এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এখন আবার কথা কীসের?

    Saswata Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৭৫৪ বার পঠিত
  • হ্যাঁ, কথা আছে।

    অনেকদিন কোনো কথা না থেকে থেকেই ‘ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন বাংলার মানুষ’। আর দিনে দিনে নিঃশব্দে ঝরে গেছে আমাদের শিরদাঁড়াগুলো।

    এখন ‘মেয়েটির বাবা’ কী বলল তাই নিয়ে বহু মানুষের বহু চিন্তা বিশ্লেষণ। আর দুদিন আগে তিনি যা বলেছিলেন, সেইসব কথা? শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল যে ছাত্রী, যে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী তুলতে গিয়ে মার খেল তার সহপাঠীরা, সেই অভিযোগ? সেই মারগুলো?

    কোলকাতার রাজপথে লক্ষ পায়ের দাপ দেখে তড়িঘড়ি একটা শিক্ষামস্তান সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ছুটলেন নিগৃহীতার বাড়ি। সে কথা ভুলে গেলে চলবে? তার বাবার সঙ্গে পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং, ভুললে চলবে?

    কী করে ভুলে যাব কামদুনিতে ধর্ষিতা মেয়ের লাশের বদলে চাকরির লোভ-দেখানো?

    .................................

    সাধারণ মানুষের আন্দোলন প্রলোভন এবং / বা হুমকির ধূর্ত কৌশলে ভেঙে দেওয়ার এই খেলা বহুদিন ধরে চলছে।

    পূর্বতন সরকার দেখিয়ে দিয়েছিল কাঁধে বন্ধুত্বের হাত রেখে মিষ্টি গলায় কীভাবে ভয় দেখানো যায়। রাজ্যে শিল্পের কথা বলতে গিয়ে, মমতা সরল মনে বলে ফেলেছেন ঝুলন-শিল্পের কথা। কিন্তু সন্ত্রাস ও সেন্সর্‌শিপকে নিঃশব্দে এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল আমাদের ৩৪ বছরের ‘লেখাপড়া-জানা’ দলের রাজারা।

    আমার নিজের বাড়িতে একদিন সকালবেলা এসে চা-বিস্কুট আর ডিমভাজা খেয়ে গিয়েছিলেন অমন দুজন হুমকিবাজ। আমার মাকে হুমকি দিতে এসেছিলেন ওরা, যাতে করে প্রশাসন ও সিপিএম-এর হাতে অন্যায়ভাবে হেনস্থা হওয়া এক শিক্ষকের পাশে উনি না দাঁড়ান। তখন ছিল বাম-জামানা।

    এমনকী এই মহামন্দার বাজারেও সিপিএম-এর চোরা-চাউনি কিন্তু বন্ধ হয়নি। আমার এক বন্ধু আরও সব বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সুন্দর একটি পত্রিকা প্রকাশ করে। নিজেও লেখে। স্পষ্ট সাহসী কলম ওর। ওর বাবা মা সিপিএম-কেই ভোট দেন। ২০১১-র লোকসভা ভোটের সময়েও চাঁদা নিতে এসে ফিরে যাওয়ার সময় ‘কমরেড’রা বন্ধুর মাকে বলে গেছে, ছেলে তো খুব লেখালিখি করছে। ভালো ভালো। তা একটু বুঝেশুনে লিখতে বলবেন।

    পুরোনোদিনের ঘিয়ের গন্ধ এখনও আঙুলে রয়ে গেছে আর কী!

    আজকের শাসকদল এত কিছু পারে না। বা পারলেও, কষ্টটুকু করে না। বাংলার ‘রাজনীতি সচেতন’ জনগণের প্রতি তাদের অবিচল বিশ্বাস। লোকচক্ষুর সামনেই তারা সমস্ত প্রতিরোধ ও আন্দোলন ভাঙে লোভ দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে।

    উদাহরণ – একটি টক্‌ শো-তে এক ছাত্রীর প্রশ্নে বিব্রত মমতার নির্লজ্জ মিথ্যাচার। ওই ছাত্রীকে মাওবাদী তক্‌মা দিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান তিনি।

    উদাহরণ - কামদুনিতে ওনাকে কেউ কেউ জোর-গলায় কিছু বলতে চাওয়ায় মমতার প্রকাশ্য ধমক। এবং তাদের গলার গামছা দেখে যথারীতি মাও-ইঙ্গিত।

    উদাহরণ – কামদুনিতে চাকরীর লোভ। একবছর ধরে লাগাতার চেষ্টা করে আন্দোলন ভেঙে দেওয়া।
    রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানুর-এর বিধায়ক পদ।

    অনুব্রত-মণিরুল-তাপস-আরাবুল সব বীরপুঙ্গবকে ঢালাও প্রশ্রয়।

    গরিমার এই সুবর্ণ-মুকুটে ২০শে সেপ্টেম্বর যুক্ত হল আরেক উজ্জ্বল পালক – ‘মেয়েটির বাবা’।

    ওনাকে দোষ দেওয়া চলে না। এই সমাজ, আজকের এই আন্দোলন ওনাকে, ওনার পরিবারকে রক্ষা করতে পারবে না। মাত্র কয়েকদিন আগেই ধূপগুড়ির ঘটনা জ্বল্‌জ্বল্‌ করছে। শাসকদলের লোকজনের সালিশসভায় বাবার অপমান দেখে মেয়ে প্রতিবাদ করে ওঠায় তাকে থুতু চাটার বিধান দেওয়া হয়।
    দশম শ্রেণির ছাত্রী সেই মেয়ে ওই অন্যায় বিধান না মেনে পালিয়ে যায়। ভোরবেলা তার মৃতদেহ পাওয়া যায় রেললাইনের ধারে ঝোপে।

    এই ঘটনা আসলে ছড়িয়ে দেয় এক চোরা সন্ত্রাস-বার্তা। মনে রেখো ...

    যখনই বিরোধীতা করবে, মনে রেখো কামদুনি। মনে রেখো পাঁড়ুইয়ের সাগর ঘোষের কথা। মনে রেখো ‘মাওবাদী’ শিলাদিত্যকে। মনে রেখো পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকান্ডে তৎপর হয়ে ওঠায় দময়ন্তী সেনকেও ছেড়ে কথা বলেনি এই তিনটি ‘ম’-এর সরকার। এমনকী একটা সরকার-বিরোধী কার্টুন এঁকে ফেসবুকে ছড়াতে চাইলেও মনে রেখো অম্বিকেশ মহাপাত্রকে।

    অসহায় ওই বাবা কী করবেন? পরের দিন তাকে বলতেই হবে – আমি আশ্বস্ত। হাঁটতেই হবে সেই মিছিলে যেখানে ‘উদয়ের পথ’এ হাঁটা সকলেই ছাত্রছাত্রী! মোটা গোঁফ-ওলা এক মধ্যবয়সী মানুষ – তিনিও ছাত্র! মহামান্য আরাবুল - তিনিও ছাত্র! কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিত্যদিন হুজ্জুতি করে বেড়াচ্ছেন যে শঙ্কুদেব তিনিও শিক্ষাঙ্গনে ‘নৈরাজ্য’-এর বিরুদ্ধে এক অক্লান্ত সেনানী!

    .................................

    দোষ ওই নিরুপায় পিতার নয়। দোষ আমাদের যারা বলছি, এই তো, মিটে গেল। এবার ক্লাস করলেই তো হয়। সরকারের দয়ায় কমিটি হচ্ছে। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিল যারা তাদের আর কিছু করা হবে না। এত কিছুর পরেও আবার ওই বেচারা পশুপ্রেমিক ভিসির পিছনে লাগা কেন বাপু!

    এই আন্দোলন আর কি নিছক শ্লীলতাহানির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীতেই থেমে আছে?

    না। মূল দাবী নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন হলেও, তার সঙ্গে সমান জোরে উচ্চারিত হচ্ছে – অমানুষ, মিথ্যাবাদী বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। পুলিশি বর্বরতার বিচার চাই। রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির বিচার চাই।

    এবং প্রকৃতরূপে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই আরও তীব্র আন্দোলন চাই। শ্লীলতাহানি হয়েছে কি না তা খুঁজে বার করতে হবে। যদি হয়ে থাকে, তার আসল অপরাধী কারা, সেটাও বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। কারণ শাসকের চোখরাঙানিতে অনেক অনেক নামই হঠাৎ মনে পড়ে যেতে পারে নিগৃহীতার।

    মানুষ মনের স্বভাব তো, কুচিন্তাই কুরে কুরে খায়!

    এছাড়াও এই আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে শহর-মফস্বলের নানান কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছে। স্কটিশ চার্চ কলেজের এক ছাত্রের পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালানো হয়েছে। ঘরে ঢুকিয়ে কয়েকজনকে মারা হয়েছে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে। ২০শে সেপ্টেম্বরের মহামিছিলে এসেছে যারা, তাদের মধ্যেও মার খেয়েছেন কিছু ছাত্র-ছাত্রী। সকলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে যাদবপুরের আন্দোলনকারীদের।

    দায়িত্ব বেড়ে গেল আরও।

    এই সরকারকে বিশ্বাস নেই। আন্দোলনের চেহারা দেখে ভয়ে তারা পরের দিনই ছুটল ষড়যন্ত্রের জাল বিছোতে। তাদের পদলেহনকারী চ্যানেলে কী শিগ্‌গির শিগ্‌গির’ বেরিয়ে গেল ‘অসম্পাদিত’ ফুটেজ (যেখানে ঘোষিকাকে বলে দিতে হয় ‘পুলিশ মার খাচ্ছে’; দেখে বোঝা যায় না!)। বেআইনি একটা কমিটি ঘোষণা হয়ে গেল। সরকারের গড়ে দেওয়া এই কমিটি কীভাবে নিরপেক্ষ হবে?

    উপাচার্য যে কমিটি করেছিলেন নিরপেক্ষ না-হওয়ার অভিযোগেই তো তার বিরুদ্ধে আন্দোলন। এখন ঘুরিয়ে নাক দেখালে হবে? এতদিন উপাচার্যের বককলমে খেলছিল সরকার, এখন সরাসরি।

    .................................

    আচ্ছা, ১৭ই সেপ্টেম্বরের পুলিশি বর্বরতার পর কেউ তো বলেনি তৃণমূল সরকারের পতন চাই। তারা বলেছিল, উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।

    হঠাৎ সরকার সমস্ত কিছু নিজের ওপর নিয়ে উপাচার্যকে ব্যাক্‌ করে রাস্তায় পিসিছাত্রী মাসিছাত্রী কাকাছাত্র জেঠুছাত্র নামিয়ে মিছিল করিয়ে দিল কেন?

    এই কিছুদিন আগেই তো রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান্‌ অশোক গাঙ্গুলীর পদত্যাগের জন্য তো উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। অসামান্য তৎপরতায় বার-দুয়েক চিঠি লিখে ফেলেছিলেন পদত্যাগ চেয়ে। তবে এখানে এত গায়ে লাগছে কেন?

    যাদবপুরের ঘটনায় এতই যদি সদিচ্ছা এতদিন পর এত দৌড়োদৌড়ি না করে পুলিশ পাঠানোর আগে শিক্ষামন্ত্রী তো একবার আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গেই কথা বলতে পারতেন। নাকি স্যাঙাতের চেয়েও ওনার ডিগ্‌নিটিবোধ আরও কয়েকশ গুণ বেশি!

    আসল কথা হচ্ছে শাসকের দর্প। কারা বিরোধীতা করছে সে কথা গুরুত্বপূর্ণ নয় মোটেও। রাজ্যের যে কোনো প্রান্তে যে কোনো মানুষের প্রতিবাদ ভেঙে দাও। লোভ দেখিয়ে ভাঙো। পুলিশ পাঠিয়ে গুণ্ডা পাঠিয়ে ভাঙো। প্রতিবাদীদের জীবন নরক করে দাও।

    ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে রাস্তায় জড়ো করো এমন কিছু মানুষ যাদের অনেকে জানেনই না কেন হাঁটছেন মিছিলে। কেউ এসেছেন ১০০ দিনের কাজ না-পাওয়ার ভয়ে। কেউ এসেছেন পাড়ার তৃণমূল নেতা বলেছেন বলে। আর এ-বলা কী যে সে বলা! (আসলে মিছিলে লোক-আনা, ব্রিগেড-ভরানোর হরেক কৌশলে আমাদের শাসক-বিরোধী সব নেতারাই ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট!)

    একবিংশ শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়েও যাদবপুর-প্রেসিডেন্সিতে পড়া মেয়েদের ‘ছোটো-পোশাক’-এর ছবি ছড়িয়ে কুরুচিকর কথা তোলো।

    রাজনৈতিক আক্রমণের পথ নেই দেখে মদ-গাঁজার নোংরা অভিযোগ তোলো (শুধু মদনবাবু এই অভিযোগ একবারের জন্য কোথাও তোলেননি!); শহুরে পড়ুয়াদের বিচ্ছিন্ন করে দাও তাদেরই দূর-প্রান্তের বন্ধুদের থেকে।

    মিডিয়ার আলো-পড়ে-না এমন সব কলেজ থেকে ২০শে সেপ্টেম্বরের মিছিলে যেতে চাইবে যারা, তাদের মারো। পিষে দাও স্বাধীন সব স্বর।

    গুজব ছড়াও। যাদবপুর-বিরোধী স্লোগান শিখিয়ে দাও অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের।

    কিন্তু এখনও পর্যন্ত আজকের ছাত্র-আন্দোলন তার মাথা এতটুকু নোয়ায়নি। খোলামেলা জেনারেল বডি মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রতিবাদীরা। অপেক্ষা করছে না কোনো উপরতলার ‘পাকা-মাথা’র সিদ্ধান্তের। আজকে (২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪) সমাজের সবাইকে ডেকেছে ওরা। শুনবে বুঝবে শিখবে বলে। সেইমতো পরবর্তী পদক্ষেপ।

    যেখানে যেখানে যাদবপুরের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে বন্ধুরা, তাদের জন্যও প্রতিবাদ হবে। আওয়াজ উঠবে। বৃহস্পতিবার লালবাজার যাবে প্রতিবাদী মিছিল।

    যারা দূর থেকে বলছেন, আমেরিকায় ঘেরাও হয় না, মিছিল হয় না; তাদের একবার আসতে বলব আমেরিকায়। এখানে বন্ধুর গায়ে বসা মশা মারতে গিয়েও যদি লেগে যায় তার, এবং সে যদি ‘মাইনর হ্যারাস্‌মেন্ট’এর অভিযোগও করে, তিন-মিনিটের মধ্যে আপনার লাইফ হেল! সেখানে কোনো উপাচার্য শ্লীলতাহানির অভিযোগ শুনে কোনোদিন বলবেন না – ‘একটু ঘুরে আসুন’।

    আর ‘Occupy World Street’ আন্দোলন হচ্ছে এই আমেরিকার মাটিতেই। ঘেরাও মিছিল প্রতিবাদ না-হওয়াটাই সমাজের সুস্থতার লক্ষণ, শান্তির লক্ষণ নয়। যদি তা স্বাভাবিকভাবেই না হয় সে খুবই ভালো কথা। আদর্শ সমাজের ছবি। কিন্তু কর্পোরেটদের ছকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকা মানুষদের বুক থেকে একত্রবদ্ধ হওয়ার বোধ ও ধারণাটুকু কেড়ে নিয়ে তাকে ঠান্ডা করে রাখা, ইচ্ছে-মতো হঠাৎ করে এক-সকালে চাকরিটা কেড়ে নিয়ে অসহায় ভিখারী করে দেওয়া - মোটেও কোনো ভালো কথা নয়।

    কিছু মানুষজন আবার যাদবপুরের ক্লাস না-হওয়া নিয়ে খুব চিন্তিত। যে কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ক্লাস না-হওয়া খুবই ক্ষতির, দুঃখজনক। কিন্তু রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাস চালায়, তখন তার প্রতিবাদ করাটাই সর্বপ্রথম দায়িত্ব।

    আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে ক্লাস বয়কট শুরু হয়নি। হয়েছে পুলিশি অত্যাচারের পর। ছাত্ররা কিছু কথা বলতে চেয়েছিল। কেউ যদি তাদের কথা না শুনে গায়ের জোরে দাবিয়ে রাখতে চায়, কী করবে তারা?

    উপাচার্যকে যেতে হবে। যতদিন না যাচ্ছেন, ক্লাস বয়কটের ডাক থাকবে।

    ভিসির পদত্যাগের দাবী ক্যাম্পাসে শ্লীলতাহানি ঘটার জন্য নয়। পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত-কমিটি গঠন, ও বিশাখা কমিশনের নিয়ম মেনে একটা নিরপেক্ষ কমিটি গড়ার দাবীতে যে ঘেরাও আন্দোলন তাকে পুলিশ ডেকে নির্মমভাবে ভাঙার অপরাধে ভিসির পদত্যাগ চাই। কোথাও কোথাও ইচ্ছাকৃতভাবে একটা মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে এই নিয়ে।

    নতুন উপাচার্য এসে কমিটি গঠন করবেন। সেই কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবেন শ্লীলতাহানির। খুঁজে দেখবেন প্রকৃত দোষী কারা। ছাত্রদের এই আন্দোলন অভিযোগকারিণী বা অভিযুক্ত কারোর সমর্থনেই নয় – সুষ্ঠ অনুসন্ধানের দাবীতে। সরকারের ‘চোখে-ধুলো-দেওয়ার’ কমিটির কোনো প্রয়োজন নেই।

    এবং শুধু ওই মেয়েটি নয়। পুলিশি অভিযানের দিন যতজন ছাত্রী নিগৃহীতা হয়েছেন, সকলের জন্য সুবিচার চাই। কলকাতা টিভি তাদের ‘প্রতিপক্ষ’হীন ‘নিরপেক্ষতম’ ফুটেজ ধুয়ে জল খাক। যে ‘অসম্পাদিত ফুটেজ’ দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়েকে আক্রমণকারিণী বলে, তিন-মিনিটেই ঘড়িতে ১২:৪০ থেকে ২টো বাজিয়ে দেয়, তাকে মহাফেজখানায় রাখা উচিত (ও সঙ্গে ঘোষিকাকে একটি ‘ধাপ্পাবিভূষণ!)।

    শাসকদল চেষ্টা করতে থাকুক নিগৃহীতার গোটা পরিবার, এমনকী তার আত্মীয়স্বজন পাড়াপড়শিও যদি চান সক্কললে তাঁবেদারির মিছিলে হাঁটানোর। এই আন্দোলন তাদের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে নেই।

    বাংলার হাজার হাজার পায়ে এখন এই আন্দোলন হাঁটছে। এখনও ছাত্র-আন্দোলনই। কিন্তু সরকার যদি নির্লজ্জ সীমাহীন সন্ত্রাস চালায়, গণ-আন্দোলণ জন্ম নেবে। ‘তিল থেকে তাল’ কাকে বলে, তখন বুঝবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সাগরেদগণ। কাশ ঘাস ছাইপাঁশের ছবি এঁকে বেচে দল চালানো সোজা, কিন্তু চোখের আবরণ সরিয়ে জেগে ওঠা, ক্রুদ্ধ যুবসমাজের আবেগ সহজে বিক্রি করা, দমন করা সহজ নয়।

    .................................

    তখন সিঙ্গুরের ঘটনাগুলি ঘটছে। একদিন দেখলাম গ্রামের লোকজনকে নির্মমভাবে মারছে পুলিশ। দূরে পালিয়ে যাচ্ছিল যারা, তাদের পিছন পিছন ছুটে গিয়ে মারছে।

    আমার এক দাদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এইভাবে মারছে পুলিশ, এরপরেও বলবে সরকারের দোষ নেই?

    দাদা একনিষ্ঠ সিপিএম। বলেছিল, পুলিশকে কত লোক কত কিছু বলে, মিছিল অবরোধে দূর থেকে ঢিল-পাটকেল ছোঁড়ে, পুলিশ সহ্য করে। কিন্তু একবার যদি রাগে, সে কী ছাড়বে। তখন তার খুব রাগ হয়।

    সেই তো। আমার জমি জোর করে কেড়ে নেবে, আর আমি প্রতিবাদ করলেই পুলিশ রেগে যাবে। মারবে। বাহ্‌। পড়াশোনা জানা, ভালো-চাকরি করা আমার দাদা অন্ধের মতো উত্তর দিয়েছিল কারণ তার স্বাধীন চিন্তাশক্তি ও মগজ দলের কাছে বাঁধা পড়ে আছে। অন্যের দুঃখ কষ্ট রাগ যন্ত্রণা প্রতিবাদ তার কাছে আসে সামনে একটা উপাধি বসিয়ে – ‘স্বদলের’ না ‘বিরোধী’।

    ‘বিরোধী’ ক্রোধ মানেই অন্যায়। তার বিরুদ্ধে কুৎসা কর। নামিয়ে আনো লাঠি জলকামান বন্দুক।

    তেমনই যারা আজ সোচ্চারে বিরোধীতা করছেন এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের, তাদের ভেতরেও আবেগের পবিত্র ঢেউগুলি পৌঁছোচ্ছে না। ঢাকা-চোখের আড়াল তুলে তারা দেখতে পাচ্ছেন না, দিক্‌রেখায় এক নতুন আলোর রেখা টানার জন্য কে যেন অপেক্ষমান। যারা আওয়াজ তুলছে আজ তাদের গলায় কোনো বকলস বাঁধা নেই, বরং কপাল জুড়ে আছে আশার তিলক।

    সম্প্রতি দেখলাম এক টিএমসিপি সমর্থক তার বন্ধুকে বলছে – দেখলি তো, মেয়েটির বাবাও এখন আমাদের দিকে।

    হায় রে। যার সবটাই নিজের লজ্জা, গভীর পরাজয়, তাকে শিরোভূষণ করে আনন্দিত হওয়া হীরক রাজার সেই রাজসভার কথাই মনে করায়, যেখানে প্রাণ বিকশিত নয়, নিত্যদিন শোষিত হয়ে চলে।
    সম্পূর্ণ অসংগঠিত উদ্যোগে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিনে এক বিরাট মিছিল। সকলে জানে কেন সে এসেছে, সকলে জানে এই মিছিলের পাঁজরে সে এক অনমনীয় হাড়। কেন হতে পারে এমন?

    মুক্ত চিন্তার স্বাদ ও সাধ বড়ো নাছোড়বান্দা, বড়ো সংক্রামক। এই মিছিলের বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ নিশ্চয়ই সরকার ও শাসকদলের নানান কাজে বিরক্ত, ক্রুদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। কিন্তু এক বিরাট অংশ হেঁটেছে রাজনীতি-প্রসুত যে সামাজিক অবরোধ তাকে ভাঙার ডাক দিতে। ক্রমশ এই স্বর, এই জেদ ছড়িয়ে পড়বে সমাজের সর্বস্তরে – কাছে-দূরের আমরা অনেকেই এই স্বপ্নে বুক বেঁধেছি আজ।

    তেসরা মার্চ, ১৮৬১। রাশিয়ার জার আলেক্‌জান্দার II প্রবর্তন করলেন - Manifesto on the Emancipation of the Serfs। তার এই অনুশাসনে মুক্তি পেল দু-কোটি ত্রিশ লক্ষ ক্রীতদাস। রাশিয়ার পঁচাশি ভাগ জমি গেল ওদের হাতে। এই ব্যবস্থায় জমিদার-ভূস্বামীরা যথারীতি ঘোরতর আপত্তি তুললে, আলেক্‌জান্দার II বলেছিলেন – It is better to abolish serfdom from above than to wait for the time when it begins to abolish itself from below’.

    আমাদের যে ভাইবোনেরা হুমকির মুখে মারের মুখে, অকথ্য অপপ্রচারের মুখে দাঁড়িয়ে লড়ছে তাদের জন্য এই লেখার, আমার সমস্ত লেখার সমস্ত শব্দ অশ্রু ও আগুন।

    আজ যদি ছাত্রেরা সুবিচারের বদলে লাঞ্ছনা পায়, অত্যাচারিত হয়, এই আন্দোলনের সাময়িক কিছুটা পশ্চাৎপসরণ হলেও, অচিরেই আকাশ-ছোঁয়া জলস্তম্ভ এসে আছড়ে পড়ে টুকরো করে দেবে গর্বোদ্ধত মসনদ্‌।

    লক্ষ্যভেদী ছুরির মতো থর্‌থর্‌ করে কাঁপবে গোটা সমাজ, তখন যার বয়স শুধুই আঠারো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৭৫৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    জবাব - Saswata Banerjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 202.84.89.152 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৬72548
  • বড় ভালো লাগলো লেখা টা পড়ে। জানি না এই তারুণ্যের আগুন কে কত দিন জ্বলিয়ে রাখা যাবে, তবে এখনো আশা জাগে দেখে যে সবার মেরুদন্ড টা এখনো বেঁকে যায় নি।
  • aranya | 154.160.5.25 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:৪১72549
  • খুব ভাল লাগল আমারও
  • probad | 125.112.74.130 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০৮72550
  • বুনো ওলের জন্যে বাঘা তেঁতুল লাগে । বুঝ লোক যে জান সন্ধান ।
  • Reshmi | 129.226.173.2 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:৩৩72551
  • "নতুন উপাচার্য এসে কমিটি গঠন করবেন। সেই কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবেন শ্লীলতাহানির। খুঁজে দেখবেন প্রকৃত দোষী কারা।"
    আশা করতে ইচ্ছে করে সত্যিই এমনটা হবে। কিন্তু সে রকম ব্যক্তি আছেন কি কেউ যিনি এই শাসকদলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজটি করে উঠতে পারবেন? বা, এরকম কেউ যদি থেকে থাকেনও, তাঁকে শাসকদল ভিসি হতে দেবে কি? শাসকদলের পদলেহন করা তো ওই পদে নিযুক্ত হবার প্রথম শর্ত।
    আন্দোলনকারী ছাত্ররা এ ব্যাপারে কী ভাবছে? এই ভিসির চেয়ারে বসার আর কোন যোগ্যতা নেই সেটা মেনে নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়, ভিসি পরিবর্তন হলেও লং টার্মে তার কি এফেক্ট হবে কে জানে? এই কেসটা নিয়ে এত হইচই হয়েছে, হয়ত এ ক্ষেত্রে কিছু একটা ব্যাবস্থা নেবে, কিন্তু এরা যা প্রতিহিংসাপরায়ণ, পরে গিয়ে এর শোধ তুলতে আরো বড় কিছু ঘটাবে না তার কি গ্যারান্টি? পরিবর্তন এলেই যে সুদিন আসেনা সে তো আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:৫৮72552
  • রেশমীর কথাগুলো আমিও ভাবছিলাম। আরো কথা হল, আদৌ এরকম কয়জন উপাচার্য্য আছেন যাঁরা কোনও না কোনও দলের হয়ে খিদমত খাটবেন না? থাকলে তাঁদের আদৌ নিয়োগ করবে?
  • সিকি | 132.177.35.102 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:১৬72553
  • দরকারি লেখা।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৩২72554
  • আর ২০১১তে কোনও লোকসভা নির্বাচন হয় নি। ওটা ২০১৪ হবে মনে হয়।
  • শাশ্বত | 78.231.150.212 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৮72555
  • হ্যাঁ, লোকসভা নির্বাচনের সাল ২০১৪ হবে।
  • কল্লোল | 125.242.133.254 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:০৫72556
  • শাশ্বত হে।
    তোমাকে ভাই বলে ডাকার স্পর্ধা নেই। তোমরা যা করেছো/করে চলেছো তাতে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা নিও।
    আমি যাদবপুরের ছাত্র ছিলাম না কোনকালেই। "বহিরাগত" হয়েই ১৯৭৮ অর ২০০৫এ ভিসির পুলিশ পেটানো প্রত্যক্ষ করেছি। দুবারই রং তুলি আর গান নিয়ে যাদবপুরের বন্ধুদের পাশে ছিলাম।
    আমার একটা "সিঁদুরে মেঘ" আছে। সেটি জানাতে চাই।
    কিন্তু সেটা এখানে লিখে জানাবো না। কারন গুরু হয়তো পাচাটারাও পড়ে। গুরুতে তোমার সাথে যারই যোগাযোগ আছে, তাকে আমার নম্বর চাইলে পাবে।
    কথা বলতে চাই।
  • E না C | 212.142.71.88 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:৩৯72557
  • "ছাত্রেরা গড়িয়া উঠিতেছে; ভাবের আলোকে, রসের বর্ষণে তাদের প্রাণকোরকের গোপন মর্মস্থলে বিকাশবেদনা কাজ করিতেছে। প্রকাশ তাদের মধ্যে থামিয়া যায় নাই; তাদের মধ্যে পরিপূর্ণতার ব্যঞ্জনা। সেইজন্যই, সৎগুরু ইহাদিগকে শ্রদ্ধা করেন, প্রেমের সহিত কাছে আহ্বান করেন, ক্ষমার সহিত ইহাদের অপরাধ মার্জনা করেন এবং ধৈর্যের সহিত ইহাদের চিত্তবৃত্তিকে ঊর্ধ্বের দিকে উদ্‌ঘাটন করিতে থাকেন। ইহাদের মধ্যে পূর্ণমনুষ্যত্বের মহিমা প্রভাতের অরুণরেখার মতো অসীম সম্ভাব্যতার গৌরবে উজ্জ্বল; সেই গৌরবের দীপ্তি যাদের চোখে পড়ে না, যারা নিজের বিদ্যা পদ বা জাতির অভিমানে ইহাদিগকে পদে পদে অবজ্ঞা করিতে উদ্যত, তারা গুরুপদের অযোগ্য। ছাত্রদিগকে যারা স্বভাবতই শ্রদ্ধা করিতে না পারে ছাত্রদের নিকট হইতে ভক্তি তারা সহজে পাইতে পারিবে না। কাজেই ভক্তি জোর করিয়া আদায় করিবার জন্য তারাই রাজদরবারে কড়া আইন ও চাপরাশওয়ালা পেয়াদার দরবার করিয়া থাকে।". . . . . রবীন্দ্রনাথ (ছাত্রশাসনতন্ত্র)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন