এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কার্লোস ডিলুনা

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ মে ২০০৬ | ৭৭০ বার পঠিত
  • "আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমি কাউকে ঘৃণা করিনা। আমার পরিবারকে আমি ভালোবাসি। মৃত্যুদন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত সকলকে জানাবেন, তারা যেন হাল না ছাড়ে, বিশ্বাস রাখে।'' - এই ছিল মৃত্যুদন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কার্লোস ডিলুনার শেষ অফিসিয়াল বক্তব্য। খুনের অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয় টেক্সাসের একটি আদালত। প্যানকিউরিক ব্রোমাইড ইনজেক্ট করে সেই মৃত্যুদন্ডাজ্ঞা কার্যকরী করা হয় ১৯৮৯ সালের সাতই ডিসেম্বর। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে এই জাতীয় দার্শনিক উক্তি সত্ত্বেও, যাজক ক্যারোল পিকেট জানাচ্ছেন, মৃত্যুর ঠিক আগে কার্লোস ভয় পেয়েছিল। হাসতে-হাসতে জীবন দিতে বা নিতে পারে, এমন কোনো পেশাদার খুনীর মতো না, নাইন্থ গ্রেডের স্কুলছুট এই যুবকটিকে তখন মৃত্যুভয়াক্রান্ত এক স্কুলবালকের মতো লাগছিল। তখন তার বয়স ছিল সাতাশ। দন্ডাজ্ঞায় লেখা ছিল - নাম: কার্লোস ডিলুনা। জাতিতে হিস্পানিক। চুলের রঙ কালো। উচ্চতা পাঁচ আট। ওজন একশ পঁচাশি পাউন্ড। চোখের রঙ বাদামী।

    যে কারণে এই মৃত্যুদন্ড, সেটি এর সাত বছর আগের ঘটনা। উনিশশো তিরাশি সালের এক বসন্তদিনে টেক্সাসের একটি গ্যাস স্টেশনের জনৈক মহিলা কর্মী ওয়ান্ডা জেন লোপেজ পুলিশকে ফোন করে জানান, যে, গ্যাস স্টেশনে একটি বিপজ্জনক লোক ঢুকেছে, যার সঙ্গে একটি ছুরি আছে। এবং তিনি ভয় পাচ্ছেন, যে, যেকোনো মূহুর্তে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। হিস্পানিক ও কালো জনজাতি অধ্যুষিত টেক্সাসের ঐ অঞ্চলে গ্যাস স্টেশনের কর্মীরা সর্বদাই খাদের কিনারে ঝুঁকে থাকেন। আশঙ্কা যেকোনো মূহুর্তে পাল্টে যেতে পারে বাস্তবে, হুমকি যেকোনো মূহুর্তে হয়ে যেতে পারে আক্রমন, আততায়ীর ছুরি যেকোনো মূহুর্তেই কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। অত:পর চাঁদ ডাকে আয় আয়, এবং দ্রুত বদলে যেতে থাকে ফুটপাথ -- কানে ফোন ধরেই মহিলা আক্রান্ত হন আততায়ীর হাতে। ""তুমি টাকা চাইছ। আমি দিয়ে দেব। আমি দিয়ে দেব। আমি তোমার কিচ্ছু করব না। প্লিজ।'' -- খুন হবার আগে, এই ছিল তাঁর শেষ কটি বাক্য, যা পুলিশের খাতায় রেকর্ড করা আছে (কার্লোসের দন্ডাজ্ঞা থেকে উদ্ধৃত)।

    অত:পর দ্রুত পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করে মহিলার তাজা রক্তমাখা লাশ, আততায়ীর ফেলে যাওয়া ছুরি আর সিগারেটের প্যাকেট। কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্লোস ডিলুনা ধরা পড়ে নিকটবর্তী পার্কিং লটে। একটি ট্রাকের নিচে লুকিয়ে ছিল সে। খুন করে বেরিয়ে যাবার সময় আততায়ীকে পার্কিং লটে এক ঝলক দেখেছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনিও সন্দেহাতীতভাবে সনাক্ত করেন কার্লোসকে। অত:পর গ্রেপ্তার এবং সুবিচার।

    বিচারের পুরো প্রক্রিয়াটিতে কার্লোস কিন্তু কখনই স্বীকার করেনি, যে, সে খুন করেছে। পুলিশের খাতায় তার ইতিপূর্বেই নাম ছিল। কিছুদিন জেলও খেটেছিল। সে বলে, পুলিশকে আসতে দেখে ভয় পেয়ে সে ট্রাকের নিচে লুকিয়ে পড়েছিল। আদালত অবশ্যই তার কথায় কান দেয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়, এবং যথাসময়ে তা কার্যকরও করা হয়।

    যে মহিলাকে খুন করার জন্য এই সাজা, সেই ওয়ান্ডা জেন লোপেজের মৃত্যুর মতোই, কার্লোস ডিলুনার মৃত্যুতেও যথেষ্ট নাটকীয়তার উপদান ছিল। তার জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন যাজক ক্যারোল পিকেট। কার্লোসের মৃত্যুদন্ডটি তাঁর চোখে দেখা ৩৩ নম্বর মৃত্যুদন্ড। এর আগের ৩২ টি মৃত্যুর থেকে এটি ছিল আলাদা -- পিকেট বলেছেন।

    "... কার্লোস খুব ভয় পেয়েছিল'' -- পিকেট জানাচ্ছেন। "...আমি ওকে বলেছিলাম, সাত থেকে বারো সেকেন্ড লাগবে, তার পরেই তুমি ঘুমিয়ে পড়বে। চিন্তা কোরোনা।''

    "... ও বলল 'ঠিক আছে' ... আমাকে ধন্যবাদ দিল, যে, আমি ওখানে আছি এবং ওর জীবনের শেষ বন্ধু ... তারপর থেকে এক মূহুর্তের জন্যও আমার দিক থেকে চোখ সরায়নি ও।''

    " ... জিজ্ঞাসা করল, আমি কি ওর হাত ধরে থাকতে পারি? আমি বললাম হাত ধরা যাবেনা, কারণ তোমাকে তো বেঁধে রাখা হবে। তাই তোমার ডান পা টা আমি স্পর্শ করে থাকব আর আস্তে আস্তে চাপ দেব, যাতে তুমি বুঝতে পারো আমি ঠিক পাশেই আছি, ঠিক এইখানে ... ''।

    সেই রাতে, পিকেট জানাচ্ছেন, তাঁর অভয়বাণী সত্ত্বেও কোনোকিছুই ঠিকঠাক চলেনি। ইঞ্জেকশান দেবার পরেও কার্লোসের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়নি। তার ডান পা স্পর্শ করে রেখে পিকেট অনুভব করছিলেন অবাধ্য সেই হৃদযন্ত্রের ধুকপুকুনি, যা রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রবল পরাক্রমের সামনেও কিছুতেই নতিস্বীকার করতে চায়নি। এর আগের ৩২ টি মৃত্যুতে পিকেট দেখেছিলেন, দ্বিতীয়বার বিষতরল ঢেলে দেবার আগেই থেমে গিয়েছিল স্পন্দন, মুছে গিয়েছিল জীবনের শেষ ক্লিনিক্যাল চিহ্ন। কিন্তু কার্লোস মরতে চায়নি। সে ড্যাবড্যাবে বাদামী চোখ মেলে তাকিয়ে ছিল পিকেটের দিকে। অতএব তাকে দ্বিতীয়বার ইনজেক্ট করা হয়, এবং, পিকেটের মুঠোর মধ্যে কেঁপে ওঠে তার গোড়ালি। চোখদুটি তখনও খোলা, এবং হৃদস্পন্দন অব্যাহত।

    "... এমন একটা দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল কার্লোস,'' পিকেট বলছেন, "যার একটাই মানে হয়, 'তুমি কি আমাকে সত্যি কথা বলেছিলে? সাত সেকেন্ডের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে কেন?'"।

    অত:পর কার্লোসের শরীরে আরও একবার ঢেলে দেওয়া হয় বিষ, এবং তার অবাধ্য হৃদয় ক্রমে বশ্যতা স্বীকার করে। শেষ হয় কার্লোস ডিলুনার জীবন।

    এরপর দিন গড়ায়। ক্রমশ: জানা যায়, যে, কার্লোসের ধুকপুকানি বন্ধ না হবার পিছনে মনের জোর-টোর না, কিছু ক্লিনিকাল কারণও ছিল। 'যন্ত্রণাহীন মৃত্যু' বলে যাকে দাবী করা হয়, সে মৃত্যু আদপেও যন্ত্রণাহীন নয়। প্যানকিউরিক ব্রোমাইড নামের যে রাসায়নিকটি প্রয়োগ করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল, সেটি, ঘটনাচক্রে, টেক্সাসে, মানবেতর জন্তুদের হত্যার জন্যও নিষিদ্ধ। রাসায়নিকটি কেবলমাত্র মাংসপেশীগুলিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত, অবশ করে দেয় ... সচল থাকে স্নায়ু ও মস্তিষ্ক। অনুভূতি থাকে, শুধু তা প্রকাশিত হয়না। যন্ত্রণা নয়, তার অভিব্যক্তিটুকু চেপে দেওয়া যায়, এবং সভ্য সমাজের দর্শনার্থীদের কাছে আপাতত: শান্তিকল্যাণ হয়ে বজায় থাকে যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর মিথটি।

    দিন গড়ায়। কার্লোসের মৃত্যুযন্ত্রণা ক্রমশ: আলোচনার বৃত্তে উঠে আসে। হয়ে ওঠে আন্দোলনের হাতিয়ার। কার্লোসের ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে মৃত্যুদন্ডবিরোধীরা যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর মিথের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন। টুকটাক লেখালিখি, বিক্ষিপ্ত আন্দোলন, সভা-সেমিনার। সে প্রচারও ক্রমশ: ফিকে হয়ে যায়। কার্লোস ডিলুনা, একটি নাইন্থ গ্রেড পাশ হিস্প্যানিক অপরাধী, ক্রমশ: আলোচনার আলোকিত বৃত্ত থেকে হারিয়ে যায়।

    এখানেই শেষ হতে পারত কার্লোস ডিলুনার উপাখ্যান। এবং কবরে সে শান্তি পেত। কিন্তু হয়না, কারণ, আমরা যারা জীবিত, তাদের কাছে মরিয়া যা-যা প্রমাণ করার ছিল, তা এখনও শেষ হয়নি। অতএব এই দুহাজার ছয় সালে শিকাগো ট্রিবিউনের জনাকতক সাংবাদিক আবার খুঁড়ে তুললেন কার্লোসের মরে ভূত হয়ে যাওয়া, মাটিতে মিশে যাওয়া কঙ্কালশরীরকে (আক্ষরিক অর্থে না)। বিস্তর অনুসন্ধান করে, তাঁরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত: কার্লোস সত্যি কথা বলেছিল। খুন সে করেনি। যেভাবে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল, তাঁরা জানাচ্ছেন, তাতে অপরাধীর সারা শরীরে রক্তের ছিটে লেগে থাকতে বাধ্য। কার্লোসের গায়ে রক্তের বিন্দুমাত্র চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনার এতো অল্প সময় পরে তাকে ধরা হয়, যে, ঐটুকু সময়ে সে জামা পাল্টে এসেছিল, তাও অসম্ভব। এছাড়াও, তাঁরা জানাচ্ছেন, অপরাধী ফেলে গিয়েছিল একটি ছুরি, যা দিয়ে সে হত্যাকান্ডটি ঘটায়। ফেলে গিয়েছিল একটি সিগারেটের প্যাকেট। ছুরি, সিগারেটের প্যাকেট, নিহত মহিলার শরীর, গ্যাস স্টেশনের কাউন্টার, দরজা, সর্বত্রই পাওয়া গিয়েছিল অজস্র আঙ্গুলের ছাপ, যার একটিও কার্লোসের আঙ্গুলের সঙ্গে মেলেনি। বিন্দুমাত্র পারিপার্শ্বিক প্রমাণ ছাড়া, শুধুমাত্র একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুসারে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় কার্লোসকে, যে প্রত্যক্ষদর্শী নাকি পার্কিং লটে এক ঝলক দেখেছিলেন কার্লোসকে, -- জীবনে প্রথমবার। ফলে, একথা স্পষ্ট, যে, খুন করুক বা না করুক, একজন দুঁদে আইনজীবীর সাহায্য পেলে, মৃত্যদন্ড দূরে থাক, কার্লোস নি:সন্দেহে বেকসুর খালাস পেত। শুধু তাইই না, সাংবাদিকরা ঐ এলাকায় খুঁজে বার করেছেন আর এক কার্লোসকে, যে ডিলুনা ধরা পড়ার পরে পরিচিতদের বলেছিল, খুন করলাম আমি, আর ধরা পড়ল আমার নেমসেক। সেই কার্লোসের কাছে একটি ছুরি ছিল, যা দিয়ে সে তার বান্ধবীকে একাধিকবার ভয় দেখিয়েছিল। সেই ছুরিটি জেন লোপেজের শরীরে বিঁধে থাকা ছুরিটির কার্বনকপি।

    এই দ্বিতীয় কার্লোসও একজন হিস্প্যানিক। সেও এখন মৃত। তারও মৃত্যু হয় জেলেই। তবে মৃত্যুদন্ড নয়, অন্য একটি অপরাধে জেল খাটার সময় দুরারোগ্য ব্যধিতে। কার্লোস ডিলুনার সঙ্গে তার তফাত শুধু এইটুকুই, যে, সে প্রচার পায়নি। খুনও করল, মরলও,কিন্তু প্রচার পেলনা বেচারি -- দুর্ভাগ্য ছাড়া কি? আর খুন টুন কিছু না করেও সমস্ত প্রচার টেনে নিয়ে গেল কার্লোস ডিলুনা। এই অর্থে ডিলুনাকে সৌভাগ্যবানই বলা যায়। শুধু এই অর্থে নয়, যেকোনো অর্থেই। মৃত্যদন্ডও তার কাছে বড়ো দুর্ভাগ্য কিছু না, কারণ সকল কার্লোসকেই মরতে হয়। হয় ছুরির ডগায়, নয় জেলখানায়, কিংবা বিষ ইঞ্জেকশানে।

    এসব লেখালিখি অবশ্য শৌখিন মজদুরি। আমরা যারা ঠান্ডা ঘরে বসে এসব পড়ি, শুনি, তাদের এসব শুনলে বড়জোর জোন বেজ মনে পড়ে। প্রিজন ট্রিলজি। বিলি রোজের কথা মনে পড়ে। লুনা নামের সেই মেক্সিকানটির কথা মনে পড়ে। কিলোওয়াট নামের সেই লোকটির কথা মনে পড়ে।

    He stepped out in the Texas sunlight
    The cops all stood around
    Old Kilowatt ran 50 yards
    Then threw himself on the ground

    They may as well just laid the old man down
    And we're gonna raze, raze the prisons to the ground
    Help us raze the prisons to the ground

    কিন্তু এসব তো দু:খবিলাস। মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে আসা দরিদ্র, অশিক্ষিত, হিস্প্যানিক, ধর্ষণের অপরাধে জেলখাটা অপরাধী, পুলিশকে দেখলেই যাদের ট্রাকের নিচে লুকিয়ে পড়তে হয়,সেই কার্লোসদের মরা ছাড়া অন্য কোনো অপশন আছে কি? আজও?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ মে ২০০৬ | ৭৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন