এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মৎস্য পুরান

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ আগস্ট ২০১৭ | ১১৪৫ বার পঠিত
  • মৎস্য পুরান (১)
    ----------------------
    সেদিন ভোররাতে একটা পুরোনো সপ্ন দেখলো মিতুল। স্বপ্ন না বলে বহুযুগ আগের স্মৃতি ভেসে ওঠার মতো ব্যাপার মনে হলো। একটা আড়েবহরে তিনফুট বাই চারফুটের একুরিয়ামের কাঁচের ওই পাশে একটা গোল্ডফিস। প্রায় স্থির চোখে তাকিয়ে আছে। সাইজে প্রায় মিতুলের মাথার সমান বড়ো।
    ***
    একুরিয়ামটা যেরকম মিতুলদের পুরোনো বনেদি বাড়ির টানা বারান্দার পশ্চিম কোনে থাকতো। ইস্কুল থেকে বিকেল তিনটের দিকে ফিরে কাঁধের ব্যাগ (যার ওজন প্রায় মন খানেক মনে হতো তখন) হেঁইও বলে ঘরে ছুঁড়ে ফেলে , একুরিয়ামের সামনে ছুট্টে আসতো মিতুল। প্রায় ইঞ্চি পাঁচেক বা তার চেয়েও একটু বড়ো হবে সেই একটা গল্ডফিস, যার নামছিলো গুল্লু , তড়বর করে সাঁতরে আসতো মিতুলের কাছে। ঝুমকো পাখনা আর ঝুমকো লেজ ছিল মাছটার। পিঠের কাছে উজ্জ্বল হলদে রং। মিতুল একুরিয়ামের বাইরের কাঁচে যেখানে হাত রাখতো সেখানে-ই ঠোক্কর মারতো গুল্লু। তারপর গুৰুস করে সাঁতরে জলে-র ওপরে মুখ হাঁ করে , আবার সোঁ করে নেমে আসতো। ভাবটা এরকম , "কি রে ? এলি ? কেমন আছিস ? ইস্কুল হলো ? এবারে কিছু খৈলগুঁড়ো(মাছের খাবার)দে তো , হেব্বি পেট চুঁইচুঁই করছে"। তো খাবার দিতো মিতুল। মাঝে মাঝে একুরিয়ামের ভেতর থেকে মিতুলের নাকের কাছে এসে একজায়গায় স্থির হয়ে পাখনা নাড়তো। যদিও মাছের চোখের চামড়া নেই , কিন্তু মিতুলের মনে হতো বুঝি চোখ মারছে। আর মুখে একটা খিলখিল হাসি। কিন্তু অবাক কান্ড , মিতুল ছাড়া অন্য কেউ এলে গুল্লুর পাত্তা পাওয়া যেত না। মিতুলের বন্ধুরা একুরিয়ামের কাঁচে টকাস টকাস করে টোকা মেরে প্রায় ভেঙে ফেলার জোগাড় করলেও গুল্লু কোনায় জলের ভেতর রাখা কৃত্তিম ঘাসের জঙ্গলের পেছনে লুকিয়ে থাকতো।

    মিতুলদের পাশের বাড়ির দীননাথকাকুর মেয়ে ছিল টুম্পা। বিকেলের দিকে ডাকতে আসতো মিতুলকে। ফর্সা গোলগোল মেয়েটা। মাঝে মাঝে হলদে ফ্রক আর হলদে হেয়ার ব্যান্ড যখন পরতো , অবিকল গুল্লু-র কথা মনে হতো মিতুলের। তফাৎ শুধু এই যে , টুম্পার সাথে আইস-বাইস বা চোর-পুলিশ বা পিট্টু খেলা যায় , গুল্লু'র সাথে যায় না।
    ***
    ঘুম ভেঙ্গে মিতুল দ্যাখে ভোর হয়েছে , আপিস যেতে হবে। তবে এরকম একটা স্বপ্নের মানে কি খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ মনে হয় , কাল রাতে ওর টিনেজার মেয়ে , ওকে 'গোল্ডফিস মেমোরি' বলে আওয়াজ দিয়েছে। কারণ মিতুল নাকি ওর 'ক্লাস টেস্ট কেমন হয়েছে' , এটা নাকি গত পাঁচদিনে চারবার জিজ্ঞেস করেছে । গোল্ডফিশের নাকি তিনমিনিটের স্মৃতি শক্তি । মিতুল-ও নাকি কম যায় না।

    তবে মিতুল এটাও জানতো ছোট বেলায় , আর আজ এই স্বপ্ন দেখে আবার সেই স্মৃতির সাথে ভেসে উঠলো , যে তিনমিনিটের স্মৃতি শক্তি হলে কি হবে , গোল্ডফিস নাকি মানুষবন্ধু চেনে , যেমন গুল্লু চিনতো মিতুলকে।
    ,
    মৎস্য পুরান (২)
    ----------------------------
    প্রভিন্সিয়াল পার্কের গেট থেকে তিন কিলোমিটার মতো গেলে রাস্তা হঠাৎ ঢালু হয়ে নেমে গেছে একটা তিরতিরে জলের ধারার উপরদিয়ে কালভার্ট ব্রিজে। ব্রিজের দৈর্ঘ্য পঞ্চাশ ফুট মতো। তারপরে আবার চড়াই-এ উঠে গ্যাছে রাস্তা। ব্রিজ পেরিয়ে ডান হাতে একটা পার্ক করার জায়গা। তাতে পাঁচ/ছটা গাড়ি দাঁড়াতে পারে। পার্কিং লটের পাশে একটা সাইনবোর্ড। সবুজের ওপর হলুদ রং-এ মাছের ছবি আঁকা আর তীরচিহ্ন দিয়ে জঙ্গলের দিকের পায়ে চলার রাস্তার দিকে তাকে করা। মানে ফিসিংজোন। বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটা পথ শেষ হয়েছে , ওই তিরতিরে জলধারার আপস্ট্রিমে-এর পাশে একটা সমতল জায়গায়। এখন থেকে জলে নামলে , নদীর মাঝেমাঝি পর্যন্ত খুব বেশি হলে কোমর সমান জল। সমতল জায়গাটা নুড়ি পাথর আর ছোট ছোট আগাছা ভরা। পরিভাষায় যাকে বলে আলপাইন জঙ্গল , তাতে মিশে গ্যাছে সমতল জমিটুকু আর নদীর উল্টোদিকের পার। জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিন চারজন অত্যাৎসাহী মাছ ধরিয়ে। সবার মাথায় ক্যাম্বিসের টুপি। কোমর পর্যন্ত সাস্পেনডার বাঁধা রবারের প্যান্ট। হাতে ছিপ। তবে ছিপ গুলো ঠিক আমাদের দেশীয় নয়। ফিশংরড গুলো ছোট , আর সুতো গুলো খুব লম্বা। ফাৎনা হৈ দূরে জলের মধ্যে। নিজেদের মধ্যে হেঁড়ে গলায় একটা দুটো মস্করা করছে লোকগুলো , কিন্তু দৃষ্টি জলের দিকে। ফিসিং গিয়ার, মাছের চার , কৌটো , এসব ইতিউতি ছড়িয়ে আছে সমতল জায়গাটায়। এই তিরতিরে নদীটা একটা কোনো বড়ো প্যাসিফিক খাঁড়ি থেকে উৎপত্তি। এই জল ধারার উজান স্রোত কোনো পাহাড়ের কোলে গিয়ে শেষ হয়েছে হয়তো।

    এটা মে মাসের মাঝামাঝি । স্যামন ফিসিং-এর ভরা মরসুম। স্যামন মাছের একটা খূব নির্দিষ্ট জীবন বৃত্ত আছে। যেখানে জন্মায় বড়ো হয় , যৌবনের টানে সেখান থেকে সাগরপারি দেয় , আবার পূর্ণ বয়স্ক স্যামন ফিরে আসে জন্ম ভিটায় , বংশ রক্ষার টানে। তো , এপ্রিল - মে মাস হলো সেই সময় , যখন পূর্ণ যৌবন স্যামনরা ঘরে ফেরে ঘর বাঁধার আশায়।

    জঙ্গলের মধ্যে আরো ঘন্টা খানেক হাইকিং করে ফিরে আসার সময় মিতুলরা দ্যাখে তখন-ও মাছওয়ারি চারমূর্তি ছিপ নিয়ে মশগুল। ঠিক এই সময় একজনের ফাৎনা খাবি খায়। ঘাই মারে লোকটা। বঁড়শিতে প্রায় তিন থেকে চার কিলো ওজনের রুপোলি স্যামন খাবি খাচ্ছে।

    কেমন একটা ঘোর লাগে মিতুলের। হঠাৎ মনে হয় স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে , বঁড়শিতে গাঁথা প্রমান সাইজের স্যামন কথা বলেছে। "ছেড়ে দে মাইরি , প্লিজ ছেড়ে দে আমায়, বাড়ি ফিরতে হবে , বাচ্চা বিয়োতে হবে রে , ঘর বাঁধা বাকি , ছেড়ে দে প্লিজ " ...
    ****
    জুরিখ থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার উড়ানে , মধ্যে তিরিশের এক আফ্রিকান যুবকের সাথে আলাপ হয়েছিল মিতুলের। সুদানিজ। পরিবার বেশ কিছুদিন আমেরিকার বাসিন্দা। বহুকষ্টে ভিসা জোগাড় করে আমেরিকায় যাচ্ছিলো ছেলেটা। পরিবারের কাছে। হয়তো কোনো নতুন ভবিষ্যতের আসায়। আট ঘন্টার উড়ানে পাশাপাশি বসার সুযোগে , এইসব জেনেছিলো মিতুল। নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্টের ইম্মিগ্রেশন -এর লাইনে মিতুলের আগে লোকটা কাউন্টারের দিকে এগোয়। হয়তো কিছু গোলমাল ছিল ওর কাগজ পত্তরে , হয়তো বা কিছু গোঁজামিল। এয়ারপোর্ট মার্শাল পুলিশ ওকে এস্কর্ট করে নিয়ে যায় স্পেশাল এনকোয়ারির জন্য।

    যাওয়ার আগে লোকটা পেছন ঘুরে একবার মিতুলের দিকে তাকায়।

    অবিকল এইরকম ছিপে গাঁথা স্যামন মাছের মতো ....
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ আগস্ট ২০১৭ | ১১৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 208.169.6.50 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৭ ০২:২৫60707
  • হু , ণ হবে । কিন্তু এখন আর ঠিক করার সুজোগ নেই ঃ)
  • b | 24.139.196.6 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৩৬60708
  • হাচ্চালিয়ে একটু পুরনো অসমাপ্ত লেখাগুলোকে শেষ করতে পারেন তো।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৭ ১২:৪২60706
  • বাইনারি,
    ভালো লাগল। পুরান গুলো পুরাণ করে দেবেন পারলে।ণ তো পুরাণে-তাই না?
    লিখবেন নিয়মিত।
    ছোটাই।
  • সিকি | 158.168.96.23 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৭ ০৩:২২60709
  • পড়ে ফেললাম। দারুণ।
  • Rabaahuta | 233.186.186.168 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৭ ০৭:৫৭60710
  • পড়লাম।
  • শঙ্খ | 52.110.137.108 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৭ ০৮:০৫60712
  • বাহ, আলাদা আলাদা কনটেক্সট দিয়ে শুরু করে একটা জায়গায় গিয়ে কনভারজ করলো। ভালো হয়েছে।
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৭ ১২:১৪60711
  • বেশ লেখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন