এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রসঙ্গ: মেডিক্যাল কলেজ

    Panchali Kar লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ জুলাই ২০১৮ | ১৩৩৮ বার পঠিত
  • ঘটনাটা হতে পারত আর পাঁচটা কলেজের সাধারণ ঘটনার মত: হোস্টেল দেওয়া নিয়ে ছাত্রদের সাথে কর্তৃপক্ষের বচসা, মতানৈক্য, তার জেরে দুই দিন নিজেদের দাবি নিয়ে ছাত্রদের অবস্থান, এবং সব শেষে একটি মধ্যস্থতায় আসা। ঘটনাটা ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে হয়ে উঠল একটা গণ-আন্দোলন, যা এই শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছেদ যোগ করলো, আর আমাদের দিলো কিছু নতুন মুখ, কিছু নতুন আশা, যা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে যুব সমাজের মননে।

    মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা যখন স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিংগের মাধ্যমে হোস্টেল আবণ্টনের দাবিতে সরব হয়, তখন শহরের অন্য প্রান্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে আন্দোলন, চলছে অনশন। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির নিয়ম বহাল থাকবে কি না, সেই বিষয়ে রাজ্যের সংবেদনশীল নাগরিক সমাজের ফোকাস্ তখন কেন্দ্রীভূত। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে অবস্থানের ৭০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও তৎকালীন প্রিন্সিপাল উচ্ছল ভদ্র, ছাত্রদের দাবি মানা তো দূরের কথা, মেডিক্যাল কলেজের ১৮৪ বছর প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধুলিস্মাৎ করে রাত্রিবেলা পুলিশ এবং গুন্ডাদের হাতে তুলে দেয় পরিস্থিতি সামলানোর দায়ভার। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসে থাকা ছাত্রদের ওপর চলতে থাকে শারীরিক নিগ্রহ এবং অত্যাচার। ঘুষি, লাথি, কিল, চড়, কিছুই বাদ পরেনি। বেধড়ক মার খাওয়ার পরও চোয়াল শক্ত করে ওরা লড়ে যায় নিজেদের দাবির জন্য। সোশ্যল মিডিয়ায় এই পুলিশি জুলুমের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নাগরিক সমাজ উদ্বিগ্ন হয়। এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন অনেকে। মানুষ প্রতিবাদ জানায় মোমবাতি মিছিলে হেঁটে, বা পোস্টার বানিয়ে, বা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে। ৯ঐ জুলাই মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে হাঁটে ৫০০ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, মানবাধিকার কর্মী এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। মিছিলের শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় যে ছাত্রদের দাবি না মানলে অনশনে বসবেন তাঁরা। অনশন রুখতে মরিয়া প্রিন্সিপাল পুলিশ, RAF পর্যন্ত নিয়ে আসে ক্যাম্পাসে।

    ১০ঐ জুলাই ছাত্রদের ন্যায্য এবং গণতান্ত্রিক দাবিতে শুরু হয় আমরণ অনশন। অনশনে অংশগ্রহণ করেন ছয় জন পড়ুয়া: অনিকেত, অয়ন, অর্ণব, আপন, সৌম্যদীপ, সুমিত। মেরুদন্ডহীন প্রশাসনের তরফে কখনও জবরদস্তি ভাবে মেয়েদের হোস্টেল খালি করতে বলা হয় এবং তাঁদের নতুন হোস্টেল ভরিয়ে ফেলার অলিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়, কখনো অজানা নম্বর থেকে ফোন করে অনশনরত ছাত্রদের অভিভাবকদের হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের কমরেডরা দমে যায়নি এক ফোঁটাও। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে, ব্লাড প্রেসার, সুগার, পালস্ নামতে থাকে, কিন্ত ওঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলো, লড়াইটা জিততেই হবে। ইতিমধ্যে আন্দোলনকে সাধুবাদ জানিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররা এবং আন্দোলনরত ছাত্রদের অভিভাবকরা যথাক্রমে দুই দিন প্রতীকী অনশন করেন, এবং ইন্টার্নরা কর্মবিরতির ডাক দেয়। অনশনের ২০০ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর আরো ১৫ জন যোগ দেয় অনশনে। ইতিমধ্যেই নতুন প্রিন্সিপাল রামানুজ সিংহ কে নিযুক্ত করা হয়, যিনি হুকমির সুরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে ২১শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস হিসেবে লখ্যাধিক বহিরাগত মানুষ শহরে আসবেন, এমতবস্থায় অনশনরত ছাত্রদের সুরক্ষার দায় তার নয়, এবং উনি তৎক্ষণাৎ রিজাইন করে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বার বার মডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ধুকিয়ে ছাত্রদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়, টেররাইজ করার চেষ্টা করা হয়।

    বিভিন্ন স্তরের এবং পেশার মানুষ অনশনকারী ছাত্রদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন, এবং আন্দোলনের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন। একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে নিম গাছ তলায় শুক্রবারের সাংস্কৃতিক আখড়া বসে প্রতি সপ্তাহে; সেই মঞ্চে ২০ জুলাই মেডিক্যাল কলেজের তাৎক্ষণিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা সভা ডাকা হয়। মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র আদিত্য সরকার এবং অর্ক বৈরাগ্য বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী অসিত বসু, আইনজীবী ও সমাজকর্মী ভারতী মুৎসুদ্ধি, চিত্ৰ পরিচালক অনিক দত্ত, নাট্যকর্মী জয়রাজ ভট্টাচার্য, আইনজীবী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, রূপান্তরকামী আন্দোলনের কর্মী রঞ্জিতা সিনহা, প্রমুখ। আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং কবি শঙ্খ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর্মী চন্দন সেন। আলোচনায় উঠে আসে হোস্টেল ভাগ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং তার পিছনকার রাজনৈতিক রঙ, যা অনেকের কাছে অজানা ছিল। উঠে আসে দল ও মত নির্বিশেষে সংহতির বার্তা সেই ছাত্ৰ যুব দের প্রতি যারা বিগত ১১ দিন ধরে না খেয়ে,এমন কী ORS টুকুও না নিয়ে রয়েছেন। সভার পর দল বেঁধে সবাই মিলে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয় এবং পুলিশ পথ আটকালে তা সম্পন্ন করা যায়না। ইতিমধ্যে আর একবার প্রিন্সিপাল পদাধিকারীর বদল ঘটে যায় মেডিক্যাল কলেজে, এবং ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অশোক ভদ্র জানান যে তিনি সবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং তার গোটা বিষয়টা নিশ্চিতভাবে বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। অনশনের ১১ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিল, তখনও কর্তৃপক্ষ কোনো এক অদৃশ্য হায়ার অথরিটির দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিল তার নেক-নজরের।

    ২১তারিক অনশনরত ছাত্ৰ দেবাশীষ বর্মন সংজ্ঞা হারালে এবং তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেই খবর সোশ্যল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। সারা দেশ থেকে বিশিষ্ট মানুষ জন সংহতির বার্তা পাঠান। ২২শে জুলাই গণ কনভেনশনের ডাক দেয় আন্দোলনকারী ছাত্ররা। বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে হাজার খানেক মানুষ যোগ দেন সেই কনভেনশনে। বিশাল অডিটোরিয়ামে অনেকের জায়গা হয়না, তাঁরা বাইরে দাঁড়িয়ে উৎসাহের সঙ্গে কনভেনশন শোনেন। বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল কলেজের বিশিষ্ট প্রাক্তনীরা এবং কিছু বিশিষ্ট মানুষ, যাদের মধ্যে আছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এবং অনিক দত্ত, অভিনেতা কৌশিক সেন, গায়ক পল্লব কীর্তনিয়া, গায়িকা মৌসুমী ভৌমিক, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং অরুণাভ ঘোষ, APDR কর্মী রণজিৎ সুর, প্রমুখ। বিভিন্ন আলোচনা থেকে এই বার্তা সুস্পষ্ট হয় যে হোস্টেল এলটমেন্ট হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (যিনি মুখ্যমন্ত্রী ও বটে) হস্তক্ষেপ অনুযায়ী, যা কলেজ সংবিধানের পরিপন্থী। কজেলে হোস্টেল পরিসেবার ভাগ-বাটোয়ারা কলেজ কর্তৃপক্ষেরই করার কথা, এতে সরকারি সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কেন থাকবে? স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যায় যে এ লড়াই সমানে-সমানে হচ্ছিল না। এক দিকে আদর্শ ও নৈতিকতা, অন্য দিকে শুধু মাত্র জেদের লড়াই চলছিল। কনভেনশনে উপস্থিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা অনশনে বসতে বা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। উপস্থিত মানুষের দাবিতে বিশাল মিছিল মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে আবার গন্তব্যে ফেরত আসে। মিছিলে প্রতিটি মানুষ গলা ছেড়ে স্লোগান দেয় এই আন্দোলনের পক্ষে। ইতিমধ্যেই ২৪ তারিখ আর একটি মহা-মিছিলের ডাক দেওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত।

    অনশনের দিনের সংখ্যা যত বাড়তে থাকে মানুষের আশঙ্কাও তত বাড়তে থাকে। বার বার সোশ্যল মিডিয়ায় খবর ছড়ায় মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে অনেক পুলিশ। আমরা যারা শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের মানুষ তারা অনেকেই রাতের দিকে মডিক্যাল কলেজ ও তার আসে পাশে থাকা শুরু করে, যাতে কোন অঘটন ঘটলে তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে সাপোর্ট দেওয়া যায়। বাকিরা চ্যাট গ্রুপে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখি এবং সব সময় তটস্থ হয়ে থাকি, কারণ যে কোন সময় ঝাঁপিয়ে পড়তে হতে পারে। সব মানুষ রাজনীতি বোঝে না, মতাদর্শ বোঝে না, কিন্তু আবেগ দিয়ে, বুঝে নিতে পারে যে আন্দোলনকারীরা ঠিক কাজ করছে। গণ-কনভেনশনের আগের রাতে বন্ধু অমৃতা বলে: তুমি তো সব পারো, যে কোনো উপায়ে ওদের খাইয়ো; কিছু হয়ে গেলে কেউ পুঁছবে না। আমি ওকে আস্বস্ত করে বলি: ওদের না দেখলে বুঝবে না ওরা কী দিয়ে তৈরি। এই ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে খুব সাধারণ কিছু ডাক্তারি ছাত্রের সাথে আমাদের আত্মিক নৈকট্য তৈরি হয়, ওদের লড়াই আমাদের লড়াই হয়ে ওঠে।

    সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৩শে জুলাই দুপুরে কর্তৃপক্ষ জানায় যে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে স্বচ্ছ কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে পাঠরত ছাত্রদের নতুন হোস্টেলে জায়গা দেওয়া হবে। লাল আবির আর রক্তিম অভিনন্দনে ছেয়ে যায় মেডিক্যাল কলেজ চত্তর। এই জয় সাহসের হয়, নৈতিকতার জয়, বিশ্বাসের জয়। এই সম্পূর্ণ ঘটনার আউটপুট এক সুস্পষ্ট রেটোরিক যেখান থেকে বোঝা যায় লড়াইটা শুধু হোস্টেল একোমোডেশনের মত ট্রিভিএল দাবিতে আটকে নেই; লড়াইটা শিরদাঁড়া সোজা করে নিজের কথা বলতে চাওয়া বনাম ক্ষমতাবানেদের বল প্রয়োগ করে সেই শিরদাঁড়া ভাঙবার চেষ্টার লড়াই। তাই নবাগত ছাত্রদের আলাদা রাখতে চাওয়া যাতে তাদের মধ্যে প্রতিবাদী সত্ত্বা গড়ে ওঠার আগের শিরদাঁড়াটা বেঁকিয়ে দেওয়া যায়, তাই গুন্ডা লেলিয়ে শান্তভাবে অবস্থানরত ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করা, তাই ছেলেগুলো মরতে বসেছে দেখেও উদাসীন থাকার ঔদ্ধত্য দেখানো, তাই রাতে বিশাল সংখ্যক পুলিশ মেডিক্যাল চত্বরে এনে একটু চমকানোর চেষ্টা: দেখ, দরকার পড়লে আমরা পুলিশ দিয়ে পিটিয়েও তুলে দিতে পারি। তবুও ছেলেগুলো দাঁতে দাঁত চেপে চোয়াল শক্ত করে লড়ে গেছে; কোনো দল-রঙ-পতাকার সামনে মাথা না নুইয়ে ওরা লড়ে গেছে। ওদের অগাধ বিশ্বাস নিজেদের মতাদর্শে; এই বিশ্বাস ওদের ওই খালি পেট ও শুকিয়ে যাওয়া গলায় জীবনী-শক্তি যোগায়।

    Long live independent students movement.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ জুলাই ২০১৮ | ১৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sakyajit Bhattacharya | 2345.110.344512.201 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৬:০৬65120
  • তুলে দিলাম
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৩৪65121
  • ভাল লেখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন