এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • এই দেশ, ২০১৯: নতুন কী দেখছি

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৪৭৯ বার পঠিত
  • পশ্চাতে রাখিছ যারে, আজ পশ্চাতে লাগিছে– এমন একটা লাইন জোগান দিয়েছিল বটে চন্দ্রবিন্দুর আদ্যিকালের কী-গান। কথাটা এই দেশের পক্ষে এই মুহূর্তে চমৎকার মানানসই। দ্বিতীয় দফার গেরুয়ারাজ্যে বিজেপি এ বার বপু বাজিয়ে নেমে পড়েছে ময়দানে। প্রথমে কাশ্মীর দিয়ে শুরু, এনআরসির উনিশ লাখে গুরু, রামমন্দিরে মহাগুরুর পরেও চমক ঈষৎ বাকি ছিল, বিধাতা বর্ষশেষের জন্য মুচকি হেসে অন্তিম তাসটি সংরক্ষিত রেখেছিলেন: ক্যাব। কিন্তু কে না জানে, বছর এত তাড়াতাড়ি ফুরোয় না। ক্লোজারের কাছাকাছি গিয়েও গল্প অপ্রত্যাশিত বাঁক নেয়, যা হওয়ার ছিল সুনিখুঁত অন্ত্যমিল-বাঁধানো উপন্যাসের হ্যাপি এন্ডিং, হয়ে গেল ল্যাংমারা আখ্যানবিশেষ।

    রামমন্দির হয়ে যাওয়ার পর, কী আর করব, একা ঘরে ল্যাজ নাচিয়ে ভাবছিলাম, এর কোনও বদলাটদলা হবে না? সুশীল, সুস্থিত, সুখী নাগরিক অবশ্য দাঙ্গাটাঙ্গার কথা শুনলে অপ্রস্তুতেই পড়বেন, কিন্তু দাঙ্গা শুধুই কলকাঠি নাড়ানো চক্রান্ত-কারসাজি নয়, ক্ষেত্রবিশেষে সবাক সামাজিক গোষ্ঠীর ভাষাও বটে। উৎসমুখ অবশ্য তখন খোলে নি, খুলল পরে, যখন ক্যাব হল, প্রথম আগুন জ্বলল অসমে, 'জাতিবিদ্বেষী' মর্মে কারেক্ট মহল থেকে এল তুমুল ধিক্কার, আর ছড়িয়ে গেল বাংলায়। এলোপাথাড়ি সে' বিক্ষোভের কোনও প্যাটার্ন নেই, সুনিয়ন্ত্রিত লক্ষ্যও নেই, কেবল আছি-গোছের হ্যাঁ-বাচক প্রতি-ক্ষমতা জাহির ছাড়া। কিন্তু তা-ই বা কম কী! সেই আন্দোলন সংগঠিতও ছিল না, কিন্তু প্রতিবাদের অঞ্চলে যে বরফ জমছিল, একেবারে মূক হয়ে যাচ্ছিল গণপরিসরে একটি বিশেষ সম্প্রদায়, তার বদলা শুরু হল, একটু একটু করে গণতন্ত্রের রাস্তা খোলা শুরু হল। লক্ষ্য যতই বিভ্রান্ত এলোমেলো হোক না কেন, তার ভাষা শনাক্ত করা নেহাত অসম্ভব নয়: বিক্ষোভকারীরা যখন আক্রমণ করলেন ভারতীয় রেল ও ন্যাশনাল হাইওয়ে-কে– ডকুমেন্টসহীন কাগজরহিত অবৈধ অরাষ্ট্রীয় জীবনে রাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যূনতম লেনদেনের দুটি উপায়। কলকাতায় বসে তখন সুশীল সম্প্রদায় আঁকুপাঁকু করছিলেন 'এ কেমন প্রতিবাদ!' মর্মে, যে বিক্ষোভে মারা যান নি এক জনও, তফাতের মধ্যে কিছু সরকারি সম্পত্তির বোঝা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সম্পত্তি আজ বাদে কাল ওমনিই সওদাগরের পকেটে চলে যেত। এই সুশীলেরা সম্ভবত বিস্মৃত হয়েছিলেন যে প্রতিবাদকে তার বহুস্বরে ছাপিয়ে ওঠার স্পেসটুকু খুঁড়ে দেওয়ার মধ্যেই ঔদার্য নিহিত, এই অ-ফেসবুক যাপন যদি তার মত করে রাস্তা করে নেয়, করুক না, এই প্রতিরোধ এমনই হয়, অমন যে মোহনদাস গাঁধী তাঁরও কাতর সত্যাশ্রয়ী উপরোধ রাখে নি চৌরিচৌরা, এ' আবেদন তো তুশ্চু, তো যৌবনজলতরঙ্গ রুধিবে কে? এঁরা বিস্মৃত হয়েছিলেন যে রাস্তা আটকানো, বাস জ্বালানো এগুলো দীর্ঘকাল ধরেই আমাদের সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিভাষায় লেজুড়, এঁরা ভুলে গিয়েছিলেন আফরাজুল টু আসিফা, প্রতিটি ঘটনায় বর্ণহিন্দু মধ্যশ্রেণি-নিয়ন্ত্রিত এঁদের এইটবি থেকে দক্ষিণাপণ সুচারু সতর্ক পদক্ষেপরাজি, নট ইন মাই নেম উক্তিতে গিটারপ্রক্ষেপণ, এবং এই সমস্ত আন্দোলন-ব্যবস্থার ব্যর্থতা। নাহ্, বলছি না এ সবই অদরকারি, বরং বলছি, প্রতিবাদের ও জানান দেওয়ার ভাষা যদি আলাদা হয়, সেই ভিন্নমতকে সম্মান করব না? সব কিছুকে টেনে আনতেই হবে খরতানিরোধক সিভিল সোসাইটির রোদচশমায়, এবং টেনে এনে এনে সেই হাল করব যা আমাদের এন্তার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিণতি হয়েছে: শ্বাসরুদ্ধ এক্সপ্রেশনবিহীন জড় মিটিংমিছিল, যার পর ছোটলোক নেহাতই মিউজিয়মে সংরক্ষিত চমৎকার দৃশ্যমান সামগ্রী, যার দিকে সবিস্ময় নয়ন মেলি আমরা উদগারান্তে বলব, আহা, কী আন্দোলনটাই না হয়েছিল সেই বেয়াল্লিশ সালে, দ্যাখো, এঁরাও ছিলেন! এঁরা বিস্মৃত হয়েছিলেন যে একটি আন্দোলন শুধু বাচ্যার্থে নয়, বরং তার ক্রিয়াশীলতাতেও গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠে প্রকৃত অর্থে, যখন সে অনেকান্ত মতাদর্শকে সবুর করতে পারে, আন্দোলনের একটেরে লম্বা ছাতায় এঁটেসেটে সব ধরিয়ে দেওয়ার বদলে।

    বিবেকী সিভিলকুলকে স্বস্তি দিয়ে অবশ্য এই বিচ্ছিন্ন, হম্বিতম্বিময় আন্দোলন বেশি স্থায়ী হল না। হ্যাঁ, সমর্থনের ছদ্মবেশে এই লেখাতেও দুষ্প্রবেশয় বর্মের ফাঁকফোকরে ঢুকে পড়েছে স্থাণু বিষয়বৎ 'ওই' আন্দোলনকে দেখার নির্মাণপ্রয়াস, এবং আমি জানি, যা অভ্যেস ও উত্তরাধিকার, এমন ঘটবেই। তার চে' বরং সময়রেখাটা নেড়েচেড়ে দেখা যাক– কী হল এর পর? না, সরাসরি দেশের মুসলিম ইউনিভার্সিটিগুলিকে টার্গেট করা হল, তাঁরাও প্রতিরোধ গড়লেন। এই লেখা লেখার সময় উত্তরপ্রদেশ নয়া বধ্যভূমি, মার্কেটে এসে গেল আদিত্যনাথ ব্র্যান্ডিংয়ের হিন্দুত্ব, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর মোসায়েবরা অগণন মিথ্যে কথা বলছেন হররোজ, হুঙ্কার চলছে, এনআরসি হবেই, এনপিআর হবেই। তথাপি এই পুলিশি দমন আর মিডিয়ামথিত দামড়া প্রচারবলয়ের সমান্তরালে ঘটছে আরও একটি জিনিস: পশ্চাতে থাকা লোকজন রাষ্ট্রের ও ব্যবস্থার পশ্চাতে কাঠি করিতেছেন। যে মুসলমানদের ধরে রাখা হত যে ও তো মার্জিনের লোক, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী জানবে, আগে বিডিওর নাম জানুক, ও ভোট কাকে বলে জানে না, শাহরুখ খান দেখে নি, বিরাট কোহলিকে চেনে না, সেই মুসলমান, হ্যাঁ, আজ সব চেয়ে বেশি রাজনীতি সচেতন। যে মুসলমানকে নিয়ে ধরা হত ও তো গোষ্ঠী আর সম্প্রদায় নিয়ে ভাবিত, সে আজ নিরাবেগ যুক্তির কাঠিন্যে সব চেয়ে সংলগ্ন রাষ্ট্রনীতির কিসিম নিয়ে: সে ভাবিত তার নাগরিকত্ব, তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে। এই সিদ্ধান্ত যেন তাকে এক ঝটকায় টেনে এনেছে অনাদৃত পরিধি থেকে সটান কেন্দ্রের কাছাকাছি। এবং সেই ভাবনার সবটুকু, এতখানিও, মুসলমান বলে নয়, যতটা নাগরিক বলে। গণতান্ত্রিক দেশ, কাজ করে খাই, হকের জমি, জন্মেছি এই মাটিতে, অতএব নাগরিক। শাহি ইমামকে ছুঁড়ে দিচ্ছে শীতদিনের জামা মসজিদের ভিড়। আবার এমনটাও ভাবা ভুল হবে, সবটাই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার যুগ্ম খেলামাত্র, কেন-না, ইন্টারনেট আছে, পাবলিকের টুঁটি চিপে ধরতে চাওয়া অটোক্রেটিক রাষ্ট্র আছে, যা চোখ রাঙাচ্ছে, না শুধু কোনও সম্প্রদায়কে নয়, বরঞ্চ ব্যক্তিকেও। এক অশ্রুতপূর্ব রাজনৈতিক সচেতনতায় ম-ম করছে মুসলমান সমাজ, যাদের এত দিন আমরা ঔদাসীন্যে আর তাচ্ছিল্যে ভাবতাম ও তো প্রান্তের মানুষ, ও আর পলিটিকসের স্টেকহোল্ডার কতখানি। কিন্তু এই সচেতনতার মধ্যে এমন এক সেকুলার মুসলমান সমাজের জাগরণ ঘটছে, যার অংশভাক আছে রাষ্ট্রনৈতিক লেনদেনে, আর সেই লেনদেন কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ কিংবা গোষ্ঠীচেতনার ফসল নয়। যে কোনও ছোট পথসভা বা জমায়েতেও ভিড় জমছে মুসলমানের, আগ্রহী চোখ, পর পর পিঠোপিঠ প্রশ্ন বুঝিয়ে দিচ্ছে চালিত করার প্রথানুগ মোবিলাইজেশন এ নয়, বরঞ্চ এক সন্দিগ্ধ ক্রিটিকাল ভিড়, যা এক দিকে স্বতঃস্ফূর্ত, অন্যত্র যুক্তিমুখী– আবেগী নয়। এই ভিড়েও আশ্চর্য অংশগ্রহণ, যে এত কাল পশ্চাতেরও পশ্চাতে পড়ে ছিল, যার অক্ষরজ্ঞান নেই, যে বড়জোর টিপসই দেয়, যার ডকুমেন্ট নেই, সেই মুসলিম নারীর। কুর্নিশ।

    মজাটা অন্যত্র। খেলা বদলে গিয়েছিল বিজেপি আসার পর। আদর্শের ঘণ্টা না-কি বেজে গেছে, পোস্ট-ইডিওলজির যুগ, ভুবনগ্রামে রাজনীতি নেহাতই দূরত্বে বসে সোফাসেটে উপভোগযোগ্য সোপ অপেরা, সান্ধ্য খেউড়, চটুল বিনোদনমাত্র। ভোটে চাকরি আর ইস্যু হয় না, কিন্তু দিলীপ ঘোষের গরু আর সোনার থিসিস হয়। কোনটা দরকার আর কোনটা অদরকার যেন গুলিয়ে গেছে, রাজনীতিতে নাগরিকের আর হক নেই, জনপ্রতিনিধিরও দায় নেই সমষ্টিকে প্রতিনিধিত্বের, নাগরিক নেমে গেছে বাধ্যতাসীন অধস্তন প্রজাবিশেষে। তার এক বাহু লয়ে ডানা মেলে অর্ণব গোঁসাই যদি-বা, অন্য প্রান্ত কুণাল কামরা। ফুলটুস ফুর্তি– শপিং মলের খরিদ করা ব্র্যান্ডেড পণ্য যেমন হয়। তাতে চয়েস নিহিত থাকে, উইল থাকে না। বাঁ দিকের টি শার্টটা চমৎকার ম্যাচ করবে জিন্সটার সঙ্গে, ঠিক যেমন ইভিএমের বাঁ দিকের বোতামটা লেসার ইভিল। অতএব কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা আসে, মানুষ কি আদপেই স্বেচ্ছাবলীয়ান জীব না কি তার চেতনা বিভ্রমবিশেষ– অ্যালগোরিদমের খেয়ালি কারুকাজমাত্র, এমন তর্ক ওঠে। গণতন্ত্র স্তিমিত হয়ে পড়ে, নিশিপ্রলাপে ডাক দিয়ে যায় আসন্ন রোবটতন্ত্রের কুচকাওয়াজকে। এ রকম সমস্ত ব্যাধিঘোর, ভেবেছিলাম, খোয়াবে ছিলাম, এবং ভুল ছিলাম। হিন্দু-অধ্যুষিত সিভিল সোসাইটি এই অতল পাঁকে তলিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু তার বাইরে পশ্চাতে থাকা লোকজন, এখনও যায় নি। যায় নি বললে বোধ হয় রীতিমত আন্ডারস্টেটমেন্টই হবে, বলা ভাল– সে'ই আজ স্থাপনা করছে নতুন রাজনৈতিক চেতনা, গণতন্ত্রের প্রথম অক্ষর। সে প্রতিবাদ করছে, দ্বিমতে শান দিচ্ছে, জড়ো হচ্ছে, জমায়েত করছে, প্রশ্ন করছে, বক্তৃতা শুনছে। শীতল, অসুস্থ ও বরফচাপা যে অনন্ত গহ্বরে আমাদের রাজনীতি তলিয়ে যাচ্ছিল, তার থেকে মুক্ত করে, এই দস্তুরশীতের মধ্যে গণতন্ত্রের ভাষা জোগানোর জন্য আমাদের মত বিনোদনমুখর চপল পণ্যরতিশ্রান্ত জনসমাজের নিতান্ত ধন্যবাদটুকু এঁদের প্রাপ্য। এ-ই, ২০১৯'র শেষ পাত, দশকের শেষ মাসটি চিনিয়ে দিয়ে গেল। হয়তো উপন্যাসপ্রতিম যবনিকা নামত, কিন্তু নামল না, কী সব ভাঁড়েরা এসে দখল করল গোটা মঞ্চ, আর জানিয়ে দিয়ে গেল, স্টেজে পর্দা পড়তে এখনও, এখনও ঢের দেরি!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৪৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন