এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ধর্মের নামে জাতপাতের লড়াই।

    লেখক শংকর হালদার লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১৬০ বার পঠিত
  • গল্প নম্বর :- ৪
    ধর্মের নামে জাতপাতের লড়াই।
    গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।
    ◆ রচনার শ্রেণী :- সামাজিক ছোট গল্প।
    বিষয় :- সমাজের জাত পাতের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনী।

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    ◆ অনিন্দিতা রাতে বিছানায় শুয়ে ভাবে :- আধুনিক সভ্য সমাজের ভদ্রলোক লোকেরা একুশ শতকে দাঁড়িয়ে, উচ্চ বর্ণের তৈরি করা আদিকালের নিয়ম অনুসারে ছোট জাতের মানুষের সাথে উচু সমাজের মানুষের মেলামেশা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না।

    ◆ ছোট জাতের লোক কোন কারণবশত উচ্চ বর্ণের মানুষের স্পর্শ হয়ে যায় তবে হনুমানের লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে দেয়।

    ◆ শিশু কাল থেকে শুনছি আমাদের হরিজন জাত নাকি সমাজের কাছে সব থেকে নিকৃষ্ট জাতির মানুষ।

    ◆ উচ্চ বর্ণের হিন্দু পন্ডিত গণ বলেন :- ধর্ম শাস্ত্র চার বর্ণের মানুষের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু নিম্নবর্ণের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের কথা উল্লেখ নেই। বেদ ধর্মের বাইরের নিম্ন বর্ণের মানুষ , যাদের সংস্পর্শে পাপ হয়।

    ◆ ব্রাক্ষণ সর্ব জাতির শ্রেষ্ঠ তাকে সম্মান করা সকল বর্ণের কর্তব্য। তাদের কাজ পূজা পার্বণ করা আর ধর্ম বিষয়ক সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মের জ্ঞান দান করা।

    ◆ অনিন্দিতা আপন মনে বলে উঠে :- কিন্তু ধর্মের নামে অপপ্রচার ও নিজেদের অর্থাৎ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে জাত পাতের লড়াই লাগিয়ে দিয়ে কিন্তু উচ্চ বর্ণের মানুষের স্বার্থ কে বজায় রাখতে বিভিন্ন নিয়ম কানুন তৈরি করছেন।

    ◆ আবার একই ঈশ্বরের সৃষ্টি মানুষ কে ছোট জাতের মানুষ বানিয়ে সামাজিক ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করা কি কখনো ঠিক?

    ◆ আধুনিক সভ্যতার সময়ে দাঁড়িয়ে এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাত পাতের দোহাই দিয়ে কথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষের শিক্ষা লাভের থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।

    ◆ ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় রাজনীতি শাসক দল
    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের সম্প্রদায়ের কতজন মানুষ পাকা ঘর পেয়েছে। এখনো সেই মাটির ঘর আর উপরে খয়ের চাল দিয়ে বসবাস করতে হয়।

    ◆ বি আর আম্বেদকর সাহেব বাবার সংবিধান অনুসারে নিম্ন বর্ণের মানুষের উন্নয়ন করার কথা উল্লেখ আছে কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধার মতো কেউ নেই। কারণ লোকসভা ও বিধানসভার সকল সদস্যরা উচ্চ বর্ণের মানুষ।

    ◆ অনিন্দিতা আবার পুরনো দিনের স্মৃতির পাতাগুলো উল্টাতে উল্টাতে ভাবে শিশু কালের প্রথম স্কুল জীবনের কথা।

    ◆ আমি বাবার সাথে পড়াশোনা করার আগ্রহ নিয়ে মনের আনন্দে স্কুলে ভর্তি হতে গিয়েছিলাম।

    ◆ উচ্চ বর্ণের সমাজের মাস্টার মশাই ব্যঙ্গ করে বলেন :- अरे पेची; जब आप अपनी शिक्षा सीखेंगे तो आपका क्या होगा?
    पढ़-लिख के विद्वान बनने की जरूरत नहीं है। घर जाओ और अपनी माँ के काम में मदद करो और मजदूरी के लिए खेतों में काम करो, लेकिन तुम अपने पिता के परिवार के लिए बहुत सारे पैसे लाओगे।

    ◆ অনুবাদ :- আরে পেচি; তোরা হোলি ছোট জাত তা তোদের লেখাপড়া শিখে কি হবে? লেখাপড়া শিখে বিদ্বান হওয়ার কোন দরকার নেই। বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাজে সহযোগিতা কর আর মাঠে ঘাটে দিন মজুরির কাজ করলে কিন্তু বাবার সংসারে অনেক টাকা আসবে।

    ◆ আমি সেই মুহূর্তে হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে ছিলাম।

    ◆ বাবা কয়েক এক সপ্তাহ ধরে স্কুলের দরজায় ঘোরাঘুরি করা সহ বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে পায়ে ধরে কিন্তু কোন কাজ হয় না ।

    ◆ আমার পড়াশোনা করার আকুল আগ্রহ ও কান্নাকাটি করতে দেখে কিন্তু মধ্যে বর্ণের এক শিক্ষক মহাশয় সকল শিক্ষকদের সাথে লড়াই করতে থাকে, তারপর উক্ত শিক্ষকের দয়া ক্রমে কিন্তু লেখাপড়া করার সুযোগ পায়।

    ◆ অনিন্দিতা দুই হাত উপরে দিকে তুলে কপালে ঠেকিয়ে বলে :- সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক স্বর্গীয় অরবিন্দ শর্মা মহাশয় কে আমার প্রণাম জানাই।

    ◆ অনিন্দিতা ভাবে :- আমি ছোট জাতের শিশু হওয়ার কারণে স্কুল রুমের দরজায় আসতেই, একজন মাস্টারমশাই চিৎকার চেঁচামেচি করে।

    ◆ মাস্টারমশাই রাগাম্বিত হয়ে আমার দিকে ছুটে আসে আর দূরত্ব বজায় রেখে বেত উঁচু করে দেখিয়ে বলেন :- স্কুল রুমের মধ্যে ছেলে-মেয়েদের সাথে বসা চলবে না। ক্লাস রুমের বাহিরে দরজার পাশে বসতে হবে। আর কোন ছেলে মেয়ে কে স্পর্শ পর্যন্ত করা যাবে না। যদি কোন রকম বেয়াদবি করো, তাহলে ছাল ছাড়িয়ে স্কুল থেকে বিদায় করে দেবো।

    ◆ আমি কিন্তু ভীষণ ভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

    ◆ অনিন্দিতা স্কুল জীবনের প্রথম দিনের ঘটনা স্মরণ করে চোখে জল এসে যায়।

    ◆ অনিন্দিতা চোখের জল মুছে ভাবে, সেই দিন আমার শিশু মনের হৃদয় থেকে বারবার বলছিল, তোকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে হবে। তোর সম্প্রদায়ের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

    ◆ আমি উচ্চবর্ণের ছেলেমেয়েদের স্পর্শ বাঁচিয়ে পড়াশোনা করার জন্য বাড়ি থেকে বসার জন্য পাটের বস্তু নিয়ে যেতাম।

    ◆ আমাদের সম্প্রদায়ের তিন জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে পড়াশোনা করতাম, তার মধ্যে একমাত্র আমি মেয়ে ছিলাম।

    ◆ আমি অনিন্দিতা প্রতিদিন স্বপ্ন দেখতাম, যে বড় হয়ে লেখাপড়া শিখে আমাদের ছোট হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের শিক্ষা লাভ সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইত্যাদি বিষয়ে ভাবনা করতাম।

    ◆ সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে লড়াই করতে করতে আমি অনিন্দিতা কখনো ক্লান্ত বোধ অনুভব করিনি।

    ◆ উচ্চ শিক্ষা লাভ করে জীবনের ছোট বেলার দেখা স্বপ্ন কে এক এক করে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকারের সাথে লড়াই করে করে হরিজন সম্প্রদায়ের গ্রামের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের ব্যবস্থা করেছি।

    ◆ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এখনো জাতপাতের ধর্মের কারণে হিংসা বিরাজমান । আমি অনিন্দিতা উত্তর প্রদেশ , রাজস্থান ও হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে দেখেছি উচ্চ বর্ণের সাথে নিম্ন বর্ণের মানুষের হিংসা, অত্যাচার, নির্যাতন ,খুন, ধর্ষণ ও সম্মানহানির ঘটনা।

    ◆ অনিন্দিতা আপন মনে বলে উঠে :- নিম্ন বর্ণের জন্য সরকার যাহা দেয় ,তাহা কিন্তু উচ্চ বর্ণের মানুষের হাত ধরে আসে। কারণ নিম্ন বর্ণের মানুষেরা এখনো সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেনি আবার রাজনৈতিক দিক দিয়ে মূল্যায়ন করা হয় না।

    ◆ ভোটের সময় এদের ভোট নাকি ভীষন মূল্যবান। তাই রাজ্যের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী আসে, আর গাল ভরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। ভোটের পরে যেমন কুঁড়েঘরে বাস তেমনি বাস করতে হয়।

    ◆ সরকারের দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কিছু পাওয়ার জন্য কিন্তু উচ্চ বর্ণের মানুষের দয়ার উপর নির্ভর করতে হয়।

    ◆ উচ্চবর্ণের মানুষ বলে, নিম্নবর্ণের মানুষেরা কিন্তু লেখাপড়া শিখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে গেলে- আমাদের মূল্যায়ন থাকবে না, যতদিন পারা যায় দাবিয়ে রাখতে হবে।

    ◆ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে জাত পাতের লড়াই কয়েক হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে।

    ◆ ভারতবর্ষের সংবিধান রচনা কিন্তু এই আমার মতো নিম্ন বর্ণের মানুষ বি আর আম্বেদকর করেন কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো কতখানি উন্নতি লাভ করেছে।

    ◆ তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহর জাতি অধিভুক্ত ছিলেন। যারা অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে এবং প্রচণ্ড আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।

    ◆ যদিও ভাগ্যক্রমে আম্বেদকরের বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি লাভ করেন কিন্তু তাকে অন্যান্য অস্পৃশ্য শিশুর ন্যায় আলাদা করে দেওয়া হয়।

    ◆ শিক্ষকগণ তাদের প্রতি ভীষণ ভাবে অমনোযোগী ছিলেন এবং কোনোরূপ সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করতেন না।

    ◆ তাদের শ্রেণিকক্ষের ভিতরে বসার অনুমতি ছিল না, এমনকি তাদের যদি তৃষ্ণা পেলো উচ্চবর্ণের কোনো একজন অনেক উঁচু থেকে জল ঢেলে দিতেন কারণ যাতে নিচু জাতের শিক্ষার্থীরা জল পান করা ও পানীয় পাত্র স্পর্শ না করতে পারে ।

    ◆ সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে কয়েকটি প্রদেশের কিছু অংশ বাদে অবহমান কাল ধরে বর্তমান সময় পর্যন্ত জাত পাতের অস্পর্শ প্রথা চলে আসছে।

    ◆ একজন ব্যক্তি কয়েক ফুট উঁচু থেকে জল ঢেলে দেয় তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির দুই হাতের তালুর উপর আর তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি নিজের হাতের তালুতে মুখ লাগিয়ে জল পান করতে থাকে।

    ◆ ঘটি অর্থাৎ লোটাতে থাকা জলের এক তৃতীয়াংশ মাটিতে পড়ে যায় কিন্তু আবার নতুন করে জল চাইলে, তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি কে অশ্লীল ভাষায় খিস্তি খামারি ছোট জাত বলে বাক্য বানে জর্জরিত করে দেবে।

    ◆ আমি অনিন্দিতা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি, বর্তমান যুগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চবর্ণের মানুষ কিন্তু নিম্ন বর্ণের মানুষকে কোন প্রকার জলপান করতে দেয় না।

    ◆ উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণ মানুষের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে জলের কূপের ব্যবস্থা আছে। ভুল করেও কিন্তু কেউ কারের জলের কুপ স্পর্শ করে না। স্পর্শ করলেই কিন্তু মহা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।

    ◆ বি আর আম্বেদকর উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, জল পান করানো কাজটি সাধারণত আম্বেদকরের জন্য করতো বিদ্যালয়ের চাপরাসি অর্থাৎ স্কুলের পিয়ন। কোন কারণে যদি পিয়ন না থাকতো বা না আসতো, তখন সারাদিন জল ছাড়াই নিম্ন বর্ণের ছাত্রদের কাটাতে হতো।

    ◆ আম্বেদকর এই অবস্থাকে এভাবে আখ্যায়িত করেছেন - "পিয়ন নাই আর পানীয় জল নেই" (নো পিয়ন, নো ওয়াটার)।

    ◆ অনিন্দিতা আপন মনে বলে উঠে :- বি আর আম্বেদকর সাহেব বাবা উচ্চবর্ণের মানুষের সাথে বহু লড়াই আন্দোলন করেও কিন্তু সমাজ থেকে অস্পর্শ প্রথা জাত পাতের জ্বালা যন্ত্রণা অত্যাচার সমূলে বিতাড়িত করতে পারেননি।

    ◆ একুশ শতাব্দীতে সভ্য সমাজের মানুষ বলে অহংকার করে দাবি করে কিন্তু আজও নিম্ন বর্ণের মানুষের স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে?

    ◆ ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সকল ব্যক্তিগণ সবাই উচ্চবর্ণের মানুষ আর তারা কখনোই চাইবে না নিম্ন বর্ণের মানুষের উন্নয়ন হোক। শিক্ষা দীক্ষায় সামনের দিকে এগিয়ে যাক।

    ◆ অনিন্দিতা বাংলার কোন জনপদ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভাবে, ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, বাংলার নিম্ন বর্ণের মানুষ চন্ডাল বা নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর নিজের সম্প্রদায়ের জন্য সমাজ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করেন এবং সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

    ◆ নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের কিন্তু এখনো উচ্চ বর্ণের মানুষের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

    ◆ আমি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেছি, ভারতবর্ষের অন্যান প্রদেশের থেকে পশ্চিমবাংলায় জাত পাতের লড়াই ঝগড়া বহু অংশে কম আছে।

    ◆ এখানে ছোট জাত ও বড় জাতের মানুষ কে একসাথে মিলেমিশে চলতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে দেখেছি।

    ◆ আমি একজন উচ্চ বর্ণের ব্রাহ্মণের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করে ছিলাম। আমি নিম্ন বর্ণের হরিজন সম্প্রদায়ের মেয়ে জানতে পারা সত্ত্বেও কিন্তু আমার জাতপাতের লড়াইয়ে সম্মান জানিয়েছে । তাদের পরিবারের সাথে প্রাণ খুলে কথা বলে আনন্দ ফুর্তি করে কয়েকদিন কাটিয়ে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি।

    ◆ বাংলায় একেবারে জাত পাতের উৎপাত নেই তা কিন্তু বলা যাবে। অন্য প্রদেশ থেকে এখানে অনেক অনেক কম আছে।

    ◆ আমি জন্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার বাসিন্দা ও সমাজের তথাকথিত নিম্ন বর্ণের বাবা-মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলাম। হিন্দু ধর্মের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখানে জাতপাতের লড়াই ভীষণভাবে সমাজের মধ্যে প্রচলিত আছে।

    ◆ বাংলার জাতপাতের বিরুদ্ধে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর, লালন ফকির, স্বামী বিবেকানন্দ সহ বহু কবি ও সাহিত্যিক, মুনি-ঋষি এবং জ্ঞানী ব্যক্তিগণ লড়াই ও আন্দোলন করেছেন।

    ◆ এক ঈশ্বর বাদের সাধনায় মধ্য দিয়ে জাত পাতের লড়াই দূর করার জন্য একসময় ব্রাহ্ম সমাজের আবির্ভাব ঘটেছিল। এই ব্রাহ্ম সমাজে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যোগদান করেছেন।

    আমি অনিন্দিতা ধর্ম ও জাত পাত নির্বিশেষে বাংলার মায়ের বুক ভরা ভালোবাসা পেয়েছি, সকল মানুষকে হৃদয় থেকে আমার প্রণাম জানাই।

    -----------------------------------------------------------~~~~~~~~~~~-----------
    ◆ রচনাকাল :- ২৬ জুন ২০২৩ সাল। দত্তপুলিয়া যুব গোষ্ঠী ক্লাব, নদীয়া।
    ◆ সংশোধনের তারিখ :- ৪ আগস্ট ২০২৩ সালে। আশ্রম খাটুরা - দোলন ঘাটা, মাঝদিয়া, নদীয়া।
    ----------------------------------------------------~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন