এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কালিকাপ্রসাদ বেঁচে থাকবেন

    Somnath Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৭ | ২১৮৫ বার পঠিত
  • কালিকাপ্রসাদের প্রয়াণের পর প্রায় সপ্তাহ ঘুরে গেল, এখনও ঘটনার শক কাটছে না। এরকম নয় যে আমি তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম, কিন্তু শিল্পী, বিশেষতঃ একজন সঙ্গীত শিল্পী, যাঁর কন্ঠ আমাদের জীবনের বিভিন্ন ওঠাপড়ার মুহূর্তের সঙ্গে জড়িয়ে যায়, তাঁর চলে যাওয়ায় আত্মীয়বিয়োগের ব্যথা তো বাজবেই। আর তার সঙ্গেই ঘুরেফিরে আসছে, কালিকাপ্রসাদ ও তাঁর কর্মকাণ্ডের স্মৃতিগুলি। কালিকা সম্ভবতঃ ১৯৯৭-৯৮ নাগাদ কলকাতায় আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশুনো করতে। কিছুদিনের মধ্যেই দোহার গানের দলটি গড়ে ওঠে। নব্বইয়ের শেষভাগ কলকাতায় ব্যান্ড-সঙ্গীতমুখর ছিল। নতুন করে ফিরে আসে মহীনের ঘোড়াগুলি। এর পাশাপাশি পরশপাথর, ক্যাকটাস, চন্দ্রবিন্দু, অভিলাষা, ফসিলস ইত্যাদি উঠে আসতে থাকে। লক্ষ্যণীয়, ব্যান্ডগুলির দুটি প্রধান ধারা ছিল- ১) গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আর্বান ফোক বাদ্যযন্ত্র নির্ভর গান বাঁধা, ২) কবীর সুমনের হাতে পুনরুজ্জীবিত বাংলা কাব্যগীতির ধারা। এখানে দোহার ছিল স্বতন্ত্র। তাঁরা অবশ্য নিজেদের ব্যান্ড না বলে গানের দল বলতেন। কিন্তু স্বতন্ত্রতা এই কারণে যে কলকাতার চালু সাংগীতিক ধারার বাইরে কালিকাপ্রসাদ ও তাঁর সঙ্গীরা লোকসংগীতের একটি অন্য অবয়ব এনে ফেলেছিলেন। আবার, এক দিক থেকে দেখলে ৯০ এর শেষভাগ বা তৃতীয় সহস্রাব্দের শুরুর বছরগুলি লোকসংগীতের নতুন ভাবে ফিরে আসার দিনকালও ছিল। অভিজিৎ বসু, তপন রায় প্রমুখেরা নতুন করে গবেষণাভিত্তিক গানের পরিবেশ্ন করছেন সেই সময়টায়। কালিকাপ্রসাদরা এই পরিমণ্ডলে দুটো অভিনব জিনিস করে ফেললেন। তবে সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটু মূলধারার সংস্কৃতিজগত নিয়ে দুলাইন লিখে নিই। সেটা লেখা দরকার, নইলে কালিকাপ্রসাদের অবদানটা বুঝতে অসুবিধা হবে।
    মানুষের কৃষ্টি সংস্কৃতির জগৎ বিশাল। তার বিভিন্ন আঙ্গিকে অনেক আকর্ষণীয় জিনিসপত্র হরদম ঘটে চলেছে। তবে গড়পরতা মানুষের কাছে তার কতটুকুর খোঁজ থাকে? দিনগত পাপক্ষয়ের মধ্যে আমরা আমাদের নিজেদের পাশের বাড়িরই খবর নিতে ভুলে যাই। আর সেইজন্যই ভরসা করি মূলধারার সংবাদ পরিবেশকদের উপর, মূলধারার গানবাজনার অনুষ্ঠান, ক্যাসেট সিডি প্রচারক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির উপর। তো, কালিকাপ্রসাদরা, এই মূলধারার কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বরাক উপত্যকার জীবনকে এনে ফেললেন। সচরাচর কলকাতা বাংলাভাষিক ভারতীয়র সবক্টি প্রত্যন্তকে নিজের ভিতরে নিয়ে নেয়, নিজেকে চাপিয়ে দেয় তাদের উপর। কিন্তু, কালিকাপ্রসাদরা যেটা করলেন, তা হল বরাক উপত্যকয়ার ভাষাসংগ্রামের ইতিহাসকে দৃষ্টান্ত করে টানিয়ে দিলেন কলকাতা শহরের উপর। আমরা জানলাম যে এদেশে আমাদের চারপাশের শহর সীমানার বাইরে আরও বিস্তীর্ণ বাংলা আছে। রয়েছে বাঙালির বেঁচে থাকার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যও। এর আগেও বহির্বাংলা থেকে বহু শিল্পী, গুণিজন শহর কলকাতায় এসেছেন, কিন্তু তাঁদের খুব কম লোকই বহির্বাংলাকে কলকাতার মাটিতে এইভাবে গেঁথে তুলতে পেরেছেন। আর, কালিকাপ্রসাদের কাজের ধারাও হয় উঠল তাই। এপার বাংলা-ওপার বাংলা-অপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের মুখে মুখে ফেরা গানকে মূলধারার সংস্কৃতিতে নিয়ে আসা। তুলে আনা ছড়িয়ে ছিটে থাকা মহান লোকশিল্পীদের।
    যেটা আগে বলছিলাম, নব্বইয়ের শেষ বা দুহাজারের শুরুর দিকে লোকসঙ্গীত নিয়ে একটা নতুন উৎসাহ তৈরি হচ্ছিল। সাধারণতঃ লোকসঙ্গীতের চর্চার সঙ্গে রাজনৈতিক আলোড়নের একটা যোগ থাকে। কিন্তু, এইসময়ে প্রকাশ্যে আলোড়ন না থাকলেও রাজনীত-সমাজনীতির জগতে একটা অন্তর্লীন অস্বস্তি তৈরি হয়ে গেছিল। সোভিয়েতের পতনের পর থেকে পুঁজিবাদের থাবা বিশ্বে তীক্ষ্ণতর হয়ে আসে আর বিশ্বায়ন আর নয়া-উদারবাদের ধাক্কা মানবসমাজের কাছে খুবই দুরূহ হয়ে ওঠে। স্থানিক পরিচিতিগুলো ভেঙে যেতে থাকে বড় পুঁজির মুনাফার চক্করে। কিছু মানুষ বোধ করতে থাকেন মাটির কাছে ফিরে যাওয়ার দরকার, দরকার মানুষের আবহমান বেঁচে থাকার সূত্রগুলি ফের খুঁজে পাওয়ার। পরিবেশের বিপন্নতা সেই প্রয়োজনকে ফের মনে করিয়ে দিতে থাকে। কিন্তু, সেই সূত্রগুলো তো আমরা হারিয়ে ফেলেছি গত কয়েক প্রজন্ম ধরে। পরম্পরালালিত সংস্কৃতির মূল যে যাপন, যা সাধনা তা প্রায় বিস্মৃতই আজ। প্রতিষ্ঠিত বাউল আজ যখন দেশ বা বিদেশের অনুষ্ঠানে কটি বহুল প্রচলিত গান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গান, তার মধ্যে তার সাধনার পার্টটাই অনুল্লেখিত থাকে। লোকশিল্পের আকর রয়েছে লোকধর্মে। অথচ গত কয়েক প্রজন্মের অভ্যাসে আমরা ধর্মীয় আচরণমালাগুলিকে তাচ্ছিল্যই করতে শিখেছি। এমন কী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিও মূলধারায় গ্রহণযোগ্য হতে সাধনার বিষয়কে সরিয়ে রেখে সামাজিক কাজগুলিকে হাইলাইট করে। গত প্রজন্মের লোকশিল্পী, যাঁরা কলকাতায় জনপ্রিয় হয়েছেন, তাঁরাও খুব এর বাইরে ছিলেন না। সারবস্তুকে সরিয়ে রেখে মুলতঃ ফর্ম আর পরিবেশনের দিকে জোর দিয়ে লোকসংগীত গাওয়া হয়েছে সরচরাচর। তহচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাঁরা গানগুলি বেঁধেছেন তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মচর্চা করা। নিজেদের সাধনার কথা, ধর্মমার্গের তত্ত্ব আলোচনা বা ব্যাখ্যার জন্য বাউল ফকির গোঁসাই সাঁইরা এই পদ্গুলি রচনা করেছেন। সৌন্দর্য সৃষ্টি একটা গৌণ ব্যাপার ছিল, অন্তর্নিহিত রূপ বহিরঙ্গেও বেরিয়ে এসেছে তাই। কিন্তু, দেহতত্ত্ব, শুদ্ধাভক্তি বা মারফতি আলাপের মূল বক্তব্য বাদ দিয়ে এই গান কখনওই নয়। কালিকাপ্রসাদ তাঁর পূর্বজদের মতন শুধু বহিরঙ্গে গানগুলিকে ধরেন নি। শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন সাধকদের মূল উদ্দেশ্যের উপর। আর লোকায়ত ধর্মের এই অজানা হয়ে আসা ধারা, যা বাজার-পুঁজিবাদের আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে এক অন্য পৃথিবীর কথা বলতে পারে, বলতে পারে ‘আল্লার ধন রসুলরে দিয়া, গেলেন আল্লা ফকির হইয়া, রসুলের ধন খাজায় পাইয়া শুইয়া রইলেন আজমিরে’- কালিকাপ্রসাদ বিশ্বাস রেখেছেন সেই পৃথিবীর উপর। সম্ভবতঃ তিনি নিজে সাধক ছিলেন না, কিন্তু লোকায়ত ধর্মের মানব-কেন্দ্রিক এসেন্স প্রচারের এক সৈনিক ছিলেন। তাঁর গানের পরিবেশনায়, বিভিন্ন অনুষঙ্গে, ব্যাখ্যানে তিনি জানিয়ে যেতেন আয়নামহলেরও যে একটা বাস্তব আছে, সেই হদিশটুকু। একদিক থেকে বজ্রযান বৌদ্ধতন্ত্র, আরেকদিক থেকে তুর্কি সুফিদর্শন, আর তার উত্তরকালে বৈষ্ণব-শাক্ত সাধকদের চর্চা, সব মিলে কৃষিবাংলার যে নিজস্ব বেঁচে থাকা ছিল। যে বেঁচে থাকায় অন্যকে আক্রমণ করতে, তাকে উত্যক্ত করতে হত না, আপনার রূপে আপনি বিভোর হয়ে থাকা যেত- সেই বেঁচে থাকার খোঁজ মূলধারার তথ্য-সংস্কৃতির মাধ্যম ব্যবহার করেই ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। আমরা আশা রাখি তাঁর দল, তাঁর অনুগামীরা সেই চর্চা অব্যাহত রাখবে।
    প্রসঙ্গতঃ, কালিকার প্রয়াণও আমাদের এক শিক্ষা দিয়ে গেল। কতটা দরকার এই সীমাহীন গতির নেশা আর সেই নেশার জোগান দিতে সমাজ-রাষ্ট্রের সম্পদগুলিকে খরচ করে চলা? চাষীর জমি দখল করে মাইলের পর মেইল এই দ্রুতগতির পরিকাঠামো আদৌ কি সেই রকম আবশ্যিক, যেভাবে একে দেখানো হচ্ছে? জল-মাটির গান যিনি গাইতেন, তাঁর তো লাশ হয়ে জলামাটিতে পড়ে থাকার কথা নয়। ঐ জলা তো বস্তুত তাঁর জীবন, যা উন্নয়ন আর প্রগতির চক্করে পড়ে তাঁর জীবননাশী হয়ে দাঁড়াল? কালিকাপ্রসাদ যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন, তা দৌড়ে হারিয়ে যাওয়ার পৃথিবী নয়। ধীরে বাঁচার, উপভোগ করে বাঁচার, অন্যকে বাঁচিয়ে রাখার পৃথিবী। আর, বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে, সেই স্বপ্ন বেঁচে থাকবে বাংলার জলমাটিতে, বাংলার কৃষকের জীবনচর্চায়, তাঁর ধর্মে, তাঁর সংগীতে। কালিকাপ্রসাদও বেঁচে থাকবেন।
    দূরবীণ ডট কমে প্রকাশিতঃ http://durbiin.com/opinion/95
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৭ | ২১৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 233.186.99.139 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৭ ১২:৪৭60775
  • খুব সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো ৯০এর শেষভাগে লোকসংস্কৃতিচর্চা ফিরে আসার পটভূমিটা উল্লেখ করায়। কালিকাপ্রসাদকে নিয়ে অনেক লেখায় দেখি, তার পূর্ব্সূরীদের ছোট করার চেষ্টা। আগেকার গায়কেরা লোকসংগীতকে বিকৃত করেছেন, যেটা কালিকা করেনি। এই লেখাটায় সেসব নেই।
    আসলে অনেকেই বোঝেন না ৬০-৭০এর দশকে যখন নির্মলেন্দুরা গাইছেন, তখন লোকসংগীত কলকাতার শিক্ষিত সমাজে "পল্লীগীতি" বলে উল্লেখিত হতো। যারা সেই সময়ে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারতেন, সেই বামপন্থীদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো আদর্শ। ঋত্বিক, খালেদ চৌধুরীর মত হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া, অন্যেরা লোকসংগীতকে "ফিউডল" চিন্তার ধারক বলে ভাবতেন। তারা "সেকুলার" বা "প্রতিবাদী" লোকসংগীত খুঁজে খুঁজে গাইতেন। সলিল বা হেমাঙ্গ বিশ্বাসও লোকসংগীতের ফর্মকে ব্যবহার করেছেন গণসংগীত রচনার জন্য। এমন একটা আবহে নির্মলেন্দুর মতো গাইয়েরা বাধ্য হয়েছেন লোকসংগীতকে চটকদার করে তুলতে। তারও অনেক আগে ৩০এর দশকে তো জসিমুদ্দীন বাধ্য হয়েছিলেন "নিশীথে যাইও ফুলবনে"র মতো দেহতত্ত্বের গানকে প্রেমের গানে রূপান্তরিত করতে। কি আর করা। সেসময়ে যাঁরা লোকসংগীতের শুদ্ধতা বজায় রেখে শহরে গান করেছেন, রনেন রায়চৌধুরী, কালী দাশগুপ্ত, দিনেন চৌধুরীরা বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছেন।
    কালিকা সাথে পেয়েছিলো সময়কে। তাতে অবশ্যই কালিকার কৃতিত্ব কিছু কমে না। বরং সেই একই সময়ে ভূমিজ গানের বিকৃতির ধারা বেশ প্রবল ছিলো। বারান্দায় রোদ্দুর পোয়াতে পোয়াতে চল মিনি আসাম যাবো যেভাবে নেচেকুঁদে গাওয়া হতো, তার থেকে লোকসংগীতকে রক্ষা করেছে কালিকা ও দোহার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন