এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৮530992
  • রায়টা কোথায় পেলে? লাইভল'তে আপডেট হয়েছে?
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:754c:327e:255d:f3a6 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১৫530993
  • পুরো ব্যাপারটা এই প্রথম এক জায়গায় পড়লাম। কদিন ধরে গুরুতে এ নিয়ে হইচই হচ্ছে দেখেছি, তবে পুরোটা জানতাম না। সৈকতবাবুর সামারি পড়ে যা বুঝলাম, ২৬০০০ চাকরির মধ্যে মা সারদার কৃপায় ৫ + ২ = ৭ হাজারে ঘাপলা হয়েছে। তাহলে বাকি দের চাকরি মোটামুটি নিয়ম মেনেই হয়েছে বলা যায়, যদি দশ হাজারও ঘাপলা হয়েছে ধরে নি, তাহলেও  পনেরো হাজার জনের নিয়োগ মোটামুটি ঠিক প্রসেস মেনেই হয়েছে। তাহলে সবার চাকরি বাতিলের দাবী কেন উঠেছিল, আর কোর্টই বা সবার চাকরি কেন বাতিল করলো? নাকি আমি কিছু ভুল বুঝলাম? 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪১530994
  • শিক্ষক হলে ২। অশিক্ষক ধরলে ১০ (সেক্ষেত্রে ২৬ সংখ্যাটাও মনে হয় বাড়বে, ক্লিয়ারলি লেখা নেই)।
     
    রায়ের লিংক দিয়ে দিয়েছি উপরে।  
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৩530996
  • কোনো মিডিয়াই সঠিক করে খবরটা সামনে আনছে না। হয়তো তারা নিজেরাই ঠিক মতো জানে না কি হচ্ছে না হচ্ছে। আগের দিন অব্দি শুনছিলাম 26000 চাকরির মধ্যে 5000 ছিল ভুয়ো চাকরি। আবার এক জায়গায় শুনছি 26000 এর মধ্যে 6000 নাকি সঠিক চাকরি। কেউ বলছে 10000 আসল চাকরি বাকি ভুয়ো। কি যে হচ্ছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হচ্ছে না। 
    আগের দিন বলা হচ্ছিল সবাইকে টাকা ফেরত দিতে হবে, পরে বলা হচ্ছে শুধু যাদের প্যানেলে নাম ছিল না তবু চাকরি পেয়েছে বা দুর্নীতির ইঙ্গিত রয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। তাহলে তাদের চাকরি শুধু বাতিল করলেই হতো। 
    একটা কোনো লিংক যদি সম্ভব হয় পোস্ট করুন, যেখানে পুরোটা ক্লিয়ারলি বোঝানো আছে বা বলা আছে। তাহলে এই টইতে আসা সবারই সুবিধে হবে।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:754c:327e:255d:f3a6 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৯530997
  • কিন্তু এক জনেরও চাকরি যদি ঠিকমতো হয়ে থাকে, তাহলেও তো সে এই রায়ের বিরুদ্ধে কোর্টে যেতে পারে, বা অন্তত স্টে অর্ডার আনাতে পারে! কয়েকজন দুর্নীতি করেছে বলে সবার চাকরি বাতিল, এরকম উদ্ভট রায় তো আজ অবধি দেখিনি! 
  • সুদীপ্ত | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১১531001
  • এইটাই, ৫০০০ বা ১০০০০ দুর্নীতি করেছে বলে আরও পনেরো কুড়ি হাজারকে গাড্ডায় ফেলব, এ মানে ভাবাই যায় না! স্টে অর্ডার আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু প্রশ্ন হল, সাত নম্বর পয়েন্টের দু-নম্বর অপশন কোর্ট কেন নিল না? ওটাই তো স্বাভাবিক চিন্তায় সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য! 
     
    বিকাশরঞ্জন যদি পুরো প্যানেল বাতিলের আবেদন করে থাকেন (এই লেখা অনুযায়ী, পুরো রায় পরে পড়ব), এত ভুলভাল দাবী আর হয় না।
     
    কিন্তু এতকিছুর পরও সরকার এখনো কোনো নৈতিক দায় স্বীকার করেনি যতদূর জানি, ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দিয়েছে, আর এখন এই যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি কেন গেল এই লাইনে সুর তুলছে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে, যেটা একেবারে নিন্দনীয়।
  • পৃষ্ঠা ৯২ ও ৯৩ | 14.139.196.230 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৩531003
  • "21. Mr. Bhattacharya has contended that, in the facts and circumstances of the present case, the Court has no option but to set aside the entire selection process. In support ofsuch contention, he has relied upon 2021 Volume 16 Supreme Court Cases 217 (State of Tamil Nadu and Another vs. A. Kalaimani and Others). Alternatively, he has  submitted that the Court will be pleased to direct preparation of the merit list on the basis of the performance of the candidates reflected in the scanned OMR and direct issuance of appointment letters in terms of the new merit ranking after setting aside all appointments made by the tainted process till
    date.
     অর্থাৎ প্যানেল বাতিল করে, পুরনো মেরিট লিস্ট সাজিয়ে, নতুন করে বার করা।
    আমি তো এটাই বুঝলাম। আইন সম্পর্কে বেশি জ্ঞান নেই অবশ্য।
  • সুদীপ্ত | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৬531004
  • পড়ে তো মনে হল অন্যায্য দাবী, বোঝাই যাচ্ছে যোগ্য প্রার্থীদের ব্যাপারটা এঁরা ভাবেননি বা মাথায় আসেনি। কোর্ট এরকম অদ্ভুত দাবী মেনে নিয়ে রায় দিল, সেও আশ্চর্য!  ওএমআর শীটের ব্যাক আপ না থাকলে তার দায় পর্ষদের, প্রার্থীদের নয়, সে যে থার্ড পার্টিকেই দিক, আর দিল গাজিয়াবাদের কোনো এক সংস্থাকে! পশ্চিমবঙ্গের কাউকে পাওয়া গেল না!  এস এস সি দুর্নীতি অস্বীকার করেনি, কিন্তু তাও এতদিন প্রতিটি ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট দৌড়েছে সরকারকে সঙ্গে নিয়ে আমজনতার পকেটের পয়সায় সেই দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে বা তদন্তকে দেরী করাতে।
     
    পুরো জিনিসটা একেবারে উৎকৃষ্ট ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাসকেও হার মানাবে। ব্যাপম যেমন ছিল।
  • haridas | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২০531005
  • ডিভিসন বেঞ্চের রায় পড়লাম। আদালত তাঁদের সিদ্ধান্তে আসার আগে তিনটি বিকল্প বিবেচনা করেছেন। প্রথমটি সব পিটিশন ডিসমিস করা, যা তাঁরা সঙ্গতভাবেই ঠিক মনে করেন নি। দ্বিতীয়টি ' shifting grains from the chaff' যা তাঁদের মতে করা অসম্ভব, কারণ সরকার, বোর্ড এবং এসএসসি র  অসহযোগিতা। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েই নাকি তৃতীয় বিকল্প অর্থাৎ ঢাকিসমেত বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেন। অথচ এই রায়ে বলে দেওয়া হল কাদের চার হপ্তার মধ্যে সুদসহ মাইনে ফেরত দিতে হবে। কাদের, না ১. যাদের নাম কোন প্যানেলে ছিল না; ২. যারা তামাদি হয়ে যাওয়া প্যানেল  থেকে নির্বাচিত হয়েছে; ৩. যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছিল।  তো চিহ্নিত না করা গেলে টাকা ফেরতের প্রশ্ন আসে কি করে, তাও মাত্র চার হপ্তার মধ্যে? তাহলে সেসব অপরাধীদের বাদ দিয়ে তাদের শূন্য পদের জন্য ওই omr পুনর্মূল্যায়ন ইত্যাদি করলেই তো হত! এমনিতেই সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও কর্মীর আকাল, তারপর (পর্ষদ-কর্তার হিসেবমত) আরো ১৫ শতাংশ কমে গেলে গরমের ছুটির পর পড়াশুনা চলবে কী করে? 

    খেয়াল করতে হবে যে যাদের প্রাপ্ত নম্বর জালিয়াতি করে বাড়ান হয়েছিল বা যাদের rank অনৈতিক ভাবে এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়নি। কেন? চিহ্নিত করা যায়নি নাকি দোষ কম বলে?

    মামলা চলাকালীন পড়েছিলাম শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে প্রাপ্তব্য নম্বর দেওয়াতে জালিয়াতি হয়েছিল; পার্সোনালিটি টেস্টেও সাঁট করে নম্বর ঢেলে দেওয়া হয়েছিল কিছু ক্ষেত্রে। সেসব প্রসঙ্গ এই রায়ে আসেনি। প্রথম ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি থাকলে সংরক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে তা দূর করা কঠিন নয়।

     অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের OMR sheets upload করার আদেশ স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন হাইকোর্টকে আগে এই omr সম্পর্কে সুনিশ্চিত হবে। তো সুনিশ্চিত হয়েই আদালত এই তিনটি ডিস্কের সব omr এসএসসি র website এ আপলোড করতে বলেছেন। রায়ে বলা হয়েছে যে এসএসসি ২০১৭ থেকে ২০২৩ এ বিভিন্ন আবেদনকারীদের  omr sheet এর কপি দিয়েছে অথচ সিবিআই এসএসসি র ডেটাবেস seize করে সেখানে কোনো omr sheet পায়নি।  এই হার্ডডিস্ক যাদের কাছে পাওয়া গেছে তাদের সঙ্গে এসএসসি কর্তাদের যোগাযোগ ছিল। আদালত মনে করেছেন ওই সব কপি নিশ্চয় এই হার্ডডিস্ক গুলো থেকেই দেওয়া হয়েছে। এই অনুমানের সপক্ষে রায়ে আর কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি। তবে তাঁদের দাবি এসএসসি  এই হার্ডডিস্ক এর তথ্য কোনো আপত্তি ছাড়াই গ্রহণ করেছে এবং কয়েকজন মামলাকারী on inspection এই হার্ডডিস্কে রক্ষিত নিজেদের omr sheet সঠিক বলে চিহ্নিত করেছেন। এখন omr এর সফট ডাটা নিয়ে নিশ্চিত আদালত নিজেই তো টিসিএস জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠিত সংস্থাকে দিয়ে, অবশ্যই রাজ্য সরকারের খরচে, এই প্রায় ২৩ লক্ষ omr sheet এর মূল্যায়ন করাতে পারত কোনো প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক দলের তত্ত্বাবধানে।  এই মূল্যায়ন ও তার সঙ্গে এসএসসির সুপারিশ করা তালিকা মিলিয়ে চাল ও কাঁকর আলাদা করা কি সত্যি অসম্ভব ছিল? অন্ততঃ লিখিত পরীক্ষা অব্দি ? ভোটের পালা মেটার আগেই একমাসের মধ্যে তো একাজ করে ফেলা যেত।

    এই রায়ে SSC র দুরভিসন্ধি ও কপটাচার বিশদে বিবৃত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারও ষড়যন্ত্রের ভাগীদার ।অথচ যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব আবার এসএসসির হাতেই তুলে দেওয়া হল। "SSC shall undertake a fresh selection process in respect of these declared vacancies involved in these selection processes" [363(11) Directions] এবং "preparation, evaluation & scanning of omr sheets" [বিঃ দ্রঃ preparation, 363(12)] মানে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াই যদি কেঁচে গণ্ডূষ  করে শুরু করতে হয় তবে যোগ্য প্রার্থীদের কপাল পুড়ল। তাদের প্রতি যারপরনাই অবিচার করা হল। এতগুলো নির্দোষ তরুণ -তরুণী ও তাদের পরিবারের জীবন ও জীবিকা তছনছ করে দেওয়া হল।  

     অন্যমতে, নির্বাচনের ভিত্তি হবে seize করা হার্ড ডিস্ক থেকে উদ্ধার OMR শীট। নতুন করে আইন মেনে টেন্ডার দিয়ে ঠিকঠাক সংস্থা আবার মূল্যায়ন করবে ওই সব omr শীট। সেসব শুরু করতে হবে ভোট মেটার ১৫ দিন, অর্থাৎ উনিশে জুনের মধ্যে। যদি এই মত ঠিক হয়, তাহলে ঠক বাছতে গাঁ উজাড় না করে পূর্বোল্লিখিত উপায়ে কাজ অনেকটাই এগিয়ে রাখা যেত।
  • haridas | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৩531008
  • কতজন  অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছে সে ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য রায়ে ছ্রড়িয়ে আছে। প্রথমতঃ, এসএসসি যা সুপারিশ করেছে আর পর্ষদ যত চাকরি দিয়েছে তার মধ্যে গরমিল, যদিও পর্ষদ হলফনামা দিয়ে বলেছে যে তারা এসএসসির সুপারিশ ছাড়া কোন appointment letter দেয়নি। এই গরমিল  বিশদে বলা হয়েছে রায়ের ২৭১ নম্বর প্যারায়, নিচের সারণীতে সংখ্যাগুলি দিলাম:
  • haridas | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৩531009
  • তাই মোট অযোগ্য চাকরি-প্রাপ্তর সংখ্যা সিদ্ধার্থ মজুমদারের দাবি করা পাঁচ হাজারের ঢের বেশিই হবে হয়তো।
     
  • Prabhas Sen | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৯531021
  • যে ভাবেই চাকরি পেয়ে থাকুন, কাজ করে পারিশ্রমিক পেয়েছেন। কোন যুক্তিতে মাইনে ফেরত দিতে বলা হচ্ছে?
  • Ranjan Roy | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৬531026
  • আমিও এটাই বলতে চাই।
    কয়েকবছর নিয়মিত পড়িয়ে যে মাইনে পেয়েছেন সেটা কোন যুক্তিতে ফেরত চাওয়া হচ্ছে?
  • পড়ুন | 2409:40e6:d:2085:f890:b8ff:fe1b:7693 | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩২531032
  • দেবাঞ্জলি আবার লিখলেন, 
     
    SLST, 2016
    যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো…

    ডিসেম্বর, ২০১৮।
    জুলিয়েন ডে স্কুল, কল্যাণীর তিনতলার একটি খোলামেলা ক্লাসঘর। শীতের সকালে গাঢ় চকোলেট বাদামি রঙের ব্লেজারে সেজে চুপচাপ সামনে বসে রয়েছে সারি সারি বিষণ্ণ কিশোর মুখেরা। মাথা নীচু, চোখে জল। সামনে অপরাধী মুখে দাঁড়িয়ে শিক্ষিকা। 
    "তোরা এভাবে কাঁদলে কী করে হবে?"
    উত্তর নেই। জলে ভরা চোখেরা মুঠি শক্ত করছে।
    "শীতের ছুটি পড়ছে, আনন্দ করবি। কাঁদছিস কেন, কী মুশকিল!"
    "স্কুল খুলে তোমায় দেখতে পাব না আর? তুমি ক্লাসটিচার থাকবে না? কে পড়াবে আমাদের?"
    শিক্ষিকা মাথা চুলকে বলছেন, "কে জানে, পেতেও পারিস। জয়েনিংটা দিক। আর আমার ফোন নম্বর তো রইল। কিছু অসুবিধা হলে ফোন করবি।"
    "ড্যাফোডিলস কে পড়াবে? ওটা বাকি আছে।"
    "তোদের এত বড় স্কুলে টিচারের অভাব?"
    "তুমি শুনেছ, টিচাররা এইভাবে বছরের মাঝখানে ক্লাস ছেড়ে চলে যাচ্ছে? আমরা তোমার কাছেই পড়ব। তুমি যাবে না।"

    জানুয়ারি, ২০১৯।
    ছুটির পর স্কুল খুলেছে। শিক্ষিকার জয়েনিং এসে যাচ্ছে শিগগিরই। এসএলএসটি পিজির পোস্টিং এসেছে আগেই। বাবা অসুস্থ, যা বোঝা যাচ্ছে, টার্মিনালি অসুস্থ, বাড়ির কাছে থাকাই সুবিধা। পরিবারের মানুষকে দেখার অন্য মানুষ নেই। ফলে, পিজি ছেড়ে একটু কম স্যালারিতে ইউজি লেভেলের চাকরি বেছে নিয়েছেন তিনি। তারই জয়েনিং সামনে। আবেগ বুকে রেখে তিনি খালি করছেন ভরা কাবার্ড, খাতা, বইপত্র। সারেন্ডার করছেন আই কার্ড। জমা দিচ্ছেন রেজিগনেশন। যাঁদের তিনি পড়িয়েছেন এতদিন, তাঁরা কেউ কাঁদছে, কেউ অভিমান করছে, কেউ গলা জড়িয়ে ধরছে পিছন থেকে, কেউ কেউ তৈরি করছে ফেয়ারওয়েল কেক আর কার্ড। আবার কেউ কেউ সেদিন স্কুলেই অনুপস্থিত। হোয়াটসঅ্যাপে এসে গেছে সেই দামালদের বড্ড চুপচাপ বার্তা, "যেদিন স্কুলে তোমার শেষ দিন, সেদিন আমি আর স্কুল আসতে পারলাম না, মিস। বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসব।"
    আর, কাজের ফাঁকে, সিঁড়ির ধারে, স্টাফরুমের বাইরে -
    "চলে যাচ্ছ?"
    "চলেই গেলে শেষ অবধি?"
    প্রিন্সিপালের অফিসে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের চিঠি জমা দেওয়ার মুহূর্ত। প্রিন্সিপাল হাত বাড়িয়ে চিঠি নিচ্ছেন, শিক্ষিকার দিকে স্থির তাকিয়ে বলছেন,
    "উইথ অল মাই হার্ট, সহেলী, লেট মি টেল ইউ দিস, আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু অ্যাকসেপ্ট দিস। বাট আই কান্ট। আই হ্যাভ টু লেট ইউ গো। ইটস দ্য কোয়েশ্চেন অফ ইওর ফিউচার। দিস জব কান্ট অফার হোয়াট আ গভর্নমেন্ট জব ক্যান। বাট, ইয়েস, ইফ ইউ এভার উইশ টু কাম ব্যাক, দ্য ডোর অফ জুলিয়েন ডে স্কুল উইল বী ওপেন ফর ইউ, অ্যাট লিস্ট, টিল আয়াম হিয়ার অ্যাজ দ্য প্রিন্সিপাল। উইশ ইউ গুড লাক।"

    সেদিন জানতাম, যোগ্যতায় চাকরি করতে যাচ্ছি। আজ মনে হয়, ভাগ্যটাই হয়তো সব। ভাগ্য, বা দুর্ভাগ্য, যাই বলি। জীবনে যতবার ছাত্রছাত্রীরা পা ছুঁতে এসেছে, দু'হাত দিয়ে বুকে টেনে ধরেছি। আজও, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে, হঠাৎ করে "মিইইইইস", বা "ম্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাম" বলে কেউ কেউ ছুটে এসে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে গত পরশু অবধি উত্তর চব্বিশ পরগনার যে মফঃস্বলটি আমার কর্মক্ষেত্র ছিল, সেখানে স্কুল থেকে স্টেশন অবধি ফেরার যে হাঁটার পথটুকু, তাতেও, মাঝে মাঝেই সামনে "ম্যাডাআআআআম" ঘ্যাঁচ করে ব্রেক চেপে দাঁড়িয়ে পড়ত ব্যস্ত সাইকেলরা। তার আরোহীদের মুখে নতুন ওঠা দাড়ি বেশ ভরাট। ভরা বৃষ্টিতেও তারা কাদা লাগা বর্ষার জুতো নীচু হয়ে টুক করে ছুঁয়ে ফেলত বাধা দেবার আগেই।
    "আঃ, কী করছিস কী, ওতে ধুলো-কাদা!"
    "ধুলোটাই খুঁজছি ম্যাডাম!"

    খবরে যখনই দেখি, ছাত্র-শিক্ষক সংঘর্ষ, আমার আটপৌরে শিক্ষকমন ত্রস্ত হয়, ব্যথিত হয়। সারা জীবন হয়ে এসেছে। আমি এত ঢালাও ভালোবাসা পেয়েছি; আর এমন আটপৌরেভাবেই ক্লাস নিয়ে এসেছি বরাবর, আমি অন্তরেই জেনে এসেছি, আমি সন্তানস্নেহে ছাত্রছাত্রীদের পড়াই। বইয়ের পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে আলগা হয়ে আসা খোঁপার কাঁটা ঠিক করে নিই, ইচ্ছে হলে সারা ঘর ঘুরে পড়াই, ইচ্ছে হলে একটু বসি, ইচ্ছে হলে পড়ানোর পরে পাঁচ মিনিট গল্প করি। পড়ানোর আনন্দে পড়িয়েছি, আর শাসনও যা করেছি, ঐ, যতটুকু নিতান্ত প্রয়োজন মনে হয়েছে। ওদের বেশি বকে ফেলে নিজেই মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছি, আর মনে মনে হেসে ফেলেছি, যে আমার আর কড়া দিদিমণি হওয়া হয়ে উঠল না।

    আজ জানছি, আমার তো দিদিমণিই হয়ে ওঠা হয়নি। আমার এ কর্মক্ষেত্রে সেই যখন জয়েন করি পাঁচ বছর আগে, সেখানে দীর্ঘ প্রায় ছ'বছর ইংরেজির কোনো স্থায়ী শিক্ষক নেই। ক্লাসঘরে ঢুকে পড়াতে গিয়ে দেখতে পেলাম, মুখে ইংরাজি নিয়ে কেবল ভয়ের ছাপ। কিছু জিজ্ঞেস করলেও সংকোচে কেউ উত্তর দিতে চাইছে না। মাসখানেকের মধ্যে সমীকরণ পাল্টে গেল। ক্লাসে যেতে পাঁচ মিনিট লেট হলে, কচিকাঁচা মুখেরা উঁকি দিত স্টাফরুমে,
    "ম্যাডাম? আসবেন তো?" 

    এই যে আসবেন তো ম্যাডাম? বা, আজ একটা গল্প শোনাবে? আজকে একটা ফ্রি পিরিয়ড প্লিজ…. এসব দাবির অমোঘ আবদার কোনোদিন ঠেকাতে পারিনি। প্রথম সারির ইংরাজি মাধ্যম আইসিএসই স্কুল থেকে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে ইংরাজি (সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) শিক্ষিকা হয়ে যোগ দেবার পরে গল্পচ্ছলে পড়িয়ে পড়িয়ে কেবল তাদের ইংরেজির ভয় কাটাবার চেষ্টা করে গেছি। একটু যদি পাশের হার বাড়ে, একটু যদি লিখে আসে কম্পোজিশন, একটু যদি ড্রপ আউট কম করে! স্কুলের দায়িত্ব, মাধ্যমিকের দায়দায়িত্ব, যা যা যখন এসেছে, আনন্দের সাথে, অক্লান্তভাবে করে যেতে চেষ্টা করেছি, যাতে ধুঁকতে থাকা শিক্ষাব্যবস্থা একটু হলেও উঠে দাঁড়াতে পারে, যাতে একটু হলেও যুদ্ধ করে নেওয়া যায় "সরকারি স্কুলে তো পড়াশোনা হয় না" - এ গর্জনের বিরুদ্ধে। 

    আর ইতিমধ্যে আমার ফোন, আমার ইনবক্স, আমার ঘর ভরে যেতে থেকেছে। নিজের ছাত্রাবস্থায়ও যাদের পড়িয়েছি, তাদেরও কিন্তু মেসেজ আসে আজও,
    "আজ বাড়ি আছো? আসব?"
    "নতুন গার্লফ্রেন্ড হয়েছে, মিস। এই যে ছবি। আমরা কত ঘুরলাম ভ্যালেন্টাইনস ডে'তে!"
    "তোমার লেখা ভীষণ ইন্সপায়ার করে, অন্য ভাবে ভাবি লেখাগুলো পড়তে পড়তে, মিস!"
    "একটা সমস্যায় পড়েছি, একটু সল্যুশন চাই, কবে সময় দিতে পারবে?"

    আমার পুরনো ছাত্রী অদিতি বলত, দিদি, মাধ্যমিকের আগে সব্বাই যখন ভীষণ ভয় দেখাচ্ছে, সব টিচার বলছেন দিনরাত এক করে পড়ে যাও, তুমি বলেছিলে, পড়বি তো বটেই, কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষায় বসবি। তাতে যেমন হওয়ার হবে। এমনিও খুব বেশি কিছু এতে আসে যায় না। আর মনে রাখিস, জীবনের সব চাইতে বড় পরীক্ষাগুলো খাতায় কলমে হয় না। এ কথাটা আমি সারা জীবন মনে রাখব।

    ঠিকই। এ কথা কেবল অদিতিকে কেন, আমি আমার সব ছাত্রছাত্রীদের সারাটা জীবন বলে এসেছি। এ কথা বলতে বলতেই ২০১৬ সালের পুজোর পরে সারাটা দিন জুলিয়েন ডে স্কুলে পড়িয়ে এসে, সন্ধেয় ব্যাগ ভরে নিয়ে আসা ওদের পেন্ডিং খাতাগুলো দেখে, আমি গভীর রাতে বসতাম পড়াশুনো নিয়ে। এসএলএসটি ২০১৬। জীবনের সব পরীক্ষা সত্যিই খাতায় কলমে হয় না। যাদের জন্যে আমি আজ শিক্ষক, যাদের ভালোবাসা আমায় ভরিয়ে তুলেছে এই এতগুলো বছর, যাদের ভ্যালিডেশন আমার সব চাইতে বড় পুরস্কার, তাদের সবাইকে বলতে চাই - মহামান্য আদালত তোমাদের মিস/ম্যাম/ম্যাডামকে যোগ্য বলে মনে করেননি। ২০১৬ এসএলএসটি দুর্নীতি মামলায় ৫৫০০ জনের বেশি কিছু অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট গত পরশু সর্বমোট ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

    মহামান্য আদালত, পরীক্ষা দিয়ে, ইন্টারভিউ দিয়ে, পাওয়া যে চাকরি, তার শুরুতেই ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হয়েছিল। আমি, এবং আমার মত আরও ১৯০০০ শিক্ষক এই দুর্নীতি মামলা শুরু হওয়ার পর প্রথম ধাক্কা খান এ জেনে যে তাঁদের র‍্যাংক শুরু থেকেই পিছিয়ে গেছে, পোস্টিং দূরে হয়েছে, কারণ প্যানেলে অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। অনেকে ওয়েটলিস্টেড রয়ে গেছেন যোগ্য হয়েও, চাকরি পাননি। তাঁরা আজও বেকার। আর এরপর শুরু হয় পরীক্ষা। ভেরিফায়েড ডকুমেন্টসও আমাদের বারংবার ভেরিফিকেশনে দিতে হয়েছে। আমাদের কনফার্মেশন প্রক্রিয়া হোল্ড করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তে বারংবার জমা দিয়ে আসা ডকুমেন্টস আবারও জমা দিয়ে এসেছি। বাড়ি ফিরে, অপমানে অভুক্ত থেকেছি। যাঁরা দুর্নীতি কী হয়েছে, কতটা হয়েছে না জেনে, দিনরাত এক করে পড়াশোনা করে চাকরির পরীক্ষা দিয়ে সে পরীক্ষায় পাশ করেছেন, তাঁরা যে সত্যিই জাল নন, যোগ্য প্রার্থী, পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের পরেও তাঁদের সে প্রমাণ বারংবার দিতে হয়েছে। ২০১৬ মানেই দুর্নীতি। ২০১৬ মানেই টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া। মহামান্য আদালত, আমার মতো এমন ১৯০০০ শিক্ষক, এই কদর্য দুর্নীতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি গায়ে মেখেও প্রতিটি দিন ক্লাসরুমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, পড়িয়েছেন, সিলেবাস শেষ করেছেন, হাসিমুখে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার যে সহকর্মী সহযোদ্ধা আজ এই মুহূর্তে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তিনি কিছুদিন আগে অবধিও রোজা করতে করতে, একটি ফোঁটা জল মুখে না দিয়ে, চূড়ান্ত সিনসিয়ারিটি নিয়ে নাগাড়ে ফিজিক্স এবং অঙ্ক ক্লাস নিয়ে গেছেন। বারংবার প্রমাণ দিয়েও, এবং আমাদের বিরুদ্ধে কোনো রকমের কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও আজ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড দেশে আইনের রুলবুক হওয়া সত্ত্বেও আমার মত ১৯০০০ নিরপরাধ শিক্ষককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা যোগ্য নই। আমাদের শিক্ষকতার যোগ্যতা নেই। 

    আমার, আমাদের, যে ছাত্রছাত্রীরা গরমের ছুটির পর স্কুল খুললে নিষ্পাপ মুখে এসে আমাদের সহকর্মীদের জিজ্ঞেস করে যাবে কেন ওদের স্যার বা ম্যাডাম আসছেন না, কেন ইংরেজি ক্লাস হয় না, কেন ফিজিক্স ক্লাস হয় না, কেন অঙ্ক ক্লাস হয় না, তারা কোনোদিন আমাদের অযোগ্য মনে করেছে কিনা, একবার খতিয়ে দেখবেন, মহামান্য আদালত? আমার মা নামী গৃহশিক্ষিকা। আমার বাবা একজন সরকারি অফিসার ছিলেন। আমার দাদু ঠাম্মা ছিলেন এগ্রিকালচারে। এ জীবনে আজ অবধি আমি কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নিইনি। কোনো প্রয়োজনও পড়েনি। পিএসসির কনফার্মড চাকরি আমি এই চাকরিতে জয়েন করার পর নিইনি, পিএসসিতে ফার্স্ট হয়েও নয়, কারণ, সে পোস্টিং ভীষণ দূরে ছিল। পরিবারের প্রয়োজনকে আগে রেখে এ চাকরিটিই নিয়েছিলাম। আমার মতন আরও এমন হাজার হাজার শিক্ষক রয়েছেন, যাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ তাঁদের কাজ, তাঁদের দেখা খাতা, তাঁদের ক্লাস লেকচার, তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। আজ এক কথায় সাড়ে পাঁচ হাজার জনের দুর্নীতির দায় বাকি ১৯০০০ এর উপর ঠেলে দেওয়া হল। জানিয়ে দেওয়া হল, সব নিয়োগ অবৈধ। অথচ, সবকটিই যে অবৈধ নয়, বরং সংখ্যাগরিষ্ঠই বৈধ, তা আদালতের রায়ের কপিতে স্পষ্ট। আর যা অবৈধ, সেই অবৈধতা যারা করল, সেই দুর্নীতিতে যারা যুক্ত, তারা তো এখনও মাথা উঁচু করেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

    তাতে কী? মহামান্য আদালত, তাতে আপনার কী? সৎ শিক্ষক, সৎ নাগরিক আমরা; তাদের গায়ে আপনারা ছুঁড়ে দিলেন দুর্নীতিবাজদের জড়ো করা সবটুকু কাদা। আমার শিক্ষকতা আমাকে যে প্রবল সম্মান দিয়েছে, তা ধুলোয় মিশিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়। আমার জীবন, জীবিকা, রুজিরুটি, ভালোলাগা, আমার মতন এমন হাজার হাজার শিক্ষকের রুজিরুটি কেড়ে নিয়ে সেই আপামর ফুঁসতে থাকা জনগণের সামনে আমাদের নগ্ন করে ছেড়ে দিলেন, যাঁরা আজও মনে করেন বিচার মানে জাস্টিস। বিচার মানে ন্যায়। 

    আমার আজ মনে পড়ছে শুধু একটিই কথা, বহুদিন আগে পড়েছিলাম। কমলাকান্তের দপ্তরের লাইন, বঙ্কিমের লেখা। 

    "আইন! সে তো"....

    আর মনে পড়ছে একটি বহুবার শেয়ারিত কোটেশন, যাতে আমার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা আমায় বহু, বহুবার ট্যাগ করেছে, 

    "ট্যাগ দি ইংলিশ টিচার হু চেঞ্জড ইয়োর লাইফ"....

    লিখেছে, Saheli Sengupta,  আমার দিদি। আমার দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা, অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানুষ। ইস্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবধি অসাধারণ উজ্জ্বল যার পরীক্ষার মানপত্র। বিগত ছয় বছর মফ:স্বলের বাংলা মাধ্যম স্কুলে, অসংখ্য প্রথম প্রজন্মের দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সন্তানস্নেহে আগলে রেখেছে যে। শুধু ভাষা-সাহিত্য শেখায়নি, শিখিয়েছে মানবতার পাঠ, গড়েছে নাগরিক রোজ। আজ রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে হওয়া এই ভয়াবহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম বলি সে৷
  • দীপ | 2402:3a80:a11:3d70:0:6d:ec08:3601 | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৫531040
  • "চাকরি হবে, আমাদের ছেলেদের‌ই হবে।
    কেমন করে? সেটা এখানে বলবো না।"
    -শিক্ষামন্ত্রী(!!!)
     
    অবশ্য এরপরও কাঁদুনি বন্ধ হবেনা! 
     
    একটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের লোভ, ক্ষিদে একটা প্রজন্মকে পুরো শেষ করে দিলো! 
    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক শিক্ষা আধিকারিক এখন জেলে! মন্ত্রীমশায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা বের হয়! 
    তখন মহাবিপ্লবীরা চুপ মেরে থাকেন! এখন কাঁদুনি গাইতে এসেছেন! 
    মামলার প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার ও ssc এই মামলা নিয়ে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে! মামলা আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে গেছে! সেটা আমার, আপনার ট্যাক্সের টাকায়! 
    সেদিন ভুল স্বীকার করে সহযোগিতা করলে আজ এই দিন আসতো না!
    এদের অনৈতিক লোভের বলি ছাত্রছাত্রীরা! 
     
    এনিয়ে অবশ্য বিপ্লবীদের গলায় কোনো শব্দ নেই!
     
  • হে হে | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:200 | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৫531043
  • ওরে শুকরশাবক দিপচাড্ডি এই সবই তো হল বিকাশরঞ্জনের মামলার ফলে। তোর আর তোর বাপশার মতন খিস্তিখেউড় গুন্ডাগর্দি করে বেড়ালে কিস্যুই বেরাত না।  তোর মত খিস্তিচোদা পাবলিক কি করে কলেজের ম্যাস্টর হয়? এথেকেই ত বোঝা যায় পচ্চিমবঙ্গের শিক্ষেদিক্ষের কি হাল।
  • দীপ | 2402:3a80:a37:b2ee:0:46:6ba4:cc01 | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২২531044
  • বাঃ , চমৎকার! 
    আমার লেখা মুছে আমাকেই গালিগালাজ করা হচ্ছে! 
    কর্তৃপক্ষের মদতেই এই অসভ্যতা চলছে! 
    এরাই আবার গণতন্ত্রের বুলি কপচায়!
     
  • সুদীপ্ত | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২৫531059
  • বিকাশরঞ্জনের মামলার ফলে যদি এত বড় দুর্নীতি সামনে এসে থাকে তাহলে তাঁর সাধুবাদ প্রাপ্য। এবার তাঁর অ্যাপিলের কোনো অংশে ত্রুটি থেকে থাকলে অবশ্যই সে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, কিন্তু কোর্ট তাতে প্রভাবিত হলে রায় দিলে তো সে দায় কোর্টের, তাই নয় কি? 
    আইনি ভাষা খুব ভালো বুঝি না, তবে সাধারণভাবে এটাই তো মনে হয়।
  • দীপ | 2402:3a80:a1d:a429:0:23:50af:9501 | ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৮531060
  • *#সকলের_জন্য_আমাদের_বার্তা*

    *পরশু এবং গতকাল আপনারা যারা শহীদ মিনারের অবস্থান মঞ্চে এসে পিটিশনার হয়েছেন তাদের নাম, ঠিকানা, বাবার নাম, মোবাইল নম্বর সহ বিবিধ তথ্য আমরা সারারাত ধরে প্রায় 35 জন মিলে এন্ট্রি করি। যখন কাজ সম্পন্ন হল তখন বাজছে ভোর 4:20, ইতিমধ্যে আমাদের তিনজন প্রতিনিধি যার মধ্যে একজন ইন্দ্র - যার সেদিন বিবাহ বার্ষিকী এবং ছেলের জন্মদিন - সেও ভোর বেলার প্লেনে আপনাদের সমস্ত ডকুমেন্টস তিনটি বড় ব্যাগে করে রওনা হল দিল্লী। আজ প্রায় সারাদিন ধরে উকিলের সাথে বসে ওরা কাজ করেছে। আপনারা যারা এসেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই দেখেছেন কি বীভৎস গরমে সবাই মিলে  সারাদিন নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে আপনাদের সই করিয়েছে এবং ডকুমেন্টস নিয়েছে। সমস্ত ডকুমেন্টস আমরা যাচাই করেছি রোল ধরে ধরে।কয়েকজনকে ফোন করে ডকুমেন্টস ফেরত নিতে বলেছি কারণ তাদের নেওয়া ঠিক হবেনা বলেই মনে হয়েছে। এমনকি মাঝ রাতে 3 টের সময় ঘুম ভাঙিয়ে ডকুমেন্টস নিয়েছি এবং প্রিন্ট করেছি। আপনাদের যাদের ডকুমেন্টস ছিলনা সেগুলিও সারাদিন ধরে প্রিন্ট করেছি। প্রায় 700 মতন প্রিন্ট করতে হয়েছে। আজকেও বহু জন সই করে গেছেন।*

    *এত কিছুর পরও যারা সব রেডি হয়ে যাওয়ার পর যখন জানাচ্ছেন আমাদের পিটিশনার হবেন না - তখন যারা এই পরিশ্রম করেছেন , তাদের কেমন লাগতে পারে ,আশা করি অনুভব করতে পারছেন। তবুও যারা বলেছেন নাম বাদ দিতে আমরা হাসিমুখে তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে।*

    *সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কারোর ক্ষতি করেনি, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার পন্থী যারা এবং যাদের নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে সংশয় আছে তারা ক্রমাগত শামীম এবং বিকাশবাবু নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে গেছেন। অথচ যাদের মধ্যে শামীম বাবুকে আজ পর্যন্ত কোনো কেসে আমরা নিইনি, বিকাশবাবুকে সেভাবে কোনো কেসে নেওয়া হয়নি। কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারবেনা।আপনারা  দিনের শেষে দেখলেন যারা কুৎসা করছে তারা শাসক দলের সাথে মিটিং করছে!! সুতরাং সহজেই অনুমান করা যেতে পারে ওনাদের কেসের কি অবস্থা হবে। আমরা কিন্তু কোনো বিরোধী প্রচার করিনি, আমরা জোর করে বা ভুল বুঝিয়ে পিটিশনার হতেও বলিনি।সকলেই আমাদের উপর আস্থা রেখে এসেছেন।*

    *আমরা মনে করি আমাদের সাথে সেই তারাই পিটিশনার হলেন যাদের নিজের যোগ্যতা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই।সুতরাং আমাদের পিটিশনারদের চাকরি যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।*

    *আগামী দিন বলবে আমরা ঠিক না ভুল ছিলাম।আপনারা এবং বাকিদের উপরেই বিচারের ভার ছাড়লাম আমরা।*

    *নির্ভয়ে আমাদের সাথে লড়াই করুন। আপনাদের জিততেই হবে। লড়াই করেই আমরা সবাই মিলে একদিন বিজয়ের হাসি হাসব। অনুরোধ সকলে এই দুঃসময়ে একে অপরের পাশে থেকে লড়াই করুন, অন্যদেরকেও এই লড়াইয়ে স্বাগত জানান।*

    *#সংগ্রামী_যৌথ_মঞ্চ*
     *26.04.2024*
     
    বৈধ শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বার্তা।
  • দীপ | 2402:3a80:a02:abe3:0:25:da71:1501 | ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫০531160
  • দীপ | 2402:3a80:a02:6e43:0:4d:5e80:ed01 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৬531210
  • সবদিক থেকেই সুবিধা...
    1) যাদের কাজ গেলো,তাদের জন্য বেতনবাবদ অর্থ খরচ করতে হবে না।
    2) ক্ষমতার বৃত্তে যারা আছে, যারা মুড়ি মিছরি আলাদা করতে চায় না,তাদের ওপর কোনও তদন্ত আপাতত হবে না।
    3) বেতনের টাকা সুদসহ কোষাগারে ফিরে আসার পথ প্রস্তুত। 
    4) অবৈধ লেনদেন ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। 
    5) যোগ্য আর অযোগ্য একসারিতে চলো আসার জন্য সরকার পোষিত বিদ্যালয়সমূহের সম্মান লোকচক্ষুতে নষ্ট হলে প্রাইভেট স্কুল গুলিতে ভীড় বাড়বে।সেক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের প্রয়োজন কমে যাবে।

    সমাজ অন্ধকারতম সময়ের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে। আলোর দিশা পাবার আশাও সামনে নেই....

    সবাই খারাপ থাকবেন!
     
    লিখেছেন এক প্রধানশিক্ষক।
    ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
  • দীপ | 2402:3a80:a02:6e43:0:4d:5e80:ed01 | ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২২531218
  • একটু পরেই আবার মহাবিপ্লবীদের গপ্প লিখতে হবে!
  • দীপ | 2402:3a80:a31:8342:0:45:24d9:f101 | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৪531233
  • কলকাতা হাই কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এই সময় নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট, যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। তার পরেই ‘সুপারনিউমেরারি পোস্ট’ (বাড়তি পদ) তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। 
     
    অসামান্য রাজ্য সরকার! 
    কিন্তু এ নিয়ে আলোচনা করলেই সে বিজেপির লোক! 
    মাথা বটে!
  • দীপ | 2402:3a80:a09:8a1d:0:57:154e:f401 | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৪531261
  • রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ, 
    ভাঙড় কলেজে অধ্যাপিকা নিগ্রহ,
    যাদবপুর বিদ্যাপীঠে প্রধানশিক্ষক নিগ্রহ,
    আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিগ্রহ—
    সব ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শাসকদলের লোক —
    একজন অভিযুক্তেরও শাস্তি হয় নি। 
    মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীরও এদের শাস্তি দেবার সদিচ্ছা ছিল বলে শুনি নি । 

    এবার নরেন্দ্রপুর বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিগ্রহ – হয় তো বয়ান দেওয়া ছাড়া  বিশেষ কোনো ব্যবস্থাও হবে না ।  চিত্রনাট্য তো চেনা । 

    রাজ্যপাল নাকি বলেছেন হস্তক্ষেপ করবেন । 
    উনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও এমন কথা বলেছিলেন ।  কী হয়েছে আমরা সবাই জানি । 
    বরং আজকাল ওনাকে প্রেশার কুকারের সেফটি ভাল্ব বলে মনে হয় । 

    আসল কথা জনগণ । 
    যদি তাঁরা চান তবেই প্রতিকার হতে পারে । 
    নইলে শিক্ষায়তন গুণ্ডাদলের কবলে চলে যাবে আর রাস্তায় বসে চাকরির জন্যে হাহাকার করবে মেধাবী শিক্ষিতরা ।
     
    এবছরের শুরুর খবর!
    যদিও বিপ্লবীরা কোনো আওয়াজ করেননি!
  • দীপ | 2402:3a80:a09:8a1d:0:57:154e:f401 | ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৬531262
  • প্রসঙ্গত আলিয়ায় গণ্ডগোলের মূল পান্ডাটি বেশ কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর আবার বেরিয়ে এসেছে।
  • দীপ | 42.110.146.90 | ০১ মে ২০২৪ ১৫:২১531286
  • দীপ | 42.110.146.90 | ০১ মে ২০২৪ ১৫:২৯531287
  • SSC এর স্বচ্ছতার একটি উদাহরণ।
    এইরকম আরো কতো আছে কে জানে! 
    অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে omr sheet গুলি নষ্ট করা হয়েছে। সম্ভবত স্ক্যান্ড কপিগুলো রয়ে গেছে।
    সেগুলো জমা দিলেও অবৈধ প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যায়।
    SSC সেটুকুও করেনি! বরং চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। এদের অসহযোগিতা ও চূড়ান্ত দুর্নীতির কারণে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভুগছে। ইতিমধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছেন।
    SSC এর একের পর এক আধিকারিক আজ জেলে! 
    তাহলে দোষটা কার?
  • দীপ | 42.110.146.90 | ০১ মে ২০২৪ ১৫:৩৮531288
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন