মহাকবির বিয়োগান্ত চলছিল ঠিকঠাকহঠাৎ রাজা সাজঘরে তে পাল্টালো পোশাক!মঞ্চে ঢুকেই নতুন ড্রেসে অসংলগ্ন সংলাপবলে -"এতক্ষণ যা হচ্ছিল সব পাগলের প্রলাপ!-রাজার আবার ভুল হয় নাকি!এডমন্ড হলো আদর্শএখন থেকে যেকোন উপায়ে আদায় করো রাজস্ব।সত্য মিথ্যা নীতির কথা ,নাটক নভেলে মানায় বেশঅনুগত যারা থাকুক তারা,বাদবাকি সব ছাড়ুক দেশ।-যুদ্ধ যুদ্ধ করবো খেলা যখনই দেখা দেবে অভাবযত্রতত্র খাইখাই করা প্রজাবৃন্দের ভিখারি ভাব।চাষাবাদ করে খাজনা আর আত্মনেপদী রোজগারঅন্যথা কিছু করলে স্রেফ ভর্তি হবে কারাগার!-কর্ডেলিয়ারা বিদেশেই থাক,সত্য বড়ই অপ্রিয়মহান মিথ্যা প্রচার করেই রাজা দেশে জনপ্রিয় ।"এক নাগাড়ে বলে চলে বিষাক্ত-নীল মনের বাতমুখ বন্ধের চেষ্টা বৃথা স্তম্ভিত হয়ে সবাই মাত।পরিচালকের মাথায় বাজ,লীয়ারের একি মতিভ্রম!-ট্রাজেডি শেষে প্রহসন হলে সমস্তটাই ... ...
একটা তাল নিয়ে যা দুলালী।খালি মুখ থেকে বেরিয়ে গেছিল - আমাদের আর কি জন্মাষ্টমী দিদি? আমাদের ঠাকুর কি সেই ভাগ্য দিয়েছে? দুলালীর একটি পাঁচ বছরের ছেলে আছে - নাম পরিমল। বাবাকে সে দেখে নি। ওর বাবা ওর জন্মের আগেই মরে গেছে। কারখানায় কাজ করত। এক্সিডেন্টে মারা গেছে।শোনা যায় - ভালোবেসে নাকি ওদের বিয়ে হয়েছিল।অর্থের তাড়নায় দুলালী আট বাড়িতে কাজ ধরেছে। বেগোর খালের ধারে একটি বসতিতে মা ছেলে থাকে।সুমনা প্রায় জোর করেই হাতে একটি তাল দুলালীকে দিয়ে বললো - তুই তালের বড়া করে ঠাকুরকে দিবি আর ছেলেকে খাওয়াবি।মা তাল নিয়ে ঘরে এসেছে। মা ওকে শুধু পরি বলে ডাকে। দুলালী তাল নিয়ে এসে ... ...
সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিবেক দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর বিছানায় একটু গড়িয়ে নিতে নিতে ভাবে পঁয়ত্রিশ বছর প্রায় হয়ে গেল তার সংসার-ধর্ম শিখার সাথে, কিন্তু আজও সে ঠিকঠাক ভাবে বুঝে উঠতে পারলো না তার স্ত্রীকে। তার কী যে মায়া এই সংসারের প্রতি ! একঘন্টার উপর হয়ে গেল সবার দুপুরের খাওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু শিখার পাত্তা নেই। এখনও সে রান্নাঘরে ব্যস্ত কাজের মাসির সাথে। বাসন ধুচ্ছে রাসমণি মাসি। যতক্ষণ না সে ধোয়া বাসন পরিপাটি করছে, দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করবে শিখা। এখন তাদের ছেলে কিশোরের বউ রনি জুড়েছে এই সংসারে প্রায় বছরখানেক হলো, দিতে পারে তাকে এই তদারকির দায়িত্ব। কিন্তু দেবে না। পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ... ...
বছর বাইশ আগের কথা। এক ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট কোম্পানি'র কনস্ট্রাকশন বিভাগের তরফে কর্মসুত্রে জামসেদপুরে পোস্টেড। টাটা স্টীলের এক্সপানসন প্রোজেক্টে, 1.2 MT ক্যাপাসিটির কোল্ড রোলিং মিল (CRM) ইনস্টলেশনের একটা অংশের সাথে যুক্ত ছিলাম। ক্লায়েন্টের তরফে যে আমাদের কাউন্টার পার্ট ম্যানেজার ছিল, সে ইয়াং ইন্জিনিয়ার এবং কাজের ছেলে। একটু বদমেজাজি হলেও আমার সঙ্গে একটা প্রফেশনাল কাম জোভিয়াল সম্পর্ক ... ...
অচিন্ত্যকে চিনতো কে শিউলি না ফুটলেবনফুলের মধ্যে থেকে সৌরভ ছড়ালে! কমনওয়েলথে সোনা, মোট ৩১৩ তুলেআনকমন ওয়েলথ গিলে ১১১ জেলে !!
অন্ধকারে হাতড়ে হাতড় চলিতেছিল অবিনাশ। চলিতে তাকে হবেই। সামনের দিকে। থামিবার অথবা পিছনদিকে হাঁটিবার আর কোনো উপায় তার নেই। কতদূর আসিয়াছে অথবা আর কতদূর তাকে যাইতে হইবে তাহার অজানা। এভাবে চলিতে চলিতে রাত, দিন কোনোকিছুই ঠাহর হয় না। রাস্তা এত পিছল, এত বন্ধুর এবং ততধিক অজানা। অনিশ্চয়তা যেন তাহার আমৃত্যু সঙ্গী হইল। ফেলে আসা জীবন তাহার কাছে পূর্বজন্মের মত ঠেকে। তা লইয়া আর সে ভাবে না। শুধু ছেলেটার মুখ ভাসিয়া উঠে বারবার। তাকে না হইলে যে তাহার চলে না। ... ...
“দ্যাশের মাথারা দ্যাশটাকে ফালা কইর্যা দিলো। ভিটা মাটি জমি জিরেত সব বেবাক নায় হয়ে গেল। অহন পোলাপান নিয়ে আমারা যায় কুনখানে’’।তবু ছেলেমেয়েরর হাত ধরে তারা বেড়িয়ে পড়েছিল। সবকিছু ফেলে সামান্য কিছু সম্বল মাথায় নিয়ে। যারা কোনোদিন নিজের ভিটের গণ্ডিটুকু ছেড়ে কোথাও যায় নি তারাও চলেছে। কত পথ যে হাঁটতে হবে তার ঠিক নেই। পৌঁছোতে হবে ভারতে। এখন থেকে ওটাই নাকি “আমাগো দ্যাশ……’’।স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরের উৎসবে মেতে উঠেছে সারা দেশ। তার উত্তাপ অনুভব করছি কমবেশি সকলেই। কার দেশপ্রেম কত বেশি তার একটা প্রতিযোগিতা। অনেকটা ভাব এরকম স্বাধীনতার মর্ম আমার থেকে বেশি কেউ বোঝে না। বীর সব স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমারই আত্মার আত্মীয়। নেহাত ঐ সময় ভাগ্য দোষে জন্মাইনি তাই, ... ...
- ‘ তরা কিসেও খুশি লয় , বল…'ন্যাশনাল হাইওয়ে ছেড়ে আরাবারীর জঙ্গলের মাঝে বন চিরে সোজা কিলোমিটার পঁচিশ , তারপরেই নতুন ভাতঘর । ডেলি প্যাসেঞ্জার প্রায় দিন দশেক ধরে । কালো পাহাড়ের কোলের কালো মাটি ছেড়ে নিজের রক্তের লালমাটি মাখি রোজ এখন । মাখতে মাখতে ভেবেই যাই এই বোধহয় ভরবে সব । হয় না । ভেতরে এত খালি ছিল বুঝিনি । থাক সে সব । জঙ্গল মাঝে রোজ খানিক ধোঁয়া বিরতিতে সঙ্গী জুটিয়েছি একখান । নাম থাক । বছর সত্তরের যুবক আদিবাসী বুড়ো । সাত খানা ছাগল আর তিনটা রোগা গরুর ভাগ রাখাল । সাদা বিড়ির খুব শখ । নিজেই ... ...
কোন আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ইচ্ছে গুলো-পতাকা তুলতে পারবে? প্রিয় স্বাধীনতার! খুন হতে হবেনা! তেত্রিশ বছর কাটলো-ফতোয়া জারি ছিল, ছিল না হাদি মাতার। নীল সমুদ্রে শঙ্খচিল হিতোসি ইগারাশিমৌলিক মাঞ্জার ঘায়ে ভোকাট্টা সুনীলে! কতযুগ আর মানব জমিনে মূক রবে কৃষিকত শতাব্দী রইবে ধরা রক্তবীজের দখলে?
বুশ বক্তৃতা দিলেই সবাই হাঁ করে দেখত। ওঁর সাধারণ জ্ঞান অসাধারণ ছিল, তাই। একবার স্প্যানিশ ভাষাকে মেক্সিকান ভাষা বলেছিলেন, টেনাসিকে বলেছিলেন টেক্সাসে, আর আমেরিকাকে পিসমেকার বলতে গিয়ে পেসমেকার আখ্যা দিয়েছিলেন, এইসব টুকটাক। শেষেরটা অবশ্য ঠিকঠাকই ছিল, একেই বোধহয় ফ্রয়েডিয়ান স্লিপ বলে। ট্রাম্প টুইট করলেই মিডিয়ায় হইচই পড়ে যেত। কারণ, তাঁর আইকিউ অত্যন্ত বেশি ছিল, নিজেই টুইটে সেটা দাবী করেছিলেন, বুদ্ধি খুব বেশি না থাকলে অমন টুইট করা অসম্ভব। তিনি একবার দাবী করেছিলেন, খুঁটিয়ে বারাক ওবামার বার্থ সার্টিফিকেট দেখে আবিষ্কার করেছেন, যে, ওবামা ভদ্রলোক আসলে কেনিয়ায় জন্মেছিলেন। আর একবার ঘোষণা করেছিলেন, উইন্ডমিলই হল আমেরিকান (ইগল)দের সব চেয়ে বড় শত্রু। দন কিহোতের মতো ... ...
আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। হঠাৎ আমার এক পাকিস্তানি বন্ধু Happy Independence Day বলে জড়িয়ে ধরলো। তখন মনে পড়লো আজ স্বাধীনতা দিবস। তারপর যখন ঘরে এসে মোবাইলটা ঘাটলাম তখন দেখলাম একদল লোক, নিজেদের ডিপিতে ভারতের পতাকার ছবি দিয়েছেন। আর এক দল লোক কিছু দেশপ্রেমিকের ছবি দিয়েছেন। আর একজন দেখলাম লিখেছেন, ডিপি বদলে স্বাধীনতা দিবস পালন করে লাভ নেই ... ...
দেশজুড়ে চলছে উৎসব। উৎসব হবে নাই বা কেন! ৭৫ বছর পেরিয়ে এলাম যে। তবে কিসের ৭৫ বছর? শুধুমাত্র দেশ থেকে ব্রিটিশ মুক্তির? দেশভাগের নয়? এত উল্লাস, এতো উন্মাদনার মাঝে অতি সহজেই যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি দেশভাগের মর্মান্তিক ইতিহাসকে।কিছু ব্রিটিশের পা চাটা দালাল আর কিছু সাম্প্রদায়িক শকুনেরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকারের সাথে চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে ভারতভূমিকে দ্বিখণ্ডিত করল। সাথেই সাম্প্রদায়িকতার তলোয়ারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হল ভারতবাসীর ঐক্য। দেশের একাংশ মানুষ যখন স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দে ও উল্লাসে ব্যাস্ত, তখন অন্যদিকে দেশের এক বিরাট অংশের ভিটে হারা মানুষেদের জীবনে নেমে এল দুর্যোগের কালো মেঘ। অচিরেই দুর্যোগ যে কতটা ভয়ানক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছিল ... ...
ভয় জিনিসটা বরাবরই ছিলো, আছে, থাকবে, তাই ভয় দেখানোর অধিকারও ছিলো, আছে, থাকবে, তা সে বাচ্চা কে একানড়ের ভয় হোক বা ধেড়েদের অন্য ভয়, ভয় পাওয়ার অধিকার তাই আছে, ছিলো, থাকবে, তবে স্থানকালপাত্র ভেদে ভয়ের কারণগুলো বদলে যায়। সুন্দরবনে আইলার ভয়, শহরে উড়ালসেতু ভেঙে পড়ার ভয়, কিছুকাল আগে মানুষ ম্যালেরিয়াকে ভয় পেতো এখন আর পায় না, হালের করোনা তো এখন ভেতো ঘরজামাই গোছের। ... ...
১৯১৫ সালের ৯ এপ্রিল, হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা’। গান্ধী হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ অসহযোগ-খিলাফত আন্দোলনের ডাক দিলেও অসহযোগের তীব্র বিরোধিতা করে কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকে মহাসভা। চৌরিচৌরার হিংসার প্রেক্ষিতে গান্ধী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ১৯২৩ সালে বিরাট হিন্দু পুনরুত্থান অভিযান শুরু করে তারা। সেই বছর অগস্ট মাসে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের সভাপতিত্বে বারাণসী অধিবেশনে মহাসভা ‘শুদ্ধি’ কর্মসূচী গ্রহণ করে, ‘হিন্দু আত্মরক্ষা বাহিনী’ গড়ে তোলারও ডাক দেয়।অসহযোগ-খিলাফতের ব্যর্থতার পরে মুসলমান সমাজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলার জন্য, ১৯২৪ সালের ৪ মে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লিগের সভাপতির অভিভাষণে জিন্না বলেন: “স্বরাজ অর্জনের এক অপরিহার্য শর্ত হল হিন্দু ... ...
এই মুহুর্তের বিবিধ দুসংবাদ প্রবাহের মাঝে নিউজ চ্যানেলের প্রভাতী রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। ********************** টিভিতে দেখছিলাম এক বিখ্যাত বাঙলা নিউজ চ্যানেলের প্রভাতী রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান 'ভালো বেসে সখী'। এই অনুষ্ঠানে অনেক প্রথিতযশা শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশন করেন। একঘন্টার এই লাইভ অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়াও শিল্পীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ফোন-ইন করার ব্যবস্থাও আছে খানিকটা সময়। অর্থাৎ এই যেমন: কে বলছেন? আমি ভুবনডাঙা থেকে অলীক চৌধুরী (কাল্পনিক নাম) বলছি। হ্যাঁ বলুন অলীক বাবু। আমি আপনাদের এই অনুষ্ঠান শুনছি। খুব ভাল লাগছে ... ...
আমি তো আশা নিয়ে বসে আছি সই তোমার আগমনেরবারংবার আশাহত হৃদয়, এই তো হল বলে, মরুর ন্যায় কিংবা অনুভূতিহীন পাথরমরু কিংবা পাথর- কদাচিৎ তুমি নামক বৃষ্টির ফোঁটায় আবারও হতে চায় সবুজে শ্যামলকিন্তু হায় নিয়তি! আমার আশা, সে যে কেবলই মরীচিকা!
শান্তশিষ্ট সিংহ যেন দৈত্যকুলে প্রহ্লাদহিরণ্যকশিপুর আজো সীমাহীন দম্ভ ;ষড়যন্ত্র জারি রাখে রাজা রুপী জল্লাদনৃসিংহ বেরিয়ে আসে ভেঙ্গে ফেলে স্তম্ভ!
ষণ্ড তবু তাড়া করে শিং বাগিয়েধেড়ে ইঁদুর পালিয়ে বেড়ায় ধ্যাধেড়িয়েগুঁফো ইঁদুর ভয়ঙ্কর ভীষণ পাজিবউ পালালে হাজার বউ হতে রাজি।
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে যান্ত্রিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে রাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেশন , সাইকেল ও গাড়ির টায়ার যুদ্ধাস্ত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি করতে রাবারের প্রয়োজন হতো। কয়েক টুকরা রাবারের অভাবে অনেক সময় ভারী যন্ত্রপাতির উৎপাদন আটকে যেত।.সিন্থেটিক রাবার আবিষ্কারের আগে বৈশ্বিক চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হতো আমাজন জঙ্গলের রাবার গাছ থেকে। একক পরাশক্তি হিসেবে বৃটেনের রাবারের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। রাবারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নেয় রাবার উৎপাদনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন স্থাপনের।.এই উদ্দেশ্যের লন্ডনের রয়েল বোটানিকাল ইনস্টিটিউট 1876 সালে হেনরী উইকহ্যাম নামে এক ব্রিটিশ পর্যটককে দায়িত্ব দিয়ে আমাজনে পাঠায়। নৌকা নিয়ে আমাজনের গভীরে ঢোকার ... ...