এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩১524931
  • মজাটা হল নিজেরা মনুসঙ্ঘিতা পড়েন নি, কিন্তু মনুসঙ্ঘিতাকে শ্রদ্ধা করতে হবে!
    কেউ যদি পড়ে সমালোচনা করেন তো তাকে 'কমি' বলে গাল পাড়তে হবে, সে কমি হোক বা নাও হোক। 
    প্রশ্নটা হল মনুসঙ্ঘিতায় দলিতদের কতটুকু অধিকার বা সম্মান দেওয়া হয়েছে?
     
    খেয়াল করেন না যে ইসানীং আর এস এস এর প্রমুখ মোহন ভাগবত জী সুর বদলে বলছেন-- দু'হাজার বছর ধরে দলিতেরা নির্যাতিত হয়েছে। যতদিন এই অসাম্য থাকবে ততদিন রিজার্ভেশন থাকবে।
      আমাদের সমাজের একাংশ যদি ২০০০ বছর ধরে এত অন্যায় সহ্য করে থাকে তাহলে আমরা রিজার্ভেশন আরও ২০০ বছর ক্যান সহ্য করতে পারব না? 
                                                 (সূত্রঃ অমর উজালা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)
     
    সবিনয়ে বলি, আমার ঘরে তিন মনুসং হিতা আছে। দুটো বাংলায়, একটা হিন্দিতে।
     
    বাংলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুরেশ্চন্দ্রের সটীক অনুবাদ, আনন্দ পাবলিশার্স। নিজেরাই কিনে পড়ে দেখুন।
    আর রয়েছে দুশো বছরের পুরনো ভরত চন্দ্র শিরোমণির বই। দুটোতেই মেধাতিথির ভাষ্য এবং বাঙালী কুল্লুক ভট্টের ভাষ্য সম্মিলিত। এছাড়া রয়েছে হিন্দিতে আরেকটি বই। তিনটেতেই মনুস্মৃতির বারোটি অধ্যায়ের সব শ্লোক অবিকৃত রয়েছে।
     যদি চান, একেবারে শ্লোক এবং তার সংখ্যা উদ্ধৃত করতে পারি। 
    সেটার জবাব দিতে হলে গাল মন্দ না করে পালটা শ্লোক উদ্ধৃত করে দেখান যে আমি ভুল বলছি।
     ওতে অমন কিছু নেই।
     রবীন্দ্রনাথ রথের রশি আর অচলায়তনের দর্ভক  এবং শোনপাংশুদের  এমনি এমনি সৃষ্টি করেন নি। 
     
    শূদ্রদের জন্য কিছু বিধান দেখুনঃ
    শূদ্র ব্রাহ্মণের দাসত্বের জন্যেই ব্রহ্মা কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে। প্রভু কর্তৃক অন্য দাসেরা মুক্ত হলেও  শূদ্র দাসত্ব থেকে মুক্ত হয় না। দাসত্ব তার স্বভাবে রয়েছে (৮/৪১৩, ৪১৪)।

    উচ্চ তিন বর্ণের উপনয়ন হয়ে দ্বিজ বা দ্বিতীয় জন্ম হয় ।শূদ্রের উপনয়নে অধিকার নেই, সে বেদপাঠের অধিকারী নয় । দ্বিজের মতো উপবীত বা অন্যান্য চিহ্ন ধারণ করলে শূদ্রের মৃত্যুদন্ড বিধেয়(৯/২২৪)।
    ব্রাহ্মণের তপস্যা হল জ্ঞান ,ক্ষত্রিয়ের তপস্যা রক্ষা করা, বৈশ্যের তপস্যা কৃষি এবংগো-পালন, শূদ্রের তপস্যা দ্বিজগণের সেবা করা(১১/২৩৫)।
    কোন প্রকার সংস্কারে শূদ্রকে অধিকার দেওয়া হয়নি(১০/১২৬)।বর্ণত্রয়ের, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের সেবাই শূদ্রের একমাত্র বৃত্তি। 
    প্রভুর ফেলে দেয়া ছেঁড়া কাপড়,ছাতা, খড়ম ও তোষক প্রভৃতি  শূদ্র  ব্যবহার করবে।প্রভুর খাওয়া হয়ে গেলে পড়ে থাকা এঁটো খাবার তার ভক্ষ্য বা খাদ্য। (১০/১২৩,১২৫)
    যজ্ঞে  পাওয়া জিনিষপত্র ব্রাহ্মণ কখনও শূদ্রকে দেবেন না (৪/৮০)।

    শূদ্রের নিষিদ্ধদ্রব্য খাওয়ায় পাপ নেই, সে উপনয়নাদি সংস্কারের যোগ্য নয়, ধর্মে তার অধিকার নেই ।(১০/১২৬)।
    দাসবৃত্তি থেকে শূদ্রের কোনও প্রকার মুক্তি নেই। “ন স্বামিনা নিসৃষ্টোঅপি শূদ্রোদাসাদ বিমুচ্যতে”( মেধাতিথির ভাষ্য )।

    মনু বলছেন  যে শূদ্র সক্ষম হলেও ধনসঞ্চয় করবে না । কারণ শূদ্র ধনলাভ করলে গর্ববশে ব্রাহ্মণকে পীড়া দিতে পারে (১০/১২৯)। ব্রাহ্মণ কখনও শূদ্ররাজার রাজ্যে বাস করবেন না (৪/৬১)।
    যে পথ দিয়ে উচ্চবর্ণের লোকেরা যাতায়াত করেন, সেই পথে শূদ্রের মৃতদেহ বহন করা চলবে না (৫/৯২)।

    বিবাহ সম্বন্ধে মনুর বক্তব্য নিজের নিজের জাতে বিয়ে করাই ভাল, নইলে সন্তান বর্ণসংকর (বাস্টার্ড) হয় । তবে অনুলোম বিবাহ, অর্থাৎ যদি পিতা উচ্চবর্ণের মাতা নিম্নবর্ণের হয় তাহলে সিদ্ধ । তাতে সন্তানের জাত মায়ের থেকে উচ্চ কিন্তু পিতার থেকে নিম্ন হবে। সে পিতার ভাল গুণ পাবে।কিন্তু প্রতিলোম বিবাহ – মাতা উচ্চবর্ণের, পিতা নিম্নবর্ণের—অসিদ্ধ। এদের সন্তানের স্থান পিতার থেকে  নিচে, এরা পিতার নীচ গুণ পাবে। যেমন শূদ্র ব্রাহ্মণীকে বিয়ে করলে সন্তান ‘নরাধম চন্ডাল’ হবে (১০/১৬)।
     
    চন্ডালদের আশ্রয় গ্রামের বাইরে।এদের ধন বলতে কুকুর ও গাধা। এদের জলপাত্র দিতে নেই।এদের খাবার দিতে হবে চাকরের হাত দিয়ে ভাঙা বাসনে। এরা পরবে শ্মধানের মড়ার কাপড়, লোহার গয়না, বইবে অনাথ শব, কিন্তু রাত্তিরে গ্রামনগরে ঘুরে বেড়ানো মানা। রাজাদেশে দন্ডিত ব্যক্তিদের বধ করা এদের কাজ—মানে আজকালকার জেলের ফাঁসুড়ে।(১০/৫১ –৫৬)।
     
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩৬524932
  • এবার মনুস্মৃতিতে শূদ্রের জন্য দণ্ড বিধানএবার জাতিভেদে অপরাধের শাস্তিঃ
    ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণ নারীর সঙ্গে অবৈধ যৌন সংসর্গের অপরাধে মনু শূদ্রের মৃত্যুদন্ডের বিধান দিয়েছেন। কিন্তু ব্রাহ্মণের ‘অরক্ষিত’ ভার্যার সঙ্গে সহবাসে ‘লিঙ্গচ্ছেদ’ বিধান(৮/৩৭৪)।
    কিন্তু শূদ্রানারীর সঙ্গে অনুরূপ সংযোগের অপরাধে ব্রাহ্মণকে কিছু জরিমানা দিলেই চলবে(৮/৩৮৫)।
    যে অপরাধে অন্য বর্ণের প্রাণদন্ড বিধেয়, সেখানে ব্রাহ্মণের মাথা মুড়িয়ে দিলেই হবে(৮/৩৭৯)।
    ব্রাহ্মণের নিন্দা করলে শূদ্রের জিহ্বা ছেদন বিধেয়(৮/২৭০); কিন্তু শূদ্রের প্রতি ব্রাহ্মণ অনুরূপ ব্যবহার করলে সামান্য জরিমানা(৮/২৬৮)।
    ব্রাহ্মণকে চোর বলে গাল দিলে ক্ষত্রিয়ের সামান্য অর্থদন্ড, বৈশ্যের দেড়শ’ বা দু’শ পণ অর্থদন্ড, কিন্তু শূদ্রকে বধ করা হবে (৮/২৬৭)।
    শূদ্র যদি ব্রাহ্মণের গায়ে হাত তোলে তাহলে তার হাত কেটে ফেলা হবে, পদাঘাত করলে পা (৮/২৮০)। ব্রাহ্মণের সঙ্গে সমান আসনে বসলে তার কোমরে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়ে নির্বাসিত করা হবে, অথবা তার নিতম্ব এমন ভাবে কাটা হবে যেন তার মৃত্যু না হয় (৮/২৮১)।  ব্রাহ্মণের গায়ে থুতু দিলে শূদ্রের  ঠোঁট কেটে ফেলা হবে। গায়ে মলমূত্র  ফেললে  তার লিঙ্গ কাটা হবে এবং বাতকর্ম করলে তার গুহ্যদ্বার চিরে দেওয়া  হবে(৮/২৬২)।
    শূদ্র তিন দ্বিজজাতিকে জাত তুলে গাল দিলে শাস্তি হবে তার মুখে দশ- আঙুল মাপের জ্বলন্ত লোহার শলাকা   ঢুকিয়ে দেওয়া (৮/২৭১)।
    আর শূদ্র যদি ব্রাহ্মণকে জ্ঞান বা ধর্মোপদেশ দেয় তাহলে রাজার নির্দেশে তার মুখে ও কানে গরম তেল ঢালা হবে(৮/২৭২)।
    ব্রাহ্মণ কর্তৃক শূদ্রহত্যা ‘উপপাতক’ মাত্র(১১/৬৬) , অর্থাৎ সামান্য পাপ যা গোসাপ, প্যাঁচা, বেজি, ব্যাঙ  বিড়াল, কুকুর বা কাক বধের তুল্য(১১/১৩১)। কিন্তু শূদ্র ব্রহ্মহত্যা করলে মৃত্যু বিধেয়।
    ব্রাহ্মণের ‘রক্ষিতা স্ত্রী’র সঙ্গে সঙ্গমে  অন্য বর্ণের শুধু অর্থদন্ড হবে, কিন্তু  শূদ্র এই অপরাধ করলে তার সর্বস্বহরণ করে মৃত্যুদন্ড বিধেয়। যদি ব্রাহ্মণ ভার্যা ‘অরক্ষিতা’ হন, তাহলে সেই নারী সঙ্গমকারী শূদ্রের খালি লিঙ্গচ্ছেদ হবে।(৮/৩৭৪)

    বিচারালয়ে শপথ নেবার সময় শূদ্রকে বলতে হবে যে মিথ্যা বললে সে সকল পাপের ভাগী হবে। এটা অন্য তিন বর্ণের প্রতি প্রযোজ্য নয় (৮/১১৩)। শূদ্রকে আদালতে স্ত্রী এবং সন্তানের মাথায় হাত রেখে দিব্যি গালতে হবে । এছাড়াও আছে জ্বলন্ত কয়লার  উপর হাঁটানো বা জলে ডুবিয়ে রাখা। এ দুটো থেকে ও যদি না পুড়ে এবং না ডুবে ভেসে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে যে শূদ্র সত্য কথা বলছে(৮/১১৪ এবং ১১৫)।
    ব্রাহ্মণের বিশিষ্ট স্থা
    মহাপাতকের ক্ষেত্রে  মনু শারীরিক দন্ডবিধানের দশটি স্থান নির্দেশ করেছেন। কিন্তু সেটা ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য তিন বর্ণের জন্যে প্রযোজ্য। ব্রাহ্মণ অক্ষত দেহে দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন।। তাঁকে অর্থদন্ড দিতে হবে না । অন্য তিনবর্ণকে দোষের হিসেবে নির্বাসিত হওয়ার আগে আর্থিক এবং শারীরিক দন্ড ভোগ করতে হবে(৮/১২৩, ১২৪)।
    ব্রাহ্মণের মৃত্যুদন্ড হলে শুধু মাথা মুড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্য তিনবর্ণের ক্ষেত্রে শাস্তিটি প্রাণঘাতী হবে। সকল অপরাধে অপরাধী হলেও রাজা ব্রাহ্মণকে কখনও হত্যা করবেন না । তাঁকে স তাঁর সমস্ত ধনসম্পদ সহ অক্ষত দেহে শুধু রাজ্য থেকে বহিষ্কৃত করবেন। পৃথিবীতে ব্রাহ্মণবধ অপেক্ষা গুরুতর অধর্ম নেই । সুতরাং, রাজা তার বধ চিন্তাই করবেন না(৮/৩৭৯, ৩৮০, ৩৮১)।
    ব্রাহ্মণ শূদ্রহত্যা করলে প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ অন্য কোন ব্রাহ্মণকে একটি বৃষ ও দশটিশুক্লবর্ণ গাভী দান করবেন। বেড়াল, নেউল, চাতকপাখী, ব্যাঙ, কুকুর, গোসাপ, প্যাঁচা বা কাক মেরে শূদ্র হত্যার প্রায়শ্চিত্ত করবেন(১১/১৩০, ১৩১)।
     
    এরপরেও মনুসঙ্ঘিতাকে পুজো করতে হবে?
     
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৫৫524939
  • @ MP
      আপনিও কিন্তু  বিদেশি এডিনবার্গ রিভিউ কোট করছেন, মনু সংহিতা নয়।  
     
    এটা তো মানবেন যে মনুসংহিতা হোক বা কোন গ্রন্থ , তার সমীক্ষা বা সমালোচনা, পক্ষে বা বিপক্ষে, করার আগে সেই বইটা পড়া দরকার। 
      উপরের শ্লোকগুলো খালি শূদ্রদের প্রতি দৃষ্টিকোণ নিয়ে। মোহন ভাগবত মনু পড়েছেন। তাই ২০০০ বছরের অত্যাচারের কথা বলছেন।
    যদি চান তো এর পর নারীদের জন্য মনু কী বিধান দিইয়েছেন সেই শ্লোকগুলোও দিতে পারি।
     বিনীত অনুরোধ, কোন মতামত পাক্কা করার আগে নিজেই মনু পড়ে নিন। 
     সুলভ এবং সহজলভ্য। আনন্দ পাবলিশার্সেরটাই দেখুন।
  • @Ranjan Roy | 77.48.28.204 | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৯524943
  • অন্যদের উত্তর দেবার আগে তাদের মন্তব্যগুলো পড়লে ভাল হয়। নিজের রেডিমেড স্ক্রিপ্ট সব জায়গায় প্রাসঙ্গিক হয় না।
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৭524949
    • ফিরে আসি মূল আরব-ইজরায়েল বিতর্কেঃ
      • অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৬524843
    •  
    • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৮524874
    • দুটো ম্যাপই এলসিএম এর সৌজন্যে।
    •  
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৯524950
      • lcm | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৬524844
      •  
    •  
  • :) | 2602:fc05::40 | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩১524951
  • দ্বিতীয় ম্যাপে কে ইজরায়েল আর কে প্যালেস্টাইন শিওর হওয়া যাচ্ছে না, একটা হালকা গেস আছে।
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪১524953
  • @ অমিত
      একবার ১৯৯৩ সালের অসলো শান্তিচুক্তি দেখে নিন।
     বিল ক্লিন্টনের সামনে ইজরায়েলের প্রধান বেনিন এবং পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত হস্তাক্ষর করলেন।
     তাতেঃ
     ১ ইজরায়েল মেনে নিল যে পি এল  ও প্যালেস্তাইন আরবদের প্রতিনিধি।
    ২  পি এল  ও মেনে নিল ইস্রায়েল নামক ইহুদী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব। দুই রাষ্ট্র পাশাপাশি থাকবে।
    ৩ প্যালেস্তাইন স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হবে।
     তাদের পতাকা, সংবিধান, পুলিশ  এবং মিলিটারি থাকবে।
    এর চেয়ে বেশি কাকে কী বোঝাতে চান?
    কিন্তু কী হল? তারপর--
     
    ১ ইজরায়েলের নরমপন্থী নেতা বেনিন নিহত হলেন। 
    ২ ইজরায়েল প্যালেস্তাইনের নিজস্ব মিলিটারি এবং পুলিশএর প্রশ্নে অসম্মতি জানালো।
    ৩ রণক্লান্ত ইয়াসির আরাফাত  ও পিএল ও চুপ করে খালি সিভিক প্রশাসনের দায়িত্ব সামলাতে লাগল।
    ৪ ইয়াসির আরাফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হল।
    ৫   ইজ্রায়েল এবার আরব এলাকায়  লোকজনের বলপূর্বক বাড়ি খালি করিয়ে ইহুদী লোকজনকে এনে  বসাতে লাগল।
     
        দ্বিতীয় ম্যাপটি দেখুন।
     
    প্যালেস্তাইনের অধিকারকে সমর্থন করতে আদৌ হামাসের সমর্থক হওয়া জরুরী নয়।
     
  • তর্ক  | 165.225.8.92 | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৫524958
  • (আবার সে এসেছে ফিরিয়া) 
     
    কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার বাদ পরে যাচ্ছে। দুনিয়ার অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের নিরীহ মানুষ মারা সমর্থন না করেও সমস্যার মূলটা খেয়াল রাখা দরকার। 
    ক) ১৯৯৩ তে আরাফ্ত আর রাবিনের চুক্তি হবার আগে প্যালেস্টাইন বলে কোন দেশ কোথাও কোনদিন ছিল না। 
    খ ) আরব জাতীয়তাবাদকে স্বীকৃতি দিতে বৃটেন ইত্যাদি ১৯৪৮ এ যে প্ল্যান করে,  আরর গোষ্ঠী তা মানে নি, এবং ১৪-ই মে, স্বাধীনতা ঘোষণার সময়, ইস্রায়েলের কোন ঘোষিত বাউন্ডারি ছিল না।
    গ) ১৫ মে, ১৯৪৮ আরব দেশরা ইস্রায়েল আক্রমণ করলে গাজা মিশরের আর ওয়েষ্ট ব্যাঙ্ক জর্ডনের কবলে যায়, ১৯৬৭ এর যুদ্ধ পর্যন্ত। 
    ঘ) ইস্রায়েল আগ্রাসন, সাময়িক স্থিতি - এসব চলতেই থাকে ১৯৬৭ - ১৯৯৩। 
     
    এর পেছনে কারণ কিন্তু খুব বাইনারি - আরব দুনিয়া ল্যান্ড অফ প্যালেস্টাইন ওরফে ল্যান্ড ওফ ইস্রায়েলে 'ইস্রায়েল' বলে কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব চায় না। পুরো ভূখন্ড তাদের - বর্তমান আরব রাষ্ট্রদের মধ্যে বিলিবন্দোবস্ত হতেই পারে, নতুন রাষ্ট্র প্যালেস্টাইন হলেও আপত্তি নেই। এই কারণেই ১৯৯৩ এর আগে প্যালেস্টাইন বলে কোন পাসপোর্টের অস্তিত্ব ছিল না! 
     
    এই বাইনারীটা কিন্ত আজকেও চলে যায় নি।  প্যালেস্তাইনের অধিকারকে সমর্থন করা মানে কতটা জমি কাকে দেওয়া?  নরমপন্থী পি এ ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক শাসন করে, চরমপন্থী হামাস গাজা। আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত - সবদেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে পি এ র সাথে, হামাস কে ডিপ্লোম্যাটিক কাজের জন্যে স্বীকার করে না! আন্তর্জাতিক সহায়তাগুলোও তাদের কাছেই যায়। 
     
    কিন্তু হামাসের চাপে তো পি এর ত্রাহি মধুসূদন দশা! বাধ্য হয়ে তারাও কিছু কিছু চরমপন্থা মানছে, হামাসের বিপ্লবী পশ্চিমে লুকোচ্ছে, তাই ইস্রায়েল সেখানেও বোম ফেলছে গাজার পরে! 
     
    হামাসের ঘোষিত উদ্দেশ্য - ইস্রায়েল রাষ্টের বিলোপ।  
  • তর্ক  | 165.225.8.92 | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৭524959
  • ও হ্যাঁ, ইস্রায়েলের চোখে ঐ ম্যাপ যা লসাগু ও রঞ্জনদা দিলেন - তা প্যালেস্টিনি প্রোপাগান্ডা মাত্র। তাদেরো এক ম্যাপ আছে .
  • Ranjan Roy | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:২২524961
  • তর্ক 
    ম্যাপগুলোর সোর্স খেয়াল করুন
    প্যাসেঞ্জার নয়, MSNBC , rather pro israel or USA.
  • Ranjan Roy | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:২৯524962
  • আর Arab  refugeeমানেই  মুসলিম নয়,  Christian  ও আছে. 
     
    যেমন বিখ্যাত  ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক Edward  Said, যিনি  Orientalism  থিওরি তৈরি করেছেন. 
    আর Palestine  মানেই  হামাস নয়,  PLO ও  আছে. 
    আবার  Israel এ  Arab  পলিটিক্যাল পার্টি  আছে. 
  • তর্ক  | 165.225.8.92 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:৫৩524971
  • সে তো বটেই। 
    সেরকম, ইহুদি ক্রিশ্চান আছে, ইহুদি মুসলমান আছে, এমনকি ইহুদি হিন্দুও আছে। 
     
    ভারতীয় ইহুদি, চৈনিক ইহুদি - এসব জটিলতা অবশ্য এখানে প্রাসঙ্গিক নয়! 
     
    ৭ই অক্টোবরের পর থেকে ইস্রায়েলের ঘোষিত যুদ্ধ তো কেবল হামাসের সাথে যারা ২০০+ পণবন্দী ধরে রেখেছে। ২০২০ তে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের পর যে স্থিতিশীলতা ছিল, সেটা হামাসের পছন্দ নয়।  তারা এই পথ নেয়ঃ “In the past couple of years, Hamas has adopted a ‘rational’ approach. It did not go into any war, and did not join the Islamic Jihad in its recent battle. We made them think that Hamas was busy with governing Gaza, and that it wanted to focus on the 2.5 million Palestinians there, and has abandoned the resistance altogether. All the while, under the table, Hamas was preparing for this big attack.”
     মাঝখান থেকে নেতান্যিয়াহু ইস্রায়েলের মধ্যেই বেজায় চাপে ছিল, এই মওকায় গোটা ইস্রায়েল এককাট্টা করে ফেলল। 
  • MSNBC , rather pro israel or USA | 165.225.8.92 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:৫৭524972
  • এইটে ভারি মজার হয়েছে, মাঝখান থেকে এম এস এন বি সি কেস খেয়ে গেল। তাদের কি না ঐ ম্যাপ দেখাবার জন্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। 
     
    কিন্তু USA মিডিয়া মানেই প্রো -ইসরায়েল - এমত ধারণায় একটু আশ্চর্য হলাম। পরন্তু US মিডিয়া তো আর ওই ম্যাপের প্রাইমারি সোর্স হাতে পারে না! 
  • correct map | 72.52.87.22 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৪524978
  • কমরেড কমি ডগ | 2409:4060:2e11:5d7b:4819:9467:ea9f:f930 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩১525001
  • রঞ্জন রায়: 
     
    "ছিল কি? এখনও আছে কি?
    চৈতন্যদেব এটা রিয়ালাইজ করেছিলেন। তিনি জন্মসূত্রে নিম্নবর্গের হিন্দু, গরীব মুসলমান সকলকে বৈষ্ণব মুভমেন্টে সামিল করেছিলেন। কিন্তু তেমন ঘটনা তো হাজার বছরে একবার।"  
     
    চৈতন্যদেব সেটা রিয়ালাইজ করেছিলেন আর দলে দলে মুসলমান বৈষ্ণব হয়ে যাচ্ছিল বলেই তো মুসলমানরা চৈতন্যদেবকে খুন করলো।
     
    আর সনাতন ধর্মে হিন্দুধর্মের alternative কি কম পড়েছে? বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, শিখধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম - এগুলো তাহলে কি? নাকি রক্তখেকো বর্বর অধর্ম না হলে চলবে না?
  • কমরেড কমি ডগ | 2409:4060:2e11:5d7b:4819:9467:ea9f:f930 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৩525003
  • খেয়াল করেছেন যে কমিরা সবসময় মনুসংহিতা quote করে, এমন একটা বই যা কিনা কোন হিন্দুর বাড়িতে নেই, কোন হিন্দু পড়েনি।
     
    অথচ কখনও দেখবেন না এদের গীতা বা চণ্ডী নিয়ে ছেঁড়াছেঁড়ির চেষ্টা করতে। কেন বলুন তো?
  • তর্ক  | 165.225.8.92 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১০525004
  • উকিল আর জজেরা সর্বদা দেখি আইন কোট করেন, অথচ কোন সাধারন লোকের বাড়িতে কন্সটিটিউসান নেই, কোন সাধারন মানুষ পড়েনি। 
    একই কারণে হয়ত। 
    গীতা বা চণ্ডী নিয়ে ছেঁড়াছেঁড়ি চলে তো। নজরে আসে নি হয়ত আপনার। তবে ছেঁড়াছিঁড়িগুলো যখন হয় তার উত্তর না দিলে লোকে ভাবতে পারে উত্তর আসলে নেই কিছু। 
     
  • চণ্ডী | 64.62.219.40 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:০৪525006
  • এই কমি কুত্তাটা কে রে? হিন্দু ধর্মের আকর গ্রন্থ মনুসংহিতা অস্বীকার করতে চাইছিস? স্বয়ং মোহন ভাগবতজি রাম মন্দির পূজনের সময়ে মনুসংহিতার থেকে কোট করেছিলেন, জানিস? না জানলে ইউটিউবে দেখে নে। তোর মতো বিধর্মী কমি কুত্তাগুলোকে গুলি করে মারা উচিত। আর সব বাড়িতে মনুসংহিতা নেই তো কি হয়েছে রে? তোর মতো নীচু জাতের মানুষ ওসব পড়বে নাকি? আমরা ব্রাহ্মণরা মনুসংহিতা পড়ি। তুই কোথাকার কমি বে? 
  • বিতর্ক | 2a0b:f4c2:2::32 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৫525007
  • সংবিধানের কিছুটা তো স্কুলে পড়ানো হত, সেসব এখন আর হয় না? 
    মনুসংহিতার জজ-উকিল ইকুইভ্যালেন্টটা কমিরা তাই তো? তারা তো আবার হিন্দুটিন্দু হতে রাজি নয়।
    ব্রাহ্মণেরা তো পরাশর সংহিতা থেকে বিধবাবিবাহের বিধানও বের করে দিয়েছে,তাহলে ধরা যেতে পারে সমাজে বিধবাবিবাহ দিব্য চালু ছিল?
  • সনাতন | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:181 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২২525010
  • ভারতবর্ষের ইতিহাসই তো স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। এখনই বা অন্যরকম আশা করছি কেন?
  • কমরেড কমি ডগ | 2409:4060:2e11:5d7b:4819:9467:ea9f:f930 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৭525011
  • তা মনু থেকে কোট করার জন্য এত চুলকুনি, মাঝে মাঝে কোরান থেকে দু একটা কোট দে না। মানে ওদের জেনোসাইডের ম্যানুয়ালটা, যেটা ওরা রোজ দুবেলা পড়ছে?
  • চণ্ডী | 72.52.87.28 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৬525012
  • অ্যাঃ এই কমিটা কি অপবিত্র রে! আবার কোরান থেকে কোট শুনতে চাইছে। পরের জন্মে যদি কুকুর হয়ে জন্মাতে না চাস তো ব্রাহ্মণের পা ধোয়া জল খা রে ব্যাটা। 
  • যাক | 2a03:e600:100::65 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৬525014
  • কুকুর হলে যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে স্বর্গে যাবে। গোরু হলে তারা আবার কেটেকুটে হোলি খেলত।
  • ফুঃ | 45.138.16.76 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৪525016
  • সংবিধান? ম্যারিটাল রেপ জায়েজ, সমপ্রেম ক্রাইম। এই রিগ্রেসিভ মালটি নিয়েও কত আহাউহু। অথচ আম্বেদকর পোড়াতে চেয়েছিল পেরিয়ার পুড়িয়েই দিয়েছিল।
  • Ranjan Roy | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১৭525021
    • চৈতন্যদেব সেটা রিয়ালাইজ করেছিলেন আর দলে দলে মুসলমান বৈষ্ণব হয়ে যাচ্ছিল বলেই তো মুসলমানরা চৈতন্যদেবকে খুন করলো।
    ---   এ তো পুরো আনকাট ডায়মণ্ড! এমন ক্লেম তো কোন চৈতন্য সাহিত্যে নেই। কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্য চরিতামৃত, বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত , জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল --কোথাও তো মহাপ্রভূর অন্তর্ধানের এমন চমকপ্রদ বিবরণ লেখা নেই। আর এগুলো তো স্কুল লেভেলে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে পড়ায়। 
         আপনার অমন তথ্যের সূত্র কী জানতে পারি?
    •  
      আর সনাতন ধর্মে হিন্দুধর্মের alternative কি কম পড়েছে? বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, শিখধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম - এগুলো তাহলে কি? নাকি রক্তখেকো বর্বর অধর্ম না হলে চলবে না? 
    • --- বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম এগুলো সনাতন ধর্মের অঙ্গ?
    • মশায়, আপনি না জানেন বৌদ্ধধর্ম, না জানেন জৈন ধর্ম, না হিন্দুধর্ম।
    সিরিয়াস আলোচনায় খালি খিস্তি করতে এসেছেন। 
  • সংবিধান | 2405:8100:8000:5ca1::180:d93 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৪৩525022
  • Article 25:
    the reference to Hindus shall be construed as including a reference to persons professing the Sikh, Jaina or Buddhist religion, and the reference to Hindu religious institutions shall be construed accordingly.
     
    লিবারাল হতে গেলে কি অশিক্ষিত হতেই হবে?
  • haha | 38.101.26.130 | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০০:২৬525025
  • তা মশাই আপনি যদি এতই জানেন, তো এট্টু বলুন্না ক্যাথলিক আর প্রটেস্টান্ট আলাদা ধর্ম নাকি দুটোই খ্রিষ্ট ধর্ম? খিষ্ট ধর্মের ভেতর যে এতগুলো হেরেসি, সেগুলোকে সবই কেন খ্রিষ্ট ধর্মের অংশ ধরা হয়? খ্রিস্টান কমি টেরি ঈগলটন এ ব্যাপারে কি বলেছে বলুন দেখি ? 
     
    সুফিকে আপনি ইসলামের হেরেসি ধরেন নাকি আলাদা ধর্ম ধরেন? অর্র্থোডোক্স তবলীগিরা অবিশ্যি সুফিকে ইসলামের অংশ মানতে চায় না। ডালরিম্পলের লেখা পড়ুন। 
     
    তাহলে বৌদ্ধ বা জৈন বা শিখকে হিন্দু ধর্মের হেরেসি ধরা যাবেন না কেন বলেন দেখি রঞ্জনবাউ? আব্রাহামিক রিলিজিয়ন নয় বলে থিওলজির তত্ত্ব পাল্টে যাবে নাকি মশাই? 
     
    হিন্দুধর্ম যে বৈদিক ধর্মের রিচুয়ালস গুলো থেকে আসছে আর তার এগেইনস্টে জৈন বা বৌদ্ধধর্ম হেরেসির ফর্মে প্রভাব বিস্তার করছে এও ইস্কুলেই পড়ায়। আপনি ক্লাস পালিয়ে রেডবুক পড়তে না গেলে জানতে পারতেন।
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০০:২৭525026
  • ব্যস? 
    সংবিধানে আইনের বিশেষ প্রয়োজনে যা টেকনিক্যালি  বলা হল তা দিয়ে নিরীশ্বরবাদী অনাত্মবাদী  বৌদ্ধ এবং জৈনধর্মের সঙ্গে হিন্দুধর্মের ফারাক গায়েব  হয়ে গেল?
    বুদ্ধের ধর্ম হল সদ্ধর্ম । তাতে চারটে আর্যসত্য (জগত দুঃখময়, সেই দুঃখের কারণ আছে , সেই কারণ দূর করলে দুঃখের নিবারণ সম্ভব) এবং উপচার হিসেবে আটটি সৎ আচরণের কথা বলা হয়েছে। 
     কোন স্রষ্টা ঈশ্বর নেই, কোন দেহবিহীন আত্মা নেই। 
    জৈন ধর্মের দর্শন স্যাদ্‌বাদে যে কোন কিছুর অস্তিত্ব নিয়ে যে স্যাদ অস্তি , স্যাদ্‌ নাস্তি, স্যাদ্‌ অস্তিনাস্তি বলে যে সপ্তভঙ্গী লজিক আছে তাতে কোন স্রষ্টা ঈশ্বর বা আত্মা নেই।
    যে কোন দর্শনের প্রাথমিক পাঠ্যবই বলে দেবে যে ভারতীয় দর্শনের মধ্যে  হিন্দু আস্তিক দর্শনের সংখ্যা ছ'টি সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, পূর্ব মীমাংসা এবং উত্তর মীমাংসা (বেদান্ত)। কারণ এরা বেদকে মানে, অভ্রান্ত বলে।
     
     এবং  চার্বাক, বৌদ্ধ  ও জৈন হল নাস্তিক দর্শন, কারণ এরা বেদবিরোধী।
     বেদবিরোধী কোন দর্শন সনাতন হিন্দুধর্মের অংশ হয় কী করে? 
      
    এবার কন্টেক্সটে আসুন।
    আরটিকল  ২৫ এর বিষয় হল  Freedom of conscience and free profession , practice and propagation of religion)
     এতে ধর্মাচরণের স্বাধীনতার  কথা ব্যাখ্যা করে  পাঁচটি ক্লজ আছে। চার নম্বর ক্লজে আছেঃ
     
    Under this provision, Hindus are construed  as including  the people professing the Sikh, Jain or Buddhist religions and  Hindu institutions shall also be  construed accordingly.
     
    স্পষ্টতঃ  এটা কোন ধর্মের ডেফিনিশন নয়, আইনের প্রয়োজনে ভারতে উদ্ভূত সব ধর্মকে লুজলি ক্লাব করা হয়েছে। আমি তাই বোল্ড করে দিলাম। 
     
    আপনার যুক্তি মানলে সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরকেও অশিক্ষিত বলতে হয়,  তিনি কেন  হিন্দু ধর্ম ছেড়ে কয়েক হাজার অনুগামীকে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত করালেন এবং ২১টি শপথ নেওয়ালেন যাতে আছে বাকিজীবন কখনও কোন হিন্দু দেবদেবীর আরাধনা /পুজো করা চলবে না।
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৫৪525028
  • @ হা হা,
     আপনার উত্তর খানিকটা উপরেই দিয়েছি। 
    শিয়া-সুন্নীর তফাত অনেকটা শৈব- বৈষ্ণব বা অদ্বৈত বেদান্ত (শংকরাচার্য্য) বনাম বিশিষ্টাদ্বৈতের (রামানুজ) বিবাদ।
    কিন্তু শংকর এবং রামানুজ দুজনেই বেদান্তী, মূল সূত্রগ্রন্থ ব্রহ্মসূত্রকে মানেন। ব্যাখ্যাটা আলাদা। একজন জোর দেন নিরাকার বা নির্গুণ ব্রহ্মের উপরে অন্যজন সাকার বা সগুণের উপর।
     একই কারণে ক্যাথলিক  এবং প্রটেস্টান্ট দুজনেই ক্রিশ্চানিটির অংশ। দুদলই বাইবেল (ওল্ড টেস্টামেন্ট/নিউ টেস্টামেন্ট), মাতা মেরি  এবং মানবপুত্র যীশুকে মানেন। 
    তেমনই শিয়া -সুন্নিরা কোরাণ হাদিস মানে। পয়গম্বরের ব্যাখ্যায় তফাত। 
    যেমন সিপি আই সিপিএম নকশাল সবাই কম্যুনিস্ট--কারণ মার্ক্স লেনিনকে মানে।   সিপিএম আবার এর সঙ্গে স্তালিনকে মানে। নকশালরা এর সঙ্গে মাওকে মানে। 
     
    কিন্তু যে বাইবেলকে মানে না সে ক্রিশ্চানিটির কোন সেক্ট হতে পারে না।
     যে কোরানকে মানে না সে মুসলমানদের কোন গোষ্ঠী হতে পারে না।
     যে বেদকে মানে না (চার্বাক, বৌদ্ধ, জৈন) সে হিন্দুধর্মের কোন ধারা হতে পারে না।
     
     
    এটা জানেন তো রামকৃষ্ণ মিশন  ১৯৮০ সালে আদালতে গেছল এই দাবি নিয়ে যে সংবিধানের আর্টিকল ২৬ অনুযায়ী  ওরা হিন্দুধর্মের কোন গোষ্ঠী নয়, ওদের ক্রীড হল 'কাল্ট অফ রিলিজিওন অফ শ্রীরামকৃষ্ণ' অথবা রামকৃষ্ণাইজম্‌  --একটি মাই স্বতন্ত্র অল্পসংখ্যক ধর্মসম্প্রদায়। 
    কলকাতা হাইকোর্ট মেনে নিল যে রামকৃষ্ণ মিশন হিন্দুধর্মের বাইরে একটি আলাদা ধর্ম।  কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট ১৯৯৫ সালে ওই রায় বাতিল করে দেয়, ভাগ্যিস্‌
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন