১৯৯০ সালের গ্ৰীষ্ম কালের কোনো এক রবিবারের বিকেল। কর্ম সূত্রে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনীয়ারিং সংস্থার নির্মাণ বিভাগের হয়ে ভাইজাগে পোস্টেড।প্রায় সাড়ে তিন বছর সেখানে ছিলাম। অনেক সহকর্মীর মতো আমারও কর্ম জীবনের এবং বোধকরি ব্যাক্তি জীবনেরও সেরা সময়( গিন্নী সেরকমই বলেন)। নানা কারণে বঙ্গোপসাগরের উপকুলীয় এই শহর স্বাস্থ্যকর, শান্ত ও মনোরম।স্টীল প্লান্টের গা ঘেঁষে সমূদ্রের পাড়ে গঙ্গাভরম বলে জায়গাটা আজো মনের ক্যানভাসে ছবি হয়ে আছে! সমূদ্রের ধারে একটা পাথর আর একটা পাথরের ওপর ভারি বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। 'হম বনে তুম বনে...'। 'এক দুঁজে কে লিয়ের' Shooting হয়েছিল এখানে! পাহাড়ের উপরে একটা মন্দির আছে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা যায়!প্রায় শ'দেড়েকের মতো স্টেপ হবে ... ...
থানার দুজন উর্দিহীন সাব ইন্সপেক্টর চোখের পলক ফেলতে না ফেলতে কলতানের কাছাকাছি এসে তাকে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগল । কলতান বলল , ' এই যে ... আমি এখানে ... ' । এস আই দুজন সঞ্জয় ঘোষ এবং প্রতীক চক্রবর্তী তার সামনে যেতেই সে তার দাড়ি পাগড়ি সব খুলে ফেলল । প্রতীকবাবু বললেন, ' আরে... কেয়াবাত .... আপনার সত্যি জবাব নেই ... কেউ চিনতেই পারবে না ...' । সঞ্জয়বাবু বললেন, ' মেক আপ দুর্দান্ত হয়েছে .... 'কলতানের কানে এসব কথা ঢুকছে না । সে বলল , ' ওসব বাদ দিন । হারি আপ ... কে এফ সি বিল্ডিং..... মারুতি ভ্যান .... ... ...
নটা বাজার মিনিট পাঁচেক আগে কলতান মাথায় একটা পাগড়ি পরে গালে দাড়ি লাগিয়ে নিল চট করে । এত দ্রুতবেগে কাজটা করল যে আশপাশের কেউ কিছু বুঝতেই পারল না । অনেক বছর ধরেই সে এ কাজটায় অভ্যস্ত । বাইকের রিয়ার ভিউ গ্লাসে নিজের মুখটা দেখে নিল । নিজেকে নিজে চিনতেই পারছে না । বারের ভিতরে ঢুকে কাউন্টারের একপাশে দাঁড়িয়ে রইল । ফ্লোরের টেবল দু তিনটে এখনও খালি । বাকিগুলোয় পানরসিকরা উদ্বেল হিল্লোলে ভাসছে । রাত আস্তে আস্তে রঙে রঙে রঙীন হয়ে উঠছে । দারিদ্র, মালিন্য ভরা কলকাতার ভিতরে আর এক কলকাতা । ন নম্বর টেবিলটা একপাশে একটু নিরিবিলিতে ঢিমে বাতির নীচে । ... ...
মাত্র দুবার রিং হবার পর ওদিকে কেউ ফোন তুলল । পুরুষকন্ঠে একটা ছোট আওয়াজ আসল --- ' হুমম্ ' । কুলচা নার্ভ ধরে রেখে গলায় মধু ঢেলে বলল,' হরি ওম ' ।মোবাইল নিঃশব্দ হয়ে গেল । স্পীকার অন করাকরা আছে । বোঝা যাচ্ছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি । ওপারের ভদ্রলোক বোধহয় সতর্কভাবে জল মাপছে .... । কুলচা ক্রিজে বেশ তাড়াতাড়ি সেট হয়ে গেছে মনে হচ্ছে । সে ছোট্ট একটা গিগল মিশিয়ে আবার একবার বলল , ' হরি ... ও..ম ' ।এবার ছোট্ট একটা জবাবও এল ' লিডার 'এবার কি বলা যায় ভেবে না পেয়ে কলতানের কথামতো চুপ করে রইল । কলতান তাড়াতাড়ি ... ...
Switzerland of Assam হিসেবে পরিচিত হাফলং, অনন্যসাধারণ এক শৈলশহর। আসামের একমাত্র শৈলশহর গৌহাটি - শিলচর রেললাইনে গৌহাটি থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার আর শিলচর থেকে ১০৩ কিলোমিটার দূরে। আগে ট্রেন পাহাড়ের ওপরে উঠে যেত, কিন্তু ব্রডগেজ লাইন হওয়ার পর থেকে পাহাড়ের নীচে নতুন 'নিউ হাফলং' স্টেশনে নেমে গাড়ীতে করে প্রায় ৯ কিলোমিটার পাহাড়ে উঠে আসতে হয়। শিলচর শহর থেকে ১০৩ কিলোমিটার দূরত্ব হলেও পাহাড়ী রাস্তা বলে ৪ ঘন্টা সময় লাগে ট্রেনে। এই লাইনে ট্রেনের লেট হওয়া নিত্যনৈমিত্যিক ব্যপার, কারণ সিঙ্গল লাইন। আজ ট্রেন এক ঘন্টা লেট করেছে কিন্তু, রাস্তার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল ট্রেন আরও লেট করলেই ভালো হয়।দিমা হাসাও ... ...
নৌকো আসে দলে দলে, রত্নচূর্ণ মাখানৌকো মানেই জল থাকে বুঝি? এখন কিছু নেইনা থাকা জলচ্ছায়া খোলের ভিতর রাখা হাত ডুবোও, হাতে ধরে তোলোযত পুরোনো নদী, হেমন্তকাল এলে সরু নৌকো আসে দলে দলে, অন্ধকার হোলো আমরা যে সব দিন, যে সব আলুথালুকথাবিন্দু ভাসিয়েছিলাম, তাদের মনে করেফিরে আসছে নৌকোঋতু, ঘামছে বাম তালু উপোস গেলো, চালবাতাসা ভিজছে ঘরে ঘরেকি করে ভেজে? দারুণ দাবানলে বৃদ্ধ তরুপুড়ে যাচ্ছে, খালি হচ্ছে মেঘের চবুতরা নৌকো আসে দলে দলে, অথচ বুকে খরাজল জল বলে দিনান্তে নিশি ডাকছে তো ডাকছেই ... ...
গ্রীষ্মকালের চরম শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার তৃণভূমিতে আগুনলাগা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তীব্র তাপমাত্রায় বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস , বজ্রপাত , অসাবধানী ক্যাম্প ফায়ার ও নানা কারণে তৃণভূমিতে প্রায়ই আগুন লাগে।.তৃণভূমিতে এই বাৎসরিক আগুন লাগার পেছনে তৃতীয় একটা কারণ আছে যা আধুনিক মানুষ মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছে। এটা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা হাজার বছর আগেই জানত -- আগুনে বাজ বা Fire hawk ..Fire hawk বা Black Kite ( Milvus Migrans ) নামে পরিচিত এই বাজ কোথাও আগুন লাগতে দেখলে একা বা সংঘবদ্ধভাবে ছোটখাটো জ্বলন্ত ডালপালা ঠোঁটে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে দূরে নিক্ষেপ করে।.আগুন লাগলে কীটপতঙ্গ পতঙ্গ ও সরীসৃপ দলবেঁধে বেরিয়ে আসে। ... ...
ফ্ল্যাটের আসল মালিক সরোজ ভরদ্বাজের ফোন নম্বরটা পাওয়ার পর কলতান বলল, ' রাকেশ মিশ্র, মানে যে এসে মাঝে মাঝে থাকে তার ফোন নাম্বারটাও দিন ... ' ভদ্রলোক রেজিস্টার হাতড়ে ফোন নম্বরটা বার করে কলতানকে দিলেন । কলতান ফোন নম্বরটা সঙ্গে মিলিয়ে দেখল সূর্য শ্রীবাস্তবের নম্বরের সঙ্গে মেলে কিনা । নম্বর মিলবে আশা করেনি এবং মিললও না । কলতান বলল, ' বিল্ডারের নাম এবং ফোন নম্বর দিন ' ভদ্রলোক বাধ্য বালকের মতো চুপচাপ একটা কার্ড বার করে কলতানকে দিল । পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা... । কার্ডে চারটে ফোন নম্বর রয়েছে । রিয়্যালটর কোম্পানির নাম নিলাদ্রি বিল্ডার্স । অভিরূপবাবু বললেন , ' মিস্টার ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ৩|| ২৭ নম্বর ট্রাম ||" আরে আজকে স্নান করে আয়নার সামনে টাইগার ব্যালেন্স করতে গিয়ে উল্টে পরে গেছি | টেবিলে এক লাথি | বাড়ির লোকজন ছুটে এসেছে কি হলো কি হলো বলে |" " আর আমি খাটের উপর শুয়ে করতে গিয়ে ঘাড়ে লেগেছে |" হা হা হা হা | বক্তারা হলো পার্থ দা, দিব্যেন্দু দা, সৌম্য দা | আমাদের থেকে তিন বছরের সিনিয়র | পরের বার মাধ্যমিক | পিটি ক্লাসে দীপক বাবুর কঠোর নির্দেশ | তাই বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে গিয়েই বিপত্তি |২৭ নম্বর ট্রামে করে বেহালা থেকে হাজরা স্কুলে যাবার পথে এই কথোপকথন | মুগ্ধ ... ...
জ্ঞানীগুণী মাত্রেই জানেন গত ২৬ তারিখে , ১৯৫৫ সালে পথের পাঁচালী মুক্তি পেয়েছিলো , ইত্যাদি ইত্যাদি। জানা তথ্য আবার বলে অজন্তায় দাগা বুলিয়ে কাজ নেই। একটা অন্য জিনিসে আলোকপাত করা যেতে পারে। পথের পাঁচালীর থিম মিউজিক নিয়ে বাড়াবাড়ির অন্ত নেই। কিন্তু সেই অমর সুরকেও অমৌলিকত্বের সন্দেহে পড়তে হয়েছিলো। সন্দেহ করেছিলেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক। তারপর সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিয়াছে। বাজালে লোকে বলবে সত্যজিতের করা সুর। পরিচালকের ডেবিউয়ের মহিমা। দুর্ভাগ্য রবিশঙ্করের ; একে বাঙালি তার আন্তর্জাতিক আইকনদের তালিকায় ভদ্রলোককে (সঙ্গত প্রায়োগিক কারণ থাকলেও) রাখতে চায় না , মোটামুটি রবি-সত্য-অমর্ত্য-সৌরভ কোয়াড্রাতেই কাজ চলে যাচ্ছে। উপরন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনার কাজে নিজস্বতা ঢেলে দিয়েও কল্কে টল্কে পাচ্ছেন না। ইদানিং ... ...
মুখের চানাচুর শেষ হলে অচিন্ত্য বলল, ' আপনি কাকে ফোন করেছিলেন ? '----- ' সূর্য শ্রীবাস্তবকে । অবশ্য ওটাই আসল নাম কিনা শিওর নই । কিংবা সেই ফোন ধরল কিনা বলা মুশকিল । যাই হোক ধরে নেওয়া যাক এটাই সূর্যকুমার । তুমি কখনও ফোনে কথা বলেছ ওর সঙ্গে ? '---- ' না না ... পাগল নাকি ? '----- ' ওদের কিছু কোড ল্যাঙ্গুয়েজ জানা আছে তোমার ? '----- ' হ্যা ... হরি ওম-টা জানি । গ্যাঙের মেম্বাররা একজন আর একজনকে এটা বলে ...' ----- ' আর ফক্স টেরিয়ার ? '----- ' হ্যা এটাও জানি ... এটা একটা সতর্কবার্তা। এর মানে হল ... ...
আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, ধর্ম আসলে একটা সমাজ বিজ্ঞান। সমাজকে সুস্থ ভাবে চালানোর জন্য এখানে বিভিন্ন রিতি নীতি চালু হয়। দূর্গা প্রতিমা বানতে ব্যাশা পল্লীর মাটি লাগে। ভাবুন সমাজ যাঁদের দূরে ঠেলে দিয়েছে, অবজ্ঞা আর বঞ্চনার পাহাড় সম দেওয়াল তুলেছে। ঘৃণা আর নোংরা দৃষ্টি ছাড়া যাঁদের কিছুই জোটেনাতাঁদের ঘরের মাটিই দেবীমূর্তির অপরিহার্য অঙ্গ ৷ পুরুষ মানুষ পতিতালয়ে গিয়ে যখন বারাঙ্গনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে তিনি জীবনে সঞ্চিত সমস্ত পুণ্য সেখানেই ফেলে আসেন ৷ হিন্দু রা বিশ্বাস করেন যে, মানুষের মধ্যে যে কামনা, বাসনা, লালসার বাস করে পতিতারা তা নিজেদের মধ্যে নিয়ে নেন। তাঁরা নিজেদের অশুদ্ধ, অপবিত্র করে সমাজকে শুদ্ধ ও পবিত্র ... ...
------ ' তুমি কি ভয় পাচ্ছ ? '----- ' ভীষণ স্যার.... আমাকে দিয়ে যা করানোর করানো হয়ে গেছে । ওরা এখন আর আমাকে বাঁচতে দেবে না । আমি যে অনেক কিছু জানি ... '----- ' কি জান তুমি ? ' বাইরে বৃষ্টি নামল । অচিন্ত্য দলুইকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে কলতান । সুর ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচিলের ধারে অচিন্ত্যর কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল কলতান । অচিন্ত্য কোন কারণে খুব ভয়ে ভয়ে আছে মনে হচ্ছে । বলল, 'আমি কিছু করিনি স্যার.... কিন্তু ওরা আমায় ভয় দেখাচ্ছে। বলছে যে জানে মেরে দেবে .... '----- ' ওরা মানে কারা ? ভয়ই বা দেখাচ্ছে কেন ? তুমি আমাকে চিনলে ... ...
সারা বিশ্বে মূলতঃ তিন ধরনের অর্থনীতি চালু আছে। পুঁজিবাদী অর্থনীতি, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি এবং মিশ্র অর্থনীতি। এই হিসেবে দেশগুলিকেও তিনভাগে ভাগ করা যায়। ধনতান্ত্রিক দেশ, সমাজতান্ত্রিক দেশ এবং সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দেশ। প্রথম ভাগের দেশগুলো, যেখানে উন্মুক্ত অর্থনীতি, কোনো ধরনের সরকারী নিয়ন্ত্রণ নেই। কোনো সরকারী স্কুল নেই, সরকারী পরিবহন নেই, সরকারী স্বাস্থব্যবস্থা নেই, সরকারী পরিষেবা নেই। তেলের দাম, গ্যাসের দাম, জিনিসপত্রের দাম সরকার বেঁধে দেয়না। এককথায় বলতে গেলে ফেল কড়ি মাখো তেল। দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলো, যেখানে সবকিছুই সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন, বেসরকারী কোনো কিছুই নেই। সবকিছুর দাম সরকার ঠিক করে দেয়। তৃতীয় ভাগের দেশগুলো, যেখানে সরকারী ক্ষেত্রের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রও বিদ্যমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ... ...
ভুলে যেও আমায়!তোমার থেকে বিচ্ছেদ আমায় করবে এই শতাব্দীর অন্যতম প্রধান কবি!তাই কখনো তোমার আফসোস হবে না, কিংবা ক্ষণিকের জন্য কষ্টও পেতে হবে না প্রিয়তমা!আমার চাওয়া আমি নই বরং তুমিই আমায় বিদায় বলবে!কারণ, আমি তোমায় ছেড়ে গেলে বারংবার ফিরে আসবো, আর তুমি আমায় বরণ করে নিবে!অথচ তুমি ছেড়ে গেলে আমি যে আসলেই কোনো কালেই কিছু ছিলাম না, আমি যে আজীবনের ব্যর্থ তাতে আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস জন্মাবে। তোমায় এতটা ভালো লাগে, এতটাই আপন মনে হয়, তুমি আমার এতটাই কাছের যে তোমাকে কখনো হারানোর কথাই মাথায় আসেনি!অথচ বুঝমান মাত্রই জানেন, সবচেয়ে প্রিয় যে সে-ই হারায়ে যায়!তোমার সাথে হওয়া বিচ্ছেদ আঘাত নয়, বরং এই শতাব্দীর ... ...
এটা একটা ঘোরালো চক্র বুঝতে পারল কলতান । এটাও অনুমান করল মধুজা নামটা মোটেই আসল নাম নয় । বানানো নাম । মোবাইল নম্বরটা ট্র্যাক করার দরকার । তবেকলতান বিন্দুমাত্র বিচলিত হল না । চ্যালেঞ্জটাদিয়ে কলতান বেশ উত্তেজনা বোধ করতে লাগল । কিন্তু মনে একটা দুশ্চিন্তা জুটল অম্বরীশবাবুর জন্য । কলতান তাড়াতাড়ি অম্বরীশকে ফোন লাগাল ।----- ' হ্যা... বলুন মিস্টার গুপ্ত .... কিছু বলবেন ? 'কলতান বুঝতে পারল তেমন কিছু ঘটেনি । বলল, ' না ... তেমন কিছু না ... বলছিলাম যে কোন প্রবলেম হয়নি তো কোন দিক দিয়ে ? কোন প্রবলেম ফিল করলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন .... ' ----- ' ... ...
এবারে "গুরুচণ্ডালি " তে যে লেখাটি আমি পাঠাচ্ছি, সেটি বেশ কিছুদিন আগেই পাঠানো যেত, কিন্তু 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় একটু বাঁধ সাধলেন। তাঁরই কীর্তিকলাপের বিস্তারিত বিবরণ ই ছিল আমার লেখার বিষয় বস্তু। মনে হচ্ছে আমার প্রতি বিশেষ ভাবে প্রসন্ন হয়েই এবার তিনি আমার ই বাড়ির গৃহকর্তা এবং তাঁর অবিভাবক (attendant) টির ঘাড়ে চেপে বসলেন। বুঝতেই পারছেন, মাথায় উঠলো লেখা জোখা, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা । মোটামুটি তাঁরা সুস্থ হওয়ার পর আবার লেখাটির কথা মাথায় এলো। ... ...
মধ্যযুগের মলের টুকরো ছিটকে এসে পড়েছেযারা চেয়েছিলো তারা এখন নারায়ন শিলা মানে।পূতিগন্ধে পরিযায়ী পাখি ফুলেদের ডাক দিয়েছেপাখি জানেনা ফুলেরা মরেছে ভগবানের চরণে।
বৈকুন্ঠবাবু চিন্তাকুল মুখে বিদায় নিলেন । বিদ্যুৎ বলল, ' কলতানদা ... অম্বরীশবাবুকে দিয়ে এন্টালি থানায় একটা ডায়েরি করাতে হবে । ওটা ওদের জুরিসডিকশানে । আমি তো কাল ওখানে যেতে পারব না । আমি অবশ্য এন্টালি থানার ওসি বিমল মন্ডলকে কেস ডিটেলসটা দিয়ে একটা মেল করছি । ফোনেও কথা বলে নিচ্ছি । তুমি যদি কাল ফার্স্ট আওয়ারে অম্বরীশ চ্যাটার্জীকে দিয়ে একটা জেনারেল ডায়েরি করিয়ে নিতে পার ভাল হয় ... ওই গ্যাঙ অফ ফোরের নামে.... '----' হ্যা ... দেখছি ... কিন্তু বিদ্যুৎ ... চারজনের নামে না , ডায়েরিটা একজনের নামে করে তাকে গাঁথতে হবে । তারপর তাকে দিয়ে বাকিদের তোলাতে হবে । ... ...
এক যে ছিল ট্রামপর্ব - ২|| এক পয়সা ট্রামভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলন ||( আগের পর্বের পর...)সমস্ত শহর জুড়েই অরাজকতার সৃষ্টি হয় | এইরকম গুরুত্বপূর্ণ সময় মুখ্যমন্ত্রীর ইউরোপ চোখ অপারেশনের জন্য চলে যাওয়াতে তদানীন্তন কংগ্রেস নেতৃবর্গএর পক্ষে এই পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হয়ে পরে | কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজ্যসভার সংসদ বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, ঐতিহাসিক হিরেন মুখার্জী প্রমুখ ছয়জন প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর কাছে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানান | বিরোধী পার্টিগুলি একজোট হয়ে এই সময় কংগ্রেস সরকার কে পদত্যাগ করতে বলে পুনর্নির্বাচনের ডাক দেয় |প্রতিরোধ কমিটির ডাকে শহরের ছাত্র-যুবারা ম্যাংগো লেনে ট্রাম কোম্পানির অফিসের সামনে অবরোধে বসে | ট্রাম কোম্পানির তরফে A C ... ...