এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধানবাদের রায়বাবু

    শ্রমজীবী ভাষা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৭৩৯ বার পঠিত
  • অরূপ বসু

    বেশ কয়েকমাস আগে লিখেছিলাম, ভাল নেই ধানবাদের রায়বাবু। অরুণকুমার রায়ের স্মিত হাসিমুখ ছবির সঙ্গে সেই খবর পড়ে অনেকেই বিচলিত হয়েছিলেন। এখন লিখতে হচ্ছে, ধানবাদের রায়বাবু আর নেই! যে খবর ইতিমধ্যেই অনেকের হৃদয়, মন বিবশ করেছে। রায়বাবু নেই, কিন্তু আন্দোলনের পথ রয়ে গেছে। গরিব, প্রান্তিক মানুষ, আদিবাসী, শ্রমিকদের জন্য যে পথ বেঁধে দেয় বন্ধনহীন গ্রন্থি!

    বাবা-মায়ের দেওয়া নাম অরুণকুমার রায়। বিধায়ক ও সাংসদ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত এ কে রায় হিসেবে। ধানবাদ, ঝরিয়া অঞ্চলের গরিবগুর্বো মানুষের বিপদের বন্ধুর নাম রায়বাবু। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত সাত-আট বছর ধরেই অসুখে মৌন-অস্তিত্বে মুখর। তিনি আছেন, বেঁচে আছেন, এই অনুভূতিটাই কোলিয়ারি অঞ্চলের মানুষকে সাহস দিত।

    ২০১৯। ২১ জুলাই সকালে রায়বাবুর মুখের স্মিত হাসিটা হারিয়ে গেছে। ধানবাদের রায়বাবুকে মাঝে মাঝেই বিসিসিএল হাসপাতালে ভর্তি করতে হত। চিকিৎসকেরা চিনতেন, জানতেন। বুঝতেন, যা করার এখানেই করতে হবে। এর চেয়ে বড় কোনও হাসপাতালে রায়বাবু যাবেন না। তিনবারের বিধায়ক, তিনবারের সাংসদ এর চেয়ে বেশি চিকিৎসার সুযােগ চান না। কোলিয়ারি অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ যে এটাও পান না। চিকিৎসকেরা এবার আর রায়বাবুকে তার ঝুপড়িতে ফিরিয়ে দিতে পারলেন না।

    পঁচাশি বছর বয়সে এসে রায়বাবুর সব লড়াই থেমে গেল।

    একদা ধানবাদ, ঝরিয়া অঞ্চলের ত্রাস ছিলেন কোল-মাফিয়া সুরজ দেও সিং। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের সঙ্গে খাতির ছিল। অখণ্ড বিহারের কিংবদন্তি প্রশাসক আফজল আমানুল্লা তখন ধানবাদের জেলাশাসক। লালুপ্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী। পেশাগত কারণেই গেছি ধানবাদে। সরকারি সম্পত্তি দখল করে ব্যবসা করছিল সুরজ দেও। আমানুল্লা গ্রেপ্তার করে জেলে পুরে দেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে লিখিত নির্দেশ আসার পর তিনি সুরজ দেওকে ছেড়েছিলেন। সুরজ দেওকে বলেছিলেন, জমিটা কোল ইন্ডিয়ার। তারা নিজেরাই বলছে, জমি তাদের নয়। তাই ছাড়লাম। স্টোরিটা নিয়ে কথা বলতে গেছিলাম আফজল আমানুল্লার কাছে। বললেন, সুরজ দেও ধানবাদের বুকে যাকে টলাতে পারেননি, তাঁর কাছে যান, আসল স্টোরি তাে তিনি।

    সেই প্রথম এ কে রায়কে সামনাসামনি দেখলাম। ধানবাদ বাজারের কাছে নুলাঞি। এটাই বিহার কোলিয়ারি কামগড় ইউনিয়ন এবং মার্কসিস্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির অফিস। ছােট ঘর। কাঠের আলমারি, টেবিল-চেয়ার। আগতদের জন্য সে সব। মলিন পায়জামা-পাঞ্জাবি। মুখে দিন কয়েক না-কামানাে দাড়ি। টেবিলে হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি সংবাদপত্র। আর হােমিওপ্যাথি ওষুধের বাক্স।

    আপনি কি ডাক্তারিও করেন? সাংবাদিকের প্রথম প্রশ্ন বিচলিত করেনি তাঁকে। বললেন, ওরা আর যাবে কোথায়? শুধু হােমিওপ্যাথি নয়, অ্যালােপ্যাথি ওষুধও দিই। বই পড়ে, বন্ধুদের জিজ্ঞেস করে, যে রােগের যে ওষুধ দিতে পারি আর কী!

    এই মানুষটাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সুরজ দেও সিংয়ের মতাে মাফিয়াকে লাগানাে হয়েছিল বলে শুনেছি। সুরজ পারেনি। রায়বাবুর লাল ঝাণ্ডার মিছিল-মিটিংয়ে সুরজ দেও’র লােকেরা কতবার ষাঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাতেও রায়বাবু অবিচল।

    রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হয়ে সাংসদদের বেতন, ভাতা, সুযােগ-সুবিধা বাড়াতে চান। সংসদে বিরােধীদের অনেকেই বেশ গদগদ। উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভাষণ দেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানিও। প্রতিবাদে একা মুখর হন এ কে রায়। বলেছিলেন, ভারতে বেশিরভাগ গ্রামে তৃষ্ণার জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, পেটে ভাত-হাতে কাজ নেই সাংসদরা নিজেরাই নিজেদের বেতন বাড়ান কোন যুক্তিতে? ভাল আয়, স্বচ্ছন্দ জীবন চাইলে আমরা অন্য চাকরি বা ব্যবসা করব। জনতার সেবা করতে এসেছি কেন?

    এ কে রায় নিজেও ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র। রসায়নবিদ্যায় তার সমসাময়িক ছাত্র বােকারাে স্টিলের অতি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ডাঃ রণেন বসুর কাছে তার প্রশংসা শুনেছি।

    সাংসদ বিপ্লব দাশগুপ্ত, আরতি দাশগুপ্ত তার সমসাময়িক ছাত্র। এ কে রায় ১৯৬১ সালে সিন্ধ্রি ফার্টিলাইজারের প্রজেক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিয়ায় যােগ দেন। তখনই টের পান, শ্রমিক-কর্মীদের কীভাবে শােষণ-বঞ্চনার শিকার হতে হয়। ১৯৬৬-তে শ্রমিক-কর্মীদের আন্দোলন হচ্ছিল। উচ্চপদস্থ কর্মী হয়েও আন্দোলন সমর্থন করেন। চাকরি চলে যায়। সরাসরি বাম আন্দোলনেই যােগ দিলেন।

    ১৯৩৫ সালে বাংলাদেশের রাজশাহির সােপুরা গ্রামে জন্ম। স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবা-মা। ছেলেকে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ান। তাঁর সহপাঠী অমিয় বাগচী।

    ১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনে যােগ দেন। ১৯৬০ সালে আইনজীবী বাবা-মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরে চলে এসেছিলেন।

    কোলিয়ারি শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করার পর আর চাকরি করার কথা ভাবেননি। ১৯৬৭ সালে সিপিএমের টিকিটে বিহারের নিরসা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। ১৯৬৯ সালে আবার। সমমনােভাবাপন্ন বামপন্থীদের নিয়ে একসঙ্গে লড়াই করার কথা ভাবতেন।

    ১৯৭১ সালে সমর সেনের ‘ফ্রন্টিয়ার’ কাগজে তাঁর একটি লেখা বেরােয়। সেটা তখন নকশালদের কাগজ বলে পরিচিত। প্রমােদ দাশগুপ্ত তখন পলিটব্যুরাের সদস্য হিসেবে বিহারের সংগঠনের দায়িত্বে। বিহার রাজ্য কমিটির সদস্য এ কে রায়। শােকজের জবাবে এ কে রায় লিখলেন, স্বতন্ত্র পার্টির লাইনে বলা ‘স্বরাজ’ পত্রিকায় লিখলে পি রামমূর্তির দোষ নেই, নকশাল লাইনের সমর্থক ফ্রন্টিয়ারে লিখলে দোষ কীসের? নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে পা রাখছেন, আর সিপিএম এখনও ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে চলবে? এ কে রায় বহিষ্কৃত হলেন। নতুন দল গড়লেন ‘জনবাদী কিসান সংগ্রাম সমিতি। পরে এটারই নাম হয় মার্কসিস্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

    হেঁটে প্রতিদিন একটা করে গ্রামে ঘুরতেন। পার্টি অফিসে মাদুর পেতে শুতেন। খাদ্য ছাতু আর জল।

    মাঝেমধ্যে মা আসতেন। কোনও কমরেডের বাড়িতে থেকে চোখের জলে বিদায় নিতেন।

    কলকাতায় কসবায় মা থাকতেন। প্রতি বছর দশমীর আগের দিন মায়ের কাছে আসতেন। দুদিন পর ফের ধানবাদ।

    ১৯৭২ সালে নির্দল হিসেবে বিধায়ক। ১৯৭৫ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের ডাকে তিনিই সবার আগে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। জেলে যান। ১৯৭৭ সালে জেলে বসেই লােকসভা ভােটে জিতে যান। মানি, মাসল পাওয়ারকে মানুষের শক্তি হারিয়ে দেয়।

    ঝাড়খণ্ড আলাদা রাজ্যের দাবিতেও তিনি প্রথম সারিতে। শিবু সােরেন, অনিন্দ্য মাহাতাে, কৃপাশঙ্কর ব্যানার্জি, গুরুদাস চ্যাটার্জি তাঁরই শিষ্য।

    সাংসদ ভাতা বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় কেউ কেউ টিপন্নী করেছিলেন, ভাতার টাকাটা তাে গুনে নেবেন।

    বর্ধিত ভাতা তাে দূরের কথা, সাংসদ হিসেবে প্রাপ্য সব টাকা, এমনকী পেনশনও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে দেন। শেষদিকে কমরেডরাই খেতে দিত। সেবা করত। শরীরের ডানদিক পক্ষাঘাতগ্রস্থ। তবু খাপড়ার চাল, বিদ্যুৎহীন ঘরে থাকতেন। মুখে একটা হালকা হাসি।

    ২০০০ সালে গুরুদাস খুন হন। মনের দিক থেকে তখনই ভেঙে পড়েন।

    তার একটা হাতঘড়ি ছিল। সাংসদ হিসেবে প্রাপ্য স্মারক। ২০১৪ সালের ১৪ জুন চুরি হয়ে যায়। কাউকে অভিযােগ জানাননি।

    ছােট কাগজ ‘শহর’-এর সম্পাদক দলীয় কর্মী অজিত রায় এ কে রায়ের জীবনীগ্রন্থ লেখেন। রায়বাবু বইটি দেখে শুধু বলেছিলেন, হিন্দিতে হওয়া উচিত।

    পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা রায়বাবুকে নিয়ে তথ্যচিত্র করছিলেন। রায়বাবু সেটা আর দেখে যেতে পারলেন না। কিন্তু যাদের জন্য এ জীবন, তারা তাে দেখবেন। রাজশাহি, দিনাজপুর, কলকাতায় তাঁর খোঁজ পাওয়া ভার। ধানবাদে? রায়বাবু সচ্চা আদমি। লেকিন কোই ধান্দা হবে না। পয়সা কোথায়? তবে যখনই গরিবগুর্বো মানুষ লড়াইয়ের কথা ভাববেন, সেলাম জানাবেন রায়বাবুকে।

    সৌজন্যেঃ আজকাল

    [ধানবাদ অঞ্চলের কিংবদন্তী শ্রমিক নেতা সদ্যপ্রয়াত এ কে রায় স্মরণে 'শ্রমজীবী ভাষা' পত্রিকা একটি বিশেষ স্মরণ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এই লেখাটি সেই সংখ্যায় প্রকাশিত অনেকগুলি লেখার মধ্যে একটি।
    সংখ্যাটির দামঃ ১৫ টাকা
    পাওয়া যাচ্ছেঃ কলেজস্ট্রীটে মণীষা গ্রন্থালয়, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি, পাতিরাম, পিবিএস, বইচিত্র, বুকমার্ক, ধ্যনবিন্দু ইত্যাদি দোকানে]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৭৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 890112.162.122323.124 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৩47615
  • প্রণাম জানাই।
  • | 236712.158.1234.155 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৬47614
  • মানুষের মত মানু। কিন্তু ৫২র ভাষা আন্দোলনকারী ৬০ সালে চলে এলেন কেন? পেছনের ইতিহাস টুকু জানতে চাই।
  • aranya | 890112.162.9001223.63 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০৫47616
  • সত্যিই মানুষের মত মানুষ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন