মাঝরাতে ওয়াইফাইয়ের কানেকশন পাওয়ার জন্য ফোন এদিক ওদিক ঘোরাতে ঘোরাতে কখন যে ডাইনিং টেবিলের তলে ঢুকে গেছি নিজেও জানিনা। ওয়াইফাই পেয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে কেবলমাত্র নোটিফিকেশনটা চেক করতে যাবো এমন সময় চাপা আর্তনাদ শুনলাম,-কে!কে ওখানে!!কে!!!আমি জবাব দিলাম না। তবে বুঝতে পারছি মানুষটা আমার খালা। গতকালই বেড়াতে এসেছেন আমাদের বাসায়।জবাব না পেয়ে ইতিমধ্যেই খালা আয়াতুল কুরসি পড়তে শুরু করেছেন। দোয়ার মাঝামাঝি পর্যায়েই ফিট হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন। তারমধ্যেই টেবি ... ...
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, রাহাতের স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি একটা চিল্লানি দিয়ে বললাম, না! এ হতে পারে না। ডাক্তার সাহেব! বলে দেন যে এ মিথ্যা।ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায় বললেন, মিথ্যা না। মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে আপনার স্বামীর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। সরি! আমাদের আর কিছু করার নেই।আমি রাহাতের হাত ধরে বললাম, তুমি আমাকে চিনতে পারছো না! ভালো করে দেখো! মনের চোখ দিয়ে দেখো। আমাদের এতদিনের ভালোবাসা এতদিনের পাশে থাকা মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না!রাহাত ... ...
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ঘাগড়ার দেবতাছড়ি গ্রামের কিশোরী সুমি তঞ্চঙ্গ্যা। দরিদ্র জুমচাষি মা-বাবার পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ব্যতিক্রম সুমি। লেখাপড়ায় তার প্রবল আগ্রহ। অগত্যা মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। কোনো রকমে মেয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিটুকু পার করাতে পেরেছেন। কিন্তু এরপর? চটপটে পাহাড়ি মেয়েটি এই লেখককে বলে, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার লেখাপড়া এখানেই শেষ। এ সময় আমরা শুনতে পাই ‘মোনঘর শিশু সদন‘র কথা। সেখানে নাকি নামমাত্র বেতনে খুব ভালো লেখাপড়া হয়। এরপর আমি এই ... ...
১এই জল, তুমি তাকে লাবণ্য দিয়েছ বলেবাণিজ্যপোত নিয়ে বেরোতেই হ'লযতক্ষণ না ডাঙা ফিকে হয়ে আসে। ... ...
মোটরবাইক: ইহা একটি দ্বিচক্রী স্থলযান। পেট্রল ডিজেল জাতীয় জীবাশ্ম জ্বালানির সাহায্যে চলে। বিভিন্ন আকারের ও বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরবাইক আমরা দেখিতে পাই। কোন কোন বাইকের পাশে ক্যারিয়ার থাকে। শোলে বাইক আজকাল সেরকম দেখিতে পাওয়া যায়না। যানজট জনিত সমস্যায় বাইক অকুতোভয়, অত্যল্প জায়গার ভেতর দিয়েও ইহা নিষ্ক্রান্ত হইতে পারে। বাইকে চড়িবার পর হেলমেট পরিবার প্রয়োজন। অন্যথা ফেজ টুপি চলিতে পারে। ... ...
এন আর এস এর ঘটনাটি যে এতটা স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে উঠতে পারল এবং দেখিয়ে দিল হাসপাতালগুলির তথা স্বাস্থ্য পরিষেবার হতশ্রী দশা, নির্দিষ্ট ঘটনাটির পোস্টমর্টেম পেরিয়ে এবার সে নিয়ে নাগরিক সমাজে আলোচনা দরকার।কিন্তু এই আলোচনা কতটা হবে তাই নিয়ে সংশয় আছে। কারণ মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজ যারা এই আলোচনা করবেন, তারা তো মেডিক্লেম এর আওতায় প্রাইভেট হাসপাতালে চলে এসেছেন বেশ কিছুদিন হল।মেডিক্লেম পলিসির শর্তাবলী, রি ইমবার্সমেন্ট, ক্যাশলেস ট্রিটমেন্ট এর অ্যাপ্রুভাল - এসবই তো সেখানে মনযোগের বিষয় বস্তু। ... ...
হিংসার ঘটনা এই তো প্রথম নয়। ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে টাউনহল খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কে তুলোধোনা করার পর রাজ্যে ১ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল গুলি র রোগী শোষণ বন্ধ করার জন্য, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নাকি এই আইন। কিন্তু আইনের বলে যে রেগুলেটরি কমিশন তৈরি হলো তার শীর্ষে রইলেন বেসরকারি হাসপাতালে র ডাক্তাররা। আর বেসরকারি হাসপাতাল কে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে কমিশন ভিক্টিমাইজ করতে লাগলো ব্যক্তি ডাক্তারদের। পাশাপাশি ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ডাক্তারদের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস পরিসংখ্যান বলে গত আড়াই বছরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩৫ টি। এর মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু সরকারি হাসপাতালে। ... ...
ব্রুনাই-এর মত এত বেশী ভূতের আশে পাশে আমি অন্য কোন দেশে থাকি নি। দেশটা ছোট বা চারিদিকে ঘন বন ইত্যাদি আছে কিনা বলতে পারব না, তবে ব্রুনাই-য়ে ভূতের ঘনত্ব অন্যদেশের থেকে অনেক বেশী। নিমো গ্রাম ছাড়ার পর দীর্ঘদিন দেশের বা বিদেশের বড় বড় শহরে বাস করেছি, তেমন ভাবে ভূত নিয়ে ভাবিত হই নি। >ব্রুনাই-য়ে এসে আবার অনেক দিন পরে ভূতেদের সাথে মেলামেশা শুরু করলাম। এদিকে ঠাকুমার শেখানো বাংলা ভূত তাড়ানো মন্ত্র সব ভুলে গেছি ... ...
সবচেয়ে যে ভাল ছাত্র তাকেই অভিভাবকরা ডাক্তার বানাতে চায়। ছেলে বা মেয়ে মেধাবী বাবা মা স্বপ্ন দেখে বসে থাকল ডাক্তার বানানোর। ছেলে হয়ত প্রবল আগ্রহ নিয়ে বসে আছে ইঞ্জিনিয়ারিঙের কিন্তু বাবা মা জোর করে ডাক্তার বানিয়েছে এমন উদাহরণ খুঁজতে আমাকে বেশি দূর যেতে হবে না, অহরহ আছে এমন ঘটনা। আমার যেটা প্রশ্ন তা হচ্ছে প্রচণ্ড মেধাবী এরা ডাক্তারি পাশ করেই কী বদলে যায়? দেশের সিংহভাগ মানুষ ডাক্তার বলতেই কেন খুব কুৎসিত মনোভাব পোষণ করে? ডাক্তাররা ভাল না খারাপ সেই প্রসঙ্গে একটু পড়ে আসছি। আমরা কতটুকু ভাল মানুষ ... ...
অবাক হয়ে আমার সামনে বসা ছেলেটার কান্ড দেখছি। এই সময়ে তার আমার পাশে বসে আমার ঘোমটা তোলার কথা। তার বদলে সে ল্যাপটপের সামনে গিয়ে বসেছে। লজ্জা ভেঙ্গে বলেই ফেললাম, আপনি কি করছেন? সে উৎকণ্ঠার সাথে জবাব দিলো, দাঁড়াও দাঁড়াও! 'ম্যারিড' স্টাটাসই তো এখনো দেইনি। ম্যারিড স্টাটাস না দিলে বিয়ে হয় নাকি! ও হ্যাঁ! তোমাকে তো ট্যাগ করতে হবে। তুমি তোমার ফেসবুক আইডির নাম বলো আমি রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি। আমি খানিকক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। ম্যারিড স্টাটাস না দিলে বিয়ে ... ...
কুশান গুপ্ত'র কবিতা ... ...
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন বলছে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আবারও বেড়ে গেছে। এই নিয়ে প্রতিবছর মে মাসে পরপর কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ রেকর্ড সংখ্যক। গত মাসে (মে-তে) কার্বন ডাই অক্সাইডের গড় মাত্রা ছিল ৪১৪.৭ পার্টস পার মিলিয়ন। যা গত বছরের ওই সময়ের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণের চেয়ে (৪১১.২ পিপিএম) ৩.৫ পিপিএম বেশি ছিল। আর ১১ই মে, ২০১৯ তারিখে পাওয়া গিয়েছিল বায়ুতে রেকর্ড সংখ্যক কার্বন ডাই অক্সাইড। এই প্রথমবারের মত বাতাসে কার ... ...
আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো "ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম: ভালো গরু খারাপ গরু । ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা "বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ এক ... ...
বিগত কয়েকদিন ধরে "চলো পাল্টাই" নামক বঙ্গভাষীদের একটি আন্দোলনের নাম সামাজিক মাধ্যমের ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এও শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে আসাম উত্তাল। যদিও পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষীরা এ নিয়ে খুব বেশি ওয়াকিবহাল, একথা বলা যায়না। কী নিয়ে এই আন্দোলন? খুব বড় কিছু না। দলীয় রাজনীতির সঙ্গে তেমন ভাবে সংযুক্তও না। আসামে প্রচুর বাংলাভাষী আছেন, ২০২১ সালের জনগণনায় এঁদের সকলকে নিজের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা কে নথিভুক্ত করতে ডাক দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলন থেকে। অর্থাৎ, সরকারি খাতায় আসামের বাঙালির মাতৃভাষা ... ...
আমার জীবনে দেখা একটা ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার হলো প্রত্যয়। খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারে সে। আর সবসময়ই হাসছে। কেউ খারাপ কথা বললেও হাসছে,ভালো কথা বললেও হাসছে। পরিবার নিয়ে আমাকে দেখতে এসেছিলো প্রত্যয়। সেখানেই আমাদের প্রথম আলাপ। কথাবার্তা প্রায় পাকা হয়ে যাওয়ার পর আমি ওকে বললাম, আমার এরকম বিয়ে পছন্দ না। সে হাসতে হাসতে বললো, তাহলে কিরকম বিয়ে পছন্দ? গ্রান্ড ওয়েডিং? নায়ক-নায়িকাদের মতো? আমি না সূচক মাথা নেড়ে চুপ করে বসে রইলাম। তার কয়দিনের মধ্যেই যখন ... ...
রাণী ছিল গাঁয়ের মেয়ে। ছোট্ট। লক্ষ্মী। শান্ত। যেমনটি মেয়েদের হতে হয় আর কি। মানে যেমন হলে লোকে লক্ষ্মী মেয়ে বলে। ধরা যাক তাকে নিয়ে একটা গান বাঁধা হল। ... ...
প্রিয় শিল্পী হয়ে ওঠার অবশ্যই কিছু ব্যাকরণ থাকে। কিন্তু শিল্পী যখন বন্ধু হয়ে ওঠেন, তখন তাকে যুক্তিগত ব্যাকরণের বাইরে একটা নৈসর্গিক মাত্রা ছাড়া আর কিছু বলা যায়না। সত্যিকথা বলতে কী, 'রবীন্দ্রসঙ্গীত' ছাড়া আর কিছু না গেয়ে (অন্যগানগুলি না গাইলেও কোনও ব্যাসকম হতোনা) বাঙালি শ্রোতার অস্তিত্ত্বের এতো গভীরে শিকড় নামিয়ে দেবার শক্তি ... ...
আজ আমি প্রায় সারাদিন ধরে লিখছি বলা চলে। এরপরও যদি বিপ্লব না হয় আমার কিছু করার নেই। প্রথমেই সেই অমোঘ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলা যাক, যে পর্ব ৬ লেখার পর হপ্তাদুয়েক ঘাপটি মেরে থেকে আজ হঠাৎ ফিরে এসে আমি পর্ব ১০ লিখতে বসলাম কেন! জানিয়ে রাখা যাক যে এসব পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না, নিয়তিদেবী করিয়ে নিচ্ছেন। হয়েছে কি, আমি "পর্ব ৭" লিখছিলাম দুপুর থেকে সন্ধ্যে অবধি, সেটা পোস্ট করতে গিয়ে উড়ে গেলো। তারপর ঘন্টাদুয়েক বাদে মনের জোর সংগ্রহ করে এসে "পর্ব ৭ অথবা ৮" নাম দিয়ে লিখতে গেলাম, সেটাও তলিয়ে গেলো সার্ভারের গর্ ... ...
বেশ কয়েক বছর আগের কথা; পলিমার সোসাইটি-র একটা আলোচনাসভায় পলিমারবিজ্ঞানী প্রফেসর অনিল ভৌমিক-এর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আরো বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করুন’। পৃথিবীর নানারকম সমস্যার সমাধানে প্লাস্টিক কিভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে, তা সেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা ছিল। আর গত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সেই দিনের যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে চোখ রেখে মনে হল পরিবেশ মানে শুধু দূষন আর বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণ, আর ৫ই জুন আসলে প্লাস্টিক বিরোধি দিবস; তাই সমস্ত আলোচনা-পদক্ষেপ সবই প্লাস্টিক দ ... ...
পুরোপুরি সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে যাওয়ার আগে ভাবী চোখ থেকে চশমা খুলে রেখে বললো, পাত্রপক্ষের সামনে চশমা পরে যাওয়ার দরকার নাই। এমনিই যাও। আমি গেলাম। বসার ঘরে অনেকে বসে আছেন। বয়স্কা কেউ একজন বলে উঠলেন, মা! ছেলের পাশে বসো। আমি বসে পড়লাম। সেই ভদ্রমহিলা আবার হায়হায় করে উঠে বললেন, আরে আরে! এইটা তো ছেলের চাচা! ছেলের পাশে বসো মা। আমি বলতে যাচ্ছিলাম, আমি দেখতে পাচ্ছি না ছেলে কোনটা। কার পাশে বসবো একটু দেখিয়ে দেন। এমন সময় ভাইয়া আমার হাত ধরে ... ...