এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কূটনীতিক ও কাজের মেয়ে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৬২৭ বার পঠিত
  • ---১।---
    দেবযানী খোবরাগাড়ের কেস নিয়ে কিঞ্চিৎ খোঁড়াখুঁড়ি হবার পরে, দেখা যাচ্ছে, যে, আমেরিকায় দেশ থেকে গৃহসহায়িকা নিয়ে যাওয়া ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য নতুন কিছু না। বরং এটা অভ্যাসেরই অংশ। বছর বছর ধরে এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়ে চলেছে। পরপর তিন বছরে এই নিয়ে মার্কিন আদালতে তিনটি মামলা দেখতে পাচ্ছিঃ

    ২০১১ সালে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসাল জেনারাল প্রভু দয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন গৃহকর্মী একটি মামলা করেন। অভিযোগ ছিল জোর করে এক বছর ধরে কাজ করানোর।

    ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় গৃহসহায়িকা শান্তি গুরুং নিউ-ইয়র্কের প্রাক্তন প্রেস এবং কালচার কাউন্সেলর নীনা মালহোত্রার বিরুদ্ধে একটি মামলা জেতেন। কোর্ট মালহোত্রাকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশ দেয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কিনা, বা দিলেও কে দিয়েছিল, উদ্ধার করতে পারিনি, কেউ খুঁজে বার করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে।

    এই দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে বেশ হইচই হবার পর ভারতীয় প্রশাসন "সতর্ক" হয়। সম্ভবতঃ যার ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের এই বহু-আলোচিত কেসটিকে "কড়া"ভাবে নাড়াচাড়া করা শুরু হয়। যাতে আদতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

    ---২।---
    কী হয়েছিল নিউ-ইয়র্কের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক দেবযানী ও তাঁর গৃহসহায়িকা রিচার্ডের মধ্যে? কোনো সমালোচনায় না গিয়ে শুধু ঘটনাবলী তুলে দেওয়া যাক।

    নভেম্বর ২০১২-- রিচার্ড নিউ-ইয়র্কে দেবযানীর কাছে কাজ করতে শুরু করেন।

    মার্চ ২০১৩-- দেবযানী দিল্লী হাইকোর্টে রিচার্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যে, রিচার্ড বাড়ির বাইরে কাজ করতে চান, কিন্তু তাঁর ভিসা ও পাসপোর্টের জন্য সেটা সম্ভব নয় (যদিও এটা নিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করার কি দরকার ছিল বুঝতে পারিনি। ঝামেলা হলে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেই চলত)।

    জুন ২৩-- রিচার্ড বাড়ি থেকে বাজার করতে গিয়ে আর ফেরেন না। দেবযানী কনসাল জেনারালকে খবর দেন।

    জুলাই ৮-- রিচার্ডকে নিউ-ইয়র্কের এক ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নির কাছে দেখা যায়। ভারতীয় কনসুলেটের অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রিচার্ড, খবর অনুযায়ী, তাঁর মজুরি দাবী করেন, এবং একটি সাধারণ ভারতীয় পাসপোর্ট চান।

    এর মধ্যে ভারতবর্ষে রিচার্ডের স্বামী এবং সন্তানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। রিচার্ড তাদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং অ্যাটর্নির অফিস ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।

    সেদিন বিকেলে আমেরিকান পুলিশ রিচার্ডকে নিয়ে যায়। সেই দিনই, ভারতীয় সরকার রিচার্ডের পাসপোর্ট বাতিল করে, এবং রিচার্ডের আমেরিকায় থাকা "অবৈধ" হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাস রিচার্ডকে ভারতবর্ষে ফেরত দেবার জন্য অনুরোধ জানায় আমেরিকান স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।

    সেপ্টেম্বর ২০১৩-- দিল্লীর একটি কোর্ট ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৮৭, ৪২০ এবং ১২০বি ধারায় রিচার্ডের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ ছিল প্রতারণা, এবং চক্রান্তের। রিচার্ড যদি ভারতে ফেরেন, তাহলে তিনি গ্রেপ্তার হবেন।
    ওদিকে দিল্লী হাইকোর্ট রিচার্ডের স্বামীকেও একটি নোটিস দেয়। তার শুনানি আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

    রিচার্ড ভারতে ফেরার বদলে আমেরিকাতেই থেকে যান। নিউ-ইয়র্কের পুলিশ দেবযানীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, এবং তারপর দেবযানীর গ্রেপ্তারি ও জামিন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে একটি হল, তাঁর গৃহসহায়িকাকে মাসে ৪৫০০ ডলার মাইনে দেওয়া হবে বলে জানালেও, আসলে তিনি দিতেন অনেক কম অঙ্কের মাইনে। যেটা মিথ্যা হবার এই মূহুর্তে কোনো কারণ দেখা যাচ্ছেনা। কারণ, একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারির যা মাইনে, তাতে গৃহপরিচারিকাকে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। অতএব, মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগ, সম্ভবত ভুল নয়।

    ---৩।---
    পরিস্থিতি জটিল। একদিকে, ভারতীয় সার্বভৌমত্ব। কূটনীতিক যাই করে থাকুন না কেন, সেটা আদপেই আমেরিকার বিবেচ্য কিনা সে নিয়েই সন্দেহ হয়। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ জিনিসটা তাহলে আছে কি করতে? সেটা কি শুধু অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আর আমেরিকা হলে সাতখুন মাপ? একেবারেই না। ভারতে যে প্রতিবাদগুলি উঠছে, সেগুলো একদম যথাযথ। আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী যদি কিছু থেকে থাকে সেটা সকলের জন্যই পালনীয়। আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক বড়দার দায়িত্ব কেউ দিয়ে দেয়নি, যে, সব শিষ্টতাকে হেলায় সরিয়ে রেখে যার-তার কান মলে দিতে পারে। আমেরিকার বিচার-ব্যবস্থা যে সমস্ত প্রশ্নচিহ্নের ঊর্ধ্বে তাও নয়। দেবযানী যদি অন্যায় করেও থাকেন, সেটা শুধুই কম মাইনে দেওয়া এবং চুক্তিভঙ্গ। সেটার জন্য আর্থিক জরিমানা হতে পারে, কিন্তু হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে এক করে দেখার কোনো কারণ নেই। সেটা আমেরিকার প্রথা হতে পারে, কিন্তু কূটনীতিকরা হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে যুক্ত, এটা ভেবে নেবার কোনো কারণ আছে কি? থাকলেও সেটা সংশ্লিষ্ট সরকারকে জানানোটাই কি প্রথা নয়?

    অন্য একটি কথাও হাওয়ায় উড়ছে। এই সেই ইমিগ্রেশন আইনজীবি, যিনি একজন ফরাসী রাজনীতিককে কদিন আগেই "ধর্ষণ"এর দায়ে ফাঁসিয়েছিলেন। ফাঁসিয়েছিলেনই বলা ভাল, কারণ, ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি, যদিও রাজনীতিকের কেরিয়ার খতম হয়ে গেছে। নিজের উচ্চাকাঙ্খার জন্য হাই-প্রোফাইল ডাইনী শিকার শুরু হয়েছে কি? ভারতের মতো আমেরিকাতেও?

    সবই সম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে, আরও কিছু প্রশ্ন জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে মূর্তিমান অস্বস্তির মতো ঝুলে থাকছে। ভারতীয় কূটনীতিকরা কি ভারত থেকে সস্তায় পরিচারিকা নিয়ে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন? ভারতীয় সরকার এবং বিদেশে তার প্রতিনিধিরা কি ন্যূনতম মজুরির নীতির আদৌ কোনো ধার ধারেন না? "কাজের লোক"এর আবার অধিকার কি, এইটাই কি উচ্চবর্ণের ভারতীয়ত্বের প্রথা? এবং তদুপরি, ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে রিচার্ডের সুবিচার পাবার আদৌ কি কোনো আশা ছিল? ভারতীয় বিচার-ব্যবস্থা তো তাঁকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঠাউরে ফেলেছে। জারি হয়ে গেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশে ফিরলেই হাজতে ঢোকার সুবন্দোবস্তো। গৃহসহায়িকা যা-ই করে থাকুন, সেটা খুব বেশি হলে কাজের চুক্তিভঙ্গ। বা বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া। তার জন্য খুব বেশি হলে কিছু অর্থদন্ড বরাদ্দ হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র, সৈন্য সামন্ত নিয়ে সপরিবারে হাজতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে? বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট বাতিল করে দেবে নিজের নাগরিকের? চটকলের শ্রমিকদের যে টাকা মেরে দেওয়া হয়, টিপছাপ দিইয়ে প্রেমচন্দের কাহিনীর ঠিকাদার যেভাবে পয়সা মারতেন শ্রমিকদের, তার সঙ্গে এর তো কোনো তফাত নেই। এ তো পুরোনো জমিদারদের রাজত্বের মতো। যেখানে মতো নিজের প্রভাব খাটিয়ে দুষ্ট প্রজার ভিটে-মাটি-চাটি করে দেবেন জমিদারবাবু।

    সব মিলিয়ে এ এক ম্যাজিক রিয়েল পরিস্থিতি। একদিকে গৃহসহায়িকারা ভারতে "কাজের লোক"। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। শাইনিং নারীদের যে উত্থান ঘটছে ভারত জুড়ে, সেই উত্থানের তলানি। তাঁদের "অধিকার" নিয়ে সোচ্চার হবার বিশেষ কেউ নেই। ভারতবর্ষের নাগরিক বহুতলগুলি আমাদের চোখে দেখা। বাস করে দেখা। সেখানে ঠিকে "কাজের মেয়ে"রা প্রান্তিক। আর সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের মানবিক অধিকার প্রতিমূহুর্তে ভুলুন্ঠিত হয়। তাঁদের চব্বিশ ঘন্টা বন্দী থাকতে হয় অন্যের ফ্ল্যাটবাড়িতে, রাত্তিরে ঘুমটুকু সেখানেই, কিংবা আরেকটি খুপরিতে, যার নাম "সার্ভেন্টস কোয়ার্টার"। প্রতিটি "আধুনিক" বহুতলে সার্ভেন্টস কোয়ার্টার্সের উপস্থিতি এক বহুল বিজ্ঞাপিত বাস্তব। তাঁদের ছুটি নেই, চাকরির সুরক্ষা নেই, এমনকি নিজের শরীরের উপরও নিজের অধিকার নেই, ব্রহ্মচর্য বাধ্যমামূলক, পাশের দোকানদারের সঙ্গে এক ঘরে দেখা গেলেই যেকোনো মূহুর্তে চাকরি নট। অফিসগামী আধুনিক কেরিয়ারমনস্ক এক নারীপ্রজন্মের প্রয়োজনে এবং অঙ্গুলীহেলনে বেড়ে উঠছেন এই সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের গোষ্ঠী। যারা নিজ কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকারের পক্ষে সোচ্চার, তাঁরা নিজেরা যখন নিয়োগকারী হচ্ছেন, তখন মেয়েদের শরীরের অধিকারের আর কোনো মূল্য থাকছেনা।

    এগুলো দেশে চোখে পড়েনা। কারণ, দেশে এ সবই "স্বাভাবিক"। শরীরের অধিকার মূল্যহীন। ন্যূনতম মজুরি আই-ওয়াশ। আর আয়রনি এই, যে, বিদেশে যে ক্ষমতাবানরা এই জমিদারির অভ্যাসকে বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা চোখে পড়ে যান। কারণ একটি পটভূমিকায় যা স্বাভাবিক, অন্যত্র তা খুবই দৃষ্টিকটু। কালোর উপর কালো চোখে পড়েনা, কিন্তু সাদা ব্যাকড্রপে একটা দাগও জ্বলজ্বল করে। তখন সবই কমিক মনে নয়। এ এক বৃহৎ রসিকতা, যে, কনসুলেটের "মহিলা" বিভাগের ভারপ্রাপ্ত একজন মহিলার হাতেই "কাজের মেয়ে"র মজুরি চৌপাট হবার অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ বিচার পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই "কাজের মেয়ে"র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। দেশে হলে এসব চোখে পড়তনা। কারণ এতদূর গড়াতইনা। দেশে এই "মেয়ে"রা "মেয়ে" নন। এই কর্মচারীরা কর্মচারী নন। এঁরা বৃত্তের বাইরে। প্রান্তিক। এঁদের অধিকারের স্বপক্ষে একটি মোমবাতিও জ্বলেনা কোথাও।

    এত গেল একদিক। অন্যদিকটিও যাদুবাস্তবতার চূড়ান্ত। "অবৈধ অনুপ্রবেশকারী"দের "সুবিচার" কে দিচ্ছে? না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকান অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এবং কিভাবে দিচ্ছে? নিজের গন্ডী টপকে।যে গন্ডী সে এতকাল টপকে এসেছে ইরাকে, আফগানিস্থানে, গুয়ান্তানামো বে তে। যে গন্ডী টপকানো দাদাগিরির বিরুদ্ধে আমরা এতদিন সোচ্চার হয়েছি। নানা জায়গায়।

    সব মিলিয়ে কেস কেরোসিন বললে নেহাৎই কম বলা হয়। খুবই হুড়ুম-ধাড়ুম করে এই লেখা লিখে ফেললাম। গুছিয়ে লেখা একেবারেই হয়নি, হবার কথাও না, এটিকে পরপর কয়েকটি কথা বলে যাওয়া হিসেবেই ভাবুন, কারণ, আমি, ব্যক্তিগতভাবে, এখানে অবস্থান নিতে পারছিনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৬২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩২46419
  • বোঝো! দেবযানী এখন দোষ স্বীকার করতে রাজী, ইউএস অ্যাটর্নি প্রীত ভারারা-র সঙ্গে মিটমাট করে নিতে চায়। কিন্তু ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট তাতে রাজী নয়। প্রসঙ্গত, দেবযানীর স্বামী ইউএস সিটিজেন।

    http://archive.indianexpress.com/news/devyani-wants-freedom-to-return-to-us-but-mea-has-other-plans-for-plea-deal/1217150/?rheditorpick
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৪ ১০:৩৫46421
  • Charges against Indian diplomat who was strip searched dismissed

    http://edition.cnn.com/2014/03/12/justice/indian-diplomat-charges-dismissed/

    New York (CNN) -- The Indian diplomat whose arrest sparked a testy exchange between the United States and India won a dismissal of a federal indictment Monday, according to court documents.

    Devyani Khobragade was arrested and strip searched by federal agents in New York City in December after federal authorities accused Khobragade of lying on a visa application about how much she paid her housekeeper. She was indicted on January 9 by a federal grand jury on one count of visa fraud and one count of making false statements.

    Khobragade then filed a motion to dismiss the charges, claiming she was "cloaked in diplomatic immunity at the time of her arrest," according to the motion.

    The court agreed, stating that Khobragade was "appointed a Counselor to the Permanent Mission of India to the United Nations, a position that cloaked her with full diplomatic immunity," according to court documents. She was appointed to that position on January 8, a day before she was indicted.

    "Even if Khobragade had no immunity at the time of her arrest and has none now, her acquisition of immunity during the pendency of proceedings mandates dismissal," U.S. District Judge Shira Scheindlin wrote.

    "The government may not proceed on an indictment obtained when Khobragade was immune from the jurisdiction of the court," Scheindlin continued.

    Khobragade's attorney, Daniel Arshack, said in a statement that Khobragade is pleased that "the rule of law has prevailed."

    "We are heartened that the court agreed with our legal analysis and rejected the prosecution's arguments by dismissing the case," he said.

    James Margolin, spokesman for the United States Attorney's Office for the Southern District of New York, did not rule out the possibility of further charges.

    "As the court indicated in its decision, and as Devyani Khobragade has conceded, there is currently no bar to a new indictment against her for her alleged criminal conduct, and we intend to proceed accordingly," he said in a statement.

    Khobragade, who left the United States in January, is now working for the Indian Ministry of Foreign Affairs in Delhi.

    Her case drew international attention, with Indian officials demanding apologies from Washington, and the United States announcing it would withdraw one official from its embassy in New Delhi.
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৪ ০৯:৫৯46425
  • দেবযানী পুনরায় অভিযুক্ত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন