এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • আমাদের যৌনতাবোধ, আমাদের রাজনীতি

    আকাঙ্খা লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ০৭ মার্চ ২০১১ | ৯২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • পায়ে পায়ে মিছিল এগিয়ে চলেছে, কলকাতার রাস্তা দিয়ে। হাজরার মোড় থেকে কালীঘাট হয়ে দেশপ্রিয় পার্ক। প্রায় তিনশো জন নারী, হাতে মোমবাতি, মুখে স্লোগান - ""৮ই মার্চ দিচ্ছে ডাক পিতৃতন্ত্র নিপাত যাক''। এই বছর, ২০১০ সালে, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একশো বছর পূর্ণ হল। ঐ মিছিলের শেষের দিকে কিছু অল্পসংখ্যক মেয়ে, তারা বয়ে নিয়ে চলেছে রামধনু পতাকা। গলা মেলাচ্ছে মিছিলের বাকি মেয়েদের সঙ্গে। কিন্তু মাঝে মাঝে ওরা আরো বলে উঠছে - ""তোমার আমার অংশীদারী, সমকামী তবুও নারী''। সেই সুরে সুর মেলায় মিছিলের শেষের দিকের সকল নারী। রাস্তার দু'ধারের মানুষেরা অবাক চোখে দেখতে থাকে সবাক সমকামী নারীদের। মিডিয়ার ক্যামেরার বিশেষ নজর কাড়ে ওরা।

    ছবিটা কিন্তু এমন ছিলনা মাত্রই দশ-বারো বছর আগে, তার মানে কি এই, যে সমকামী মেয়েরা তখন ছিলনা? না, তা কক্ষণো না। এই কলকাতার বুকেই ছিল ওরা। হয়তো চিনতনা একে-অন্যকে। কিন্তু প্রাণের তাগিদ, চিনে নিতেই হল একে-অপরকে। ১৯৯৯ সালের ৩রা এপ্রিল মালবিকা ও আকাঙ্খার একটা সাড়া জাগানো ইন্টারভিউ প্রকাশিত হল আনন্দবাজার পত্রিকায়। সাড়া জাগানো - কারণ, এই প্রথম পশ্চিমবাংলায় একটি লেসবিয়ান জুটি মুখ খুলল সাংবাদিকদের কাছে। সেই শুরু আমার মুখ খোলার। আজ আমি আকাঙ্খা আবার কলম ধরেছি, প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের উদ্দেশ্যে।

    তখন সবে "ফায়ার' রিলিজ করেছে - ১৯৯৮ সালের শেষের দিক। "ফায়ার' মানে সেই ছায়াছবি, যা নাকি গোটা ভারতবর্ষের মূলস্রোতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে ওলোট-পালোট করে দিয়েছিল। কারণ তাতে দুটি মেয়ের প্রেমের কাহিনী দেখানো হয়েছিল। আমি মালবিকার সঙ্গে ভয়ে-ভয়ে, চুপি-চুপি দেখতে গিয়েছিলাম সেই ছবি। ছবি দেখার পর মনে হয়েছিল বহু খোঁজার পর যেন ঘরের মানুষের দেখা পেলাম, ছবির গল্পের মধ্যে। মনে হয়েছিল এটাই তো স্বাভাবিক। সিনেমা হলে ঢোকার আগে, সিনেমা হলের মধ্যে, হল থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের দুজনের চোখ ইতি-উতি খুঁজেছিল - কেউ কি নেই আমাদের মত এই ভিড়ের মধ্যে? সেই শুরু খোঁজার।

    খুঁজতে খুঁজতে আমরা চলে গিয়েছিলাম দিল্লীতে। দিল্লীর একটি লেসবিয়ান গ্রুপের কাছে। ওদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কলকাতা থেকে আর কেউ কি যোগাযোগ করেছে কখনও? আমাদেরই মত আরেকটি জুটি নূপুর আর মল্লিকা, তাদের মত করে খুঁজতে খুঁজতে চলে গিয়েছিল বম্বে। সেখানেও একটি লেসবিয়ান গ্রুপকে ওরা জিজ্ঞাসা করেছিল আমদেরই মত একই প্রশ্ন। ততদিনে আমি আর মালবিকা কলকাতারই একট "গে' গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বম্বের ওরা নূপুর-মল্লিকার লেখা চিঠি redirect করল ঐ পুরুষ সমকামী সংস্থাটিকে (যে সংস্থাটির আজ আর কোনো অস্তিত্ব নেই)। নূপুর মল্লিকার চিঠি পেলাম। আছে-আছে। আমাদের মত আরো মানুষ আছে, কাছেই আছে, হাত বাড়ালেই বন্ধু! দুই থেকে চার হলাম। চার থেকে ছয় হলাম, যখন প্রীতি ও শীনার সঙ্গে যোগাযোগ হল। অনেক কষ্টের পর আমরা খুঁজে পয়েছি একে-অপরকে। আমরা তো ছ'জন হলাম। ছ'জন যখন আছে, নিশ্চই আরো অনেকে আছে। তারা কি সকলে হাতড়ে বেড়াবে সমমনস্ক বন্ধু পাওয়ার জন্য? এমনটা হতে দিতে পারা যায়না। যে কষ্ট করে আমরা নিজেদেরকে খুঁজে পেয়েছি তেমন কষ্ট যেন আর কেউ না পায়, তাই আমি আর মালবিকা অনেক বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম আনন্দবাজার পত্রিকায়, যার উত্তরে আসে তিনশোটি চিঠি। তার মধ্যে দশ শতাংশ চিঠির লেখিকা আমাদেরই মত মেয়েরা। এই তো, আছেই তো আমাদেরই মত বহু মেয়ে। তাহলে কেন আমরা একত্রিত হবনা? ১৯৯৯ সালের ২০শে জুন তৈরী হল "স্যাফো', পূর্বভারতের প্রথম ও একমাত্র সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী নারীদের সহায়ক সংস্থা। ৬ খৃষ্টপূর্বাব্দের গ্রীক মহিলা কবি স্যাফো প্রথম পৃথিবীকে শোনান তাঁর সমপ্রেমের গান। তাঁরই নামে তাই আমাদের সংস্থার নামকরণ হ'ল। "স্যাফো'র প্রথম মিটিং হয় ২২জন মেয়েকে নিয়ে। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে সদস্যসংখ্যা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অত্যাচারের প্রকারভেদের গল্পের সংখ্যাও। গল্পই বটে! সেই সমস্ত অত্যাচারের বর্ণনা দিলে অবিশ্বাস্য লাগবে হয়ত আপনাদের। তবুও চাই সামান্য দু-চারটি শোনাতে। বাবা মায়ের যেই মেয়ের sexual orientation- এর কথা জানতে পারলেন সঙ্গে সঙ্গে সব রকম অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেল মেয়েটির শিক্ষাক্ষেত্রে। বিশেষ করে সেই সমস্ত শিক্ষা (vocational training) যা মেয়েটিকে অর্থনৈতিক স্ব-নির্ভর করে তুলবে। এক সদস্য জোগাড় করতে পারল একটি চাকরী। তার মা তার চাকরীস্থলে গিয়ে বলে এলেন - আমার মেয়ে কিন্তু লেসবিয়ান। আপনারা সাবধান। মেয়েটির জীবনে এমন ঘটনা বারংবার ঘটে। তারপর তো আছেই যেনতেনপ্রকারণে, জোর করে মেয়েটির একটি বিয়ে দেওয়া। যেন বিয়ে দিয়ে দিলেই সেরে উঠবে মেয়ে এমন সাংঘাতিক অসুখ থেকে। যদিও WHO (World Health Organisation) সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে ১৯৮০ সালেই। আরো শুনবেন? এক দাদার মনে হল তার লেসবিয়ান বোনটি তো ""পুরুষের স্বাদ'' পায়নি - তাই বোনটি এমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাই দাদাটি বোনের মঙ্গলের জন্য তার বন্ধুকে বোনের ঘরে ঢুকিয়ে দেয় ধর্ষণ করার জন্য। কখনও বা আরেক দাদা তার আশ্রিত খুড়তুতো বোনটিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেই চলে এই বলে যে আমি পাড়াপড়শীকে তোর সমপ্রেম কাহিনী বলবনা বা তোর প্রেমে বাধা দেব না যদি তুই -- । আর যদি আমার কথা না মানিস তবে পুলিশে খবর দেব। জানিস তো সমকামিতা দণ্ডনীয় অপরাধ ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী (২রা জুলাই ২০০৯ বার হয় দিল্লী হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় - দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী স্বেছায় নিজেদের মধ্যে যদি কোনরকম যৌন আচরণ করেন তাহলে আর তা অপরাধ বলে গণ্য হবেনা)। মেয়েটি দাদার হাত থেকে বাঁচতে প্রেমিকাকে কাঁদিয়ে বিয়ে করে ফেলে একটি পুরুষকে। তারপর মাত্রই তেইশ বছর বয়সে পৃথিবীর হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করে। এমন করেই একক ভাবে অথবা জুটি বেঁধে লেসবিয়ান আত্মহত্যার ঘটনা কিন্তু বেড়েই চলেছে আমাদের দেশে। সমাজের চাপে, পরিবারের চাপে কোনো কোনো সমকামী মেয়ে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে মৃত্যুকে। আচ্ছা বলুন দেখি, প্রিয় পাঠক-পাঠিকারা, এই মৃত্যুর দায় কার? এই মেয়েরা তো কারুর ক্ষতি করেনি, ওরা শুধু ওদের মত করে বাঁচতে চেয়েছিল। ওরা তো কখনও বলেনি তুমি আমার মত হও। তাহলে সমাজ কেন বলবে, শুধু বলবেই না জোর করবে ওদেরকে - না তোমায় আমাদের মত হতেই হবে। আসল কথা হল আধিপত্যকারী আবশ্যিক বিষমকামী পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এই মেয়েদের ভয় পায়। কারণ সমকামী মেয়েদের জীবনের কোনো অংশেই পুরুষকে প্রয়োজন নেই। না, এমনকী বিছানাতেও নয়। এ যে পুরুষতন্ত্রের অস্তিত্বের সঙ্কট। তাই ধর ওদের, মার ওদের, ধ্বংস করে দাও। দাও ওদের অস্বাভাবিকত্বের তকমা। এই জায়গায় এসে আমি বারে বারে থমকে যাই। একটা প্রশ্ন আমায় ভয়ঙ্কর ভাবায়। উত্তর খুঁজে পাইনা। বিষমকামিতা যদি এতটাই স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক হয় তবে তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমাজের, রাষ্ট্রের, শিক্ষাব্যবস্থার এত প্রাতিষ্ঠানিক আড়ম্বর কেন? যদি কিছু নগণ্য সংখ্যক মানুষ স্রোতের বিপরীতে যায়ই তাতে কী এসে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বাভাবিকত্বের? এত গেল গেল রব কিসের? তাহলে কি ধরে নিতে হবে বিষমকামিতা এতটাই ভঙ্গুর (fragile)? এতটাই নড়বড়ে তার ভিত? তবে কীসের স্বাভাবিকত্ব তাতে?

    এই পর্যন্ত পড়ার পর মনে হতে পারে আমরা পুরুষবিদ্বেষী। বিশ্বাস করুন বন্ধুরা, আমাদের শত্রু কোনো পুরুষ নন। আমরা চাই পুরুষতন্ত্র নিপাত যাক। আর সেই কারণেই আজ আমরা, আমাদের সংস্থা "স্যাফো' দু'হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নারী, পুরুষ, সমকামী, বিষমকামী নির্বিশেষে সকল মানুষের দিকে যাঁরা বিশ্বাস করেন যৌন পছন্দের অধিকার মানবাধিকারেরই এক অংশ। তাই ২০০৩ সালে তৈরী হল "স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি', যৌনতার অধিকার আন্দোলনের মঞ্চ। "স্যাফো ফর ইক্যুয়ালিটি' আপনাদের সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে সহযোদ্ধা হওয়ার। এখন একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের বারে বারে। ভারতবর্ষের মত দেশে যেখানে অন্ন, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা নিয়েই এত সমস্যা সেখানে কে কার সঙ্গে কেমন যৌনাচরণ করবে তা নিয়ে আন্দোলনের প্রয়োজন কী? কিন্তু একবার যদি ভাবা যায় সেই সকল মেয়েদের কথা যৌনপছন্দের কারণে যাদের অন্ন, বস্ত্র, আবাস, শিক্ষা এই সবই বিপন্ন, এমনকী মৃত্যুও পর্যন্ত বরণ করতে হয় তবে তারা কি আন্দোলনে নামবেনা? যৌনপছন্দের অধিকার কি তখন গৌণ থাকে? আর কেবলমাত্র যৌনপছন্দের কারণে প্রান্তিক মেয়েদের কথাই বা বলি কেন? এবার বোধহয় সময় হয়েছে এটা বোঝার যে যৌনপছন্দের আন্দোলন (sexuality rights movement) কেবলমাত্র এই গুটিকতক মেয়েদের আন্দোলন নয়। কোন মেয়ের বা পুরুষের অবিবাহিত থাকার অধিকার, মেয়েদের সন্তানধারণ না করা কিংবা সন্তানধারণের সঠিক সময় নির্দিষ্ট করার অধিকার বা অনিচ্ছুক শরীরে স্বামীর যৌন ক্ষিধে মেটাতে না চাওয়ার অধিকার-ও কিন্তু sexuality rights-এর মধ্যে পড়ে। আজও বিধবা বা ডিভোর্সী মেয়ের পুনরায় বিয়ে হাতে গোণা ঘটনা। এখনও অবিবাহিত নিকট আত্মীয় পুরুষের কাছে কিশোরী কন্যাকে একা ছাড়তে মায়েরা ভয় পান। এখনও পর্যন্ত যৌন নিগ্রহ হয় মেয়েদেরই ওপর। এখনও নারী শরীর কোনো পুরুষেরই। আজও শত কষ্টেও পুরুষের চোখে জল আসা অন্যায়। এইসবই কিন্তু আধিপত্যকারী আবশ্যিক একগামী বিষমকামী পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জবরদস্তি। তাই আসুন আমরা দীক্ষিত হই নতুন মন্ত্রে--- পায়ে পা মেলাই, কাঁধে কাঁধ, এপারে ওপারে সেতু বাঁধ। কারণ আজ যে সবার রঙে রঙ মেলাতে হবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ০৭ মার্চ ২০১১ | ৯২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Subrata | 202.193.171.158 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৩২89151
  • ভালো লাগলো।
  • monami | 24.99.49.104 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:৫০89152
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। এই বিষয়ে আরো লেখা বেরোলে ভালো লাগবে।
  • পার্থ | 125.249.145.122 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২৩89153
  • সাহসী লেখা।
  • ইনাসি | 212.142.119.72 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২৫89155
  • গত ফেব্রুয়ারী মাসে সস্ত্রীক বইমেলা গেছিলাম। সেখানে লিটল ম্যাগাজিন স্টলের সামনে স্যাফোর পত্রিকা বিক্রী হচ্ছিল। আমি বললাম কিনেছি, গতকাল। বিশ্বাস করলেন না। জিজ্ঞেস করলেন কোন লেখা। বললাম। আশা করেছিলাম এরপর কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা হবে। কিন্তু ওই মহিলা বললেন তহলে সত্যি-ই পড়েছেন, এবং অন্যত্র চলে গেলেন। এটা আমার ভালো লাগে নি।
    সমকামীতা কোন দোষ নয়, আবার কোনো গুণ-ও নয়। সংখাগুরু মানুষজন সমকামীদের অস্বাভাবিক মনে করেন, ঘৃণাও করেন, কারন সমাজ তাদের সেভাবে ভাবতে সিশখিয়েছে। ক্রমশ এই ব্যপারটা কেটে যাবে, আপনাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে, অন্যথায় বন্ধু হারানোর সম্ভাবনা। আপনি লিখেছেন "পায়ে পা মেলাই, কাঁধে কাঁধ, এপারে ওপারে সেতু বাঁধ"। ভাল লাগলো।
    আপনার লেখা ভালো লাগলো। এই বিষয়ে আরো লেখা বেরোলে ভালো লাগবে।
  • Ranjan Roy | 24.99.11.82 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:১৩89154
  • আরও প্রোগ্র্যাম্যাটিক লেখা চাই। আপনারা কংক্রিট কী প্রোগ্রাম নিচ্ছেন?
  • গুরুচন্ডালি | 118.22.237.132 (*) | ২০ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৪৬89156
  • এরকম আরো অনেক লেখা নিয়ে গুরুচণ্ডা৯ র বই 'আমার যৌনতা' র পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ বেরোচ্ছে, ২০১৪ বইমেলায়।
  • Debabrata Dutta | ০৪ জুলাই ২০২২ ০৯:২৬509631
  • কেউ যেনো নিজের মন টা খাতায় লিখে ফেলেছে। মন ভরে গেলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন