দ্রোহ.জয়িতা ভট্টাচার্য এখনও আগাছায় বসে আছ।নিরাশ চাঁদের আলো দোমড়ানো কাগজের স্তুপ হয়ে ভেসে আসে জলে।তুমি কি শুনছ বসে সেইসব ভৌতিক বটের মুখে হরিনাম?ধনেশ পাখির মুখে ক্লিশে কথা এখনও! হায়নার মতো ছুটে গেছে অঘোরী তবু শ্মশানে মশানে লাশ নেই কোনো
নাগরিক জয়িতা ভট্টাচার্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সংঘাত নতুন কথা নয়।রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে বেনিয়ম ও ভ্রষ্টাচারও সর্ব দেশে দেখা যায়।কিন্তু এখন একটি যুক্তিযুক্ত আন্দোলনে আরো একটি বিষয় প্রকাশিত যে নাগিরকের মধ্যে নীতিহীনতা কতটা ব্যাপক। শিক্ষিত জন ঘুষ দিয়ে শিক্ষক হতে চান। অসদুপায়ে সরকারি চাকরি পেতে প্রতারণার শিকার হন
বার বার ফিরে যাই নৈঃশব্দ্যের কাছে বার বার হেরে যাই,ধড়হীন নিহত গাছের পাশে
আত্মজীবনীর খসড়া জয়িতা ভট্টাচার্য ডিম ফুটে বেরোতেই সবুজ পুকুর আর পাতা উনুনের গান। গান দিয়ে আমার মা আমার হাত আর পা গড়লেন। যেদিন চোখ ফুটল দেখলাম খালে ভেসে আসা লাশ। জুট মিলে তালা। আমার বাবা পিঠে ডানা বেঁধে দিতেই উড়ে গেলাম গ্রাম ছেড়ে শহর। মানুষ আর মানুষ।মিছিলের পেছনে মিছিল। বই খুলতেই উড়ে গেল প্রজাপতি, কলম খুলতেই জলপ্রপাত হাঁটতে লাগল বিবরের দিকে। সব রাস্তা হারিয়ে গেলো যখন বদলে গেল সবার নাম। আমার বাবা মিশে গেলেন জলে, মা বাতাসে ... ...
জেলেদের জাল শুকানো ও জনৈক মেছোভূতের উপলব্ধি। অনেকদিন পরে জেলেদের এভাবে জাল শুকাতে দেওয়া দেখলাম। জাল শুকানোর বাশের কাঠামোটি অনেকদিন খালি পরে ছিল। এরকম টানা জাল দিয়ে জলাশয়ে মাছ ধরা এদিককার জেলেদের হয়তো বিভিন্ন কারনে বন্ধ ছিল। সুখের কথা তারা আবার পুকুরে খালে বিলে জাল ফেলছে। নইলে তো আর শুকানোর প্রশ্ন আসেইনা। আহা মাছে ভাতে বাঙালী ! পাতে একটু মাছ না হলে চলেনা তাদের।এমন কি মরে গিয়ে ভূত হলেও মাছের লোভ ... ...
ব্রহ্মার অশ্রু থেকে জন্ম হলো এক বানরের। ঋক্ষরাজ। বনের ভেতরে আনন্দেই ছিলো সে। একবার মানস সরোবরের তীরে শরীরচর্চা করছিলো ঋক্ষরাজ। সরোবরের জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে উঠলো সে। এ কে? শত্রু না মিত্র? ঝাঁপিয়ে পড়লো জলে। জল থেকে যখন সে উঠলো তখন সে আর বানর নয়। সে তখন সুন্দরী এক নারী। এতো সুন্দরী সে যে দেবরাজ ইন্দ্র আর সূর্য কামনায় পাগল হয়ে উঠলো। ইন্দ্রের বীর্য গিয়ে পড়লো সুন্দরীর চুলে বা বালে। জন্ম নিলো বালী। আর সূর্যের বীর্য পড়লো সুন্দরীর গ্রীবায়। জন্ম নিলো সুগ্রীব। ঋক্ষরাজ কে? ঋক্ষ মানে ভল্লুক। ঋক্ষ মানে সপ্তর্ষি। দক্ষের ছিলো বহু কন্যা। দক্ষ নানা গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছিলো। তারা ... ...
১অসংগঠিত জীবন দেখলে শঙ্কা জাগেমহাসমুদ্রে অবসর আছে মরণের পরে!-ঈশ্বর সেসব বন্দরে নেমে মুখে তে হাগেতবু ভাল,যারা রাজকাজ থেকে অবসরে।২মুকুট বিনা দাম্পত্যে যাওয়া হঠকারিতাস্থায়ী শরীরের লোভ ছাড়লে বিশ্বনিখিল;তখন না হয় মুখাগ্নি ছাড়া জ্বলতো চিতা রাজকার্য্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ থোড়াই সামিল!
প্রিয় শতাব্দীকাল জয়িতা ভট্টাচার্য রোদ্দুরে হিমেল স্পর্শ লেগে আছে তাই চুমু দিয়েছি আদরে। পথে যেতে যেতে কৃষ্ণচূড়া প্রেম নীল পুকুরে শালুক ফুল ফুটে তুমি যেমন যত্ন করে জল ঢেলে দাও সন্ধ্যামালতির গাছে সেইসব বিচ্ছিন্নতার গল্পে আমিও ঢেলে দিচ্ছি বিকেল তুমি আছো-তুমি নেই-সমুদ্রে ভেসে গেল ঘর থেকে সংসারে লোনা জল লোনা জল।বিষ। সেদিনের মতো সন্ধ্যা আর কখনও নামবে কি এমন পরকীয়া রাতে আবার শোনাব টিঁকে থাকার গল্প তোমায় যখন সিঁদুর মুছে যাবে আর একটি ... ...
San Francisco Bay (This is a protest note and voicing our solidarity for the eleven thousand employees, who were fired abruptly by Facebook yesterday across the globe, for no lapse by the dedicated team)আজ পারকে বাচ্চারা খেলতে আসেনি, অন্য দিনের মতন,বিকেলের কুয়াশা ঢাকা পাহাড়, অবাক হয়ে ভাবেআজ ওরা কোথায় গেল।রাস্তা একদম ফাকা, রাস্তার দু ধারে নতুন ফুলে পাতায় সাজিয়ে গাছেরা ভাবে,এই সময় তো কত মানুষ কাজ থেকে ফেরে,আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালবাসা জানায়,আজ ওরা কোথায় গেল।আজ হাসি নেই, কথা নেই, জীবনের গতি নেই, আনন্দ নেই, আছে মর্গের নি:স্তব্ধতা, হতাশা, চাপা কান্না, আভিমান।মাঝ রাতে এসেছে এগার হাজার মেল, একসঙ্গে সবার কাছে।আগামি কাল থেকে ... ...
১৯৯৬ সালে ভারত যখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছিল, আমি তখন সিটিসির বাসে চড়ে বিদ্যাসাগর সেতু ধরে শিবপুরে ফিরছিলাম। দিনরাতের খেলা, শুরুটা দেখে বেরিয়েছিলাম। শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট করেছিল। জয়সূর্য সেবার বিশ্বকাপ কাঁপাচ্ছেন। কিন্তু সেদিন দুই ওপেনারই ঝপ করে আউট। তাতে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো যায়নি। অরবিন্দ ডিসিলভা দুর্ধর্ষ খেলেছিলেন। শ-আড়াই রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। ভালোই রান।আমি যখন ফিরছিলাম, ভারত ব্যাট করতে নেমেছে। ইডেনে খেলা হলে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে কেউ দেখেছেন কিনা জানিনা। বেশি কেউ দেখেননি, নিশ্চিত, কারণ খেলা থাকলে লোকে হয় মাঠে, কিংবা টিভির সামনে থাকে। সেদিনও তাইই ছিল। বাসে বোধহয় শুধু ড্রাইভার, কন্ডাক্টার, আর আমি। ইডেনের সব ফ্লাডলাইট জ্বলছে, অপূর্ব লাগছে ... ...
প্রতি রাতে রুমে ঢোকার আগে আমি পকেটে হাত ঢোকাই! যথারীতি দুই পকেটের একটাতেও রুমের চাবি থাকে না! দুপুর থেকে একটা গোটা সন্ধ্যা পেরিয়ে যখন একফালি রাত নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়াই ততক্ষনে কয়েক কিমি ঘুরে আমার ঘরের চাবি ব্যগে ঢুকে যায়! এরপর ব্যাগ খোঁজা! অধিকাংশ দিন এক চান্সে চাবি খুঁজে পাই না! এমনটা নয় যে ... ...
১ম পর্বের পর... ১৯৮৪ সালে শিব ভট্টাচার্য মারা যাওয়ার পর তরুণ অপেরা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। শান্তিগোপাল বাবুর কথায়, “তিনি আমার বাবার মতো ছিলেন। শিবুবাবুই আমার দল পরিচালনা করেছিলেন। তাঁকে ছাড়া, আমি দল চালিয়ে যেতে পারতাম না… এখন, আমার বন্ধুরা এবং পাড়ার ছেলেরা আমাকে মঞ্চে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চায়।” কথাগুলো বলেছিলেন ৬৫ বছর বয়সী শান্তিগোপাল। হিটলারের মতো মেকআপে নিজের একটি ছবির দিকে তাকিয়ে।সেই সময়টিতে আবার হিটলার হওয়ার জন্য শান্তিগোপাল, ফুয়েরারের আত্মজীবনী, মেইন ক্যাম্প এবং বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বই, উইলিয়াম শিরার্স এর লেখা রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য থার্ড রাইখ-এর মতো বইগুলোর সৌজন্যে স্বৈরশাসকের মানসিকতার মধ্যে তলিয়ে যেতেন।নিউ ব্যারাকপুরে একটি ছোট জনতা গত সপ্তাহে ... ...
গত শতকের সাতের দশকের শুরুর বছরগুলি। গ্রাম বাংলা দাপিয়ে হইহই করে চলেছে যাত্রা সম্রাট শান্তিগোপালের কালজয়ী পালা 'লেনিন'। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংগীতের পাশাপাশি এই যাত্রায় ছিল আরও ১০ টি গান। গ্রামীণ বাংলার আমজনতার মুখে মুখে ঘুরছে এই গানগুলি। স্বচ্ছল গৃহস্থ কিনে নিয়ে যাচ্ছে এলপি রেকর্ড। 'লেনিনের' এই তুমুল জনপ্রিয়তার খবর পৌঁছে গেল মস্কোতে। 'লেনিনে'র গান ছড়িয়ে পড়ল খোদ 'লেনিনে'র দেশে সোভিয়েত প্রশাসন 'লেনিনে'র হাজার হাজার এলপি রেকর্ড ভারত থেকে রাশিয়া নিয়ে গেল। শান্তিগোপালের লেনিনে'র গান ছড়িয়ে পড়ল খোদ 'লেনিনে'র দেশে। একই সঙ্গে উত্তর কলকাতার প্রশান্ত ভট্টাচার্যের সুর বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পড়ল রুশ দেশের কমিউনে। সত্তরের দশকের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তরুণ প্রশান্তই শান্তিগোপালের 'লেনিনে'র ... ...
: আমি বলি কি, ফেরো...: একা থাকার সিদ্ধান্তটা কেমন মনে হয় তোমার...: আমার মনে হয় অনেকটা সময় একা কাটিয়ে দিতে পারলেও একটা সময় ক্লান্তি আসে মানুষের, কোথাও সে ফিরতে চায়...: ঘর...ঘরের কথা বলছো...: একটা গৃহকোণ, একটা আশ্রয়, একটু নির্ভরতা, একটু বিশ্বস্ততা...হতে পারে ঘর-ই সেটা...: যেখানে মন নেই, ঘর তো সেখানে অবান্তর...নিষ্প্রাণ চারটি দেয়াল শুধু...: সংসার...মানুষ যেটা করে...: অথবা যেটা মন থেকে করে না মানুষ...মেনে নেয়...: মানিয়ে নেয় অথবা...একটু সামলে নিতে পারলে একটা সন্তান নিয়ে নিতে পারো চাইলে...: মনে করছো সন্তান কোনো সংসারকে টিকিয়ে রাখার নিশ্চয়তা দেয়...: কিছুটা বেঁধে রাখে হয়তো...পৃথিবীতে কোনটাই-বা নিশ্চিত...: আমি মনে করি যেভাবে আছি সেটাই-বা মন্দ কি...: ... ...
'মৃত্যু যে নিশ্চিত এটা অনেকেই বোঝে না। একবার যারা বোঝে, তারা সব ঝগড়া-ঝাটির সেখানেই শেষ করে দেয়।' (ধম্মপদ)|
বাংলা ভাষার সেরা হাস্যকৌতুক সিনেমাগুলোর অন্যতম, বহু তারকাখচিত (ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, কমল মিত্র, অসিতবরণ, রুমা গুহঠাকুরতা, রবি ঘোষ, তরুণকুমার অভিনীত) "আশিতে আসিও না" সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৭ সালে। সিনেমাটির সেইসময়ের ঈর্ষণীয় সাফল্য এবং সফল হাস্যকৌতুক আজও আপামর বাঙালীর মনের মণিকোঠায় ভাস্বর হয়ে আছে। সিনেমার মূল উপজীব্য ছিল, সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবারের আশি বছর বয়স্ক প্রধান সদানন্দ সংসারের ... ...
'আঘাত ও ক্ষত ভুলে যাও; কিন্ত ভুলে যেও না সদয়তা।‘ : কনফুসিয়াস
‘আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কী করে কুসুমের সামনে দাঁড়াবো। কী করে সামলাবো কুসুমকে যখন ও মানিক'দার মরদেহ দেখবে। কিন্তু কুসুম আমার কাজ সরল করে দেয়। সেদিন ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো, ও যেন জানতোই এটা হবে। আমি কুসুমকে সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত্য এক বিন্দু চোখের জল ফেলতে দেখিনি। আমি সেইসময় কয়েকদিনের জন্য কুসুমের সাথে থাকবো বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু একদিন পর ও আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বলে, আমার প্রয়োজন অনেক বেশি রণাঙ্গনে - আগরতলাতে নয়। জানায়, তোর অন্নপ্রাশনের তারিখ ঠিক হলে খবর পাঠিয়ে দেবে, যেন দু'দিনের জন্য আসি। কয়েকদিন পর থেকে কুসুমও শুরু করেন ত্রাণ শিবিরে যাওয়া। কিন্তু বকুল, আমি বুঝতে ... ...
(১) পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন ….. রাস্তাটা শেষ হচ্ছেই না। সেই যে শুরু করেছিলাম এখনো একই ভাবে চলছে। কখনো তেঁতুলতলার পাশে মাঠের মধ্যে দিয়ে নদীর ধারে, কখনো বা গ্রামের মধ্যে, ক্ষেতের ধার বরাবর, আম জাম বাগানের পাশ দিয়ে কোন্ গাঁয়ে গিয়ে কখন যে কোথায় পৌঁছেছি নিজেই জানি না। কখনো কেউবা সঙ্গ দিয়েছে কখনো আবার পুরো একা। কত মুখ কত মুখোশ। কত রঙ, কত রূপ, কত রস। কোন একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল একান্ত আমারই পথ, একান্তই আমার; আষ্টেপৃষ্টে বাঁধার পর বুঝেছি এ পথ শুধু চলার পথ, ফেরার পথ নয়। তাও মাঝে ... ...
'কাদা থিতানো এবং জল স্বচ্ছ না হওয়া অব্দি তোমার কি অপেক্ষা করার ধৈর্য্য আছে?‘তাও তে চিং