এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তুঙ্গভদ্রার তীরে

    Prativa Sarker লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ২০১২ বার পঠিত
  • এই সপ্তাহ-শেষটা কি একটু কম ঘটমান ? উত্তেজনা-চিবুনিদের কাছে একটু ম্যাড়মেড়ে ? প্রাচীন উৎসবের আলোয় ঝলমলে ? ব্যস, ব্যস তাহলেই হবে। এইরকম একটা সপ্তাহশেষই আমার চাহিদা ছিল তুঙ্গভদ্রা তীরের গল্প শোনাবার জন্য।

    দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলো এখনো আশ্চর্যজনক ভাবে, ঐ যাকে ইংরেজিতে বলে, কিকিং এন্ড এলাইভ। দলে দলে মানুষ বিঠঠলদেবার মন্দিরে বাঁদিকের দৈব রন্ধনশালাযুক্ত প্রকান্ড দরদালানে বসে রসম দিয়ে ভাত খান। খাওয়া হলে ফের কাজে চলে যান।দূরদেশী হলে পরের দিনের শ্রমদানের জন্য রাতটাও কাটিয়ে দেন ওই চত্বরে। নাওয়া খাওয়ার জন্য মন্দিরের পেছনে বয়ে যাওয়া তুঙ্গভদ্রা আছে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় গঙ্গার জলে স্নান, তুঙ্গার জল পান - একই পুণ্য।
    ওঁর উপন্যাসটা তো শুধু বলার গুণে তরতরিয়ে এগিয়ে চলে, আর কি মোক্ষম সেই চলন ! কিন্তু জায়গাটাও একরকম থেকে গেল কি করে, ইহাই আশ্চর্য। স্বচক্ষে দেখে এলুম বিদ্যুন্মালা ঝড়ের পর অর্জুনের সঙ্গে যে পাথরের চট্টানে সারারাত পড়ে ছিল সেটাকে, তিমির পিঠের মতো গোল হয়ে আছে জলের ওপরে। সেই গোল নৌকা গুলো এখনও পারাপার করছে-- "এই বিচিত্র গঠনের ডিঙা গুলি তুঙ্গভদ্রার নিজস্ব নৌকা,ভারতের অন্য কোথাও দেখা যাইত না।বেতের চ্যাঙারীর গায়ে চামড়ার আবরণ পরাইয়া এই ডিঙাগুলি নির্মিত ;তবে চ্যাঙারীর তুলনায় অনেক বড়, দশ বার জন মানুষ তল্পিতল্পা লইয়া স্বচ্ছন্দে বসিতে পারে।"
    শুধু এক নতুন বোর্ড বসেছে নদীকূলে,কুমীর হইতে সাবধান!
    কুম্ভীরকুল কি নতুন আমদানি ? সে যুগে থাকলে বিদ্যুন্মালা-অর্জুনের স্বপ্ন সাকার হতো না, ল্যাজের একটি আছাড়েই দুজনেরই তুঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটতো।
    আর সব প্রায় এক ! নদীতীরের অদ্ভুত হাওয়ায় অজস্র তালপাতার সরসরানি, ওপারে সেযুগের ভাঙা অট্টালিকার আভাস, ঘাটের নীচু ছাদের ঘরে শিবলিঙ্গ, আর কালো জলে ছোট ছোট ঘূর্ণি, সঙ্গে পাটে বসতে যাওয়া সূর্যের ম্লান উদ্ভাস!
    আমার সঙ্গে এযুগের বিদ্যুন্মালা, মণিকঙ্কণা উভয়েই ছিলেন। তাদের রূপদর্শনে নদী পাহারায় ব্যস্ত কন্নড়ভাষী পুলিশবর্গের চিত্তচাঞ্চল্য লক্ষ্য করে উঠে আসতে বাধ্য হলাম, নাহলে ওই শান্তি চরাচরে আর কোথাও অনুভূত হয়নি।

    এই তুঙ্গভদ্রার দক্ষিণ তীরে বিজয়নগর সাম্রাজ্য, উত্তরে বাহমনি। প্রথমটির খন্ডাংশের সীমায় ঘুরে বেড়াবার সময় দেখেছি হাজার মন্দিরের ভগ্নাবশেষ, হাতীশালা, লোটাস মহল, রাণীদের স্নানাগার, রাজপুরীর ক্ষয়ে যাওয়া ভিত, গুপ্তকক্ষ, উৎসব মন্ডপ। আর বিশাল বাজারের সারিবদ্ধ দোকানঘর, বিজয়নগরের অচ্ছে দিনে যেখানে বিক্রি হত মহা মূল্যবান রত্নরাজি মহার্ঘ্য বস্ত্র, সুগন্ধি পুষ্টিকর খাদ্য, মদিরা, আর না জানি কত কি ! জনপদকল্যাণীদের আদল উৎকীর্ণ হয়ে আছে অনেক পাথরে, দেবীমূর্তির কল্পনাও উহারাই উদ্দীপ্ত করিয়াছিলেন কিনা কে কহিবে !

    বিঠঠলের মন্দিরের থামে উৎকীর্ণ অশ্ববৎ এক অদ্ভুত জানোয়ারের পিঠে এক মানুষ। ইতিহাস কি বলে জানিনা, আমাদের গাইড বলল, এটি দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য --ইয়ালি পিলার, অনেক প্রাণীর সমাহারে কোন কল্পিত প্রাণী। এর চোখ ড্রাগনের, তাই ঔজ্জ্বল্য অভূতপূর্ব। সিংহের মাথায় শৌর্য, খরগোশের কান উৎকর্ণতা বোঝাতে, আর ব্যাঘ্রমুষ্টিতে শিকারবধের একাগ্রতা। এই বিচিত্র প্রাণীকে (ছবি রইল) যিনি পোষ মানাতে পারবেন, অর্জন করতে পারবেন এর সব গুণাবলী, তিনিই বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হবার যোগ্য।

    বিজয়নগর ছিল বর্ধিষ্ণু বাণিজ্য-কেন্দ্র। সারা পৃথিবী থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসত। সেই সুবাদে নানা সংস্কৃতি ঘেঁটেঘুঁটে বিজয়নগর হয়ে উঠেছিল এক এবং অদ্বিতীয়। এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই দক্ষিণ ভারতে আরব ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। প্রায় সপ্তম /অষ্টম শতাব্দী থেকে। চীন অথবা সুদূর মঙ্গোলিয়া থেকেও পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের আসাযাওয়া ছিল। মহানবমী ডিব্বা নামের সুউচ্চ উৎসব মঞ্চ বা হাজারা রামা মন্দিরের দেওয়ালের প্যানেলে তাই অচেনা পোশাক, অচেনা মুখশ্রী নিয়ে কেউ ঘোড়া বিক্রি করছে, তার দাঁত দেখিয়ে বয়স যাচাই করাচ্ছে, কেউ দেখিয়ে দিচ্ছে উল্লম্ফনে তার পশুটি কতো পারদর্শী।
    এই সংস্কৃতিমিশ্রণের কারণেই বিজয়নগরের স্থাপত্য অন্যরকম। ইন্দো-ইসলামিক রীতি ধরা রয়েছে বেশ কিছু অট্টালিকায়, যেমন লোটাস মহল, যেমন হাতীশালা বা স্নানাগার। এগুলিকে সেকুলার স্থাপত্য বলে চিনহিত করা হয়। আবার মন্দির স্থাপত্য বেশিরভাগই তামিল রীতির অনুসারী।
    ছোট,বোকা মানুষের কাছে ছোট ছোট বোকামিগুলিই প্রশ্রয় পায় বেশি। এতো বিশাল বিশাল মন্দির দেখলাম, দাক্ষিণাত্য-রীতিসম্মত মন্দির-কুঞ্জর দেখলাম, তার শুঁড়ে হাত বুলিয়ে আদরও করলাম, কিন্তু চোখে এঁটে রইল বিঠঠলদেবার মন্দিরের গোপুরমে ঢোকার মুখে, দর্শনার্থীদের পায়ের তলায় পড়ে থাকা তিনটি মনুষ্য আকার, ছেনি হাতুড়িতে খোদাই করা। কোন আকাট পুণ্যলোভাতুর শ্রমিকের কাজ আর কি ! মন্দির সম্পূর্ণ হলে ঘরে ফেরার আগে সে নিজের, ঘরণীর আর শিশু সন্তানের ছায়া এঁকে রেখে গেছে দেবদর্শনকামী সবার পায়ের নীচে ! অনন্তকাল ধরে পদদলিত হবে বলে।

    এতো বড়ো আমার স্বদেশ ! এতো বিভিন্নতা ! বিচিত্র খাদ্যাভ্যাস, ভিন্ন রীতিনীতি ! তবু এই সরল মানুষগুলোই তাদের বোকামো আর অবান্তর বিনয় নিয়ে ছড়িয়ে থাকে সর্বত্র। তারা যে পায়ের নীচে নয়, চোখে চোখ রেখে কথা বলার যোগ্য এই বোধ সাতশ বছরে কজনের মধ্যেই বা এলো ! পরলোকের পারানি গোছাতে গিয়ে ইহকাল তুঙ্গভদ্রার জলে ভাসানো চলবে না জানি আরো কত কাল !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ২০১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | 213.163.233.113 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৬59390
  • ছবিগুলোর লিনক রইল এখানে।














  • রৌহিন | 190.215.90.145 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৫৭59391
  • আহা! আমি যদি চিপিটক হতাম!
    দুটি প্রশ্ন - ১। বিদ্যুন্মালার চিত্র দেখিলাম - মণিকঙ্কণা কোথায়?
    ২। হুক্ক-বুক্কের দেখা পাওয়া যায় নি?
  • Prativa Sarker | 213.163.233.113 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:১৫59392
  • মণিকংকণা আমার সহকারিণী। চিত্রপট ব্যবহারে সে মৃত্যু সম্ভাবনা দর্শন করে। তাই বিরত রহিয়াছি।
    হুক্ক বুক্ক গভীর সংকট ব্যতীত দেখা দেন না। জনশ্রুতি ডিমনিটাইজেশনের সময় তাঁহারা দর্শন দিয়াছিলেন।
  • পাই | 24.139.221.129 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৩৯59393
  • ঃ))
  • পাই | 24.139.221.129 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪১59394
  • ঃ))
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:২৫59395
  • ভাল লাগল লেখা আর ছবি।

    'হুক্ক বুক্ক গভীর সংকট ব্যতীত দেখা দেন না। জনশ্রুতি ডিমনিটাইজেশনের সময় তাঁহারা দর্শন দিয়াছিলেন।' - এইটা খুব মজার হয়েছে :-)
  • kihobejene | 208.27.197.50 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৩১59396
  • bhalo laglo lekha ... chobi gulo khub sundor
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৪৯59397
  • 'এতো বড়ো আমার স্বদেশ ! এতো বিভিন্নতা ! বিচিত্র খাদ্যাভ্যাস, ভিন্ন রীতিনীতি ! তবু এই সরল মানুষগুলোই তাদের বোকামো আর অবান্তর বিনয় নিয়ে ছড়িয়ে থাকে সর্বত্র। '

    - ৩০ বছর দেশ ছাড়া, তাও কি যে মায়া স্বদেশের, কি অসম্ভব টান এই বিচিত্র, বিশাল ভূভাগ, তার নদী, পাহাড়, অরণ্য, তার মানুষের। যতই নিজেকে পৃথিবীর নাগরিক হিসাবে ভাবি, তাও এই টান থেকেই যায় ..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন