এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অ্যান্টনির বেহালা

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৬১৮ বার পঠিত
  • তখন আমি এফডি ব্লকে মুস্তাফির নেটে খেলতে যাই। আমার নিজের কোন ব্যাট ছিল না। ইংলিশ উইলো আর কোত্থেকে পাব! বাবা কাশ্মীরে কাজে গেছিল। একটা কাশ্মীর উইলোর ব্যাট এনে দিয়েছিল। সে ব্যাটে খেলা হয়নি। আসলে ব্যাটটা একেবারে কাঁচা, কারখানা থেকে কেনা। দেশের সব ভাল ব্যাট কাশ্মীরে তৈরি হয়। সেখান থেকে বম্বে-দিল্লি-কলকাতায় গিয়ে মহাজন কি সাইমন্ডস ব্র্যান্ডে বিক্কিরি হয়। বাবা জানত না যে ব্যাটে তখন অয়েলিং-ও হয়নি। অয়েলিং করে নকিং করে খেলব, এই ছিল বাসনা। সে সব আর করে ওঠা হয়নি। কাজেই একেবারে আনকোরা, নতুন অবস্থাতেই ওটা ছিল। এদেশে চলে আসার সময়ে কি ভেবে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। কিছুদিন চোখে চোখে ছিল। তারপরে কোথায় ঢুকে গেল। কিন্তু হারায়নি। রাজ্য বদলালাম, সেও সঙ্গে সঙ্গে এল। আবার উধাও হয়ে গেল। প্রতিবার বাড়ি বদলাই, কোথা থেকে সে মুখ বের করে। নতুন বাড়িতে সঙ্গী হয়। প্রতিবার ভাবি, কাউকে দিয়ে দেব। তারপরে শ্রীমান আবার হারিয়ে যান।

    আমার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী চৈনিক। অ্যামেরিকায় এসে নাম হয়েছে এডোয়ার্ড, এড লি। একদিন কথায় কথায় ওকে ব্যাটটার কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম, ভাল উইলো ছাড়া ক্রিকেট ব্যাট হয়না। এক শনিবার সকালবেলায় দেখি এড দরজা ধাক্কাচ্ছে। "তোমার ক্রিকেট ব্যাটটা একটু দেবে? আমি এক্ষুনি ফেরত দিয়ে যাব।" দিয়ে দিলাম। প্রৌঢ়োর্ধ চৈনিক ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে কী করবে কে জানে! খানিক বাদে এড ব্যাট হাতে ফিরে এল। সটান বলল, "তুমি আমাকে এটা বিক্রি করবে?"
    - বিক্রি?
    - হ্যাঁ। তুমি তো বললে এটা ব্যবহার কর না।
    - তা করিনা। তবে ...
    - কত দাম লাগবে বল, আমি দিয়ে দিচ্ছি। তুমি তো এক-দু বছর অন্তর ইন্ডিয়া যাও। পরের বার আরেকটা কিনে নিও।
    - দামের ব্যাপার নয়, এড। সেন্টিমেন্ট আছে একটা। আমার বাবা না-চাইতেই এটা এনে দিয়েছিল। বাবাও আর নেই। তা তুমি এটা দিয়ে কী করবে?
    - আমি না। অ্যান্টনির লাগবে।
    - অ্যান্টনি? সে কে?
    - আরে একজন আমার বাড়িতে প্রতি শনিবার আসে, দেখনি? বারবারার বেহালা সারিয়ে দেয়। ওর আসল নাম অ্যান্টনিও। ইট্যালিয়ান। ইংরিজিও বলতে পারে না। কিন্তু বেহালাটা খাসা সারায়। এবার নিজের থেকেই বলেছে বারবারার জন্যে একটা ব্রান্ড নিউ বেহালা বানিয়ে দেবে। দুতিনরকম কাঠ নিয়ে এসেছে। খালি উইলো আনেনি। ওর জন্যেই উইলো লাগবে। ক্যালিফর্নিয়ার নেটিভ উইলো দিয়ে নাকি হবে না। তোমার ব্যাটের কথা বললাম। তাই দেখতে চেয়েছিল। বলল ব্যাটের উইলো দিয়ে নাকি দিব্যি কাজ চলে যাবে।

    বারবারা এডের ছোট মেয়ে। খুব ভাল বেহালা বাজায়। এই বয়েসেই স্যান ফ্র্যান্সিসকো সিম্ফনির সেকেন্ড ভায়োলিনিস্ট। ইয়ো ইয়ো মা-র সঙ্গে নিয়মিত টুর করে। আমি বললাম, "ঠিক আছে নিয়ে যাও। তাও অন্তত একটা ভাল কাজে লাগবে। টাকাকড়ি লাগবে না, এমনিই নিয়ে যাও। একদিন বরং বারবারাকে বলো বেহালা শুনিয়ে দিতে।" এড, "অবশ্যই, অবশ্যই" বলে চলে গেল। তারপরে নিশ্চয়ই বেহালা-টেহালা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। মাস তিনেক পরে এড একদিন আমাদের ডিনারে ডাকল। বারবারাও ছিল। বেহালা বাজিয়ে শোনাল। আমি তো ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকালের রসে বঞ্চিত, কিন্তু অবাক মানতে হয় বেহালার আওয়াজে। জিগেস করলাম অ্যান্টোনিওর খবর। এড বলল যেমন এসেছিল, তেমনই উধাও হয়ে গেছে। লোকটাকে আমিও দেখেছি। বুড়ো ইটালিয়ান। রেমব্রান্টের সেলফ-পোর্ট্রেটের মতন দেখতে। বারবারা বলল লোকটা যেরকম বেহালা সারিয়েছে, যে কোন প্রোফেশনাল দোকানে হাজার কয়েক টাকা নিয়ে নিত। একটা নতুন বেহালাও বানিয়ে দিয়েছে। সেও অতি অল্পে। সেটাই বারবারার মূল যন্ত্র এখন। আজ সেটাই বাজাল। তারপরে আমরা ডিনার করলাম। ডিনারের পরে এড সুখবরটা দিল। বারবারা শিকাগো সিম্ফনির ফার্স্ট ভায়োলিনিস্টের চাকরি পেয়ে গেছে। স্যান ফ্র্যান্সিসকো সিম্ফনিও খুব ভাল, কিন্তু রিকার্ডো মুটির ব্যাটনে শিকাগো সিম্ফনিকে অ্যামেরিকার সেরা সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা বলেই ধরা হয়। এ এক দারুণ খবর। আমরা সব বারবারাকে অভিনন্দন জানালাম। সত্যিই খুব খুশি হবার মতন খবর। সে পরের সিজনে শুরু করবে শিকাগোতে। এখন কিছুদিন এখানেই আছে। একদিন ফেয়ারওয়েল ডিনারে ডাকব বলে বিদায় নিলাম।

    কদিন পরে বেশ রাত করে আপিস থেকে ফিরছি, দেখি এডের বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে। কী হল রে বাবা! একটু বাদে আরও দুটো পুলিশের গাড়ি আলো-টালো জ্বালিয়ে এসে থামল। তারও কিছুক্ষণ পরে এড ফোন করে আমায় ডাকছে, "একবার আমার বাড়িতে আসতে পারবে?" গিয়ে দেখি ওদের বাইরের ঘরে তিনজন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে একজন অচেনা লোক। বারবারা একটা সোফায় বসে। মনে হল কাঁদছে। আর সামনে টেবিলের ওপর সেই নতুন বেহালাটা। অচেনা লোকটার নাম স্ট্যানলি। সে নাকি নিউ ইয়র্ক ফিলহার্মনিকে বাজায়। ট্যুর করতে স্যান ফ্র্যান্সিসকো এসেছিল। সঙ্গে ছিল স্ট্যানলির ঠাকুর্দার সূত্রে পাওয়া একটি স্ট্র্যাডিভারিয়াস বেহালা। আজকের দিনে তার দাম কিছু নাহোক দেড়-দু মিলিয়ন ডলার হবে। গেল শনিবার রাতে প্রোগ্রাম সেরে হোটেলে ফিরে স্ট্যানলি দেখে যে তার স্ট্র্যাডিভারিটি খোয়া গিয়েছে। তার জায়গায় সে বয়ে নিয়ে এসেছে খুব বেশি হলে একটি হাজার পাঁচেক ডলার দামের একটি বেহালা। স্ট্র্যাডিভারিয়াস খোয়া যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। পুরো স্যান ফ্র্যান্সিসকো পুলিস ডিপার্টমেন্ট ইজ্জতকা সওয়াল বলে মাঠে নেবে পড়েছে। আজ নাকি বারবারার বেহালাটা সিম্ফনির প্র্যাকটিসে দেখে আর আওয়াজ শুনে স্ট্যানলি এটিকে তার স্ট্র্যাডিভারি বলে শনাক্ত করে। আর সেই সূত্রে পুলিশসহ এডের বাড়িতে হানা। এড পুলিশকে অ্যান্টোনিওর গল্পটা বলেছে। আর সেই সূত্রেই সালিশি মানতে আমাকে ডেকে আনা।

    বড় পুলিশ আমাকে জিগেস করল, "তুমি ওই ইটালিয়ান বুড়োকে দেখেছ?" আমি বললাম, "হ্যাঁ, দেখেছি একবার-দুবার এডের বাড়ি থেকে বেরোতে। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা এই বেহালা তো আমার ব্যাট দিয়েই তৈরি। কাজেই প্রায় চোখের সামনে এটা তৈরি হতে দেখেছি। তাছাড়া স্ট্র্যাডিভারির যন্ত্রে নিশ্চয়ই কোন চিহ্ন থাকে। এ যন্ত্রে সে চিহ্ন পাচ্ছ কি?" পুলিস বলল, "সেখানেই গোলমাল। লেবেল নেই। কিন্তু লেবেল তো তুলেও ফেলা যায়। মনে হচ্ছে শেষ অব্দি এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।" স্ট্যানলি ওর ফোনে স্ট্র্যাডিভারির বেহালার লেবেলের একটা ছবি দেখাল। ল্যাটিনে কি সব লেখা। আর তলায় স্ট্র্যাডিভেরিয়াসের সই। অ্যান্টোনিও স্ট্র্যাডিভেরিয়াস হল সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকের বেহালার কারিগর যার নামে এই বেহালার এত খ্যাতি। স্ট্যানলি বলল, "এ বেহালার যা আওয়াজ, শুনেই যে কেউ বলে দেবে এ স্ট্র্যাডিভারিয়াস। জান তো প্রত্যেক বিখ্যাত বেহালা ব্র্যান্ডের নিজস্বতা আছে। আমাটির আওয়াজ স্ট্র্যাডিভারির থেকে আলাদা, স্ট্র্যাডিভারির আওয়াজ গুইয়েরনারির থেকে আলাদা।" বারবারাও মাথা নেড়ে সায় দিল কথাটার। পুলিস এডকে বলল, "ওই ইটালিয়ান বুড়োর কোন ঠিকানা আছে তোমার কাছে?" এড বলল, "ঠিকানা-টিকানা নেই। খালি নিজের নাম আর ইটালিয়ানে কি লিখে দিয়েছিল একটা কাগজে খুলেও দেখিনি। দাঁড়াও দেখি যদি খুঁজে পাই।" এই বলে এড ভেতরে চলে গেল। একটু বাদে ফিরে এল একটা ড্রাই ক্লিনারের রসিদ নিয়ে। আমাদের পাড়ার মোড়ের "পল'স স্টিম অ্যান্ড ড্রাই ক্লিনিং"-র রসিদ। এড বলল, "হাতের কাছে আর কোন কাগজ ছিল না বলে এটাই দিয়েছিলাম।" আমরা হামলে পড়লাম। উল্টোদিকে নীল কালিতে লেখা "অ্যান্টোনিও স্ট্রাডিভেরিয়াস, নাম্বার ২ পিয়াজ্জা স্যান ডমেনিকো, ক্রিমোনা, ইতালিয়া। ১৮ ডিচেমব্রে, ১৭৩৭।" আর তার তলায় টানা হাতে লম্বা সই। সবাই স্বীকার করলাম এই সইটাই স্ট্র্যাডিভারিয়াসের লেবেলের ছবিতে আমরা দেখেছি। আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগের এক কারিগরের।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৬১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • paari na | 450112.129.4590012.59 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪১49974
  • না না আমার কুনো খটকা লাগে নি, লেখকের নাম আগে না দেখলে তো ধত্তেই পাত্তুম না ভূতের গপ্পো হতে যাচ্ছে!
    খাশা ও চমত্কার!
  • সুকি | 90045.205.012323.46 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৮49975
  • এই সব গল্পে খটকা ধরতে নেই - ব্যপক হয়েছে গল্পটা।
  • Biplob Rahman | 340112.231.236712.110 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪০49969
  • কাশ্মিরী ইউলো ক্রিকেট ব্যাট, তাও কারখানা থেকে কেনা, রং চড়ানোর আগে! খটকা নং -১।

    ক্রিকেট ব্যাট ভেংগে বেহালা! রাখলাম রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল কেস নাকি? খটকা নং-২।

    বেহালা শুনেই ওয়ারেন্ট ছাড়া বাড়ির ভেতরে পুলিশের হানা!
    খটকা নং-৩।

    খোদ স্ট্রাডিভেরিয়াসের ভূত এসে বেহালা বানিয়ে দিয়ে উধাও! ডাবল খটকা, নম্বর নাই।

    এবারের ফ্যান্টাসিটা একটু পানসে লাগলো। সরি।
  • ন্যাড়া | 2390012.31.560112.149 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৪49970
  • ১ - নেজ্জলা সত্যি। আমার ওই ব্যাট ছিল।
    ৩ - এখানে পুলিশ এসে অনুসন্ধান করত বাড়িতে ঢুকে কথাবার্তা বলতে পারে। বাড়িতে ঢকে গৃহকর্তার অনুমতি নিয়ে। অনুমতি-ছাড়া ঢুকতে বা সার্চ করতে গেলে সার্চ-ওয়ারেন্ট লাগে।
  • dc | 232312.178.4556.106 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৭49971
  • ভালো লাগলো।
  • :-? | 781212.194.120123.236 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫২49976
  • কিন্তু গল্পটা আগে পড়া কেন? কোথায়?
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:০৩49972
  • ভাল্লেগেছে।
  • ন্যাড়া | 1278.202.5634.85 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:২৮49977
  • ফেসবুকে পড়েছেন হয়ত।
  • গেছোদাদা | 342323.176.3456.46 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:২৬49973
  • আরে বাঃ, ন্যাড়াদা।

    তুমুল লেগেছে।

    অবন্তীপুরা থেকে পামপোরা অব্দি রাস্তার দুধারে সার দিয়ে ব্যাট বানানোর কারখানা আর দোকান। কাছ থেকে দেখেছি ব্যাট বানানো। চারপাঁচবার কিনেওছি ওখান থেকে। আর আম-আঁটি আর স্ট্র‍্যাডির সম্বন্ধে প্রেম (পুরোটাই প্লেটোনিক) স্কুলে পড়ার সময় থেকে ফেলুদা-র একলব্যগিরি করে করে।

    দুটো মিলিয়ে গল্পটা অনবদ্য লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন