এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • নবাবের প্রস্থান! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | ১১২৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • কাজীদার কথা কোথা থেকে বলা শুরু করব? কাজীদা আমাদের মাঝে নাই এইটা জানার পড় থেকে অনলাইনে সবাই নানা ভাবে স্মৃতিচারণ করছে উনাকে নিয়ে। আমার প্রায় দিগুণ বয়সের বড়রা অবলীলায় স্বীকারোক্তি দিচ্ছে প্রথম বই পড়ার অভ্যাসটা কাজীদাই তৈরি করে দিয়েছে! এই তালিকায় সবাই আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আছেন, পত্রিকার সম্পাদক আছেন, লেখক আছেন, কবি আছেন, গায়ক আছেন, নায়ক আছেন, রাজনৈতিক আছেন! আমি বরং ঘুরিয়ে বলতে পারি, কে নাই? একজন মানুষ এই সমস্ত মানুষের বই পড়ার অভ্যাস তৈরির কারিগর। যদি বাড়তি বলা না হয় তাহলে আমি বলব বাংলাদেশের যে শিক্ষিত সমাজ এখন সমাজের মাথা তার সিংহভাগ কাজীদার হাতে তৈরি, প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে অবশ্যই।

    টেলিভিশনে রবিন হুড দেখানো শুরু হল। আমার সম বয়সই সকলের কাছে ওই টেলিভিশন সিরিজ দারুণ দাগ ফেলে গেছে কৈশোরে। কিন্তু ব্যতিক্রম সম্ভবত আমি বা আমরা যারা এই সিরিজ আসার আগেই পড়ে ফেলেছিলাম কাজীদার লেখা রবিন হুড। আমরা বিরক্ত ছিলাম অনেকটা ওই সিরিজ দেখে। কারণ আর কিছু না, কাজীদা এত অসাধারণ করে রবিন হুড লিখেছিলেন যে তার কোন তুলনা হয় না। আমাদের প্রতি লাইন মুখস্থ এমন অবস্থা। আমরা আমাদের বাড়ির জঙ্গলে দৌড় দেই, শেয়াল বেজী তাড়া করি আর মনে মনে কল্পনা করি আসলে শেরউড জঙ্গলেই আছি আমি! লিংকন গ্রিন কী জিনিস জানি না, সেই কাপড়ের তৈরি পোশাক হচ্ছে আমার পোশাক, আমার সহচরী লিটিল জন আসলে ছোটখাটো কেউ না, উইল স্কারলেট, ফায়ার টাক, অ্যালান ডেল মেরিয়ান সহ সাত কুড়ি সাথী আমার আর এরা সকলেই আমার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, আমি রবিন হুড!

    শুধু রবিন হুড? কাজীদা আর সেবা হচ্ছে সমার্থক শব্দ। সেই সেবা থেকে গরম গরম এডগার রাইজ বারোজের টারজান, রুদ্ধ প্রয়াগের চিতা, জিম করবেট সহ আরও নানা বই আমাদেরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গহীন থেকে গহীন জঙ্গলে। আমরা মুগ্ধ হয়ে গিলি শুধু অসামান্য এই সব লেখা। এর সম সাময়িক সময়েই হাতে আসে সর্বনাশা এক সিরিজ, তিন গোয়েন্দা! তিন গোয়েন্দা সিরিজের বইয়ে একটা পরিচিতি দেওয়া থাকত, পরিচিতিটা হচ্ছে -

    ​​"হ্যাল্লো কিশোর বন্ধুরা—

    আমি কিশোর পাশা বলছি অ্যামিরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে। হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি। নাম

    তিন গোয়েন্দা।

    আমি বাঙালি, থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান। ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা।
    একই ক্লাসে পড়ি আমরা।
    পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরান এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার।
    একটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি—
    এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।"

    এই লেখাটুকু আমাদের মনে কোন মাপের আলোড়ন তুলত এখন আমি বলে বুঝাতে পাড়ব? মনে হয় না। তিন গোয়েন্দার পাশাপাশি যদি কোন বইয়ে জর্জিনা পার্কার বা 'জিনা' আর তার কুকুর রাফিয়ান 'রাফি' থাকত তাহলে জমে ক্ষীর! তিন গোয়েন্দা আমাদের কোথায় নিয়ে যায়নি? আমরা সাগরের নিচে ডুব দিচ্ছি, পর্বত চূড়ায়, বরফের মাঝে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছি, দুর্ধর্ষ সব ঘাগু অপরাধীদের ধরে দিচ্ছি আমি! আমিই কিশোর পাশা, রবিন মুসা আমি না, আমি কিশোর পাশা! দুনিয়া তখন আমার চোখের সামনে। মফস্বল শহরে থেকে তাই আমার জানতে কষ্ট হয়নি সাগর বা মহাসাগর আসলে পদ্মা নদী থেকে বড় বা আসলে তুলনাই চলে না। আমি জানি সাগর পানির নিচে অনেকক্ষণ থাকলে সরাসরি উঠা যায় না, শরীরের অক্সিজেনের ঠিক করতে থেমে থেমে উঠতে হয়। আমি জানি বন্দুক কত প্রকার, কোনটাকে পিস্তল বলে আর কোনটাকে রিভলভার বলে! অল্প বয়সে যারা এই সব জানে না তাদের প্রতি আমি তাচ্ছিল্যের হাসি দিতে একটুও দ্বিধা করিনি!

    তিন গোয়েন্দা জ্ঞান চক্ষু খুলে দিচ্ছিল। তখনও সেবার আসল সাম্রাজ্যের খবর আমি পাইনি। তা পাওয়ার আগে পেলাম আরেক জিনিস। যার জন্য এই এখন পর্যন্ত এবং আমৃত্যু আমি সেবার কাছে ঋণী থাকব। তা হচ্ছে সেবার কিশোর ক্লাসিক! টম সয়ার, হাকলবেরি ফিনের সাথে সখ্যতা, রবার্ট লুই স্টিভেনসনে মুগ্ধ হওয়া, এবং হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডারের সাথে প্রেম! আয়েশা, অ্যালান কোয়াটারম্যান, ইনকোসিকাস, আফ্রিকার গহীন জঙ্গলের দুনিয়া সব এখন পর্যন্ত মুগ্ধ করে রেখেছে আমাদের। জুল ভার্ন পড়ে আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণ শেষ করছি,রকেটে করে রউনা হচ্ছি চাঁদের দিকে, ক্যাপ্টেন নিমো আমার ক্যাপ্টেন, মিস্ট্রিয়াস আইল্যান্ড আমার দ্বীপ আর নিকোলাস আমার জাহাজ যা আসলে সাবমেরিন! বিশ্ব সাহিত্য অধরাই থেকে যেত আমাদের যদি এই দুর্দান্ত অনুবাদ গুলো আমরা না পেতাম ওই কিশোর বয়সে। ফ্যান্টাসির পরেই পড়ি ক্লাসিক এরিক মারিয়া রেমার্ক! স্বপ্ন মৃত্যু ভালবাসা, থ্রি কমরেড, অল কোয়েট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, দ্য রোড ব্যাক, ব্ল্যাক অবিলিস্ক! বিশ্বযুদ্ধ যেন চোখের সামনে দেখলাম আমরা!

    কাজীদার সবচেয়ে বড় অবদান আমার কাছে এটাই। অনুবাদের একটা আলাদা ভাষা তৈরি করা। দুই বাংলা মিলিয়ে নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় কাজী আনোয়ার হোসেন সেরা এই কাজে! তিনি অসামান্য অনুবাদক তো বটেই এছাড়াও তিনি যা করেছেন তা হচ্ছে আলাদা একটা ভাষা তৈরি করছেন। গোয়েন্দা গল্পের, স্পাই থ্রিলার গল্পের। যা এক কথায় অতুলনীয়।

    এরপরেই ঝপাঝপ হাতে পাই মাসুদ রানা! আমি বড় হয়ে গেছি এইটা এখন স্বীকৃত হল। যে ভাষার কথা বললাম তা হচ্ছে কাজীদার অবদান। স্পাই থ্রিলারের মাঝে উনি এমন এক ভাষা তৈরি করলেন যা আগে কেউ করেনি। একটা অন্য রকম ব্যাপার। আর এই অন্য রকম ব্যাপারের প্রেমেই পড়ে রইল বাংলার কোটি কোটি পাঠক! আমরা ঘুরতে থাকলাম রানার সাথে জল স্থল অন্তরীক্ষ! সোহানা আমাদের নায়িকা, রুপাকে আমরা তারচেয়েও বেশি পছন্দ করি, কাঁচা বাংলা ভাষা কথা বলা গিল্টি মিয়া, যার কথা পরে কোথাও পড়েছি যে কাজীদার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র সেই গিল্টি মিয়া আমাদেরকে মাতিয়ে নিয়ে যায়, ভিন্সেন্ট গগল আমাদের বন্ধু যেহেতু আমরা সবাই মাসুদ রানা! মায়ান সভ্যতা আবিষ্কার করছি, ল্যুভর মিউজিয়ামের রহস্য আমাদের জানা শেষ, তন্নতন্ন করে খুঁজছি ভয়ঙ্কর কবির চৌধুরীকে! লেখার তীব্র গতিতে আমরা ছুটছি পাতার পর পাতা। নাওয়া খাওয়া ভুলে কোন লেখা কাওকে আটকে রাখতে পারে এইটা কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা যে না পড়েছে সে বুঝবে না!

    বিদেশি ছায়া অবলম্বনে বলে একটুও খাটো করে দেখার বিন্দু মাত্র চিন্তা আমরা করতাম না। আমরা শুধুই গিলে যাচ্ছি। শয়নে স্বপনে মাসুদ রানা! বিছানার এ মাথায় একটা ও মাথায় আরেকটা, আমার কোমরে একটা, হাতে আরেকটা! ছায়া অবলম্বনে বলে কাজীদার লেখার শক্তিকে অস্বীকার করার সুযোগও কিন্তু নাই। যতগুলো মৌলিক কাজ তিনি করে গেছেন তা একেকটা মাস্টার পিস। কী দারুণ ছোট গল্প তিনি লিখতেন তা জানা যায় তার পঞ্চ রোমাঞ্চ, তিনটি উপন্যাসিকা, ছয় রোমাঞ্চ, ছায়া অরণ্য, এবং কাজী আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত রোমাঞ্চগল্প এই সব বই গুলাতে।

    সেবার হাত প্রসারিত হয়েছে নানা দিকে। ওয়েস্টার্ন গল্প সম্পূর্ণ ভিন্ন এক স্বাদের খবর দিল আমাদের। পশ্চিমের রুক্ষ দুনিয়ায় আমাদের সাথী এরফান! কাজীদার বিদ্যুৎ মিত্র নামে বেশ কিছু মানসিক স্বাস্থ্যের বই আছে। যা এক কথায় দুর্দান্ত। কেউ চিন্তাই করেনি এই সব নিয়ে বই লিখতে হয়। তিনি সমস্ত ট্যাবু ভেঙে লিখলেন যৌনবিষয়ে সাধারণজ্ঞান! সেবা রোমান্টিক নামে চালু হল আরেকটি ধারা, হল বিপুল জনপ্রিয়। সব কিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেল একটা বিষয়, তা হচ্ছে সেবার আলোচনা বিভাগ! অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম! সরাসরি লেখকের সাথে কথা বলা! কাজীদা নিজে উত্তর দিচ্ছেন নানা চিঠির। উনার দারুণ সব রসবোধের পরিচয়ও পাওয়া যেত এই আলোচনা বিভাগে। রহস্য পত্রিকাও কাজীদা তথা সেবার সেরা অবদান। এখন পর্যন্ত অমন একটা মাসিক পত্রিকা বাংলাদেশে আর তৈরি হতে পারে নাই। বহু লেখক তৈরির মাধ্যম রহস্য পত্রিকা। যে কয়েকটা পত্রিকা আলোচনায় এসে ছিল, কিছুদিন পরেই দেখতাম তারা ভিন্ন কোন লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, নতুন করে ইতিহাসের পাঠ দিতে চায়, ফলাফল কল্কে পায়নি, হারিয়ে গেছে বা কোনমতে ঝুলে আছে।

    এর মধ্যে কিছুদিন আগে একটা কাণ্ড হল, ফেসবুকের দুনিয়ায় হুট করেই একদিন পাওয়া গেল উনার নামে এটা আইডি। অহেতুক কৌতূহলে বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ পাঠিয়ে ছিলাম। আমি ধরেই নিয়ে ছিলাম এই আইডি ভুয়া আইডি। কিন্তু আমার জীবনে সেরা অর্জনের একটা হয়ে রইল এই বিষয়টাই, তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন এবং পরে দেখা গেল আইডিটাও ভুয়া না! আমি যতক্ষণে বুঝতে পারছি ব্যাপারটা ততক্ষণে আমি থরথরে কম্পমান!

    সারা জীবন নিভৃতচারী হয়ে রইলেন তিনি। আর আমরাও তাকে থাকতে দিলাম। কোথাও কোন আলোড়ন নাই, সারা শব্দ নাই, নেই কোন পুরস্কার! তিনি কোটি কোটি পাঠক তৈরি করেও হয়ে রইলেন সুশীল সমাজের কাছে ব্রাত্য হয়ে। সাহিত্যিকের মর্যাদা কোনমতেই তাঁকে দিতে নারাজ আমাদের সভ্যরা! অথচ সবাই উনার লেখা পড়ে, পড়েছে! কেউ কেউ উনার প্রকাশনীতে লিখেই লেখক হয়েছেন! সেবায় লেখলে সুবিধা, নগদ টাকা পাওয়া যায়, এইটা হুমায়ুন আহমদ বলেছেন! আজকে বিদায় বেলায় এই সব আর বলতে ইচ্ছা করছে না। ইচ্ছা করেই বাদ রাখলাম শেষ দিকে এসে উনার অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়েও।

    কাজীদার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন নবাব। যতদিন তিনি কলম চালু রেখেছিলেন ততদিন তিনি নবাবি করে গেছেন। সেই ষাট সাল থেকে শুরু, এর মধ্যে তিনি রাজ্য ছাড়েন নাই! আজকে নবাবের প্রস্থান হল। বিদায় নবাব।

    আজকে আর কিছুই বলার নাই আই লাভ ইউ ম্যান বলা ছাড়া! আই লাভ ইউ ম্যান, মানুষ হিসেবে নিজেকে আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে সাহায্য করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আপনার কাছে! রঙিন একটা শৈশব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, ধূসর শৈশব নিয়ে বড় হওয়া অনেককে যখন দেখি তখন বারবার বলতে ইচ্ছা করে কাজীদা, আই লাভ ইউ ম্যান! ভাল থাকুন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | ১১২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • R.K | 122.199.28.136 | ২০ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫১502892
  • ভালো লাগলো। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন