এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গোরা নকশাল

    Kallol Lahiri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ মার্চ ২০১৬ | ১২৭৯ বার পঠিত
  • চার

    “গাছেরা ঘুমিয়ে পড়লে কি ফুলেরাও ঘুমিয়ে পড়ে?”

    খেলার মাঠে হরেক রকমের আচার নিয়ে আসে চুনু হজমিওয়ালা। তার নানারকম কাচের বয়ামের মধ্যে থাকে টক জলে চোবানো লাল কুল। মাটির ডেলার মতো লাল হজমি। তেঁতুলের আচার। বিলাতী আমড়া। কারেন্ট নুন। এগুলো প্রত্যেকটাই আমার কাছে খুব লোভনীয়। প্রত্যেকটি আমার বায়নার জিনিষ। এদের কোনো না কোনটা আমার রোজ বিকেলের সঙ্গী না হলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। ঠিক আজ যেমন হয়েছে। ঠাম্মার কাছে পয়সা চাইতে যাওয়ার সময়ের একটু গন্ডগোল হওয়াতেই বিপত্তিটা ঘটেছে। ঠিক এমনটা হতো না, যদি না ঘুমটা আমার ঠিক চারটের সময়েই ভাঙতো। “আজ তিরিশ মিনিট লেট”। ঘুম থেকে উঠতেই দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দাদা বলে দিয়েছিল। দাদা সময়ের কাঁটা ধরে চলে। সময়ে পড়তে বসে। সময়ে খায়। সময়ে স্কুলে যায়। সময়ে ঘুমোয়। এবং সময়ে ঘুম থেকে ওঠে। ওকে সময়ের মধ্যে বসিয়ে দিয়ছে বাবা। চিনিয়ে দিয়েছে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার রাস্তা। দাদা খুশি মনে সময়ের নক্সীকাঁথা গায়ে দিয়ে বাবার নির্দেশ পালন করে। কারণ দাদা জানে তাকে অনেক তাড়াতাড়ি বড় হতে হবে। অনেক তাড়াতাড়ি সংসারের হাল ধরতে হবে। অনেক তাড়াতাড়ি ঝেড়ে ফেলতে হবে উদ্বাস্তু তকমা!

    ঠাম্মার ঘরের দিকে যেতে গিয়েই এক্কেবারে মায়ের সামনে পড়ে যাই। “রোজ রোজ পয়সা দিয়ে ওর বারোটা আর নাই বা বাজালেন!” মা ঝাঁঝিয়ে ওঠে ঠাকুমাকে। শীতের পড়ন্ত বিকেলের অন্ধকার ঘরের কোন থেকে... ছানি না কাটা চোখের কোঠর থেকে ভেসে আসে তীব্র মমতা। “থাক না বৌমা...মোটে তো দশ আনা!” মা হার স্বীকার করে না। “ওই দশ আনাই দশ দিনে একটা টাকা! আমার এক ব্যাগ কয়লার সাশ্রয়!...হাঁ করে দাঁড়িয়ে দেখছো কী? হয় বেরোও...না হলে হ্যারিকেন জেলে দিচ্ছি পড়তে বোসো।” অন্ধকারের কোণ থেকে ভাঙা গলায় একটি বারের জন্য যেন ঠাম্মা শেষ খড়কুটো ধরতে চায়... “আজ ওর দাদু বেঁচে থাকলে...কলাপোতার বাজারে...ভোলা ময়রার দোকানের চিট সন্দেশ এনে দিতো...”। ঝাঁঝিয়ে ওঠে মার গলা আরো। “রাখেন আপনার ওপারের কথা...শুনে শুনে কান পচে গেলো! যা যাবার তো গেছে। আমার ছেলে গুলো উচ্ছন্নে না গেলেই হলো!” কে যেন হাত ধরে আমাকে টানে।

    সবে সন্ধ্যে নামবে নামবে করছে। দেখি দাদা গলায় জড়িয়েছে একটা মোটা মাফলার। গায়ে দিয়েছে ফুল সোয়েটার। একটুতেই ওর ঠান্ডা লাগে। নাকের নীচে ঠোঁটের ওপরে কালো রেখার জমাট গম্ভীরভাব থেকে দাদা বলে “চল মাঠে যাবি চল।” ঘরের গুমোট ভাবটা নিমেষে হাওয়া হয়ে যায়। পল্টুর লাট্টুর মতো আমি পাক খেতে খেতে দাদার আগে ছুটি। “হ্যাঁরে দাদা তুই কোনোদিন চিট সন্দেশ খেয়েছিস?” দাদা গম্ভীর হয়ে মাথা নাড়ায়। না। খায়নি ও। “ঠাম্মা বলেছে...কলাপোতার ভোলা ময়রার দোকানে চিট সন্দেশ পাওয়া যায়।” আর কথা এগোয় না আমার। একটা লম্বা মিছিল আমাদের সামনে দিয়ে চলে যায়। “মালিকের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও। ইনক্লাব...জিন্দাবাদ...ধর্মঘট চলছে চলবে...মালিক তুমি দালাল হতে পারো না...পারো না...ভাতের বদলে রক্ত চাইতে পারো না...পারো না...”। গমগম করতে থাকে রাস্তাটা। মানুষজন সব থমকে যায়। যে লোকগুলো সারা রাতের শ্রমের স্নিগ্ধ ক্লান্তিটুকু নিয়ে হাঁদার দোকানে চা খেত সেই মানুষগুলোই কেমন যেন পালটে গেছে। মায়ের মতন খিটখিটে হয়ে গেছে। বুড়ো দারোয়ানটা আমাকে দেখলে এখন আর হাসে না। তার গ্রামের গল্প করে না। পাশ দিয়ে বয়ে চলা ছোট্ট কমলা নদীর গান শোনায় না। সারাক্ষণ ওরা জড়ো হয়ে বসে থাকে। নিজেদের মধ্যে কি শলা-পরামর্শ করে। বুড়ো বিহারীর খুনীকে না পাওয়া পর্যন্ত ওদের যেন শান্তি নেই। কারখানার গেট না খোলা পর্যন্ত ওদের উনুনে ভাত রান্না হবে না। সবাই ছাতু খেয়ে থাকবে। আমি একদিন ছাতু খেয়ে দেখেছি। ভালো লাগেনি তেমন। গোল গোল দলা পাকিয়ে ওরা একটু একটু ছাতু খায়। মন ভালো ভালো থাকলে গুণগুণ করে গান গায়। এখন ওসবের পাট উঠে গেছে। সারাক্ষণ কারখানার সামনে একটা ভাঙা তক্তপোষে ওরা বসে থাকে। আর আশায় থাকে কবে মালিক এসে ওদের সাথে কথা বলবে। কবে ওরা ওদের ন্যায্য টাকা পাবে। কবে ওদের লিডারের খুনী ধরা পড়বে। কিন্তু তেমন কিছুই হয় না। দিন এগোতে থাকে।

    চটকলের ধর্মঘট আজ কুড়ি দিনে পড়লো। এগুলো আমার জানার কথা নয়। ছোটদের সব কিছু জানতে দিতে নেই বলে বাড়ির বড়দের যে ফতোয়া জারী হয় তাতে তারা বুঝতে পারে না পরোক্ষভাবে এতে ছোটদের লাভ হয় বেশী। তারা লুকিয়ে হোক...ঘুমিয়ে থাকার ভান করেই হোক...কিম্বা অন্য কোনো উপায়ে শুনে নেয় সব কিছু। বুঝুক আর নাই বুঝুক নিষিদ্ধ যাবতীয় জিনিসের প্রতি তাদের তীব্র টান। যে টানের জন্য টুকনু অনেক ছোট থেকে জেনে যায় অনেক কিছু। তাকে তো জানতেই হবে। ছোট থেকেই সে ঠিক করে ফেলেছে একদিন এই সব নিষিদ্ধ জিনিস নিয়েই সে লিখবে “নিষিদ্ধ এক ইস্তেহার...”। যেখানে থাকবে শুধু তার লুকিয়ে লুকিয়ে গল্প শোনার কথা। আর না বলা দুষ্টুমির অঙ্ক গুলো। যদিও অঙ্কে সে প্রচন্ড কাঁচা। উলটো একে চন্দ্র লিখতে তাকে হিমসিম খেতে হয়। নামতা মুখোস্থ হতে চায় না। সেই সুযোগটার সদ ব্যবহার করতে চায় দাদা। “ভাই মিছিলে কটা লোক গোন তো। এই সামনে সারির টা গুনলেই হবে।” অতি চালাকের গলায় দড়ি দিয়ে আমিও গুনতে থাকি। তিরিশের পর খেই হারিয়ে যায়। দাদা আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার ফাস্ট হওয়া দাদা বলে ওঠে “পঁয়ষট্টি জন”।

    বড় মিছিলটা সরে যেতেই মিছিলের প্রান্তে যে মানুষটাকে দেখতে পেলাম তাকে সেখানে তখনি দেখতে পাবো বলে আশা করিনি। আমার ছোট ছোট পা...আর ছোট্ট একটা মন ছুট্টে গেলো লোকটার কাছে। সেও হাত বাড়িয়ে ধরলো আমাকে! “জানো গোরা নকশাল...ঠাম্মা বলেছে কলাপোতার ভোলা ময়রার দোকানে চিট সন্দেশ ছিল...”। লোকটার কালো দাড়ির মধ্যে একটা হাসির তরঙ্গ ওঠে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলে। দাদার থেকে একটু বড়। একে তো আগে কোনোদিন দেখিনি! চশমার ভেতর থেকে বড় বড় গোল গোল চোখ করে বলে “ আপনাকে নাম ধরে ডাকছে কমরেড!” ওরা দুজনেই হেসে ওঠে! আমার রাগ হয় গোরা নকশালের ওপর। চলে যেতে গেলে আমার হাত ধরে টানে ছেলেটা। “এই বুঝি আপনার টুকনু...? চে’র ছবিকে যে বলেছিল আপনার ভাই?” গোরা নকশাল হাসে। আমার রাগ আরো বেড়ে যায়। ইশ...আমার কথা গুলো আবার এই একদম কোনোদিন না দেখা একটা ছেলেকে বলে দিয়েছে? আমি আর দাঁড়াতে চাই না। ছেলেটাও আমাকে ছাড়ে না। “এই যে কমরেড টুকনু...তুমি কী জানো আজ থেকে আমি তোমাদের বাড়িতে থাকবো?” ধাক্কাটা খেতাম না। কিন্তু সত্যি যখন দেখলাম ছেলেটা আমাদের সাথে বসেই রুটি আর পেঁয়াজকলি ভাজা খাচ্ছে। খেজুরের গুড় হ্যাংলার মতো চেটে চেটে খাচ্ছে তখন রাগটা বেমক্কা গিয়ে পড়লো গোরা নকশালের ওপর। আমার পেঁয়াজকলি। আমার খেজুড়ের গুড়ে আমি কাউকে ভাগ বসাতে দেবো না। সে তুমি যতোই সাম্যবাদের কথা বলো না কেনো। কেউ আমার দিকে তাকায় না। বলে না... “আহা টুকনুর পাতে একটুও পেঁয়াজকলি নেই...ওকে একটু দাও...”। সবাই ছেলেটার সাথে কথা বলে। “শুনেছি এবার উচ্চমাধ্যমিকে স্টার নিয়ে পাশ করেছো?” মা বেশি করে পেঁয়াজ কলি তুলে দেয় ছেলেটার থালায়। আমার কান্না পায়। কিন্তু কে তাকায় আমার দিকে। বাবা বলে “পাশ কী বলছো? সোনার টুকরো ছেলে সুশান্ত! প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছে। সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে পড়তে চায় ভবিষ্যতে।” ছেলেটা লজ্জা পায়। মাথা নীচু করে থাকে। কিন্তু খাওয়াতে লজ্জা নেই। একবার তো না বল। একবার তো পেঁয়াজকলির থালাটা আমার দিকে আসুক। ছিঃ ছিঃ...এই নাকি হীরের টুকরো ছেলে। যা দিয়ে যাচ্ছে খেয়ে যাচ্ছে। ওরে না তো একবার বল। সব শেষ হয়ে গেল। “গোরার কে হও তুমি?” ঠাকুমার প্রশ্নের জবাবে এই প্রথম মাথা তুলে তাকায় সুশান্ত। “বন্ধু বলতে পারেন...! আমাদের কমরেড গোরা...।”

    “অতবড় লোকটা তোমার বন্ধু কী গো?” ঠাকুমা তল পায় না। ছেলেটা বলার আগেই বাবা বলে ওঠে “ওর বাবাকেও জেলে থাকতে হয়েছিল গোরার সাথে অনেকদিন মা...আর জেলেই ওর বাবা মারা যান।” হঠাৎই নিঃস্তব্ধতা নেমে আসে। ঠাম্মা অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে। “আহা রে...”। রাগের চোটেই হোক। দুঃখেই হোক। জেনেই হোক বা না নেজেই আমার হাত থেকে গ্লাস পড়ে যায়। ভিজে যায় পাশে বসা হাঁদার রুটি। জল গড়িয়ে আসন ভিজিয়ে দেয় ছেলেটার। মা মারতে উঠলে ছেলেটাই ঠেকায়। “ছোটদের মারবেন না। ওদের মারতে নেই।” মা থমকে যায়। এতো এক্কেবারে গোরা নকশালের মতো কথা বলে। আজ অবশ্য দেখেছি জুটমিলের সামনে বড় জমায়েতে কিসব বোঝাচ্ছিল ছেলেটা শ্রমিকদের। ওরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিল ছিপছিপে চশমা পড়া বছর ঊনিশের ছেলেটার কথা।

    লেপের তলায় শুয়ে মন খারাপ করা রাগ নিয়ে জানতে চাই... “দাদা...ছেলেটা কতদিন থাকবে রে?” দাদা আমার দিকে পাশ ফিরে শোয়। গায়ের ওপর লেপটা ঠিক করে দেয়। আমার চোখের ওপর পড়ে থাকা লম্বা চুলটা সরিয়ে দিয়ে বলে “চলে যাবে কালকে।” “গোরা নকশালের কাছে এসেছে আমাদের বাড়ি খাচ্ছে কেন?...থাকছে কেনো?” দাদা আমার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না। বিড়বিড় করে বলে “প্রেসিডেন্সি কলেজ কোথায় জানিস ভাই?” আমি মাথা নাড়াই “না”। “অনেক বড় কলেজ। অনেক বড় বারান্দা। সেই ব্রিটিশ আমলের। যারা খুব খুব ভালো পড়াশোনায়...তারা ওখানে পড়তে যায়।”
    “তোকে কে বলেছে?”
    “গোরা নকশাল। ...আরও বলেছে...আমি যদি সত্যি সত্যি খুব ভালো রেজাল্ট করতে পারি মাধ্যমিকে...উচ্চ মাধ্যমিকে...তাহলে আমি নাকি প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে পারবো।”
    দাদা পাশ ফিরে শোয়। আমি জানি এখন ও কলকাতার বড় কলেজের স্বপ্ন দেখবে। প্রেসিডেন্সি কলেজের লম্বা বারান্দার ওপর দিয়ে হাঁটছে। ক্লাস করছে। কাল ভোরে উঠে আবার অঙ্ক কষতে বসবে। নকশালকে দানা খাওয়াবে। স্নান করাবে। দাদা নকশালকে ভালোবাসে। কিন্তু দাদা জানে না আসলে নকশাল হল পায়রাদের টাইটেল। “যারা উড়তে পারে তারাই নকশাল”। হাঁদা আমাকে বলেছিল। সেইবার নকশাল প্রথম এসেছিল আমাদের বাসায়। হাঁদা হাতে করে দানা খাওয়াতো আর বলতো... “সময়ের সাক্ষী থাকবি তুই নকশাল...যেখানে পারবি উড়ে বেড়াবি...আমি তোর ডানার পালক কেটে দেবো না কোনোদিন”। হাঁদা কোনোদিন পালক কাটেনি নকশালের। নকশাল এখানে ওখানে উড়ে বেড়ায়। ক্ষিদে পেলে নেমে আসে উঠোনে। ঘুরে ঘুরে দানা খায়। বাড়ির সবাই ভালোবাসে নকশালকে। শুধু আমি ছাড়া। তক্কে তক্কে থাকি...কোনদিন এসে হুলোটা ওর ঘাড় মটকাবে। ঠিক হবে।

    বাইরে এই এতো রাতে কারা যেন কথা বলছে। বাবা না? এখনো ঘুমোতে যায়নি বাবা? উত্তরের হাওয়ার মতোই আমার কানে কথা গুলো ভেসে আসতে থাকে।
    “গোরা এগুলো কি ঠিক হচ্ছে? সুশান্ত ওই টুকুনি ছেলে... ফুলের মতো ওরা... বোঝেটাই বা কী? এখন ওদের পড়ার সময়...নিজের মতো সুশান্তর জীবনটাও তুই কি চাস জেলের পেছনে কাটুক? কিম্বা গুম হয়ে যাক? ...”
    গোরা নকশাল উত্তর দেয় না। তার চোখ তখন রবিদার বাড়ির পাশে ফোটা সন্ধ্যামণি গাছটার দিকে। গাঢ় সবুজ রঙের পাতার পাশে থোকা থোকা লাল ফুটিয়ে রেখেছে গাছটা। হঠাৎ গোরা নকশাল বলে ওঠে...
    “গাছেরা ঘুমিয়ে পড়লে কি ফুলেরাও ঘুমিয়ে পড়ে রবিদা?”

    বাবা কোনো জবাব দিয়েছিল কিনা টুকনু জানে না। কারণ টুকনু তখন ঘুমের মধ্যে চলে গিয়েছে ঠাকুমার খুলনার কলাপোতার গ্রামে। ভোলা ময়রার দোকানটা খুঁজছে টুকনু। ওখানে নাকি ভালো চিট সন্দেশ পাওয়া যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ মার্চ ২০১৬ | ১২৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kallol Lahiri | 90.6.195.29 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৫৮56909
  • Swopner mato lekha ekta,...ek nihshwase pore fellam...e lekha uponyas hoye uthte paare na ki? Jodi othe, opekkshaay thaakbo.
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.26.191 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:৪৪56910
  • এই সিরিজটাকে ওপরে তুললাম এই আশায় আরো মানুষ পড়বেন। আমার নিজের অসামান্য লেগেছিল এটা। মায়াময় গদ্য। সকলে পড়লে খুব ভাল লাগবে
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৫56911
  • সবকটা পর্বের একই নাম দিলে তো গুলিয়ে যেতে পারে। এটা 'গোরা নকশাল (দুই)' করে দিলে হয়না? আমার প্রস্তাবে লেখক রাজি থাকলে করে দেব।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৯56912
  • আপনি আগে যেমনি আগের পর্বগুলোর তলায় অ্যাপেন্ড করে দি্চ্ছিলেন, সেরকমও করতে পারেন।
  • রৌহিন | 233.223.132.52 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৮56913
  • এই লেখাটা সত্যি বড় মায়াবী। পড়তে পড়তে কেমন মন খারাপ লাগে
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৩৮56914
  • অপূর্ব
  • Kallol Lahiri | 127.194.13.116 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৮56915
  • ধন্যবাদ সবাইকে। আসলে খুব একটা কমেন্ট করতে পারি না। ফেসবুক থেকে গুরুর একাউন্ট খোলা। সেই প্রথম থেকে লক্ষ্য করছি ফেসবুকের কেউ বন্ধু লেখায় তার সিদ্ধান্ত দিলে সেটা আমার একাউন্ট থেকে দেখাচ্ছে। নিজের আই ডি থেকে নিজেকে প্রশংসা বড় লজ্জায় পড়েছিলাম প্রথমে। ঈপ্সিতা ভুলটা ভাঙান। এটা নাকি অদৃশ্য 'বাগ' এর কান্ড। আপনারা যে আমার লেখা ধৈর্য্য নিয়ে পড়ছেন আমি আপ্লুত। এবং শাক্যজিৎ আমাকে আরো অনেক কিছু লেখার জন্য তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। তারই উৎসাহে গুরুতে আসা। ভালো থাকবেন সবাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন