেয়েটা নিজেই বলছে, "সুন্দরী হয়ে আমার লাভটা কী হল যদি বিয়ে না করে চাকরিই করতে হয়?"
    সিন্ডারেলা সিন্ড্রোম। রাজপুত্র এসে সুন্দরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে, তারপরে বিয়ে হয়ে সে হবে রাণী( বিয়ের সময়েই রাজপুত্রের বাবা ছেলেকে রাজত্ব দিয়ে দিয়েছেন এটা ধরে নেওয়া হয়)। অতঃপর তাহারা "সুখে শান্তিতে বাস করতরে লাগল।"
    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ০৯:১১64008
  • করতে।
    করতরে না।
    ঃ-)
  • pi | 57.29.176.53 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১০:২৮64000
  • অন্যের ফ্রিজ বা এসি টা চাপের। মানে স্পেয়ার না হলে। তাহলে অন্যে কী ব্যবহার করবে?
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১০:২৯64009
  • এই সব কিছুর জন্যই রোবিন্দোনাথের ন্যাকামো মার্কা কবতে আর গান দায়ী। আমি এখন অ্যান্টি-রোবিন্দো মুডে আছি।
  • Atoz | 161.141.84.119 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১০:৪৪64010
  • শেক্সপীয়ারই বা কম কী? ভাবুন, ওফেলিয়া টোফেলিয়া জুলিয়েট টুলিয়েট দের কোনো চয়েসই নেই জাস্ট পেরেম পীরিত আর বিয়ে ছাড়া।
    অথচ এই লেখকের আমলেই প্রথম এলিজাবেথ তুমুলভাবে রাজত্ব সামলাচ্ছেন, তিনি রীতিমতন ঘোষণা দিয়ে অবিবাহিতা থাকা মহিলা।
    কিন্তু তাতে কিচ্ছু যায় আসে নি, অডিয়েন্স তখনও সেসব গ্রহণ করতে রাজি ছিল না বোঝাই যাচ্ছে। হয়তো বলতো, "মহারাণীর ব্যাপার আলাদা"
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১২:৪৮63995
  • আরে মানুষ এরকমই হয়। স্বার্থপর। ঠিকই আছে।

    সে ছেলেও কয়েকদিন সুন্দরী মেয়ে নিয়ে ঘুড়লো। মেয়েটাও কয়েকদিন রিলিফ পেলো, আবার যথা সময়ে ফুটিয়েও দিলো ভালো পাত্তর পেয়ে। যে ছেলেটা বাইক ধার দিয়েছিলো, সেও সময় মত দাঁও মেরে নিলো। বাকিরা মজা পেলো, রসালো গল্প পেলো। আপনিও এই নিয়ে একটা ভালো লেখা লিখে কুডোজ নিলেন। আপনার মাও সেই নিয়ে আপনাকে বকে দিলেন। আমিও নিজেকে মহান ও বুদ্ধিমান প্রমাণ করার জন্য এই কমেন্টটা দিয়ে দিলাম।
  • Debarati Chatterjee | 127.227.124.135 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৫64001
  • @তিতলি, এখানে কেউ কাউকে ঠকাচ্ছে না। অগ্রাধিকার বদলে যাচ্ছে। তার কারন বোধহয় ভালোবাসা না থাকা।
  • Debarati Chatterjee | 127.227.124.135 (*) | ২০ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৮64002
  • কতজন মতামত দিয়েছে। ভালো লাগছে।
  • Koushik Ghosh | 55.64.220.205 (*) | ২১ মার্চ ২০১৮ ০৪:৫৩64011
  • স্বচ্ছ জীবন দর্শন এবং সাবলীল গদ্যভঙ্গি লেখাটিকে অনবদ্য করে তুলেছে।
    বন্ধুর প্রতিবেশী আর প্রতিবেশীর বন্ধু ব্যাপারটা আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝি।
    আপন করে নিল লেখাটির 'দরদী বকাটে' ভঙ্গিমা।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৭64012
  • 'দরদী বখাটে' টা খুব আপ্ট হয়েছে ঃ)

    আরো কিছু লেখার আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন