এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার বাড়ির বিজয় দিবস...

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১৮৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি প্রভাব আমার পরিবারের ওপরে পড়েনি। বলা যেতে পারে আশপাশ দিয়ে চলে গেছে বিপদ আপদ। কিন্তু আশপাশ দিয়ে যেতে যেতেও একদিন যমদূতের মত বাড়িতে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানী সৈন্যরা। আমার বাবা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমান সেনা। যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। উনার পুরো ইউনিফর্ম পরা অবস্থার একটা ছবি বাড়িতে লাগানো ছিল। ওই এক ছবিই বাঁচিয়ে দেয় আমাদের পুরো পরিবার কে। পাকিরা এসেই ছবি দেখে, ছবিকেই একটা স্যালুট করে চলে যায়। সম্ভবত খুব বড় কোন অফিসার ছিল না তাদের সাথে, থাকলে এমন হয়ত করত না। কারন আমার বাবা তো তেমন বড় কোন অফিসার ছিলেন না। ওরা ইউনিফর্ম পরা ছবি দেখেই হয়ত ভেবেছে এ আমাদের লোক! আসলে কেন এমন করছিল তা আল্লাই জানে। আমার জ্যাঠা দৌড়াদৌড়ি করে কয়েকটা মুরগী ধরে দিয়ে দিয়েছিলেন, সম্ভবত এত সহজে বেঁচে যাওয়ার নজরানা স্বরূপ।

    পাকিস্তান বাহিনী বাড়িতে এসে এত সহজে চলে যাবে তা তো কেউ অনুমান করতে পারেনি। তাই যখন জানা গেছিল যে সৈন্যরা আসছে তখন বাড়ির সকল নারী সদস্য বাড়ির পিছনের জঙ্গলে ভিতরে গিয়ে বসে ছিল। জঙ্গলে ভিতরে গিয়ে বসে থাকা ছিল তখন নিয়মিত ঘটনা। পাকিরা আসছে এমন একটু আধটু শুনলেই সব হিড়িক মেরে জঙ্গলে গিয়ে বসে থাকত। আমার মাও বাদ যায়নি এই রুটিন থেকে। আমার কয়েক মাস বয়সী বড় ভাই কে নিয়ে আমার মা জঙ্গলে ভিতরে গিয়ে বসে থাকত। যে পর্যন্ত আসি আসি বলে পাকিরা না আসছিল ততদিন ঠিক ছিল, যেদিন সত্যই হাজির হল সেদিন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গেল। আমার দাদি পাকিস্তানীরা ঘুরে চলে যাওয়ার পর আমার মাকে কোনমতেই আর বাড়িতে রাখতে রাজি হলেন না। মাকে বললেন যেভাবে পারে উনি যেন আমার নানা বাড়ি চলে যান। দাদির যুক্তি হচ্ছে একটা বিপদ হয়ে গেলে উনি পরে ছেলে কে কী জবাব দিবেন? জবাব দেওয়ার দায় দায়িত্ব আমার নানার ঘাড়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য ওইদিন ওই সময়ই চলে যেতে বললেন আম্মাকে। নানা বাড়ি ছিল চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে, গ্রামে। আম্মা রওনা হলেন ভাইয়া কে সাথে নিয়ে। গ্রাম থেকে শহরে ভিক্ষা করতে আসত অনেক ভিখারি। আম্মা পুরো রাস্তায় তাদের সাথে থাকলেন। পথে পাকিস্তানীদের সাথে দেখা হলেও ভিখারিদের মাঝে উনাকে আলাদা করে নজর করেনি সৈন্যরা। সন্ধ্যার আগে আগে পৌছায় উনি নানাবাড়ি। স্বভাবতই নানা প্রচণ্ড রাগ করলেন। এবং যতদিন আব্বা দেশে না ফেরেন ততদিন আর আম্মাকে আমাদের বাড়িতে পাঠান নাই। আম্মা নানা বাড়ি আসার পর অবশ্য আমাদের বাড়ির অল্প বয়স্ক মেয়ে যে কয়জন ছিল তারাও এসে পরে নানা বাড়িতে।বর্তমান সময়ে আসলে তখনকার পরিস্থিতি বুঝা সম্ভব না। এখন হিসেবে ৪/৫ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়া হয়ত খুব একটা বড় ঘটনা না। কিন্তু যুদ্ধকালীন সেই সময়ে একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কোন নারীকে ওইভাবে হেঁটে হেঁটে বাচ্চা কোলে নিয়ে যাওয়া এক কথায় অবিশ্বাস ঘটনা। আমি যতবার ভাবি ততবার শিউড়ে উঠি।

    নানা বাড়িতে আমাদের বাড়ির থেকে ভিন্ন রকমের যুদ্ধের ছোঁয়া লেগেছিল। আমাদের বাড়ির মহিলারা যেমন নানা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তেমনই শহর থেকে নানান ধরনের মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। হিন্দু মুসলিম বাছ বিচার ছিল না কোন। আসত, রাত থাকত পরের দিন ছুটত সীমান্তের দিকে। নানা গ্রামের ভিতরে বেশ প্রভাব নিয়ে থাকতেন। তাই সমস্ত জায় ঝামেলা উনার ওপরেই বেশি আসত। নানা বাড়ি যে গ্রামে মানে পাকুরিয়া গ্রামকে পাকিস্তান বাহিনী থেকে রক্ষা করেন একজন মুসলিম লীগের নেতা। তিনি পাকিস্তানীদের কে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে এই গ্রামে কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই। এমন একটা কালো সময়, কেউ কাও কে বিশ্বাস করতে পারছে না। কে কাকে কখন ফাঁসায় দিবে, কার কখন ঝাড়ে বংশে উজাড় হয়ে যাবে কোন মালুম নাই। এর মধ্যে আমার নানা শহর থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের টাকা পয়সা, গয়নার দায়িত্ব নিচ্ছে। ভারতের দিকে যাচ্ছে, নানার কাছে রেখে যাচ্ছে স্বর্ণ, টাকার ব্যাগ। নানা আবার যার যার নামে তা কাগজ দিয়ে লিখে রেখে দিচ্ছে সিন্দুকে। মানুষ নানা কে ঠিক ভাবে চিনত না, শুধু জানত ওইখানে সৈয়দ সাব আছেন, যিনি সাহায্য করবেন, এসেই বলত, সৈয়দ সাব, বাঁচান! বিপদে সাহায্য করে নিজে বিপদে পড়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এমন সাহায্য করতে যা লাগে তা আমার নানার ছিল।একেকদিন বিশজন ত্রিশজন করে মানুষ থাকত নানা বাড়িতে। এ সব সামাল দেওয়া চাট্টিখানি কথা না। যখন এর খেসারত দিতে হতে পারে জীবন দিয়ে তখন তো আরও না। নানা যুদ্ধ শেষে সমস্ত হিসেব নিকাশ সুষ্ঠু ভাবে মিটিয়ে ছিলেন।এ জন্য শেরপুর শহরে অনেক ব্যবসায়ী চির কৃতজ্ঞ নানার কাছে। আমার আফসোস আমি উনার সান্নিধ্য খুব বেশি পাইনি।

    আমাদের শেরপুর মুক্ত হয় ৭ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসে এই বিজয় আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে। পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে ১১ নম্বর সেক্টরে সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ গুলা হয়েছে। কামালপুরের যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধর মাঝে অন্যতম। পাকিস্তানীদের এই শক্তিশালী ঘাটি দখলের জন্য পুরো নয় মাস বারবার করে চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সফল হওয়া যায়নি। ১৯৭১ সালের ১২ জুন থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের ১০ বার সম্মুখযুদ্ধ হয়েছে এখানে। এসব যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৪৯৭ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন।কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে তুমুল যুদ্ধ হয় এই কামালপুরে। এখানেই কর্নেল তাহের পায়ে গুলি খেয়ে পা হারান।এই ঘাঁটি উদ্ধারের জন্য মিত্র বাহিনী ১৮ নভেম্বর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর থেকে অবরোধ করে রাখা হয়, ২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত আক্রমণ করে করে মিত্র বাহিনী। প্রবল আক্রমণে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তানীরা এবার তাদের শক্ত এই ঘাঁটি থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুর্গে অবরুদ্ধ ৩১ বালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিক খানসহ ১৬২ জন হানাদার সদস্য মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর ফল স্বরূপ কামালপুর মুক্ত হয়। কামালপুর মুক্ত হওয়ার পর প্রায় বিনা বাধায় ঝিনাইগাতি মুক্ত হয় ওইদিনই। ৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয় শ্রীবরদী। নালিতাবাড়িতে দুই দিন যুদ্ধ হয়, তারপর একই দিন মানে আজকের দিনে নালিতাবাড়ি এবং শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে বিজয়ের বেশে। পাকিস্তানীরা পিছু হটে জামালপুরের দিকে চলে যায়। শেরপুর মুক্ত হওয়ায় ঢাকার দিকে এগুনো সহজ হয় মিত্রবাহিনীর জন্য। এরপরেই ১১ নম্বরের সেক্টরের যোদ্ধারাই প্রথম প্রবেশ করে ঢাকা শহরে। তাই কামালপুর এবং শেরপুর মুক্ত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে।

    শেরপুর মুক্ত হলেও আমাদের পরিবারে স্বস্তি আসে না।কারন তখনও তো আব্বা পাকিস্তানে বন্দী। আমার প্রবল আগ্রহ ছিল কেমন ছিল বন্দী ক্যাম্প সেখানে তা জানা। যতটুকু বুঝতে পারি তাদের তেমন কিছু করার ছিল না। আব্বা ট্রেনিং শেষ করে পাকিস্তানেই যোগ দেন চাকরিতে। যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানের বান্নু নামক স্থানে বন্দী ছিল আব্বা। বান্নু পাঞ্জাবের কোন একটা এলাকা। দেশ স্বাধীন হলে তাদের কে আনা হয় সারগোধার শরকোট নামক জায়গায়। ২০ টাকা করে হাত খরচ আর তিনবেলা খাওয়া দিত বন্দীদের পাকিস্তান সরকার। বাড়ির কোন খোঁজ নাই, দেশের কোন খোঁজ নাই, বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছে না মরে গেছে তার বিন্দুমাত্র ধারনাও তাদের নাই। দেশের লোকজন যতটুকু জানতে পারত বন্দী ক্যাম্পে তাদের ততটুকু জানার সুযোগও ছিল না। যখন যুদ্ধ শেষ হল তখনও তারা মুক্তি না। এর যে কি যন্ত্রণা, এর যে কি কষ্ট তা সম্ভবত আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব না। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় যখন আসল তখনও তারা জানে না দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরের দিন যখন জানল যে দেশ মুক্ত তখন শুরু হল পরিবারের জন্য চিন্তা। কোথায় আছে? কেমন আছে? কিন্তু ভাগ্য উনাদের এতই বিরূপ অবস্থায় ছিল যে স্বাধীন দেশে ফিরতেও তাদের লেগে যায় আরও দীর্ঘ দিন।আমার বাবা দেশে ফিরে ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। প্রায় বিশ হাজার সামরিক বাহিনীর সদস্য, আধা সামরিক আর সাধারণ নাগরিক মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বাঙ্গালী বন্দী জীবন কাটাচ্ছিল পাকিস্তানে। বঙ্গবন্ধু কে তখন জীবনের সেরা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছিল। পাকিস্তানীদের বিচার করবে না নিজের দেশের জনগণ কে ফিরিয়ে আনবে পাকিস্তান থেকে। দালাল আইনে দেশিও দালালদের বিচার করবে এবং চিহ্নিত পাকিস্তানী সৈন্যদের বিচার করবে এমন ঘোষণার পরে পাকিস্তান ঘোষণা দেয় তারাও বিচার করবে বাঙ্গালীদের। তারা পাকিস্তানে অবস্থানরত বন্দী বাঙ্গালীদের যুদ্ধাপরাধে বিচার করবে। কোথাকার যুদ্ধ কোথায় কিসের বিচার করবে এত চিন্তা করতে তারা নারাজ। বিচার করবে বলে দিল! বঙ্গবন্ধু ছাড় দিতে বাধ্য হলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী উভয় দেশের বেসামরিক নাগরিক দের বিনা হিসাবেই ছেড়ে দেওয়ার কথা, সেই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বেসামরিক নাগরিক ছেড়ে দেয়।ছেড়ে দেওয়া হয় সামরিকদের পরিবার পরিজনদেরও। পরবর্তিতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন অফিসার-সৈনিক বাদে বাকি ৮৯ হাজার ৮ শত সৈন্য ছেড়ে দেয়া হয়।কিন্তু পাকিস্তান তাদের পক্ষ থেকে তেমন কিছুই করে না। বরং ওই ১৯৫ জন কে না ছাড়া পর্যন্ত একজন বাঙ্গালীকেও ছাড়া হবে না বলে জানায়। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হন ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিতে।যদিও পাকিস্তান কথা দেয় তারা ১৯৫ জনে বিচার করবে তাদের দেশে কিন্তু তা আর তাদের করা হয়ে উঠেনি।অবশ্য পাকিস্তান আমাদের সাথে কোন কথা দিয়ে কথা রাখবে তেমন আশা করাও পাপ।

    ৭৩ সালের ডিসেম্বরে ফিরে আসেন আব্বা। বলা যায় আমাদের পরিবারে তখনই আসে বিজয়ের আনন্দ। দেশ স্বাধীন হওয়ার দুই বছর পরে আমার মা ও আমাদের পরিবারে আসে স্বাধীনতার তৃপ্তি।বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ করছি আমরা। যে ত্যাগের বিনিময়ে দেশের বিজয় এসেছিল তা আজকে উষ্ণ ঘরে বসে কল্পনা করা মুশকিল। সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা। সবাই কে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১৮৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 2345.110.673412.86 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:২১65299
  • অবিস্মরণীয় বাংলাদেশের ত্যাগের ইতিহাস। বিজয় দিবস দীর্ঘজীবী হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন