এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আধার এবং

    Arin Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ এপ্রিল ২০১৭ | ১৫৬২ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা গেছিলাম। আমাদের এখান (নিউজিল্যান্ড) থেকে কলকাতা যেতে অনেকটা সময় লাগে, সিঙগাপুর হয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত বারোটা। পরের দিন সকালে উঠে সেল ফোনে স্থানীয় সিম কার্ড ভরব বলে পাড়ায় একটি দোকানে সিম কার্ড কিনতে গেলাম। দোকানের ছেলেটিকে অনেকদিন ধরে চিনি, প্রতি বার গেলে এর কাছ থেকেই কিনি।

    বলল, "দাদা, আধার কার্ড দিজিয়ে, ফটাফট হো জায়গা", আজকাল কলকাতায় দেখলাম সবাই খুব ফটাফট, স্যাটাস্যাট এইসব কথা ব্যবহার করে (মনে হয় প্রোডাকটিভিটী বেড়ে দিল্লির লেভেলে হয়েছে)। আমার আধার কার্ড নেই, খুব সম্ভবত বিদেশে করাও যায় না। জানাতে বলল, আপনি অমুক পার্কের গায়ে দেখবেন আপিস, ওখানে অ্যাড্রেস প্রুফ নিয়ে যাবেন, "ফ***ট" হয়ে যাবে।

    যাই হোক, সেদিন আর করে উঠতে পারিনি, পরের দিন পার্কের ধারের দোতলা বাড়িতে গেলাম। বাড়ির সামনে ভিড়, ছোট্ট একটা কোলাপসিবল গেটের ভেতর কয়েকজন বসে গল্প করছিল, বলল, তিন নম্বর ঘরে যান, আধারের ছবি তুলবেন?

    বহুদিন প্রবাস জীবনে থাকতে থাকতে সরকারী কর্তাদের ঔদ্ধত্য আর অভদ্রতার ব্যাপারটা প্রায় ভুলে গেছিলাম। তবে মনে পড়ে না কলকাতাতেও এরকম অভদ্র ব্যবহার এর আগে শেষ কবে দেখেছি।

    তিন নম্বর ঘরের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি করতে এসেছেন, কি চাই? আমি বললাম আধারের কার্ড করাতে এসেছি। শোনা মাত্রই খেঁকিয়ে উঠলেন, "এতদিন কি করছিলেন? ঘুমোচ্ছিলেন? জুলাই মাসে আধার কার্ডের অভিযান হল, তখন আসেন নি কেন?"
    বললাম, "দেখুন স্যার বড়বাবু, ভুল হয়ে গেছে, তাছাড়া এখানে থাকি না তো, তাই (;-), মগনলালের চেলাদের "ভুল হো গয়ি সরকার, মাফ কিজিয়ে সরকার! স্টাইলে)"। ভদ্রলোকের কি মনে হল কে জানে, একটা ফর্ম ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান, এটা ভরে নিয়ে আসবেন। অমুক দিন (সে বেশ কয়েক দিন পরে, তখন আমার প্রায় কলকাতা ছাড়ার সময়)।

    নির্দিষ্ট দিনে যখন গেলাম, তখন সেই অফিসে লম্বা লাইন। আগের দুদিন ছুটি ছিল হয়ত। ফর্মের প্রিন্ট আউট-টাতে বেশ ছোট ছোট করে দাগ কাটা, হয়ত অনলাইন ভরার মত করে ডিজাইন করা। আমার মিডিয়াম নিবের ফাউন্টেন পেন দিয়ে ভরতে গিয়ে লেখাগুলো সব মাপ মতন ঘরে ঘরে ঠিক ঠিক করে পড়েনি। ভদ্রলোক আবার খেঁকিয়ে উঠে বললেন, দাগে দাগে দেখে লিখতে পারেন না? যত্তসব! দেখলাম, শুধু আমি নই, সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গেই এইরকম আচরণ করছেন (হয়ত রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি ওনার, শরীর খারাপ)। আমাকে ফর্মটা প্রায় ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান ওখানে গিয়ে দাঁড়ান। ছবি তোলা হবে। তখনো জানতাম না, দাঁড়ান মানে প্রায় চার ঘন্টার অপেক্ষা।

    জায়গাটা একটা হলঘর, তাতে ইতস্তত বেনচ পাতা, কেউ কেউ বসছেন, কেউ দাঁড়িয়ে। কোথাও খাবার জলের বন্দোবস্ত আছে বলে মনে হল না। টয়লেট কোথায় তাই বা কে জানে?

    দেখলাম, যারা আধার কার্ড করতে এসেছেন, বেশির ভাগই চেহারা পোষাক আষাক দেখে মনে হয় খুব গরীব। বহু নিরক্ষর (কারণ অপেক্ষা করতে করতে এদের অনেকের কার্ডের লেখা ভরে দিয়েছি), মহিলা, ছোট শিশুও বেশ কয়েকজন। তাছাড়াও বৃদ্ধ বৃদ্ধা, অনেকেই তাঁদের বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের হাত ধরে এসেছেন। আমার সামনে এক ভদ্রলোক তাঁর আশি বছরের বৃদ্ধা মা কে নিয়ে এসেছেন, তিনি কয়েকদিন আগে রিটায়ার করেছেন। মায়ের কার্ড করা হবে তাই নিয়ে এসেছেন। এঁরা সবাই তিন চার ঘন্টা অপেক্ষা করবেন, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কোন আলাদা লাইনের বন্দোবস্ত নেই। আমি অপেক্ষা করতে করতে অবাক হয়ে ভাবছিলাম আমাদের দেশে গরীব বা সাধারণ মানুষের কি অসীম ধৈর্য! কিন্তু গরীব অশিক্ষিত মানুষের প্রতি সরকারী কর্তাদের যে কি অভদ্র আচরণ, কহতব্য নয়। কর্তারা নিজেরা হ্যাহ্যা হিহি করছেন, দফায় দফায় টিফিন ব্রেক নিচ্ছেন, কিন্তু আমরা যারা ক্যাটল ক্লাস ভারতীয়, তাদের সঙ্গে গলা তুলে কি অবলীলাক্রমে অভদ্রতা করে চলেছেন। (:-), এর কিছু ছবি আমি twitter এ পোস্ট করেছিলাম, ;-) বেশ খোরাক হয়েছিল সে সময়)।

    আমার টার্ন যখন এল, যে ভদ্রমহিলা ছবি তুলছিলেন একটা ল্যাপটপে সামনে একটা ফিঙ্গারপ্রিনট রিডার, আর ল্যাপটপের মাথায় সস্তার ওয়েবক্যাম। যে কেউ আমার যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন, ভিড়ে গিজগিজ করছে। ছবি তুলতে গিয়ে হঠাৎ বললেন, এ কি দু কপি অ্যাড্রেস প্রুফ কোথায়? যান, জেরক্স করে আনুন, তারপর ছবি তোলা হবে। হল না, হলে থেকে বেরিয়ে ফটোকপি করতে যেতে হল। যখন ফিরে এলাম ততক্ষণে ছবি তোলা বন্ধ হয়ে গেছে। ভদ্রমহিলা ল্যাপটপ গুছিয়ে নিয়ে উঠে গেলেন, বেরোনর সময় বলে গেলেন, কাল সকালে ফার্স্ট আওয়ারে আসবেন।

    পরের দিন যখন গেলাম, আবার সেই লম্বা লাইন, ওই সকালে। অনেকক্ষণ দাঁড়াবার পরে যখন কোলাপসিবল গেট খুলল, তখন জানানো হল আজ আর ফটো তোলা হবে না, সামনের সপ্তাহে আসবেন। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। কেন জিজ্ঞেস করতে কোন উত্তর পাওয়া গেল না।
    আমার হাতে আর সময় ছিল না। ততদিনে ফিরে আসার সময় হয়ে গেছে।

    আমার আধার কার্ড করা হয়নি, হয়ত কোনদিন আর হবেও না।

    গতকাল দেখলাম নন্দন নিলেকানি বলেছেন, যারা আধার কার্ডের বিরোধিতা করে তারা গোয়েববেলসিয় লেফট লিবেরাল ইত্যাদি।

    গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা গেছিলাম। আমাদের এখান (নিউজিল্যান্ড) থেকে কলকাতা যেতে অনেকটা সময় লাগে, সিঙগাপুর হয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত বারোটা। পরের দিন সকালে উঠে সেল ফোনে স্থানীয় সিম কার্ড ভরব বলে পাড়ায় একটি দোকানে সিম কার্ড কিনতে গেলাম। দোকানের ছেলেটিকে অনেকদিন ধরে চিনি, প্রতি বার গেলে এর কাছ থেকেই কিনি।

    বলল, "দাদা, আধার কার্ড দিজিয়ে, ফটাফট হো জায়গা", আজকাল কলকাতায় দেখলাম সবাই খুব ফটাফট, স্যাটাস্যাট এইসব কথা ব্যবহার করে (মনে হয় প্রোডাকটিভিটী বেড়ে দিল্লির লেভেলে হয়েছে)। আমার আধার কার্ড নেই, খুব সম্ভবত বিদেশে করাও যায় না। জানাতে বলল, আপনি অমুক পার্কের গায়ে দেখবেন আপিস, ওখানে অ্যাড্রেস প্রুফ নিয়ে যাবেন, "ফ***ট" হয়ে যাবে।

    যাই হোক, সেদিন আর করে উঠতে পারিনি, পরের দিন পার্কের ধারের দোতলা বাড়িতে গেলাম। বাড়ির সামনে ভিড়, ছোট্ট একটা কোলাপসিবল গেটের ভেতর কয়েকজন বসে গল্প করছিল, বলল, তিন নম্বর ঘরে যান, আধারের ছবি তুলবেন?

    বহুদিন প্রবাস জীবনে থাকতে থাকতে সরকারী কর্তাদের ঔদ্ধত্য আর অভদ্রতার ব্যাপারটা প্রায় ভুলে গেছিলাম। তবে মনে পড়ে না কলকাতাতেও এরকম অভদ্র ব্যবহার এর আগে শেষ কবে দেখেছি।

    তিন নম্বর ঘরের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি করতে এসেছেন, কি চাই? আমি বললাম আধারের কার্ড করাতে এসেছি। শোনা মাত্রই খেঁকিয়ে উঠলেন, "এতদিন কি করছিলেন? ঘুমোচ্ছিলেন? জুলাই মাসে আধার কার্ডের অভিযান হল, তখন আসেন নি কেন?"
    বললাম, "দেখুন স্যার বড়বাবু, ভুল হয়ে গেছে, তাছাড়া এখানে থাকি না তো, তাই (;-), মগনলালের চেলাদের "ভুল হো গয়ি সরকার, মাফ কিজিয়ে সরকার! স্টাইলে)"। ভদ্রলোকের কি মনে হল কে জানে, একটা ফর্ম ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান, এটা ভরে নিয়ে আসবেন। অমুক দিন (সে বেশ কয়েক দিন পরে, তখন আমার প্রায় কলকাতা ছাড়ার সময়)।

    নির্দিষ্ট দিনে যখন গেলাম, তখন সেই অফিসে লম্বা লাইন। আগের দুদিন ছুটি ছিল হয়ত। ফর্মের প্রিন্ট আউট-টাতে বেশ ছোট ছোট করে দাগ কাটা, হয়ত অনলাইন ভরার মত করে ডিজাইন করা। আমার মিডিয়াম নিবের ফাউন্টেন পেন দিয়ে ভরতে গিয়ে লেখাগুলো সব মাপ মতন ঘরে ঘরে ঠিক ঠিক করে পড়েনি। ভদ্রলোক আবার খেঁকিয়ে উঠে বললেন, দাগে দাগে দেখে লিখতে পারেন না? যত্তসব! দেখলাম, শুধু আমি নই, সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গেই এইরকম আচরণ করছেন (হয়ত রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি ওনার, শরীর খারাপ)। আমাকে ফর্মটা প্রায় ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, যান ওখানে গিয়ে দাঁড়ান। ছবি তোলা হবে। তখনো জানতাম না, দাঁড়ান মানে প্রায় চার ঘন্টার অপেক্ষা।

    জায়গাটা একটা হলঘর, তাতে ইতস্তত বেনচ পাতা, কেউ কেউ বসছেন, কেউ দাঁড়িয়ে। কোথাও খাবার জলের বন্দোবস্ত আছে বলে মনে হল না। টয়লেট কোথায় তাই বা কে জানে?

    দেখলাম, যারা আধার কার্ড করতে এসেছেন, বেশির ভাগই চেহারা পোষাক আষাক দেখে মনে হয় খুব গরীব। বহু নিরক্ষর (কারণ অপেক্ষা করতে করতে এদের অনেকের কার্ডের লেখা ভরে দিয়েছি), মহিলা, ছোট শিশুও বেশ কয়েকজন। তাছাড়াও বৃদ্ধ বৃদ্ধা, অনেকেই তাঁদের বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের হাত ধরে এসেছেন। আমার সামনে এক ভদ্রলোক তাঁর আশি বছরের বৃদ্ধা মা কে নিয়ে এসেছেন, তিনি কয়েকদিন আগে রিটায়ার করেছেন। মায়ের কার্ড করা হবে তাই নিয়ে এসেছেন। এঁরা সবাই তিন চার ঘন্টা অপেক্ষা করবেন, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কোন আলাদা লাইনের বন্দোবস্ত নেই। আমি অপেক্ষা করতে করতে অবাক হয়ে ভাবছিলাম আমাদের দেশে গরীব বা সাধারণ মানুষের কি অসীম ধৈর্য! কিন্তু গরীব অশিক্ষিত মানুষের প্রতি সরকারী কর্তাদের যে কি অভদ্র আচরণ, কহতব্য নয়। কর্তারা নিজেরা হ্যাহ্যা হিহি করছেন, দফায় দফায় টিফিন ব্রেক নিচ্ছেন, কিন্তু আমরা যারা ক্যাটল ক্লাস ভারতীয়, তাদের সঙ্গে গলা তুলে কি অবলীলাক্রমে অভদ্রতা করে চলেছেন। (:-), এর কিছু ছবি আমি twitter এ পোস্ট করেছিলাম, ;-) বেশ খোরাক হয়েছিল সে সময়)।

    আমার টার্ন যখন এল, যে ভদ্রমহিলা ছবি তুলছিলেন একটা ল্যাপটপে সামনে একটা ফিঙ্গারপ্রিনট রিডার, আর ল্যাপটপের মাথায় সস্তার ওয়েবক্যাম। যে কেউ আমার যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন, ভিড়ে গিজগিজ করছে। ছবি তুলতে গিয়ে হঠাৎ বললেন, এ কি দু কপি অ্যাড্রেস প্রুফ কোথায়? যান, জেরক্স করে আনুন, তারপর ছবি তোলা হবে। হল না, হলে থেকে বেরিয়ে ফটোকপি করতে যেতে হল। যখন ফিরে এলাম ততক্ষণে ছবি তোলা বন্ধ হয়ে গেছে। ভদ্রমহিলা ল্যাপটপ গুছিয়ে নিয়ে উঠে গেলেন, বেরোনর সময় বলে গেলেন, কাল সকালে ফার্স্ট আওয়ারে আসবেন।

    পরের দিন যখন গেলাম, আবার সেই লম্বা লাইন, ওই সকালে। অনেকক্ষণ দাঁড়াবার পরে যখন কোলাপসিবল গেট খুলল, তখন জানানো হল আজ আর ফটো তোলা হবে না, সামনের সপ্তাহে আসবেন। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। কেন জিজ্ঞেস করতে কোন উত্তর পাওয়া গেল না।
    আমার হাতে আর সময় ছিল না। ততদিনে ফিরে আসার সময় হয়ে গেছে।

    আমার আধার কার্ড করা হয়নি, হয়ত কোনদিন আর হবেও না।

    গতকাল দেখলাম নন্দন নিলেকানি বলেছেন, যারা আধার কার্ডের বিরোধিতা করে তারা গোয়েববেলসিয় লেফট লিবেরাল ইত্যাদি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ এপ্রিল ২০১৭ | ১৫৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 129.30.35.218 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৪৯59508
  • অনবদ্য লেখা। ক্যাটল ক্লাস কথাটি ভুলতে বসেছিলাম। এই লেখায় সেটি মনে পড়লো।

    সরকারি কর্তাদের এ হেন কীর্তি এ পারেও নেহাত কম নেই। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    লেখাটি ভুল বশত দুবার পোস্ট হয়েছে। পাই, দেখবেন?
  • রৌহিন | 113.214.137.106 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৩৩59509
  • কালই একজন প্রশ্ন করেছেন - ব্যক্তিগত তথ্য (আধারে যা যা থাকে) ফাঁস হয়ে গেলে অসুবিধাটা ঠিক কোথায়?
  • pi | 57.29.228.250 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৬:৪৬59510
  • এরকম ভোগান্তির কাহিনি অনেকেরই আছে। যাদের নির্ঝন্ঝাটে হয়ে গেছে, তাঁদের কাছে ব্যাপারটা অবাস্তব লাগলেও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন