এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • দুচাকায় দুনিয়া - বিমল মুখার্জি

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৩০৪৫ বার পঠিত
  • এক জীবনে একজন মানুষের কি চাওয়া থাকতে পারে? যদি সে হয় একটু অভিযান প্রিয়, যদি সে হয় পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছাসহ কোন মানুষ? কি চাইতে পারে সে? বিমল মুখার্জি নামক এক বাঙালি নিজের মনের ভিতরের দুনিয়া ঘুরে দেখার ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপান্তর করতে পেরেছিলেন। সাথে পেয়েছিলেন একজন মানুষ এক জীবনে যা চাইতে পারে তার সব। তিনি ডেনমার্কের এক ধনাঢ্য পরিবারের সর্বোচ্চ স্নেহ ভালবাসা পেয়েছিলেন। তারা তাকে তাদের সম্পত্তির অংশীদার করে রেখে দিতে চেয়েছিলেন। জন্মদিনে বাড়ি, গাড়ি এমন কি বিমান পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।বিমান চালিয়ে ঘুরেছেন ওই শহরের উপর দিয়ে। একজন বাঙালি ডেনমার্কে কি করতে গিয়েছিলেন? সেটাই হচ্ছে ইতিহাস।

    বিমল মুখার্জি ১৯২৬ সনে কলকাতা থেকে সাথে আরও তিন বন্ধু কে নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। বাহন হচ্ছে তাদের সাইকেল। ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে করাচী থেকে জাহাজের কাজ নিয়ে সাগর পার হলেন। শুরু হল তাদের অবিশ্বাস্য অভিযান। চললেন তারা মরুভূমির উপর দিয়ে, বরফের ভিতর দিয়ে। যাদের বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা ছিল না বরফের তারা যুদ্ধ চালিয়ে গেলেন বরফের অনুপাতের শীতের পোশাক না পরেই। মরুভূমিতে টিকে গেলেন বেদুইনদের সাথে রাত কাটিয়ে। মরুঝড়, পানিশূন্যতা, ধুলোবালিতে গায়ে পোকা হয়ে গিয়েছিল তাদের। সেই পোকা নিয়েই চলেছেন তারা। আরব, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, তুরস্ক হয়ে বুলগেরিয়া, সেখান থেকে রুমানিয়া অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানি। এই পুরো পথ তারা এসেছেন সাইকেল চালিয়ে, যেখানে চালানো সম্ভব না সেখানে সাইকেল ঠেলে। কখন মরুভূমির উত্তাপে সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরা যাচ্ছিল না আবার কখন বরফের মাঝে তীব্র ঠাণ্ডায় জমে যেতে হচ্ছিল তাদের। সাহায্য পেয়েছেন বেদুইনদের কাছ থেকে, ফরাসি সৈন্যদের কাছে থেকে, বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। যারা এই অদ্ভুত পাগলাটে মানুষদের দেখে শুধু অবাকই হচ্ছিল।

    জার্মানির মিউনিখে পৌছাতেই চারজনের মধ্যে বিমল মুখার্জির হয়ে গেল এক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা। যদিও তখন তিনি জানতেন না উনার আসলে কোন মাপের অভিজ্ঞতা আসলে হল। মিউনিখের মানুষজন তার বেশভূষা আর তাদের কথা শুনে ঠেলেঠুলে এক বিয়ার হাউজের সামনে বিয়ার গার্ডেনের মধ্যে নিয়ে গেল। তিনি গিয়ে দেখলেন এক অস্ত্রিয়াবাসি বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্য বেশ কড়া লাগে তার কাছে। যিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি বলছেন, ভেরসাই সন্ধিপত্র ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে, মিত্রপক্ষ তাদের কে শেষ করে ফেলেছে, জার্মানদের এখনই এসবের প্রতিবাদ করতে হবে….
    বিমল মুখার্জি শুনলেন যিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি একজন ইন্টেরিয়র ডেকারেটর, রঙের মিস্ত্রি, তার নাম হিটলার। বিমল মুখার্জি বলছেন তাকে সবাই মিলে হিটলারের সামনে নিয়ে গেল। হিটলার আমি ভারতবাসী জেনে প্রথম প্রশ্ন করল আমাদের দেশে কত ইংরেজ আছে? আমি বললাম, কত শত জানি না তবু এক লক্ষ নাগাদ হবে। তখনই দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, এই মুষ্টিমেয় ইংরেজকে কেন আমরা অর্থাৎ ৩৫০ মিলিয়ন (১৯২৭) ভারতবাসী ফুঁ দিয়ে বে অব বেঙ্গল এ ঠেলে পাঠাই না? তৃতীয় প্রশ্ন হলো আমাদের নেতা কে? গান্ধীজীর নাম শুনে বলল সে একজন ভিতু লোক তাই নন ভায়োলেন্স পন্থায় স্বাধীনতা আনতে চায়। আমি বোঝাতে চেষ্টা করলাম করলাম যে প্যাসিভ রেজিস্ট্যান্স অভ্যাস করতে হলে বরং অতিমাত্রায় সাহসের প্রয়োজন। হিটলার তখন খেদের সুরে বলল যে ভারতবর্ষ যদি জার্মানির হাতে থাকত তাহলে জার্মানরা হিমালয়ে আলু চাষ করত।
    প্রচণ্ড ঘৃণা মনের মধ্যে নিয়ে যে এই লোকটা বসে আছে তা তার আচরণেই বুঝা যাচ্ছিল। ক্ষুদ্র একটা দেশ ইংল্যান্ড পুরো পৃথিবী শাসন করছে তা হিটলার কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

    নিজের পকেটের অবস্থা খুব খারাপ থাকায় বেশ কিছুদিন জার্মানিতে কাটিয়ে দিতে বাধ্য হলেন। সাথী বাকি তিনজনের আর ইচ্ছা নাই পৃথিবী ভ্রমণের। যে কমিটি করে তারা দুনিয়া ঘুরতে বেড়িয়েছেন সেই কমিটি থেকে তারা রউনা দেওয়ার পর আর কোন সাহায্য পাননি। তাই অন্যদের ইচ্ছা আর এভাবে ঘুরা সম্ভব না। একজন জার্মানিতেই থেকে গেলেন।বাকি দুইজনের ইচ্ছা হল ইংল্যান্ডে গিয়েও যদি কোন ব্যবস্থা না হয় তাহলে তারা আর ভ্রমণ চালিয়ে যাবেন না। হল্যান্ড হয়ে ইংল্যান্ডে পৌঁছে গেলেন তারা। আর এরপর থেকেই শুরু হল বিমল মুখার্জির একক ভ্রমণ। যিনি মোটামুটি আগে থেকেই জানতেন যে ভারতের ওই কমিটি থেকে সাহায্য আসার সম্ভাবনা কম। আর তাই তিনি যখন যা পেরেছেন সেই কাজই করে নিজেরর লক্ষ্য স্থির রেখেছেন। একজন মানুষের মনোবল কত শক্ত হলে একা একা একটা সাইকেল নিয়ে বের হয়া যায় বিশ্ব ঘুরতে?

    ইংল্যান্ড ছাড়ার আগে বিমল মুখার্জির আরেক অনন্য অভিজ্ঞতা হল। উনি যে সাইকেল চালিয়ে এত দূর এসেছেন তা ছিল বিএসএ( বারমিংহাম স্মল আর্মস ) কোম্পানির সাইকেল। সেই সাইকেল কোম্পানি থেকে আমন্ত্রণ পেলেন। কারখানায় শ্রমিকদের সাথে খাবার খেলেন মালিক পক্ষকে সাথে নিয়ে। এরমধ্যে তারা সাইকেলের সিরিয়াল নাম্বার দেখে খুঁজে পেয়ে গেলেন কোন শ্রমিক সাইকেলটা কবে অ্যাসম্বল করেছে। তাকে সামনে আনা হল। শ্রমিকরা চিয়ার্স করল বিমল মুখার্জির নামে, পিটার নামার ওই শ্রমিকের নামে, বিএসএ সাইকেল কোম্পানির নামে।

    বিমল মুখার্জির অভিজ্ঞতা লিখে শেষ কড়া সম্ভব না বোধহয়।এরপর তিনি ঘুরেছেন আইসল্যান্ড,নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, গ্রীস,ইজিপ্ট, সুদান,ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স,ডেনমার্ক, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু,হাওয়াই দ্বীপ, জাপান, চীন, হংকং, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ আরও নানা দেশ।দেখা করেছেন নানা রথী মহারথীর সাথে।১৯২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর যে যাত্রা শুরু করে ছিলেন তা শেষ করেন ২৩ মার্চ ১৯৩৭ সালে ভারতের মাটিতে পা দিয়ে তা শেষ করেন। তাকে জানানো হয় তিনিই প্রথম ভারতীয় ভূপর্যটক।

    যে কাজ পেয়েছেন সেই কাজই করেছেন। কখন গরুর খামারে কাজ করেছেন, কখন স্কুলের শিক্ষকতা করেছে, বিমান চালিয়েছেন, রাস্তার বরফ পরিষ্কারে কাজ, জাহাজের খালাসির কাজ করেছে। সিংহের পালের সামনে পরে পিছু হটেছেন, আন্দিজ পার হয়েছেন একা একা, গহিন বনে রাত কাটিয়েছেন, যখন যা পেয়েছেন তাই খেয়েছে,উত্তাল আটলান্টিকে ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করেছেন, হিমশীতল গ্রীনল্যান্ডে গিয়ে থেকেছেন এস্কিমোদের বাড়িতে, পেরুতে হয়েছেন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার শিকার, ( পেরুতে প্রবেশের আগে দিতে হয় পাগলের সার্টিফিকেট, বংশে কোন পাগল থাকলে পেরুতে তখনকার সময়ে প্রবেশ নিষেধ ছিল, হয়ত ভেবেছে পাগল ছাড়া সাইকেল নিয়ে এই পথে আর কে আসবে!! ), দুই দুইবার পাবে ইংরেজ মেরে হাতের সুখ মিটিয়েছেন, শুধুমাত্র কালা আদমি এখানে এত বেশি পাত্তা পাচ্ছে কেন ধরনের কুৎসিত আচারণের জন্য, করেছেন আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম।ঠেকায় পরে শিখেছেন আরবি, জার্মান, রুশ, ফ্রেঞ্চ, ড্যানিশ ভাষা। এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতা অন্য কোন বাঙ্গালির ভাগ্যে জুটেছে কিনা আমার জানা নাই।

    উনার নিজের লেখা অদ্ভুত সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী দুচাকায় পৃথিবীর পাতায় পাতায় উত্তেজনায় ঠাঁসা, রোমাঞ্চ যেন প্রতি পদে পদে। এই বইয়ের খুঁত বলতে যা আমার কাছে মনে হয়েছে তা হচ্ছে তৃষ্ণা না মেটার হাহাকার। আমার বারবার মনে হয়েছে এত অল্প কেন বইয়ের পাতা। এত দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য ৩১৯ পৃষ্ঠা কোনমতেই মনের চাহিদা মেটাবার মত না। তৃষ্ণা তো মিটবেই না, ঘরকুনো বাঙ্গালির তকমা গায়ে নিয়ে উনার প্রতি হিংসা করা ছাড়া আর কিই বা করতে পারি আমরা?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৩০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • skm | 6790012.15.3423.15 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৪62065
  • এটার কোনো পিডিএফ ভার্সন আছে ?
  • সিকি | 670112.215.1245.234 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮62066
  • আছে।
  • aranya | 560123.148.1256.34 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫০62067
  • ভাল লাগল লেখাটা।

    বিমল-এর কথা শুনেছি, বইটা হাতে পাই নি। পড়তে হবে
  • | 340123.99.121223.135 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫62069
  • বহু পুরনো বই? আর্লি এইটিজ এ পড়েছি না মিড এইটিজ এ পড়েছি মনে করতে পারছি না। লেট সেভেন্টিজ ও হতে পারে। বুড়ো হলে সব কিসু তেই গল্প মনে পড়ে। আমার দের ওদিকে এক ভাটপাড়ার পন্ডিত সংস্কৃত অধ্যাপক থাকতেন। অসামান্য মানুষ ছিলেন, পন্ডিত ছিলেন , শিশুর মত সরল ছিলেন। আমরা ওনার কাছে সংস্কৃত উচ্চারণ শিখতাম , সাধারণ ভাবে রেগুলার বৈতালিকের সংস্কৃত উচ্চারণ যেটা করা হত সেটায় পন্ডিত মশাই এর মত বিশুদ্ধতা কিসু ছিল না, কিন্তু ইনি যথারীতি শ্রীনিকেতনের হওয়ায় এমনকি বড় অনুষ্ঠানেও উপনিষদ পাঠের সুযোগ সব সময়ে পেতেন না, যতদূর মনে পড়ছে, এঁদের বাড়িতে অতিথি হিসেবে এই বইয়ের লেখক এসে ছিলেন, আমরা হই হই করে সব গেলাম। এবারে বই তো কয়েকদিনের মধ্যেই এসে গেল, লাইব্রেরী র মেশো জেঠুরাও ঝাপাঝপ অর্ডার করে দিলেন। এবারে লিবেরেল বাবা মায়েরা তো কাকুর মত সাইকেল চালাও সাহসী হও বলে বই পড়তে দিয়েছেন। এবার তাতে ফ্রি সেক্স সংক্রান্ত কিসু অপিনিয়ন থাকায় দাদা দিদি রা একটু হিহি করছে, আমার তখন সেকসুয়াল চৈতন্য হয় নাই, আমি নির্বিঘ্নে পড়ে গেছি। এবং তার পরে পন্ডিত মশাই এর কি অসোয়াস্তি, তাঁর পরিবারের মাধ্যমেই, পাড়ায় সামান্য মরাল কেলো ঘটে গেল, ছেলে মেয়েরা বিনা প্ররোচনায় ক্ষণে ক্ষণে হিহি করে উঠছে কিছুদিন, সে তখনকার শ্রীনিকেতনে, প্লেজান্ট ভিল পঞ্চাশ দশকের আমেরিকায়, সিনেমায়, রাতের দিকে লেকের পাশে সারে সারে বন্ধ গাড়ি সন্ধে বেলায় দুলে এবং দুলে দুলে ওঠার মতই স্ক্যান্ডালাস। এই সব মনে পড়ে গেল। দুঃখের কথা আমার তখনো হিহি হয় নি, শুধু হি হয়েছে। কবে পড়েছি মনেই করতে পারছি না, স্ক্যান্ডাল টার কথাও পরে শোনা ঃ-)
  • aranya | 560123.148.1256.34 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৬62070
  • ভ্রমণকারী সিকি বাইকের বদলে সাইকেলের কথা ভেবে দেখতে পারে, দূষণ কম হবে :-)

    জাস্ট জোকিং, বাইকে যে গতির আস্বাদ পাওয়া যায়, তা তো সাইকেলে হয় না
  • রিভু | 450112.191.564523.191 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৮62071
  • জানতাম না। পড়বো। ধন্যবাদ।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | 340112.92.345612.106 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:২০62072
  • আমার মাথায় আসে না এই লোককে মানুষ ভুলে গেল কিভাবে? হলিউড থেকেই তো অন্তত কয়েকটা সিনেমা তৈরি হওয়া উচিত ছিল। এমন চরিত্র কি হাটে ঘাটে মিলে নাকি?
  • স্বাতী রায় | 781212.194.3489.76 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:১৫62062
  • বইটা পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। দারুণ লেগেছিল। খুব হিংসে হয়েছিল বিমলবাবুকে - এক জীবনে এমন সব অভিজ্ঞতা ! অনবদ্য।
  • | 2345.106.233423.158 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:৫৮62063
  • ছোটবেলার প্রিয় বই। দুর্দান্ত লেগেছিল তখন।
  • সিকি | 894512.168.0145.123 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১৬62064
  • আমি তো বড়বেলায় পড়লাম। এই সেদিন। কেশী দিয়েছিল। এমন এক ঘোর লাগিয়ে দিয়েছিল লোকটা, সেই ঘোর থেকে আজও বেরোতে পারি নি।
  • সিকি | 670112.215.1245.234 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪২62074
  • অরণ্যদা, সাইকেলে চলার দম আমার নেই। তবে এইবারে এক সাইক্লিস্টের গল্প লিখেছি আমার সিকিম ভুটানের টইতে। এমন লোক প্রচুর রয়েছে এ দেশে।

    দু চাকায় দুনিয়া হাতে পেয়েছিলাম লাদাখ ঘুরে আসার পরে। তার পর থেকে আমার প্রতিটা জার্নি এই বই দ্বারা অনুপ্রাণিত। স্বপ্ন যেটা দেখি, সেটাও এই বই থেকেই ...
  • | 230123.142.560112.191 (*) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:২০62073
  • যা বোঝা গেল আমি যার কথা বলেছি তিনি সম্ভবত ইনি নন, কিন্তু ইনি ও বিমল। বিমল দে। এবং ইনিও সাইকেল চালিয়ে বিশ্ব ঘুরে ছিলেন।তাই কই ১৯৩৬ টা আমার পক্ষে স্লাইট বেশি, ওটা ডিডি দার ছেলে বেলা। দুই টা সিদ্ধান্ত স্থির অইল

    ক-বিমলেরা অনলি না আর যাই হোক।
    খ-বন‍্যেরা বনে সুন্দর, বিমলেরা বিশ্ব সাইকেলে।
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.74 (*) | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২১62075
  • আরে দারুণ!
  • স্বাতী রায় | 781212.194.6745.140 (*) | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৯62076
  • ১৫ই সেপ্টেম্বরের খবর : লিপি বিশ্বাস দারুন একটা অভিযান শেষ করে আজ কলকাতা ফিরল। লিপিদি ইউরোপের ছ‘ছটা দেশ সাইকেলে কভার করল। জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড। সময় লাগল প্রায় দুমাস। সব মিলিয়ে ২,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

    লিপিদি ভারতের প্রথম মহিলা সাইক্লিস্ট হিসেবে ইউরোপের উপর দিয়ে সোলো সাইক্লিং করল। অন্ততপক্ষে ইন্ডিয়ান এম্বাসিগুলি থেকে সেটাই টুইট করে জানানো হয়েছে।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=659099061141943&id=100011255644254
  • স্বপ্রতীম রাায় | 90089.23.452323.69 (*) | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:১৯62078
  • অসাধারন এক বই - দুচাকায় দুনিয়া। আমার অন্যতম সেরা কালেকশানের একটা। সম্ভবত বিমল মুখার্জীই প্রথম বাঙালি লেখক, যার লেখায় ইংল্যান্ড, আফ্রিকা আর তথাকথিত বিলেতের বাইরের দেশগুলির নিঁখুত বর্ননা আছে। পরবর্তীকালে বিমল দে-ও একই পথ অনুসরন করে। যদিও সেটা আশির দশকে। আপাতত সুইস নাগরিক বিমল দের ভ্রমনকাহিনীও অনবদ্য।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | 340112.92.345612.106 (*) | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:২৮62079
  • বিমল দের লেখা কোন বইয়ের নাম কেউ দিতে পারবেন? পড়ে দেখব তার অভিযানের গল্পও!
  • | 670112.193.561223.244 (*) | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৭62077
  • এইটা তো দুর্দান্ত খবর। কোন খবরের্কগজে একটু বিস্তারিত বেরিয়েছে কিন দেখতে হবে তো।
  • | 340123.99.121223.132 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৫62082
  • বিমল দের বই য়ের নাম সুদূরের পিয়াসী, কয়েক খন্ড আছে বোধ হয়।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.247 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৯62083
  • @ Prativa দি, চলো একটা সাইকেল ট্রিপে বিশ্বভ্রমণ করি। ঃ-))

    আমরা যে পথ দিয়ে যাবো, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেব। এই বলে স্পনসরও পেয়ে যাবঃ-) :-P
  • | 2345.108.893423.37 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৫১62084
  • এখানেই লিখে রাখি। আজ আমাদের অফিসে লাক্সারি সাইকেলের পড শুরু করা হল। সাইমুর নামে একটা গ্রুপ অ্যাপ বেসড পড ট্যু পড সাইকেল রেন্টিং সার্ভিস চালু করেছে হিঞ্জেওয়াড়ি এলাকায়। বড় বড় হাউসিং ক্যাম্পাসগুলোতে পড বসিয়েছে/বসাচ্ছে। ফলে লোকে ফ্ল্যাট থেকে নেমে অ্যাপ থেকে কোড নিয়ে সাইকল আনলক করে কোম্পানিগুলোতে এসে সাইকল জমা করে কাজকম্ম সেরে আবার আরেকটা সাইকল নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে।

    পুণে সিটির ভেতরেও কয়েক জায়গায় আছে। পিরিবেশ আর স্বাস্থ্য দুইয়েরই সহায়ক।
  • Prativa Sarker | 671212.72.892312.239 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১৮62080
  • বইটা পড়তে হবে দেখছি।
  • | 2345.110.344512.107 (*) | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩৫62081
  • সুদূরের পিয়াসী, বই টার নাম সম্ভবত।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.1278.42 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১০62085
  • দ, পুনেতে 'র‍্যাডিকেলস' নামে একটা গ্রুপ ছিল যারা সাইকেল সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করতে চেয়েছিল। আমি ২০০১- '০২ সালের কথা বলছি। বেশ কয়েকটা র‍্যালিতে গেছি।

    কলেজ- ইউনিভার্সিটি মিলিয়ে পাঁচ বছর আমার বাহন ছিল শুধু সাইকেল।

    পুনে আমার সবচেয়ে প্রিয় শহর।
  • | 670112.220.34900.85 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৭62086
  • হ্যাঁ পুণে নিয়ে আপনার সাথে বইমেলায় কথা হয়েছিল মনে আছে।
    ২০০১-০২ এর সাথে এখনকার অনেক তফাৎ। মাঝে রিয়াল এস্টেট বুম আর আইটি হাব হবার ঠ্যালায় ঐ রাস্তার দুদিকের বড় গাছগুলো যে আর্চ করে ছায়া দিত রাস্তায়-- বেশিরভাগ উবে গেছে। আজকাল গরম পড়ে, এমনকি এপ্রিল মে মাসে অল্পস্বল্প ঘামও হয়। হিউমিডিটি বেড়েছে।

    তো, দূষণ সামাল দিতে এখন মিউনিসিপালিটি থেকে সাইকেল লেন বানাচ্ছে, কর্পোরেটগুলোকে বলেছে সাইকেলারোহীদের সুযোগ সুবিধে দিতে ইত্যাদি।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.4567.171 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩০62087
  • ইয়েসস, রাইট। আমারও মনে পড়েছে। আমি জানি, আমি যে প্রিমিটিভ পুনে দেখেছি, সে এখন শুধুই স্মৃতি।

    ফ্লাই ওভারের পরে ফ্লাই ওভার, এখন তো মেট্রোও হয়েছে। এই পরিবর্তন লক্ষ করলাম ২০১০-'১১ য় যখন স্বল্পকাল পঞ্চগণী ছিলাম।

    পুনেতে এখন অসহ্য গরম পড়ে। আমার হস্টেলে তিন বছর ফ্যান ছিলনা। বর্ষাকালে মাঝরাতের পরে গায়ে চাদর জড়াতে হত।

    শেষ গেছি ২০১৪ য়।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩৮62088
  • এতদিন আমি শুধু রামনাথ বিশ্বাসের কথাই জানতাম।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৮62089
  • ' তবে এইবারে এক সাইক্লিস্টের গল্প লিখেছি আমার সিকিম ভুটানের টইতে'
    - পড়েছি, সিকি। তোমার ব্লগ সাইটে কি গুরুতে দাও নি, এমন কিছু লেখা আছে? থাকলে একটু লিঙ্ক দিও

    আমার সবই এখন মানস ভ্রমণ। শরীর আর সাথ দেয় না
  • মহাশ্বেতা সমাজদার | 671212.206.010123.96 (*) | ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:০৪62090
  • স্বর্ণাক্ষর প্রকাশিত বিমল মুখার্জির লেখা দুচাকায় দুনিয়া বইটির আলৌচনা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটি কি স্বর্ণাক্ষর-এর পেজেও শেয়ার করা যাবে ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন