এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • দার্জিলিং ডায়েরি

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ১৫ জুন ২০২২ | ১৬৬১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  •  
    বক্রেশ্বরের পলাশ রিসর্টের রুমে ব্যাগ পৌঁছে দিয়ে বলল,

    - স্যার বক্রেশ্বর চেনেন তো? যার জন্য সবাই এককালে রক্ত দিয়েছিল
    - দ্যাখো বক্রেশ্বরের জন্য কিনা বলতে পারবো না, তবে আমার এক দাদা প্রায়ই রক্ত দিত টিফিনের লোভে
    - না স্যার, এর জন্য পাবলিক টিফিন ছাড়াও রক্ত দিয়েছিল
    - হবে হয়ত। যাকগে বাদ দাও, এই রুমটার ভিউ কেমন বলো
    পলাশ এগিয়ে গিয়ে পর্দা সরিয়ে দিল, পুরো দেওয়াল জুড়ে কাঁচের জানালা
    - স্যার দেখুন, কি দারুণ ভিউ

    এগিয়ে গিয়ে দেখলাম - পুরো কুয়াশা আর মেঘ। এক হাত দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। তবুও পলাশ মনে কষ্ট পাবে বলে বললাম

    - দারুণ ভিউ তো! আচ্ছা পলাশ এই রুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়?
    - সেটা স্যার আপনি কতদিন থাকছেন তার উপর নির্ভর করবে
    - না, মানে আমি দেখতে পাব কিনা জানতে চাইছি না। এই রুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় কিনা সেটাই জিজ্ঞেস করছি
    - বুঝেছি স্যার। ওই জন্যই তো বললাম কত দিন থাকছেন তার উপর নির্ভর করবে। কাল চেক আউট হলে উত্তর হ্যাঁ, আর কয়েকদিন পর হলে উত্তর না।

    আমি এবার গেলাম কনফিউজ হয়ে। বেশীদিন থাকলে তো কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবার সম্ভাবনা বাড়ার কথা, কমার তো নয়!

    আমাকে কনফিউজ দেখে পলাশ এগিয়ে এল হেল্পে

    - স্যার, আপনি দেশের লোক বলে ভিতরের ব্যাপারটা খুলে বলি। কাল পর্যন্ত ওয়েদার এমনি মেঘলা থাকবে। তাই কাল যারা চেক আউট করবে তাদের সবাইকে বলা হচ্ছে সব রুম থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, আপনাদের লাক খারাপ। কিন্তু সেটা তো আর আপনাকে বলা যাবে না! পরশু ওয়েদার ক্লিয়ার হলে আপনি নিজেই আসল ভিউ পাবেন
    - আসল ভিউ কি তাহলে?
    - তোফা সিনেমা দেখেছেন জীতেন্দ্র-শ্রীদেবীর?
    - না
    - হিম্মতওয়ালা? নতুন ফালতুটা নয়, পুরানো আসলটা
    - না
    - আপনি তাহলে করেছেনটা কি! আচ্ছা রিসেন্ট টাইমের বিজয়পত সিনেমার সেই গানটা দেখেছেন তো? রাহা মে উনসে মুলাকাত হো গেয়ি
    - হ্যাঁ, এটা বিলকুল দেখেছি। শানুদার গান
    - এই তো লাইনে এসেছেন। তাই ওই গানে কেমন সব পতপত করে পতাকা উড়ছিল মনে আছে?
    - আছেই তো? পাহাড়ের উপর দারুণ দৃশ্য। তা তেমন দেখবো নাকি জানালা দিয়ে?
    - পতপত করে ওড়া দেখবেন। তবে পতাকা নয়। পাশে ছাদে ধোপার শুকুতে দেওয়া সাদা বিছানার চাদর আর রঙীন জামা প্যান্ট

    দরজাটা টেনে বন্ধ করে চলে যাবার আগে পলাশ জানিয়ে গেল

    - লাক ভালো থাকলে শুধু সাদা বিছানার চাদর শুকালে জীতেন্দ্র-শ্রীদেবী আপনার মনে পড়তে বাধ্য! দার্জিলিং এসে সেটাই বা কি কম পাওয়া!

    --------------------------

     
     
    ড্রাইভার ভাই বলল,

    - আপকে পাশ যো ডি এস এল আর ক্যামেরা হ্যা না, উসমে হামারা এক ফটোশ্যুট কর দিজিয়েগা?

    কেন নয়! এই ভেবে রাজী হয়ে গেলাম। তখন কি আর জানতাম যে এর ফটোতোলার নানাবিধ আব্দার রাখতে গিয়ে আমাকে যা শ্রম দিতে হবে বিয়ে বাড়ির ফটোগ্রাফার এত কষ্ট করে না!

    পুরো ট্যুরে এই আমাদের গাড়ি চালাচ্ছিল - ১৮ বছর হয়েছে কিনা বা লাইসেন্স আছে কিনা এই পিক সিজিনে ওসব জিজ্ঞেস করার চল নেই শুনলাম। ছেলে এমনিতে ভালো - কিন্তু গান করার রোগ আছে।

    বড়ই বেসুরো গান গায় - আমি মানিয়ে নিচ্ছিলাম তবুও। কিন্তু একসময় দেখলাম মেহুল কানে হাত দিয়ে বসে আছে। ভাবলাম গান জোড়ে বাজছে বলে কান চেপে আছে। ড্রাইভার ভাইকে গানটা বন্ধ করে দিতে বললাম। মেহুল প্রবল আপত্তি জানিয়ে বলল

    - গান চলুক, তুমি ওকে গাইতে বারণ করো
    - সেটা আমি পারবো না! রেগে গিয়ে এই পাহাড়ে নামিয়ে দিলে বাড়ি ফিরব কি করে?

    যাই হোক তবুও আমার তরফে ছেলেটিকে ইংরাজি গান না গাইবার অনুরোধ করলাম

    তো ছবি তোলার ব্যাপারটা ফিরে আসা যাক। মিরিক লেক জুড়ে ছবি তুললাম ড্রাইভার ভাইয়ের

    একবার বলে ব্রীজের, একবার বনের ধারে, একবার বোটে হেলান দিয়ে। জানতে চাইলাম ঘোড়ায় চড়াটাই বা বাকি থাকে কেন!

    ভাবলাম শেষ  হয়েছে - ওমা কোথায় কি!

    - আপকা পাশ অটো মোড হ্যায় না?
    - বিলকুল হ্যা
    - তো উসমে আপ তসবির খিঁচিয়ে মেরা। আমি এমন করে হেঁটে যাব সামনের দিকে, খানিক গিয়ে মুখ ঘুরিয়ে তাকাবো। আপনি সেই সময়েই ক্লিক
    ব্যাস এবার সিরিজে হাঁটা চলল। ছবি আর মনমত হয় না। কোন সময়ে বেশী মুখ ঘুরে যাচ্ছে, কোন সময় বেশী নীচু হয়ে যাচ্ছে, কোন সময় ব্রীজের মাঝখান ক্রস করে যাচ্ছে - কোন সময় সামনে দু গাছি চুল বেশী এলিয়ে গেছে - এই সব সামলে প্রবল সংগ্রাম শেষে ছবি মনমত হল

    কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে গেছে, প্লেন ধরার তাড়া। মিরিক লেক বা আমার মেহুলের ছবি তোলার সময় আর হল না

    সাথের ছবিটা আইফোনে তোলা - এটা পছন্দ হয় নি, বলল ছবিটায় সেই 'কিক' টা নেই

    ক্যামেরার ছবি প্রসেসিং করে দেখি কিক আসে কিনা!

    ---------------------
     
     
    চিড়িয়াখানা দেখে পিক আপ পয়েন্টে ওয়েট করছি ড্রাইভারের জন্য। যা জ্যাম, আসতে খুব দেরী হচ্ছে গাড়ীর। আমার মত আরো অনেকেই অপেক্ষা করছেন এখানে

    সেই ফাঁকে আমি মেহুলের সাথে পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে আলোচনা সেরে নিচ্ছি। আইটেনারী অনুযায়ী এবারে যাওয়া জাপানীজ টেম্পেল। এত ভীড় দেখে কি করে সব কিছু কাটিয়ে হোটেলে বসে ল্যাদ খাওয়া যায় সেই অজুহাত খুঁজছি। নিজেই নিজেকে বললাম,

    - খোদ জাপানে গিয়ে বা সাউথ ইষ্ট এশিয়ায় জাপানী মন্দির দেখে বোর হয়ে গেছি। এখানে আর মন্দির দেখে কাজ নেই। কি বলিস মেহুল?
    - খোদ জাপান কি?
    - অরিজিন্যাল জাপান। তোর মনে নেই? সেই ছোট বেলায় নিয়ে গিয়েছিলাম

    পাশের এক ভদ্রলোক মনে হয় আমাদের কথাবার্তা শুনছিলেন এতক্ষণ। আমার মুখে জাপান শুনেই বললেন
    - আপনিও এই ভাবে ছেলে ভুলান?
    - মানে?
    - এই যে বললেন, "তোকে ছোটবেলায় জাপান নিয়ে গিয়েছিলাম, কিছু মনে নেই তোর"? আমিও ছেলেকে বলি ছোটবেলায় তোকে প্যারিস, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা সব জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলাম
    - আরে সত্যি সত্যি গিয়েছিলাম তো!
    - আরে বাবা লজ্জার কিছু নেই। ছেলে মানুষ করতে গেলে এমন সব বলতে হয়। সান্তা ক্লজ, ভূত-প্রেত। সব সত্যি হতে হলেই তো হয়েছে আর কি!
    - দাঁড়ান, আপনাকে ছবি দেখাচ্ছি। ছবি তো আর মিথ্যে বলবে না!
    - থাক না কি দরকার!

    আমি পড়েছি বিশাল চাপে ছবি দেখিয়ে প্রুভ করার। টেনশনে ফোনের কি নাম্বার বার পাঁচেক ভুল টিপে ফোন লক করে ফেললাম!

    এদিকে ততক্ষণে গাড়ি চলে এসেছে। আমি ইতস্তত করে বললাম,
    - ফোন লক হয়ে গেছে!
    - জানতাম তো এমনি হবে!
    - মানে?
    - শুনুন ফোন লক বলবেন না, ড্রাইভার চলে এল বলে এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন বিড়ম্বনা থেকে। এর চেয়ে বলবেন ফাইল সব কোরাপ্ট হয়ে গেছে। সেফ ব্যাপার

    -----------------------

     
    পাহাড়ের দিকে গেলে মোমো না খেলে হয় নাকি! তা সেদিন বৃষ্টি পড়ছিল বিকেলের দিকে, ভাবলাম হোটেলের রেষ্টুরান্টেই মোমো খাওয়া যাক

    আমাকে বলা হল প্রচুর সময় লাগবে, মিনিমাম এক ঘন্টা, একদম স্ক্র‍্যাচ থেকে নাকি মাল বানানো হবে। বললাম কৈ পরোয়া নেহী!

    তো রেষ্টুরান্টের রাঁধুনিদের সাথে আমার চিরকালই ভাব ভালোবাসা, আজকাল আবার তাদের শেফ বলতে হয়, যেমন বাস ড্রাইভারদের পাইলট

    শেফ ভাইয়ের সাথে আলাপ হয়ে গেল, তেনার হাতে প্রচুর সময়। জিজ্ঞেসিল

    - কোথায় বাড়ি
    - কোলকাতায়
    - কলকাতার ঠিক কোথায়?
    - ঠিক কলকাতা নয়, আর একটু ওদিকে গিয়ে বর্ধমান
    - বর্ধমানের কোথায়?
    - ঠিক বর্ধমান নয়, মেমারী
    - মেমারীর কোথায়?
    - মেমারী ঠিক নয়, তার পাশে নিমো
    - নিমোর কোথায়?
    - ভাই নিমোর কোথায় তুমি বললে চিনবে
    - কেন চিনব না! আমার বাড়ি তো পালসিট

    এবার আমার পালা
    - পালসীটের কোথায়
    - ওই পালসীটের পাশে বেগুট
    - বেগুটের কোথায়?
    - বললে চিনবেন?
    - কেন নয়? কত খেলতে গেছি ওদিকে

    যাই হোক শেফ ভাইয়ের সাথে আলাপ হল, হাটগোবিন্দপুর স্কুলে পড়েছে। বায়োলজির স্যার হরপ্রসাদবাবুর কথা মনে এল

    তবুও শেফকে বললাম,
    - ভাই কিছু মনে কোরো না। নিমো থেকে দার্জিলিং এসে মোমো খেতে চেয়ে বেগুটের রাঁধুনীর বানানো মোমো খাব? ফিলিংসটাই তো আসবে না আর জেনে ফেলায়।
    - আরে দাদা, খেয়ে দেখুন না। গ্যারান্টি দিয়ে ভালো বানাই। খেয়ে দেখুন, তাহলে কাল দুপুরের বাচ্চাটার পাতলা মাছের ঝোলটায় এক পিস পেটি ফ্রী দেব

    মাছের পেটির লোভে বেগুটের মোমো খেলাম, অনেকটা সেই লন্ডন ব্রীজের পাশে বাংলাদেশী ভাইয়ের বানানো ফাহিতা খাবার মত কেস

    বলতে নেই, ফাহিতার মতন, এই মোমোও ভালো হয়েছিল
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১৫ জুন ২০২২ | ১৬৬১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    নবীন - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ১৫ জুন ২০২২ ২০:০৫509035
  • সলিড।
     
    জোড়ে নয়, জোরে হবে।
  • kk | 174.53.251.123 | ১৫ জুন ২০২২ ২০:৩৯509036
  • ভালো লাগলো পড়তে। আচ্ছা, আপনি আর চাষার ভোজনদর্শন লিখবেন না?
  • Santanu | 2401:4900:1c01:1879:58be:4c0e:542c:7f98 | ১৬ জুন ২০২২ ০৭:৪২509053
  • খুবি ভালো 
  • Amit | 103.6.116.9 | ১৬ জুন ২০২২ ০৭:৫৫509054
  • অই সুকি। তোমার আই-ফোন আবার কবে থেকে নাম্বার লক দিয়ে খুলতে হয় হে -? ঢপ দিলেই হলো ? 
    :) :) 
  • হীরেন সিংহরায় | ১৯ জুন ২০২২ ১১:৪৭509161
  • কোথায় বাড়ি
    - কোলকাতায়
    - কলকাতার ঠিক কোথায়?
     
    এটা পড়েই চার দশকের পুরনো গল্প মনে পড়ে গেল। স্টকহলমের ইউথ হস্টেলের বারোয়ারি শাওয়ারে পাশের জনের সংগে কথা। জার্মানে ।
     জানতে চাইলাম -জার্মানির কোথায় বাডি? 
     নুরেমবেরগ ( চেনা বানানে লিখছি  যদিও ঠিক নয়
     
    আমি তখন সেখানে থাকি। বললাম নুরেমবেরগের কোথায়? আমতা আমতা করে বললেন রসবেরগ। 
     
    রসবেরগ ? সে তো ঘন্টা খানেকের পথ অন্তত চল্লিশ কিমি? 
     
    একটু লজ্জিত হয়ে বললেন নুরেমবেরগ বললে লোকে 
    চিনবে। রসবেরগ চেনে কে? 
     
    তা নুরেমবেরগের কাছে বলুন না ?
     
    আমার নির্ঘাত আলতসহাইমারের প্রথম স্টেজ চলছে। প্রাচীনতম  স্মৃতি প্রখর । আর রবিবার সকালে তাতে আবার হাওয়া দিলেন আপনি! 
  • যোষিতা | ১৯ জুন ২০২২ ১২:৫৯509163
  • সে তো  এখানেও। বের্নে এমবযাসীতে গেছি একুশ বছর আগের কথা। এক বৃদ্ধ বাঙালি এসেছেন ভিসা নিতে। 
    আলাপ হচ্ছে- তুমি কোথায় থাকো?
    — জুরিখ। আপনি?
    — আমিও জুরিখ। চলো এক সঙ্গে লাঞ্চ করি।
    সারাদিন কাটালাম গল্প করে, ঘুরে একসঙ্গে। বিকেলে ফিরবার সময় একই ট্রেন। ট্রেন অনেকক্ষণ চলবার পর উনি সপ্তাহান্তে আমায় যেতে বললেন ওঁর বাড়ি। ঠিকানা লিখে দিলেন কাগজে। ভেটিঙ্গেন।
    — এটা তো জুরিখ নয়! পোস্টকোড তো অন্য! তবে যে বললেন জুরিখে থাকেন?
    — এটার পাশের ক্যান্টনে, আরগাও। তোমায় আরগাও বললে, বাদেন বললে বুঝতে?
  • যোষিতা | ১৯ জুন ২০২২ ১৩:০১509164
  • সোভিয়েত দেশে থাকতে যাবতীয় বিহারের ছেলেরা ( পাটনাবাসী বাদ দিয়ে) নিজেদের ইউপির ছেলে দাবী করত।
  • যোষিতা | ১৯ জুন ২০২২ ১৩:০২509165
  • ন্যুয়েরেমবের্গ সবাই চেনে। ন্যুয়েরেমবের্গ ট্রায়ালের কথা সব্বাই জানে।
  • সুকি | 49.207.230.186 | ১৯ জুন ২০২২ ১৯:৩৭509175
  • সকলকে ধন্যবাদ
     
    সে-দি, টাইপো এবং বানান ভুল মিলিয়ে বেশ কিছু আছে। এগুলো সব দেখতে হবে
     
    কেকে, লিখলেই হয়। তবে খাওয়া দাওয়া নিয়ে এত বেশী লেখা হচ্ছে যে আর তত লিখতে উৎসাহ পাই না। সবাই যা লিখছে সেই একই ধারায় লিখতে কেমন লাগে
     
    হীরেন-বাবু, আপনার লেখার এবং মানুষ হিসাবে আপনার কাজকর্মের আমি ভক্ত। এই ফাঁকে আবার জানিয়ে গেলাম 
     
    অমিতাভদা, আগে চার ডিজিটের ছিল এখন ছয় ডিজিটের 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a11f:7518:c3bd:b0f7 | ১৯ জুন ২০২২ ২৩:৪২509180
  • উপভোগ্য লেখা 
  • যোষিতা | ২০ জুন ২০২২ ০০:১৫509184
  • সুকি
    সত্যি কথা বলতে কি ফুড টুরিজম এবং খাবার নিয়ে লেখালেখির যা হিড়িক দেখা যাচ্ছে বিগত দশ বছর ধরে, তাতে যতই নস্টালজিয়া থাকুক না কেন, মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। ক্যাটেগোরিক্যালি স্কিপ করে যাই ( ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার)। আরেকটা জিনিস আমার সঙ্গে খুব মিলে গেছে তোমার— বেড়াতে বের হলে আমি মানুষ দেখি। প্রকৃতি, সৌন্দর্য টৌন্দর্য, অবশ্য দ্রষ্টব্য হিস্টোরিক্যাল জায়গা টায়গা আমায় বিশেষ টানে না। মানুষ বড্ড টানে। কমনালিটি টানে, সভ্যতার কমনালিটি। সেই জিনিসটা তোমার লেখায় পাই। এ জিনিস সবাই হয়ত দেখতে চায়/পায় না।
  • হিস্টোরিক্যাল জায়গা টায়গা আমায় বিশেষ টানে না | 2600:1002:b00b:ccea:d10d:4b8e:2a99:4acb | ২০ জুন ২০২২ ১৬:৪৬509195
  • আমার আবার মনে হয় মানুষকে একটু গভীরে দেখতে/ বুঝতে ঐটি লাগে! 
  • dc | 2401:4900:1f2a:2eb2:55f9:fb37:64ac:1922 | ২০ জুন ২০২২ ১৯:৫৪509201
  • "কেকে, লিখলেই হয়। তবে খাওয়া দাওয়া নিয়ে এত বেশী লেখা হচ্ছে যে আর তত লিখতে উৎসাহ পাই না। সবাই যা লিখছে সেই একই ধারায় লিখতে কেমন লাগে"
     
    সুকিবাবু, আপনার খাওয়া নিয়ে লেখাগুলো কিন্তু আমার পড়তে খুব ভালো লাগে। kk মাঝে মাঝে নানারকম প্রিপারেশানের ছবি দেন বা রেসিপি পোস্ট করেন, সেগুলো পড়তেও আমার ভালো লাগে। ইন জেনারাল খাওয়া দাওয়ার গল্প আমার খুব প্রিয়। কাজেই লিখতে থাকুন :-) 
  • kk | 174.53.251.123 | ২০ জুন ২০২২ ২০:০৬509202
  • খাওয়া দাওয়ার গল্প আমারো খুব ভালো লাগে। আমি অনেক সময়েই অনেক লেখা আগে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিই কী কী খাবারদাবারের নাম আছে। তারপর ধীরেসুস্থে পড়া। টেনিদার কুট্টিমামা যেমন মহাভারত খুলে খুব মন দিয়ে পড়তেন ভীম কেমন বকরাক্ষসের খাবারগুলো খেয়ে নিচ্ছে, আর আবেগে তাঁর চোখে জল আসতো, আমারো ঐ রকম কেস।
  • dc | 2606:54c0:36c0:128::1c5:23 | ২০ জুন ২০২২ ২০:৩৩509204
  • আমারও একদম তাই। ছোটবেলায় শার্লক হোমস বা আগাথা ক্রিস্টির যেসব গল্প পড়তাম, বা টোলকিয়েনের, সেই গল্পগুলোয় খাওয়ার জায়গাগুলো বারবার পড়তাম। ক্রিস্টির অয়্যাট বারট্রামস হোটেল বারবার পড়েছি স্রেফ ইংলিশ ব্রেকফাস্ট আর আফটারনুন টির ডিটেল মেনু ছিল বলে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন