এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিষাক্ত বিশ্বকাপ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ নভেম্বর ২০২২ | ৭২৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • ১৯৯৬ সালে ভারত যখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছিল, আমি তখন সিটিসির বাসে চড়ে বিদ্যাসাগর সেতু ধরে শিবপুরে ফিরছিলাম। দিনরাতের খেলা, শুরুটা দেখে বেরিয়েছিলাম। শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাট করেছিল। জয়সূর্য সেবার বিশ্বকাপ কাঁপাচ্ছেন। কিন্তু সেদিন দুই ওপেনারই ঝপ করে আউট। তাতে শ্রীলঙ্কাকে আটকানো যায়নি। অরবিন্দ ডিসিলভা দুর্ধর্ষ খেলেছিলেন। শ-আড়াই রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। ভালোই রান।
    আমি যখন ফিরছিলাম, ভারত ব্যাট করতে নেমেছে। ইডেনে খেলা হলে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে কেউ দেখেছেন কিনা জানিনা। বেশি কেউ দেখেননি, নিশ্চিত, কারণ খেলা থাকলে লোকে হয় মাঠে, কিংবা টিভির সামনে থাকে। সেদিনও তাইই ছিল। বাসে বোধহয় শুধু ড্রাইভার, কন্ডাক্টার, আর আমি। ইডেনের সব ফ্লাডলাইট জ্বলছে, অপূর্ব লাগছে দেখতে। সত্যিকারের স্বর্গোদ্যানের মতো। মোবাইল-টোবাইলের কারবারই ছিলনা, ফলে জানতামই না, পরিস্থিতি অত আনন্দদায়ক না। ভারতীয় দল ব্যাট করছিল, একমাত্র শচিনই বোধহয় ভালো খেলেছিলেন, তারপর ধড়াদ্ধড় উইকেট পড়ছিল। আজহারউদ্দিন বোধহয় শূন্য। মাঠে একটু একটু করে উত্তাপ বাড়ছিল।
    সেসব বোঝা গেল নামার পর। হেঁটে চেনা রাস্তা দিয়ে ফিরছি। বিলকুল ফাঁকা। মোড়ে-মোড়ে  শুধু কিছু রাগী যুবকদের জটলা। তারা গজরাচ্ছে। দাঙ্গার আগে যেমন হয়। মাঠেও তখন আগুন জ্বলে গেছে। সত্যিকারের। শ-খানেক রানে ভারতের আট উইকেট পড়ে যাবার পর, খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা বোঝা যাচ্ছে, একটি খেলায় একটি পরাজয় নয়, খুব বড় কিছু এক অপরাধ হয়ে গেছে কোথাও। শোধ নেওয়া দরকার।
    দাঙ্গা তো তার ক'বছর আগে দেখেই ফেলেছি। এ তার চেয়েও বড়। যেন যুদ্ধ। 'পরাজয়ের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়' জাপানি সেনানায়করা বলতেন। এও যেন তাই। হারের আর কোনো ক্ষমা নেই। খবরের কাগজে 'ওই সময় থেকেই লেখা হচ্ছে, ক্রিকেট আর ক্রিকেট নেই, যুদ্ধ হয়ে গেছে'। এর কয়েক বছর পর সত্যিকারের প্রায়-যুদ্ধ বাধবে। কারগিল। ওই একই অবস্থা। কোথায় কোন ভূখণ্ডে, কোন ন্যাড়া পাহাড়ের মাথায় কী চলছে, কেন চলছে, কেউ জানেনা। কেন ওই ন্যাড়া পাহাড় নিয়ে দুই প্রতিবেশি অনন্তকাল লড়ে যাবে, কেন ফৌজের ছেলেরা মরবে, কফিন হয়ে ফিরবে, তাও না। কিন্তু যুদ্ধ চলছে। শিয়ালদায় যুদ্ধবিরোধী সভা করতে গিয়ে গ্রেপ্তারই হয়ে গেল ছেলেপুলে। না হলে মারধোর খেয়ে মরেই যেত হয়তো। লোকে তো শত্রু খুঁজছে, হাতের কাছে কটা পেলে মারবে না কেন।

    যুদ্ধে এসব আগেই ছিল। ক্রিকেটে শুরু হল, ওই নব্বইয়ে। এর আগে, লেখায় পড়েছি, ভারতের হার নিশ্চিত থাকলেও, শেষ দিনের ইডেন ভর্তি হয়ে যেত। হত নিশ্চয়ই। কিন্তু সেসব ইতিহাস। নব্বই থেকে স্রেফ আগ্রাসনের পুজো শুরু হল। দেশপ্রেম, আগ্রাসী পৌরুষ, পাকিস্তান-বিরোধিতা, সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। এখন মাঝে-মাঝে টক্সিসিটি নিয়ে নানা জ্ঞানগর্ভ বাণী শুনি। কিন্তু আগ্রাসন-পুজো? তার কোনো খামতি তো নেইই। বেড়েই চলেছে। তা নিয়ে তো টুঁ শব্দটিও দেখিনা। যুদ্ধেও না, খেলায়ও না, বলিউডেও না। যেগুলো জাজ্বল্যমান। 

    যাইহোক, তারপরেও ক্রিকেট দেখেছি। ২০০৩ এ। সেবার এই আগ্রাসনের চাপ কম ছিল। হেরে আসার পর সমবেদনা ছিল। কিন্তু লম্বা সময়ে দেখতে গেলে, আগ্রাসন-পুজো বেড়েছে। ক্রিকেট-জিম-পেশি। বীরপুজো। আর হেরে গেলে 'গদ্দারকে কেটে ফেল'। বাংলাদেশ মঞ্চে আসার পর আরও বেড়েছে। একটা খেলা হলেই, গুরুর গ্রুপেও অ্যালার্ট থাকতে হত। এই খিস্তিখাস্তা আক্রমণ শুরু হয়ে গেল। পোস্ট অ্যাপ্রুভাল চালু করে সেসব মিটেছে। কিন্তু এই বস্তু দেখতে দেখতে একটা সময় বিরক্ত লেগে গেছে। কবে জানিনা। বছর দশ-পনেরো তো হলই। আর খেলা দেখিনা। বিশ্বকাপের খবর রাখিনা। ইন্টারনেটের কল্যাণে জানা অবশ্য হয়ে যায়। না জেনে উপায় নেই। 

    এত কিছু লিখলাম, বিশ্বকাপ চলছে বলে। সে তো জেনেই ফেলেছি। আজ দেখলাম পাকিস্তান ফাইনালে উঠেছে। ভারতেরও ওঠার সুযোগ আছে। পড়েই, পুরোনো, অনেক পুরোনো ভারত-পাকিস্তানের খেলা মনে পড়ে গেল। গাভাস্কারের ৯৬। শেষ টেস্ট মনে হয়। শচিনের সেঞ্চুরি। দুটোতেই ভারত হেরেছিল। তাতে কিস্যু এসে যায়নি। অতিমানবীয় ইনিংস দুটোই অক্ষয় হয়ে থেকে গেছে। ভারত ফাইনালে উঠলে আরও একটা ভারত-পাকিস্তান খেলা দেখতে ইচ্ছে করল। কিন্তু কী দেখব? কোহলির আগ্রাসন? বিরক্ত লাগে। বীরপুজো? হাইলাইটস দেখলাম কটা, গোটা ভারতীয় দলের হাবভাবই একইরকম। হাল্লা চলেছে যুদ্ধে।

    এইসব কারণেই এই ভারতীয় দলকে সমর্থন করতে ইচ্ছে করেনা। আন্ডারডগদের ভালো লাগে। পাকিস্তান নাকি এই প্রতিযোগিতার আন্ডারডগ। সমর্থন না করলে খেলা দেখা জমেনা। তখনই একবার মনে এল, যদি আদৌ দেখি, তো পাকিস্তানকে সমর্থন করলে কেমন হয়? খেলাই তো। যুদ্ধ তো না। দেশপ্রেমের পরীক্ষাও না। ভাবতেই গাটা কেমন শিউরে উঠলে। এসব ভাবলে, ওরে বাবা যদি পুলিশে ধরে। 

    আমি নিজে আদৌ হয়তো দেখবনা। দেখলেও সমর্থন-টন করার প্রশ্নই নেই। কিন্তু ভাবতে ইচ্ছে করে, ভারতীয় সমর্থকরা পাকিস্তান দলকে, বাংলাদেশীরা ভারতীয় দলের ভালো খেলোয়াড়কে, বাহবা দিচ্ছেন। না বীরপুজো না, ভালো খেলার জন্য বাহবা। সেই গাভাস্কার আইডলসে যেমন লিখেছিলেন, 'আহা এবার শুধু কানহাইয়ার শুয়ে পড়ে সুইপ শট দেখব', সেই রকম। সমর্থন-টমর্থনও করতে পারেন। 'আমার যাকে ইচ্ছে হবে, তার খেলা  সমর্থন করব, এর সঙ্গে আগ্রাসন, দেশপ্রেম কিসুরই সম্পর্ক নেই, এ কেবল একটা খেলা মাত্র' -- এরকম একটা বাস্তবতায় পৌঁছনো কি একেবারেই অলীক হয়ে গেছে, যে, এমনকি কল্পনায়ও আনা যাবেনা? 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:284b:fb55:aa82:6a3c | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৮:২২513659
  • ভাল লাগল 
  • dc | 2401:4900:1cd1:2ed8:540c:35fc:79a7:6c42 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫২513660
  • পুরনো অনেক কথা মনে পড়লো :-)
     
    ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপ দেখেছিলাম মামাবাড়িতে, সেখানে পাড়ার আরও অনেকে এসেছিলেন। জয়সূর্য্য আর কালুভিথর্না সেই বিস্বকাপের হিরো ছিলেন, কিন্তু সেদিন আমরা সবাই চাইছিলাম ওনারা তাড়াতাড়ি আউট হোক। আর হলোও তাই, যদ্দুর মনে পড়ছে সেকেন্ড ওভারে জয়সূর্য্য হুক করতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে ধরা পড়ে গেলেন, তার পরের ওভারেই কালুও আউট। পাড়া জুড়ে সে কি হৈচৈ! আর তারপর ডি সিলভা হাল ধরলেন, তারপর ভারতের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়লো। জয়সূর্য্য, কালু আর ডি সিলভা, এই তিনজনই আমার ফেভারিট প্লেয়ার ছিলেন। 
     
    ২০০৩ এর বিশ্বকাপও মনে আছে, শচীন সেই টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। ইংল্যান্ডের একজন ফাস্ট বোলারকে (নাম মনে পড়ছে না) পুল করে একটা ছক্কা মেরেছিলেন, সে এখনো মনে আছে। কমেন্টেটর বলেছিলেন, ওই শটটা মারার জন্য বোধায় শচীন আজীবন বসেছিলেন, এতোটা সময় পেয়েছিলেন। 
     
    আর মনে আছে ২০১১ র বিশ্বকাপ। ফাইনাল দেখেছিলাম চেন্নাইতে এক বন্ধুর বাড়িতে, সেও ভিড় করে। ধোনির সেই ছক্কা আর রবি শাস্ত্রীর কমেন্টারি এখনও স্পষ্ট মনে আছে। 
     
    গাঙ্গুলি আর শচীন রিটায়ার করার পর ক্রিকেটে দেখার মতো আর কিছু ছিল না। শচীনের রিটায়ারমেন্ট টেস্ট আমার দেখা শেষ ক্রিকেট ম্যাচ। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::84:6bef | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫৯513661
  • এখন ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ অনেক বেশি মজার হয়। মাঠে প্রতিযোগীতা। ওখানেই শুরু, ওখানেই শেষ। কারণ যে দলই জিতুক বেশ একটা উৎসব উৎসব ব্যাপার। লোকে জেতা হারার থেকেও দর্শকদের পাগলামো আর সেই নিয়ে মীম বানাতে বেশি উৎসাহী। আর সেই নিয়ে দুদেশেই খুব মজা টজা হয়। ভারতীয় লোকেরা নিয়মিত ইন্জি ভাই, শোয়েব আক্তর, আক্রমের অ্যানালিসিস শোনে। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অ্যারি টিভির অ্যানালিসিস এখন ভারতে সবথেকে জনপ্রিয়। উল্টোদিকে বহু পাকিস্তানি নিয়মিত স্পোর্টস তকের আলোচনা ফলো করেন। গতবছর বিশ্বকাপে পাকিস্তান জেতার পরে বাবর আজম (এই মুহুর্তে ভারতে খুবই জনপ্রিয় এই ছেলেটি) এবং আরো কিছু পাকিস্তানি খেলোয়ার পিছনে হাত রেখে রীতিমতন ছাত্রসুলভ ভাবে ধোনির থেকে জ্ঞান আহোরণ করছিলো। সেই নিয়ে দুদেশেই পাকিস্তানি খেলোয়ারদের প্রশংসা করা হয়েছিলো। পাকিস্তানীরা ভিরাট বলতে ভগবান বোঝে, বরন্চ ভারতেই ভিরাটের কিছু সমালোচনা হয়। আর যে দল হারে, তাদের সমর্থকরা নিজেদের দলের খেলোয়ারদের দোষ দেখে। অন্য দলকে প্রশংসা করে। দিন পাল্টে গেছে। এছাড়া ভারতে সাউথ আফ্রিকার এবি ডিভিলার্স প্রচন্ড পপুলার। এবং এখন কিছুটা ডেভিড ওয়ার্ণার। এবিডি যখন ইণ্ডিয়াতে ব্যাটিং করতে নামতো তখন পুরো স্টেডিয়াম এবিডি এবিডি চেঁচাতো। কালকেও দেখলাম এবিডির ইনস্টাতে একটা রীল দিয়েছে। কোনও অনুষ্ঠানে বোধয় যোগ দিতে ব্যাঙ্গালোরে এসেছিলো, সেখানে কয়েকশো জনগণ এবিডি এবিডি করে গেলো।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::84:6bef | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০২513662
  • গত কয়েক বছরে ভারত আর পাকিস্তানের খেলার সবথেকে উল্লেখজনক ঘটনা হলো এই ইন্টারভিউটা। এইটা নিয়ে নাহলেও কোটি ত্রিশেক মীম তৈরী হয়েছে।
  • dc | 2401:4900:1cd1:2ed8:540c:35fc:79a7:6c42 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০৮513663
  • পেয়েছি, অ্যান্ডি ক্যাডিককে পুল করে সেই ছক্কাটা। য়ুটুব থাকতে আর কি চাই! :-)
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::77:ff43 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০৯513664
  • এখন এই ছেলেটি ইন্ডিয়া পাকিস্তানের ক্রিকেটের মীম কিং। দুটো মীম দিলাম।




     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::84:af1f | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৯:১৫513665
  • ওয়াংখেড়েতে এবিডি ব্যাট করতে নামছে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। ভারতীয় ফ্যানদের অভ্যর্থনা।
  • অখণ্ড ভারত | 138.199.29.236 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫৯513671
  • ১৯৪৭ থেকে ৫০-৬০ বছর ভণ্ড সেকুলাররা অনেক তর্জন গর্জন করেছে, পুরো ন্যারেটিভ কন্ট্রোল করেছে, মিথ্যে কথা দিয়ে সব ইতিহাস বই ভরিয়ে দিয়েছে, উঠতে বসতে সনাতন ধর্ম আর ভারতবর্ষের আসল উত্তরাধিকারীদের হেয় করেছে আর বাইরে থেকে লুঠ করতে আসা আগ্রাসী খুনে ধর্ষকদের তোল্লাই দিয়েছে। এখন অতটা আর করতে পারছেনা বলে নাকে কেঁদে  আকাশ ফাটিয়ে দিচ্ছে।
     
    আরো অনেক কাঁদতে হবে। প্র্যাকটিস রাখা ভাল। এ তো সবে শুরু।
  • :-)) | 2405:8100:8000:5ca1::154:3506 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২০513676
  • হ্যাংলামোদী  বিরিয়ানির লোভে ল্যাক ল্যাক করে বিনা নেমন্তন্নে হাজির হবে আর গোরা পুরুষ দেখলেই ঝাঁপিয়ে জড়িয়ে ধরবে। পেটে এক চিমটের বিদ্যে  না থাকলে যা হয়।
  • হ্যাহ্যাহ্যাহ্যা | 2405:8100:8000:5ca1::d:7998 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৪513678
  • এবার চাড্ডিচোগুলূ কেন্দে ভাসাচ্ছে
  • Subhadeep Ghosh | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩৫513679
  • হিরো কাপের কথা মনে পড়ে গেল লেখাটি পড়ে। শেষ ওভারে শচিনের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন কপিল দেব। এই যুদ্ধ জিগিরের সঙ্গে ব্যবসা ও ক্ষমতার গভীর সম্পর্ক আছে, এটা তৈরি করা হয়েছে এবং এটাকে টিকিয়েও রাখা হবে। কপিল দেব ভারতের সর্বকালের সেরা পেস বোলার হলেও, ওয়াসিম আক্রম কিন্তু আমার মত অনেক ভারতবাসিরই প্রিয়তম বোলার। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:2ed8:540c:35fc:79a7:6c42 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১৩513680
  • ওয়াসিম আর ওয়াকার ইউনুস, এই দুজনেই আমারও প্রিয় বোলার ছিলেন। আর ইমরান খান? উফ! অবশ্য ইমরান শুধু দুর্দান্ত বোলার ছিলেন না, অসাধারন ক্যাপ্টেনও ছিলেন। আর দুয়েক সময়ে ভালো ব্যাটও করেছিলেন। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:2ed8:540c:35fc:79a7:6c42 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:২০513681
  • সেই সময়টায় চুটিয়ে ক্রিকেট দেখতাম। আর প্রতিটা টিমেই এমন সব প্লেয়ার ছিলেন যাঁদের খেলা দেখার জন্য অন্য সব কাজ থামিয়ে দিতে পারতাম। গিলক্রিস্ট, হেডেন, পন্টিং, স্টিভ ওয়া, ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন, জয়সূর্য্য, মুরলি, ডি সিলভা, জন্টি রোডস, অ্যালান ডোনাল্ড, লারা, কোর্টনি ওয়ালশ....প্রতিটা টিমে সাপোর্ট করার মতো বেশ কয়েকজন করে প্লেয়ার থাকতো। 
  • অখণ্ড ভারত | 212.102.55.75 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩১513682
  • বিষয়টা খুব সহজ।

    ভারতবর্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেশ, অর্থাৎ হিন্দু, জৈন , শিখ, বৌদ্ধ, ইত্যাদি।

    ইসলাম আর খ্রিস্টান ধর্ম (যদি এদুটোকে "ধর্ম" বলা যায়) হল বাইরে থেকে আসা লুঠেরা, হানাদার আর নারীধর্ষকদের ধর্ম। অখণ্ড ভারতে তাদের কোন জায়গা নেই।

    মুসলমানদের আর খ্রিস্টানদের কেউ যেচে এদেশে নেমন্তন্ন করে আনেনি। এরা এসেছে এদেশকে ধ্বংস করতে। এদের একমাত্র দুঃখ যে ধ্বংসটা এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি। তবে এদের মনে আশা আছে যে সামনে কয়েক দশকে বাকি হিন্দুগুলোকেও কুপিয়ে দেওয়া যাবে।

    এদের না তাড়ালে ভারত বলে কিছু থাকবে না।
    এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
     
    মুসলমানদের আরো গোটা পঞ্চাশেক দেশ আছে। খ্রীষ্টানদের শ-খানেক দেশ আছে। আর হিন্দুদের ভারতকেও নিজের দেশ বলার উপায় নেই।
  • dc | 2401:4900:1cd1:2ed8:540c:35fc:79a7:6c42 | ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫১513684
  • য়ুটুবে আরেকটা মুক্তো পেলাম। ইমরান খানের ডেডলি ইয়র্কার, রিচি বেনোর কমেন্টারি :-)
     
  • Subhadeep Ghosh | ১০ নভেম্বর ২০২২ ২০:৩৪513686
  • ৯২-র বিশ্বকাপ ভালো শুরু না করেও ইমরান খানের অসাধারণ অধিনায়কত্ব ও বোলিংয়ের জন্য পাকিস্তান বিশ্বকাপ জেতে। গোটা টিমটাই পরের দিকে ভালো খেলেছিল। ইমরানের বিদায় ও ওয়াসিমের আগমন ঐ সময় থেকে আমার খেলা দেখার শুরু, তাই ওয়াসিম মনে গেঁথে আছেন। হ্যাঁ, ক্রিকেটীয় ব্যক্তিত্ব ও অধিনায়কত্বের বিচারে ইমরান খানের উপরে এই উপমহাদেশে কেউ নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন