এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রাতের ঢাকা শহর

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ মার্চ ২০১৯ | ২২৫৩ বার পঠিত
  • ঢাকা শহরের নানা সমস্যা। দুই একদিন আগে দেখলাম সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিয়ায় ওপরের দিকে নাম ঢাকা শহরের। যারা ঢাকা শহরে থাকে বা থেকেছে তারা জানে নাগরিক জীবনের নানা সমস্যা আষ্টেপিষ্টে জরিয়ে আছে। বাতাস শুধু দূষিত না এ শহরের, আরও কত কী যে দূষিত তার কোন হিসেব নেই। খাওয়ার পানিতে সমস্যা, হাঁটার মত ফুটপাথ নাই, নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য কোন জায়গা নাই, গন পরিবহনের অবস্থা কল্পনাও করা যায় না, নারী দিনে রাতে সমান ভাবে অনিরাপদ, কিছু এলাকায় আবর্জনা এত জমে থাকে যে সে মুখি হওয়াও যায় না। আরও আরও নানা রকমের সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা। কিন্তু তবুও কেন মানুষ ঢাকায় পড়ে থাকতে চায়? কিছুই কী নেই শহরের মাঝে যা আটকিয়ে রাখে মানুষ কে? শুধুই কী টাকা উপার্জনের জন্য বাধা পড়ে থাকে এখানে সবাই? সরকারের নানা রকমের ব্যর্থতা আছে ঢাকাকে নিয়ে। সবাই কেন ঢাকায়ই থাকতে চায় তা নির্ণয় করা খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু অজ্ঞার কারনে সব সরকার শুধু ঢাকাকেই তিলোত্তমা করার চিন্তা করে গেছে, বিকেন্দ্রীকরণের চিন্তা খুব একটা কার্য ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। কিন্তু সবাই কী বাধ্য হয়েই ঢাকায় থাকে? নাকি কেউ কেউ ঢাকার প্রেমে পড়ে ঢাকায় থেকে যায়? আমি তো এমন অনেককেই চিনি যারা ইচ্ছা করলেই এই দূষিত শহর থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতে পারে, ইচ্ছা করলেই নির্মল বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারে। কিন্তু তারাও কেন ঢাকায় পড়ে থাকে? শুধু মাত্র ভাল হোটেলে খাওয়া যায় বলে? নাট্যশালায় নাটক দেখা যায় বলে? মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখা যায় বলে? বারে মদ খাওয়া যায় বলে? নাকি আলাদা কোন গল্প আছে সবার? নাকি কেউ শুধু মাত্র ছবির হাটে বিকালে বসতে চায় বলে ঢাকা থাকতে চায়? নাকি কেউ সব কিছুর বিনিময়ে হলেও টিএসসির আড্ডা মিস করতে চায় না? চারশো বছরের পুরনো এই শহর কী কোন এক বুনো সৌন্দর্য নিয়ে অলিক মায়ায় আটকে রাখে অনেককে?

    ঢাকার রূপের বর্ণনা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য না। বহু জ্ঞানী গুনি ঢাকা নিয়ে লিখে গেছে। আমি তাদের চেয়ে বাড়তি কিছু বলতে পারব তার কোন সম্ভাবনা দেখছি না এখনো। কিন্তু আমি আমার দেখা বলতে পারি আজকে। আমি বলতে পারি আমি কিভাবে মুগ্ধ হতাম এই আজব শহরের আজব কাণ্ড কারখানা দেখে। আমি বলতে পারি প্রচণ্ড জ্যামেও কিভাবে দিনের পর দিন আমি ঢাকার রাস্তার প্রেমে পড়ে থাকতাম। আমি বলতে পারি দুই আড়াই বছর ধরে ঢাকার বাইরে থেকে কি প্রচণ্ড ভাবেই হাহাকার অনুভব করি এই শহরটার জন্য।

    আমার পক্ষে ঢাকা নিয়ে কিছু বলতে হলে রাতের ঢাকা নিয়েই বলা সহজ। কারন দিনের বেলায় আর সবার মতই আমার সময় কেটে যেত। ঘাড় বাঁকা করে সময় পার করা। কিন্তু অন্য অনেকের থেকেই রাতের ঢাকা দেখার সৌভাগ্য আমার বেশি হয়েছে। একা থাকার কারনে আমার যেটা নেশা হয়ে গেছিল তা হচ্ছে ঢাকা শহরে রাত করে ঘুরে বেরানো। ঢাকা শহরে ছিনতাইয়ের ভয় মানুষ দিনের বেলায় পেলেও আমি কেন যেন এই ভয় কোনদিন পাইনি। সাথে থাকতও না তেমন কিছু। আমার অল্প দামি মোবাইল আর দুই একশ টাকা।দোতালা বাসের শেষ ট্রিপ ধরে হয়ত চলে যেতাম মতিঝিল কিংবা মিরপুর।কোন কাজ যেহেতু নাই তাই সেখানে রাতের কোন একটা টং দোকানে বসে চা খেয়ে আবার ফেরার চিন্তা। এমনও হয়েছে নেমেছি চা খেয়েছি উল্টো দিকের বাস পেয়ে আবার চড়ে বসেছি বাসে। ফার্মগেট থাকার কারনে মোটামুটি সারা রাত বাস পেতাম। মাঝে মাঝে সঙ্গী জুটলে মাওয়া কিংবা নারায়ণগঞ্জ।

    রাতের ঢাকার চেহারা দিনের ঢাকার সাথে একবিন্দু মিলবে না। যেখানে দিনে বেলা ব্যস্ত সড়ক রাতে হয়ত জমজমাট কাঁচা বাজার। শুধু কাঁচা বাজারই বা কেন? ফার্মগেটে তো সব কিছুরই হাট বসে যেত রাতের বেলা। ফার্মগেট থেকে দুই কদম এগোলেই কাওরানবাজার। ঢাকার তথা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচা বাজার। যত রাত হচ্ছে তত জমে উঠে কাওরানবাজার। সমানে ট্রাক আসছে সারা দেশ থেকে, মাল নামছে, পাইকারদের হাঁকাহাঁকি, মজুরদের বস্তা নিয়ে মাল নামানো, ঠ্যালা গাড়ি ওয়ালাদের ঠ্যালা ঠ্যালি। বেশিরভাগ দোকানে কেন জানি সবুজ বাতি লাগানো। বাজারের ভিতরে ঢুকলে নানা কাঁচা সবজির গন্ধে মাথা ঝিমঝিম করা শুরু করে। যেখানে লেবু নামছে সেখানে লেবুর তীব্র গন্ধ টেকা যাচ্ছে না হয়ত। তবে আমার সবচেয়ে ভাল লাগত কাঁচামরিচের গন্ধ। তীব্র ঝাঁজ নাক দিয়ে মাথায় গিয়ে লাথি দিত যেন। বেশিক্ষণ টেকা যেত না সেখানেও।

    পাইকারদের জন্য হোটেল খোলা থাকত। আমার কাজ হত তাদের সঙ্গে বসে খাওয়া। তাদের গল্প শুনতাম। সেই কোন পঞ্চগড় থেকে হয়ত আসছে ট্রাকের ওপরে চড়ে। মাল বিক্রি করে আবার অন্য কোন ট্রাকে করে ফিরে যাবে তারা। কোথা থেকে কোথা থেকে কী কী কিনবে তার ফিরিস্তি শোনাত। আমি আদর্শ শ্রোতা, ঝিম মেরে শুনতাম গপ্প।

    যে কোন পরিস্থিতিতে খেতে পারার বিশেষ গুণ নিয়েই ঢাকায় পা ফেলেছিলাম। কমলাপুরে রেল স্টেশনের সামনের ফুটপাথে সটানে বসে পরে পেট ভরে ভাত খেয়েছি ভর দুপুর বেলা। চেহারা আর পোশাকে হয়ত ফুটপাথে বসে খাওয়ার মানুষ বলে মনে হয় না। তাই অনেকেই হেঁটে যেতে যেতে থমকে যাচ্ছিল। কেউ কেউ অবাক হয়ে চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞাসই করে বসল, তুমি ওখানে বসে কেন খাচ্ছ!! আমি বললাম, খিদা লাগছে যে!! এরপর বহুবার ফুটপাথে খেয়েছি, শাহাবাগের ফুটপাথের খাওয়া তো রীতিমত অসধারন।

    রাতের ঢাকার অন্যতম একটা বলার মত জিনিস হচ্ছে রাতের ঢাকার খাওয়া দাওয়া। স্টার হোটেল খোলা থাকে মোটামুটি রাত বারোটা পর্যন্ত। আমার জগতটার কাছে ছিল বলে স্টার ছিল সেরা পছন্দ সব সময়। পুরো রোজা স্টারে সেহেরি করে পার করে দিয়েছি। রোজার মাসে সারা রাত খোলা থাকত স্টার। কিন্তু রাতের ঢাকার খাবারের জন্য আসলে স্টার না। বিখ্যাত হচ্ছে চাংখারপুল। চাংখারপুল এলাকার সব হোটেল খোলা থাকে পুরো রাত। পাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে তাদের রাতের বাণিজ্য ছিল জমজমাট। আর আমার মত রাতের ঘুরাঘুরি করা লোকজন তো আছেই। হোটেলের নাম মনে নেই, সম্ভবত মঙ্গলবার করে উটের মাংস বিক্রি করত। কাজ নেই তো কি আর করা! উটের মাংস খার জন্য হাজিরা দিছি কয়েকবার।

    রাতের ঢাকার বর্ণনা করছি কিন্তু নিষিদ্ধ কোন কিছু উল্লেখ্য করছি না। এ যেন মাংস ছাড়া বিরিয়ানির গল্প বলছি। আসলে ওই পথের পথিক না হওয়াতে বলার মত গপ্পও কম। তবে যেহেতু ঢাকা শহরের গল্প তাই আমি এর বাইরেই থাকি কি করে? রেড লাইট জোন গুলা শুধু দেখি গেছি। তাদের গল্প শোনা হয়নি। তবে অন্য এক ঢাকার দেখাও পেয়েছি যা সচারচর দেখা সম্ভব হয়না অনেকের। ওই গল্প বলেই বিদায় নিব আজকে।
    আমি হচ্ছি এমন এক জিনিস যে নির্দ্বিধায় যে কোন আড্ডায় গিয়ে বসে যেতে পারি। আমার বিন্দু মাত্র সমস্যা হয় না এতে। মদের আড্ডা বা নেশার আরও বড় আসরেও অনায়াসে ফিট হয়ে গেছি। কিন্তু আর সবাই খুব অস্বস্তি অনুভব করত যখন দেখত আমি শুধু তাদের সাথেই আছি কিন্তু কিছুই নিচ্ছি না, সিগারেটও তো খাই না আমি!। অন্য আসরে তেমন না হলেও মদের আসরে সবাই জেনে যাওয়ার পর যে আমি মদ খাব না, এবং জীবনেও খাই নাই তখন যা হত তা হচ্ছে একজন একজন করে উনি কেন মদ খান, উনার কী কী সমস্যা ইত্যাদি নানা প্যাঁচাল পেরে উনার খাওয়াটা জায়েজ করতে চান। আমি শুধু বলতাম, ঠিক বলছেন, আপনি অবশ্যই খাবেন!!

    এমন এক আড্ডায় আমি বসে আছি। আড্ডা হচ্ছে ইস্কাটন এলাকার একটা বারে। রাত ১২ টার ওপরে বাজে। পরের দিন আমার কামলা খাটা বন্ধ তাই আমি নিশ্চিতে বসে সেভেন আপ খাচ্ছি। দুই একজন এর মধ্যে বলে ফেলেছে যে আসলে মদ খাওয়া ঠিক না, সারা দিন নানা ভ্যাজালে থাকে তাই রাতে একটু আধটু খায় উনারা। আমি যথারীতি মাথা নেড়ে বলে দিলাম, ঠিক, এর দরকার আছে…
    এর মধ্যে হুট করে তাদের কী বাই উঠল বলল এখানে আর থাকবে না। বাংলামটর যাবে। কাছেই বাংলামটর। আমার সঙ্গী বলল চল, এই জায়গায় তুই কোন দিন যাসনি, এই অভিজ্ঞতা তোর কোনদিনই হয়নি, চল, গেলেই দেখতে পাবি। তো চললাম ওদের সাথে। আমার বন্ধু ওই আড্ডার মধ্যে একজন নেতা গোছের লোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। তিনি এই তিনি সেই বলে রীতিমত ভয় পাইয়ে দেওয়ার মত পরিচয় দিল। আমি উনার পরিচয় পেয়ে যার পর নাই কৃতজ্ঞ বলে জানালাম। এবং বুঝতেই পারলাম না যে এই লোক যে পরিচয় দিচ্ছে সেই পরিচয় সত্য হলে উনি এখানে কী করছেন। মাথা ঘামালাম না, জানি লাভ নাই ঘামিয়ে। বাংলামটর এসে আসলেই জীবনের অন্য এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। সাত আট তালা ওপরে একটা দালানের একটা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যখন আমি তখনও জানি না দরকার ওপারে কি অপেক্ষা করছি। সাথের ভাইয়ের পরিচয় দেওয়া মাত্র দরজা খুলে গেল। খুলতেই প্রচণ্ড রকমের বাজনার শব্দ পেলাম। ঢুকে দেখি বড় একটা রুম। বাংলা সিনেমায় যেমন দেখা যায় তেমন করে বড় বড় সোফা ফেলা। তাতে গাদাগাদি করে বসে আছে অনেক মানুষ। একটু সামনে খোলা একটু জায়গা। তাতে মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড। নারী শিল্পীরা গান গাচ্ছে। তাদের চলনবলনে বুঝলাম শুধু মাত্র গান গাওয়াই তাদের পেশা না সম্ভবত। কোন অজ্ঞাত কারনে সুপার হিরো মুভি গুলার সুপার হিরোইন কিংবা ভিলেনরা যেমন রাবারের চামড়া কামড়ে ধরে রাখার মত পোশাক পরে এরাও দেখলাম তেমন। এই জিনিস পরে চলা ফেরা করে ক্যামনে আল্লা মালুম। আমি দু চোখ ভরে দেখতে দেখতে একটা সোফার এক পাসে গিয়ে বসে পড়লাম। দেখলাম যারা বসে আছে তারা কেউ খালি হাতে না। সবার হাতেই মদের গেলাস। মদ বিক্রির আরেকটা মাধ্যম বুঝতে পারলাম। আমারা যে ভাইয়ের আওতায় তিনি সেখানে গিয়েই উনার আরেক ভাইয়ের দেখা পেলেন। বুঝলাম তিনি আরও বড় ভাই। আল্লার দুনিয়ায় এখন আর কেউ আওয়ামীলীগ ছাড়া নাই। তাই যত ভাই এখানে জমা হয়েছে তারা সকলেই আওয়ামীলীগের ভাই বেরাদর।এর মাঝেই হঠাৎ শিল্পী গান গিয়ে উঠল, যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই… আমি একটু হচকচিয়ে গিয়ে ভাবলাম বাহ! বেশ তো! এই গানের সাথেও যে মানুষ ফুর্তি করতে পারে তা কল্পনা করা একটু কষ্টকর যে কারো জন্য। যাই হোক, গান শেষ হল। আমার অবাক হওয়ার তখনও যে কত বাকি তা জানতাম না। শিল্পী অন্য গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু সেখানকার যে বড় ভাই তিনি আপত্তি জানালেন। বললেন, বঙ্গবন্ধু নিয়ে গান হয়ে যাওয়ার পর আর কোন গান হতে পারে না। আমার অবাক হওয়া শুরু হল কেবল। আমি ভাবলাম, এত প্রেম, মদের গেলাস হাতে কেন ভাইয়া!! তারপর ভাবলাম, তাহলে তো আজকের মত আসর শেষ। কিন্তু কত অজানারে! কেউ কেউ মৃদু আপত্তি তুলতে চাইলে আমাদের সঙ্গের বড় ভাই ধমক দিয়ে বলল, ভাই বলছে বঙ্গবন্ধুর গানে পর কোন গান হতে পারবে না, ব্যাস, আর কোন কথা হবে না এখানে, গান বন্ধ। গান বন্ধ হল, মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড সরে গেল। আমাকে অবাক করতে করতে মেরে ফেলার জন্যই যেন বিপুল বিক্রমে নাচ শুরু হয়ে গেল!! আগে বলছি তাদের পোশাক আশাক বেশ রহস্যজনক, বেশ উদ্বেগজনকও বটে, তার মধ্যে যদি নাচ শুরু উঁচু আওয়াজে হিন্দি গানের সাথে তাহলে ওই বদ্ধ ঘরের অবস্থা কী হয় তা সহজেই অনুমেয়। আমি খালি ভাবছি, বঙ্গবন্ধুর গানের পর যদি আর গান না হতে পারে তাহলে নাচ শুরু হল কি মনে করে? ওরাই অবশ্য তাই বলছে, ওরা বলছে, ভাই গান হবে না বলেছে গান বন্ধ, নাচ তো আর ভাই না করে নাই, তাই নাচ শুরু। আমি বুঝলাম, এক রাতের পক্ষে অনেক হয়েছে, এবার সময় হয়েছে কেটে পরার। নচেৎ আমার শিশু পাকস্থলীতে এই গুরুপাক বদহজমের কারন হয়ে যেতে পারে। মগবাজারে আমার আরেক বন্ধু রাত করে রাস্তা মেরামতের কাজ করছে আমি জানি, ওকে ফোন দিয়ে বললাম গাড়ি নিয়ে আসতে পারবে কিনা, বলল, পাঁচ মিনিট লাগবে। আমি নিচে নেমে দাঁড়ালাম, ও আসতেই বললাম, এই এলাকা ছাড় আগে, জব্বর গপ্প শোনাব তোকে। আমি জানি ওরও এই দুনিয়া দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়নি, তাই ওকে বলে চমকে দেওয়া যাবে।

    পরে আমার যে বন্ধুর সাথে ওইখানে গিয়েছিলাম ওকে নাকি ওই ভাই বলছে আমাকে আবার নিয়ে যেতে, সেদিন ঠিক মত আপ্যায়ন নাকি হয়নি। আমি শুধু ভাবছি আমার রাতের ঢাকা দেখা অপূরণ থেকে যেত এই জিনিস না দেখতে পারলে, যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাই ঢের, রক্ষে করো আর চাহি না আমার।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ মার্চ ২০১৯ | ২২৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.75 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৩49527
  • আল্লার দুনিয়ায় আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু নাই -- কথা সত্য। তবে ইস্কাটনের বারে বসে সেভেন আপ খাওয়া ঠিক হয় নাই। আর লেখাটি বেশ এলোমেলো মনে হয়েছে। শুভ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন