এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কিশোরী আমনকরঃ অন্ধকার ও রাজার গান

    Saswata Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ জুন ২০১৭ | ১৮৮০ বার পঠিত
  • গাইবার সময় মঞ্চের আলো কেন নিভিয়ে দিতে বলেন কিশোরী?

    আমার মনোযোগ নষ্ট হয়। ধ্যান ভেঙে যায়। তাছাড়া আমি চাই না শ্রোতারা আমাকে দেখুক। তারা আমার সঙ্গীত শুনুন। এর জন্য আলোর প্রয়োজন নেই।

    আমি ওই মঞ্চের কথা ভাবি। নিরালোক মঞ্চের কোথাও একটা বসে আছেন তিনি। কিশোরী আমনকর। মনোরঞ্জনের জন্য যাঁর গান নয়। যিনি স্বেচ্ছায় প্রবেশ করেছেন অন্ধকারে কেন না এই আড়ালই তাঁর রাজার উদ্দেশে যাত্রার পথ।

    কিশোরী কি পড়েছিলেন ‘রাজা’ নাটক, রবীন্দ্রনাথের?

    নিজে নিজেই ভেবে নিই, পড়েছিলেন। নিশ্চয়ই পড়েছিলেন। নইলে কেমন করে দাসীর কাজ বেছে নেবেন জীবনভোর!

    ঝলমলে আলোয় নিজমুখ দেখাবার জন্য যখন উন্মত্ত হয়ে উঠছি সকলে, নষ্ট করে দিচ্ছি অন্তরের সব স্থিতি, সব ঔচিত্যবোধ, তখন কেন একজন বলবেন – মাসে চারটের বেশি কনসার্ট কিছুতেই নয়।

    কেন?

    মাকে কথা দিয়েছিলাম। তখন অল্প বয়স। একদিন উৎফুল্লস্বরে মাকে ফোন করে বললাম, জানো এ-মাসে আটটা কনসার্ট-এর ডাক এসেছে। তখন ট্রেনে করেই যেতে হত এখান-ওখান, বেশ সময় লাগত যাতায়াতে।

    মা বললেন, আটটা কনসার্ট। হুম। তা একেকটা অনুষ্ঠান পিছু ধরো চারদিন – আসা-যাওয়া, গান সব মিলিয়ে?

    হ্যাঁ। তা তো হবেই।

    তাহলে আটটা কনসার্টের জন্য হল বত্রিশ দিন, তাই তো?

    ঠিক।

    মাসে দিন কটা? এর মধ্যে তুমি রেওয়াজ করবে কখন?... না না এমন কেউ আর যাই হোক আমার শিষ্যা নয়।

    সেইদিন মাকে কথা দিয়েছিলাম মাসে চারটের বেশি কনসার্ট করব না কখনও।

    আর, বিদেশে যান না কেন আপনি?

    বিদেশে কেন যাব? যদি কারোর শুনতে ইচ্ছে হয় আমার গান, তিনি আসবেন, এইখানে, ভারতবর্ষে।

    বিদেশযাত্রা নয়, মাসে চারটের বেশ কনসার্ট নয়, চলচ্চিত্রের নেপথ্যগান নয়, মঞ্চালোক নয়, কার জন্য তবে চুরাশিটা বছর এই ভূলোকে কাটিয়ে গেলেন কিশোরী?

    যখন কেবলই বিষণ্ণতার গ্রাসে চলে যাচ্ছি গত দুদিন, আর বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করছে কেন, উত্তর আসছে না তেমন। কথা তো অল্প নয়। প্রচুর। প্রায় এক-দশকের সম্পর্ক কিশোরীর সঙ্গে। পরিণত কৈশোরে যখন আস্তে আস্তে ধূসর হয়ে পড়ছে কাছে-দূরে ছড়িয়ে থাকা নানাজনের অবয়ব, টের পাচ্ছি পরিবারবোধ আসছে আলগা হয়ে, কেন না কারোর সঙ্গে তেমন মানসিক যোগ নেই আমার, তখন হঠাৎ একদিন গান শোনালেন কিশোরী আমনকর। রঙ্গ সো রঙ্গ মিলায়ে। সেইদিনই বোধহয় প্রথম বুঝেছিলাম – গান-শোনাটা আমার শখ নয়, প্রয়োজন। বড্ড প্রয়োজন।

    মায়ের প্রিয় বেগম আখতারের গান। কিশোরীর ক্যাসেট বা সিডি তখন ছিল না বাড়িতে। ঈষৎ ভাঙা, নেশা-ধরানো কন্ঠে প্রায়ই বাজত – গলি দিয়ে চলে যায়, লুটিয়ে রুপোলি শাড়ি। সে একেবারেই এক ভিন্ন মধু। বেগম আখতারের গান আমাকে মার্গসঙ্গীতের ওই দিকটির কথা মনে করায়, যেখানে শ্রোতাও গানের এক জরুরি অঙ্গ। সেখানে শ্রোতারাও একটু একটু করে গলে মিশে যান গানে, তার প্রাণরস উজ্জীবিত করে শিল্পীর গান। কিন্তু কিশোরীর সঙ্গীত এমন নয়। তিনি স্পষ্ট বলেন – আমার গান বিনোদনের জন্য নয়। কারোর আনন্দের জন্য নয়। আমি তাঁর সেবা করি। করেই যাব আজীবন।

    তাই তো নিজের প্রিয় রাগ ভূপ-এ গাইলেন নিজেরই রচনা – সাহেলা রে...

    কে এই ‘সাহেলা’ কিশোরী? সখা? দয়িত?

    না না। এই ‘সাহেলা’ যে কোনো বন্ধু বা প্রেমিক নন। এই সাহেলা – তিনি। সেই অদ্বিতীয় তিনি। তাঁর সঙ্গে একত্রে সন্ধান করব সপ্তস্বরের মধু। কোনো জন্মে এই সখ্যের বিচ্ছেদ নেই।

    ‘ভূপ’কে কেমনভাবে দ্যাখেন?

    ‘ভূপ’ মানে তো রাজা। প্রথমদিকে এই রাগ নিয়ে ভাবতে ভাবতে মনে করেছিলাম সে কি শুধুই রাজা? পরক্ষণেই মনে হল, আচ্ছা, তার সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে যখন দাঁড়াবেন রাজা, তখনও কি তিনি অধিপতি নাকি পিতা? ঠিক সেই মুহূর্তে কোনটা বড়ো – শৌর্য না বাৎসল্য?

    কিশোরীর ভূপ এই বহুস্তরীর অস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। একটু একটু করে পান করে চলেছি তার সঙ্গমধু। জয়পুর-আত্রাউলি ঘরানার দুজনের গান সবসময় ঘিরে থাকে আমায় – কিশোরী আমনকর আর শ্রুতিজি।

    শ্রুতিজির গানে এ-ঘরানার ছাপ অনেক স্পষ্ট। প্রত্যেকটা স্বর চেনা যায় যেন। তিনি বিশ্বাসও করেন এমন গায়নে। কিন্তু কিশোরি বলেন, সাতটা স্বর একটা ভাষা-কাঠামোমাত্র। Language of notes. তাকে ব্যবহার করে আমি আসলে প্রকাশ করতে চাইছি আমার আবেগ। Emotions. আমার কাছে সেটাই আসল। তাই তো কিশোরীর গান এক আশ্চর্য বারিধারা, যা আমার বয়োধর্মকে পরাজিত করে ভাবতে শেখায় তিনিই আমার জীবনের সেই নারী, তাঁর কাছে প্রণয়প্রার্থনা করি নীরবে – সেই ২০১১ সাল থেকে। যৌবনের উত্তাপকে কী অনায়াসে বারবার ধুয়ে দেন কিশোরী, এই নামের মধ্যে আমি পেয়ে যাই এক চিরন্তন আভাস; তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ থাকব বলে বাদ পড়ে যায় ক্লাস। খেয়াল থাকে না। বন্ধুরা এসে খবর দেয় আমার ডাক পড়েছে প্রফেসরের অফিসে। তার বকাঝকার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি মুখ নিচু করে – এ যেন লুকিয়ে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ার ছবি!

    প্রিয় গানকে বিশ্বাস করে শোনা আমার পথ। সে আমার জীবনকে প্রভাবিত করবে জীবিতের মতোই, আমার ভাবনা ও চাইবার পথ দেবে ঘুরিয়ে। আমার দষ্ট অস্তিত্বকে একটু একটু করে মুক্ত করবে অনেক বড়ো এক আকাশের দিকে। কিশোরীর কথা, তার গানের কথা লিখে শেষ হওয়ার নয়। গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে – আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সঙ্গীত। তাঁর সেই ব্যথিত মুখ মনে পড়ে খুব।

    শুনলাম ঘুমের মধ্যেই চলে গেছেন কিশোরী। সারাজীবন ধরা তাঁর দর্শনপ্রার্থনার পর, শুশ্রূষা-অসম্ভব যন্ত্রণার পর, কোথায় যাচ্ছেন তিনি? তাঁর অমৃতলোক ওই সুরের ভুবনেই। এই অস্থির, অগ্নিদগ্ধ পৃথিবীর বুকেই তো সেই সাধনার ভূমি, অন্য কোথাও কে শুনবে তাঁর গান? জানি না। এসবের উত্তর মৃত্যুর আগে তো পাওয়া সম্ভবও নয়।

    মুম্বাই থেকে বহু দূরে দাঁড়িয়ে শিখাশয্যায় তুলে দিলাম আমার দয়িতার শরীর। ভাসিয়ে দিলাম দুর্মর অস্থি। এখন ছাই লেগে আছে হাতে। আলোর বিরুদ্ধে থাকা ছাই, নির্জন সাধনার ছাই। সেই ছাই একেকটা রাগকে গিয়ে বলছে – আমাকে দেখাও, আমার সামনে সম্পূর্ণ মেলে ধরো নিজরূপ। তোমাকে দেখব বলেই তো গোটা এক জীবনের আহুতি সাহেলা...

    সেই বাঙ্ময় ভস্মই যেন মাখিয়ে দিতে পারি আমার লেখায়, জীবনের পলে-অনুপলে, প্রত্যেক পদক্ষেপে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ জুন ২০১৭ | ১৮৮০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    জবাব - Saswata Banerjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 57.29.246.154 (*) | ১৬ জুন ২০১৭ ০৫:৪২60349
  • 'তাই তো নিজের প্রিয় রাগ ভূপ-এ গাইলেন নিজেরই রচনা – সাহেলা রে।।।

    কে এই ‘সাহেলা’ কিশোরী? সখা? দয়িত?

    না না। এই ‘সাহেলা’ যে কোনো বন্ধু বা প্রেমিক নন। এই সাহেলা – তিনি। সেই অদ্বিতীয় তিনি। তাঁর সঙ্গে একত্রে সন্ধান করব সপ্তস্বরের মধু। কোনো জন্মে এই সখ্যের বিচ্ছেদ নেই।

    ‘ভূপ’কে কেমনভাবে দ্যাখেন?

    ‘ভূপ’ মানে তো রাজা। প্রথমদিকে এই রাগ নিয়ে ভাবতে ভাবতে মনে করেছিলাম সে কি শুধুই রাজা? পরক্ষণেই মনে হল, আচ্ছা, তার সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে নিয়ে যখন দাঁড়াবেন রাজা, তখনও কি তিনি অধিপতি নাকি পিতা? ঠিক সেই মুহূর্তে কোনটা বড়ো – শৌর্য না বাৎসল্য?

    কিশোরীর ভূপ এই বহুস্তরীর অস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি।'

    ---

    কতবার যে ঘুরেফিরে এই লাইনক'টা পড়লাম।কিশোরীর সাহেলার মতই।
    #t=58


    সাহেলার সাথেই সপ্তলোকে সপ্তসুরের সাধনা করছেন নিশ্চয়।
  • Saswata | 78.231.146.34 (*) | ১৬ জুন ২০১৭ ০৭:৩৪60350
  • ধন্যবাদ।
  • h | 184.79.160.147 (*) | ১৭ জুন ২০১৭ ০৪:১৫60351
  • গান একটা আশ্চর্য্য জিনিস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন