এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জলধরবাবুর ভবিষ্যদ্দর্শন

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ মে ২০১৬ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • [
    জলধরবাবুকে যারা চেনেন না, তাদের জন্যে -
    <http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=9&pid=content/bulbulbhaja/1208670233203.htm#.UkUW9j_IanE>



    <http://www.guruchandali.com/blog/2013/10/25/1382657543822.html>
    ]

    ভাগ্যের ফেরে জলধরবাবু আবার পরভূমে নিজবাসী। সেও নয়-নয় করে আজ তিন বছর হতে চলল। আবার সেই সিলিকন ভ্যালি। আবার সেই হাঁপ-ধরানো ঊর্ধশ্বাস। আবার সেই জিনিসের দাম দেখে খাবি। আবার সেই চাকরি নট হবার ভয়। সাড়ে তিন বছর যে সময় দিয়ে গেলেন অ্যামেরিকাকে, যা নিজের মতন করে পাল্টে নে - কোথায় কী! শুধু ফাঁকি, শুধু ফাঁকি। হওয়ার মধ্যে, চাকরির বাজারখানা পোক্ত হয়েছে ভালমতন। বিশেষত এই ভ্যালিতে তো তার বেশ গাঁট্টাগোঁট্টা অবস্থা। ট্যাক্স বেড়েছে ওবামার দয়ায়। ঢাকঢোল পিটিয়ে, এই-গেল-গেল হেঁচকি তুলতে তুলতে এসে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে ওবামাকেয়ার। তিনি আসা ইস্তক শোনা যাচ্ছে অনেকের খুবই সুরাহা হয়েছে, বিশেষত গরীব ও কালোদের। জলধবাবুর হয়েছে লবডংকা। বরং মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম বেড়েই চলেছে, চলেছে, চলেছে। এতদ্‌সত্বেও প্রগতিশীল হবার আকাঙ্খায় সোনামুখে সে সব মেনেও তো নিচ্ছেন বেমালুম!

    এদিকে গেল তিনবছরে প্রযুক্তির রমরমা দেখে জলধরবাবুর চক্ষু চড়কগাছ। দীর্ঘদিন কাজ করছেন টেকনোলজির এই শিশুশয্যায়, এই যৌবনের উপবনে, এই বার্ধক্যের (বালাই ষাট) বারাণসীতে। এত তাক-লাগান কাজকারবার তো আগে দেখেননি! এবার দেখলেন। একেবারে চর্মচক্ষে। দেখলেন মাউন্টেন ভিউ শহরে স্বচালিত মোটরগাড়ি গাভীর মতন চরে বেড়ায়। দেখলেন লোকের কব্জিতে কব্জিতে উত্তরভারতীয় গান্ডার মতন ফিটবিট বা জ-বোন। লোকের হাতে-হাতে স্মার্টফোন। তবে সে নামেই ফোন। কথা হয় অল্পই। সব কাজই অ্যাপ দিয়ে বোতাম টিপে। ট্যাক্সি ডাকতে ইউবার কি লিফট। হোটেলের বদলে এয়ার-বি-অ্যান্ড-বি দিয়ে ব্রেড-অ্যাান্ড-ব্রেকফাস্ট। কথার বদলে মেসেজিং আর চ্যাট। স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটস্যাপ। কত বাহারি নাম। খাবার অর্ডার দিতে অ্যাাপের শেষ নেই। ভূভারতের যত আ্যাপ পেয়েছে, গুগল আর অ্যাপেল নামক মন্দার বোসেরা সব এনে জড় করেছ। জলধরবাবুর মুহূর্মুহূ খাবি খেতে খেতে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

    অভ্যস্ত হয়ে ভাবতে বসলেন জলধরবাবু। ভাবনা-টাবনা কঠিন জিনিস। জলধরবাবুর ভাল আসেও না, খালি ছেৎরে যায়। কিন্তু জলধরবাবু বুঝতে পারছেন যে শেষের সে দিন আসন্ন। হয় এসপার কি ওসপার। আধুনিক ভাষায় বলতে গেলে, হয় এবার নয় নেভার। কাজেই জল-টল খেয়ে ভাবতে বসলেন তিনি। প্রথমেই ধরা যাক এই সেলফ-ড্রাইভিং কারের কথা। এ আর রূপকথা নয়। এবার সত্যিই বোধহয় এসে পড়ল। হুড়মুড়িয়ে।

    শোনা যাচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তি এতটাই লায়েক হয়ে যাবে যে রাস্তাঘাটে নাকি পাঁচ মিলিয়ন চালকবিহীন গাড়ি ঘোরাফেরা করবে। এর আর বছর পাঁচেকের মধ্যে উত্তর অ্যামেরিকায় ট্রাকার, মানে ট্রাকচালকদের চাকরির বাজার একেবারে মায়ের ভোগে। টোটাল গনগনাগন গন। একে অবহেলা করার কোন সিনই নেই। শুধু অ্যামেরিকাতেই ৩৫ লাখ ট্রাকার। এনাদের সবার রুটি-রুজি যাবার পথে। তার সঙ্গেও নিশ্চয়ই উবে যাবে ট্রাকার্স স্টপ নামক সরাইখানাগুলো। সেখানের কর্মচারী থেকে শুরু করে সেখানকার দেহপসারিনী - সব্বাইকার রুটিরুজিই মায়া হবার পথে।

    আর একটু এগিয়ে ভাবলেন জলধরবাবু। তিনি একটা আপিসে চাকরি করেন। সক্কাল-সক্কাল গাড়ি চড়ে যান আর বিক্কেল-বিক্কেল গাড়ি চড়ে ফিরে আসেন। জলধরবাবুর গিন্নিও আর একটা আপিসে চাকরি করেন। তিনিও সক্কাল-সক্কাল গাড়ি চড়ে যান আর বিক্কেল-বিক্কেল গাড়ি চড়ে ফিরে আসেন। এই দুই চড়ার মাঝে দুটি গাড়িই দুটি ভিন্ন আপিসের ভিন্ন পার্কিং লটে বসে রোদ-বৃষ্টি চাখে আর মালিক-মালকিনের জন্যে অপেক্ষা করে। এখন এই গাড়িরা যদি নিজে চরে বেড়াতে শেখে, তাহলে তাদের সারাদিন বসে বসে বোর হতে হয়না। জলধরবাবুকে আপিসে নাবিয়ে সে দু-চারটে খেপ মেরে আসতে পারত। চাই কি, আপিস যাওয়া-আসার টাইম একটু এদিক-ওদিক করে নিলে জলধরবাবুর আর জলধরগিন্নির দুটো আলাদা গাড়ি লাগতই না। পয়সারও প্রচুর সাশ্রয়, গাড়িরও একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি। জলধরবাবু আরও ভাবলেন। গাড়িবাবাজী যখন এতটাই লায়েক হল, তখন সে মেয়েদের ইশকুল থেকে আনা-নেওয়াও করতে পারে আরামসে। সেদিন আর বেশি দেরি নেই। ভাবতেই জলধরবাবু উঠে একপাক নেচে নিলেন অনাস্বাদিত মুক্তির আসন্নতায়।

    কিন্তু। এই কিন্তুতেই আটকে গেলেন তিনি। আরও যত ভাবতে লাগলেন তত ঘেমে উঠতে লাগলেন তিনি। যত মনকে বলে, "ওরে থাম, থাম, আর ভাবিসনি", বেয়াড়া মন ততই নিজের মনে এঁকেবেঁকে জলধরবাবুর নাগাল এড়িয়ে সাঁইসাঁই করে এগিয়ে চলে, সেলফ-ড্রাইভিং ভাবনার মতন।

    পয়সা সাশ্রয় হল বটে, ওদিকে কিন্তু গাড়ির বিক্কিরির চাহিদা গেল কমে। গাড়ির ব্যবহার বাড়ল, কিন্তু যেহেতু ইউসেজ এফিশিয়েন্সি বাড়ল, সংখ্যায় গাড়ির চাহিদা কমে গেল। গাড়ি কোম্পানি মাথায় হাত। আর মাথায় হাত পড়ল সে কোম্পানিতে যারা কাজ করে। ট্রাকারদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাকরিও ধীরে ধীরে উবে যেতে থাকল। যদিও গাড়ির জীবন - বছরের হিসেবে - সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে, কারণ প্রতিদিন এখনকার তুলনায় গাড়ি বেশি মাইল চলবে। কিন্তু মোট গাড়ির সংখ্যা যাবে কমে। এর সঙ্গে কমে যাবে মোটর মেকানিকের ও তৎসম্পর্কিত চাকরি। আর যেসব কোম্পানি সেই মোটরগাড়ির যন্ত্রপাতি তৈরি করে তারাও ফেল মারার পথে। যন্ত্র গাড়ি চালালে অ্যাক্সিডেন্ট-টেন্ট কম হবে। কী হবে ইন্স্যুরেন্স কম্পানিতে যারা কাজ করে, তাদের?

    এছাড়া ভাবতে হবে সিকিউরিটির ব্যাপারটা। জলধরবাবুর মেয়েরা যে মহিলার গাড়িতে ইশকুল থেকে বাড়ি ফেরে তিনি নাহোক বিশ্বাসী মহিলা। তবে সাবাধানের তো মার নেই! সেলফ-ড্রাইভিং গাড়ি এসে গেলে সে দিক থেকে বাঁচোয়া। দুষ্টু লোক হতে পারে, দুষ্টু গাড়ি তো আর হবে না! আর তক্ষুনি মাথায় জেঁকে বসে হ্যাকিং-এর দুশ্চিন্তা। হাইটেকে কাজ করার ফলে জলধরবাবু বোঝেন আজকের দিনে কোন সফটওয়্যারই আষ্টেপৃষ্ঠে সিকিওর করা কত শক্ত, প্রায় অসম্ভব। আর সফটওয়্যার সিকিউরিটি যদি চলে ডালে ডালে, তবে নিত্যনতুন হ্যাকিং-এর আইডিয়া চলে পাতায় পাতায়। গাড়ির সফটওয়্যার যদি হ্যাক করে দুষ্টুলোকেরা গাড়ি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায়! হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় জলধরবাবুর।

    মুখ শুকিয়ে যেতে যেতেও জলধরবাবু কিঞ্চিৎ আশার আলো দেখতে পেলেন। টিমটিমে, তাও আলো। এই গাড়িগুলো, গাড়ির কলকব্জা, সফটওয়্যার ইত্যাদি দুষ্টুলোকেদের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে চাই নতুন নতুন টেকনোলজি। সফটওয়্যার সিকিউরিটির টেকনোলজি উন্নত না করলে এই জালাবৃত দুনিয়ায় আর আশা নেই। আর সেই টেকনোলজি বানাতে, তার রক্ষণাবেক্ষন করতে তৈরি হবে নতুন নতুন চাকরি।

    কিন্তু যত চাকরি যাবে তত চাকরি কী আর অন্য জায়গায় তৈরি হবে? শুধু তো আর সেলফ-ড্রাইভিং কারের উৎপাত নয়। আরও অনেক বড় উৎপাত নিয়ে আসছে রোবটকুল। রোবট ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। রোবট, ড্রোন ও তৎসহ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভরা কম্পিউটার সিস্টেম। এই তো গেল হপ্তায়ই চীনের এক বড় কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার - যারা অ্যাপেলের মতন কোম্পানিরও মাল তৈরি করে - ফক্সকন জানিয়েছে যে তারা ৬০০০০ লোকের কাজ খেয়ে সেই জায়গায় রোবট বহাল করেছে। জলধরবাবুর দুটি কথা মনে পড়ে গেল। প্রথমেই মনে পড়ল ছেলেবেলায় পড়া সত্যজিৎ রায়ের একটি লিমেরিক -

    রামফাঁকিবাজ চাকর জোটে সাধনবাবুর ভাগ্যে।
    বাবু বলেন, "রোবট রাখি, চাকরগুলো যাক্‌গে"।
    রোবট হল কাজে বহাল
    তার ফলে আজ বাবুর কী হাল -
    রোবট বলে, "কই রে ব্যাটা?", বাবু বলেন "আজ্ঞে!"

    আর দুই, আরেক ছেলেবেলার কথা। কলকাতা মহানগরীর একটি ব্যাঙ্ক তাদের আপিসে কম্পিউটার আমদানী করতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন সরকারের তাঁবেদার শ্রমিক ইউনিয়ন সেই যন্ত্রদানবের আগমন ভাল মনে নেয়নি। চাকরি হারানোর আশঙ্কায় কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার নিয়ে এমন আন্দোলন করেছিল যে শুধু সেই ব্যাঙ্কেই কম্পিউটারের আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুধু তাই নয়, তার পরের বেশ বহু বহু বছর কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার আনার কথা শুনলেই সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের কাপড়ে-চোপড়ে হয়ে যেত। ট্রেড ইউনিয়ন সন্ত্রাসবাদের সে এক দিন ছিল বটে। তৎপরবর্তীতে জলধরবাবু যখন কলেজ-টলেজে পড়েন, এই কম্পিউটার-বিরোধী বিপ্লবের খুব ছ্যা ছ্যা করেছিলেন নাহক। আজ নিজের আর নিজের মেয়েদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে প্রায় একইরকম চাকরি খোয়ানোর রক্তচক্ষু উপলব্ধি করে খুব যে উজ্জীবিত বোধ করলেন তা তো নয়ই, বরং কিররকম যেন নিজেকে ট্রেড ইউনিয়ন বিপ্লবীদের আত্মীয় বলে মনে হতে লাগল

    (চলতে পারে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ মে ২০১৬ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Arpan | 233.227.14.4 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:১৭53145
  • "আর লেভেল ওয়ান সাপোর্ট জব তো অটোমেট হওয়া শুরু হয়ে গেছে। মেশিন নিজেই নিজেকে টিকিট অ্যাসাইন করছে, প্রবলেম বের করে ফিক্স করছে। নিজে না পারলে একটা মানুষকে অ্যাসাইন করছে, বেশ কয়েকবার - তারপর কোনো প্যাটার্ন পেলে সেটা শিখে নিচ্ছে। আগামী বছর দুইয়ের মধ্যে বিপিও উঠে যাবে।"

    ওপেনস্প্যান, ইউআইপাথ আর ব্লুপ্রিজম এই তিনটেতে সার্টিফিকেশন করার নিদান এসেছে।
  • T | 165.69.181.90 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:১৯53147
  • দ্রিদা, আমি রিয়েলিটি কিনা সেটা বলছি না। আমি বলছি হার্ডওয়্যারটা বানানোর পরের অবস্থাটার কথা। এই ব্যাপারগুলো সবচেয়ে বেশী ইউজফুল হবে বা হচ্ছে অ্যাসিস্টিভ রোবোটিক্সে। কিন্তু এই স্টেজ থেকে পরের স্টেজে যাওয়ার মতো ম্যাথমেটিক্স সিমপ্লি নেই। সেসব কখনো আবিষ্কার হবে সেই সম্ভাবনাও আদৌ আছে কি!

    অজ্জিতদা, বিভিন্ন রোবোট লোকোমোশন ভালোই এগিয়েছে। প্রতি বছর আইসিয়ারএ তে আলাদা সেগমেন্ট থাকে, ওখানে প্রকাশিত পেপারগুলোতে পাবে। এছাড়া বস্টন ডায়নামিক্স।
  • Arpan | 233.227.14.4 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:১৯53146
  • তবে এগুলো সবই নন কগনিটিভ। একটা সময়ের পরে আর ভ্যালু অ্যাড করে না। কগনিটিভ অটোমেশন ইজ দ্য ফিউচার।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২০53148
  • হাতে টাট্টু-র মধ্যে চিপ বসিয়ে দিয়ে, হেলথ কন্ডিশন মনিটর করছে -
  • পাগলা জগাই | 131.241.218.132 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২১53149


  • প্রপার মেগাট্রনিক্সের এখনো ঢের বাকি আছে।
  • পাগলা জগাই | 131.241.218.132 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২২53150
  • কগনিটিভ অটোমেশন = ডীপ মাইন্ড + ওয়াটসন
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২৩53151
  • প্রচুর লিংক আছে । বালির ওপর দিয়ে হাঁটার জন্যে ফ্লিপার বট আছে । বায়পেদাল ওয়াকিং এচিভ করা গেছে । লাথি মারলে গুবরে পাকর মত উল্টে না গিয়ে সামলে নেবে ,এদ্দুর করা গেছে । সিক্স লেগ রোবট ফর কমপ্লেক্স সারফেস ও আছে । এদাপ্তিভ লোকমষণ নিয়ে অফ মাল্টিলেগ রবো নিয়ে ভিডো আছে । তবে এগুলো মার্কেট প্রডাক্ট হিসেবে আসা সময়ের ব্যাপার ।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২৪53152
  • ওহ এইত , টি লিখে দিয়েচে :)
  • পাগলা জগাই | 131.241.218.132 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:২৫53153
  • ওগুলো ঠিক আছে, কিন্তু কতটা অ্যাডাপ্টিভ সন্দ আছে। কগনিটিভ তো নয়ই। নইলে গোলিটা অম্নি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায়? এই ফুটবল খেলাটাও আইসিআরএ টাইপ কনফারেন্সের।
  • পাগলা জগাই | 131.241.218.132 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:৩৩53154
  • রোবটের মধ্যে প্রসেসিং পাওয়ার ঢোকালেই সেটা পাগলের মত কস্টলি হয়ে যায় - এখনো অবধি। সেই কারণে দেখছি MIT বা স্ট্যানফোর্ডে রুম্বা-র ওপর ল্যাপি বসিয়ে কাজ করছে। একটু কম্পিউট করতে পারার মত রোবটের হেব্বি সাংঘাতিক দাম। সেইটা অ্যাফোর্ডেবল না হলে বাজার নেবে না।
  • T | 165.69.181.90 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:৩৪53155
  • অজ্জিতদা, ঐ ফুটবল খেলাটা প্রসঙ্গে। দ্যাখো এইটা বেসিক্যালি একটা হাইপ এবং ফান্ড টানার চেষ্টা। ব্যাকগ্রাউন্ডে যে কম্পিটিটিভ গেম প্রসেসটা চলছে তার স্ট্র্যাটেজি ইনিউমারেশনটা তো হেবি চাপের। গুচ্ছের সমস্যা রয়েছে। ফলে আন্ডারগ্র্যাডরা যা করে সেটা হ'ল বিচ্ছিরি লেভেলের ডিস্ক্রিটাইজেশন করে নেয় একদম শুরুতে। মানে স্রেফ ডান বা আগে পিছে এইরম যেতে পারবে আর কি। বাকিটা প্রোগ্র্যামিং ইত্যাদি।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:৩৮53156
  • সবই হচ্ছে শুধু দেয়ালে হাঁটা রোবো হচ্ছেনা :( থ্যাপ থ্যাপ করে নয় ।
  • দ্রি | 208.50.200.131 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৮:৪১53157
  • জগাই, অ্যাডাপ্টিভ, বা কগনিটিভ না হয়েও যদি কিছু কাজ করে ফেলা যায়, তাহলে সেই সেক্টরের কাজ গেল।

    আর তাছাড়া এইসব নিয়ে কাটিং এজ কাজ করে ডিফেন্স কোম্পানীগুলো। সেই কাজ ম্যাক্সিমামই ক্লাসিফায়েড। সময়কালে দেখা যাবে, যখন আসল যুদ্ধ বাধবে। এখনই সব দেখে ফেলবেন নাকি?

    কামিকাজে ড্রোন এখন রিয়েলিটি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন