এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বই আলোচনা - ১৯৮৪ - জর্জ অরওয়েল

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ এপ্রিল ২০১৯ | ১৯৫৫ বার পঠিত
  • পুরো পৃথিবীই তিনটা ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ওশেনিয়া, ইউরেশিয়া আর ইস্টেশিয়া নামে বিভক্ত পৃথিবী। ওশেনিয়া এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে বিগ ব্রাদার নামে একজন একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। সব সময় যুদ্ধ চলছে ওশেনিয়ার। সম্ভবত ইউরেশিয়ার সাথে কিংবা ইস্টেশিয়ার সাথেও হতে পারে। রাষ্ট্রের নাগরিক আসলে পরিষ্কার জানে না কাদের সাথে তাদের যুদ্ধ চলছে। আজগুবি মনে হলেও কিছু করার নেই, ব্যাপারটা এমনই। এই রাষ্ট্রে চারটা মন্ত্রণালয় আছে। এই চারটি মন্ত্রণালয় দিয়েই মূলত রাষ্ট্র চলছে। মন্ত্রণালয় গুলো কী কী? মিনিস্ট্রি অফ পিস, যার কাজ হচ্ছে যুদ্ধ পরিচালনা করা। মিনিস্ট্রি অফ লাভ বা ভালবাসা মন্ত্রণালয়, যার অধীনে আছে আইন - শৃঙ্খলা। মিনিস্ট্রি অফ ট্রুথ বা সত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে সংবাদ, বিনোদন, শিক্ষা ও চারুকলা। মিনিস্ট্রি অফ প্লেন্টি বা প্রাচুর্য মন্ত্রণালয় হচ্ছে অর্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। অদ্ভুত শোনালেও যে যে নাম মন্ত্রণালয় গুলোর তাদের কাজ ঠিক উল্টোটা। উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হবে। যেমন আমাদের এই গল্পের প্রধান চরিত্র উইনস্টন কাজ করে সত্য মন্ত্রণালয়ে। সে কী কাজ করে? যদি সোজা কথায় বলা যায় তাহলে বলতে হয় সে ঝুরি ঝুরি মিথ্যা কথা তৈরি করে। বিগ ব্রাদার এই দেশে অনেকটা ঈশ্বরের মত। এখানে বিগ ব্রাদার কোন দিন ভুল করেছে এমন নজির পাওয়া যায় না। যদি এমন হয় বিগ ব্রাদার অতীতে বলেছিল যে এবার আলুর ফসল ভাল হবে আর দেখা গেল ফসল ভাল হল না তাহলে? তাহলে উইনস্টনের মত লোকেরা আগের সমস্ত নথি থেকে এই কথা মুছে দিবে যেখানে বিগ ব্রাদার বলছিল আলুর ফসল ভাল হবে। মুছে উল্টো লিখে দেওয়া হবে আসলে বিগ ব্রাদার বলেছিল আলুর ফসল খারাপ হবে! নথি থেকে মুছে ফেলা হবে, কারন অতীত থাকে নথিতে। আর থাকে স্মৃতিতে। কিন্তু আপনার স্মৃতি এমন ভাবে তৈরি করা যে এখানে আপনিও মেনে যাবেন আসলেই বিগ ব্রাদার আলুর ফসল খারাপ হবেই বলেছিল।
    শুধু তথ্য না, মিনিস্ট্রি অফ ট্রুথ অতীতের সাহিত্য পর্যন্ত পরিবর্তন করে দেয়। নিজেদের মত করে আগের লেখা সমস্ত সাহিত্যকর্ম সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। শেক্সপিয়র, মিল্টন, সুইফট, বায়রন, ডিকেন্স এদের সবার সাহিত্যকর্ম নতুন করে নিজেদের মত করে লেখা হচ্ছে!
    উইনস্টন মনে মনে সরকারের এই সব কর্ম কাণ্ড মেনে নিতে পারে না। কিন্তু কিসছু করার নাই আসলে। ওশেনিয়া রাষ্ট্রের প্রতিটা মানুষের ঘরে ঘরে টেলিস্ক্রিন আছে। এতে সারাদিন সরকারের নানা গুণগান প্রচার করা হয়। অন্য কোন চ্যানেল নাই, সারা দিন চলে আর সরকারের গুণ গান গায়। এর আবার আরেকটা কাজ আছে। টেলিস্ক্রিন একই সাথে ঘরের ভিতরে কে কী করছে না করছে তা দেখতেও পারে। মাইক্রোফোন আছে যাতে কে কী বলল তা শুনেও নিতে পারছে কর্তৃপক্ষ। এই টেলিস্ক্রিন শুধু মাত্র যে ঘরে আছে তা না, ঘরে আছে, লিফটে আছে, দোকানে আছে, পার্কে আছে, বাসে আছে, সোজা কথা কোথায় নাই সেটাই আসলে জানে না জনগণ। এর ওপরেও আছে আপনার ঘরের বাচ্চারা। তাদের কে স্কুল থেকে শিক্ষা দেওয়া হয় অভিভাবক যদি কখনও কোন প্রকার সরকার বিরোধী বা বিগ ব্রাদারের বিপক্ষে কোন কিছু উচ্চারণ করে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। বাচ্চারা বাবা মা যদি ঘুমের মাঝেও বলে বসে বেফাঁস কথা তাহলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে ভুল করে না। অন্য দিকে টেলিস্ক্রিনে আপনি কী করছে, কী বলছেন তা যেমন দেখবে তার সাথে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখবে আপনার মুখের অভিব্যক্তি। আপনি কী বিরক্ত? আপনি কী বিগ ব্রাদারের কোন খুশির সংবাদে পর্যাপ্ত পরিমাণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন না? এ জন্য আছে থট পুলিশ।থট পুলিশ আপনার মুখের রেখা খেয়াল করবে, আপনার মনের ভিতরের কথা পড়ার চেষ্টা করবে। থট পুলিশের কাজ হচ্ছে এই ধরনের নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া। থট পুলিশ ধরলে হয় মৃত্যুদণ্ড না হয় বিশ পঁচিশ বছর শ্রমদাসদের ক্যাম্পে বাস।

    দুই মিনিট ঘৃণা নামে একটা অনুষ্ঠান এখানে যত্ন করে পালন করা হয়। এখানে এই রাষ্ট্রের সুখ সমৃদ্ধির পথে একমাত্র অন্তরায় বলে যাকে মনে করা হয় সেই ইমানুয়েল গোল্ডস্টেইনের ভিডিও প্রদর্শনী করান হয়। মানুষ তার সমস্ত ঘৃণা প্রকাশ করে এই অনুষ্ঠানে। টু মিনিটস হেট বা দুই মিনিটের ঘৃণা অনুষ্ঠানে আপনি কেমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন তাও থট পুলিশ নজরদারই করে। ঘৃণা সপ্তাহ পালন করা হয় আরও ঘটা করে। রীতিমত উৎসব করে পালন করা হয় ঘৃণা সপ্তাহ। তেমন এক ঘৃণা সপ্তাহ চলাকালে মানুষ জন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ইউরেশিয়ার মুণ্ডপাত করে চলছে। ইউরেশিয়ার ২০০০ জন সৈন্য ধরা পড়েছে। তাদের কে হাতের কাছে পেলে যে কোন সময় মানুষ ধরে মেরে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিবে এমন পরিস্থিতি। মানুষ ঘৃণায় ফেটে পড়ছি, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে। ঘৃণা সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে মঞ্চে এক বক্তা দারুণ জোসে বক্তব্য দিচ্ছে। এরপর সরাসরি উপন্যাস থেকে উদ্ধৃতি দেই - “বিশ মিনিট বক্তব্য চলার পর এক বার্তাবাহক মঞ্চে এসে বক্তার হাতে গুজে দিলেন একটা চিরকুট।তিনি ওটি খুললেন আর বক্তব্যের গতিতে সামান্য ছেদ না টেনেই চিরকুটের লেখাটি পড়ে গেলেন। তার কণ্ঠে এলো না সামান্য পরিবর্তন অথবা যে কথাগুলো তিনি বলে আসছিলেন তার গতিও থেকে গেল অপরিবর্তিত। কেবল পাল্টে গেল কিছু নাম। কোন শব্দ অনুচ্চারেই জনতা দিক থেকে যে অভিব্যক্তি এলো তা যেন বলে দিল তারা বুঝে নিয়েছে। ওশেনিয়া আসলে যুদ্ধ করছে ইস্টেশিয়ার বিরুদ্ধে। পরক্ষনেই ভেসে এলো আরও উচ্চৈঃস্বরের শোরগোল। এই চৌরাস্তা যেসব ব্যানার আর পোস্টার দিয়ে সাজানো তার সবই ভুল।” বক্তা আগের মতই হাত মুখ নেড়েচেড়ে, তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে যাচ্ছেন ইস্টেশিয়াকে! এটা কিভাবে সম্ভব? জনগণ না হয় মেনে নিলো, পোস্টার আর ব্যানারে লেখা ইউরেশিয়ার সাথে যুদ্ধ? যুদ্ধ এখন ঘোষণা হল? তা তো না, যখন থেকে নাম পাল্টে গেল তখন থেকে ইতিহাস পাল্টে গেছে এই দেশের। নাম পাল্টে গেছে মানে কোনদিনই ওশেনিয়া ইউরেশিয়ার সাথে যুদ্ধ করেনি, জন্মের আগে থেকেই যুদ্ধ চলছে ইস্টেশিয়ার সাথে। পোস্টার ব্যানার? গোল্ডস্টেইনের চক্রান্ত! ওরাই এতদিন ভুল বুঝিয়েছে জনগণ কে!! কিন্তু তারপরেও জনগণ মেনে নিচ্ছে? নিচ্ছে, কারন এই দেশে থাকতে হলে আপনাকে আরেকটা জিনিস ভাল ভাবে বুঝতে হবে, তা হচ্ছে ডাবল থিংকিং। দুইটাই আপনার মাথায় থাকতে হবে। আপনি দুইটাকেই বিশ্বাস করবেন। বিগ ব্রাদার যখন যেটা বলবে তখন শুধু তাতে ইমান আনবেন। আরেকটা জিনিস এখানে জরুরি। বিগ ব্রাদারে স্লোগান। স্লোগান কী? স্লোগান হচ্ছে -
    যুদ্ধই শান্তি - স্বাধীনতাই দাসত্ব - অজ্ঞতাই শক্তি।

    প্রোল বলে কিছু মানুষ আছে।প্রোলেতারিয়েত থেকে প্রোল। যারা জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ ভাগ। কিন্তু তাদের মানুষ বলে গণ্য করা হয় না। ওশেনিয়ায় বলা হয় প্রোল আর পশু একই। তাদের কে কোন প্রকার নাগরিক সুবিধা দেওয়া হয় না। তাদের এলাকায় মদের আড্ডা, লটারি আর সস্তা মানের পর্ণ সরবরাহ করা হয়। তারা তা নিয়েই মেতে থাকে। অন্য কোন নাগরিক সুবিধা তাদের জন্য জন্য না। যুদ্ধ চলছে বোঝাতে মাঝে মাঝে শহরে বোমা পড়ে। কোন অজ্ঞাত কারনে বোমা শুধু মাত্র প্রোলদের এলাকায়ই পড়ে। মারা যায় শুধু প্রোলরাই। গল্পের নায়ক উইনস্টন প্রোলদের মাঝেই আগামীর সম্ভাবনা দেখতে পায়। একদিন এখান থেকেই জাগরণ আসবে বলে তার বিশ্বাস।

    এই অদ্ভুত উপন্যাসের নাম “১৯৮৪,” জর্জ অরওয়েলের লেখা বিখ্যাত এক উপন্যাস এটা। এরকম একটি ডিস্টপিও (অর্থাৎ ইউটোপিয়া-বিরোধী) রাষ্ট্রব্যবস্থার কল্পনাই করেছিলেন অরওয়েল।সেই কল্পকাহিনী হচ্ছে উপন্যাস “১৯৮৪”। উপন্যাস প্রকাশ পায় ১৯৪৯ সালে। সমাজ ব্যবস্থার প্রতি এমন চাবুক চালানো উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে খুব কমই লেখা হয়েছে। উপরে আমি শুধু আগ্রহ জাগানোর জন্য চুম্বক কিছু অংশ বর্ণনা করেছি। উপন্যাসের বক্তব্য মানুষের মর্মে গিয়ে আঘাত করবে।কল্পকাহিনী কে আর কল্পকাহিনী বলে মনে হবে না, বাস্তব মনে হবে। বর্তমান সমাজে এই উপন্যাস যে কত প্রাসঙ্গিক তা ভেবে অবাক হতে হবে। পুরো পৃথিবীই চলছে যেন জর্জ অরওয়েলের ১৯৮৪ সালের মত করে। একটু মাথা ঠাণ্ডা করে দেখলে দেখা যাবে যা যা বর্ণনা হয়েছে তা সবই পুরো পৃথিবী জুড়ে বর্তমান। আমাদের টেলিস্ক্রিন নাই কিন্তু সিসি টিভি নামক যন্ত্র আছে, সব্বার পকেটে ক্যামেরা সহ মোবাইল আছে, বিগ ব্রাদার যদি চায় আমার প্রতিটা পদক্ষেপ নজরদারির ভিতরে রাখতে পারে। সব দেশে, সব জায়গায় বিগ ব্রাদারেরাই চালাচ্ছে। কেউ ছোট করে কেউ বড় করে।এই বই প্রকাশ হওয়ার পর ৬৫ টি ভাষায় অনুবাদ হয়। এই বইয়ের আগে ইংরেজি ভাষার কোন বই এত গুলো ভাষায় অনুবাদ হয়নি। ২০০৫ সালে টাইম ম্যাগাজিন ১৯২৩ সালের পর থেকে ২০০৫ সাল অবধি যত উপন্যাস রচিত হয়েছে তার মধ্যে থেকে ১০০ টা উপন্যাসের নাম প্রকাশ করে যার অন্যতম একটা হচ্ছে “১৯৮৪”। ২০০৩ সালে বিবিসি এক জরিপ চালায় সবচেয়ে পঠিত বইয়ের ওপরে। এতে অষ্টম স্থানে ছিল “১৯৮৪” উপন্যাসটি।
    আমি আমার কথা বলতে পারি। আমি বলতে পারি আমি আমার জীবনে সম্ভবত এত জোরাল কোন উপন্যাস পড়িনি। মাহমুদ মেনন নামে একজন অনুবাদ করেছেন। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত এই উপন্যাস যে অন্যতম সেরা অনুবাদ আমার পড়া তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আরেকটা মজার তথ্য হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে এই বইয়ের বিক্রি বেড়ে গেছে। কেন? এই মাস্টারপিস বইটা পরলেই বহুলাংশে বুঝতে পারবেন!!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ এপ্রিল ২০১৯ | ১৯৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন