এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নিট- ডালভাত না বিরিয়ানি?

    Anik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ মে ২০১৬ | ২১৪৫ বার পঠিত
  • ‘একটা ঘুমের ওষুধ বলবি বাবা? প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল ছেলেটা ঘুমোয়নি ঠিক করে, পড়াশুনোও তো করতে পারছে না কিছুই’

    পাড়ার এক কাকুর ফোন। আমাকে যতটা স্নেহ করেন, আমি প্রায় তার কাছাকাছিই স্নেহ করি তাঁর ছেলে প্রবীরকে—এ বছরের রাজ্যের ছিয়াত্তর হাজার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকের সাথেই একবার জয়েন্ট দিয়েছিল—মেডিক্যালে দু’হাজারের আশেপাশে র‍্যাঙ্কও আসে—সিদ্ধান্ত নেয় আবার একবার বসবে জয়েন্টে। পাড়াতেই ছোট্ট ভুষিমাল দোকান বাবার, ছেলে স্বপ্ন দেখে স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে পাড়ার সবার জন্য খসখস করে ওষুধ লিখবে একদিন। পদার্থবিদ্যা বা রসায়ন নিয়ে বিশেষ কিছু সাহায্য করতে না পারলেও ওকে মাঝেমাঝেই জীববিদ্যা নিয়ে টিপস দিতাম—উচ্চমাধ্যমিকের সাথে জয়েন্টের পার্থক্য, কোথা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে, কোন বই থেকে কীভাবে পড়লে ভালো হয় এইসব। খুব খাটছিল, প্রস্তুতিও বেশ ভালো। এই সেদিনও হেসে বলেছিল—দাদা সতেরো তারিখ জয়েন্ট আর উনিশ তারিখ ভোটের রেজাল্ট, জীবনটা একই থাকবে না কিছু পরিবর্তন হবে দেখাই যাক।

    আমি আর ওকে বলতে পারিনি, একটা লড়াইয়ের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রস্তুতি এবং যোগ্যতা থাকলেও সবসময় আমরা জিততে পারিনা। তার কারণটাকে মাথা নাড়িয়ে চুকচুক করে মোটাদাগে কিছুজন ‘ভাগ্য’ বলেন আজও। জয়েন্টে র‍্যাঙ্ক করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়া যাদের কাছে ভাগ্য তাদের কাছে নন্দীগ্রামও ভাগ্য, অনুব্রত- আরাবুলও ভাগ্য আর ভারতের মঙ্গলায়নও ভাগ্য। অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাও দাবী করে সর্বোচ্চ মাত্রার প্রস্তুতি এবং পারদর্শিতা। যারা জানেন না তাদের জন্য একটা ছোট্ট উদাহরণ—জয়েন্টে একটা নম্বরের জন্য প্রায় পঞ্চাশ র‍্যাঙ্কের হেরফের হয়ে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে একশ। আবার, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক আর জয়েন্ট—পরীক্ষা হিসেবে এক গোত্রভুক্তও নয়। তার প্রশ্নের ধরণ, পরীক্ষা দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গী সবই আলাদা। সেই দৃষ্টিভঙ্গী আয়ত্ত করে, সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রস্তুতি নিয়েও আজ প্রবীর এবং তার মত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী জয়েন্ট নামক দৈত্যটার সাথে লড়াইয়ের আগেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে, গত একমাসের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন নাগরদোলা খেলার পুতুল হওয়ার শেষে অ্যালপ্রাজোলাম খুঁজছে একটু ঘুমোনোর জন্য। তার কারণটা হল—এদেশের অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই, জয়েন্টের ক্ষেত্রেও নীতিনির্ধারকদের খামখেয়ালিপনা আর দূরদর্শিতার অভাব।

    ২০১২ তে প্রথম ডাক্তারি প্রবেশিকার ক্ষেত্রে সারাদেশব্যপী অভিন্ন ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি অ্যান্ড এন্ট্রান্স টেস্ট’ সংক্ষেপে ‘নিট’ পরীক্ষার কথা ঘোষনা হয়। প্রধান দুটি যুক্তি হল—এক, ছাত্রদের অনেকগুলি এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এবং আর্থিকভাবে যে অসুবিধা হয় তা দূর করা এবং দুই, ছাত্র ভর্তির নামে বিভিন্ন প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির ভরদুপুরে কোটি কোটি টাকার ডাকাতির ব্যবসা বন্ধ করা। কিছু রাজ্য এবং মূলত প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলির তীব্র বিরোধিতার কারণে সেই বছর আর নিট হয়নি। ২০১৩ তে প্রথম নিট হয়—পরীক্ষা নেয় সিবিএসই বোর্ড। প্রশ্নপত্র হয় ইংরেজি এবং হিন্দি—এই দুটি ভাষায় এবং এরাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, ’১৩ তে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জেলার বাংলা মাধ্যমের ছাত্রের সংখ্যাটা হাতে গোনা। অনেক আগে থেকে জানা সত্ত্বেও বোর্ডভিত্তিক সিলেবাসের আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকার জন্য এবং ভাষার সমস্যার জন্য সেইসব ছাত্রছাত্রীরা কেউই বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের মধ্যে প্রস্তুতি বা যোগ্যতার কিন্তু খামতি ছিল না। কিন্তু যেই নীতিনির্ধারকেরা বলে দিলেন ‘এইটা হবে’ এবং কিছুতেই বলে দিলেন না ‘এইটা কীভাবে হবে’ তখনই তাদের প্রস্তুতির সংজ্ঞা পাল্টে গেল, যোগ্যতার মাপকাঠি বদলে গেল। যে ছেলেটা শেষ পনেরো বছর মাতৃভাষায় পড়ে এসেছে তার কাছে যোগ্যতার নতুন মাপকাঠি হয়ে গেল ইংরেজি ভাষায় দখল, যে মেয়েটা শেষ দু’বছর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের বইগুলি পড়েছিল তার কাছে প্রস্তুতির নতুন সংজ্ঞা হয়ে দাঁড়ালো সম্পূর্ণ অন্য সিলেবাসভিত্তিক এনসিইআরটির বইগুলো এক মলাট থেকে আরেক মলাট পর্যন্ত পড়ে ফেলা। সেটা হঠাৎ একদিন ঠান্ডাঘরে বসে টাইখানা ব্লেজারের মাঝখানে গুছিয়ে যোগ্যতমের উদবর্তন কপচে বলে দেওয়াই যায় ‘হয় করো নয় মরো’, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা কোনও তিন মিনিটে তীব্র বশীকরণ এবং সকল সমস্যা সমাধানের ভন্ড শো নয়, এটা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। ব্যক্তিগত স্তরে একটা ছেলে বা মেয়ের ডাক্তার হয়ে ওঠা ছাড়াও যার সাথে ভবিষ্যতে একটা সমাজ এবং তার মানুষের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রশ্ন জড়িয়ে থাকে।

    যাইহোক, ’১৩র জুলাইতেই সুপ্রীম কোর্টে প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের বেঞ্চ ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে নিট বাতিল করল। কারণ তা বিভিন্ন রাজ্য এবং সংখ্যালঘু বা ভাষাভিত্তিক সংরক্ষিত কলেজগুলির ক্ষমতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। তারপর গত দু’বছর ধরে সর্বভারতীয় পিএমটি পরীক্ষার পাশাপাশি আলাদা করে রাজ্য মেডিকেল জয়েন্টও হয়ে এসেছে রীতি মেনেই। এবছরও ঠিক ছিল পয়লা মে হবে সর্বভারতীয় পিএমটি এবং সতেরোই মে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স। হঠাৎ ১১ই এপ্রিল মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট রায় দিলেন তাদেরই নেওয়া নিট বাতিলের সিদ্ধান্তটিকে আবার বাতিল করে ফিরিয়ে আনা হবে সর্বভারতীয় এক ও অভিন্ন নিট। কোনও রাজ্য বা প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ বা সংরক্ষিত কলেজ আর আলাদা করে পরীক্ষা নিতে পারবেনা। প্রবীরেরা একঝটকায় মাঝদরিয়ায়। তবে রাজ্য আশ্বাস দিল যে চিন্তা নয়, রাজ্য জয়েন্ট হচ্ছেই। ভালো কথা। ২৮শে এপ্রিল, সর্বভারতীয় পিএমটির তিন দিন আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধিতার উত্তরে সুপ্রীম কোর্ট জানালেন এবছর নিট হচ্ছেই, এবং শুধু যে হচ্ছেই তা নয়, পয়লা মের সর্বভারতীয় পিএমটিকে গণ্য করা হবে নিট ১ হিসেবে, ২৪শে জুলাই হবে নিট ২। যারা সর্বভারতীয় পিএমটির জন্য ফর্ম পূরণ করেনি না কেবলমাত্র তারাই দেবে নিট২। দুটি আলাদা প্রশ্নপত্রে হওয়া দুটি পরীক্ষার একসাথে একটাই ফলাফল প্রকাশিত হবে! অর্থাৎ যারা সর্বভারতীয় পিএমটি আর রাজ্য জয়েন্ট—দুটির জন্যই ফর্ম পূরণ করেছিল কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্য জয়েন্ট (শতকরা নব্বইজন ছেলেমেয়েই তাই করে) তারা শুধু নিট ১ দিতে বাধ্য থাকবে এবং শুধুমাত্র নিট১ এর ফলাফলের ভিত্তিতেই ভর্তি হতে পারবে। অন্যদিকে যারা নিট ২ দেবে তারা প্রায় তিনমাস বেশি সময় পাবে ঠিকই কিন্তু সিলেবাস এবং ভাষার জন্য সেটাকে কতটা কাজে লাগাতে পারবে জানা নেই। প্রবীরেরা প্রবল বিভ্রান্ত—প্রথম দল বুঝেই উঠতে পারছিল না তিন দিন বাদের নিট ১ আদৌ দেবে কিনা। যদি কেউ নিট ১ এর ফর্ম পূরণের পরেও পরীক্ষা না দেয় তবে কি সে নিট ২ দিতে পারবে? কেউ জানে না! আগেরবারের মতই এবছরটা ছাড় দিয়ে কি পরের বছর থেকে নিট হবে? কেউ জানে না! সত্যিই রাজ্য মেডিকেল জয়েন্ট হচ্ছে না? তাহলে যে অ্যাডমিট দিয়ে দিল আর তাতে মেডিকেলের উল্লেখ আছে? কেউ জানে না! সবশেষে ৯ই মে সব বিতর্কের অবসান—হচ্ছে না রাজ্য জয়েন্ট। নিট ২ বহাল থাকছে, তবে চাইলে মুচলেকা দিয়ে নিট ১ এর বৈধতা বাতিল করে প্রথম দলের কেউ নিট ২ দিতে পারে।

    পরীক্ষার ঠিক আগে এই অনিশ্চয়তা আর তার মানসিক চাপের কথা ছেড়ে দিলেও কয়েকটা প্রশ্ন উঠে আসছে। নিটের স্বপক্ষে প্রধান যুক্তিগুলির দিকে তাকানো যাক। প্রথমত, এরাজ্যে তথা এদেশে হাতে গোনা ছেলেমেয়ে রাজ্য জয়েন্টের বাইরে অন্য পরীক্ষা দেয়। তার একটা কারণ, রাজ্য বোর্ডের সাথে রাজ্য জয়েন্টের সিলেবাসের অভিন্নতা, দ্বিতীয় কারণ ভাষা এবং শেষ কারণ ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে থাকলে নিজ রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিতেই পড়া যায়। সর্বোপরি একজন ডাক্তারি পড়ুয়া ডাক্তার হয়ে নিজের শেকড়েই ফিরে আসার ইচ্ছে রাখে, এবং যতদূর বোঝা যায়, সরকারও তাইই চান। সিবিএসই বোর্ড নিয়ন্ত্রিত, শুধুমাত্র ইংরেজি আর হিন্দি ভাষায় হওয়া নিট শেষ পর্যন্ত গ্রামের কোন বাংলা মাধ্যমের ছেলেটার স্বার্থে কথা বলছে? উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করা জয়েন্ট পরীক্ষা আর পরবর্তী পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়া তো এক জিনিস নয়—ফলে ডাক্তারি পড়তে গেলে ইংরেজি না জানলে চলবে না, এই কুযুক্তিই বা আসছে কেন? এরপরে ভবিষ্যতের প্রবীরের বাবারা ব্যবস্থা করবে ভুষিমাল দোকানটা বেচেও ছেলে যেন ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ে। স্কুলের যেটুকু ভূমিকা আছে নষ্ট হবে সেটুকুও আর ভিড় বাড়বে কাগজে ছবি বেরোনো নামকরা কোচিং সেন্টারের দরজায় যেখানে লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্বপ্ন তৈরি হয়। ডাক্তার তৈরি হবে, কিন্তু তৈরি হবে শহরের হাজার স্কোয়ার ফিট থেকে, শহরেরই হাজার স্কোয়ার ফিটের জন্য। যে প্রজাতির হাতে গোনা কয়েকজন আজও গ্রামে যাওয়া, গরীবের সেবা করা—ইত্যাদি প্রলাপ বকে তারাও রেড ডাটা বুক ভুক্ত হয়ে পড়বে। আর দ্বিতীয় যুক্তি নিয়ে বলার, বেসরকারি কলেজগুলোতে যারা ডাক্তারি পড়তে যায় তারা ডোনেশানের অঙ্কটা জেনে তবেই যায়। অসাধুচক্র ভাঙার উদ্যোগটি যথেষ্ট তালিয়া কুড়োনোর মত হলেও নিট দিয়ে সেটা কতটা আটকানো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ’১৩ তে নিট হওয়ার বছরেই খবরের শিরোনামে আসে ব্যাপম কেলেঙ্কারি—বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির শেকড়টা কতদূর বিস্তৃত আমরা দেখেছিলাম সেদিনই।

    শহরের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের, পাঁচখানা প্রাইভেট টিউটর থাকা, বড় কোচিং সেন্টারে সাপ্তাহিক মক টেস্ট দেওয়া ছেলেটার কাছে জয়েন্ট হল ঝাঁ-চকচকে কেরিয়ার গড়ার পরীক্ষা, মুকুটে আরেকটা পালক গোঁজার পরীক্ষা। কিন্তু গ্রামের অনেক প্রবীরের কাছে জয়েন্টটা একাধারে স্টেথোর স্বপ্ন, অন্যধারে জীবনযুদ্ধে বেঁচে যাওয়ার একমাত্র পরীক্ষা। কলকাতায় কেউ জয়েন্ট না পেলে ভেসে যায় না, গ্রামে পরিবারশুদ্ধ যায়। ভবিষ্যতের সমাজে কোন ডাক্তারেরা ডাক্তারি করবেন আর কারা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে—জয়েন্টটা সেই পরীক্ষাও বটে। ডালভাত আর বিরিয়ানির মধ্যে পার্থক্যটা আর কেউ বুঝতে শিখুক না-শিখুক, এদেশের নীতিনির্ধারকেরা বুঝবেন সেই আশাই করার। আপাতত ২৪শে জুলাইয়ের জন্য নিজেকে ছাপিয়ে গিয়ে নতুনভাবে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে প্রবীরকে, লাগবে নতুন মাত্রায় প্রস্তুতি। বাইশে শ্রাবণের শেষ দৃশ্যের জন্য প্রবীরদের জন্ম নয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ মে ২০১৬ | ২১৪৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    P=NP - Pradhanna Mitra
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১৯ মে ২০১৬ ০৩:৩৬54711
  • লেখা ভালো ও সময়োপযোগী। তবে জয়েন্ট সর্বস্বতার থেকে বেরোনো যায়, গ্রামের ছেলেমেয়েদের-ও এরকম একটা বার্তা দিতে হবে।
  • apps | 11.39.57.215 (*) | ১৯ মে ২০১৬ ০৭:২৯54712
  • ওপরের কমেন্টের সাথে একমত।
  • ranjan roy | 192.69.163.166 (*) | ১৯ মে ২০১৬ ০৮:১৬54713
  • b এর সঙ্গে একমত।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৯ মে ২০১৬ ০৮:৪৯54714
  • আই কিউ টেস্ট চালু করলে হয় না?
  • rivu | 140.203.154.17 (*) | ২০ মে ২০১৬ ০৪:১৭54717
  • খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন