শ্রী সিনেমার উল্টোদিকে নলিন সরকার স্ট্রিট। প্রতিবিম্বের সহপাঠি সুশোভন সেন এই গলিতে থাকে। গান তাকে খুব টানে। সুশোভন কিছুদিন তবলা শিখেছিল। নানা কারণে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু তার গান শোনার তীব্র আকর্ষণ। ক্ল্যাসিক্যাল বা লঘু যে কোন ধরণের সঙ্গীত। লোকগীতি বা রবীন্দ্রনাথের গান। ভজন, কীর্তন বা ফিল্মের গান, তা সে বাংলা বা হিন্দী যাই হোক। যে কোন ধরণের ভাল মানের গানে ... ...
মধ্যবিত্ত বাঙালি, যারা কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই ঘুরতে বেরোয়, একা, দোকা বা দল বেঁধে, তখন তাদের গন্তব্য দি-পু-দা, এর মধ্যেই সীমিত থাকে, প্রায় নব্বই শতাংশ।আমরা অবশ্য দুটো উপলক্ষ্য পালন করতে দিঘা যাবার প্ল্যান করি। আমাদের মেয়ে, অনেক দিন পরে তার কর্মস্থল ফিজি থেকে, ছুটি নিয়ে, জামাই সহ উপস্থিত হয়েছে। দশই আগস্ট। আমরা বেরিয়ে পড়েছি ১২-ই আগস্ট। বেচারারা বাড়ি এসে, জেট ল্যাগিং কাটানোরও পুরো সময়টা পায় নি। আসলে আমাদের তো অঢেল সময়, কিন্তু ওদের সময় ... ...
অন্ধ হলে যে প্রলয় বন্ধ হয় না সে কথা হাড়ে হাড়ে জেনেও যেসব বিষয়ে আমরা অন্ধ হয়ে থাকি তার একটা হল র্যাগিং। একসময় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এই শব্দটা খবরের কাগজের পাতায় উঠে আসত। আই আই টি থেকে শুরু করে প্রায় অখ্যাত কলেজ, র্যাগিং-এর সূত্রে খবর হয়ে উঠত কমবেশি সবাই। কিছু অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া, শাস্তিবিধান, তারপর চুপচাপ। শিক্ষাবর্ষ এগোবার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নয়মে র্যাগিং এর প্রকোপ কমে যায়, অন্য সবকিছুও থিতিয়ে ... ...
শালকু হেমব্রম বাঁশ ডালটা অনেকক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করেও যখন বাগাতে পারলো না, তখন প্রায় কাঁদোকাঁদো মুখে ব্যুধা মাহাত কে চোখের ইশারায় কাজটা বাগিয়ে দিলে হাঁফ ছাড়লো মনে হয়। ব্যুধা মাহাত এ দিক দিয়ে তাগড়াই বড়। বিড়ি ধরিয়েই এক নিমেষে বাঁশ খান এক্কেবারে ওকে করে খিস্তি মারলো খানিক, - 'শালো শালকুর বাচ্চা, পার্বিনি বাঁশ কাটতে, উঠে যাবি রাত ... ...
ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধের মধ্যে বড় হয়েছি। আসলে সবটাই যে আমার বাবা - মায়ের জন্য তাও বলা যাবে না, কারণ সেই সময়টাও অন্য রকমের ছিল। সভ্যতা, ভদ্রতা, শালীনতা, রুচিশীলতা ইত্যাদি অনেকগুলো শব্দের আধিপত্য ছিল সেই সময়ে। আমার গুরুজনেরা হয়তো বলবেন আমাদের সময়ে এই আধিপত্যের মাত্রা কমতে কমতে শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছিল, তবুও আমরা বলব আজকের সময়ের তুলনায় সেই আধিপত্যের উপস্থিতি যথেষ্ট পরিমাণেই ছিল। ফলে আজকের ছেলেমেয়েরা যে পরিমাণ স্বাধীনতার স্বাদ ছোটবেলা থেকেই পায় তার এক কণাও আমরা ... ...
নিবারণবাবু ঘরে এসে বসলেন। বললেন, ' আমি কৈলাশ বোস স্ট্রিটে থাকি। তা প্রায় পঁচিশ বছর আছি ওখানে। পোর্ট ট্রাস্টে চাকরি করি। সামান্যই পাই। তাই সাইডে কিছু করতে হয় আর কি ... আপনি কোথায় আছেন ? ' ----- ' ইস্টার্ন রেলে ' ------ ' ও আচ্ছা ... ভাল ভাল। দেবেনদার সঙ্গে আমার ... ...
মৃত্যুর নিপুণ শিল্প বিকীর্ণ আঁধারে। অনেকেই সংবেদনশীলতার জায়গা থেকে নয়, অন্যভাবে এই ফাঁকে নিজেদের হিসেব মিটিয়ে নিতে চাইছেন। গতকাল যাদবপুরের চার নম্বর গেট দিয়ে বিজেপির লোকজন ঢুকে শ্লোগান দিয়েছে, ‘কম্যুনিস্টদের চামড়া, গুটিয়ে দেবো আমরা। এস এফ আইয়ের চামড়া, গুটিয়ে দেবো আমরা (আজকের টেলিগ্রাফ কাগজে আছে)। আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘যারা ছেলেটাকে উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে তারা সব মার্কসবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস। তারপরে ‘ওখানে কিছু আগমার্কা সি পি এম আছে’ ইত্যাদি। লক্ষ্যণীয় ওঁর এই রাজ্যে যাঁরা রাজনৈতিক শত্রু, সবাইকে এই ফাঁকে গেঁথে ... ...
১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭। প্রায় দুশো বছর ইংরেজ শাসনের পর ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করলো। মধ্যরাতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু দেশের সংসদভবনে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন - "Long years ago we made a tryst with destiny ...."। বাস্তবে সেই সময়ে যখন একদিকে দেশে উচ্ছাস, আনন্দ উদযাপন চলছে স্বাধীনতার, তখন দেশের পূর্বপ্রান্তে মানে আমার আপনার বাংলায় এক ভিন্নপ্রকারের ... ...
সীমানা পেরিয়ে আজ কতদূর?গোধুলীর শেষ রঙ মুছে যাবে সন্ধায়।এখনও তো পথ বাকি, রাত নামে দেখে ভয় হয়, বুঝি থেমে যাবে সব।সময়ের অবহেলা, দোষারোপ, আক্ষেপ, প্রতারণা, প্রেম, সবই তো আপেক্ষিক!বাঁচার মুহুর্ত শেষে, জীবের সুত্র মেনে মৃত্যুই শুধু কথা রেখে যায়.... স্বাধীনতা বিলাসিতা, শেখানো মন্ত্রপুতঃ ঘিলুর শেকল!মানুষই স্বদেশি আর দেধদ্রোহী হয়! পাখি দের বুঝি তবে কোন দেশ নেই? © শুভ্র ... ...
স্বপ্ন নয় সত্যি; দীপ নিভে গেলবাতাসে গুমোট, অলস মোচ্ছবতবু লাশকাটা ঘরে যেতে হলোঅভিমানে; রয়ে গেল কলরব!!
গল্প নাম্বার :- ৫ দারিদ্র্যের স্বপ্নভঙ্গ। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। ◆ রচনার শ্রেণী :- বিপর্যয় করোনা ভাইরাসের অনুগল্প। ◆ সুবীর রাতে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের
গল্প নম্বর :- ৪ ধর্মের নামে জাতপাতের লড়াই। গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা। ◆ রচনার শ্রেণী :- সামাজিক ছোট গল্প। বিষয় :- সমাজের জাত পাতের
গল্প নম্বর :- ৩ বিদ্রোহী আদিবাসী কিশোরী। গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা। ◆ " আদিবাসী বিদ্রোহী নারী" নামে গল্পটি প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গমে বিপর্যয় (দ্বিতীয় গল্প সংকলন) প্রথম প্রকাশ :- ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। কলকাতা বইমেলা ও দত্তপুলিয়া (নদীয়া জেলা) বইমেলা
গল্প নাম্বার :- ২ স্বামীর খুনি লীলাবতী। গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা। (সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তব গল্প "স্বামীর খুনি লীলাবতী" নামক গল্পটি নীরব আলো শারদ সংখ্যা ২০২১ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।) রচনার শ্রেণী :- সামাজিক অবক্ষয়ের বাস্তব শিক্ষামূলক
নাম্বার :- ১ বসন্তের লাল ওড়না। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা । { শান্তিনিকেতনে ভ্রমণ কালীন বাংলা সাহিত্যের লেখক শংকর হালদার শৈলবালার প্রথম রচিত ছোট গল্প। সম্পাদক শান্তনু দাস।} রচনার শ্রেণী :- সামাজিক। বসন্ত উৎসবে রঙের খেলায় ভালোবাসার ছোঁয়া ছোট
(গল্পের সংখ্যা :- ১৬) বিষবৃক্ষের অন্তরালে যৌতুক। গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা। ◆ রচনার শ্রেণী :- ছোটগল্প। সামাজিক ও যৌতুক প্রথার অত্যাচারের কাহিনী। ◆ বর্তমান আধুনিক সভ্য মানুষের মাঝে বিষ বৃক্ষের ন্যায় সমাজের অন্তরালে চোরা স্রোতের মতো যৌতুক প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ◆ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ ... ...
আজ কাবেরী কলেজে আসেনি । কালই বলছিল শরীরটা ভাল নেই , জ্বর জ্বর লাগছে । দেড়টা বাজে । একটা অফ পিরিয়ড আছে এখন । ক্লাসের দু তিনজন গেটের বাইরে এসে ঘুগনিওয়ালার কাছ থেকে ছোট ছোট গোল গোল আলুর দম কিনে খেতে লাগল । সুপর্ণা বলল, ' ঝোলটার কি টেস্ট ... না ? আর একটু দাও তো ... 'ওর দেখাদেখি দীপালিও শালপাতার পুরিয়াটা বাড়িয়ে ধরে .... ' এই যে .... আমাকেও একটু ... 'ঘুগনিওয়ালা তিনজনকেই একটু একটু দেয় ।আজ আকাশ বেশ মেঘলা। চারপাশে ... ...
(মাননীয় পাঠক, আপনি কি শহরতলির বাসিন্দা? আপনার বাড়িতে কি এক চিলতে জমি বা বাগান আছে? সেখানে আপনার যত্নে বা অযত্নে ডালপালা মেলে বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় আর গাছগাছালিও নিশ্চয়ই আছে? তাহলে আপনি অশেষ ভাগ্যবান। ভাবছেন, কেন বলছি এমন কথা, তাইতো? এমনটা যদি সত্যি হয়, জানবেন আপনি জীববিজ্ঞানের এক আশ্চর্য প্রয়োগশালার কর্মমুখর পর্যবেক্ষক তথা গবেষক। একখণ্ড জমি, গুটিকয়েক গাছ, একটু ভালোবাসা আর প্রবল অনুসন্ধিৎসা থাকলে আপনি খুব সহজেই এক অক্প্পল্পনীয় প্রাণময় জগতের খোঁজ পেয়ে যাবেন। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবর্ধনের ... ...
দেশভাগের গান। ১৫ ই আগস্টের গান। পুরোনো গান। প্রতি বছর নিয়ম করে দিই। দিয়েও চলব। না দিয়ে উপায় নেই। কারণ এই পাপের কোনো প্রায়শ্চিত্ত হয়নি। হনুমানরূপী 'বীর'রা এখনও লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেকেই স্বাধীনতা বলতেননা। পার্টিশন বলতেন। পার্টিশন মানে দাগ। পার্টিশন মানে ক্ষত। এই ক্ষতকে মনে রাখার প্রয়োজন আছে।আমরা ১৫ তারিখ আরও কিছু জিনিস করতে চলেছি। ১। আমার নিজের একটা উপন্যাসিকা প্রকাশিত হচ্ছে এই ১৫ তারিখ। অনলাইনেই। "নুনু যখন শনাক্তকরণের চিহ্ন"। যখন লিখতে শুরু করেছিলাম, যাদবপুর-র্যাগিং-লিঙ্গ এইসব ... ...