এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিজ্ঞানের দর্শন: মানবেন্দ্রনাথ রায়#এক

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৬ | ২৮৮৪ বার পঠিত
  • [১] উপেক্ষিত নায়ক

    মানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৭-১৯৫৪) বিংশ শতাব্দের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, মৃত্যুর ষাট বছর পরে শুধু নয়, অনেক আগে থেকেই তাঁর সম্পর্কে আমরা, একালের প্রগতি শিবিরের লোকেরা, খুব ভালো করে জানি না। নামটা হয়ত অনেকেরই জানা রয়েছে। কিন্তু তাঁর চিন্তা ও কর্মের সাথে আমাদের পরিচয় প্রায় নেই বললেই চলে। কিংবা বলা ভালো, পরিচয় রাখার চেষ্টাও কোথাও নেই।

    তাঁর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমি যতটা যা জানি তা সংক্ষেপে এইরকম: তিনি তাঁর বিপ্লবী জীবন শুরু করেছিলেন বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীন অর্থাৎ, যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ধারায় কাজ করে। তারপর বালেশ্বরের লড়াইয়ের (১৯১৫) পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কীভাবে যেন গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে জাপান হয়ে আমেরিকায় চলে যান, সেখান থেকে মেক্সিকো, অবশেষে সোভিয়েত রাশিয়ায় গিয়ে সেখানকার বলশেভিক বিপ্লবীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন, ইত্যাদি। শোনা যায়, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় নিউ ইয়র্ক পাব্লিক লাইব্রেরিতে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে করতে তিনি ধীরে ধীরে সমাজতন্ত্র তথা সাম্যবাদে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তারপর তিনি চলে যান মেক্সিকোয়, এবং সেখানে একটি কমিউনিস্ট পার্টির ভ্রূণ সংগঠন তৈরি করেন। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে আশ্রয় পান জার আমলের রাশিয়া থেকে আগত এক বলশেভিক বিপ্লবী মিখাইল বোরোদিন, যিনি তখন পলাতক জীবনে নিঃস্ব অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন এবং বিপ্লবোত্তর রাশিয়ায় ফিরে যাওয়ার মতো পারানি সংগ্রহ করছিলেন। রায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তিনিই তাঁকে সঙ্গে করে লেনিনের কাছে নিয়ে যান। মানবেন্দ্র নাথ রায় নবগঠিত কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে (১৯২০) যোগ দেন একজন মেক্সিকান প্রতিনিধি হিসাবে। বিপ্লবোত্তর কালের রাশিয়ায় সেই সময় তিনি তাঁর ধীশক্তির জোরে লেনিনের খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। অচিরেই তিনি তৃতীয় আন্তর্জাতিকের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি ও নেতা হয়ে ওঠেন, এর সভাপতিমণ্ডলিতে স্থান করে নেন এবং এর পক্ষ থেকে তিনি চিন মেক্সিকো ভারত ইত্যাদি বিভিন্ন দেশে বিপ্লবের বার্তা বয়ে নিয়ে গেছেন। ১৯২১ সালে ভারতের তাশখন্দে অবিভক্ত সিপিআইয়ের সাংগঠনিক বীজও তিনিই বপন করেছিলেন।

    আমি আমার কলেজ জীবন থেকেই তাঁর বেশ কিছু বই পড়েছি, প্রকাশিত প্রায় সমস্ত বইই নতুন বা পুরনো কিনে সংগ্রহ করেছি। বিশেষ করে বিজ্ঞানের দর্শন, যা নিয়ে আমি অনেকদিন ধরেই কিছুটা চর্চা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তার উপরে তাঁর অনেকগুলো ভালো ভালো বই আছে। এছাড়া রাজনীতির বিভিন্ন প্রশ্নেও তিনি অনেক মূল্যবান আলোচনা করেছেন। গান্ধীর চিন্তাদর্শন নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে তাঁর খুব ভালো আলোচনা আছে। ভারতীয় সংবিধানের উপর তিনি অত্যন্ত মূল্যবান কিছু বিশ্লেষণ করেছিলেন।

    [২] অসূয়াবুদ্ধি

    আজ যখন জ্ঞানজগতের বিভিন্ন শাখায় মানবেন্দ্রনাথ রায়ের তত্ত্বগত অবদান এবং তাঁর প্রতি আমাদের মনোগত অবধানের তুলনা করি, একটা অস্ফূট ব্যথা অনুভব না করে পারি না: রায় দেশ কাল ও সমাজের কাছে তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। তিনি এক কালে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও যেহেতু তিনি পরবর্তীকালে এর থেকে বেরিয়ে যান (আসলে যোসেফ স্তালিনের সঙ্গে গুরুতর মতান্তরের কারণে তাঁকে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক থেকে ১৯২৯ সালে বহিষ্কার করা হয় বলে শোনা যায়), কমিউনিস্ট বা বামপন্থী বা প্রগতিশীল মহলের কাছে তিনি সেই থেকে অনেকটা যেন ব্রাত্য হয়ে যান। অথচ কেন তিনি কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের পরিধির বাইরে চলে গেলেন বা তাঁকে বাইরে বের করে দেওয়া হল, স্তালিন জিনোভিয়েভ বা বুখারিনের সঙ্গে কী কী প্রশ্নে তাঁর মতবিরোধ হয়েছিল, তা তিনি নিজেও কোথাও প্রকাশ্যভাবে আলোচনা করেননি, অন্য কাউকেও করতে দেখিনি। অন্তত আমার চোখে এযাবত পড়েনি। অবশ্য আমার জানার বাইরেও এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য থাকতেই পারে।
    তবে রায় মার্ক্সবাদী শিবির থেকে বেরিয়ে গেলেও নিজে কোথাও কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক বা স্তালিন প্রমুখ সোভিয়েত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁর বহিষ্কার বা অন্য কোনো উপলক্ষে প্রকাশ্য নিন্দা বা বিরোধিতা করে কিছু লেখেননি। তাঁর এই মহত্ত্ব ও ঔদার্যও তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল করে তোলেনি। বরং একবার শিবির বহির্ভূত হওয়ার ফলে আমরা মার্ক্সবাদীরা, বিভিন্ন বামপন্থী দলের কর্মী নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরা তাঁর প্রতি পঞ্চাশ-ষাটের দশক পর্যন্ত প্রবল বিরূপ ছিলাম। পরে বিরূপতা কাটলেও বোধ হয় রায় সম্পর্কে আমরা অনেকটা উদাসীন থেকে গিয়েছিলাম। তাঁর নাম নেওয়াও পাপ, রচনাবলি পড়ে দেখা তো অনেক দূরের কথা -- এরকম একটা মনোভাব আমাদের অনেকের মধ্যে আজও বেশ শক্ত হয়ে চেপে বসে আছে। তাঁর সমসাময়িক বা পরবর্তী কালের মার্ক্সবাদী নেতাদের মধ্যে যাঁরা অন্তত মুখে স্বীকার করেছেন, তাঁরা রায়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছেন, তাঁরাও কোথায় কী পেয়েছেন বা কী নিয়েছেন ঋণস্বীকৃতির ছলেও তার কিছু উল্লেখ করেননি। এমনকি, তাঁর দর্শনে কোথায় কোথায় কী কী ভুল হয়েছে, কোন কোন প্রশ্নে তাঁর সঙ্গে তাঁদের মতপার্থক্য, তাও তাঁরা কেউ মুখ ফস্কে বলতে চাননি। অনেকটা যেন নৈঃশব্দের বাণ মেরে তাঁকে আমরা চিন্তা-মননের জগতে একঘরে এবং অপ্রাসঙ্গিক করে রাখার চেষ্টা করেছি।

    অন্যদিকে, আমরা যাকে প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্ত বলি, অর্থাৎ, শাসক বুর্জোয়া শ্রেণির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় যে যুক্তি-বুদ্ধির চাষ হয়, সেখানেও তিনি কোনো গুরুত্ব পাননি। কেন না, সেখানে দর্শন হিসাবে বস্তুবাদের চাহিদা কম। সেখানে ভাববাদ রহস্যবাদ মায়াবাদ ইত্যাদি মনন জগতের যাবতীয় জঞ্জালের চাহিদা অনেক বেশি। রায় যদি তাঁর দার্শনিক মতবাদে, বিভিন্ন রচনায় এইসব বুদ্ধি-চেতনানাশক প্রবণতার প্রতি কোনোরকম প্রচ্ছন্ন সমর্থনও জানাতেন, তাহলে ওরা ওনাকে নিশ্চিতভাবে মাথায় তুলে রাখত। কিন্তু সেটা তো হয়নি। মার্ক্সবাদকে অতিক্রম করে এক তথাকথিত নব-মানবতাবাদের প্রতিষ্ঠা ও প্রচার করার কথা বলেও তিনি তাঁর একটা ইংরেজি মুখপত্রের নাম দিয়েছিলেন, “Marxian Way”। মার্ক্সবাদ থেকে সরে গিয়েও সেই সময় তিনি একখানা পুস্তক রচনা করেন What is Marxism? (1943) এবং তার মধ্যে তিনি মার্ক্সবাদের যে দার্শনিক-নৈতিক ব্যাখ্যা দেন তা এক কথায় সত্যিই অনবদ্য। শুধু তখন কেন, আজও পর্যন্ত কোনো মার্ক্সবাদীকে ঠিক এইভাবে বিষয়টিকে রাখতে দেখা যায় না। তাঁর বিজ্ঞানের দর্শন ঘোষিতভাবেই বস্তুবাদী দর্শন। গান্ধীবাদকে তিনি দর্শনগতভাবে প্রতিক্রিয়ার মতবাদ বলেছেন, একে ভারতবর্ষের মাটিতে ফ্যাসিবাদের জন্মদাত্রী ভূমিকায় দেখেছেন। কংগ্রেস মনোনীত স্বাধীন ভারতের সংবিধান প্রণেতাদের অনেকেই যে ব্রিটিশ ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের গভীর অনুরাগী দালাল ছিলেন, ১৯৪৯ সালে দিল্লির এক আলোচনা সভায় এটা বলতে তো তাঁর জিভে আটকায়নি। তাঁদের রচিত সংবিধান যে স্বাধীন ভারতের আপামর জনসাধারণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে না, এও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। পুঁজিবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থা বা তার রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্ত যে তাঁকে অগ্রাহ্য করবে -- এ আর বেশি কথা কী?

    ফলে, এম এন রায় তাঁর স্বল্পসংখ্যক ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের মধ্যেই পরিচিত ও সীমাবদ্ধ থেকে গেছেন। আকস্মিক মৃত্যুর কারণে তিনি তাঁর সংগঠনেরও তেমন বিস্তার ঘটাতে পারেননি। যত দিন গেছে, সেই অনুগামীদের সংখ্যাও কালের নিয়মেই কমে গেছে। তাঁর অধিকাংশ বইপত্রই দ্বিতীয় সংস্করণের মুখ দেখেনি। এমনকি, যতদূর জানা গেছে, তাঁর ১৯৩০-এর দশকে জেলে বসে রচিত বিজ্ঞানের দর্শন সম্পর্কে বেশ কয়েক হাজার পৃষ্ঠার একটি বড় হাতে লেখা নথি আজ পর্যন্তও ছাপাখানার অভিমুখে যায়নি (আদৌ আর কোনোদিন যাবে কিনা সন্দেহ)। এই সব কারণেই বোধ হয় এ দেশের মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষিত মানুষের বাইরে তাঁর বিদ্যাবুদ্ধির পরিচিতি প্রায় অপ্রকাশ থেকে গেছে।

    এম এন রায়কে আমরা দুটোর যে কোনো একটা দিক থেকে ব্যবহার করতে পারতাম।

    একটা হল নিতান্তই আটপৌরে ব্যবহারিক উপযোগিতার দিক। আমরা যে বস্তুবাদী যুক্তিবাদী জ্ঞানের চর্চা করতে চাই, সেই ব্যাপারে তাঁর কাছে নেবার মতো অনেক কিছু ছিল, বা এখনও আছে বলে আমি মনে করি। নাম করে বা না করে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বা না করে, যেভাবেই নিই না কেন, তাতে আমাদের কিছুটা হলেও লাভই হত। তাতে আমাদের মুক্তবুদ্ধির আন্দোলন, আমাদের বিজ্ঞান আন্দোলন, আমাদের বস্তুবাদী বিজ্ঞান-দর্শন চর্চা -- এইসব কিছুই আজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারত, এগিয়ে থাকতে পারত। অন্তত চিন্তা বা যুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবার মতো একটা চওড়া রাস্তা আমরা দেখতে পেতাম।

    আর একটা হল, স্বাভাবিক জ্ঞানচর্চার রীতিনীতির দিক থেকেও তাঁর চর্চা করা যেত। করা উচিত ছিল। বিশ্বব্যাপী জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এটা একটা সর্বমান্য পদ্ধতি: যে কোনো বিষয়ে তাত্ত্বিক অনুসন্ধান শুরু করার আগে প্রথমে দেখে নেওয়া দরকার সে বিষয়টিতে এ পর্যন্ত কতদূর কী কী কাজ হয়েছে, কে কে কীভাবে এগিয়েছেন, তাঁরা কে কী বলেছেন, জেনেছেন, তার কতটা নেওয়া যাবে, কোথায় কোথায় তাকে খণ্ডন করতে হবে, ইত্যাদি। তারপর নেবার মতো অংশগুলো কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে, বাতিল করার মতো জায়গাগুলো যুক্তিতর্ক সহকারে খণ্ডন করে আসতে হবে, ইত্যাদি। যেহেতু রায় আলোচ্য ক্ষেত্রে যে কাজ করেছেন তা বহু দিক থেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাঁর ক্ষেত্রে এইভাবে এগোনো তো আরও বেশি করে দরকার ছিল। তাতেও আমরা সমানভাবেই উপকৃত হতাম।

    হ্যাঁ, দেরিতে হলেও স্বীকার করতে বাধা নেই, আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের একটা সুদীর্ঘ পর্যায়ে মনন-চর্চার লিপিসাক্ষ্যে তাঁর রচনার কোনোরকম উল্লেখ করতে না পারলেও বিজ্ঞানের দর্শন বিষয়ক আমার প্রথম বইতে উপরোক্ত রীতিকে মান্যতা দিয়ে রায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দেবার একটা দুর্বল চেষ্টা অন্তত করেছিলাম। ভূমিকায় লিখেছিলাম: “Manabendra Nath Roy (who was a Marxist intellectual but later shifted to the banner of Radical Humanism) had been more successful than many others of his time in grasping the general import of the new physics in the 1930s and ‘40s.” [Mukhopadhyay 2006, 5] সেই বইতে কিছু কিছু জায়গায় প্রসঙ্গক্রমে আমি তাঁর মূল্যবান অবদানগুলিকেও তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। যদি আমার স্মৃতি মুঞ্চন-ধুসরতায় আক্রান্ত না হয়ে থাকে তবে মার্ক্সীয় শিবিরে সম্ভবত এটাই মানবেন্দ্রনাথ রায়ের কাজের প্রথম স্বীকৃতি বলে আমি দাবি করতে পারি।

    যাই হোক, এই প্রবন্ধে আমি বিংশ শতাব্দের প্রথমার্ধে বিজ্ঞানের দর্শনের কয়েকটি ক্ষেত্রে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের কিছু অবদানের কথা সংক্ষেপে আলোচনা করতে চাই। বিজ্ঞানের দর্শন বিষয়ে তাঁর রচিত খান চারেক বইয়ের কথা আমার জানা আছে: Heresies of the Twentieth Century (1939), Materialism: An outline of the history of scientific thought (1940), Science and Philosophy (1947), এবং দুই খণ্ডে Reason Romanticism and Revolution (1952)। এ ছাড়াও তাঁর অন্তত আরও দুটি বইয়ের খবর আমার কাছে আছে—Science and Superstition (1940) এবং Science Philosophy and Politics (1940) -- যেখানে তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তাঁর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রেখে গেছেন।

    আমি এখানে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের যে দুটি প্রধান ক্ষেত্র -- আপেক্ষিকতাবাদ এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা -- তার বিভিন্ন দিক নিয়ে মানবেন্দ্রনাথ রায় যে বস্তুবাদী দর্শনগত উপলব্ধি প্রদান করে গেছেন, তাকে যেভাবে বুঝেছি তা সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
    //দ্রষ্টব্য: সূত্রোল্লেখ শেষ পর্বের শেষে দেওয়া হবে।//
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৬ | ২৮৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 192.69.146.147 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩৭58973
  • মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জন্মশতবর্ষে স্ট্যানফোর্ড ইউনি ওঁর লেখাপত্র ও তার মূল্যায়ন নিয়ে বিরাট কাজ করেছেন বলে শুনেছিলাম। সে বছর (১৯৬৯ নাকি ১৯৭০?) কোলকাতায় বেশ কিছু বই বাংলায় বেরিয়েছিল।
    অসাধারণ ধী শক্তির অধিকারী মানবেন্দ্রনাথ ( পূর্বনাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগণায়) যেখানে গিয়েছেন সেখানেই সেদেশের ভাষা শিখে ফেলেছেন। লেনিনের প্রতিনিধি হয়ে রাশিয়ার এশিয় অংশে অভিযানের সময় উনি নাকি আরবী( অথবা ঊর্দূ?) শিখে মূল ভাষায় কোরান অধ্যয়ন করে সেইসব দেশে কোরানের মধ্যে সাম্যবাদী বা গণতান্ত্রিক টুকরো তুলে ধরে ওঁদের সমাজতন্ত্রের পক্ষে বোঝাতেন।
    অমন কঠিন চীনা ভাষা বা জার্মান ভাষা ও তিনি শিখে নিয়ে ছিলেন বলে শোনা যায়।
    দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকে উনি এশিয়ার উপর লেনিনের থিসিসের পাল্টা থিসিস দেন; লেনিন সেটিকে কিছু সংশোধনী সমেত রয়-লেনিন থিসিস নাম দিয়ে গৃহীত করান।
    ২)
    স্তালিনের প্রতিনিধি হয়ে উনি আর মিখাইল বোরোদিন চীনে যান। মাও ওঁকে পছন্দ করেন নি। একবার বললেন -- রায় হচ্ছে বিপ্লবীর ছদ্মবেশে বিশ্বাসঘাতক। এদের জন্যে চীনবিপ্লবের ক্ষতি হয়েছে।
    আর একবার বললেন--রায় খুব কথা বলতে পারতেন, সুন্দর করে। কিন্তু সেগুলো কোন কাজের নয়।
    মনে হয়, মাওয়ের নিন্দে এবং আন্তর্জাতিক থেকে বিতাড়ন --দুটো মিলে মিশে বঙ্গের বামেদের মধ্যে ওঁকে অপ্রিয় করে তুলেছিল।
    [ কিন্তু অনেক খুঁজেও পেলাম না রায়ের কোন উপদেশ মাওয়ের পছন্দ হয় নি বা বিপ্লবের ক্ষতি করেছিল। আর 'বিশ্বাসঘাতক' বেশ স্ট্রং ওয়ার্ড। উনি করেছিলেন টা কী? কেউ জানালে বাধিত হব।]
    স্বাধীন ভারতে প্রথম তিনটে প্ল্যান এল-- বিড়লাদের বোম্বে প্ল্যান; গান্ধীবাদী প্ল্যান ও রায়ের পিপল্স্‌ প্ল্যান। রায়ের প্ল্যানে টোটাল আউটলে কম ছিল এবং ইন্ক্লুসিভ উন্ন্যনের কথা (তখনকার জার্গন ব্যবহার করে) ছিল।
    ওঁর র‌্যাডিক্যাল হিউম্যানিজমের ভক্ত ছিলেন গৌরকিশোর ঘোষ, শিবনারায়ণ রায় , হিন্দির বিরাট কবি হীরানন্দ বাৎসায়ন (অজ্ঞেয়)।
  • দেবব্রত | 57.15.73.157 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০৫:৫৫58971
  • লিখুন পড়ছি - এমনকি তার বিখ্যাত পুস্তক "হিস্টরিকাল রোল অফ ইসলাম ' " ইসলামের ঐতিহাসিক ভুমিকা " এই নামে বাংলাদেশ থেকে বইদুর রহমান দ্বারা অনূদিত এবং প্যাপিরাস নামক প্রকাশকের দ্বারা প্রকাশিত হলেও পশ্চিমবঙ্গের কোন প্রকাশকই এই পুস্তক টি প্রকাশের বিন্দুমাত্র উৎসাহ দেখান নি । অথচ ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে । তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের পথে ।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 122.133.223.2 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:২৩58972
  • ভালো লাগ্লো
  • দেবব্রত | 212.142.91.185 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:০২58977
  • "ইতিহাসে ইসলামের ভূমিকা" রেনেসাঁস পাবলিশার্স প্রকাশ করেছিল - জানা ছিলোনা , ধন্যবাদ । তবে ইংরেজিটা ওয়েবে পাওয়া যায় ।
  • bip | 183.67.5.178 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১০:৪৮58974
  • উনার সম্মন্ধে জানতে আগ্রহী। যদি কেউ এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেন। মানে ২+২= ৪ করতে পারি নি-অনেক ব্যপারে উনার সম্মন্ধে

    (১) এম এন রায় ভারতে ফিরেছিলেন ১৯৩১ সালে এবং তারপর সাড়ে পাঁচ বছর জেলে পচেন। জেল থেকে বেড়িয়ে উনি নেহেরুর প্রীতিভাজন হোন। খুব সম্ভবত জেলে থাকা কালীন উনার লেখাগুলি কমিউনিজম এবং বুর্জোয়া গণতন্ত্র দুটোকেই ডিনাওন্স করে। কিন্ত প্রশ্ন হল কমিউনিজম সম্পর্কে উনার মোহভঙ্গের কারন কি? ভারতে এসে, পোষ্ট ১৯৩১ সাল থেকে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে তার কোন যোগ নেই। ভারতের কমিনিউস্ট নেতারা ১৯৩১ সাল থেকেই তাকে বর্জন করেছেন। সেটা কি স্টালিনের নির্দেশে?

    (২) স্টালিন কেন তার ওপরে রেগে উঠলেন-সেই ইতিহাস ও ক্লিয়ার না। উনি বুখারিন লবি এবং স্টালিনের প্রিয় ছিলেন। এজ সাচ কোন ফ্যাকশানালিজমের সাথে সোভিয়েতে জড়িয়ে ছিলেন না। স্টালিন উনাকেই চীনে পাঠান। কিন্ত দেখা যাচ্ছে না চীনে সফল উনি-এবং চীন থেকে ফিরতে, উনি স্টালিনের নেক নজরে। তখন অবশ্য বুখারিনের সাহায্যেই জার্মানিতে পালান। কিন্ত তার আগে স্তালিনের নেক নজরে এলেন কি করে? উনি স্টালিনের সমালোচনা করে কোন লেখা সেই সময় লিখেছিলেন এমন কোথাও নজর আসে নি।

    রায়ের বায়োগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে কোন দিন কোন দৌত্যমূলক কাজে তিনি বিশেষ সফল হৌন নি । কিন্ত কেন মাও বা স্টালিন তার ওপরে খাপ্পা হলেন তার ইতিহাস গুগল করে কোথাও পাই নি।

    (৩) আমেরিকাতে ছিলেন ১৯১৭-১৯ বা ২০। দুই কি তিন বছর। এই সময় তিনি মার্ক্সবাদের আকৃষ্ট হোন। সেটাও আশ্চর্য্য। ধনতন্ত্রের পিঠস্থানে এসে হঠাৎ করি মার্ক্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন কেন? যদ্দুর জানি আমেরিকাতে গদর পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। অর্থাৎ আমেরিকাতে পড়তে আসা ভারতীয়দের নিয়ে বিপ্লবী সংগঠন তৈরীতেই তার বিপুল উৎসাহ ছিল। কিন্ত এর মধ্যে মার্ক্সবাদে মাত্র দু বছরের মধ্যে কি করে ঢুকে পড়লেন? ভারতে থাকা কালীন মার্ক্সের কোন বই পড়েছিলেন বলে জানা নেই। যদ্দুর জানি নিউয়ার্কের লাইব্রেরীতেই মার্ক্সের বই এর সাথে তার পরিচয়। তা এই দু বছরেই তিনি মার্ক্সবাদের এত অনুরক্ত হয়ে উঠলেন , এত কিছু জানলেন, লেনিন সহ অনেকেই তাকে মার্ক্সবাদের একজন প্রাক্টিক্যাল তাত্ত্বিক বলে মেনে নিল ? এখানেই আমার বিরাট খটকা। মার্ক্সের লেখা ত বেশ কঠিন-দর্শন শাস্ত্রে বেশ ভাল গভীরতা না থাকলে, মা মাসী এক হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। যে দোষে লেনিন নিজেও দুষ্ট। এম এন রায় দর্শন শাস্ত্রে ভারতে পড়াশোনা করেছেন এমন শুনি নি। আমেরিকাতে দুবছর মার্ক্স নিয়ে নিজে পড়াশোনা করে বিরাট মার্ক্সিয় পন্ডিত হয়ে উঠলেন এতে আমার কনক্লুশন দুটো

    হয় তার অসম্ভব মেধা ছিল
    অথবা
    আসলে লেনিন যেভাবে মা-মাসি এক করে মার্ক্সের খাসি করেছেন, সেই ধরনের মার্ক্সবাদিদের কদর ছিল সেকালে-যারা কোনভাবে কমিনিউজমে কোন লাইনকে মার্ক্সবাদের নামে চালাতে পারবে। পুরোটাই ভাবের ঘরে চৌর্যবৃত্তির কাজ। সেই কাজের জন্য স্মার্ট ন্যারেটিভ লাগে, দর্শন অত গভীরে না বুঝলেও চলে

    (৪) তার এই র‍্যাডিক্যাল হিউমানিজমের টার্নটাই বা এল কোত্থেকে? বৃটিশ জেলের থেকে বাঁচতে? না কেউ কেউ বলেন তিনি অরোবিন্দের দর্শনে আকৃষ্ট ছিলেন। সেটাও বুঝি না। অরবিন্দের লাইফ ডিভাইন আদ্যপান্ত ভাববাদি ঢপ। একজন বস্তুবাদি দার্শনিক সেই ঢপ গিললেন? নাকি অন্যান্য কমিনিউস্টদের মতন, তার ও দর্শন শাস্ত্রে ভিত অত পোক্ত ছিল না। ফলে সারাজীবন জুরে শুধু গুলিয়েছেন।

    যাইহোক তার প্রতিভা নমস্য। কিন্ত তা দিয়ে এফেক্কিটিভ কি কাজ হয়েছে-তার খুব ক্লিয়ার না। তবে এটাও হতে পারে ১-৪ এই পয়েন্টগুলো নিয়ে কেউ যদি আরো বেশী আলোকপাত করেন।
  • ashoke mukhopadhyay | 69.90.57.4 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৩১58975
  • আমি এখানে মূলত বিজ্ঞানের দর্শন ক্ষেত্রে এম এন রায়ের অবদান বিয়ে লিখছি। রায়ের জীবনের অনেক ঘটনাই রহস্যাবৃত। আমার নিজের অনেক জিনিস জানা নেই। শিব নারায়ণ রায় ওনার জীবনী লিখেছেন। বাংলা এবং ইংরেজিতে। তাতে হয়তো পাওয়া যেতে পারে। তবে বিজ্ঞানের দর্শনে ওনার জ্ঞানের গভীরতা বিপুল ও অনস্বীকার্য। অন্তত আমি যতটা বুঝেছি।

    "ইতিহাসে ইসলামের ভূমিকা" রেনেসাঁস পাবলিশার্স প্রকাশ করেছিল। ইংরেজিতে এবং বাংলায়। বোধ হয় এখনো পাওয়া যায়।
  • ashoke mukhopadhyay | 69.90.57.4 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৩৩58976
  • এম এন রায়ের অবদান বিষয়ে লিখছি। উপরের প্রথম বাক্যে ভুল আছে।
  • kintu | 190.179.142.51 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১৫58979
  • পথের দাবির 'সব্যসাচী' তো বিপ্লবী রাসবিহারী বসু কে ভেবে লেখা বলে পড়েছিলাম । পথের দাবি প্রকাশিত হয় 1926 সালে ।
  • 0 | 123.21.79.252 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ১২:২৯58978
  • কোথাও পড়েছিলাম যে, পথের দাবীর 'সব্যসাচী' চরিত্রটা নাকি এনাকে ভেবেই বানানো।

    পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • | 127.194.7.209 (*) | ২১ জুলাই ২০১৭ ১০:২৭58980
  • বিজ্ঞানের দর্শন: মানবেন্দ্রনাথ রায়#এক
    Ashoke Mukhopadhyay
    [১] উপেক্ষিত নায়ক
    তা, দ্বিতীয় অংশ কোথায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন