হিন্দি গদ্যরচনার একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কর্ম। ব্যঙ্গাত্মক শৈলীতে লেখা। আজও গোবলয়ের সামাজিক রাজনৈতিক মূল্যবোধে কতটু্কু পরিবর্তন হয়েছে সে বিচারের ভার পাঠকের উপরে। ... ...
আব্বাস সিদ্দিকি কে নিয়ে ভাবনা চিন্তা । ... ...
বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গভীর মননশীল ও সমাজতাত্বিক বিশ্লেষণ। পুরো EPW লেভেল। ... ...
বিগত কয়েকশো বছরের সময়সীমা জুড়ে ধর্মকে কেবলই সরতে হয়েছে ‘ইতিহাস’ নামক নাটকটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক চরিত্র থেকে ক্রমশ গুরুত্বহীন হতে থাকা পার্শ্বচরিত্রে । একেই পণ্ডিতেরা আজ বলছেন ‘সেক্যুলারাইজেশন’, বাংলায় হয়ত বা কোনও মতে বলতে পারি ‘ধর্মনিরপেক্ষীভবন’ । এ প্রক্রিয়ার তিনটে দিক । প্রথমত, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর থেকে ধর্মের রাশ আলগা হয়ে যাওয়া, প্রশাসন-অর্থব্যবস্থা-সেনা-শিক্ষাব্যবস্থা এইসব থেকে ধর্মের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া । দ্বিতীয়ত, জ্ঞান-চিন্তা-শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির জগতে আধুনিক বিজ্ঞান যুক্তিবাদ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের দ্বারা ধর্মের তাত্ত্বিক পরিসরটি দখল হয়ে যাওয়া । এবং তৃতীয়ত, ব্যক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও মনোজগতে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত ক্রমশ আলগা হয়ে আসা । বোঝা যায়, প্রক্রিয়াটি অনতিসংক্ষিপ্ত, জটিল, বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয় । ‘সেক্যুলারাইজেশন’ নিয়ে চর্চা, কাজে কাজেই, খুব সোজা না । ... ...
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ। ইংরেজ আমল। 1854 সালের বড়ি বন্দর থেকে থানে পরীক্ষামূলক ট্রেনের পরে ট্রেন লাইন পাতা হচ্ছে দেশের দিকবিদিকে। 1870 সালে পাতা হয়েছে হাওড়া এলাহাবাদ মুম্বাই লাইন। জুড়ে গেছে ভারতের দুই প্রান্ত। সেই সময়ে কোলহাপুর থেকে কলকাতায় বদলী হয়ে এলেন পোস্টমাস্টার গোপাল বিনায়ক জোশী। চৌঠা এপ্রিল। 1881। সঙ্গে ষোল বছরের বৌ। আনন্দী। সে বছরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে চেয়ে আবেদন করলেন দুটি কন্যা। ডি আবরু আর অবলা বোস। অনুমতি না পেয়ে তারা চলে গেলেন মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজে। মেয়েদের জন্য তারা দরজা খুলেছে 1875 সালে। আমাদের গল্পের আরেক কন্যা কাদম্বিনী তখন বেথুনের বি এ ক্লাসের ছাত্রী। অঙ্ক নিয়ে লড়াই চলছে। কে বলেছে মেয়েরা অঙ্ক পারে না? ... ...
বোম্বের ক্যান্সার-কলোনিতে জীবন-মৃত্যুর মাঝে আটকা পড়েছে শৈশব। মৃত্যুই কি জীবনের শেষ, জীবনের পরিণতি? নাকি, তারপরেও ... ...
কৌশিক মজুমদার লিখিত তোপসের নোটবুক বইটির আলোচনা। ... ...
কবি, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ যেমন বলেন, "আধুনিক কালের আধিপত্যের মুখে প্রাকৃতজনের জীবনের অনেক গভীর সত্যই যে আজ তছনছ হয়ে গেছে। এতো কিছু হারাবার কালে মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের একশত বিশ/বাইশ বছর বয়সী জনিক নকরেক আচ্চু আজো তাঁর প্রাকৃত সাংসারেক জীবনধারায় অটল। প্রত্যয়ী। মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের এই প্রবীন কিংবদন্তির বিশ্বাস আর মূল্যবোধকে নিয়ে চলচ্চিত্রভাষ্য 'গিত্তাল মি আচ্ছিয়া '।" ... ...
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখিত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বইটির আলোচনা। ... ...
মনে করা যাক আজ থেকে ৫০০ বা ১০০০ বছর সেই সময়ের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় পরিস্থিতিতে যে নিয়ম তৈরি হয়েছিল তা আজকের বহু বহুগুণ বদলে যাওয়া সমাজে কেন মেনে চলতে হবে সে প্রশ্ন তোলা বা তা নিয়ে তর্ক করাটাও অনিয়মের মধ্যে পড়ে। ক্লাস টুর বাচ্চাটার গল্প থেকে একটু সরে আসা হয়েছে, তার কথাও এখানেই শেষ হতেই পারত, তবে কিনা এটা তো ঠিক গল্প নয়, তাই একটা "তার পর" রয়েছে। তবে আপাততঃ ওই শিশুর ছোট্ট জীবনে যে নতুন নিয়মটা যোগ হল তা হচ্ছে প্রশ্ন করতে নেই। আর বৃহত্তর সমাজে এরই অনুসিদ্ধান্ত হল প্রশ্ন করতে দিতে নেই। ... ...
সেডিজম্ ও সরস্বতী পুজোর খিচুড়ি প্রসঙ্গে ... ...
নারী, পুরুষ, ছেলে, বুড়ো সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে ,কাঁদছে, আর্তনাদ করছে, ছবি তুলছে, শেয়ার করছে, লাইক দিচ্ছে ,কমেন্টস করছে কিন্তু কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করছে না। ... ...
বাংলাদেশের কুইয়ার সম্প্রদায় দেশের অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা; নানা সামাজিক আর আইনী বাধাবিপত্তির মধ্যেই তাদেরকে জীবনধারণ করতে হয়। দেশে এমন কোন আইন বর্তমানে নেই যা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সামাজিক বিদ্বেষ-ঘৃণা আর নানা হয়রানির থেকে সুরক্ষা দেয়; উল্টো, যে আইনগুলো আছে সেগুলো এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সুরক্ষার শেষ সম্ভাবনাটুকুকেও নষ্ট করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কুইয়ার মানুষদের অনলাইন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই তাদের ডিজিটাল জীবন অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংকুচিত; এর মধ্যে থেকেই তারা এতদিন ধরে কুইয়ার অধিকারের যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এই আইন তার পথকেও রুদ্ধ করে দেয়। ... ...
দেবারতি মুখোপাধ্যায় লিখিত গ্লানির্ভবতি ভারত বইটির আলোচনা। ... ...
সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল- এই সবকিছুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি হয় না। বাংলায় কংগ্রেস আমলের কথা ছেড়েই দেওয়া যাক। কেন্দ্রেও ইউপিএ সরকার থাকাকালীন এমন বহু কাজ হয়েছে যা সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলায় বাম আমলে বহু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। মরিচঝাঁপি, বানতলা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে গণআন্দোলনে শুধু গুলি চালনা নয়; "শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান"-র যে মডেল সিপিএম সমর্থকরা এখনও দিয়ে থাকেন; তার সঙ্গেও বিন্দুমাত্র একমত নই। তৃণমূল সরকারের আমলেও লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গণআন্দোলনের কর্মীদের ওপরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে। তাই এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি নেই। কিন্তু বিজেপিকে ভোটের ময়দানে আটকানোর প্রবৃত্তি আছে। কারণ যাই হয়ে যাক না কেন; সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল- এরা কেউ ফ্যাসিস্ট নয়। ... ...
যে তুমি ফোটাও ও ফুল ঘ্রাণে ভরো ব্যাপক সবুজ জমিতে বিছিয়ে দাও ধান শিম খিরোই তরমুজ কুমড়োর সুস্বাদ, যে তুমি ফলাও শাখে ফজলি আম কামরাঙা পেয়ারা, বাতাসে দোলায় গুচ্ছগুচ্ছ জাম, যে তুমি বহাও নদী, পাললিক নদীর ভেতরে লালনপালন করো ইলিশ বোয়াল স্তরেস্তরে, যে তুমি উঠাও চাঁদ মেঘ ছিঁড়ে নীলাকাশ জুড়ে বাজাও শ্রাবণ রাত্রি নর্তকীর অজস্র নূপুরে , যে তুমি পাখির ডাকে জেগে ওঠো, এবং নিশ্চুপে বলিকার সারা দেহ ভরে দাও তিলেতিলে রূপে আর কণকচাঁপার গন্ধে আর ভাটিয়ালি গানে, যে তুমি বইয়ে দাও মধুদুগ্ধ গাভির ওলানে খড় আর ঘাস থেকে, যে তুমি ফোটাও মাধবী আর অজস্র পুত্রকে দাও ছন্দ- করে তোলো কবি, যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর- সে তুমি কেমন করে, বাঙলা, সে তুমি কেমন করে দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছ পালেপালে শুয়োর কুকুর? ... ...