এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 53.243.207.145 (*) | ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৫59471
  • এতো কান্ড! জেনে ভালো লাগলো। তবে তথ্য সূত্র থাকলে আরো ভালো হতো।

    চলুক।
  • Somnath Roy | 213.110.242.22 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৩২59472
  • তথ্যসূত্র ইন্টারনেটে খুব সহজে পাওয়া যায়। আলাদা করে কোনও স্পেসিফিক বই মেনশন করছিনা। তবে আকবর যে তারিখ ই ইলাহী চালু করেন সেটা নিয়ে ঐটিহাসিক মহলে দ্বিমত নেই। অল্টারনেটিভ তত্ত্বগুলো- শশাঙ্ক বা লক্ষণসেন-এর শুরু করা বঙ্গাব্দ থীওরি খুব সহজেই ভুল প্রমাণ করা যায়।
  • rss | 135.20.82.164 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:১৩59473
  • ধন্যবাদ। এই তথ্যগুলি ভীষণ কাজে লাগবে। আরো জগদ্দলভাবে বিক্রমী সংবৎ গিলিয়ে দোবো।
  • তবু | 69.160.210.3 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:১৫59474
  • তবু, এই লেখার ডিডাকশনগুলোর পেছনের তথ্যগুলো থাকুক। লিংক হিসেবেই।
  • Somnath Roy | 213.110.242.22 (*) | ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:৪৬59476
  • RSS-- <3
  • এলেবেলে | 52.110.151.176 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৫২59477
  • সোমনাথবাবু বঙ্গাব্দের ক্রমবিকাশের বিষয়টি চমৎকার তুলে ধরেছেন । তবুও লেখাটিতে সম্ভবত হালকা চালে কথা বলার জন্য দু’টি জায়গায় সামান্য তথ্যপ্রমাদ ঘটেছে যা খানিকটা অপ্রত্যাশিত ।

    প্রথমত উনি লিখেছেন — “ ৯৬৩-র মহরম মাসকে ৯৬৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাস ধরে শুরু হয় ‘তারিখ ই ইলাহি’…হিজরির চান্দ্রমাসের চলনকে ধরে রেখে তারা-ঝিকমিকি মাসগুলিকে পঞ্জিকায় ঢুকিয়ে ফেলেন ফারসি-ভাষী জ্যোতির্বিদ ফাতুল্লাহ সিরাজি” । আদতে তা মোটেই নয় কারণ ফতেউল্লাহ সিরাজি কিন্তু নতুন ক্যালেন্ডারটি চালু করার সময় চান্দ্রমাসের আরবীয় মডেল ব্যবহার করেননি, করেছিলেন পারস্য মডেল যা শকাব্দের মতোই সৌরমাসভিত্তিক ছিল । হিজরির মহরমের সাথে বৈশাখ মাসকে মিলিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাস হিসেবে নির্দিষ্ট করা ছাড়া উনি আর কোথাও চান্দ্রমাসের চলনকে মান্যতা দেননি । আদিতে তারিখ-ই-ইলাহির মাসগুলো ছিল যথাক্রমে ফারওয়াদিন, আর্দি, ভিহিসু, খোরদাদ, তির, আমার্দাদ, শাহরিয়ার, আবান, আযুর, দাই, বহম এবং ইস্কান্দার মিজ যা পঞ্জিকায় ঢোকানোর কোনও প্রশ্নই ছিল না । যদিও পরবর্তী ঠিক কোন্‌ সময়ে মাসগুলোর নাম বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ইত্যাদিতে পরিবর্তিত হয়ে যায় সে ব্যাপারে ঐতিহাসিকরা নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারেন নি ।

    দ্বিতীয়ত ওঁর মতে — “এরপরে প্রভু যিশুর কৃপায় ইস্লামি শাসনের অবসান ঘটল,এলো ইংরাজ ।… চাপিয়ে দেওয়া হল এদেশের রীতিনীতি-বৃষ্টিবাদলের সঙ্গে সাযুজ্যহীন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার”। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এ দেশের কেন কোনও দেশের বৃষ্টিবাদলের সাথেই সম্পর্কযুক্ত ছিল না ! খ্রিস্টানদের অন্যতম উৎসব ইস্টার-এর দিন নির্ধারণ ছিল এর মূল উদ্দেশ্য এবং এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি । এটি কার্যকর হয়েছিল ১৫৮২ সালের ১৫ই অক্টোবর এবং তার পাক্কা ১৭০ বছর পর প্রোটেস্ট্যান্ট ইংল্যান্ড ১৭৫২ সালে তা চালু করে । অনেক আগে এই ক্যালেন্ডার পর্তুগাল বা ফ্রান্স তাদের দেশে চালু করলেও ভারতে তা চাপিয়ে দেয়নি । তাই এই কৃতিত্ব ইংরেজদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বোধ হয় ঠিক নয় ।

    এ প্রসঙ্গে আরও বলার যে কতিপয় উগ্র ‘দেশপ্রেমী’ বঙ্গাব্দ প্রবর্তনের কৃতিত্ব কিছুতেই আকবরকে না দিয়ে ‘হিন্দু’ শশাঙ্ককে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন । তাঁদের মোক্ষম উত্তর দিয়ে গেছেন ঐতিহাসিক ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । ‘বঙ্গ,বাঙ্গালা ও ভারত’-এ তিনি লিখেছেন, “এই মতের স্বপক্ষে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই প্রমাণ করতে হবে যে শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে এক স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বা অন্তত ঐ সময়ে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেছিলেন । এর কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই, যদিও সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগে তাঁর রাজত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য আমাদের আছে।... শশাঙ্কের রাজ্যের সর্বাপেক্ষা বিস্তৃত সীমানার মধ্যে তাঁর পরবর্তীকালীন এক হাজার বৎসরের মধ্যে তারিখ যুক্ত যে বিরাটসংখ্যক লেখা আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলিতে বঙ্গাব্দ ব্যবহারের চিহ্নই নেই” ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন